ব্লগ সাইটটির নির্মাতা ও আমারব্লগ লিমিটেডের পরিচালক সুশান্ত দাসগুপ্ত এক সংবাদ বিবৃতিতে জানান, আমারব্লগ ডটকম বাংলাদেশের কিছু কিছু আইআইজি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। গত ছয় মাসে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশে আমারব্লগ ডটকম বন্ধ করা হলো। গত দুবারের মতো এবারও আমারব্লগ ডটকম কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোন সরকারি কিংবা আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি। ব্লগ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানাতে পেরেছে যে বেসরকারি এবং সরকারি ইন্টারনেট প্রভাইডারকে আমারব্লগ ডটকম সম্পূর্ণভাবে ব্লক করবার সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ... ...
বারাসাতের কামদুনি গ্রামটিতে গণধর্ষণ আর হত্যা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, কলকাতার কিছু রাজনৈতিক কর্মী, আর অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষদের আন্দোলনের সংহতিতে গ্রামটিতে গিয়েছিলাম গত ১৬ জুন। মমতার কামদুনি সফরের ঠিক একদিন আগে। নিচের লেখায় তারই একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ ধরা থাকল। ... ...
আমার সৌভাগ্য যে স্বামীহারাদের সংগঠন আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে তাদের সাহায্য করতে। এর ফলে আমি, মণিপুর রাইফেলস ও পুলিশের লোককে জেরা করবার সুযোগ পেয়েছিলাম, দিল্লি আর ইম্ফল, দুই জায়গাতেই। আমি যখন ইম্ফল যাই ২০১৩র মার্চ মাসে, তখন সাক্ষাত হয়েছিলো বাবলু লয়টংবাম নামে এক আইনজীবির সাথে। উনি কয়েকজন জেদী আইনজীবির একটি ছোটো গ্রুপকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এই এনকাউন্টারের শিকার হওয় মানুষগুলির স্বজনদের আইনি সাহায্য দিতে। শয়ে শয়ে স্বামীহারা মহিলারা এই কমিশনের শুনানি চলাকালীন হাজিরা দিতেন। কমিশনের মাথায় ছিলেন বিচারপতি হেগড়ে। আমি,আমার অভিজ্ঞতায়, এই প্রথম একটা কমিশনে হাজির ছিলাম যেখানে কমিশন একেবারে হৃদয় দিয়ে তদন্তে নেমেছিলেন। আমরা ইম্ফলে ছিলাম ছয়দিন আর নয়াদিল্লিতে চারদিন। আর মার্চের শেষেই কমিশন তার রিপোর্ট পেশ করেন। ... ...
১৩ বছর চা বাগান বন্ধ। সরকার থেকে আসা সমস্ত রকমের ভাতা এপ্রিল থেকে বন্ধ। এবং এত কিছু বন্ধের মধ্যে অনাহারে গন্ধ না শুঁকে, লোকদেখানো চিল্লিমিল্লি না করে নীরবে সরকারি হাসপাতাল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে (নাকি উপেক্ষা করে!) চিকিৎসাহীন মারা যাচ্ছেন শ্রমিকরা। হয়তো দয়ার বা ভিক্ষার দান আর নেবেন না মনস্থির করেছেন। বাগান শ্রমিক স্বপন মজুমদার জানিয়েছেন, ‘– কেন আমাদের সব সময় সবকিছু চেয়ে নিতে হবে। এসব কি দয়ার দান নাকি ? –’ অধিকার সচেতন শ্রমিকদের মৃত্যু কেড়ে নিচ্ছে প্রশাসনের রাতের ঘুম। ... ...
শুধু কাঁদানে গ্যাস নয়, গুলিও চলল পরমাণু বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর। থুথুকুড়ি-র মানাপাদু গ্রামে পুলিশ অ্যান্থনি সামি নামের এক প্রতিবাদী মৎস্যজীবীকে পেটে গুলি চালিয়ে মেরে ফেলেছে। অসমর্থিত সূত্রে জানা যাচ্ছে, একজন বাচ্চা মেয়ে মারা গেছে পদদলিত হয়ে। একবছর আগে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম পুলিশ আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল ইদিনথাকারাই গ্রামে ঢোকে এবং প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তল্লাসী চালায় উদয়কুমার এবং অন্যান্য নেতাদের খোঁজে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, যদি কারোর ঘরে উদয়কুমারদের পাওয়া যায়, সঙ্গে সঙ্গে তাদের গুলি করে মেরে ফেলা হবে। অসমর্থিত সূত্রে এও জানা যাচ্ছে, উদয়কুমারদেরকে লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল, কিন্তু মাথা নিচু করে নেওয়ার কারণে তারা বেঁচে যায়। সারা দক্ষিণ তামিলনাড়ু জুড়ে ইতিউতি প্রতিবাদের খবর শোনা যাচ্ছে, পরমাণু বিরোধী আন্দোলনের ওপর এই পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে। প্রায় ৫০ জন গুরুতর আহত বলে জানা যাচ্ছে। ইদিনথাকারাই চার্চের সামনে ১৪ জন অনশন শুরু করেছে বলে খবর। কুদানকুলামে সরকার সমস্ত ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ফলে কুদানকুলাম থেকে সরাসরি খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ... ...
লিঙ্গকে এস্সার মামলার একজন আসামী হিসেবে দেখায় পুলিশ, এ ছাড়াও তাকে অভদেশ গৌতম মামলাতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়(যদিও সেই ঘটানাটি ঘটেছিলো প্রায় এক বছর আগে)। চার্জশীট যখন দাখিল করা হল তখন বোঝা গেল যে সাক্ষ্য প্রমাণের উপর নির্ভর করে লিঙ্গের বিরুদ্ধে মামলা আনা হয়েছে সেটি একটি টাইপ করা কাগজ যেটাতে নাকি অভদেশ গৌতমের সই রয়েছে। তো ঐ বয়ানে লেখা আছে তার বাড়ীতে হামলা হবার কিছুদিন পরে তিনি নাকি "শুনতে" পান যে কিছু পার্টিকর্মী, যারা আরো দূরের গাঁয়ে থাকে, তারাও নাকি কোথাও শুনেছে যে ঐ হামলার মুল মাথা ছিলো লিঙ্গ। এবং এই লিঙ্গই নাকি হবে মাও পার্টীর ভবিষ্যত মুখপাত্র। শুধুমাত্র এই একটি ই "প্রমাণ" রয়েছে পুলিশের কাছে। একটি টাইপ করা কাগজ। এবং সেটি যদি জেনুইন বলেই ধরে নেওয়া যায়, তাহলেও একেবারেই কোনো মামলায় ফাঁসানোর জন্য গ্রাহ্য হতেই পারে না। কারন খালি একটা "গুজবে"র কথাই বলা হয়েছে এতে। ... ...
ইঁদুর আমাদের সারা গাময় ঘুরে বেড়াত, পায়ের পাতার কাছে খুঁটে খুঁটে কামড় দিত। সকালে উঠে রক্ত পড়ে থাকতে দেখলে আমরা সবাই ভীত হয়ে যে যার নিজেদের পায়ের দিকে তাকাতাম। একদিন ১৬ ঘণ্টা ধরে হোসাঙ্গাবাদে লোডশেডিং ছিল, আমরা সেই অন্ধকারেই বসে খাচ্ছিলাম। সেই সুযোগে ইঁদুর এসে আমাদের রুটি নিয়ে চলে গেল।ও আমরা হাঁ করে বসে রইলাম। হরদা জেল ইঁদুরে ছেয়ে গিয়েছিল। আমাদের চাদর মুড়ি দিয়ে শুতে হতো তাতেও আমাদের চুলের কাছে এসে ইঁদুর গুলো জটলা পাকাত। আমি জেলারকে বলেছিলাম এই ইঁদুরের উপদ্রবের কথা। জেলার তার উত্তরে বলল, -এইটা জেল ম্যাডাম, ফাইভ স্টার হোটেল নয়। - তা বলে কি বন্দীরা এইভাবে ইঁদুরের কামড় খাবে, এইরকম কথা কোথাও লেখা আছে নাকি? দেখাতে পারলে আমারা আপনার কথা মেনে নেব। তা অন্ততপক্ষে আমাদের তো একটা মশারী দিতে পারেন? মশা না হোক ইঁদুরের থেকে তো আমরা রেহাই পেতে পারি। ... ...
আমরা দেখেছি, কিশোরী শেরাপিনাকে গত বছর ৪ এপ্রিল চার জন বখাটে যুবক ধর্ষণ করার পরেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি। আসামীরা মাত্র দেড় লাখ টাকায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইলে ১০ মাস ধরে আপমানের জ্বালা সয়ে শেরাপিনা এ বছর ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করে। সে সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ উত্তরবঙ্গের আদিবাসীদের সম্মিলিত তীব্র আন্দোলনের মুখে পুলিশ এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে মোট ১৩জনকে আসামীও করা হয়। আজও এ ঘটনার বিচার হয়নি। ... ...
আমরা, দুর্গাপুর ই এস আই হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ, চিকিৎসাক্ষেত্রে বহিরাগত এবং দুর্বৃত্তদের নিরন্তর এবং অসহনীয় উৎপীড়নের বিষয়ে সাধারণ জন সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সাধারনভাবে প্রায় সমস্ত সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রকেই প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল পরিকাঠামো নিয়ে চিকিৎসা করতে যেয়ে জনরোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। ই এস আই-এর ক্ষেত্রে এই অত্যাচার অমানবিক পর্যায়ে পোঁছে যাবার দুটো নির্দিষ্ট কারণ আছে। এক, শ্রমিক এবং কর্মচারীর দেওয়া মাসিক চাঁদার পরিবর্তে ই এস আই সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়। দুই, এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করার জন্য ই এস আই বিভিন্ন বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেছে যার মাধ্যমে বিমাকারিরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সব রকম চিকিৎসা পেতে পারেন। ... ...
১। জনৈক দীপক চৌবে তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন ¢ত¢ন নারায়ণ সান্যালকে পু¢লশ গ্রেপ্তার করার ¢কছু¢দন আগে ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর সুপা¢রশক্রমে ¢নজের বা¢ড়তে ভাড়া থাকতে ¢দয়ে¢ছলেন। ¢বচারপ¢ত এই তথ্য¢ট উপেক্ষা করেছেন যে দীপক চৌবে আদৌ ঐ বা¢ড়র মা¢লক নন এবং বা¢ড়¢ট ¢ত¢ন ভ¢গ্নপ¢তর হয়ে ভাড়া ¢দয়ে¢ছলেন। ¢ত¢ন বা¢ড়র মা¢লক না হওয়া সত্ত্বেও পু¢লশ বা¢ড়র মা¢লক ¢হসেবে তাঁর সাক্ষ্য ন¢তভুক্ত করেছে। ২। রায়ে প্রকাশ, ডাক্তার ¢বনায়ক সেন মাওবাদী নেতা নারায়ণ সান্যাল-এর সঙ্গে গত ১৮ মাসে ৩৩ বার দেখা করে¢ছলেন, ¢কন্তু এই তথ্য অনু¢ল্ল¢খত থেকে ¢গয়েছে যে প্র¢ত¢ট সাক্ষাৎই জেল কত«Ñপক্ষের আগাম অনুম¢তর ¢ভ¢ত্ততে হয়ে¢ছলো। ¢বচারপ¢ত একজনও জেল কর্মচারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ¢ন। ৩। ¢বচারপ¢ত প্রশ্নাতীতভাবে পু¢লশের ¢ববরণী গ্রহণ করেছেন জব্দকালীন সাক্ষী অ¢নল ¢সং-এর বয়ানের ¢ভ¢ত্ততে। এ¢বষয়ে পীযূষ গুহ ও সহ-অ¢ভযুক্ত ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর আপ¢ত্ত - যে পু¢লশ পীযূষ গুহকে গ্রপ্তারের পরে গুহ এবং পু¢লশের এক¢ট কথোপকথন সাক্ষীর কণর্গোচর হয়ে¢ছলো এবং পু¢লশী হেফাজতে থাকাকালীন পীযূষ গুহ-র সমع বক্তব্য ভারতীয় প্রমাণ আইন, ১৮৭২ অনুসারে প্রমাণ ¢হসাবে বে-আই¢ন - তা সম্পূর্ণত: অস্বীকার করা হয়েছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে সাক্ষী অ¢নল ¢সং তল্লা¢শ ও ধরপাকড়-এর সময়ে পু¢লশের সহগামী ¢ছলেন না, ও ¢ববরণানুযায়ী একজন ¢নকটবর্তী ব্য¢ক্ত, যাঁকে পু¢লশ গুহ-র গ্রেপ্তারের পরে থা¢ময়ে সক্ষক্ষী করে¢ছলো। আসামী পদ্ধ¢ত ¢ব¢ধ-র ১৬২ ধারা অনুসারে কোন অ¢ভযুক্ত / সাক্ষী পু¢লশী হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর সমع বক্তব্য সাক্ষ্যপ্রমাণ ¢হসেবে ব্যবহার করা যায় না - ¢কন্তু এই ¢বচারে তা সর্বতোভাবে উপে¢ক্ষত হয়েছে। ৪। ¢বচারপ¢ত পীযূষ গুহ-র আবেদন - যে চার ¢দন তাঁকে বেআই¢নভাবে আটকে রাখা হয়ে¢ছলো ও হেফাজতে অত্যাচার করা হয়ে¢ছলো - পুরোপু¢র উপেক্ষা করেছেন। ¢বচারের এই উপেক্ষা পু¢লশী অত্যাচারকেই আড়াল করে। ... ...
নব দত্তকে সাদা পোশাকের পুলিশ গ্রেপ্তার করে, যা পুলিশের গ্রেপ্তার বিধি সংক্রান্ত মামলায় (AIR 1997 SC 610) বিচারপতি ডি এ বসুর রায়ের সম্পূর্ণ বিরোধী। নব দত্তের পরিবারকে তার গ্রেপ্তার সম্পর্কে কিছুই জানানো হয় নি। ওঁদের গ্রেপ্তারের সময় কাউকেই কোন 'অ্যারেস্ট মেমো' দেওয়া হয় নি, যা সম্পূর্ণ বেআইনী। এই ঘটনায় পুলিশের কার্যকলাপ প্রমান করে যে আইনের শাসন ভেঙ্গে পড়ার মুখে। সমস্ত ধরনের প্রতিবাদী স্বরকে বোবা করে দেবার স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রযন্ত্র। ... ...
চীনের বিশাল পাঁচিল যতই বিখ্যাত হোক না কেন, এই মুহুর্তে যে ছোট্ট পাঁচিল দুই প্রতিবেশী দেশের মাথার ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হলো মেক্সিকান পাঁচিল। ২০০০ সালের মাঝা মাঝি নাগাদ USA সরকার মেক্সিকান আমেরিকান সীমানা বরাবর নতুন পাঁচিল বানায় বেআইনি অনুপ্রবেশ আটকানোর জন্য। প্রায় ১৫ মাইল লম্বা এই পাঁচিল বানানো হয় মেটাল টিউব মাটি তে বসিয়ে, যার মধ্যে ঢালা হয় কনক্রীট। মাইল প্রতি খরচ পড়ে প্রায় পাঁচ মিলিয়ান ডলার। ... ...
Vanuatu নামে ছোট্ট একটা দেশ বা দ্বীপ পুঞ্জের এক অখ্যাত ব্যাঙ্ক। দেশ জোড়া এদের অনেক শাখা প্রশাখা, প্রচুর কাস্টমার, অনেক অ্যাকাউন্ট, চেক বুক এসব তো আছেই; তা ছারা এদের সুদের হার ১৫%। মর্টগেজ লোন, easy credit system সব কিছুর ই ব্যবস্থা আছে। তাহলে হঠাৎ করে আজ এই ব্যাঙ্ক টা খবরে উঠে এলো কেন? সেটা বুঝতে হলে ব্যাঙ্কের আমানত কারী দের সাথে একটু লাইনে দাড়াতে হবে। ... ...
এতদিন ন্যাপি কেনা, ন্যাপি বদলানো, ন্যাপি পরিষ্কার এই সব নিয়ে চিন্তায় থাকতে হতো নতুন হওয়া বাবা মা দের। কিন্তু এতদিনে হয়তো সমব্যাথি খুঁজে পেলেন তারা। কেনিয়ার লিমুরু শহরে নতুন আইন জারি হয়েছে যে শহরের সমস্ত বাসিন্দা, যাদের পোষা গাধা আছে, তাদের কে গাধা দের জন্য ন্যাপি কিনতে হবে এবং রাস্তায় বার করার আগে তাদের ন্যাপি পরিয়ে বার করতে হবে। ... ...
ট্যাক্স নিয়ে ট্যাকটিসের কোনো শেষ নেই। উচ্চ, মধ্য, নিম্ন সর্ব ধরনের বিত্তবান মানুষের কাছেই ট্যাক্স মানে আতঙ্ক, ট্যাক্স মানেই তর্ক, ট্যাক্স মানেই সরকারি নীতির সমালোচনা, সরকার জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় কোন অকাজ, কুকাজ করে বেড়াছে তার ফিরিস্তি। তো এত তর্কে না গিয়ে সবাই মিলে ট্যাক্স দেয়া বন্ধ করে দিলেই তো হয়। আমার দেওয়া এই সলিউশান টা খুব অদ্ভুত লাগছে কি শুনতে? তবে সোজা চলে যান লস অ্যাঞ্জেলেসের প্লেন ফিল্ডের ব্রাউন দের বাড়ি তে। ... ...
আপনার কি অবাক হওয়ার ক্ষমতা কমে গেছে? হযবরল'র মামাদের মত কি আপনিও দিনদিন হোঁতকা থেকে হোঁতকাতর হয়ে পড়ছেন? এইবেলা চিকিৎসা করিয়ে নিন। নয়ত আর্থিক ক্ষতিস্বীকার করতে হতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছেনা বুঝি? বেশ, কেভিন টেলরকে জিজ্ঞেস করুন। সদ্য আয়োজিত এক টেক্সট মেসেজ কন্টেস্টে কেভিনবাবু ১০০০ ডলার হাতছাড়া করেছেন, শুধু একটি ""! '' চিহ্নের জন্যে। নর্থ ডাকোটা স্টেট ফেয়ারে ঐ প্রতিযোগিতায় কেভিন টেলর আর বেথ ব্রেভিকের মধ্যে টাইব্রেকার চলছিল। শেষে দুই যুযুধানকে থামানোর জন্য সাডেন ডেথ চালু হয়। আর সেখানেই কেভিন ঐ মোক্ষম ভুলটি করেন, নিজের বাক্যের শেষে বিস্ময়বোধক চিহ্ন না দিয়ে। ফলে তাঁকে মাত্র ২০০ ডলার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ... ...
জাদুকরদের টুপির তলা থেকে খরগোশ বের করে আনতে দেখা যায় প্রায়শই। কিন্তু আস্ত একটা বাঁদরকে টুপির তলায় লুকিয়ে রাখা? এবং তারপর প্রকাশ্য দিবালোকে সবার চোখ এড়িয়ে তাকে নিয়ে প্লেনে ওঠা? আমেরিকার মত নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনির দেশে এমনটাই ঘটিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জনৈক ব্যক্তি। নাটকের সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। সেদিন পেরু থেকে একটি বিমানে ফ্লোরিডা এসে পৌঁছান ঐ ব্যক্তি, সাথে ছোট্ট একরত্তি বাঁদরটাও ছিল। কিন্তু কিভাবে সবার চোখ এড়িয়ে তিনি সমস্ত চেকিং এর বাধা টপকালেন, সে এক রহস্য। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঐ এয়ারপোর্ট থেকেই নিউ ইয়র্কগামী একটি বিমান ধরেন তিনি। এবং ক্লাইম্যাক্স শুরু হয়। ... ...
একদিকে যখন বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়ানোর জন্য নানা কর্মসূচী চালু হচ্ছে, ঠিক তখনই উইসকনসিনের একটি ঘটনা নতুন করে মনে করিয়ে দিল কুসংস্কারের পাঁচিলটা এখনো কতো মজবুত। মধ্যবয়স্ক এক মহিলা ""ধর্মাচরণের"" নামে প্রচন্ড উৎপাত করে গ্রেপ্তার হয়ে ঘোষনা করলেন, তিনি নাকি ডাইনি এবং তাঁর যাদুচর্চায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে পুলিশ আইনভঙ্গ করেছে। গত মঙ্গলবার পূর্ণিমা ছিল। সেদিন মধ্যরাতে ব্রেনা নামের ঐ মহিলার প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত হয়ে ফোন করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেখে, নিজের বাড়ির পেছনে প্রায় দশ ফুট উঁচু আগুন জ্বালিয়ে তার চারদিকে ঘুরে ঘুরে চিৎকার করে মন্ত্র পড়ছেন ব্রেনা। কানের হেডফোনে রেকর্ড করা মন্ত্র বাজছে, আর তার সাথে মিলিয়েই চলছে তারস্বরে আবৃত্তি। পুলিশ নানাভাবে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ওদিকে তখন আগুনের তেজ আরো বেড়েছে। লেলিহান ঐ আগুনে ব্রেনা ছুঁড়ে দিচ্ছেন লাইটারের জ্বালানী তরল, পুরোনো টায়ার, কাপড় ও আরো অনেক কিছু। পরিস্থিতি সামাল দিতে এরপর পুলিশ ব্রেনাকে গ্রেপ্তার করে। তখন দেখা যায় ব্রেনা ভালরকম নেশাগ্রস্ত। ... ...
এই মুহুর্তে বিশ্বের বেশ কিছু বিজ্ঞানী এক অভূতপূর্ব গবেষণায় মেতেছেন, যা সফল হলে অদূর ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ কৃত্রিম উপায়ে প্রাণ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। অদ্ভুৎ শোনাচ্ছে? তাহলে আরো শুনুন, বিজ্ঞানীরা এর মধ্যেই সময়সীমাও দিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৩-১০ বছরের মধ্যেই তাঁরা ছুঁয়ে ফেলবেন এই মাইলফলক। কৃত্রিমভাবে তৈরী ঐ কোষের ভিত্তি হতে চলেছে ডি এন এ থেকে পাওয়া কিছু রাসায়নিক পদার্থ। কোষের মূল তিনটে অংশ বানানোর ছকও তৈরী। কোষপর্দা, যা একাধারে কোষকে ধরে রাখে, আকৃতি দেয় আর ক্ষতিকর পদার্থদের ঘাড় ধরে বের করে দেয়, সেটা বানানো-ই প্রথম ধাপ। আর হাভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিজ্ঞানীরা এই কাজটা করে ফেলতে সময় নিচ্ছেন মাত্র ৬ মাস। তারপরেই শুরু হবে পরের ধাপ, অর্থাৎ কোষীয় বিপাকসমূহের সংযোজন। ... ...
ছোট্ট বেলা থেকে যে কয়েকটা বদভ্যাস নিয়ে আমরা বড় হয়ে উঠি, তার একটা হলো চুইং গাম বা বাবল গাম গুলো খেয়ে যেখানে সেখানে ফেলে দেয়া। আর সেই জিনিস টাও এমন যে, একবার যেখানে পরবে সেখান থেকে আর উঠবে না সহজে। সব কটা বড় শহরের রাস্তা ঘাট সাফ সুতরো রাখার পক্ষে খুব বড় বাধা এই জিনিস টা। সিঙ্গাপুর সরকার তো বাধ্য হয়ে চুইং গাম বিক্রি করাটাকেই বেআইনি করে দিয়েছে। তো, আমরা কি আমাদের এই বদ অভ্যেসটাকে বদলাতে পারি না? চেষ্টা করলে হয়তো করা যায়, কিন্তু এই বিশেষ অভ্যেস টা আসলে আমাদের মজ্জাগত, অথবা বিশদ ভাবে বললে আমাদের জিনগত। যীশু খ্রীষ্টের জন্মের প্রায় ৩০০০ বছর আগে থেকেই মানুষ এই বদ অভ্যেস টি রপ্ত করেছিল। সম্প্রতি তার ই প্রমাণ পাওয় গেলো ফিনল্যান্ডে। ... ...