ইরফানুর রহমানের ‘‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’’ সিরিজ থেকে অনুমতিক্রমে নেওয়া এক গুচ্ছ অনুবাদ কবিতা। ... ...
আজকে 'সাম' নামে এক সিরিয়ান রেষ্টুরান্টের খাবারের কথা, এও সেই আমষ্টারডাম শহরে। সাম হল গিয়ে সিরিয়ার রাজধানী দামাসকাস শহরের ডাক নাম। তো সেই থেকেই এরা খুলে বসেছে পুরানো স্মৃতি ভরা নাম নিয়ে রেষ্টুরান্টে। কালে কালে এরা এত বেশী নাম করে ফেলে যে তিনটি ব্রাঞ্চ খুলে ফেলে এদিক ওদিক। আগে থেকে বুক না করে গেলে টেবিল পাবার চান্স প্রায় নেই। আমি এখানে অনেকবার একা একা খেতে গেছি - বলেছে টেবিল নেই, আমি নেগোশিয়েট করেছি - আপনাদের পরের রিজার্ভেশন কটায়? রাত আটটার রিজার্ভেশনের ওরা আসার আগেই আমি খেয়ে হাওয়া হয়ে যাব এখান থেকে। দয়া করা আমাকে কোনের দিকে টেবিলে অ্যাডজাষ্ট করে দিয়েছে অনেক বার। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। এ অধ্যায়ে ন্যামবোয়া নামের জনপদ পার করে বিহওয়ানা পৌঁছনোর কাহিনি। তরজমা স্বাতী রায় ... ...
মৃত্যু বলতে চাই, মৃত্যু লিখতে চাই। শুরুতে না হয় শেষে, সমস্ত চেতনা জুড়ে থাকার মতো এই মৃত্যুর নিদারুণ অপচয়। যতো জীবনে লগ্ন হবার স্বপ্ন দেখবো, ততোই মৃত্যুর অধিক যন্ত্রণা নিয়ে আসবে স্ট্যান স্বামীর এই অনর্থক মৃত্যু, নির্দয় হত্যা। ভারত রাষ্ট্রকে এই হত্যার দায় নিতে হবে। জবাবদিহি করতে হবে। জানাতে হবে কেন সাজানো মামলায় তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল, কেনই বা মাওবাদী যোগের মিথ্যা অপবাদ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। কর্পোরেটের পথ নিষ্কন্টক করার জন্য আর কতো বলিদান চাই, উত্তর দিতে হবে। ... ...
আগের অধ্যায়েও এই কথাটি বলার চেষ্টা করেছি—কোম্পানি আমলে ইংরেজি শিক্ষার চাহিদা ও প্রসার প্রধানত কলকাতার উচ্চবিত্তদের মধ্যে সীমিত ছিল। কিন্তু ইংরেজের ফোর্ট উইলিয়ম কালেজের সাহায্যে ‘দেশে বাঙ্গালা ভাষার চর্চা’ এবং ‘বাঙ্গালা শিক্ষার জন্য পাঠশালা” স্থাপন? তাহলে বিশাল গ্রামীণ সমাজ ও পাঠশালার স্ট্রাকচার যা কিনা প্রাচীন সময়েও রাজানুগ্রহের অপেক্ষায় থাকত না, আজ কীভাবে ‘প্রান্তিক’ হয়ে পড়ল? এখানে লেখকের দেয়া সাক্ষ্য লেখকের প্রেমিসের বিরুদ্ধে যাচ্ছে না কি? দেখা যাচ্ছে, কোম্পানির সরকার এদেশে মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রসারে আগ্রহী। এই প্রেমিসটি না মানলে সরকারি পয়সায় ভার্নাকুলার মাধ্যমে শিক্ষাবিস্তারে টোমাসন, হার্ডিঞ্জ মডেল এবং বিদ্যাসাগর মডেলের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা অর্থহীন হয়ে পড়ে । ... ...
খালের প্রসঙ্গ ধরে কলকাতার ইতিহাসে প্রবেশ করার গুস্তাখি মাফ; আমি নিরুপায়। যা পড়েছি, তাই বলছি: সতেরো শতকের মাঝামাঝি সময়ে যখন মারাঠা বর্গিরা বারবার বাংলায় হানা দিচ্ছে, গঙ্গাপ্রান্তের এই শহরকে বাঁচানোর জন্য শহরের মাঝবরাবর একটা বিরাট খাল কাটা হয় (যাকে বুজিয়ে দিয়ে তৈরি হয়েছে আজকের সার্কুলার রোড)। বৃথাই খাল-কাটা! বর্গি এল না কলকাতা ঘুরতে, উল্টে সেই পরাক্রমশালী খাল ডিঙিয়ে সিরাজের সৈন্যদল হাহা করে এসে শহরের সবচেয়ে পুরোনো নাট্যশালা 'ওল্ড প্লে হাউজ' ভাঙচুর করে চলে গেল ১৭৫৬ নাগাদ। এতকিছুর পর বোধ হয় অনেকের মনে হয়েছিল, এতবড় একটা খাল কাটলাম, একেবারে কোনোই কাজে আসবে না? সে থেকেই অনুবর্তী নবজাগরণ -- 'খাল-কাটা' টু ‘ক্যালকাটা’। ... ...
একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে জালিকুট্টি সিনেমাটা দেখার পর ছবিটির মূল গল্প লেখক হরিশের নামটি জানতে পারি। মূল গল্পটির নাম ‘ দ্য ্মাওয়িস্ট ‘ জানার পর কৌতূহল বাড়ে। তখনই জানতে পারি হরিশের এই উপন্যাসটির কথা যেটি মাত্রুভূমি সাপ্তাহিকে ধারাবাহিকভাবে বেরোনোর মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় হিন্দুত্ববাদী এবং জাতভিত্তিক সংগঠনগুলির চাপে কারণ এখানে নাকি ‘হিন্দু মহিলা এবং মন্দিরের পুরোহিতদের অপমান করা হয়েছে’। পরে সম্পূর্ণ উপন্যাসটি ডি সি বুকস থেকে বেরোয় এবংহারপার কলিন্স থেকে একটি অসাধারণ ইংরেজি অনুবাদ করেন জয়শ্রী কালাথিল যেটি ইংরেজিতে লেখা বা অনূদিত সাহিত্যের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ আর্থিক মূল্যের জে সি বি পুরস্কার লাভ করে। ... ...
সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সেই উনচল্লিশটি বিধান বিস্তৃত হল। জেফ্রি আমাকে বোঝালেন সেটি খুবই সহজ ছিল। এই ধরো বিজলি/ইলেক্ট্রিসিটি। সুইচ টিপলে আলো বা অগ্নির উৎপাদন হল। প্রাথমিক উনচল্লিশটি বিধানে আগুন জ্বালানো মানা। তাই এটির বারণ। মোজেসের আমলে মোটর গাড়ি, বিজলি বাতি, হাওয়াই জাহাজ, স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট, ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিন ছিল না। সাবাথের রীতি নীতি অনুসারে বাতিল হল গাড়ি চালানো বা চড়া, বিজলি বাতি জ্বালানো বা নেভানো টেলিভিশন দেখা ফোন করা বা ধরা। বই পড়তে পারেন অবশ্যই। তবে আইপ্যাড বা স্মার্ট ফোনে নয়। তার সুইচ অন করাটা একটা কাজ! ... ...
সুদীপ্তরা খুশিঝোরা থেকে ফিরে যাওয়ার মাসখানেক পর একটা পত্রিকা এসে পৌঁছোয় জয়ির কাছে, পোস্ট অফিস মারফত। শিল্প-সাহিত্য-সমাজ বিষয়ক লিট্ল্ ম্যাগাজিন ঝলক, জয়ি কখনো সখনো এক-আধ কপি দেখে থাকতেও পারে, মনে করতে পারে না। এই সংখ্যা সুদীপ্ত রায়ের একটা প্রবন্ধ গোছের লেখা প্রকাশ করেছে, নাম মানুষের বর্জ্য গাছেদের ভোজ্য। চিত্রশিল্পী জয়মালিকা সেন পুরুলিয়ার এক প্রান্তে আদিবাসীদের শিল্প-সংস্কৃতি প্রসারের যে বিপুল কাজ করছেন তাঁর খুশিঝোরা সমিতির মাধ্যমে, তা যে শুধুমাত্র একজন ব্যতিক্রমী সৃষ্টিশীল মানুষের পক্ষেই সম্ভব এ কথা দৃঢ়তার সাথে বলেছে সুদীপ্ত। ... ...
আমি ওর প্রতি একটু বেশিই দুর্বল। আমার কাজ শুরুর সময় থেকে জানি। ১৯ বছরের মেয়ে। তিনটি বাচ্চা। বয়স তিন বছর, দু বছর, আট মাস। তৃতীয় বাচ্চা হবার আগের দিনও আমি ওকে রাস্তায় দেখেছি দুহাতে দু’ গ্যালন দুধের বোতল, সঙ্গে আরো কিছু বড় বড় ব্যাগ। এর মধ্যে ডিমের বাক্সও উঁকি দিচ্ছে। সঙ্গে দুই বাচ্চা। পেটে আরেকজন, যে আগামিকাল পৃথিবীর আলো দেখবে (পরে জেনেছি)। আমি ওকে দেখলাম ওর বাড়ি থেকে দেড় মাইল দূরে। ... ...
ঋষভ লক্ষ্য করেছে, ভাল স্মৃতি মন ভাল করে। ভাল স্মৃতির অভাব তার পঁয়ত্রিশ বছরের জীবনে নেই। প্রয়োজনের থেকে বেশিই আছে। তবে সব ভাল স্মৃতিকে রোমন্থন করতে ইচ্ছা হয় না। খালি একটা স্মৃতি আছে যেটাকে মন্থন করা যায়, যার সবটা মনে নেই, হয়তো সবটা সে বোঝেনি। হয়তো একটু ধোঁয়াশা ছিল, অতএব সেই ধোঁয়াশার পিছনের বস্তুটিকে নিজ মাধুরী দিয়ে সাজানো যায়। যা করার সময় বা সাহস সেই চারবছর আগে হয়নি, এখন করা যায়, কল্পনায়। সেইজন্য হয়তো এই ধোঁয়া ধোঁয়া স্মৃতিটার রোমন্থনযোগ্যতাটা একটু বেশি! ... ...
পরিযায়ী শ্রমিক কথাটা তখন শুনিনি। কোনও খবর লিখিনি। শ্রমিক, শ্রমিক নেতা, শ্রমমন্ত্রী, কারও মুখে শুনিনি শব্দ দু’টি। খবরের কাগজ, টেলিভিশনের খবরে এ নিয়ে কোনও খবর, আলোচনা নজরে আসেনি। মইনুল, আমিনুল এবং ওদের আরও অনেকের সঙ্গে আমাদের তখন রোজকার আড্ডার সম্পর্ক। ওদের মুখেই জানতে পারি, মুর্শিদাবাদের গ্রামে জোয়ান ছেলেদের অনেকেই গ্রামছাড়া। কেউ কাজের সন্ধানে ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। কেউ পুলিশের ভয়ে এলাকাছাড়া। সে জেলার খবর শিরোনামে আসে গঙ্গা-পদ্মা-জলঙ্গির ভাঙন আর সিপিএম-কংগ্রেস মারামারি-খুনখারাপির সুবাদে। ছাপা হয়, খোলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার, মানুষ পাচার, নানা সামগ্রী চোরাচালানের খবর। আর ছাপা হয় আইএসআই চর ধরার রোমহর্ষক কাহিনি। ... ...
কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে শিক্ষার বরাদ্দের হার কমছে। রাজ্যের মতামত অগ্রাহ্য করে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রবর্তনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থতিতে করোনা মহামারীর প্রেক্ষিতে স্কুল কলেজ বন্ধ করে দিয়ে সরকারবাহাদুর বললেন ‘ইন্ডিয়া পড়ে অনলাইন’। প্রাথমিক শিক্ষার আঙিনায় এই ডিজিটাল শিক্ষা কীভাবে চলছে? কীভাবে সামলানো যাচ্ছে স্কুলছুট হওয়ার সমস্যা, শিশুদের অপুষ্টি ও সর্বাঙ্গীণ বিকাশের অন্তরায়ের জটিলতাগুলি? কেমন করে সেইসকল শিশুর শিক্ষণ চলছে, যাদের অভবাবকদের হাতে ইন্টারনেট প্রযুক্তির ঢালাও সুবিধা নেই? এইসব প্রশ্নের পর্যালোচনা করলেন শিশুশিক্ষকরা, অতিমারীপর্যায়ে তাঁদের কর্মজীবনের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রতীচী (ইন্ডিয়া) ট্রাস্টের প্রকাশিত এই ই-পুস্তিকাটিতে। ... ...
এটা রিসোত্তোর রেসিপির বা ইতিহাস লেখার রচনা নয়, তাই সেই সব বিষয়ে ঢুকছি না। তবে যেটা বলার, রান্নার টেকনিক ছাড়াও আর যেটা প্রধান পার্থক্য করে দেয় রিসোত্তো কোয়ালিটির তা হল যে চাল ব্যবহার করা হয় তা। রিসোত্তোর ছবি দেখেই ‘আমাদের গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে এই জিনিস আরো ভালো হত’ এমন হল্লা মাচাবেন না প্লিজ। সব জিনিসের একটা স্থান-কাল-পাত্র আছে! অবশ্য আপনি নিজের নিজের সিগনেচার ডিস “রিসোত্তো উইথ এ গোবিন্দভোগ টুইস্ট” বানাতে চাইলে কিছু বলার নেই! যদি পারফেকশন আনতে পারেন, কে জানে হয়ত পায়েস ছেড়ে গোবিন্দভোগ গ্লোবাল স্কেলে পৌঁছে যাবে পাতে পাতে! এখানে জাস্ট এটুকু বলে রাখি এই মুহূর্তে রিসোত্তো বানাবার সবচেয়ে জনপ্রিয় চালু চাল তিনটি – কারনারোলি, আরবোরিও এবং ভিয়ালোনে ন্যানো। আর একটা ছোট্ট টিপস -এই চাল দিয়ে রিসোত্তো রান্নার আগে প্লিজ চাল ধোবেন না বারে বারে! একবারে না ধুলেই ভালো হয়। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। এ অধ্যায়ে ন্যামবোয়া নামের জনপদ পার করে বিহওয়ানা পৌঁছনোর কাহিনি। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...
সাহিত্যসৃষ্টি পঠিত হয় বারংবার। সময়ের ব্যবধানে। কখনো বা একই পাঠক তাঁর প্রিয় বইটিতে ফিরে ফিরে যান, জীবনের নানা মুহূর্তে। প্রায়শই একই লেখা পাঠ থেকে পাঠান্তরে আনে ভিন্ন অনুভব, ভিন্ন অর্থ। এ কথা মাথায় রেখেই নির্মিত হয়েছে এই বিশেষ সংখ্যা। শঙ্খ ঘোষের যে কোনও একটি বই ফিরে পড়ুন, লিখুন এ মুহূর্তের ভাবনা— এই ছিল এই সংখ্যার লেখকদের কাছে অনুরোধ। কোন বই নিয়ে কে লিখবেন, ছিল না তার কোনো নির্দেশ। ফলত, একই বইয়ের পৃথক পাঠপ্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে একাধিক লেখকের কলমে, ঘটেছে এমনটাও। সংখ্যাটিকে তা আরও সমৃদ্ধ, কৌতূহলোদ্দীপক করেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। ... ...
কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার ফলে আদিবাসীদের সমস্যার কি কোনও সুরাহা হয়েছে? নতুন সরকার ২০১২ সালের একটি হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট প্রকাশ করে যেটি আগের বিব্জেপি চেপে রেখেছিল। ঐ বছর ২৮ জুন বিজাপুর জেলায় সারকেগুড়া নামে একটি জায়গায় বাহিনীর গুলিতে সতেরো জন মানুষের মৃত্যু হয়। বাহিনী তাঁদের বিজ্ঞপ্তিতে বলে যে মৃতেরা সবাই মাওবাদী ছিলেন। গ্রামবাসীরা এবং সুধা ভরদ্বাজের (যিনি নিজে ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ভুয়ো অভিযোগে কারাবন্দি) নেতৃত্বে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং দাবি করেন যে মৃতরা কেউ মাওবাদী ছিলেন না। চাপে পড়ে সরকার অবসরপ্রাপ্ত বিচারক বিজয় কুমার আগরওয়ালের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। প্রায় সাত বছর বাদে কমিশন তাঁরা রিপোর্ট পেশ করেন এবং প্রমাণিত হয় যে মৃতরা কেউ মাওবাদী ছিলেন না। কংগ্রেস সরকার যদিও এই রিপোর্ট সর্বসমক্ষে আনে কিন্তু যে সতেরো জন নিহত হন এবং দশ জন আহত হন তাঁদের কোনও ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে। একই ভাবে যারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ছিল তাদেরও হয়নি। ... ...
আফ্রিকার একটি ছোট্ট দেশ উগান্ডার উদাহরণ দিয়ে লেখা শুরু করা যাক। কোটি কোটি উগান্ডাবাসী সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, কারণ তাঁদের অনেকেরই ডিজিটাল পরিচয়পত্র নেই। উগান্ডা সরকারের আইন অনুযায়ী এই ডিজিটাল পরিচয়পত্র জাতীয় সুরক্ষার জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, কিন্তু সেই ব্যবস্থাকে যখন সরকারি পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে তা থেকে বহু মানুষ বাদ পড়ছেন। ... ...
কুমি কাপুর। সাংবাদিক। জরুরি অবস্থার বছরগুলিতে তাঁর নানা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। একাধিক সাক্ষাৎকার। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ। সেই উত্তাল সময়ের চালচিত্র। একটি বই পড়লেন তাপস দাশ ... ...
ফেসবুক। দুনিয়া জুড়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২২৭ কোটি। ভারতে ২২ কোটি। মানুষের মনের জমিন দখলে ব্যস্ত, নব্য উপনিবেশবাদী ক্রিয়াকাণ্ডের দোসর এই প্ল্যাটফর্মটির আসল চেহারা প্রকাশের লক্ষ্যে লেখা একটি বই। পড়লেন সাংবাদিক রজত রায় ... ...