মহা বুদ্ধিমান সেই মানুষটি সমুদ্রের তীরে নুড়ি কুড়োনোর কথা বলেছিলেন। নুড়ি, ঝিনুক, এইসব। আমার বুদ্ধিসুদ্ধি তত নেই। কিন্তু আমিও একটা বিশাল সমুদ্রের ধারে নুড়ি খুঁজে বেড়াই। কখনো সমুদ্রের ধারে, কখনো নদীর। সব নদীই তো একদিন সমুদ্র হয়ে যায়। কাজেই ব্যপারটা একই হলো। নানা রকম রং ওদের। নানা আকার। আকৃতি। প্রত্যেকটা নুড়ি আমাকে গল্প বলে। একেক জনের একেক রকম গল্প। আমি ঢেউয়ের মাঝখানে একটা উঁচু পাথরে বসে সব গল্প হাওয়ায় উড়িয়ে দিই। কোনকিছুই নিজের জন্য জমিয়ে রাখার নেই এই পৃথিবীতে। শব্দগুলো ভাসতে ভাসতে কত দূর দূর চলে যায়। কেউ শোনে, কেউ শোনেনা। তুমি শুনলে গল্পটাকে পাখির পালকের মত আবার ভাসিয়ে দিও । কিম্বা নাই শুনলে। মশার ভিনভিনানির মত হাত নেড়ে তাড়িয়ে দিও। নুড়িতলার গল্পগুলোকে। ... ...
তাদের রান্নাঘরেও আম ঢুকে পড়ল। কাচ্চে আমকা ক্ষীর তার মধ্যে একটি। আমের মরশুমে সকাল সন্ধে রাত সবসময় আম খেতে কোনো আপত্তি নেই তাদের। শেহেরয়ালি রন্ধন খুবই জমকালো। নিরামিষ। শুদ্ধ শাকাহারী। বৈচিত্র্যে ভরপুর। জাফরান, গোলাপজল, বাদাম পেস্তার দরাজ ব্যবহার। গোলাপজলের মিঠে সুবাস জড়িয়ে থাকবে প্রায় সব খাবারেই। আর হ্যাঁ, ওদের রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছিল বাংলার পাঁচফোড়ন। আর পিঠা। বাংলার পিঠে। পেটে খেলে পিঠে সয়! ওদের পেটে সয়ে গিয়েছিল মোচা আর কদবেলও। শেহেরওয়ালিরা রাজস্থানি উর্দু হিন্দি ভাঙা বাংলা মিশিয়ে কথা বলত। জল বই গাছ তরকারি এইসব বাংলা শব্দ ওদের কথায় পাওয়া যাবে। ... ...
গতবারে করোনার কারণে গাজন হয় নি, সব লকডাউন ছিল। কেবল মাত্র টিম টিম করে দুজন সন্ন্যাসী হতে হয় বলে হয়েছিল – এটা নাকি নিয়ম, যাদের বলা হল নীলে আর মূলে। তো গতবার গাজনের চারদিনের দুদিন রাতে বিশাল ঝড়ে কারেন্ট ইত্যাদি ছিল না, আর এদিকে জমকালো উৎসব হচ্ছে না বলে জেনারেটর ভাড়া করা হয় নি। ফলে ওই দুই সন্ন্যাসী, বিটু আর উদয় ঘুটঘুটি অন্ধকারে শিবতলায় শুয়ে ছিল প্রবল গরমে আর বিশাল মশার কামড় খেয়ে। মশার কামড় খেয়ে এত খিস্তি দিচ্ছিল দুজনে শিবদুয়ারে যে সেই খিস্তি রাতের বেলায় নিঃস্তব্ধতার জন্য বহুদূর শোনা যাচ্ছিল। কোন এক গুরুজন থাকতে না পেরে নাকি বলতে এসেছিল, “এই তোরা সন্ন্যাসী হয়ে ঠাকুর দুয়ারে বসে এত মুখ খারাপ করছিস, এই চারটে দিন মুখ খারাপ না করলেই কি নয়! ... ...
ভ্যাকসিন নিয়ে সবার মধ্যে এতো ভয়, অথচ করোনা নিয়ে কারও মন কোনো ভয় আছে বলে মনে হচ্ছে না। সব দলই ভোটের আগে জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ইশতেহারে দারুণ দারুণ কথা লিখেছেন। কিন্তু সেসব দলের মিছিল, জনসভা দেখলেই টের পাওয়া যায়, ওই কথা গুলি কেবল কথার কথা। নিশ্চিতভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন বাংলায় ঢুকে পড়েছে, তখনও তারা জনসভায়, মিছিলে ভিড় বাড়াতে ব্যস্ত। যেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্কের ব্যাবহার ইত্যাদির কোনো অস্তিত্ব নেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে নীতি- আদর্শগত নানা রকম পার্থক্য আছে, কিন্তু এই একটা ব্যাপারে তারা মোটামুটি একই রাস্তায় হাঁটছে। ... ...
অস্থির বোধ করে জয়মালিকা। কলকাতা শহরে তার কোম্পানীর গেস্ট হাউজে একা একা বিছানায় শুয়ে গত কয়েক বছরের নানা ঘটনার কথা মনে আসে তার। যে এগজিবিশন আজ তার এত পরিচিতি এনে দিয়েছে, কলকাতার নানা খবরের কাগজ আর পত্রিকা তাকে নিয়ে এতো আলোচনা করেছে যে এগজিবিশনের ফলে, কয়েক বছর আগে সেই এগজিবিশনেরই একটা ছোট সংস্করণ এই খোদ কলকাতা শহরেই তো অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। কেউ আসেনি সেদিন দেখতে, একটা লাইনও আলোচনা হয়নি কোথাও ! কী হলো এর মধ্যে, তফাৎটা কোথায় ! নিলীনের বই? কিন্তু, কতোটা আলোচনা হয়েছে নিলীনের বইকে নিয়ে? নিলীনের বই-ই যদি খ্যাতি এনে দিয়ে থাকে তার, তাহলে সে বই নিজে খ্যাতি পেয়েছে কতটুকু? ... ...
কয়েকশ বছর সুখে কাটল, তৈরি হল সলমনের মন্দির। কপালে শান্তি নেই, মন্দির ভাঙলেন নতুন রাজা, ইহুদিরা নির্বাসিত হলেন ব্যাবিলনে (আজকের ইরাক)। ঘরে ফেরার অনুমতি পেলেন আরেক সহৃদয় পারসিক রাজার কাছ থেকে। আবার গড়লেন দ্বিতীয় মন্দির। তারপরে জুডিয়াতে রোমান রাজত্ব, বিদ্রোহ। পুনর্বার বিধ্বস্ত হল মন্দির যার পশ্চিম দেয়ালটুকু এখনো দাঁড়িয়ে আছে, যার নাম ক্রন্দনের প্রাচীর (ওয়েলিং ওয়াল / ক্লাগে মাউয়ার)। জেরুসালেমে ইহুদির প্রবেশ নিষিদ্ধ। অতএব আবার পোঁটলা বাঁধো। পথে এবার নামো সাথী। ... ...
হ্যাপি নিউ ইয়ার হ্যাপি নিউ ইয়ার বলতে দু হাজার কুড়ি এসে গেছে। দু হাজার কুড়ির সাথে সাথে ভাইরাস এসেছে। বিদেশের ভাইরাসের খবরে পাত্তা না দিয়ে ফ্লাইটে করে রোগ নিয়ে মানুষদের আসতে দিয়েছে। ঘুরে বেড়াতে দিয়েছে। তারপর হঠাৎ ভয় পেয়েছে সরকার। তাই চব্বিশ ঘণ্টার নোটিসে সারাদেশের ট্রেন বাস রোড সব বন্ধ করে দিয়েছে। সিল করে দিয়েছে সব বর্ডার। দেশে দেশে বর্ডার। রাজ্যে রাজ্যে বর্ডার। ব্যবস্থা করেছে বাইরে বেরোলেই গ্রেপ্তার করার আর দেদার লাঠির বাড়ি মারার। জারি করেছে লকডাউন। মাসের পর মাস জারি করে রেখেছে লকডাউন। রাজ্যে রাজ্যের হাইওয়েতে বর্ডারে এসে জমা হয়েছে লাখে লাখে মানুষ। ট্রাকের মাথায় পাইপের ভেতর জঙ্গলের মাঝে মানুষ দিন কাটিয়েছে। হাজার কিলোমিটার হেঁটেছে। সাইকেল চালিয়েছে । ট্রাংক বাক্স গ্যাস সিলিন্ডার কোদাল ঝুড়ি বালতি বাচ্চা বুড়ো কাঁধে নিয়ে হেঁটেছে। ... ...
সাধারণভাবে বিজেপিকে হারানোর আহবান এবং নিজেদের প্রার্থী বা অন্য কমিউনিস্ট দলগুলিকে ভোট দেওয়ার আহবান আমাদের বিচারে স্ববিরোধী নয়। কারণ বিজেপিকে হারানোর পাশাপাশি আমাদের কমিউনিস্ট বিপ্লবী শক্তিকে নির্বাচনী সংগ্রামেও টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব রয়েছে। কারণ শেষ বিচারে ফ্যাসিবাদী বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে হারানোর ক্ষমতা কমিউনিস্ট বিপ্লবীদেরই রয়েছে। অন্যান্য মূলধারার দলগুলিকে ব্যবহার করে বিজেপিকে সাময়িকভাবে ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে মাত্র, কিন্তু চূড়ান্ত অর্থে পরাজিত করা সম্ভব নয়। ... ...
অর্থবল, মিথ্যাচার শেষ হাসি হাসবে নাকি আমাদের ভাষা, প্রগতিশীল ঐতিহ্যের, সহাবস্থানের অহংকার, আমাদের শিরদাঁড়া সোজা হবার পথ বেছে নেবে, তা সময়ে বোঝা যাবে, তবে দেশ জুড়ে বিজেপির পরাক্রমের তত্ত্ব খ্যাখ্যা হাস্যরবে পরিত্যাগ করুন। আর বিজেপি (আদি) ও বিজেপি (নব্য) সততার দাবি করলে, কাটমানির দুঃখ ভোলার জন্য তিনদিন বিশ্রাম নিয়ে, অট্টহাস্যের সঙ্গী উপযুক্ত ঘোড়া ভাড়ায় পেতে ময়দানে, ভিক্টোরিয়ার সামনে থেকে ঘুরে আসুন। ... ...
আমরা আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতির নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিজেপি বিরোধী এক শক্তি হিসেবে দেখি। সিপিএম যেভাবে তৃণমূল ও বিজেপিকে একাকার করে বিজেমূল নামে একটি কাল্পনিক দল তৈরি করে ফেলেছে বা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে আগে তৃণমূলকে হারাতে হবে এমন এক অদ্ভুত রাজনৈতিক উপসংহার টেনেছে আমরা তাকে ভ্রান্ত মনে করি। ... ...
সেই ফ্লোরেন্স। সেই ২০০৭। সেই দ্বিবার্ষিক শিল্পকলা উৎসবে আমন্ত্রিত। সহসা গুজব পুরস্কার লাভের। তা মেলেনি। কিন্তু মিলেছিল দুই বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পির অকুণ্ঠ প্রশংসা— জর্জ ও গিলবার্ট। স্মৃতিচারণে হিরণ মিত্র ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। চলছে সিম্বামওয়েন্নি থেকে উগোগো অঞ্চলের উদ্দেশে পথচলার কথা। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...
জলপাইগুড়ির রূপান্তরকামীদের বিষয়টি কানে গিয়েছে খোদ নারী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজার কানেও। তিনি জেলাশাসককে চিঠিও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। দু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আপাতত, ভোট হওয়া বা না হওয়া কোন দিক থেকেই রূপান্তরকামীদের আশা প্রত্যাশার যোগ বিয়োগের হিসাব নেই বললেই চলে ... ...
মানবোন্নয়ন হলেই কি বিনিয়োগ হুড়মুড় করে চলে আসবে? না। বিনিয়োগ আসে দশরকম কারণে। খয়রাতি বেশির কারণে বিনিয়োগ কমবে না। বিনিয়োগ যে কারণে কমবে সেখানে প্রশাসনিকতার একটা ভূমিকা আছে। প্রশাসনিকতা কতটা সক্রিয় তার উপর অনেকটা নির্ভর করছে এবং অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের মানসিকতার দিক থেকেও দেখতে হবে। একটা ইতিহাস থাকে অনেক সময় এবং সেখানে ইতিহাসের কতকগুলো মিথ, সেগুলোও চালু থাকে। এখানে যেমন চালু ধারণা শ্রমিক অসন্তোষ অনেক বেশি বলে বিনিয়োগ হত না, হয় না। আমরা আমাদের গবেষণা থেকে দেখিয়েছি যে শ্রমিক অসন্তোষটা যে ছিল না তা নয়। কিন্তু বিনিয়োগ কমে যাওয়ার অন্য অনেকগুলো কারণ ছিল। এগুলো নানান রকম গবেষণা থেকে আজকাল উঠে আসছে। কিন্তু মানুষের মনে এই যে অতিকথাগুলো ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে, সেগুলোর জন্য কিন্তু আমাদের একটা প্রধান বাধা হচ্ছে, জনজীবনে যেগুলো প্রয়োজনীয় জিনিস, সেগুলো নিয়ে আমরা খুব একটা কথা বলে উঠতে পারছি না। এইটা কিন্তু আমাদের একটা ধারাবাহিক লড়াইয়ের ব্যাপার, আমি বলব। এই মিথগুলো, এই ভ্রান্ত ধারণাগুলো, এগুলোর সঙ্গে লড়তে হবে। একটু পরিসংখ্যান মিশিয়ে, মানুষজন যেগুলো নিয়ে চর্চা করেন, সেগুলোর ভিতরে ঢুকে একটু একটু বোঝার চেষ্টা করা। ... ...
পরিশেষে এসেছে আমার আপনার নাম। হ্যাঁ, নাগরিক সমাজ। ব্যক্তিগতভাবে যে কথাগুলো আমি সুযোগ পেলেই আপনাদের গেলাবার চেষ্টা করি, সেই আমার মন কী বাত- পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে জনসাধারণকে যুক্ত করা। বিশ্ব জুড়ে এখন ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার কথা বলা হচ্ছে। শুধু সরকার, কমিটি আর কমিশন নয়, পরিবেশ বাঁচানোর লড়াই লড়তে হবে আমাদের সবাইকে। তাই বাম জোটের ইশতেহারে পরিবেশের নীল নকশা দেখে আশান্বিত হলাম। ... ...
২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সংসদে প্রথম ইলেক্টোরাল বন্ড বাজারে আনার কথা বলেন। অবশ্য এর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সম্মতির দরকার ছিল। জানুয়ারির ২৮ তারিখই অর্থমন্ত্রক থেকে ই- মেইল যায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তদানীন্তন ডেপুটি গভর্নর রামা সুব্রমনিয়ম এবং সেকেন্ড ইন কম্যান্ড উরজিৎ প্যাটেলের কাছে। আরবিআই-এর তরফে দুদিনের মধ্যে জানানো হয়, এই ইলেক্টরাল বন্ড অনেকটা বেয়ারার বন্ডের মতো, যেখানে মালিক হবেন বেনামী, শেষমেশ রাজনৈতিক দলের হাতে কে বা কারা টাকা তুলে দিল তা জানার উপায় থাকছে না। ... ...
বাস্তবে কী হয় সেটা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুন্ডে। ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে, ২০১৩ সালে তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন যে ১৯৮০ সালের লোকসভা নির্বাচনে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৯০০০ টাকা আর ২০০৯ সালের নির্বাচনে তাঁর কেন্দ্রে তিনি ৮ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। আলোড়ন উঠেছিল তাঁর এই কথায়। ২০০৯ সালে তাঁর কেন্দ্রে খরচের উর্ধ্বসীমা ছিল ২৫ লাখ টাকা। মজা এই যে, নির্বাচনী কমিশনের কাছে মুন্ডের খরচের যে হিসেব জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে তাঁর নির্বাচনী খরচ বলা হয়েছিল মাত্র ১৯ লাখ টাকা। ... ...
কল্পিত গালগল্প নয়। বর্ণে বর্ণে সত্য একটি ‘নিম্ন বর্ণের’ পরিবারের তিন প্রজন্মের আত্মমর্যাদা ও সামাজিক অধিকার অর্জনের মর্মস্পর্শী ইতিহাস। যার শুরু সেই গ্রামের কথা দিয়ে যেখানে তেমনই ছিল ‘উচ্চ-নীচ’ জাতের বাড়ির বিন্যাস—নির্মম বর্ণাশ্রমে লালিত নিষ্ঠুর ব্রাহ্মণ্যবাদী আধিপত্যের অজস্র প্রতীকের একটি প্রতীক। ঝরঝরে বাংলা অনুবাদে ভারতীয় সমাজের এক বিপুল অংশের আয়না-ছবি। পড়লেন সাহিত্যিক তৃষ্ণা বসাক ... ...
গালিলেও গালিলেই। প্রথম নিখুঁত ঘড়ি, থার্মোমিটার, পতনশীল বস্তুর সঠিক নিয়ম আবিষ্কার, পৃথিবীর সূর্য প্রদক্ষিণ তত্ত্বের পক্ষে সওয়াল… । বিজ্ঞানের প্রগতিতে তাঁর অবদান বিপুল। আর এ সবকিছুর মূলে ছিল ধর্মান্ধতাকে অস্বীকার করে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসায় তাঁর অবিচল আস্থা। তবু ছিলেন রক্তমাংসের মানুষই। চার্চের সঙ্গে সংঘাতে আপাত-পিছু হটেও, ধর্মীয় বিশ্বাসের মূলস্তম্ভে আঘাত অব্যাহত রেখেছিলেন গোপনে। একটি নতুন জীবনীগ্রন্থ। পড়লেন বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের কর্মসচিব, পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় ... ...
মালদহ। প্রাচীন গৌড়পুর, ষষ্ঠ শতকের গৌড় রাষ্ট্র, মধ্যযুগীয় সুলতানি আমল, অষ্টাদশ শতকে ঔপনিবেশিক ইংরেজ শাসন, স্বাধীনতা-আন্দোলন — সব মিলিয়ে এই জেলা এক দীর্ঘ রঙিন ইতিহাসের সাক্ষী। সেই ইতিহাস ও পাশাপাশি তার সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিবর্তনের আখ্যান দুই মলাটের মধ্যে। পড়লেন সৌরেন বন্দ্যেপাধ্যায় ... ...