অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যাণ্ডের দেশের মানুষের মধ্যে যেমন বন্ধুত্ব তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা | এই যেমন ধরুণ কথাবার্তায়, উচ্চারণে | আপনি জানেন অজি (অস্ট্রেলিয়ান) আর কিউইদের (নিউজিল্যাণ্ডের মানুষ) ইংরিজি কমনওয়েলথ দেশেরই মতন, বানানবিধি প্রভৃতি সব এক রকমের, কিন্তু উচ্চারণের বেলা কিউই ইংরেজী স্বরবর্ণ এক সিলেবল এগিয়ে আর অস্ট্রেলিয়ান (“অজি”) এক সিলেবল পিছিয়ে। ব্যাপারটা কেমন জানেন? মনে করুন আপনি ফিশ আর চিপস (মাছভাজা আর আলুভাজা) কিনতে অস্ট্রেলিয়ায় গেলেন, সে খাবারের উচ্চারণ সেখানে “ফিঈঈশ” আর “চিঈঈঈপস”, আর ওই একই খাবার, টাসমান সাগর পেরিয়ে কিউইর দেশে তার উচ্চারণ হয়েছে “ফশ” (“ফুশ” ও চলতে পারে) আর “চপস” (“চুপস”) ও দিব্যি চলতে পারে। তারপর ধরুন পাভলোভা নামের মেরাং | ... ...
মহামারীর প্রাদুর্ভাব নতুন কিছু নয়। বেদ-বাইবেল-পুরাণের যুগ থেকে শুরু করে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে নানান কালান্তক রোগের সংক্রমণ পীড়িত করেছে মানব সভ্যতাকে। দেশ-বিদেশের সমাজ রোগের অভিঘাত মোকাবিলা করেছে বিচিত্র ভঙ্গিতে। চিকিৎসা শাস্ত্রের উন্নতি ঘটেছে, তবে তারই পাশাপাশি এলিজাবেথান ইংল্যান্ড বা ঔপনিবেশিক বঙ্গে রোগকে ঘিরে উৎপত্তি হয়েছে কৌতুককর ঘটনার, পাখা মেলেছে মানুষের অন্ধবিশ্বাস, আধিপত্য বিস্তার করতে, চলেছে কৌশলী রাজনীতির খেলা। আর নিরুপায় সাধারণ মানুষ আশ্রয় খুঁজেছে দৈব নির্ভরতায়। পাঁচ পর্বের এই লেখাটিতে মহামারীকে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে পাঁচটি স্বতন্ত্র দৃষ্টিকোণ থেকে। কোথাও যেমন সমকালীন সাহিত্যে তার প্রতিফলন খোঁজা হয়েছে, তেমনি কোথাও আবার উঠে এসেছে রোগের বিচিত্র চিকিৎসা-পদ্ধতি এবং মারী -কেন্দ্রিক রঙ্গ-রসিকতা। ঔপনিবেশিক বঙ্গে জাতীয়তাবোধের উন্মেষের সন্ধান করতে গেলে তারও একটি সূত্র মিলবে দেশজ চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যার আগ্রাসী ছায়া বিস্তারে। আবার কলেরার হানায় ব্রিটিশদের আতঙ্ক প্রকাশ পেয়েছে তিনশ বছর আগে হাওড়া ও কলকাতায় খোদ ব্রিটিশ সওদাগরের অর্থে ওলাবিবির মন্দির গড়ে ওঠার ঘটনায়। আর করোনা আতঙ্ক থেকে বাঁচতে এই একুশ শতকে লৌকিক দেবদেবীর তালিকায় নবতম সংযোজন করোনা মাতা। ... ...
প্রান্তিক কৃষকেরা মোটেই এই লড়াইয়ের মুখ্য অংশ নন। এই যুদ্ধ একচেটিয়া পুঁজির বিরুদ্ধে সম্পন্ন কৃষক এবং মধ্যস্বত্বভোগী মাঝারি পুঁজির। অর্থাৎ সরকারের কাছে ঋণ নেওয়া দু-একজন লক্ষ কোটি টাকার মালিক এক দিকে, আর সরকারি সহায়তা পাওয়া কয়েক লক্ষ জন লক্ষ বা কোটি টাকার মালিক অন্যদিকে। সুতরাং সারা দেশের কৃষক আন্দোলন হিসেবে এই লড়াইকে অভিহিত করা শক্ত। ... ...
ফাইজারের বায়োটেকনোলজি-জাত ভ্যাক্সিন এদেশে এখনও আসেনি। সে ভ্যাক্সিনে নরওয়েতে তেইশ জন মারা গিয়েছেন। সকলেই ভ্যাক্সিনের কারণেই মারা গিয়েছেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয় - তবু, ধরেই নেওয়া যাক, এঁদের মৃত্যুর কারণ ওই টিকা। এই ভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতির এম-আরএনএ ভ্যাক্সিন - পৃথিবীতে প্রথম। আগামী দিনে এই পথেই হয়ত আসবে অজস্র সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধী টিকা। ... ...
সময়সারণী বেয়ে আরেকটু পিছিয়ে যাওয়া যাক। সাল ১৮১০, কলকাতা থেকে সিটি অব এডিনবরা নামে একটি জাহাজ পাড়ি দিল নিউজিল্যাণ্ডের উদ্দেশ্যে এবং বে অফ আইল্যাণ্ডে নোঙর ফেলল। যাত্রী তালিকায় নাম পাবেন না, এমনকি জাহাজের ইংরেজ আর অন্যান্য ইউরোপীয় নাবিকদের তালিকাতেও তাকে খুঁজে পাবেন না, সে এক লশকর। উনবিংশ শতকের সে কালে লশকরদের জাহাজে, বিশেষ করে দক্ষিণ গোলার্ধের মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার জাহাজে বিশেষ খাতির। তাদের নাম-ধাম জানা নেই, শুধু জানা আছে তার সাকিন খুব সম্ভবত বাংলার কোথাও। সে জাহাজ নোঙর করা মাত্র উধাও হয়ে গেল। সেই অঞ্চলে তখন কোরোকোরো নামে মাওরীদের দলের নেতার (রাঙাটিরা) মস্ত প্রভাব, তিনি সেই যুবককে তাঁদের কাছে (নঙাপুহি) আশ্রয় দিলেন। ... ...
যদি কৃষকরা লাল কেল্লার ঐতিহাসিক কাঠামোর কোনও অংশ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করতেন, যদি লাল কেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলার চেষ্টা করতেন, যদি লাল কেল্লাতে ঢুকে জাতীয় পতাকার উপরে অন্য কোনও পতাকা ওড়ানোর চেষ্টা করতেন, তাহলে অবশ্যই কৃষকরা ভারতের সংবিধানের উপরে আঘাত করেছেন বলা যেত, এবং কৃষক আন্দোলন যাঁরা করছেন তাঁদের এই ব্যাপারে দায়িত্ব নেওয়ার প্রশ্ন আসত। ... ...
খিল্লি। প্রচণ্ড খিল্লি। উতপটাং, চিতপটাং, মিশনারি-কুত্তাপটাং-সিক্সটিনাইন-আইন-বেয়া-ডোপ বেআইন বিল্লির ল্যাজে দিনরাত দাঁত-অঙ্গ খিঁচিয়ে-খেঁচিয়ে ইয়ে উত্তোলনে স্বাধীনতা-ভ্যালেন্টাইন-বসন্ত-বাতাসে হতাশ দশায় জীবন উদযাপনে গুপ্তধনে দোল দিয়ে যায় যাবার বেলায় আত্মনির্ভর করে তোলে নালে-ঝোলে রাম-হরিবলের মায়া জাদুবলে এই খিল্লি। ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে শুনি অতল খিল্লির উদগ্র আহবান। ... ...
সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওয়ার পত্রিকায় ২৬ জানুয়ারি আইটিও-র কাছে কৃষকমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে সরকারি বয়ানের বিপ্রতীপ এক বয়ান প্রকাশিত হয়। সে প্রতিবেদনে, মৃত কৃষকের পরিবারের লোকজনের বয়ান উদ্ধৃত করা হয়, যাঁদের অভিযোগ, মৃতদেহের শরীরে বুলেটের চিহ্ন রয়েছে। ... ...
টাসমানরা দুটো জাহাজ নিয়ে এসেছিলেন, একটার নাম জিহান আর অন্যটার নাম হিমসকার্ক যেখানে টাসমান স্বয়ং ছিলেন। এর মধ্যে জিহান নামে জাহাজটি থেকে একটি ছোট নৌকো ডাচরা সমুদ্রে নামিয়ে হিমসকারক জাহাজে নিয়ে এসেছিল, এবার সেটি জিহানের দিকে ফেরত যাবে, এমন সময় আরো তেরো জন মাওরি সম্বলিত আরেকটি নৌকো করে এগিয়ে এসে সজোরে ডাচ নৌকোটিকে ধাক্কা মারে | এর ফলে তিন-চারজন ডাচ নাবিকের মৃত্যু হয়। ডাচরা অবশ্য তৎক্ষণাৎ গুলি গোলা ছোঁড়ে, তবে তাতে বিশেষ সুবিধে হয়নি। মাওরিরা একটি মৃতদেহ নৌকোয় তুলে ফেরৎ যায়। মাইকেল কিং পেঙ্গুইন হিস্ট্রি অফ নিউজিল্যাণ্ডে লিখেছেন মাওরিরা তাদের মানা অনুযায়ী, যেকালে পরাজিত সৈনিকদের মেরে ফেলে খেয়ে নেওয়াই তাদের রীতি রেওয়াজ, খুব সম্ভবত এই মৃত ডাচটিকে রান্না করে তাই খেয়ে ফেলে থাকবে। ... ...
সিংঘু সীমান্তে কী চলছে আজ, এখন? অকুস্থল থেকে জানাচ্ছেন ছন্দক চ্যাটার্জি। ... ...
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বের ভুল হল, যখন পরিকল্পনা বহির্ভূত কিছু ঘটনা ঘটেই গেছে তখন জোরেসোরে তার সমর্থনে দাঁড়ানো উচিত ছিল। এভাবে তাঁরা অন্তর্ঘাতকে গিলে হজম করে নিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে সহসা তাঁরা কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলেন। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস সহসা অতিরিক্ত শঙ্কায় বদলে গেল। ... ...
“সমস্ত মৃত নক্ষত্রেরা কাল জেগে উঠেছিল—আকাশে এক তিল ফাঁক ছিল না”—কবির এ উচ্চারণেও আছে বিজ্ঞানের অনেক লুকোনো কথা। কিংবা ভিন্দেশের নানা ডাকটিকিটের ছবিতে। সেইসব ক্লু ধরে ধরেই সরল ভাষায় অনেক জটিল বিষয়ে আলোচনা। বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করতে এমন কেতাব বাংলায় বিরল। পড়লেন বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের কর্মসচিব, পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় ... ...
২০১৬ সালে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হঠাৎ এই সমিতিকে মাওবাদী প্রভাবিত আখ্যা দেয়। তার উদ্দেশ্য কী সে তো দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। জমির ওপর অধিকার কায়েম রাখবার দুই হাতিয়ার হল ল্যান্ড একুইজিশন অ্যাক্ট, ২০১৩ এবং ফরেস্ট রাইট অ্যাক্ট, ২০০৬। এইসব মানবিক আইনি অধিকার ক্রমাগত সংশোধনের চেষ্টা চলছে সরকারি তরফে। বলা বাহুল্য সে সংশোধন কর্পোরেটের কোলেই ঝোল টেনে দিচ্ছে। ... ...
আইন তিনটি আপাতদৃষ্টিতে কৃষি বিপণনে কর্পোরেটদের আরো বেশি সুবিধা করে দেবার বন্দোবস্ত। কৃষি বিপণনে কর্পোরেটরা আছে অনেকদিন ধরেই। পেপসি আলুর চুক্তি চাষ আজ এক দশক কি তারও বেশি দিন ধরে চলছে। কিন্তু জমছে না। মেট্রো ক্যাশ এন্ড ক্যারিও প্রায় আট বছর হতে চলল, মান্ডি বা এপিএমসি লাইসেন্স নিয়ে কিছু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে পাইকারি ব্যবসা করছে। খুচরো ব্যবসায় টাটা বিগ বাস্কেট, রিলায়েন্স ফ্রেশ, আদানি বিগ বাজার চলছে কিছুদিন হল। আগরওয়াল এঞ্জিন তেল, আদানি ফরচুন তেল, টোডি ইমামি তেল -- এসব তো আরো বহুদিনের ব্যাপার। কিন্তু কৃষি বিপণনে থাকলে শুধু ঠিক জমছে না, কৃষি বিপণনে থাকার ছদ্মবেশে চাষ বা কৃষিকে নিয়ন্ত্রণ করা, এক দায়িত্ববিহীন ক্ষমতা -- এ নাহলে আর কর্পোরেট কেন? ... ...
যদিও একেবারে মধ্যখানে অটুট জাতীয় পতাকার উড়ান, আর হাজার হাজার হাতে উড়ছে অগুন্তি জাতীয় পতাকা, তবুও পুলিশ লালকেল্লার ঝান্ডা নামাতে আবার তৎপর হল। কিন্তু পতাকাদণ্ডে চড়া কি অতো সহজ ! আদর্শ আর মরণপণ প্রতিজ্ঞা যা পারে, বেতনভুক তা অতো সহজে পারে না। সে চেষ্টায় তাই জলাঞ্জলি দেওয়া হল অল্প সময়েই, আবার সাহায্য এসে পৌঁছবে এ-ই আশায়। ... ...
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের অনেক কাজ। মাত্র দশ মাসে বর্ণবাদী মিথ্যাপ্রবণ বিজ্ঞান বিরোধী অকর্মণ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের দৌলতে প্রায় চার লক্ষ আমেরিকান মৃত, আরও মারা যাবেন। চার বছর ধরে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আমেরিকার গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিলেন মিথ্যেকে মিথ্যে না বলে “অল্টারনেটিভ ট্রুথ” নাম দিয়ে। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। ঊনবিংশ শতকের স্কটিশ চিকিৎসক, অকুতভয় অভিযাত্রী, দাসব্যাবসা-বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য ও খ্রিশ্চান ধর্মের প্রসারের পক্ষে অন্যতম প্রবক্তা। শোষোক্ত দুই উদ্দেশ্যেই ১৮৪১-এ ইওরোপ, আমেরিকার কাছে সম্পূর্ণ অজানা আফ্রিকায় তাঁর অভিযান শুরু। মানচিত্র তৈরি। লেখালিখি। বিপুল খ্যাতি। কার্যত ব্রিটেনের জাতীয় হিরো। ১৮৬৯ থেকে সব স্তব্ধ। সম্পূর্ণ বেপাত্তা। জল্পনার শেষ নেই। পাক্কা দু’ বছর। আসরে নামল মার্কিন সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক হেরাল্ড। এই কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা ছুটলেন নবীন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। তারপর? এ কাহিনি সেই রোমহর্ষক খোঁজের। স্ট্যানলের বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। তরজমায় স্বাতী রায়। ... ...
লন্ডন। একক প্রদর্শনী। সহসা উত্তেজনা। একটা ঘূর্ণি। মাঝখানে একজন। চৌকো মুখ বলিরেখায় ভরা। পা-গুলো যেন নাচছে। ক্রস করে করে হাঁটছেন। মাঝে মাঝে এক একটা ছবির সামনে দাঁড়াচ্ছেন। ঝুঁকে পড়ে মন দিয়ে দেখছেন। হিরণ মিত্র ... ...
গোদি মিডিয়া যখন এই সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করে ফেলেছে, দেশদ্রোহী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কিন্তু পুরো ব্যপারটাকে পাত্তাই দিল না। ভারতীয় বাদে প্রায় সারা পৃথিবীর মিডিয়া রিপোর্ট করল যে ভারত হামলা করেছে ঠিকই, কিন্তু তা একটা ফাঁকা, পরিত্যক্ত জায়গায়, এবং কেউ হতাহত হয়নি। কোন জঙ্গি ঘাঁটিও ধ্বংস হয়নি, তবে দু-তিনটি পাইন গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ... ...
দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি কিছু সোচ্চার বর্ণবাদী বাঙালি ভদ্রসন্তানের কাছে আসন্ন অমঙ্গলের সংকেত। এই অ্যাকাডেমি সফল হলে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ওপর ভদ্রসমাজের বংশানুক্রমিক বজ্রআঁটুনি শিথিল হবার সম্ভবনা রয়েছে। ভদ্রসমাজের একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতেই দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির ওপর আক্রমণ হানার চেষ্টা চলেছে। এক্সক্লুশানের সংস্কৃতি এক ভগ্নপ্রায় সংস্কৃতি। বাঙালি ভদ্রসমাজের এই অপচেষ্টা ব্যর্থ না করতে পারলে সমগ্র বঙ্গসংস্কৃতিই চরম সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে। ... ...