#ভ্রমণসাহিত্য কালকে একটা হাসির বইয়ের সন্ধান দিয়েছিলাম। আজ একটা অসাধারণ ভ্রমণের বই সম্পর্কে জানিয়ে যাই। ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভ্রমণ সাহিত্যের ভক্ত বলে খুঁজে খুঁজে সমসাময়িক লেখকদের লেখা পড়তে চেষ্টা করি। উমাপ্রসাদ, প্রবোধ কুমার স্যানাল, শম্ভু মহারাজ, নবনীতা দেব সেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়দের লেখা তো অনেকেই পড়েছেন, কিন্তু এখনও একাধিক লেখক নিয়মিত এই ধারায় অনবদ্য লেখালিখি করছেন। সেই নিয়ে আলোচনা হয় না বললেই চলে।আগে আমার প্রিয় কিছু লেখক আর বইয়ের কথা জানিয়ে দিই। আমি নিশ্চিত, এদের কলমের স্বাদ পেলে পাঠকরা এদের মাথায় বসিয়ে রাখবেন। সমসাময়িক ভ্রমণ সাহিত্য নিয়ে যে কিছুটা ধোঁয়াশা আছে, তাও কাটবে ধীরে ধীরে। ভ্রমণ সাহিত্যের অনুরাগী হিসেবে আমার পাঠকদের প্রতি ... ...
গল্প পড়তে সবাই কম বেশি পছন্দ করে। সেই মজার গল্পই হোক বা ভূতের গল্প, বিশেষ করে এখন কাল্পনিক ঘটনা মিশ্রিত গল্প এবং ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চার টাইপের গল্পগুলি পড়তে মানুষ বেশি আগ্রহী। তবে শুধু মজার গল্প পড়লে চলবে কি? কিছু গল্প আছে যেগুলি আমাদের প্রেরণা দেয়। বর্তমানে বন্দিজীবন এবং আমরা এক লড়াই এ সামিল। বলতে গেলে ভাইরাস এর সাথে লড়াই । তাই নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে প্রেরণা দরকার। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলেও মোটিভেশনটা জরুরি। ... ...
বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত শিক্ষার্থিদের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশে নূন্যতম নম্বর বা যোগ্যতার ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট। তার প্রাসঙ্গিকতা বিচার্য।
"আপনি কেন হাসপাতালে গেলেন?" এই প্রশ্নটা আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন। উত্তরটা দেওয়ার আগে কয়েকটা জরুরী কথা বলে নেওয়া দরকার:১) যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে যাবেন। ২) মনে রাখবেন হাসপাতাল ছাড়া কোভিড-ইমার্জেন্সির ঠিকঠাক চিকিৎসা সম্ভব নয়। ৩) বেড না পেলে বন্ধুবান্ধবদের খুঁজতে দিন আর আপনি স্টপগ্যাপ হিসেবে প্রোনিং (উপুড় হয়ে শোয়া) করুন এবং দরকার হলে অক্সিজেন নিন। কিন্তু এদুটোর কোনোটাই স্থায়ী সমাধান নয়। হাসপাতালে বেড পাওয়া গেলেই সেখানে চলে যাওয়া দরকার। ৪) ঠিক সময়ে হাসপাতালে যাওয়াই হল বাঁচার একমাত্র উপায়।৫) হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে অহেতুক আশঙ্কায় দেরী করে নিজের ক্ষতি করবেন না। আমার ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছিল - ... ...
প্রতিটি মেয়ের এক গোপন নিজস্ব যুদ্ধ আছে, যা তাকে রোজ নিয়ম করে সকলের চোখের আড়ালে লড়তে হয়। সেই যুদ্ধের সব ক্ষত সব রক্তপাত যত্নে লুকিয়ে হাসিমুখে পৃথিবীর মুখোমুখি হতে হয় রোজ। প্রতিটি মেয়ে জানে রোজ কত অপমান, অবিচার, তাচ্ছিল্য উপেক্ষা করে তাকে রেসের শেষ ফিতেটা আঙুলে ছুতে হয় – দৌড়টা কিন্তু তাকেই প্রাণপণে ছুটতে হয়, কেউ তার হয়ে ছুটে দেয় না। ... ...
শরীর....... সর্বশক্তিমান শরীর। বেশ্যার ঘরে যা দেখে নাক সিঁটকে বলেন পাপ কাদা, নর্দমার নোংরা ....আগ মার্কা গঙ্গাজলে ধোয়া কত তুলসীপাতা বচন। অথচ যুগযুগান্ত ধরে আকন্ঠ আদিম তেষ্টায় সেই নোংরা জলই তো গিলে আসছে মানুষ। আচ্ছা স্পষ্ট করে বলুন দেখি - নোংরা কাকে বলে? আর পাঁচটা বিকিকিনি এর মতোই তো পয়সার বদলে শরীর - সোজাসাপটা হিসেব। কই মুদির দোকানের হিসেব মেলানোটাকে তো নোংরা মানে করেন না ? ... ...
আদর্শ বাঙালির সিক্স প্যাক বা সেক্সী প্যাক কিছুই নেই। ভাতখেকো তাই ওপরে নিচের অংশটা সরু, পেটের দিকটা মোটা তাই আদুরে নাম পটলা। চায়ের দোকান থেকে খাবার টেবিলে ভীষন প্রতিবাদী তাই উপাধি পেয়েছি নকশালি। আরে একসময় দেখতেন না, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেই আপনি হয়ে যেতেন মাওবাদী তেমনিই একটা ব্যাপার। তবে আমি নেতা মন্ত্রীদের বিরোধিতা তো দূরে থাক পাড়াতুতো রাজনৈতিক টিকটিকি গিরিগিটিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলি নি কখনও। যত হম্বিতম্বি চেনাজানা মহলে আর কি। ... ...
লম্বা লম্বা লেখা এই খেরোর খাতায় আসে কিনা বোঝার দরকার। অতএব বন্ধুরা নোটি পাইয়া বিরক্ত হইবেন না। কারণ এখানে লেখা প্রাইভেট করা যায় কিনা, যাইলে তা কেমনে, এসব আমার গুরু পিনু মিত্তির আমারে শেখায়নিকো। কাজেই আমি আনাড়ি নম্বর ওয়ান এখন আপনাদিগে আরো বিরক্তাইব। কারণ এর আগে একটা লম্বাপানা লেখা লিখে এখানে পোস্টালুম, সে দেখি মোটে চার লাইন আইছে। এখন সে আমারই আনাড়িত্বের কারণে নাকি অন্য গল্প সেটা বোঝা দরকার। তাই এই পোস্ট। এখন দেখে মনে হচ্ছে বেশ এট্টু লম্বাইছে ব্যপারখানা, এবার পোস্টিয়ে দেখাই যাক ... ...
সেকালে সিনেমা হলে পৌঁছে গেটের মুখে "হাউস-ফুল" বোর্ড ঝোলানো দেখে অনেকেই ভিরমি খেতেন। চোখে সর্ষেফুল দেখার মতো অবস্হা। সেই সুযোগে অনেকে টু’পাইস কামিয়ে নিতো টিকিট ব্ল্যাক করে। গেটের মুখে একটু আড়ালে দাঁড়িয়ে নিচু গলায় হাঁকতো - "দো কা পাঁচ, দো কা পাঁচ।" অর্থাৎ দু’টাকার টিকিট কালোবাজারীর হাত ঘুরে পাঁচ টাকা। উপায় না দেখে অনেকেই বেশি দাম দিয়ে টিকিট কিনে হলে ঢুকতেন। সঙ্গে একজন বান্ধবীও থাকতো।সিনেমা হলে ঢোকার অগ্রিম টিকিট বুকিং কাউন্টার থেকে দু'দিন আগে দেওয়া হতো। সকাল আটটা নাগাদ কাউন্টার খুলতো। দশটার মধ্যেই সব টিকিট শেষ। দারোয়ান "হাউস ফুল "বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে ঝাঁপ বন্ধ করে দিতো বুকিং কাউন্টারের। ... ...
ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি Covid-19 Wave: Urgent StepsThe Lancet Covid-19 Commission, India Task Force ভারতের বর্তমান (১০’ই এপ্রিল, ২০২১) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বিখ্যাত ল্যান্সেট পত্রিকার তত্ত্বত্তাবধানে সদ্য একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে পাব্লিক পলিসি নির্ধারণের জন্য সামগ্রিক ভাবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কয়েকটি গাইডলাইন স্থির করা। আজ আমি এই পোস্টের মাধ্যমে রিপোর্টে প্রকাশিত প্রায় সব তথ্য এবং প্রস্তাবিত গাউডলাইন গুলোকে খুব সংক্ষেপে এবং পয়েন্ট আকারে লিখবার চেষ্টা করলাম - ভারতে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে কিছু নতুন তথ্য ঃ ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ’র সাথে প্রথম ঢেউ’র কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য পাওয়া গেছে। প্রথম পার্থক্য হচ্ছে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যা এবার অনেক বেশি। ... ...
কিছু কথা ছিল যা বলা হয় নিএবং বলা হবেও না কোনদিনকারণ তারা কোন বলবার মত কথা নয়তাদের শব্দবন্ধগুলি জোড়হীন ভাবেপরস্পরের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে শুধু,শব্দবন্ধ থেকে বাক্যবন্ধ হবার নিয়তিসে তাদের নয়।তবুও তাদের অস্তিত্বের পদধ্বনিতাদের শব্দে শব্দে সুখদুঃখের ছায়াএসবই তাদের কাহিনীকে আখ্যায়িত করে চলেনৈর্ব্যক্তিক, কারণ তাদের শোনার কেউ নেইতবু উচ্চারিত না হয়েও তাদের ঠিকনীরব বলা যায় না।কারণ সব কথা বলতে নেই উচ্চারণেসব শব্দ সশব্দ হবার প্রয়োজন নেইকারণ নিঃশব্দ মানেই নিস্তব্ধ নয়।অন্তহীন শব্দের সাগরে আমিনিঃশব্দ ভেসে থাকি। ... ...
আমাদের ছোটবাড়ি আমি যখন ছোট ছিলাম সংসারে সব জড়, স্থাবর, অস্থাবর পদার্থ ছিল পরিবারের সদস্য, তাদের একটা করে নাম ছিল, নিজস্ব পরিসর, কর্তব্য, স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ছিল। ফুল কাটা কাঁসার বাটি মানে মাঝারি মাপের, নীচে একটু টোল খাওয়া, বাবার রাতে দুধ খাওয়ার বাটি – সে কাজ অন্য কোন কাঁসার বাটি দিয়ে হবে না। বড় বাড়ি মানে আমাদের সাত পুরুষের মিত্র বাড়ি আর নববসু লেন এ আমার দাদার (ঠাকুর্দার) কেনা মাঠ ও বাগান শুদ্ধু দোতলা বাড়িটি ছিল ছোট বাড়ি – প্রবীণতার দাবীতে বরাবর এক পা পিছিয়ে রইল সে। আমাদের ছোট বাড়ি ছিল একটা ছোট দোতলা টালির ছাদ ছাওয়া বাড়ি, ... ...
জীবনের প্রথম ছবি যেটি দেখেছি সে হল গুপি গাইন বাঘা বাইন। তারপর তাঁর ছবি দেখতে দেখতেই বড় হয়ে ওঠা। পাশাপাশি যখন অন্যান্য দেশি, বিদেশি পরিচালকদের কাজ দেখতে শুরু করলাম, তখনও তাঁর স্থানচ্যুতি ঘটেনি। ক্রমে প্রত্যাশা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিটিক্যাল চোখ তৈরি হয়েছে। তাও সত্যজিত রায়ের অবদান বেশ কিছুটা। ছবি দেখতে দেখতে শেখা। মানে দেখতে শেখা। ভাবতে শেখা। কিছু কথা উঠেই আসে। তাঁকে প্রগাঢ় সম্মান জানিয়েই উঠে আসে। ... ...
"...মায়ের মৃত্যুর পর একবার ঊনকোটি গিয়েছিলাম, কয়েকবার দেখা ক্ষীণ ঝর্ণাধারা, নীচে সীতাকুণ্ড। সীতাকুন্ডের জলকে একটু ছুঁয়ে দেখলাম, ঝট করে মনে হল মায়ের মৃতহাত, ঠান্ডা। বহুদিন ঊনকোটি নিয়ে কিছু লাইন লেখার চেষ্টা করেছি। অনেকবার দেখা জিনিসকে নিয়ে কিছু লেখা যায় না। আবছা করে আঘাত দিয়ে যায় যে মানুষ, যে বন্ধু, যে প্রেম, যে নদীর শরীর, দ্রুত চলে যাওয়া কোন স্টেশনের সাইনবোর্ড, এক ঝলকের জন্য দেখা কুটির প্রাঙ্গনে দড়িতে ঝোলানো হলুদ শাড়িটি অনেক বেশী কবিতাসূত্র দেয়। যার কাঁধে মাথা, যার সঙ্গে মিশে আছি দিনরাত, কবিতা তাকে ভয় পায়।... " পুরো লেখাটাই সুন্দর লাগল তো বটেই, এই অংশটা বেশিকরে। কেন? রিলেট করতে পারলাম বলে কি? ভেবে দেখলাম, ... ...
গোয়েন্দা গল্প পড়েন? প্রিয় গোয়েন্দা কে? বাঙালি গোয়েন্দা বেশি পছন্দ নাকি বিদেশী? ফেলুদা নাকি ব্যোমকেশ? সত্যসন্ধানী কাকাবাবু নাকি অর্জুন? নাকি এখনও মুগ্ধতা আটকে আছে তিন গোয়েন্দার সাথেই? কার সাথে অ্যাডভেঞ্চারে ছুটতে বেশি ভালো লাগে?
ভাত বঙ্গ জীবনের অঙ্গ, দুবেলা দুমুঠো ভাত না হলে বাঙালির চলে না। তবে সবকিছুর মধ্যেও পান্তা নিয়ে বাঙালির যা মাতামাতি তা অন্য কিছুতে নেই। আগের দিনের ভাতকে সুস্বাদু করতে তাতে জল ঢেলে কাঁচা লঙ্কা, পেয়াজ, ভাজা আর চচ্চড়ি দিয়ে পান্তা খাওয়ার চল সেই প্রাচীন কাল থেকেই।
ফিলিপ লারকিন একজন বিখ্যাত কবি। আমি তার নাম আগে কোথাও শুনি নাই। কবিতা লেখার কায়দা কানুন বিষয়ে একটা বই পড়তে গিয়ে টের পেলাম তিনি খুব নামকরা কেউ। বইটা ইংরেজীতে ছিল, ব্লগার ইমন জুবায়েরের ব্লগ থেকে পেয়েছিলাম। বেশি দূর পড়া হয়নি। আরো নানান সুত্রে লারকিন এর নামোচ্চারন শুনলাম, এবং ভাবলাম একটু নেটে খুঁজেই দেখি না। This Be The VerseThey fuck you up, your mum and dad.They may not mean to, but they do.They fill you with the faults they hadAnd add some extra, just for you.But they were fucked up in their turnBy fools in old-style hats and coats,Who half the time ... ...
তেমন গরম পড়েনি এখনও। সন্ধের ঝটকা হাওয়ায় ধুলো উড়ছে এলোমেলো। পার্বতী মেঠো উঠোন ঝাঁট দিচ্ছে সনিষ্ঠ যত্নে।বসে থাকলে চলে না। সে বসে গেলে পরিবারও বসে যাবে।আরো তিনটে ছেলেমেয়ে আছে। কাঁচা বয়েস, কাঁচা মন। তবে পেকে যাচ্ছে অকালের বাতাসে।
হটীমৌসুমী ঘোষ দাস ১৭৭৪ সালের এক সকাল। স্থান কাশীধাম, দুর্গামন্ডপের অনতিদূরে ‘কুরুক্ষেত্র তালাও’। দূরদূরান্তের মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করলো সেখানে। ওরা খবর পেয়েছে আজ একটা মস্ত বড় তামাশার আয়োজন হয়েছে। তামাশাটা হল বিশুদ্ধ সংস্কৃত ভাষায় তর্কযুদ্ধ। যদিও ওই অং বং চং ভাষা জনসাধারনে বোঝে না, বোঝার আগ্রহও নেই। তবুও তারা উৎসাহিত এই তর্কযুদ্ধ দেখতে। কারণটা হল, পুরুষের বেশে একজন স্ত্রীলোক আজ অংশগ্রহণ করছেন। যিনি পুরুষের মতো কাছা দিয়ে ধুতি পরেন, উর্ধাঙ্গে পিরান( ঢিলেঢালা জামা) এবং নামাবলি, মুন্ডিত মস্তক, দীর্ঘ টিকি, হাতে কানে গলায় কোন অলঙ্কার নেই, কেবলমাত্র একটি রুদ্রাক্ষের মালা, কোন অবগন্ঠন বা পর্দার বালাই নেই – সর্বসমক্ষে পুরুষের সঙ্গে ... ...