যেহেতু অস্তিত্ব নিছক একক নয়, সামূহিক – ‘কে আমি’ থেকে পৌঁছে যাই ‘কে আমরা’: এই জিজ্ঞাসায়। পারিবারিক পরিচয়েও নিহিত রয়েছে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরম্পরা, রয়েছে বৌদ্ধিক ঐতিহ্যের আলো-ছায়া, রয়েছে চিৎপ্রকর্ষ অর্জনের দীর্ঘ ইতিহাস। এতে কত অজস্র উচ্চাবচতা, কত নতুন সূচনাবিন্দু। এসব ভাবতে গিয়ে দেখি, জাতিসত্তার বিচিত্র হয়ে ওঠায় ‘আমি’ ও ‘আমরা’-র অভিজ্ঞান অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পৃক্ত। ভাষাই জাতির পরিচায়ক, ধর্ম কখনই নয়। ... ...
প্রত্যেকটা মানুষ, সে তিনি মনীষী হোন আর যেই হোন, তিনি সেই যুগের হাতে বন্দি। হয়তো উনি আজকের যুগে থাকলে, সেযুগে নিজের বলা অনেক কথাই ফেলে দিতেন। আমি বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে একটা বই পড়েছিলাম – রমাতোষ সরকারের লেখা। সেখানে উনি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন, কেন দেড় হাজার বছর আগেকার গণনার সূর্যসিদ্ধান্ত না মেনে আধুনিক সরকারি বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মানতে হবে। ঐ বইতে একটা জায়গায় উনি লিখেছেন, যে সূর্য সিদ্ধান্ত রচয়িতা সে যুগের মানুষের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। কারণ পূর্বপ্রচলিত বেদাঙ্গ জ্যোতিষ না মেনে, ঐ বইতে তৎকালীন আরব এবং রোমান গণিত ব্যবহার করা হয়েছিল। কাজেই তিনি আজকে কোনোভাবে এসে পৌঁছলে নিজের আগের গণনা বর্জন করে, আধুনিক বিজ্ঞানটাই নিতেন। আজকে যে ঐ পঞ্জিকার গণনায় ভুল থাকছে, সেটা ঐ গ্রন্থকারের পক্ষে অগৌরবের নয়। ... ...
গান্ধিজী ১৯৩৫ সালে তাঁর হরিজন পত্রিকায় চকচকে পালিশ করা মিলের চাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কারন ওই চাল খেয়ে ভারতবাসীর স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আজকে তাঁর কথা মিলে গিয়েছে। মধুমেহ রোগ ঘরে ঘরে। অন্যান্য কারণের সঙ্গে আগাছা নাশক গ্লাইফোসেটও দায়ী। বিভিন্ন খাবার ও জলের মাধ্যমে গ্লাইফোসেটের অবশেষ শরীরে প্রবেশ করে এবং ইনসুলিন তৈরির প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দেয়। সেটা মানুষের শরীরের উপর নির্ভর করে। অনেকের শরীরে হয় না বা দেরীতে হয়। তাছাড়া ওই বিষ কিডনির রোগ ও ক্যানসার সৃষ্টি করে। রেললাইনে ও সবজির ক্ষেতে ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। বিষমুক্ত খাবার নিয়ে কেউ সচেতন নয়। ... ...
চলছে উজিজির পথে এগিয়ে চলার বর্ণনা। এ পর্বে গভীর জঙ্গল পার করে ম্রেরা নামের জনপদে শিবির ফেলার কাহিনি। ... ...
উচ্চশিক্ষায়তনগুলির ঝকঝকে দেওয়াল, চকচকে আসবাব, ছিমছাম পড়ুয়ার দল। ধূলো ঢোকে না - এমন পরীক্ষাগার, মাছি গলে না - এমন পাহারা। খাওয়া ভাল, হাওয়া ভাল, সবচেয়ে ভাল - পরিবেশ। সত্যিই কি সবই পাউরুটি আর ঝোলাগুড়? ছায়া পড়ে না, আলোকোজ্জ্বল করিডরের কোথাও? মেঘ জমে না - সাজানো ক্যাম্পাসের ওপর? নিঃসীম অন্ধকার নেই কোনো ঝলমলে মুখের আড়ালে? আছে হয়তো - খবরে আসে না। কিল খেয়ে কিল হজম করেন - কখনো ছাত্র, কখনো শিক্ষক। অনুচ্চারিত কোড আছে কোথাও - আর্মি ক্যাম্পসদৃশ। চোখের তলায় পরিশ্রমের কালি দেখা গেলেও, পিঠের বিশাল ডিপ্রেশনের বোঝা অদৃশ্যই থাকে। ঘনঘন নষ্ট হয় একেকটা স্বপ্ন। কদাচিৎ, একটা করে জীবনও শেষ হয়ে যায়। কোথাও তো দরকার, এই গুনগুন, ফিসফাস গুলোর জায়গা হওয়ার? অ্যাকাডেমিয়ার কণ্ঠস্বর অনেক, বক্তব্যও বিভিন্ন - এ সব কথা মনে রেখেই, শুরু হল গুরুর নতুন বিভাগ, "উচ্চশিক্ষার আনাচেকানাচে" ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী - উচ্চশিক্ষার অঙ্গনের যে সব কথা এতদিন জানাতে পারেননি কোথাও - লিখে পাঠান গুরুচণ্ডা৯-তে। নিজের কথা, পাশের কিউবিকলের কথা, পরিবারের লোকের কথা। এমন কাউকে চেনেন - যাঁর আছে এমন অভিজ্ঞতার সঞ্চয়? লিখতে বলুন তাঁদের। সব লেখাই প্রবন্ধ হতে হবে তার মানে নেই। প্রবন্ধ আসুক, অভিজ্ঞতার ভাগাভাগি হোক, বিতর্ক জমুক। ফিসফিসগুলো জোরে শুনতে পাওয়া গেলেই হল। আজকের লেখা - 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক' একজন প্রত্যক্ষদর্শীর অভিজ্ঞতা। ... ...
শব্দখেলায় সোমনাথের পটুত্ব আরও নানা কবিতায় ছাপ রেখে গেছে। ‘মাধব মথুরা মত যাও’ -তে শুধু অনুপ্রাসের চমৎকার ব্যবহারে চমৎকৃত হই না, অবাক দেখি ব্রজবুলির মধ্যে অবলীলায় জায়গা করে নিচ্ছে স্টেশন, গাড়ি, স্টিমার শব্দগুলি। বেখাপ্পা তো নয়ই, বরং অন্য শব্দ বসানো যাবে না এমন অমোঘ। শব্দ বার বার এই পদগুলিতে ব্রহ্ম হয়ে এসেছে, কারণ যে শব্দ, সেইই মাধব! ... ...
আমরা গ্রামে হালিমের নাম পর্যন্ত শুনিনি। হালিমের নাম শুনলাম ১৯৯১-এ বাংলাদেশ নির্বাচনের সময় ঢাকা গিয়ে।তখন সাংবাদিক। একুশের বইমেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা হালিমের স্টল দিত। সুন্দর সব বাংলা নাম। একটা স্টলের নাম মনে আছে--পৌষালী। আর মনে পড়ছে, কলমিলতা। আমি রোজ সন্ধ্যায় বইমেলা যেতাম্বই দেখতে আর হালিম খেতে। সঙ্গে বাড়তি আকর্ষণ ছিল,ঝকঝকে ছেলেমেয়েরা আবৃত্তি করতো। ক্যাসেটের দোকান দিত। সাগর লোহানি তখন বেশ জবরদস্ত আবৃত্তিকার্রর। বন্ধু আনিসের সৌজন্যে আলাপ এঁদের সঙ্গে। ... ...
- মা দেওয়ালে এত রাক্ষুসী কে আঁকে বল তো? - রাক্ষুসী? ও! ঐ ইন্দিরা গান্ধীকে আঁকে। - ই-ন্দি-রা গান্ধী! সে তো দারুণ দেখতে। দিল্লীতে থাকে। সিনেমার আগে, যার সিনেমা হয় – সে-ই তো? তার হাতে তারা-হাতুড়ি-কাস্তে থাকে? রাক্ষুসীর পাশে আঁকা থাকে। - আমি ওসব বলতে পারব না। বাবাকে জিজ্ঞেস কর। বাবা ব্যাপারটা মোটামুটি বুঝিয়ে দিল। মাঠে ফুটবল খেলা হলে যেমন কয়েকটা দল থাকে, দেশ চালাতে গেলেও তেমন। ... যে জিতে যায়, সে দিল্লিতে থাকে। মনে মনে হিসেব কষে নিলাম। ইন্দিরা গান্ধী দিল্লিতে থাকে, মানে জিতে গেছে। ... তবে কি বড় হলে ইন্দিরা গান্ধীই চিঠি দেবে আমাকে? কিন্তু হঠাৎ একদিন শুনলাম ইন্দিরা গান্ধী খেলায় হেরে গেছে। থমথমে মুখে ঘুরতে লাগলাম, আমার চিঠির কী হবে? ... ...
চলছে উজিজির পথে এগিয়ে চলার বর্ণনা। এ পর্বে গভীর অরণ্যের মধ্যে দিয়ে উটেন্ডে নামের এক গ্রামে পৌঁছনর কাহিনি। ... ...
গতকাল যখন পার্ক সার্কাসের একটি খাবারের দোকানের সামনে জমায়েত হচ্ছিলেন বেশ কিছু এনআরসি বিরোধী কর্মীরা, তখন পুলিশ এসে বলে ওই স্থানে জমায়েত করা যাবে না। কারণ, ওই জমায়েতের নাকি কোনও অনুমতি নেই। অথচ নির্বাচন কমিশনের থেকে প্রাপ্ত অনুমতিপত্র দেখানো হলেও তাঁরা বলেন, অনুমতিতে বলা নেই যে ঐ স্থানে জমায়েত হয়ে মিছিল শুরু করা যাবে। আর কথা বাড়ালে গ্রেপ্তার করা হবে। কোনও কথা বাড়ানোর সুযোগই দেওয়া হল না, সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হলো প্রসেনজিত বসু, মনজর জমিল, ইমতিয়াজ আলি মোল্লা, অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ দশজনকে। ঘটনাচক্রে আমরা কয়েকজন তখন একটু দূরে দাঁড়িয়ে। পুলিশ এসে আমাদের বলল, এইখানে জমায়েত করা যাবে না। আমরা উল্টে বললাম, দু’জন মানুষ কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে কথা বলাও অপরাধ নাকি? এটা কি উত্তরপ্রদেশ? ... ... ...
এবারে আসি বই প্রসঙ্গে। সবগুলো গল্পই পড়েছি। তিন চারটে গল্প দু-বার করে পড়তে হয়েছে অনুধাবন করার জন্য। তবুও সম্যকভাবে রসাস্বাদন যে করতে পেরেছি সেটি জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে কাহিনীগুলি পড়ে বেশ ভাল লেগেছে। মনে হল এগুলি তিনি গভীরভাবেই গবেষণা ও ক্ষেত্র সমীক্ষা করেই রচনা করেছেন। দেশের ভিন্ন ভিন্ন মানুষের, নানা জনপদের, বিবিধ ইতিহাস-ঐতিহ্যের, রকমারি যাপিত জীবনের অসম্ভব নিখুঁত নির্মাণ করেছেন দক্ষ প্রকৌশলীর মত। ... ...
সেই আঠেরোশো পঞ্চাশ-টঞ্চাশ থেকে আমাদের এই বাংলার গ্রাম থেকে – আর বাংলাই বা বলি কেন – বিহার উড়িষ্যা বা এমনকি যুক্তপ্রদেশ থেকেও দলে দলে গরীব মানুষ কাজের সন্ধানে আসছে এই কলকাতা সহরে। এদের মধ্যে হিন্দু মুসলমান দু' দলই আছে। মুসলমানই বেশি বলে আমার মনে হয়, কারণ তারাই অপেক্ষাকৃত বেশি গরীব। কলকাতায় এরা সব থাকে কোথায়? প্রথম-প্রথম ফুটপাতে, আর তারপর নানা বস্তিতে। আমি শুনেছি ভদ্রলোকদের চাপে আঠেরোশো ছিয়াত্তর-টিয়াত্তরে কলকাতার কর্পোরেশন নানারকমের নাগরিক সুখ-সুবিধের ব্যাপারে সহরবাসী মানুষদের একটা অধিকার দিয়েছে। কী অধিকার? একটা কর্পোরেশন পরিচালক সমিতি, যার আসল নাম কাউন্সিল, তার সভ্য হওয়া। তার মানে কাউন্সিলর হবার অধিকার। এবং অবশ্যই, ভোট দিয়ে সেই কাউন্সিলার নির্বাচন করা। এই ভোটের অধিকার কিন্তু আছে মাত্র তিন ধরণের লোকের। ... ...
ডানজিগে জার্মান অধিবাসনের ইতিহাস হাজার বছরের বেশি পুরোনো। হের রিখটারের পূর্বপুরুষ ছিলেন সেখানকার বাসিন্দা। ১৯৪৫ সালে ছিন্নমূল রিখটার পরিবার কিশোর মাক্সিমিলিয়ানকে নিয়ে হেঁটে জার্মানি এসেছেন। মাক্সিমিলিয়ান কখনো ফিরে যাননি ডানজিগে। লৌহ যবনিকার সময় সেটা শক্ত ছিল। হের রিখটার ডানজিগকে ভুলেই গিয়েছিলেন বা মনে রাখতে চাননি। ড্রেসনার ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড সামলানোর ব্যাপারে আমার দক্ষতার অভাবে তাঁর একটা সূত্র যোগ হয়ে গেল ডানজিগের সঙ্গে। আমাদের সংক্ষিপ্ত সংলাপের পরে তাঁর মন নিশ্চয় চলে গিয়েছিল ডানজিগের অলিতে গলিতে। ঠিক যেভাবে আজ এপার বাংলার অনেক অশীতিপর মানুষের মন চলে যায় বিক্রমপুরের গ্রামে। ... ...
বাবা ঠিক করলেন একটা সংগঠন করবেন। যেখানে কেউ মারা গেলে ২০ টাকা করে সংগঠনে নাম লেখান পরিবারগুলো চাঁদা দেবে। সবার এক চাঁদা। বড়লোক বলে বেশি দিতে পারবে না। এ থেকেই মাছ ভাত ডাল তরকারি হবে। সবার ক্ষেত্রে এক নিয়ম গরিব ধনী সবাই। মুখে মার্কসবাদী কথা বলা আর বাস্তব জীবনে তা পালন করা কঠিন। ... ...
... সাম্রাজ্যের মানুষেরা যে কেশবচন্দ্রকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে চায়, সেটা কোনও গোপন এজেন্ডা ছিল না। কেশবের খ্রিস্টধর্মে মতি দেখে ম্যাক্সমুলার প্রকাশ্যে বলেছিলেন, একমাত্র বিশপ কটন কেশবচন্দ্রকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে পারেন। কেশবচন্দ্রকে যে সাম্রাজ্য উপনিবেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রজা হিসেবে গণ্য করছে, সেই ইঙ্গিতটা স্পষ্ট হয়ে যায় সাম্রাজ্য-কর্ত্রী ভিক্টোরিয়া তাঁকে দু’টি বই উপহার দেওয়ায়। সাম্রাজ্য তাঁকে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়ায় তিনি ৪০টা ব্রিটিশ শহর এবং আমেরিকা থেকে বক্তৃতা দেওয়ার ডাক পাবেন ... ... ...
সাহিত্যে লিখে দেওয়া যত সহজ চলচ্চিত্রে করে ফেলা ততটাই কঠিন। চলচ্চিত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণত ভাঁড়ামোয় পর্যবসিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। এব্যাপারটা আমাদের দেশে সত্যজিৎ রায়ের থেকে ভালো আর কেউ বুঝতেন না। এর কারণ শুধুমাত্র এই নয় যে সিনে-টেকনিক বা সিনে-প্রকরণবিদ্যার উপর তাঁর দখল ছিল ঈর্ষণীয়, এর সঙ্গে এটাও সত্যি যে তাঁর আঠাশটি পূর্ণ-দৈর্ঘ্যের ছবির মধ্যে কমবেশি বাইশটিই অন্যের লেখা সাহিত্য থেকে করা! ফলত তুলসীর সহজাত অভিনয় ক্ষমতা ও মৌখিক-দৈহিক বৈশিষ্ট্যকে ব্যবহার করে যতটুকু করা যায় তাই করেছিলেন সত্যজিৎ ... ...
কখনও মনে পড়ে – সরস্বতী পুজো হচ্ছে, সদর দরজার কাছে বাঁদিকে প্রথম ঘরে ঠাকুর। ঘর জুড়ে অনেক কিছু সাজানো। দূরে ঠাকুরের পাশে কয়েকটা বই রাখা, ওপরেরটা আমার। নীল মলাটের ওপর লাল আর সাদা দিয়ে লেখা। আমার বইটা নিয়ে নিয়েছে সবাই। এত জিনিস টপকে আমি যেতেও পারছি না যে তুলে আনব। মা সমানে বোঝাচ্ছে, যে, ঠাকুরের কাছ থেকে বই তুলে নিতে নেই। কিন্তু আমার ভবি ভোলার নয়। বারবার দরজা দিয়ে বইটা দেখছি, সদর দরজা অবধি দৌড়োচ্ছি আর প্রচণ্ড চেঁচিয়ে কাঁদছি। আচ্ছা, কী বই ছিল ওটা? দেওয়ালে ক্যালেন্ডার, মা কোলে করে ক্যালেন্ডারের সামনে আমায় নিয়ে গিয়ে বলছে, ‘এটা কে? আমি বলছি বিবেকান্দ-নন্দ।’ মা হাসছে, আমি হাততালি দিচ্ছি। ... ...
"ওই যে জায়গাটা একটা দমবন্ধ করা সংঘর্ষের প্রায়-সাক্ষী হতে যাচ্ছিল, সেই জায়গাটা ছাড়ার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পরে জিওয়ানিতে পৌঁছলাম। জিওয়ানি, বা হ্রদে কোন জল ছিল না, এক ফোঁটাও না, যতক্ষণ না আমার লোকেদের শুকনো জিভ তাদের মনে করিয়ে দেয় যে জলের জন্য মাটি খুঁড়তে তাদেরই এগিয়ে যেতে হবে ।" - চলছে উজিজির পথে এগিয়ে চলার বর্ণনা। এ পর্বে কাফেলার সদস্যদের কথা এবং এক নির্জলা হ্রদে পৌঁছনর কাহিনি। ... ...
মুর্শিদাবাদের কেল্লা নিজামতের ভেতরে ছোট ছোট নানান দর্শনীয় বিষয় ছিল যার অধিকাংশই আজ নষ্ট হয়ে গেছে, বিশেষ করে কেল্লার ভেতরের যেসব দৃষ্টি নন্দন বাগান ছিল আজ সেসব গভীর জঙ্গলে ঢাকা পরে আছে, যেমন আজ সেদিনের কেল্লার ‘মহল সেরা’ এলাকায় গেলে দেখা যাবে একটি বিরাট অঞ্চল জঙ্গলে পরিণত হয়েছে অথচ নবাবী আমলে এই এলাকাতেই ছিল দেশ বিদেশের দামি সুগন্ধি ফুলের বাগান, আজও অবশ্য সেই জঙ্গলের ভেতরে নবাবী আমলের কিছু ফুলের গাছ দেখা যায়। ... ...