সৃষ্টিতত্ত্বে ডার্ক এনার্জির গুরুত্ব অপরিসীম। মহাবিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ জুড়ে থাকা রহস্যময় এই ফোর্স প্যারামিটার স্পেস-টাইমের প্রসারণের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আইনস্টাইনের এক গবেষণায় প্রথম এই ধারণার প্রচলন হয়, এবং প্রাথমিকভাবে পরিত্যক্ত হলেও ১৯৯০ সালে এর অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়। ডার্ক এনার্জি সম্পর্কে আরো বিশদ জানতে NASA র একটি বিশেষ দল কাজ শুরু করছে, নাম দেওয়া হয়েছে Joint Dark Energy Mission (JDEM)। এরকম আরো একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে শুরু হতে চলেছে বিয়ন্ড আইনস্টাইন প্রোগ্রাম, যেখানে ঐ কিংবদন্তী বিজ্ঞানীর ভাবনায় ভর করে আমাদের জানাশোনার জগৎকে আরো প্রসারিত করা যাবে। এর মধ্যে আছে কনস্টেলেশান এক্স এবং লেসার ইন্টারফেরোমিটার স্পেস অ্যান্টেনা (সংক্ষেপে লিসা), যা এক্স রে ডিটেকশানের মাধ্যমে প্রকল্পিত "গ্র্যাভিটি ওয়েভ" এর অস্তিত্ব অনুসন্ধান করবে এবং ব্ল্যাক হোল ফাইন্ডার প্রোব ( BHFP )। ... ...
আজকাল প্রায়ই সিরিয়াল কিলারেরা খবর হয়। ""মানুষ মারার ১০১ সহজ উপায়"" নামে বই লেখা না হলেও, সহস্র সহজ এবং কঠিন পদ্ধতি আজ আমাদের হাতের মুঠোয়। এইসব হত্যাকাহিনীতে শুধু যে পদ্ধতিগত নতুনত্ব থাকে তাই নয়, খুন করার নিত্যনতুন কারণও আমরা শুনে থাকি। জানতে পারি, কিভাবে সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের সাথে, মানসিক জটিলতা আর বিকৃতিও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এইরকমই আরো একটি তদন্তের কাজ শেষ হল সম্প্রতি। অকুস্থল রাশিয়ার মস্কো। সেখানে জনৈক আলেক্সান্দার পিশকিন মাত্র ৩৩ বছর বয়েসেই ৬২টি খুন করে ফেলেছেন। এবং এর প্রত্যেকটি হত্যাই ঘাতকের আজব ও অসুস্থ খেয়ালের ফসল। দাবা খেলতে খেলতে একদিন আলেক্সান্দারের খেয়াল হয়, কেমন হত যদি দাবার ছকের ৬৪টি ঘরের প্রত্যেকটি কোন না কোন ব্যক্তির নামে উৎসর্গ করে দেওয়া যেত? যেমন ভাবা তেমনি কাজ। ... ...
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলাতে চান, অথচ ভেবে পাচ্ছেন না যে এই হাজার হাজার রেকর্ডের মধ্যে কোন্টা আপনি ভাঙবেন? কোন্টাকে ভেঙে চুরে নতুন ইতিহাস গড়বেন আপনি? নিজের ক্ষমতার ওপর নিজেই সন্দিহান আপনি? আত্মবিশ্বাসের অভাব? ... ...
ছোটবেলায় কুইজের বইতে পড়া মানুষের তৈরী প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটির কথা মনে পড়ে? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। স্পুটনিকের কথা বলছি। গত চৌঠা অক্টোবর ছিলো সেই স্পুটনিকের জন্মদিন। আমরা জানি, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে, ১৯৫৭ সালের অক্টোবর মাসে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে উৎক্ষিপ্ত হয় এই কৃত্রিম উপগ্রহটি। ১৮৪ পাউন্ড ওজনের এই ধাতব গোলকটির সফল উৎক্ষেপণের সাথে সাথেই সূচনা হয়েছিলো এক নতুন যুগের। এর পরেই মহাকাশে একের পর এক নতুন কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হতে থাকে, এবং প্রতিটি সফল উৎক্ষেপণ খুলে দিতে থাকে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। সেই সাথে পাল্টাতে থাকে মানুষের জীবনযাত্রার ধরণ। ... ...
আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রার সব কিছুতে প্রশাসনের নাক গলানো নিয়ে আমরা যারপরনাই বিরক্ত। আপিসের চাকরি থেকে শুরু করে ছেলের বিয়ে, সবেতেই আজকাল নাক গলায় পুলিশ, প্রশাসন আর পি ডব্লু ডি। কিন্তু ভাবুন তো, এর পর আপনার প্রতি দিনকার কথাবার্তার ওপর ও যদি প্রশাসন লাইন টানা শুরু করে, তখন জিনিস টা কেমন হবে? প্রায় এমন টাই হয়েছে ব্রাজিলে। ব্রাজিলের ফেডারেল ডিসট্রিক্ট গভর্নর, হোসে রবার্তো আরুদা একটি নতুন নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন ভার্বের Present Participle এর ওপর। গভর্নরের নিজের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে যে, এখন থেকে কথাবার্তা, বিশেষত সরকারী লেখালেখির কাজে, present participle ব্যবহার করা যাবে না, কারণ সরকারী আমলারা নাকি ক্রিয়াপদের এই বিশেষ রূপ টা কে ব্যবহার করেন নিজেদের অকর্মন্যতা কে ঢেকে রাখার অজুহাত হিসেবে। ... ...
সেই কবে সুকুমার রায় বানিয়ে গেছিলেন বকচ্ছপ, হাসজারু থেকে হিজিবিজিবিজ এর মতন অদ্ভুত সব মিউট্যান্ট। তারপর সুদুর আমাজন থেকে ভলগা, গঙ্গা পেরিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে, বাঘ সিংহ থেকে শুরু করে ইঁদুর, বাঁদর সব কিছুর সংকর তৈরি হয়েছে, বিজ্ঞান থেকে কল্প বিজ্ঞান সব দিকে ছরিয়ে গেছে মিউট্যান্টরা। কিন্তু এতদিন আমরা শুধু দেখে এসেছি উদ্ভিদ বা প্রানীর জিনের মিউটেশান, কিন্তু উদ্ভিদ আর প্রানীর জিনের সংকরায়ণ কি সম্ভব? ... ...
মৃত্যুর পর যাতে খুব ভাল ভাবে নিজের দেহের সৎকার হয়, তার জন্য এক কালে মিশরের রাজা রা পিরামিড বানাতেন, আমাদের দেশের রাজারা তৈরি করে যেতেন বিশাল সব স্মৃতি স্তম্ভ। আজকাল সে রাজাও নেই, রাজত্ত্বও নেই। তা বলে কি লোকের ইচ্ছে গুলো নষ্ট হয়ে গেছে? নিজের দেহের সৎকার ঠিক কেমন ভাবে হবে সেই ব্যপারে আজকাল কি লোকজনের মনে আর কোনো আগ্রহ নেই? কেউ যদি তাই ভেবে থাকেন, তবে খুব ভুল ভাবছেন। ব্রিটেনের Age Concern Funeral সম্প্রতি ১০০,০০০ মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে বার করেছেন তাদের ডেথ উইশের একটা লিস্ট। ... ...
আজ থেকে প্রায় বছর ছয়েক আগে, ২০০১ এর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেরালার বেশ কিছু জায়গায় লাল বৃষ্টি হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছিলেন যে প্রচন্ড জোরে একটা আওয়াজ শোনা যেত আর তার পরেই শুরু হতো বৃষ্টি। সাদা জামায় পড়লে, লালচে দাগ হয়ে যেত জামায়। কিন্তু এই ধরনের লাল বৃষ্টি, হলুদ বৃষ্টির কথা তো আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা যাকে অতিরিক্ত দূষণের ফল বলে মনে করেন। তাহলে এই ছয় বছর পরে কেরালার লাল বৃষ্টি আবার কেন খবরের শুরুর দিকে? এর উত্তর দিতে পারেন ডক্টর গডফ্রে লুইস, যিনি সেই সময়ে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যা বিভাগে ছিলেন। কেরালার লাল বৃষ্টির কথা শুনে তিনি সেই সময়ে সংগ্রহ করেন বৃষ্টির জল। গত ছয় বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন উনি। ... ...
সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি যে আমাদের দেশে ভোট এলেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় ভোটারদের ঘুষ দিয়ে খুশী করার ব্যপারে। বাড়িতে পৌঁছে যায় চালের বস্তা, নতুন জামা,শাড়ি আরো কত কিছু। তবে শুধু ভারত নয়, এসব ব্যপারে পিছিয়ে নেই থাইল্যান্ডও। টাকা দিয়ে ভোট কেনা তো থাইল্যান্ডের রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছেই - তবে সেই সব ছাড়িয়ে যাচ্ছে এইবারের থাইল্যান্ডের নির্বাচন। টাকা নয়, এবারে ভোট কেনা শুরু হয়েছে ভায়াগ্রা দিয়ে। পাথুম থাই অঞ্চলের একটি রাজনৈতিক দল "পিপলস পাওয়ার পার্টি" এই গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছে তাদের বিরোধী পার্টিগুলোর বিরুদ্ধে। এই পার্টিরই এক প্রার্থীর ভাই, সায়ান নোপচা লিখিতভাবে এই অভিযোগটি তোলেন গত বৃহস্পতিবার। ... ...
অন্ধকার শীতের রাত্রি, একা একা রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, মনে মনে ভাবছেন এককাপ গরম চা পেলে হয়তো বেশ ভালো হতো। হঠাৎই সামনে দেখতে পেলেন একটা রেস্টুরেন্ট, একটু ইতস্তত: করে ঢুকেও পরলেন সেখানে। অল্প কিছু আলো, কিছু মোমবাতি জ্বলছে আশে পাশে, এদিক সেদিক ছড়িয়েছিটিয়ে কিছু ছায়া ছায়া মানুষ, আর মেঝের ওপর এদিকসেদিক, ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে কিছু কবর, মানুষের কবর ... ...
যে সমস্ত জিনিসের দেখা শুধুমাত্র রূপকথাতেই পাওয়া যেত সেসবই একে একে আমাদের হাতে তুলে দিচ্ছে বিজ্ঞান। সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস এর কয়েকজন বিজ্ঞানী হাতে কলমে দেখিয়ে দিয়েছেন আরব্য রজনী খ্যাত জাদু গালিচা বাস্তব জীবনে বানানো যেতেই পারে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে খুব হালকা পলিমারের চাদরকে শক্তিশালী ইঞ্জিনের সাথে জুড়ে এর মধ্যেই ভাসিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। অবিকল উড়ন্ত গালিচার মতই ঢেউ তুলে তুলে ভেসে থাকে এই বিশেষ পলিমারের চাদর, আর তরঙ্গের দিক অনুসারে এগিয়ে যায় ""চালকের"" ইচ্ছানুসারে কখনও জোরে, কখনও আস্তে। গতিবেগের সাথে সাথে বেড়ে যায় তরঙ্গের মাত্রা, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ঝাঁকুনি। ... ...
না, এটা কোনো কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়। বরং তিনমাস আগের একটা পুরোনো খবর। এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে টিটিকাকা হ্রদের কাছে এক বিশাল উল্কা আছড়ে পড়ে। তার কিছুদিনের মধ্যেই কাছাকাছি অঞ্চলের বাসিন্দারা, বিশেষত যাঁরা উল্কাপাতের জায়গাটা দেখতে গিয়েছিলেন, তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাথার অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে অনেকেই চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়ার পরে রোগের কারণ নির্ণয় করার চেষ্টা শুরু হয়। পেরুর একদল বিজ্ঞানী উল্কাপাতের এলাকা ও হ্রদের তীরবর্তী অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে অনুমান করেছিলেন ভূগর্ভস্থ কোনো জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত বিষাক্ত গ্যাস থেকেই এই বিপত্তি। পরে অবশ্য এই আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়। সম্প্রতি মাইনিং, মেটালার্জি অ্যান্ড জিওলজি ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বলছেন, আর্সেনিকের ধোঁয়া প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণ করেই এই অসুখ দেখা দিয়েছিলো। ... ...
ঝড়, বৃষ্টি বা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের হুঁশিয়ারী দেওয়াটা আবহাওয়া দপ্তরের একটা বড় কাজ। কিন্তু কতটা নিখুঁত ভাবে তাঁরা আগাম খবর দিতে পারেন এই ব্যপারে? পরিসংখ্যান বলছে যে, আবহাওয়া দপ্তরের ফোরকাস্ট মোটেই খুব একটা নির্ভরযোগ্য নয়। আমাদের কোলকাতার আবহাওয়া দপ্তরের কথা তো ছেড়েই দিলাম, অতি উন্নত দেশের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, ডপলার রাডার, সুপার কম্পিউটারেরও সাফল্যের হার শতকরা ৬০% এর বেশী নয়। সেখানে কোনো মানুষ যদি দাবী করেন যে এই সমস্ত অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই ওয়েদার ফোরকাস্ট করে দেবেন তিনি, এবং তার সাফল্যের হার ৮৫% এরও বেশী, তবে কেমন লাগবে শুনতে? ... ...
একে তো আমাদের বারো মাসের তেরো পাব্বন। তার মধ্যে আজ বন্ধুর বিয়ে, কাল পাড়ায় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, পরশু পিকনিক এসব তো লেগেই আছে। কিন্তু আজকালকার অফিসগুলো এই সব কথা শুনতেই চায় না। ছুটি চাইতে গেলেই বসের মুখ হাঁড়ি। অজুহাত খুঁজতে খুঁজতে মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলার জোগাড়, তবুও দারুণ ভাল কোনো অজুহাত আর মাথায় আসে না। এই অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় কি? এমন কিছু কি নেই জগতে যা এনে দিতে পারবে অনেক অনেক ছুটি, যখন দরকার তখনই? ... ...
যতই কালো রঙে বাঙালী পাত্রদের আপত্তি থাক, জগৎ জুড়ে কিন্তু কালো রঙ নিয়ে চিন্তা ভাবনার শেষ নেই। কবিরা কালো রঙে হরিণের চোখ দেখেন, আবার বিজ্ঞানীরা কালো রঙে ব্ল্যাক হোল খোঁজেন। তো সেই কৃষ্ণ জগতে, কিছুদিন আগেই ঘটে গেছে এক নতুন ঘটনা। নিউ ইয়র্কের Rensselaer Polytechnic Institute এর দুজন গবেষক বানিয়ে ফেলেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে কালো বস্তু। গবেষকদের দাবী তাঁদের বানানো এই বস্তুটি ৯৯.৯% আলো শোষণ করে নেয়। বহুদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন সম্পুর্ণ কালো কোনো বস্তু তৈরি করতে। সম্পুর্ণ কালো বলতে বোঝায় এমন এক বস্তু যা ১০০% আলোই শোষণ করে নেবে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী অজয়ন এবং শন-ইউ লিনের তৈরী কালো বস্তুটি কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। ... ...
কাদাখোঁচা পাখী দেখেছেন তো সকলেই। ছোট্টবেলায় ভাবতাম সত্যি হয়তো এরা কাদামাটি খায় ক্ষিদে পেলে। পরে জেনেছিলাম যে এরা নরম কাদামাটি খুঁড়ে পোকামাকড় বার করে খায়। আচ্ছা সত্যি কি এমন কোনো প্রাণী জীবজগতে আছে যারা কাদামাটি খেয়ে জীবন কাটায়? নাহ, এর উত্তর খোঁজার জন্য গুগল খুলে বসতে হবে না, এমনকি আফ্রিকার কোনো এক গভীর জঙ্গলের কোনো এক নাম না জানা প্রাণীর কথাও ভাবতে হবে না। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দিকে এক ছোট্ট দেশ আছে হাইতি নামে। সেই দেশের অজস্র মানুষ আপাতত মাটি আর কাদা খেয়েই দু' বেলা নিজেদের পেট ভরাচ্ছেন। ... ...
কিছুদিন আগে মঙ্গল গ্রহের ধূসর প্রান্তরে একলা এক নারীকে দেখে যারা উৎফুল্ল হয়েছিলেন, তাদের জন্য একটা সুখবর আছে। কিছুদিন অপেক্ষা করলেই তাঁরা হয়তো দেখতে পাবেন কোনো এক বিশাল UFO বা স্পেসশিপ এসে থামলো তাঁদের বাড়ির সামনে, আর তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো ভিনগ্রহবাসী নারীরা, গান গাইতে গাইতে। হয়তো তখন ভিনগ্রহবাসীদের কন্ঠে থাকবে Now let me hold your hand, I want to hold your hand । খুব অদ্ভুত লাগছে তো শুনতে? যদিও আজ শুক্রবারের রাত্রি, তবুও এই খবরটা আমি এখন লিখছি খুব ঠান্ডা মাথায়। আসলে সদ্য পাওয়া খবরে জানা গেছে যে NASA এইবারে মহাকাশে বীটল্সদের দের গান বাজাবে। ... ...
সেই যে রাজা মন্ত্রীর জামায় গন্ধ পেয়েছিলেন, সেই গন্ধ বিচার করতে সাহস করে কেউ এগিয়ে আসে নি, শের পালোয়ান ভীমসিং থেকে রাজার শালা চন্দ্রকেতু, সকলেই নিজ নিজ নাক এই বিচারে গলাতে অস্বীকার করেছিলেন। শেষমেশ ভাগ্যিস নবতিপর বৃদ্ধ নাজির হাজির ছিলেন, তাই সে যাত্রা শেষরক্ষা হয়েছিল। কিন্তু মজার কবিতাতেই শুধু নয়, গন্ধের ক্ষমতা আসলে মোটেই হেলাফেলা করার মত নয়। জীবনসঙ্গী / সঙ্গিনী বাছার ক্ষেত্রেও গন্ধবিচার যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। ক্লেইম করছে একটি ডেটিং ওয়েবসাইট, সঙ্গী নির্বাচনের চাবিকাঠি নাকি আসলে লুকিয়ে আছে গায়ের গন্ধে। মেয়েরা পছন্দ করে সেই ছেলেদের, যাদের গায়ের গন্ধ তাদের নিজেদের গায়ের গন্ধের থেকে সবচেয়ে বেশি আলাদা। অ্যান্ড ভাইসি ভার্সা। ... ...
শ্রী মহেশ প্রসাদ ভার্মাকে চেনেন? ... এই নামে না-ও চিনতে পারেন, কিন্তু মহাঋষি মহেশ যোগী বললে এক্ষুনি চিনতে পারবেন। জীবদ্দশায় তাঁর বিপুল ভ্রমণ, জীবনদর্শন ও কীর্তিকলাপের ডিটেইল খবরাখবর হয় তো আমরা উন্নাসিক তর্কপ্রিয় বাঙালিরা রাখি না, মোটামুটি তাঁকে এই জন্যেই চিনি যে, তিনি পপ গ্রুপ বীট্লসদের ধর্মগুরু ছিলেন, মানে বীটল্সদের শিষ্যত্বই তাঁকে বেশি খ্যাতি এনে দিয়েছিল, আর এ মাসের পাঁচ তারিখে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেছেন। ... ...
ভারতে কিছু কিছু কমিউনিটির বিয়েতে অত্যধিক খরচাপাতি করার ট্র্যাডিশন আছে আমরা জানি। লাখ লাখ রুপিয়া উড়ে যায় এক রাতের বিয়েতে, তবে এ সব ঘোড়ারোগ কেবল ভারতীয়দেরই নয়। তৃতীয় ও অনুন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এমন বিয়েতে খরচা করার রীতি আছে। যেমন মেক্সিকো। ওয়েডিং গাউন থেকে শুরু করে, খবরের কাগজের পাতায় প্রত্যেক অতিথি অভ্যাগতদের দ্বারা প্রকাশিত উইশের বন্যা, নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়ন, চার্চের খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে একটা বিশাল অঙ্কের টাকা সাধারণত কনের বাড়িকেই খরচ করতে হয়। এর পরেও, বর্তমানে প্রতি দশজোড়া বিবাহিত দম্পতির মধ্যে তিনজোড়া দম্পতির মধ্যে ঘটে যাচ্ছে বিবাহবিচ্ছেদ, ১৯৭০ সালেও যেখানে অনুপাতটা ছিল দশজোড়ায় একজোড়া। যেহেতু জীবন থেমে থাকে না, তাই বিচ্ছিন্ন দম্পতিরা আবার প্রত্যেকেই নিজেদের নিজেদের পছন্দসই সঙ্গী / সঙ্গিনী বেছে নেন, এবং চক্রবৎ এই চক্করে আর্থিকভাবে বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন মেয়েদের বাড়ির লোকই, কারণ বিয়ের সিংহভাগ খরচই তাঁদের পকেট থেকে মেটাতে হয়। ... ...