হটীমৌসুমী ঘোষ দাস ১৭৭৪ সালের এক সকাল। স্থান কাশীধাম, দুর্গামন্ডপের অনতিদূরে ‘কুরুক্ষেত্র তালাও’। দূরদূরান্তের মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করলো সেখানে। ওরা খবর পেয়েছে আজ একটা মস্ত বড় তামাশার আয়োজন হয়েছে। তামাশাটা হল বিশুদ্ধ সংস্কৃত ভাষায় তর্কযুদ্ধ। যদিও ওই অং বং চং ভাষা জনসাধারনে বোঝে না, বোঝার আগ্রহও নেই। তবুও তারা উৎসাহিত এই তর্কযুদ্ধ দেখতে। কারণটা হল, পুরুষের বেশে একজন স্ত্রীলোক আজ অংশগ্রহণ করছেন। যিনি পুরুষের মতো কাছা দিয়ে ধুতি পরেন, উর্ধাঙ্গে পিরান( ঢিলেঢালা জামা) এবং নামাবলি, মুন্ডিত মস্তক, দীর্ঘ টিকি, হাতে কানে গলায় কোন অলঙ্কার নেই, কেবলমাত্র একটি রুদ্রাক্ষের মালা, কোন অবগন্ঠন বা পর্দার বালাই নেই – সর্বসমক্ষে পুরুষের সঙ্গে ... ...
তেমন গরম পড়েনি এখনও। সন্ধের ঝটকা হাওয়ায় ধুলো উড়ছে এলোমেলো। পার্বতী মেঠো উঠোন ঝাঁট দিচ্ছে সনিষ্ঠ যত্নে।বসে থাকলে চলে না। সে বসে গেলে পরিবারও বসে যাবে।আরো তিনটে ছেলেমেয়ে আছে। কাঁচা বয়েস, কাঁচা মন। তবে পেকে যাচ্ছে অকালের বাতাসে।
ওসেইফ আর আজরার দুজনেরই বাড়ি শোপিয়ান থেকে বাইশ কিলোমিটার দূরের এক গ্রামে। গ্রামের নাম গুলসুমা। তাদের গাঁওয়ের মধ্যে দিয়ে ঝিলমের জল বয়ে গেছে। খুব শান্ত তীর - ঠিক ঝিলমের জলের মতোই ।সেখানে শোপিয়ানের মতো হালচাল নয়। মিলিটারিতে ছেয়ে থাকে না পথঘাট। লেড়কা লেড়কিরা নিয়মিত স্কুল করে। পড়াই লিখাই করে। সেখানে অবশ্য কাশ্মীরি ভাষার কোন জায়গা নেই। শুধু হিন্দী বা ইংরেজী ইস্তেমাল করা হয়। আব্বা আম্মা ক্ষেতি করে। গাঁওয়ের কেউ কেউ সোনমার্গে থাকে। ওখানে ডাল লেকে শিকারা চালায়। দুএকজনের হাউস বোট আছে পারিবারিক সূত্রে। ভাড়া খাটায়। এখন অবশ্য মার্কেট ডাল। হাল হকিকৎ খুব খারাপ ... ...
স্বাস্থ্য সাথীর খেল আমার নিজের চোখে দেখা। আজ বরং সেই অভিজ্ঞতা share করি। একটু বুদ্ধি থাকলেই বোঝা যাবে এই প্রকল্প চালুর পেছনে বীমা কোম্পানিকে তোষণের পরিকল্পনা আছে। সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে দলে দলে মানুষ বেসরকারি হাসপাতালএ ছুটছে, অথচ সরকারি হাসপাতালের বেড খালি পরে থাকছে -- ব্যাপারটা কিরকম যেন 'ইয়ে' নয়?
মোজাম্মেল হক আরাম করে হেলান দেওয়ার ভঙ্গিতে বসে আছেন। মুখে দুনিয়ার যাবতীয় সুখ। পকেটে রাখা বিদেশী সিগারেটের প্যাকেটটা হলো খুশির কারণ। তবু তাঁকে কর্কশ গলায় ডাকাডাকি করতে দেখা গেল। “কই তারার মা, পোলাও মাংস রাঁধতে বলসিলাম নাকি। একটা কাজ যদি করে ঠিক মতো”। তাঁর মতে, ঘরের মেয়েমানুষদের সঙ্গে ছাঁড় দিয়ে কথা বলতে হয় না। বললেই বিপদ, এরা দাম দিবে না। মাথায় চড়ে ঢং-আহ্লাদ করবে। ধমকের উপর রাখলে সে সাহস গজাবে না। কৌশলটা মোজাম্মেল হক শিখেছেন তাঁর এক চাচার কাছ থেকে। যদিও চাচাজানের একটা অভ্যাস তাঁর ভালো লাগে না। অভ্যাসটা হলো গায়ে হাত তোলা। খুব মারধর করতেন চাচাজান। বউ-সাবালক মেয়ে-ধামড়া ছেলে ... ...
যদি সমাজের নিয়ম না মানো তবে তুমি দূরাচারী।
বিদ্যাসাগরপুজোর হিড়িকে আমরা যেন ভুলে না যাই তাঁর প্রায় একশ বছর আগে রামপ্রসাদ সেন বাংলাভাষায় যে পদগুলি রচনা করেছিলেন, তার সঙ্গে আজকের লিখিত বাংলার ফারাক সামান্যই। এবং তাঁর বহু পদ বরিশালের মাঝিমাল্লার কাছ থেকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগুপ্ত কবিকাহিনিতে ছাপিয়েছিলেন। তবে রামপ্রসাদী বাংলা যাকে বলে যবনীমিশেলযুক্ত, যে বাংলাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদূরিত করার ইচ্ছে অনেকে আজ প্রকাশ করছেন।আরও ইন্টারেস্টিং দীনেশচন্দ্র সেন বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থে চৈতন্যসাহিত্য থেকে কিছু বাংলা গদ্যের নমুনা দিয়েছেন, যেগুলি প্রায় পাঁচশ বছর আগে রচিত। পাঠক পড়লে দেখবেন, সেই অর্বাচীন বাংলায় কত প্রাঞ্জল গদ্যরচনা হত।বাংলাভাষার আগের অর্জনগুলি ভুলে/ না জেনে জপেনদার মতন শুধু বিদ্যাসাগরচর্চা করলে আমরা একটা বড় প্রশ্নের ... ...
মিলি আপেল গাছের নীচে বসে পাহাড়ের উপর দিয়ে বৃষ্টির মেঘের ঝলক দেখতে পেয়েছিল। কি ভেজা দিন! তিনি একটি আপেল খেয়েছিলেন এবং বৃষ্টি থামার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। শীঘ্রই এটি করা। আকাশ আবার নীল হয়ে গেল, এবং সূর্য উজ্জ্বল, উষ্ণ এবং সোনালী। তারপরে সে রংধনু দেখেছিল। এটি মেঘের উঁচু আলোর বিস্ফোরণ হিসাবে শুরু হয়েছিল। চকচকে রঙে আকাশটি ভরা: নীল, কমলা, সবুজ এবং বেগুনি। তারপরে রামধনুর উভয় প্রান্তই ... ...
গত এক বছরে কমপক্ষে পঁচিশ থেকে তিরিশজন পরিচিত ব্যক্তি মারা গেছেন, বেশিরভাগই কোভিডে। এমন বহু মানুষ, যাদের স্নেহছায়ায় ছোটবেলা কেটেছে, যাদের সঙ্গে একসময় নিত্যকার হাসিমজা বা খুনসুটির সম্পর্ক ছিল, তারা চুপচাপ বিদায় নিয়েছে মহামারির মধ্যেই। আচমকা বিদ্যুৎচমকের মতো একেকটা দুঃসংবাদ আছড়ে পড়ে, স্কুলের বন্ধুর মা বা পরিচিত কোনো বন্ধুর বাবা গত হয়েছেন, তখন কত কথা মনে পড়ে যায়। এরকম কত কত মানুষ যাদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে দেখা সাক্ষাত নেই, তাদের ঘিরে ধরে থাকা সুখস্মৃতি নাড়া দিয়ে যায় তখন। বন্ধুর মায়ের হাতের রান্না বা প্রয়াত অগ্রজ বান্ধবদের স্নেহমাখা বকুনির কথা এসে ধাক্কা দেয় মানসপটে। কত কত সম্পর্ক! কত স্মৃতি! কালের নিয়মে ফ্যাকাসে ... ...
অধিক ফ্যাচফ্যাচ করে লাভ নেই। আমরা, বাঙালিরা মাতৃভাষার জন্য বিস্তর ঘাম, রক্ত ইত্যাদি ঝরিয়েছি ঠিকই। তার প্রমাণ, আসামের উনিশ, পূর্ববঙ্গের উনিশ, পশ্চিমবঙ্গের একষট্টি। কিন্তু এত যুদ্ধবিগ্রহের পরও আমরা বহুটুকরো, রাজনৈতিকভাবে, এবং তারচেয়েও বড় কথা মনোজগতে। বঙ্গভাষীরা কেউ বিশেষ কারো খোঁজ-টোজ রাখেনা। আসামে এনআরসি নিয়ে হুজ্জুতি হলে, সেটা যে বঙ্গভাষীদের সমস্যা, এটা আমরা প্রতিষ্ঠাই করতে পারিনি। তা, সে পুরোনো কেচ্ছা, এখন বিশ্বের বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হয়ে গেছে আসামে, কঠোর বিকল্পের আর কোনো পরিশ্রম নেই, ফলে ওসব চুকে বুকে গেছে, আমরাও ভুলে মেরে দিয়েছি।পূর্ববঙ্গের ক্ষেত্রেও তথৈবচ। তিনদিন আগে যে রবীন্দ্রমূর্তি চুরি হয়ে গেছে ঢাকায়, পশ্চিমবঙ্গের লোকেদের মধ্যে দেড়জনও তার খবর রাখেন ... ...
প্রত্যাশা নিয়ে গল্পের কাছে যাই নি তো। অক্ষরজ্ঞান হয়নি -প্রথম যখন গল্পের কাছে; মা রঙচঙে বই থেকে পড়ে শোনাচ্ছে, সেখানে একটা লাইন- আকাশ ভেঙে পড়েছে রে আকাশ ভেঙে পড়েছে; মা পড়ছে, আর বিশাল একটা কিছু আমাকে গিলে নিচ্ছে, মাথা, মুখ, নাক, কান আর চোখ ঢাকা পড়ছে, দমবন্ধ হয়ে আসছে - এইরকম অনুভূতি হচ্ছে আমার; কিন্তু বিশাল ব্যাপারটা যে কী আর বিরাটত্ব ঠিক কতখানি - সেইটা বুঝতে পারছি না। খাবি খাচ্ছি, তারপর তারস্বরে কেঁদে উঠছি একসময়। অথচ মা কে বারবার বলছি ঐ লাইনটাই পড়তে- ডুবে যাওয়ার অনুভূতি আবার পেতে চাইছি ; মা যখন বাড়ি নেই, বই হাতে আমি ঠাকুমার কাছে যাচ্ছি, তারপর ... ...
আর আমার রূপকথায় একটু নারীশক্তির প্রকাশ আছে। রাজা, রাজপুত্তুরেরা আর নায়ক নন, ভুল ভ্রান্তি ভরা সাধারণ মানুষ। রানিরা আর রাজকন্যেরা দুর্বল নন, অসহায় নন, তাঁরাই সক্ষম । বিপন্ন হলে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিজেরাই করতে পারেন। নিঃসন্দেহে তাঁরাই নায়ক। তাঁরা নিজেরা শত্রুজয় করেন, কিন্তু বাহুবলে নয় বুদ্ধিবলে। রাজ্য উদ্ধার করেন, সুবুদ্ধির বলে। নারী-পুরুষের সামাজিক অসাম্য ঘোচাতে,নারীর আত্মনির্ভরতার প্রতি সম্মান জাগাতে এই দৃষ্টিভঙ্গি জরুরি। ... ...
রেললাইনে ছড়িয়ে থাকা হালকা পোড়াদাগওয়ালা কটি হাতরুটি, তাতে রক্তের ছিটে, এই ছবি আমাদের অনেককেই তাড়া করে ফিরেছে গত বছরের বেশ কিছুদিন। ‘পরিযায়ী শ্রমিক’, ওই যারা শতেকে হাজারে হেঁটে চলে মাইলের পর মাইল হাতে পিঠে বোঁচকা আর ঘাড়ের উপর বাচ্চাকে বসিয়ে। এমনিতে এ রাজ্যে আন্য রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক আমরা দেখে আসছি বরাবরই, কিন্তু লকডাউন বোধহয় আমাদের প্রথম দেখায় এঁদের সংখ্যার ব্যপ্তি, দুর্দশার বিস্তার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এঁরা অন্যত্র যাচ্ছেন বহুদিন। মালদা থেকে দিল্লিগামী ট্রেন ফরাক্কা এক্সপ্রেস, যাকে মালদার লোক বলেন ‘লেবার ট্রেন’, লোকবোঝাই হয়ে চলে যায় দিল্লিতে শ্রমিকের যোগান দিতে। ওইরকম আরো ট্রেন চলে যায় মুম্বাই, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, কেরালা মায় উত্তরাখন্ড ... ...
কলকাতা পৌর নির্বাচন, বামফ্রন্ট, সিপিএম
1 ²²ßîìHIò²ßþ éëóÙ Áëáë²ßþ õr´á زÉÜ âëó²ßȱ ²ßóä ²ßþíìزáóزë гóá Õ²òó²Ô²óϳ¸ Çó²ßȱ²ßëó²ßþ гóá t²í²ßþ! ܳڳí ìÜóг²ßþ Éëز ÇáÜ ìÜì³Úý³©» ²ßȱó²ßþ õÞ²óäóϳ õâ Dzßþ ÁÜø õ²ßȱëÜÆ ì³Ú³ó²ßȱ ²ßóâþ âëÆâþë²ßþ Áë²ßþ
গ্রামের নাম পুলনা। চিরতরে হারিয়ে গেছে এই গ্রাম। না, নামটা আছে, গ্রামটাও আছে। কিন্তু বদলে গেছে আমার স্মৃতিতে ধরে রাখা এক চিলতে গ্রামের সেই পরিচিত দৃশ্য, যেখানে সূর্যের আলো মাথায় হাত দিয়ে ঘুম ভাঙাত। চা-ওয়ালা রমনকিশোর ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স-এর ট্রেকারদের চা দিতে ভুলে গিয়ে মোহিত হয়ে তাকিয়ে থাকত আচমকা জেগে ওঠা রামধনুর দিকে। হেমকুণ্ড সাহিবগামী তীর্থযাত্রীরা চলে যেত এই গ্রামের পাশ দিয়েই কিন্তু ফিরেও চাইত না গ্রামের মোড়ল রামধনীর দিকে। গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান যদি নিয়ম করে নদীর ধারে গিয়ে রঙিন পাথর কুড়োয় তাহলে কে আর পাত্তা দেয়? গোবিন্দঘাটের হইচই থেকে দূরে পাহাড়ের কোলে নিরবিচ্ছিন্ন শান্তিতে ঘুমিয়ে থাকত পুলনা। নাম না জানা পাখিরা ... ...
লেচ নদীর জল এতটাই পরিষ্কার যে ওপর থেকে জলের নিচের নুড়ি, পাথর সমস্ত একদম স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এমনিতে জলের গভীরতা বেশি নয় কিন্তু ভীষণ রকমের খরস্রোতা, যেন বয়ে চলেছে আপন আনন্দে, নাচতে নাচতে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো লেচের দিকে তাকিয়ে বসেছিলাম, হটাৎ গায়ে দু এক ফোঁটা জল পড়তে সম্বিৎ ফিরলো। পাহাড়ি পরিবেশে আবহাওয়ার পূর্বাভাস সবসময় হুবহু মিলবে সেটা ভাবা ভুল, আজ পূর্বাভাস ছিল সারাদিন শুকনো থাকবে, ছিলও তাই কিন্তু আলো কমে আসার আগেই বৃষ্টি শুরু হলো, তাই দেরি না করে কম্বল গুটিয়ে হোটেলের দিকে হাঁটা শুরু করলাম। যাবার পথেই একটা আপওথেকে দেখতে পেয়ে ঢুকতে হলো, জার্মানি তে ওষুধের দোকান কে আপওথেকে বলে। ... ...
শুধু ভালবাসায় ভর করে হাঁটা যায় যোজনপথ আমাদের সমস্ত শিল্পপ্রকাশই কোনও না কোনওভাবে প্রেম-ভালবাসার কাঙালপনা, আকুতি, চাওয়া পাওয়া, হারানো এই সমস্তকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। ভালবাসা এই চতুর্বর্ণে বর্ণমালা শেষ হয়ে যায়। শুধু ভালবাসায় ভর করে হাঁটা যায় যোজনপথ। প্রতিটি নারী অথবা পুরুষ নিজের মতো করে এক চিরন্তন রাধিকা বা বনমালী। ভালবাসা ক্ষমাপ্রবণ করে তোলে, শান্ত করে অস্থিরতা। বেঁচে থাকা রমণীয় করে তোলে দু’দণ্ড। প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু, মা-বাবা, স্বামী স্ত্রী, ভাই-বোন বা নামহীন অজস্র সম্পর্কের সুতোয় টান পড়ে কতবার। অথচ ‘ভালবাসি’ কথাটি সে ভাবে বলে ওঠা হয় না অনেকেরই। ভালবাসার কথা সেভাবে বলে ওঠা হয় না। বলে ওঠা হয় না ভালবাসি, সত্যিই ভালবাসি, ... ...
কি কান্ড, ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি তিনি বেঁচে আছেন। অবশ্য মারা গেছেন এ খবরোতো আসেনি কখনও কানে, একথাও মনে এলো। এককালে যার ছবি তখনও পর্যন্ত দেখা না থাকলেও কৌলীন্য হারানোর ভয়ে বন্ধু মহলে 'হ্যাঁ দেখেছি' বলে বিজ্ঞের ঘাড় নাড়াটা ছিল বাধ্যতামূলক তাঁরও বয়স হয়ে গেল একানব্বই! হীরকখণ্ড থেকে ঠিকরে বেরোনো বহু-কৌণিক আলোই আসলে হীরে, হীরকখণ্ডটির কথা কে আর জানতে চায়, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন! প্রখ্যাত ফরাসী পরিচালক জাঁ লুক গদারের (৩ই ডিসেম্বর,১৯৩০-) চলচ্চিত্রও তাই!! ... ...
মানব সভ্যতার ইতিহাসে চাকার আবিষ্কার এবং তার গুরুত্ব প্রশ্নাতীত! - তাই কি? একবার ভাবুন, গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রতি বছর প্রায় ১৩ লক্ষ লোক মারা যায় এবং গাড়ি চলবার জন্য যেহেতু চাকাই দায়ী তাই চাকার ব্যবহার বন্ধ করা হোক, অন্তত লক্ষ লক্ষ লোকের প্রাণ বাঁচবে। এবার আগুনের ব্যবহার নিয়েও ভাবুন, প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ লোক আগুনে পুড়ে মারা যায় - কি মারাত্মক প্রযুক্তি! এর থেকে কাঁচা শাক-সবজি, মাছ-মাংস খাওয়া খুব ভালো, বাকি পশুপাখিরা যেভাবে থাকে; মানে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেচে থাকা যাবে। আপনি বাড়িতে কি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন? এখুনি বন্ধ করুন, একটি একটি গ্যাস সিলিন্ডার যেন এক একটি বোমা, ... ...