মাইকেল গেটস গিল ছিলেন বিজ্ঞাপণ জগতের একসময়ের ডাকসাইটে কর্তা। স্বভাবতই তাঁর আয় ছিল গড়পড়তা আর চার পাঁচজনের থেকেও বেশ বেশি। দামী স্যুট, দামী বাড়ি, দামী গাড়ি ইত্যাদিতে বিলাস বহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন গিল। হঠাৎই একদিন কর্পোরেট জগতের নিয়ম মেনে গিলের চাকরী গেল, বেশ বেশী বয়সে। আর কোনো চাকরীও তিনি খুঁজে নিতে পারলেন না। একে একে দামী গাড়ি, দামী স্যুট সব গেল। এমনকি ডিভোর্স অবধি হল, ধরা পড়ল ব্রেণ টিউমার। ... ...
NRGEA , মানে সহজ বাংলায় যাকে একশো দিনের কাজের প্রকল্প বলে, তা নিয়ে টাকা নয়ছয়, দুর্নীতির অভিযোগ আছে সব জায়গাতেই। গ্রামে গ্রামে এই নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছেন বহু কর্মী, তাই স্থানীয় প্রশাসনের রোষেও পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এরই সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ভুখন সিং আর নিয়ামত আনসারি। ঝাড়খন্ডের লাটেহার জেলার কোপে আর জেরুয়া গ্রাম প্ঞ্চায়েতে তাঁরা গ্রামবাসীদের লড়াইয়ের পাশে থেকেছেন, লোক আদালতের রায়ে ঐ জেলার বিডিওকে জরিমানা দিতে হয়েছে, গ্রামবাসীরা পেয়েছেন বেকারভাতা। তারই বদলা নিতে ভুখনদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৫ই ফেব্রুয়ারী, পরেরদিন জেলেও পাঠানো হয়েছে তাঁদের। ... ...
আজকের খবরগুলি ৮ই মার্চ উপলক্ষে। সেই ১৯১১ তে ক্লারা জেটকিন, আলেকসান্দ্রা কোলনতাই দের হাত ধরে সমান অধিকার অর্জনের, মানুষের মতন বাঁচার অধিকার অর্জনের লড়াই শুরু যে দিনটাতে। আজ ও চলছে সমানে। আরো কতদিন চালাতে হবে কে জানে। সেই লড়াইয়ের ই কিছু সেভাবে খবর না হয়ে ওঠা খবরের খন্ডচিত্র রইলো আজকের খবর্নয়(?) তে । ... ...
প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে চেঙ্গারার দলিতদের অসামান্য লড়াই। ২০০৭ সালের ৫ই অগাস্ট সাধু জনবিমোচনা সংযুক্ত বেদীর ( SJVSV ) নেতৃত্বে প্রায় ২০০০ ভূমিহীন আদিবাসী দখল করে হ্যারিসন মালায়ালম রাবার প্ল্যান্টেশন এর ২৫০০ হেক্টার জমি। প্রসংগত, আর পি গোয়েঙ্কা গ্রুপ এর এই কোম্পানির লিজ শেষ হয়ে গিয়েছিলো ২০০৬ সালে। তার পর থেকে বেআইনি ভাবে জমিটি দখল করে রয়েছে রাবার এস্টেটটি। ... ...
না, কৃষকদের মতন এনাদের আত্ম্যহত্যার কোন সরকারী পরিসংখ্যান পাওয়া মুশকিল। এনাদের কেউ কেউ ঐ সুখচর মোড়ের "সরকার-দ"'র মতন খেতে না পেয়ে বিনা চিকিৎসায়ো মারা যান। কেউ আত্মহত্যা করেন। সেইসব টুপটাপ খুচরো ঝরে যাওয়ার ঘটনা কি কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যুর তালিকাভুক্ত হয়? মনে হয় না। এনারা বলতে যাঁরা কারখানার শ্রমিক, ছিলেন। সেইসব লক আউট কারখানা, যারা কাগজে হেডিং হয়, কিছুদিন। তারপর দিন-মাস-বছর চলে যায়, খবরের কাগজে নতুন হেডলাইন ঝলমল করে। আর সেই কারখানার শ্রমিকরা বাঁচলেন না মরলেন সেসব খবর আর আমাদের জানা হয়না। ওসব আমাদের জন্য নয়। ... ...
২০০৫-০৬ সালে ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৯.৪% এব ২০০৬-০৭ সালে ৯.৬ %। দেশের বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছিলো এই সময়ে। সেন্সেক্স প্রথমবার ছুঁয়েছিলো ১০০০০ এর ম্যাজিক সংখ্যা। তবে শাইনিং ইন্ডিয়ার এহেন আকাশছোঁয়া সাফল্য এই বাজারে মন্দার বুরা নজর এড়াতে পারেনি। কদিন আগে ফোর্বস ম্যাগাজিনে বেরোনো লিস্টিতে সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ারের তালিকায় গত বছরের 'এশিয়ার ধনীতম' দেশের স্থান নেমে গেল চার থেকে ছয়ে। ... ...
ভোট বাজার - বিশ্বের সর্ব বৃহৎ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব এখন প্রায় দোর গোড়ায়। চারদিকে তাই রীতিমতন সাজ সাজ রব। একশো কোটি মানুষের দেশ যখন, তার জাতীয় উৎসবটাতো তো একটু জাঁক-জমকপূর্ণ হবেই। তো একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক, এই ২০০৯ এর লোক সভা নির্বাচনের খরচা পাতির দিকে। দুই প্রধান যুযুধান দল, অর্থাৎ কংগ্রেস এবং বিজেপির মোট নির্বাচনী খরচ প্রায় ৮০০ মিলিয়ান ডলার ছুঁতে চলেছে। এছাড়াও অন্যান্য যে সব দল বা উপদল আছে, তাদের ও আনুমানিক খরচ প্রায় ২০০ মিলিয়ান (ডলার)। এরপরেও আছে সরকারী খরচ যা প্রায় ৯০০০ কোটির মতন। এই বিপুল পরিমান টাকা খরচ হচ্ছে কিসের জন্য? ... ...
যাঁরা ভোট দিলেন না - স্বত:স্ফূর্ত ভোট বয়কট এবার কর্ণাটকের বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্রে। বারোটির বেশী বুথে টিকি মেলেনি একটি লোকের । গত বৃহষ্পতিবারের খাঁ খাঁ পোলিং বুথ, জনতার তরফ থেকে উন্নয়নের দাবীতে অনুপস্থিতিকে এক মৌন চ্যালেঞ্জ রূপেই দেখছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার। বেশ অনেক অঞ্চলেই এরা পানীয় জল, রাস্তা, সেতুর মত মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ব্যাঙ্গালোর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদেও ভোট পড়েনি বেশ কিছু বুথে। ... ...
লঙ্কা কান্ড - বেশ কিছুদিন ধরেই খবরের শিরোনামে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের যুদ্ধ ঘোষণা এবং যুদ্ধের ফলে ক্রমশ: কোণঠাসা হয়ে যাওয়া LTTE রা, সব মিলিয়ে রাজাপক্ষের মুখে এখন সাফল্যের চওড়া হাসি। আর সেই হাসির ফাঁকেই চাপা পড়ে যাচ্ছে শ্রীলংকার বর্তমান রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি, যা এই যুদ্ধের থেকে কম ভয়ানক নয়। প্রেসিডেন্ট তার যুদ্ধটা শুধু মাত্র তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধেই শুরু করেননি, সেই একই যুদ্ধ তিনি অনেকদিন থেকেই শুরু করে দিয়েছেন দেশের মধ্যে। ... ...
মালদহের গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে কর্তৃপক্ষের অপরিসীম উদাসীনতা তাদের ঠেলে দিয়েছে দীর্ঘ আন্দোলনের পথে। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ এবং মূল স্রোতের সংবাদমাধ্যমের বিস্ময়কর নীরবতার কারনে সাধারন মানুষের কাছে তাদের সমস্যা এবং এবং কার্যকলাপ অনেকটাই অজ্ঞাত। ক্যাম্পাসের সাম্প্রতিক খবর জানিয়েছেন সুজন ভট্টাচার্য। ... ...
৭ই ফেব্রুয়ারী আন্দোলনরত ছাত্ররা এসে পৌঁছয় দুর্গাপুরে। এনাইটির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে ৪০ জন ছাত্র। এরপর ৯ তারিখ এনআইটি-র ডিরেক্টর মৌখিকভাবে একটি আলোচনাসভার প্রস্তাব রেখেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। দুর্গাপুরে অবস্থানরত ছাত্ররা সেই মর্মে তাদের সহপাঠী এবং অভিভাবকদের ওইদিন দুর্গাপুরে আসার অনুরোধ জানায়। কিন্তু এই আলোচনাসভা শেষ অবধি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কিনা বা হয়ে থাকলেও সেখানে কি আলোচনা হয়েছিল, কোনো সিদ্ধান্তে আসা গিয়েছিলো কিনা সেসব জানা যাচ্ছে না। তবে জানা যাচ্ছে যে দুর্গাপুরের আন্দোলন নিয়ে ৩টি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিলো ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে। তার মধ্যে একটি 'এই সময়' এবং একটি 'আনন্দবাজার পত্রিকা'-য়। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনটিতে একটি আলোচনাসভার উল্লেখ রয়েছে, এবং বলা হয়েছে যে ওই আলোচনাসভায় সমাধানসূত্র মেলেনি। ... ...
৮ই জানুয়ারি ২০১০ থেকে ১২ ই জানুয়ারি ২০১০, নন্দন চত্বরে চলছে লিট্ল ম্যাগাজিন মেলা। মেলার সময় প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে রাত আটটা। প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মেলার মতই, এখানেও উপস্থিত আছে কাগুজে গুরুচণ্ডালি। মুক্তমঞ্চ যেখানে বাঁধা হয়, তার কাছেই ৯৯ ও ১০০ নং স্টল আমাদের। ... ...
৮ই জানুয়ারি ২০১০ থেকে ১২ ই জানুয়ারি ২০১০, নন্দন চত্বরে চলছে লিট্ল ম্যাগাজিন মেলা। মেলার সময় প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে রাত আটটা। প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মেলার মতই, এখানেও উপস্থিত আছে কাগুজে গুরুচণ্ডালি। মুক্তমঞ্চ যেখানে বাঁধা হয়, তার কাছেই ৯৯ ও ১০০ নং স্টল আমাদের। ... ...
৩০ জুন, ভোর ৫টা। গ্রামটি ঘিরে ছিলো যৌথ বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশের ৩০০ জনের একটি দল। জঙ্গলে ঝোপে লুকিয়ে ছিলো লাঠি আর বন্দুক। শেষ পর্যন্ত ওরা এলো। মাথায় কলো কাপড়, জংলা ঊর্দি গায়ে ওরা এলো অসংখ্য জিপ আর কালো ভ্যান নিয়ে। সাথে এলো ওখানকারই বীরচন্দ্রী গ্রামের বীর চাঁদেরা, সিপিএম কর্মীরা। প্রশান্ত দাস আর জিতু সাউ, স্থানীয় সিপিএম নেতা। এরা অবশ্য এর কিছুদিন আগে থাকতেই সোনামুখীতে আসছে আর শাসিয়ে যাচ্ছে মহিলাদের - ইজ্জত থাকবে না। ৩০ জুন, যখন যৌথ বাহিনী এলো তখন গ্রামের পুরুষরা সবাই গ্রাম ছেড়ে গেছে। সেটা বড়ো কিছু নয়। এ তো নিত্যনৈমিত্যিক। পুলিশ বা যৌথ বাহিনী আসছে খবর পেলেই পুরুষদের গ্রাম ছেড়ে যেতে হয়। এটাই নিয়ম। অন্যথায় মার-ধোর, জেল-হাজত, মিথ্যা মামলা-হয়রানি। সোনামুখী ও তার আশেপাশের গ্রাম বীরহান্ডি, শিমলি, বাঁকশোল, ঘৃতখাম, দিদিধা, জারুদিয়ায়ও এসব নিত্যিকার ব্যাপার স্যাপার। সরকারী খবর, সোনামুখীতে মাওবাদীরা ছিলো। অথচ সেদিন যারা আহত, লঞ্ছিত হয়েছেন দুজন বয়স্ক মানুষ বদে সকলেই মহিলা । ... ...
আপনার, আমার - আমাদের সক্কলের জীবনে যা একক ও স্বতন্ত্র - আমাদের সেই ডি এন এ সিকোয়েন্সকে সুরে বাঁধার এক আশ্চর্য প্রয়াস নিয়েছেন অ্যান্ড্রু মর্লে নামে এক গান পাগল মানুষ। ... ...
গত বিশে ডিসেম্বর ইরানের সরকার জাফর পনাহীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ছ-বছর কারাদণ্ড দেয়। তার সাথে এই ফর্মান জারী করে যে পনাহী কুড়ি বছর কোনো চলচ্চিত্র মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন না, মিডিয়ায় কোনো প্রকার কোনো সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না আর দেশের বাইরেও যেতে পারবেন না। এমন ঘৃণ্য অবিচারের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমী এককাট্টা হয়ে লড়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। পনাহীর প্রতি এই ধরনের বিদ্বেষ নতুন নয়। ২০০৯-তে ওনাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়, পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০১০-এর শুরুতে ওনাকে আবার ধরা হয়, কাঠ-খড পুড়িয়ে শিল্প-প্রেমীরা দু-লাখ মার্কিন ডলার যোগাড করে তাঁকে জামিনে ছাড়ান। ... ...
অভিযোগ ও বিচার: ১) ২০০৭-এর মে মাসে বিলাসপুর থেকে গ্রেফতার হন সমাজসেবী চিকিৎসক বিনায়ক সেন,নক্সাল নেতা নারায়ণ সান্যালের চিঠি মাওবাদীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে। ২) বিনায়ক সেন, নক্সাল আইডিওলজিস্ট নারায়ণ সান্যাল ও কোলকাতার ব্যবসায়ী পীযূষ গুহ মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাষ্ট্রবিরোধী নেটওয়ার্ক চালান। ৩) আদালত প্রমাণ পেয়েছে যে ড: বিনায়ক সেন নারায়ণ সান্যালের চিঠি আন্ডারগ্রাউন্ড নক্সাল সংগঠনের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। ৪) ছত্তিসগড় পুলিস যে জনসুরক্ষা অধিনিয়মের ভিত্তিতে বিনায়ক সেনকে গ্রেফতার করেছে উনি শুরু থেকেই সেই অধিনিয়মের বিরোধিতা করছিলেন এবং এটি অসংবিধানিক বলে প্রচার করেছেন। ... ...
ধ্যাৎ, আমরা জানি যে ওসব কূটকচালিতে আমাদের মত ছাপোষা মানুষদের পড়তে নেই। তাই শহরের কোন মানবাধিকার কর্মী, কোন সংগ্ঠন এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইছে না। ঘরে জব্দ দাস ক্যাপিটাল, দুটো চিঠি আর একটি লোকের কথায় যদি বিনায়ক সেনের মত হাই প্রোফইল লোক, যাঁর বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল কেস নেই, যিনি বহুবছর ধরে গরীবদের জন্যে স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁকে জেলে পোরা যায় তবে আমরা তো শাকভাত খাওয়া ভেতো বাঙালী। দাস ক্যাপিটাল যে আমার ঘরেও আছে, স্যার। আর ওই হাই প্রোফাইল কেসের পাশাপাশি আরেক কোর্টে এক লো-প্রোফাইল মামলায় এক সত্তর পার বুড়ো বাঙালী অসিত সেনগুপ্ত ঘরে মাওবাদী সাহিত্য রাখার ও এক ছাত্রকে সরকার বদলে মাওবাদী সরকার বানাতে হবে বলার অপরাধে ঐ দেশ্দ্রোহের ধারায় আটবছর জেলে থাকার সাজা পেয়েছেন। বেশ হয়েছে। এবার পি ইউ সি এল এর ছত্তিশগড় ইউনিট বাঙালীমুক্ত হবে। বিনায়ক সেনেরা রায়পুরে মানবাধিকার আন্দোলনকে স্বাস্থ্য ও শিশুদের পরিপ্রেক্ষিতে জুড়ে দিয়ে যে সম্মানজনক ও ঈর্ষণীয় স্তরে নিয়ে গেছিলেন তাতে প্রাক্তন সচিব রাজেন্দ্র সায়েলকে বাঙ্গালোরের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন বিনায়ক জেলে যাওয়ায় সায়েল (যাঁর পেশা বলতে আমেরিকান ক্রিশ্চিয়ান সংস্থার গ্র্যান্ট পাওয়া) আবার রায়পুরে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কাজের স্তর কি হবে কে জানে? ... ...
খুবই অদ্ভূত সেই যন্ত্র। তিনটে আলাদা অংশ। আলাদা তাদের কাজ। আলাদা তাদের নাম। কিন্তু উদ্দেশ্য একই। "জাজমেন্ট' কার্যকর করে এই যন্ত্র। 'জাজমেন্ট' জানান হয় না দন্ডিতকে। ছ'ঘন্টা ধ'রে একটা অংশ অসংখ্য ছুঁচ দিয়ে অনেকটা উল্কির মত 'জাজমেন্ট' খোদাই করে দেয় দণ্ডিতের চামড়ায়। ততক্ষণে দন্ডিত তার শরীর জোড়া রক্তাক্ত ক্ষত থেকে জেনে যায় কী সেই 'জাজমেন্ট'। ... ...