"আমি ভালবাসি মানুষকে, তুমি ভালবাস আমাকে ,আমাদের দুজনের সব ভালবাসা এস বিলিয়ে দিই এই দেশটাকে ..." ( ভূপেন হাজারিকার গান ) এসব কি বিচ্ছিরি ভাবনা মশাই? আমাকে কেউ ভালবাসে আর তাকে বাইপাস করে আমি ভালবাসি "মানুষ"কে ? ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা ৷ ভালবাসা আমি যেমন বুঝি সেটা সম্পর্কে সুর করে
উদাসীন থেকো না সাড়া দাও -মৃত্যু দাও আমায়, জরা দাও। দেওয়ালটা আজ ভগ্নপ্রায়। সহস্র বছর ধরে রোদ ঝড় বৃষ্টির তাড়নায় তার বুকে জমে উঠেছে দীর্ঘকায় একটি চিড়। দেওয়াল দাঁড়িয়ে থাকে নিঃশব্দ বিষন্নতায়। তার মনে পড়ে পুরনো দিনের কথা। যখন এই দেওয়ালকেই পাঁচিল করে গড়ে উঠেছিল সভ্যতা। সেই সভ্যতাও লুপ্ত হয়েছে বছর কতক হলো। দেওয়াল নির্বাক। স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচতে চায় সে। পারে না। এক কালে তার কোলে ... ...
জীবন তরঙ্গ - পর্ব ২২ গালুর চলে যাওয়ার কষ্টের তীব্রতা একটু কমতে না কমতেই আড্ডায় এল আর একটা ধাক্কা। কচিদা রহড়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কচিদার পরিবারে কেবলমাত্র ওর মা ছিল। চৌধুরি পাড়ায় মায়ে ব্যাটায় থাকত। চাকরি বাকরি না পেলেও কচিদা কখনো বসে থাকেনি। সকালে কাগজ বিলি থেকে শুরু করে সারাদিন কিছু না কিছু করে রোজগারের চেষ্টা করত। মায়ের পেনশন আর ওর রোজগার, দুয়ে মিলে সংসার চলে যেত। অবস্থা সেরকম ... ...
প্রায় এক বছর চার মাস লকডাউনের দরুন ট্রেন বন্ধ, যারা গৃহসহকারীর কাজ করতে কলকাতাতে আসতেন রোজ, ওনাদের সবারই আসা বন্ধ, এখন কাজ নেই, ফলে রোজগারও নেই৷৷ তেমনই একজন এসে উপস্থিত, আজ৷হঠাৎই আজ একটি ট্রেন চলেছে, তাতে করেই এসেছেন৷৷ ওনার গল্প শুনছিলাম৷৷ক্লাস ইলেভেনে পড়া ছেলেটির একটি মোবাইলের দরকার ছিল, অনলাইন ক্লাসের জন্য ৷৷ স্কুলের অনলাইন ক্লাস নয়, সে বিষয়ে সরকারী শিক্ষুককুল নেটওয়ার্কের সমস্যার দরুন ভেটো দিয়েছেন পড়ানোতে৷৷প্রয়োজন প্রাইভেট টিচারের অনলাইন ক্লাসের জন্য, প্রাইভেট পড়ানোর সময় ঔ শিক্ষকগন কোন যাদুবলে নেটওয়ার্ক পেয়ে যান সেটা দিদি বলতে পারলেন না অবশ্য৷৷শুধু বললেন—"যা টাকা জমিয়েছিনু দিদি, তাই দি ছেলেকে মোবাইল ফোং কিনে দিছি,পড়তি হবে, মাষ্ঠারে বলেছে, হাতে ... ...
তালপাতার সাহেব পুতুল আমরা দেখেছি। রানী পুতুল আর দিওয়ালী পুতুলের কথা বলার সময় বলেছি সাধারণ মাটির পুতুল হলেও বাংলার পুতুল তৈরির পিছনে কিন্তু ঐতিহাসিক কাহিনী ও সামাজিক ঘটনাগুলোর প্রভাব আছে। ধরুন সাহেব বা মেম-সাহেব পুতুল। সংস্কৃতি বেশ জিনিস। এর উত্থান পতন যেমন হয়, তেমনি সময়, পারিপার্শ্বিকতার সাথে এর ভিতর নতুন নতুন ধারা, উপাদান যুক্ত হয়। এই পুতুলগুলো অনেকটা ইউরোপিয়ান পোর্সেলিন পুতুলের মত। ... ...
চীন থেকে ফিরতি পথে পাকিস্তানে নেমেছিলেন ভাসানী। মেয়র এক নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছিলেন ভাসানীকে। ভাসানীর মাথায় তালের টুপী আর পরনে ছিল লুঙ্গি। তিনি স্টেজে উঠেছেন ভাষণ দিতে.....ভাসানীর বেশ ভূষা দেখে দর্শক শ্রোতাদের মধ্যে গুনগুন মন্তব্য -"ইয়ে তো মিসকিন হ্যায়"..!!.কোরান তেলাওয়াত দিয়ে ভাসানীর বক্তব্য শুরু হতেই ওই শ্রোতাদের কণ্ঠে আরেকটি মন্তব্য ভেসে এলো -"ইয়ে তো মাওলানা হ্যায় "..!!. ... ...
মানব সভ্যতার পতনের ইতিহাস গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় সেখানে জাতিগুলোর উত্থান-পতনের সাথে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে।.সামরিকভাবে বিজিত জাতি দীর্ঘ সময় পরে আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে আত্মপরিচয় উদ্ধার করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সাংস্কৃতিকভাবে বিজিত জাতি বিজেতার পেটে হজম হয়ে যায়
নিজের ব্লগ চেয়ে অনেক বার মেইল করেও সাড়া পাচ্ছি না। নিশ্চয়ই কোনো গুরুচণ্ডা৯ সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু কী সমস্যা বুঝতে পারছি না।
ভয় হয়। যে-ভাবে সবকিছু ভেসে যাচ্ছে। নানা বিপরীতে বিপত্তি স্রোতে। চিন্তার বিপত্তি সবচেয়ে বড় বিপদ। ১ আপত্তি একটা জায়গায়: প্রথম নবজাগরণ কি হয়েছিল? নাকি নবজাগরণের নামে একটা বিদ্বেষমূলক ও অনতিঅতীত নিন্দাকারী সমাজ ও সংস্কৃতির সচেতন নির্মাণ শুরু হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কিন্তু নিজে মনে করতেন রেনেসাঁ বলে কিছু হয়ে থাকলে পঞ্চদশ ষোড়শ শতকে। উনিশ শতকে বাঙালি শিকড় বিচ্ছিন্ন হয়। গ্রাম মানে পিছিয়ে পড়া এই ধারণা তৈরি শুরু করানো হয়। স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামীণ অর্থনীতিকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলা হয়। শহুরে আধা অসভ্য জীবনকে অসমবায়িক ... ...
দারুন
বর্তমানকালে প্রথম বিশ্ব, দ্বিতীয় বিশ্ব জাতীয় বিভাজন বা নামকরণ হয়তো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে কিন্তু উদ্দেশ্য একই রয়ে গেছে এখনও। মানব সভ্যতার আদিকাল থেকেই কি এইরকম বিভাজন ছিল? উত্তর হলো, ছিল। রূপ অন্যরকম ছিল। সে তো হবেই, হওয়ারই কথা। মানুষ যত সভ্য হচ্ছে, ততই ক্রমশঃ যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ছে, ততই এই বিভাজনের রূপ পাল্টে পাল্টে যাচ্ছে। মানুষ যখন পৃথিবীতে প্রথম আসে তখন থেকেই সে গোষ্ঠীবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে, সংঘবদ্ধ হয়েছে। কারণ প্রকৃতির বিনাশকারী রূপের কাছে তার অসহায়তা। সে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে সেই বিনাশের হাত থেকে বাঁচতে চেয়েছে। এরপরে গোষ্ঠীবদ্ধ থেকে নিজেদের এলাকা তৈরী করেছে, চাষবাস শুরু করেছে, বিস্তীর্ণ এলাকার দখল নিয়েছে। শুরু হয়েছে মানুষের ... ...
জীবন তরঙ্গ -পর্ব ২৩ পরের দিন নন্দ নটার সময় স্কুলে বেরিয়ে গেল। জলখাবার খেয়ে চায়ের কাপ নিয়ে নয়ন বারান্দায় চেয়ারে বসেছিল। এটা নয়নের খুব পছন্দের জায়গা। ছোটবেলায় এখানে বসে একমনে বাইরের জগতটাকে দেখত। তখনো দেখছিল। পরিবেশ, পরিস্থিতি, ঘর-বাড়ি, সব ধীরে ধীরে কেমন পাল্টে যাচ্ছে। যদিও দক্ষিণ কোলকাতার তুলনায় উত্তরে এই পাল্টে যাওয়ার গতি অনেক কম। দু চারটে ফেরিওয়ালা ... ...
কল্প বিজ্ঞানের গল্প লিখব। বই চাই খান কতক। ধরা যাক অক্সিজেন কার্বন ডাই অক্সাইড এই নাম গুলো ল্যাভসিয়ের এনেছিলেন কি করে তা নিয়ে আলোচিত বই বা লিনক, এর আগে জিনিস গুলোর কি নাম ছিল। এই সব নিয়ে তথ্য যুক্ত বই। কেউ বই এর নাম দিলেও হবে। বা এই বিষয় নিয়ে লেখক বিজ্ঞানী মহল এর আলোচনা চাই ... ...
ধরা যাক আমরা সবাই দুশো বছর বাঁচবো। অর্থাৎ একশো আশি হলে বুড়ো, একশো পঞ্চাশে মাঝবয়সী, একশো তে যুবক, আর পঞ্চাশে শৈশব।
সকালবেলা চেয়ারটা টেনে নিয়ে পাতা উল্টাতে উল্টাতে / সবে মাত্র চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছি—
ছোঁয়াছুঁয়ির খেলা শুরু হলেপ্রেম, পূর্ব থেকে গেল অস্তাচলেপরিধান সব গেল ছেড়েছুড়েসুখ এল 'আদর' নামে শরীর জুড়ে! #অমাদীপ_প্রদীপদে
ভয় পেল কি সিবিআই/যুগ্ম অধিকর্তা আসছেন তাই -/নোবেল কেস ফর্দাফাঁই।
সপ্তমীর পূজোর শেষে দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল সেদিন। এছাড়াও পাঁচ কিলোমিটার দূরে রেলওয়ে কলোনির পূজোয় নিমন্ত্রণ ছিল। পূজো প্যাণ্ডেলে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারটা তখনও কলকাতায় শুরু হয় নি। বাংলার বাইরে যে কোনোও রাজ্যে তখন এমনভাবেই পূজো হত। যে কোনোও পরিবারের আত্মীয়, বন্ধুসহ এইসব পূজোয় জড়ো হওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার ছিল। ভিনরাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালীরা উৎসবের দিনগুলিতে এমনভাবেই স্বজন বন্ধুদের সাহচর্য পেতে চাইতেন। ... ...