প্রতিষ্ঠানবিরোধী রাজনীতিতে কিশোর অতিনিবেদিত কাসাব্লাংকা বা সুকান্ত ঘরানার বামপন্থী হিসেবে সংস্কৃতির জগতে বৌদ্ধিক চর্চার জগতে খানিকটা সরলীকৃত যাতায়াতের অভ্যেস ছিল। যেসব বন্ধুরা দেশ পত্রিকায় কবিতা ছাপানোর জন্য আকুলি বিকুলি করত, বা আনন্দ পাবলিশার্স এর আপিসে একদিন সিকিউরিটির বেড়া পেরোতে পারত তাদেরকে ঠিক সিআইএর চর মনে না করলেও আমরা তাদের কলকেতে স্খলন নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় থাকতাম। তরুণ বন্ধুসহ সব লেখকলেখিকাদের মধ্যে আত্মপ্রকাশের আর্তির ওজন, সমাজ সচেতন রাজনীতির থেকে পাল্লায় ভারী হল কিনা খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজেদের লেখালিখি বা তার নিরীক্ষার চর্চা থমকে থাকত। ... ...
নিশুতি রাত। কিছুক্ষণ আগেই দারুণ বৃষ্টি হয়ে জঙ্গল ভিজে একসা। আমরা বাইকে লাটাগুড়ির গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ফিরছি। ঠাণ্ডা নেই প্রায় , কিন্তু বাতাসে ভেযা ভেজা ভাব , আলতো করে গালে ঠাণ্ডা বাতাস মাঝে মাঝে ছুঁয়ে যায়। জঙ্গলের মাঝে অদ্ভুত এক অপার্থিব আলো। সাদা আলো। চারদিকেই পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ,মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি। সবার হাঁতে পিঠে বুকে ঝোলান নানা রংবাহারি ক্যামেরা, ট্রাইপড, আর যা যা অস্ত্র শস্ত্র রয়েছে আরকি। এক্সট্রা শট নিয়ে আমরা প্রায়শই বের হচ্ছিলাম তখন। আর পর্বতপ্রমান যন্ত্র নিয়ে নড়ে নড়ে যেতে হত এক থান থেকে অন্য থানে। ... ...
(প্রতিবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস আসে আর যথানিয়মে চলে যায়। সেমিনার, সিম্পোজিয়ম, সচেতনতা শিবির, নানা ধরনের অনুষ্ঠান, টাকার শ্রাদ্ধ। অথচ মানুষের অসচেতনতা এবং মাত্রাতিরিক্ত লোভের কারণে প্রকৃতি রুদ্ররোষ ধারণ করছে প্রায়শই। উত্তরের পাহাড়, নদী, জঙ্গলে ঘেরা প্রকৃতিকে দুহাত দিয়ে লুটছে মানুষ। প্রকৃতি নিচ্ছে প্রতিশোধ। একুশের গৃহবন্দী পরিবেশ দিবসকে উত্তরের বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রে খোঁজার চেষ্টাতে গুরুচন্ডালীর পাতায় উত্তরের পরিবেশ ভাবনা গৌতম চক্রবর্তীর কলামে)খামখেয়ালিপনার পরিণতি হচ্ছে ভয়ঙ্করপ্রকৃতি তার নিজস্ব খামখেয়ালিপনায় চলে। কিন্তু প্রকৃতির চেয়েও অধিকতর মানুষের খামখেয়ালিপনা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নামে প্রকৃতিকে বন্ধনে আবদ্ধ করার খামখেয়ালিপনার পরিণতি হচ্ছে ভয়ঙ্কর। অপরিকল্পিত পর্যটন শিল্পের রমরমা, অবৈজ্ঞানিক গৃহ নির্মাণ পদ্ধতি, যানবাহনের মাত্রাধিক্য চলাচজনিত গ্রীণহাউস এফেক্ট ইত্যাদি মনুষ্যসৃষ্ট ... ...
পাঁচ পাঁচজনকে পিটিয়ে মেরেছে ওরা। গাছের ডালে ঝুলিয়ে আগুনে জ্বালিয়ে মেরেছে। পুরো গ্রামের চোখের সামনে মেরেছে । উফ্ কি বর্বরতা! পুলিশ প্রশাসন ! ঘুমিয়ে ছিল নাকি ওরা? না বাবা, তা নয়। এদের নয়; ওদেরকে মেরেছে। বুঝুক ওরা যে জনতা জেগেছে। ওঃ তাই বল। বাবা শান্ত হলেন। চায়ের কাপে দুধ পড়ল বেশী। বাবা কিন্তূ মাইন্ড করলেন না। মাকে কিছু বললেন না। নিজেই চাএর পট টা টেনে নিয়ে আরো খানিকটা লিকার ঢেলে নিলেন। তারপর আমাদের কে খেয়াল করে বললেন,এটা অন্যায়। পুলিশের হাতে দেওয়া তুলে দেওয়া উচিত ছিল। এই ভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া, এটা ঠিক নয়। বিকেলে শম্ভু কাকু, দিলীপ জ্যাঠা ওদের হোয়াটস অ্যাপ দলের আরো ... ...
শ্রী শিবরাম চক্রবর্তী মশাই তাঁর "বাড়ি থেকে পালিয়ে" বইখানিতে লিখেছিলেন : "তারিয়ে তারিয়ে খেতে হলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাও!" আজ রোববার বলে কথা। ফ্লুরিস, ক্যালকাটা ক্লাব, হায়াতের বো-টাই আর stiff upper lip ওয়ালা ব্রেকফাস্ট তো অনেক হলো.... আজ বেরিয়ে পড়ুন!
রক্ত আজ ছুটছে আবার। গরম রক্তে গরম ভাবনা, গরম কথা কিছু সেরে নেওয়া ভালো। স্কুল গ্রুপে খোঁচা মারতে সেখানে স্ফুলিঙ্গ। আরো কিছু গ্রুপ কিছু অবাঙালি পরিমন্ডলে এসব তেমন জমলো না। কিছু দাদারা কেমন আকাশ থেকে পড়েছে মনে হল। সে যাইহোক, আমি আমার কথা বলি। আন্দোলন করা, প্রতিবাদ করা আমি বুঝলাম এই দুদিনে লোকে বুঝছেই না কি করতে হবে। এদের শাস্তি এই সরকার নিপাত যাক বলে হৈ হৈ, কেউ বলছে এদের সাথে লড়া যায় না, কেউ ভয়ে সিঁটিয়ে, কেউ আপসেট... বেশিরভাগ আজো নির্বিকার। আমার তো কিছু হয়নি, কি হচ্ছে? কোথায় হচ্ছে জানে না কিছু। কেউ সব বেকার মেনে নিয়েছে। অনেকেই মেয়েদের অতি ... ...
বোল্ডার আর মাটিতে বানানো পোক্ত বাঁধের ডানদিকের কোল বরাবর শালবল্লা গেঁথে সুরক্ষার ব্যবস্থা। নামটা “শাল-বল্লা” ঠিকই, কিন্তু সভ্য মানুষের ভদ্র কামড়ে শালগাছ আর কোথায়? যেটুকু পাওয়া যায় তাও অগ্নিমূল্য। মানুষের বিজ্ঞান আর লোভের গুমোরে প্রকৃতিতে অন্য কারো টিকে থাকার জো আছে? প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে জঙ্গল সাফ হয়ে চলেছে, পাহাড় সাফ হয়ে চলেছে নগর সভ্যতার পাথরে আর কংক্রিটে। আজকাল বিপন্ন পশুপাখিদের জন্যে সুসভ্য মানুষ কেঁদে ভাসায়। অনন্ত লোভে মানুষ যেদিন নিজেদেরই শেষ করবে, সেই দিনই মানুষ পৌঁছবে সভ্যতার চূড়ায়। রিক্ত প্রকৃতি সেদিন হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে।নামে শালবল্লা হলেও, এখন এসব কাজে ইউক্যালিপ্টাসের লগ ব্যবহার করাই দস্তুর। এই গাছ বাড়ে তাড়াতাড়ি, অতএব বনসৃজনের ... ...
আমি থাকি মূল কলকাতা শহর থেকে প্রায় ঘন্টা দুয়েক দূরে। হুগলী জেলার উত্তরপাড়ায়। আমার কাজের জায়গা কলকাতায়। সেখানে আমাকে প্রায় যেতে হয়। এবং আমার কাজটা সব সময় মোটেই ঘরে বসে কাজ নয়। নিয়মিত মাসিক চাকরীরও নয়। যে প্রায় গোটা মাস ছয়েক গৃহ বন্দী হয়ে থাকলে চলে যাবে। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে লক ডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকে আমাকে প্রায় নিয়মিত না হলেও সপ্তাহে বার চারেক কলকাতায় যাতায়াত করতে হয়েছে। তাও আমি অনেকের থেকে ভাগ্যবান কলকাতায় আমার বন্ধুর বাড়িতে অনেকটা সময় তারা আমাকে থাকতে দেয়। প্রচন্ড ভালোবাসে এবং আমাকে সহ্য করে। শুধু এইগুলো লেখার জন্য আমি এই কথা গুলো বলতে বসিনি। মফস্বল ... ...
কোনার্ক থেকে ফিরছি। সারাদিনের ট্রেন। গায়ে ‘সুপারফাস্ট’ লেখা, কিন্তু কাজ করে না। চেয়ার-কার। পিঠ সোজা করে ঢুলুনি। রিজার্ভেশন ব্যাপারটা কারুর কাছেই খুব স্পষ্ট নয়। অনেকেই এসে ক্লেম করছে ২০ নং সিটটা তার, কিন্তু ওটা আসলে আমার। ফিরছি, আমি আর আমার বন্ধু।এমনিতেই দূরপাল্লার ট্রেনে বাঙালী সহযাত্রীর সান্নিধ্য আমি খুব একটা উপভোগ করি না, যদি না একেবারেই আত্মীয়-পরিজন গোত্রের হন তাঁরা। কারণ, বাঙালী মূলতঃ পরিবার-পালিত পশু। তাই, ট্রেনে করে দূরে যাওয়ার পথে, এবং দূর থেকে ট্রেনে করে ঘরে ফেরার পথে তাঁর মধ্যে একটা অবিশ্বাস্য সেন্ট্রিপেটাল ফোর্স কাজ করে পরিবারের প্রতি, ঘরের প্রতি। তখন, ট্রেনে, বাঙালী ভাষা দিয়ে পরিবার বিচার করে। আপনারা দু’জন ... ...
আহাদ ভাই আমাদের বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন, নেতা ও ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। ১৯৯০ এর উত্তাল দিনগুলোতে তার নেতৃত্বে আমরা স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। তখন আমরা ছিলাম সকাল ৮-৯টার সূর্য, একেকজন যেন আর্জেস গ্রেনেড! এরশাদ পতনের পর ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র ফেডারেশন আহাদ-জিলানী পরিষদে প্যানেল দিয়েছিল। "আহাদ-জিলানী পরিষদ, আন্দোলনের ভবিষ্যৎ/ লং লিভ রেভ্যুলেশন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন" শ্লোগানে গলা তুলেছিলাম সোৎসাহে। ১৯৯২ সালে আহাদ ভাই, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আনু মুহাম্মদ, ব্যারিস্টার সারা হোসেন প্রমুখসহ খাগড়াছড়ি ভ্রমণে গিয়ে আমরা ভয়াবহ লোগাং গণহত্যার মুখে পড়েছিলাম। পরে এই নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদন ও ব্লগ নোট লিখেছি। আমার বই "পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ" এ ... ...
জিনিসটা কিন্তু সত্যি-সত্যিই হচ্ছে। আপনি-আমি যখন নিজের জীবন কাটাচ্ছি, পূর্ব গোলার্ধে লোকে যখন নাক ডাকিয়ে সুখনিদ্রায়, ইউরোপের লোকে যখন ডিনার সেরে মিষ্টি কী খাওয়া যায় ভাবছে, আমেরিকার লোক যখন মাইনে পাবে বলে আপিসে খাটাখাটনি করছে কিংবা বসকে তেল দিচ্ছে, ঠিক তখনই প্যালেস্তাইনের আস্ত হাসপাতাল কিন্তু বোমাবর্ষণে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে। সত্যি-সত্যিই ওখানে জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, সত্যি ... ...
#RebuildBengalLeft আমার রাজনৈতিক পরিচয় আমি সিপিএম সমর্থক। তো আমার মত নকল ঘটিহারানো সর্বহারার জীবনে আপাতত হারানোর মত পড়ে আছে কিছু শতাংশ। অতএব সময়টি পাটীগণিতের পক্ষে খারাপ না। আমাদের সাথীরা অনেকেই একাধারে আর্তের সেবায় ও মার খেতে ব্যস্ত আছেন, সেগুলি মাষ্টারমশাইরা দৃষ্টির তারতম্য অনুযায়ী কিছু দেখছেন বা দেখছেন না।সংযুক্ত মোর্চা নামক নিরীক্ষা টি আপাতত পর্যুদস্ত। একটু কয়েকটা সংখ্যা নেড়ে চেড়ে দেখি।বিতর্ক ছিল আই এস এফ কে নিয়ে। তাঁরা নতুন দল একেবারে। - ৩২ টা সিটে প্রার্থী দিয়েছিলেন, ১২ জন প্রার্থী ছিলেন যাঁরা মুসলমান নন। - রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টি হিসেবে, খাম চিহ্নে লড়েছেন।- ৩২ টিতে লড়ে তারা ৮১৩৪৮৯ টি মত ভোট পেয়েছেন।- তার মধ্যে ... ...
#পুরোনোলেখা The wonderful things in life are the things you do, not the things you have. শুধু পুরোনো নয়, ওয়েবে প্রকাশিত প্রথম লেখা। ম্যাজিক ল্যাম্প-এ এই লেখাটা দেওয়ার পিছনে একটাই কারণ, রেইনহোল্ড মেসনারের প্রেমে পড়া। আলপাইন ক্লাইম্বের প্রবাদপ্রতিম ব্যাক্তিত্ব তো বটেই, ধীরে ধীরে মেসনার কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছেন অল্টিটিউড ক্লাইম্বের জগতে। বেসিক কোর্স করার সময় ওর কিছু দুর্লভ সাক্ষাৎকার দেখার সুযোগ হয়েছিল, সেইগুলো এখনও প্রয়োজনে আমাকে সাহস জোগায়। পুরো লেখাটাই তুলে দিলাম। যদি কেউ আগ্রহী হয়, মেসনারের লেখা 'ক্রিস্টাল হরাইজন' বইটা পড়তে পারেন। জীবনের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।পাহাড় যখন ডাকেপায়ের পাতায় রক্ত জমে বরফ হয়ে গেছে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এবার রীতিমতো। ... ...
#পুরোনোলেখা (বানান ফানান ভুল থাকতে পারে। ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে লেখা। কিন্তু কেউ কেউ আগ্রহী হতে পারে বলে দিলাম)অফিস থেকে ছুটি নিতে হলে যে কত মিথ্যে কথা বলতে হয়, তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। মিথ্যে বললেও চলবে না, সেই কথাটা হতে হবে একেবারে বিশ্বাসযোগ্য আর নতুন ধরনের। ছুটি না নিলে দেশ দেখার কোনো সুযোগ নেই, আর বেশিদিন শহর আর অফিসের চক্কর কাটলে আমার মাথার পোকা কিলবিল করে ওঠে। তাই কালে কালে এই বিদ্যায় আমি ভালোই হাত পাকিয়েছি। সেই টুকরো টাকরা ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলোর আসল মর্ম বুঝতে পারি বছর কয়েক পর যখন বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলো উঁকি মারে স্মৃতির পাতা থেকে। সেরকম একটা অদ্ভুত ঘটনার ... ...
#পাহাড়যাপন বনপাহাড়ের দেশ। সবুজ ঘন জঙ্গল। মাথার ওপর গাছের শাখা প্রশাখায় একসুরে ডেকে চলেছে দোয়েল, ময়ূর, ম্যাগাপাই, আরও কত নাম না জানা পাখি। মাটির রং খয়েরি সবুজ, মনে হয় খানিক আগেই হয়ে গেছে একপশলা বৃষ্টি। কচি সবুজ পাতাগুলো থেকে এখনও জল চুঁইয়ে পড়ছে। টুপ,টুপ,টুপ টুপ...নাকে ভেসে আসছে বৃষ্টির সোঁদা গন্ধ। মুক্ত আসমানি শামিয়ানার নিচে একখানা মাত্র বাড়ি, তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মস্ত এক গাছ। বাড়ির রোয়াকে বসে কলকেতে টান দিচ্ছে এক বৃদ্ধ, তাকে কোথায় যেন দেখেছি। মন দিয়ে দেখে চিনে ফেলি। আমারই প্রতিরূপ, তবে ভারি আনমনা। কোত্থেকে আমদানি করা হল একে? তাজ্জব! কেসফাইলের দরকার পড়ে না, সব কিছু আপনা হতেই স্পষ্ট হয়ে ... ...
থার্ড গিয়ারে ধুমায়িত হুল্লোড় আই পি এল। কে কাকে কিনল যেন সাড়ে এগারো কোটিতে, ঝটতি পড়তি খেলুড়ে বাছারাও পাঁচ ছ কোটিতে মারে মুঠোভরা খাবলা।
ননসেন্স ছড়ার প্রবর্তক সুকুমার রায় সুকুমার রায় শুধু বাংলা সাহিত্যের নয়, ভারতীয় সাহিত্যের "ননসেন্স ছড়া"রও প্রবর্তক। "যাহা আজগুবি, যাহা উদ্ভট, যাহা অসম্ভব, তাহাদের লইয়াই এই পুস্তকের কারবার। ইহা খেয়াল রসের বই। সুতরাং, সে রস যাঁহারা উপভোগ করিতে পারেন না, এ পুস্তক তাঁহাদের জন্য নহে।" - নিজের রচনা সম্পর্কে এমনটাই বলেছিলেন সুকুমার রায়। সুকুমার রায়ের জীবনী লিখতে গিয়ে লেখক দীপক সেনগুপ্ত 'অবসর' পত্রিকায় তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্কে আলোক পাত করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সম্পর্ক, সন্দেশ পত্রিকায় রচনা ও সম্পাদকের ভূমিকা নিয়েও লিখেছেন। সিটি স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাশ করে ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রিতে ডাবল অনার্স নিয়ে ১৯০৬ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন ... ...
#পাহাড়যাপন আতরের দোকান করে যারা, তাদের কাছে দোকানের বাইরের পৃথিবীটা বাসি বলেই মনে হয়। পুষ্পের সৌরভ পেলেও যেন মনে হয় জোলো, ভালো মিষ্টির সুবাসও মনে ধরে না। সব কিছুই বড় অপরিশোধিত। আতরের দোকানটা যেন আরেক জগত, গন্ধের হাট বসেছে সেখানে। কোনওটা পারস্যের ফুলের আতর, কোনটা হিমালয়ের আয়ুর্বেদিক শিকড়ের গন্ধ। প্রতিটি ফুল নিজের ইতিহাস জানায়, বলতে চায় নিজের গল্প।কয়েকজন কারিগর বছরের পর বছরের ধরে এক্সপেরিমেন্ট করে যায় নতুন সুগন্ধের আশায়। দক্ষ হাতে গন্ধ তৈরি করে ওস্তাদ তারা। কিন্তু যে গন্ধ শেষমেশ তৈরি করা যায় না, সেই আতরের কারিগররা হীনমন্যতায় ভোগে। ব্যর্থতা স্বীকার করতে চায় না। মাথার চুল খামচে ধরে চেষ্টা চালিয়ে যায় ... ...
প্রাচীন গ্রিক ইতিহাস পাঠে দেখা যায় যে গ্রিক দেবদেবীদের নিজেদের মধ্যে ব্যভিচারের ঘটনা খুবই সাধারণ। স্বয়ং জিউস ও হেরা ছিলেন রক্ত সম্পর্কীয় ভাই বোন। ফারাওদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বেরিয়ে আসবে তাদের ইনসেস্ট-এর কথা। রাজ রক্তের বিশুদ্ধতার প্রয়োজনে তারা পিতা-কন্যা, পুত্র-মাতা, ভাই-বোনের মাঝে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলত।
বদনাম কিংবা সুনাম যাই হোক, বাঙালি নাকি খেতে পেলে শুতে চায়! পেটে দুমুঠো অন্ন পড়লেই, মেঝেতে পড়ে দে ঘুম। যাতায়াতের পথে, তখন দেওয়াল লিখন চোখে পড়তো, “বাঙালি জাগো”। কলকাতার সর্বত্র আলকাতরা দিয়ে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে বীরত্ব দেখাতো অন্যের দেওয়াল নষ্ট করে। এটা দেখতে দেখতে লোকের চোখ জোড়া যখন পচে যাওয়ার উপক্রম, এমনি সময়ে কে কারা লুকিয়ে ক্রশ চিন্হ দিয়ে পাশেই লিখে দিল – “কাঁচা ঘুম ভাঙাবেন না “। এতো কড়চা! ... ...