হাতিবাগান বাজারে মনোরমা ভান্ডার আদতে মনিহারি দোকান। ছোটখাট ইলেকট্রিকের সরঞ্জামও রাখে। বেলা দশটায় দোকান খুলে গেছে। দোকানের মালিক জগন্নাথ পাল দোকান খুলে ভিতরটায় খুচখুচ করে ঝাড়ন মারছে। দুটো কাঠের টুল বার করে দোকানের বাইরে রাখল।তারপর হাত ঝেড়েঝুড়ে খবরের কাগজ খুলে বসে হেডলাইনগুলোয় চোখ বোলাতে লাগল। উল্টোদিকে একটা মশলাপাতির
১. তোমার শহরে বিকেল হচ্ছে বুঝি? এমন করেই আলো-মেঘে তোলপাড়? নিছক তোমায় ভাবতে চাইছি বলে, তোমার শহরে বিকেলটা
আসলে কী বাকি থাকে? থাকার কী কথা? চলে গেলে? হঠাৎ | খামখেয়ালে | অথবা, ক্রমশ | এক-একটা মেঘ | দু চার পা হাঁটা | তলানির চা | এইসব
চাঁপাফুলের গন্ধে এস এস অরুন্ধতী গুরুচন্ডা৯ প্রকাশনা দামঃ ১৫০ টাকা নিতান্ত শৈশবে মা বাবার সঙ্গে একটি বাড়িতে গিয়েছিলাম- মা র কোনো বন্ধুর পৈতৃক বাড়ি সম্ভবত। বড় বাড়ি, উঠোন, প্রশস্ত ঘরগুলিতে আরো কয়েকটি শিশুর সঙ্গে আমিও লুকোচুরি খেলছিলাম, খাটের তলায় লুকোতে গিয়ে মাথায় গুঁতো লাগছিল, প্রাচীন পালঙ্কের মশারি টাঙানোর একটি দন্ড বারে বারে হেলে পড়ছিল সেহেতু- এই সব মনে আছে। খেলা শেষে চেয়ারে বসে লুচি খেতে খেতে দেওয়ালের ছবি ... ...
কিশোরগঞ্জ তুমি কোথায়? কত দূরে? তুমি কি এসেছিলে আমার স্বপ্নে? নাকি ছিলে কল্পনায়? নাকি ছিলে গত জন্মে, কে জানে কোথায় ? তোমার কি মনে
দুপুর সাড়ে বারোটা বাজে। মনোরমা আকাশ আজ খেলছে বেশ উদাসি তুলো মেঘ আর রোদ্দুরের সঙ্গে। বসন্ত কেবিনের একপাশে ফুটপাথের ওপর ডুগডুগি বাজিয়ে একটা লোক বাঁদর খেলা দেখাচ্ছে। কেউ ডেকেছে হয়ত। গোল হয়ে কিছু লোক দাঁড়িয়ে গেছে। কিছু লোক উঁকি মেরে চলে যাচ্ছে। সাগরও দাঁড়িয়ে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে উঁকি দিল একবার। আঠারো দিন পর সে আজ বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। অনেকদিন পর পটলের ... ...
আগরতলা বইমেলায় গুরুচণ্ডাঌ 'র বই পাবেন উবুদশ-এর স্টলে। স্টল নম্বর - এম ৪৫।মেলা চলবে ৫ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত।
নিজের কাজকর্ম ফেলে নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে থেকে খেয়ে রাতদিন বইমেলাকে ভালোবেসে বইমেলায় পড়েছিলেন অতি অল্প কজন মানুষ।বাকিদের তো নিজস্ব হিসেব আছে, কারও লক্ষ্য বিপণন, কারও বইয়ের প্রচার, কারও লেখক পরিচিতি, আর কারও মুর্গি লেখক কবি পাকড়াও করা ইত্যাদি।দিল্লি থেকে চলে এমনি এমনি আসা মানুষটির নাম সুবিনয়।আক্ষরিক অর্থে ১৪ দিন নিজের কাজকর্ম ফেলে ... ...
এটি অতিকথন।রবীন্দ্রনাথের ছবি শত শত মুসলিম পরিবারে ছিল।নিজের পরিবারকে বড় করতে সমগ্র মুসলিম সমাজকে ছোট করার ইচ্ছে খ্যাতির লোভে একটা অতি-কথন।'মুসলিমরা গোঁড়া' -- এটা একটা মনস্তত্ত্ব, শুনতে ভালোবাসেন একদল গোঁড়া। নিজেদের পোগোতিশীল বলেন এবং মনে মনে ভাবেন।এঁরা আসলেই সূক্ষ্ম সুপ্ত সাম্প্রদায়িক।এঁরা যে সাম্প্রদায়িক নিজেরাও বোধহয়
রাজারা হাতি পুষতেন, আর এই যুবরাজ জামনগরে একটা আস্ত হাতির হাসপাতাল বানিয়েছেন। হাসপাতালের নাম ভ্যান্তারা। হাতি ছাড়াও, সেখানে লেপার্ড, কুমীর, সব মিলিয়ে খান চল্লিশ প্রজাতির চিকিৎসা হয়। তাদের জন্য বিশেষ অক্সিজেন থেরাপির ব্যবস্থা আছে। অত্যাধুনিক এমআরআই-টেমআরআই হয়। হাসপাতালটা খুব বড়ো নয়, মাত্র তিন হাজার একর। কত বড় যদি বুঝতে না পারেন, তো বলে ... ...
তোতাপাখি কথা বলে, ঠোঁট নড়ে পটপট, অশান্তির পাহাড়, শান্তির মা।
আমি আতঙ্কে কাটাই একটানা অনিশ্চিত আতঙ্কে মাথা ভোঁতা লাগেযেন কিছু ভাবতে চাই না আরসামাজিক মদ খাচ্ছি না অনেকদিনসিগারেটও খুব ইতস্ততভালো ছেলেও হতে চাইছি না কিন্তুএই ভোঁতা মাথা এই অনিশ্চিত আতঙ্ক একা একা ঘাড়গুঁজে কাজ লক্ষ্যহীন এই লিখে চলা আরও কিছু আশা করে কেবলই ব্লিঙ্ক
“যা কিছু অসাধারণ, তাকে ঘিরেই কিংবদন্তী গড়ে তোলার স্বভাব আমাদের। তা সে ঘটনাই হোক, কি কীর্তি। কখনও সেই কিংবদন্তী এমনই উচ্ছ্বসিত, যার প্রতাপে অসাধারণ হয়ে ওঠে অলৌকিক; কখনও আবার তা উৎসারিত এমনই ঈর্ষা-কুৎসা থেকে, যার প্রকোপে অসাধারণের প্রকৃত মহিমারও ঘটে যায় খর্বতা। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রেও বারবার এমন ঘটনা ঘটেছে।” সৌরীন্দ্র মিত্রের লেখা ‘খ্যাতি অখ্যাতির নেপথ্যে’-র ব্লার্বের শুরুই হচ্ছে ... ...
আছে কৌশলআছে চাঁদমারিআছে নিয়ত ক্রোধের চর্চাআছে শান্তির নামেসরকারি দামেঅবাধে মানুষ খরচাআছে কাঁটাতারআছে প্রহসনআছে যূগ যূগান্ত পারাপারআছে লুন্ঠনঅবগুণ্ঠন ছিঁড়েদেহ-তল্লাসি অধিকারআছে ঊর্দিরনীচে সিংহের ছাতিতারও ক' ত নীচে ঘেন্না ?আছে পদকের সারিআদমশুমারিবড় বেড়ে গেছে,.... আর নাআছে রাষ্ট্রআছে 'দ্রোহীতা'আছে শহুরে পেলব প্রতিবাদনেই ধর্মনেই সাম্যনেই জিগীষা শেষের অবসাদ ।
১৯.১১.২০২৩রাত ঘনিয়ে এসেছে।আমি জানি কালকের মতো তুমি স্বপ্নে দেখা দিয়েই আমায় ফেলে আর কোনো অজানার দুনিয়ায় উধাও হয়ে যাবে না।কথা তুমি রাখবে।আমি জানি আমার আশেপাশেই আছ তুমি।আমার পার্থিব অনুভবের বাইরে তোমার বিচরণ।তোমার সাথে আমি চাইলেও আমার হৃদয়ে পঞ্চাশটি বছর ধরে জমে থাকা হাজারো শব্দ কথা সুর কান্নাগুলো তোমার সামনে এনে ফেলে ক্ষমাভিক্ষার ঝুলিখানি মেলে ধরে ... ...
বাইরের ঝড়বৃষ্টির থেকেও সহস্রগুণ দামাল এই হঠাৎ সুনামি। অস্ফুটে গলা থেকে কোনোমতে স্বর বার করতে পারল তিয়াসা। রা... রা... তুল... ততক্ষণে কাকভিজে হয়ে কোনোমতে ঘরের বাইরে অবস্হিত এই গুদামঘরটির জানলার স্ক্রুগলো তার সাথে আনা যন্ত্রের সাহায্যে সন্তর্পণে খোলার কাজটা অর্ধেকেরও বেশি শেষ করে এনেছে। অবশেষে জানলার পাল্লাটা খুলে সে উন্মাদের ... ...
পর্ব ৪ আগের থেকে এখন রাতুলের খাটুনি যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। তা সত্ত্বেও তার মধ্যে কোনো ক্লান্তির উফ্ টুকুও নেই। উলটে তার মনে হচ্ছে, মামনের মামা মামীর খোঁজ আজ নয়, কাল করা যাবে'খন। ধীরে ধীরে তার এই চিন্তাতেও বদল এল। সে ঠিক করে নিল, তার আদরের মামনের মামার বাড়ির খোঁজ করার চিন্তা সে পুরোপুরি বাদ দিয়ে এবার সে এমন ব্যবস্হা করবে যাতে কোনোদিন তাকে মামনের কাছ থেকে ... ...