আমরা আইইউএফ এর পক্ষ থেকে বিষয়টাকে আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে এবং বারবার ঐ বাগানে আমি যাওয়ার পর থেকে, একটা অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ... ...
ভোট বাজার - বিশ্বের সর্ব বৃহৎ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব এখন প্রায় দোর গোড়ায়। চারদিকে তাই রীতিমতন সাজ সাজ রব। একশো কোটি মানুষের দেশ যখন, তার জাতীয় উৎসবটাতো তো একটু জাঁক-জমকপূর্ণ হবেই। তো একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক, এই ২০০৯ এর লোক সভা নির্বাচনের খরচা পাতির দিকে। দুই প্রধান যুযুধান দল, অর্থাৎ কংগ্রেস এবং বিজেপির মোট নির্বাচনী খরচ প্রায় ৮০০ মিলিয়ান ডলার ছুঁতে চলেছে। এছাড়াও অন্যান্য যে সব দল বা উপদল আছে, তাদের ও আনুমানিক খরচ প্রায় ২০০ মিলিয়ান (ডলার)। এরপরেও আছে সরকারী খরচ যা প্রায় ৯০০০ কোটির মতন। এই বিপুল পরিমান টাকা খরচ হচ্ছে কিসের জন্য? ... ...
মালদহের গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে কর্তৃপক্ষের অপরিসীম উদাসীনতা তাদের ঠেলে দিয়েছে দীর্ঘ আন্দোলনের পথে। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ এবং মূল স্রোতের সংবাদমাধ্যমের বিস্ময়কর নীরবতার কারনে সাধারন মানুষের কাছে তাদের সমস্যা এবং এবং কার্যকলাপ অনেকটাই অজ্ঞাত। আন্দোলনকারী ছাত্র আলমগীর খান তাদের সাম্প্রতিক অবস্থা এবং পরিকল্পনা জানিয়েছেন এই লেখায়। ... ...
Vanuatu নামে ছোট্ট একটা দেশ বা দ্বীপ পুঞ্জের এক অখ্যাত ব্যাঙ্ক। দেশ জোড়া এদের অনেক শাখা প্রশাখা, প্রচুর কাস্টমার, অনেক অ্যাকাউন্ট, চেক বুক এসব তো আছেই; তা ছারা এদের সুদের হার ১৫%। মর্টগেজ লোন, easy credit system সব কিছুর ই ব্যবস্থা আছে। তাহলে হঠাৎ করে আজ এই ব্যাঙ্ক টা খবরে উঠে এলো কেন? সেটা বুঝতে হলে ব্যাঙ্কের আমানত কারী দের সাথে একটু লাইনে দাড়াতে হবে। ... ...
তিরিশে জুলাই, সোমবার, গনি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র ছাত্র সংগঠন জিকেসিআইইটি স্টুডেন্ট'স ইউনিটি-র উদ্যোগে মালদা মেন্ পোস্ট অফিসের কাছে ফোয়ারা মোড়ে বিকেল চারটে থেকে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। এই সভার উদ্দেশ্য ছিল ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা বছরের পর বছর কিভাবে জিকেসিআইইটি কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রতারিত হয়ে আসছে সেই কাহিনী মালদা শহরের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। - একটি প্রতিবেদন। ... ...
গত কয়েক বছরে স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান রাজ্য সরকারের ভূমিকা জনমানসে বিরূপতার জন্ম দিয়েছে। ছাত্র, চিকিৎসক এবং রোগীসাধারণ, তিনটি গোষ্ঠীর মধ্যেই ক্ষোভ ও উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অথচ এটুকু বলে থেমে গেলে বস্তুত অর্ধসত্য বলা হয় এবং সরকারের প্রতি অন্যায় করা হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ আদর্শ না হলেও প্রশংসনীয়। স্বাস্থ্যখাতে ভারতের গড় সরকারি ব্যয়ের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু হাসপাতাল বিল্ডিং খাড়া করে বেশ কয়েক হাজার বেড বাড়িয়েছেন এই সরকার। সরকারি উদ্যোগে বা পিপিপি মডেলে ডয়ালাইসিস থেকে শুরু করে ইন্টেনসিভ কেয়ার জাতীয় বিভিন্ন পরিষেবা আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে দেবার মতো পরিকাঠামো তৈরি করার ক্ষেত্রে খানিক এগিয়েছেন। এগুলো অস্বীকার করে কেবলমাত্র সরকারকে দোষারোপ করার রাজনীতি করতে চাই না। সমস্যা হল ব্যয়বরাদ্দ বাড়িয়ে এবং পরিকাঠামোতে নজর দিয়েও স্বাস্থ্যবব্যস্থার প্রকৃত উন্নতি সম্ভব হল না পরিকল্পনার অভাবে। ... ...
মা গাড়ি চালাতে জানেনা, কাজেই বাবাকেই বাজার যেতে হবে। মঙ্গলবারে আপিস থেকে ফিরে। অবশ্য মাকে সঙ্গে না নিয়ে গেলে হবে কি করে? কি কি লাগবে তা নিজে দেখে বেছে না কিনলে তার আবার চলেনা। দেশে থাকতে তো আমি আর মা রোজ বাজার যেতাম। ঘুরে ঘুরে ফল, সব্জি কেনা হতো, তাজা শাক,হার্বস কেনা হতো। কারুন আর আরভান্দ নদী থেকে ধরা টাটকা মাছ, চাষীকাকুদের খামার থেকে জ্যান্ত মুরগী। সবে তন্দুর থেকে বেরিয়েছে সেই হাতে গরম লাভাশ আর সাংগাক রুটি কিনতাম আমরা। সত্যি বলতে কি এখন বুঝতে পারি যে সেই ছোটবেলাতেই এই বাজারে ঘুরে ঘুরে আমি দিব্যি একজন খাবারদাবারের সমঝদার হয়ে উঠেছিলাম, এদেশে যাকে বলে "ফুডি'। এখানের বাজারে আর আমার যাওয়া হতোনা। বাবারা কতক্ষণ ধরে বাজার করবে তার ঠিক নেই! মানে, ঠিক আছে আর কি, মায়ের মেজাজের সাথে পাল্লা দিয়ে ঠিক হবে কতক্ষণ ধরে ঘোরাঘুরি হবে। দেরি হলেই বুঝবেন যা যা খুঁজছিলো তা পাচ্ছেনা, তাই বাজার একেবারে চিরুনী দিয়ে আঁচড়ানো হচ্ছে। আর এসে পরে যা চমৎকার তার 'মুড'! তখন তার সামনে যায় সাধ্যি কার! "এই পোড়া দেশে কি ভদ্রস্থ শাকসব্জিও পাওয়া যায় না?', "হতভাগারা ফলগুলো পাকা অব্দি গাছে রাখাতে পারেনা?',"কি সব মুরগী! ধাড়ি ধাড়ি, স্বাদের "স' নেই!',"কিছুই পাওয়া যায়না তা রান্নাটা হবে কি তোদের মুন্ডু দিয়ে?', "তার ওপরে এই ছাতার মাথা হাঁটু ব্যথা নিয়ে আমি কি করে এতসব উদ্ধার করবোটা কি করে শুনি?' ইত্যাদি মধুর ভাষন আর কি। ... ...
কর্পোরেটাইজড পুলিস স্টেটের চেহারা বাস্তবে কিরকম হতে পারে কলিঙ্গনগরের দিকে তাকালেই তা বেশ মালুম হবে। উড়িষ্যা হাইকোর্টে দাখিল করা দুটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিসের ভূমিকা যখন স্ক্যানারের তলায়, কার্যসিদ্ধি করবার জন্য পুলিস চমৎকার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। বাইরে থেকে আদিবাসীদের নিয়ে এসে প্রথমে স্থানীয় প্রতিবাদীদের সাথে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারপর "আইনশৃঙ্খলা' রক্ষার জন্য পুলিস হস্তক্ষেপ করছে। ... ...
আপনার, আমার - আমাদের সক্কলের জীবনে যা একক ও স্বতন্ত্র - আমাদের সেই ডি এন এ সিকোয়েন্সকে সুরে বাঁধার এক আশ্চর্য প্রয়াস নিয়েছেন অ্যান্ড্রু মর্লে নামে এক গান পাগল মানুষ। ... ...
যে সমস্ত জিনিসের দেখা শুধুমাত্র রূপকথাতেই পাওয়া যেত সেসবই একে একে আমাদের হাতে তুলে দিচ্ছে বিজ্ঞান। সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস এর কয়েকজন বিজ্ঞানী হাতে কলমে দেখিয়ে দিয়েছেন আরব্য রজনী খ্যাত জাদু গালিচা বাস্তব জীবনে বানানো যেতেই পারে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে খুব হালকা পলিমারের চাদরকে শক্তিশালী ইঞ্জিনের সাথে জুড়ে এর মধ্যেই ভাসিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। অবিকল উড়ন্ত গালিচার মতই ঢেউ তুলে তুলে ভেসে থাকে এই বিশেষ পলিমারের চাদর, আর তরঙ্গের দিক অনুসারে এগিয়ে যায় ""চালকের"" ইচ্ছানুসারে কখনও জোরে, কখনও আস্তে। গতিবেগের সাথে সাথে বেড়ে যায় তরঙ্গের মাত্রা, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ঝাঁকুনি। ... ...
গ্রামেরই একজন বাসিন্দা গোকুল মাইতি আমাদের বলেন যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বদলে গ্রামে অশান্তিই দেখা দেয়। জোর করে গ্রামবাসীদের দিয়ে ক্যাম্পের রান্না করানো, কাপড় কাচানো হত। ওই গ্রামেরই প্রদীপ রায়ের বক্তব্য অনুসারে ক্যাম্পে মোটামুটি ২০ থেকে ২৫ জন সশস্ত্র ব্যক্তি ছিল। একেকজন গ্রামবাসীকে একদিনে ৪০ থেকে ৫০টা চাপাটি তৈরি করতে বাধ্য করা হত। রান্না ভালো না হলে বা নুন বেশি হলে বা রাঁধুনীর যে কোনও ভুলের জন্য ক্যাম্পবাসীদের গালিগালাজ শুনতে হত। একদিন তারা গ্রামবাসীদের বন্দুক দেখিয়ে সিপিআই (এম)-এর মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য করে। এই জোর-জবরদস্তির চাপে নিরস্ত্র গ্রামবাসীরা ক্যাম্পের সশস্ত্র ব্যক্তিদের পাহারাও দিয়ে থাকতেন। অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাঁদের সেই ক্যাম্পের সমস্ত আদেশই মেনে চলতে হচ্ছিল। ক্যাম্পে সময় দেওয়ার জন্য চাষের কাজের ক্ষতি হচ্ছিল, আর ক্যাম্প-সদস্যরা গ্রামবাসীদের সম্মান রক্ষা করছিলেন এমনও নয়। ক্যাম্প তৈরি হওয়ার পরে সিআরপিএফ-এর টহলদারি বন্ধ হয়ে যায়। সিআরপিএফ ওই গ্রামের ভবিষ্যৎ ক্যাম্পের হার্মাদদের হাতেই ছেড়ে দেয়। নেতাই গ্রামের ক্যাম্পের ৩ থেকে ৪ কিলোমিটারের মধ্যেই বীরকর, বেলাটিকরি আর সিজুয়াতে সিপিআই (এম)-এর হার্মাদ বাহিনীর অন্যান্য ক্যাম্প রয়েছে। হার্মাদ বাহিনীর ভয়ে কাঁটা হয়েই গ্রামবাসীদের দিন কাটছিল। ... ...
অনিকেত এই চিকিৎসকদের সন্তান। অয়ন, সুমন, হিল্লোল এই চিকিৎসকদের উত্তরাধিকার। সুযোগ্য উত্তরাধিকার। অনিকেতরা সেই ডাক্তারিছাত্রদের প্রতিনিধি যারা ১৯৮০-র দশকে স্বাস্থ্য আন্দোলনে পথে নেমেছিলেন সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা এক্স-রে, ই সি জি ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা চালু করার জন্যে। অয়নরা সেই ডাক্তারিছাত্রদের উত্তরসূরি যারা নব্বই এর দশকে কলকাতার বিভিন্ন বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে গেছেন, বস্তিবাসী মানুষদের স্বাস্থ্যের হাল হকিকতের খোঁজ তাঁদের মধ্যে গিয়ে নিয়ে এসেছেন। আর তাই শুধু বর্তমান নয়, যে কোন শাসক দলের কাছেই এই উত্তরাধিকার একটা বড় দু:স্বপ্ন। আসন্ন স্বাস্থ্য আন্দোলনের একটা প্রচ্ছন্ন হুমকি। এইটা মেনে নিতে চাইছেনা রাষ্ট্র। এইটা মানতে রাজি নয় কর্তৃপক্ষ। তাই চাইছে একদম ফার্স্ট ইয়ার থেকে, একদম 'তৃনমূল' স্তর থেকে এই সম্ভাবনা সমূলে বিনাশ করতে। অনিকেতদের এই আন্দোলন এই মূহুর্তে তাই এতখানি গুরুত্বপূর্ণ, এতখানি সময়োচিত, এতখানি জরুরি। ... ...
গত কয়েকদিন ধ'রে এই মানুষগুলোর মধ্যে থেকে যে লড়াকু মানুষগুলিকে বেরিয়ে আসতে দেখছি তাদের এর আগে দেখিনি। ... ...
আজ এই মাত্র খবর পেলাম নেওড়ানদী বাগান খুলে গেল। আজ থেকে। বাগানে ম্যানেজমেন্ট এসে গেছে। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের বাগানের এক নেতার কাছে জানতে চাইলাম কি শর্তে বাগান খুলল। ... ...
বিখ্যাত মানুষজন এসেছিলেন অনেকে, যাদের মিডিয়া বিদ্বজ্জন বলে টলে। বললেনও তাদের মধ্যে অনেকে, ভালই বললেন, তাদের অনেকেই সুবক্তা। বললেন কমলেশ্বর ভট্টাচার্য, অনীক দত্ত, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কোশিক সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, পল্লব কীর্তনীয়ারা। ছাত্র রাজনীতিকে "অরাজনৈতিক" করে দেওয়ার কথা উঠে এল বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্যে, কৌশিক সেন অবশ্য বললেন ছাত্রদের তোলাবাজির রাজনীতি দেওয়ার কথা। পরিচালক অনীক দত্ত বললেন নিজের হারিয়ে ফেলা শহর কলকাতাকে ফিরে পেতেই তিনি এ আন্দোলনের পাশে, এই কলকাতা তাকে বিশ্বাস যোগায় এ শহরে থাকতে চেয়ে ভুল করেননি তিনি। কিন্তু যে বয়স্ক মানুষটি বললেন আমরা অনশন করব তোমাদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনিই বোধহয় গোটা সভাগৃহটাকে এক্সুরে বেঁধে দিলেন , কিংবা যে অভিভাবক বললেন আমরা আছি তোমাদের পাশে, থাকব এ লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত। অন্যান্য কলেজ থেকে আসা পড়ুয়ার দল যারা স্লোগান তুলল গলা মেলাল স্লোগানে, তারাই আজকের কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠল ক্রমশ। ব্যাকগ্রাউন্ডে পল্লব গাইলেন 'হোক লড়াই'। মৌসুমী গাইলেন তাঁর ক্লাসিক বহুস্বরের গান 'তুমি কোথায় ছিলে অনন্য'। গান আর স্লোগান, ভিড়ে ঠাসা সভাগৃহে ছাত্রছাত্রীদের অঙ্গীকার, এর পরে কনভেনশনই পরিণত হল মিছিলে। না হয়ে আর উপায় ছিলনা। ... ...
সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিবঙ্গের গ্রামগুলোতে বিএসফএর অত্যাচার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের পূর্ণ মদতে বিএসএফ ঐ সব এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ... ...
এক একটা হিমবাহ বানাতে খরচ পড়ছে প্রায় ৩ থেকে ১০ লাখ। এখনো সমস্যা রয়ে গেছে বহু স্তরে। কৃত্তিম হিমবাহ বানাবার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আর লোকবলের অভাব সর্বত্র। ... ...
পন্ডিতরা শিল্পায়নের দুই ধরণের সংজ্ঞা দিয়ে থাকেন। একটি বাংলায় অন্যটি ইংরিজিতে। একটি পিপলস ডেমোক্রেসিতে অন্যটি আনন্দবাজারে। ইংরিজি তাত্ত্বিক শ্রী প্রকাশ কারাত,পিপলস ডেমোক্রেসিতে এ বিষয়ে লিখেছেন, "কলকাতার পার্শ্ববর্তী পাঁচটি জেলায় করা একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, যে, বন্ধ কল-কারখানা আর রুগ্ন শিল্পগুলিতে ৪১০০০ একর এমন জমি পড়ে আছে, যা কোনো শিল্প সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছেনা।অএই সমস্ত জমি পুনরুদ্ধার করলে, তা, অনেকগুলি উদ্দেশ্যকে সিদ্ধ করতে পারে। এই সমস্ত জমিগুলিকে বিক্রি করে সেই অর্থে রুগ্ন শিল্পগুলির পুনুরুজ্জীবন ঘটানো যেতে পারে, বা কর্মচারীদের বকেয়া বেতন মেটানো যেতে পারে। বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প, বা অন্যান্য শিল্পসংস্থাকে বাকি জমি দেওয়া যেতে পারে। এইরকম জমিগুলি দশকের পর দশক ধরে আইনী জটিলতায় অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে।" ... ...
গত মাসের ২৮ তারিখ কিছু নাছোড়বান্দা নর্মদা বাঁচাও কর্মী আর পালে পালে হাড়ে-হাভাতে আদিবাসীর দল খাণ্ডোয়ার রাস্তায় হল্লা করছিল। ... ...
খুবই অদ্ভূত সেই যন্ত্র। তিনটে আলাদা অংশ। আলাদা তাদের কাজ। আলাদা তাদের নাম। কিন্তু উদ্দেশ্য একই। "জাজমেন্ট' কার্যকর করে এই যন্ত্র। 'জাজমেন্ট' জানান হয় না দন্ডিতকে। ছ'ঘন্টা ধ'রে একটা অংশ অসংখ্য ছুঁচ দিয়ে অনেকটা উল্কির মত 'জাজমেন্ট' খোদাই করে দেয় দণ্ডিতের চামড়ায়। ততক্ষণে দন্ডিত তার শরীর জোড়া রক্তাক্ত ক্ষত থেকে জেনে যায় কী সেই 'জাজমেন্ট'। ... ...