অপ্রাসঙ্গিক। লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে তাই লিখছি।
লেখকদের যেমন রাইটার্স ব্লক হয় পাঠকদের তেমন হয় কি? কখনো এমন সময় আসে যখন পড়তে ইচ্ছা করে তবে পড়ে কিছুতেই সেই আমেজটা পাওয়া যায়না। বোধয় বেশ কিছু দিন ধরে গম্ভীর, সিরিয়াস লেখা পড়ে পড়ে মগজে একটা আস্তরণ পড়ে যায়। তাতে মৃদু তরঙ্গ ওঠে ঠিকই কিন্তু কিছুতেই ঢেউ খেলেনা । বহুদিন ধরে মৃদু অনুরণন রেখে যাওয়ার পাশাপাশি এমন লেখাও পড়া দরকার যা হঠাৎ বেশ কাঁপিয়ে দিতে পারে আবার তার রেশও রেখে যেতে পারে বেশ কিছুদিন। ... ...
মাধবের ফাটা জিন্স আর কালো টি-শার্টটা মা কেচে দিয়েছে। তাই নিয়ে কি ঝামেলা!! মায়ের বক্তব্য অন্য কিছু পড়ে যা, কিন্তু মাধব ওরফে ম্যাডির ওই জিম মরিসনের ছবিওয়ালা কালো টি-শার্ট টাই চাই। ওটা না পড়লে নাকি সোলো লিডটা বাজাতে গিয়ে তাল ঠিক থাকে না।
আমার আর এলগিন রোডের সম্পর্কটা দিনদিন আরও দৃঢ় হচ্ছে। পথ চলতে গিয়ে এক টুকরো ঘটনা থেকেও আমি একটা গোটা গল্প খুঁজে পাই। আর যেরকম ভাবে ভাবা যায়, সেইভাবে লেখাটা বড় মুশকিল। তাই শব্দের প্যাচে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটা ছোট্ট ঘটনাকে গল্পের রুপ দেওয়াটাই আমাদের কাজ। আজ সকালে বাস থেকে নেমে অফিসের দিকে রওনা দিয়েছি। মাথায় হুডির টুপি হাত জোড়া জ্যাকেটের ভিতর। বেশ জোড়ে জোড়েই হাঁটছি। জোড়ে হাঁটলে শরীর টা একটু গরম হবে। বেশ ঠান্ডা পড়েছে আজ শহরে। রাস্তার ফুটপাতের সেই হ্যান্ডসাম চা-ওয়ালা তখন সবে দোকান খুলছে। পাশে দুজন ভদ্রলোক তার স্পেশাল চা খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে কাঁপছে। হোটেলের কাকিমার আলু, বেগুন আর সম্ভবত মূলো ... ...
রাতের তারারা আজ ধূসর / চাঁদের গায়ে আগুনের লেলিহান দাগ।
১৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৮.. কলকাতা আজ বিশ্বকর্মা পূজোভোর চারটেয় ঘুম ভেঙ্গে গেছেজানালের দিকে চেয়ে বসে আছি..কখন ভোরের আলো ফুটবে. হাতে বেশী সময় নেই. স্কুল খোলা..আটটার মধ্যে বেরোতে হবে..তার আগে চান খাওয়া. যত তারাতাড়ি সম্ভব ছাদে গিয়ে আকাশে ঘুড়িটা ওড়াতে হবেসারা বছর পয়সা জমাই আজকের দিনটার জন্য.কাল বিকেলে কিনলাম ১০টা মাঝারি ঘুরি.. ৫টা বড় ঘুরি আর মাঞ্জা সুতর লাটাই..নিজে মাঞ্জা দিলে ভাল হত যেমন খোকন..বাবলুরা দিল..কিন্তু অত সময় কোথায়.আমাদের লেক প্লেসের বাড়ির ছাদটা বেশ বড়. সাত আট জন একসাথে ঘুড়ি ওড়াতে পারে. আসলে এটা আমাদের ছাদ বলাটা ঠিক হবেনা. এটা সবার ছাদ..যে কেউ যখন খুসি আস্তে যেতে পারে. আজ কমকরে দশ জন ... ...
ঘুম আসছে না …ঝিমুনি এসে ফিরে গেল,স্বপ্নের ভাড়ারে টান পড়েছে।কেন এত অভাব?সব্বাই যে লুঠে নিচ্ছে। -- না না, ভাগ বাটোয়ারা হবে না। আমি একাই স্বপ্ন দেখবো।আমি ওকে কিনে নিয়েছি যে…পিছনে কাটি দিতে কেউ ছাড়ে না,-- স্বপ্ন কে কি কেনা যায়?আমিও কম যাই না। একগাল শুনিয়ে দিয়েছি, পাশের বাড়ির হনুকর্তাকে,-- আপনি আপনার মতন কথা বলেন। স্বপ্ন কে যদি নাই বা কেনা যায় তাহলে জমি কি করে কেনেন? বউ কি করে পোষেন?-- আগের দুটো কি এক হল? আর বউ পুষি মানে?-- কেন নয়? বউ তো আপনার একার? তাই না ? আর বাকী পড়ে রইল স্বপ্ন আর বাড়ি? ওই দুটি আসলে একটা মাটি ... ...
একের পর এক মামলা। একদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো। সিয়াটেল পাবলিক স্কুল, জানুয়ারি মাসে এই শহরের বৃহত্তম স্কুল ডিস্ট্রিক্ট চারটে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল - ইউটিউব (গুগল), ফেসবুক (মেটা), স্ন্যাপচ্যাট (স্ন্যাপ), টিকটক (বাইটড্যান্স)। অভিযোগ (৯১ পাতার ডকুমেন্ট) এনেছে যে এই কোম্পানিগুলো এমনভাবে তাদের সফটওয়্যার প্লাটফর্ম ডিজাইন করেছে যা কিনা ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ এবং সংক্রামক - "..in ways that exploit the psychology and neurophysiology of their users into spending more and more time on their platforms." এই কোম্পানিগুলো নিজেদের লাভের জন্যেই এরকম করেছে বলে লস্যুটে দাবি করেছে - "Defendants have done so for profit. Their business models are based on advertisements. The more time users spend on their ... ...
Chokhye amar trishna
কখন শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব শাহাজাদী জাহানারার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন সে নিয়ে তোড়জোড় পড়ে গেল আগ্রার শাহী মহলে। এরকমই একটা কিছু হওয়ায় কথা। কিন্তু দাক্ষিণাত্যের সুবেদারী হারিয়ে শাহেনশাহের রোষানলে পড়ে হতমান শাহাজাদা যাচ্ছেন। তাঁর মহলের নেহাতই নিমক খাওয়া খাস লোক জনা কয়েক ছাড়া আর কেউই জানত না এই দেখাসাক্ষাতের ব্যাপারটা। হয়ত খুবই গোপনীয়তা রাখছেন ... ...
শান্তিনিকেতনে বসে গানে সুর দেওয়া, নাটকের সংলাপ লেখা এমন কি নাটকে অভিনয় ও করেছেন। চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য ও লিখেছিলেন। ১৯৩০খ্রিঃ জার্মানি গেলে, একটি জার্মান সংস্থা ইউএফএ চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লিখতে অনুরোধে করে। তাঁরই ফলে তিনি "The Child" চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। পরে এর অনুবাদ করে "শিশুতীর্থ" নাম দেন।
গুরু মেলে লাখে লাখেশিষ্য মেলা ভার!
আজকে পুণ্যদিন। ধুতি, শাড়ি, হারমোনিয়াম ইত্যাদি। পিঠেপুলি, পায়েস, পদ্মার ইলিশ…। বাঙালী মতে বানানো বিরিয়ানিও চলবে
দুই দিকে পাহাড় পর্বতে ঘেরা আফগানিস্থানের প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই রুক্ষ। এই রুক্ষ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভেতর দিয়ে তারাও ছোটবেলা থেকেই কঠোর প্রকৃতির হিসাবে বড় হয়ে থাকে। এই কঠোর পরিবেশে টিকে থাকার প্রয়োজনে ছোটবেলা থেকেই তারা অস্ত্র চালনা করতে শেখে।.সীমান্তের উপজাতিগুলোতে সাথে অস্ত্র রাখাটা সাবালকত্বের পরিচয় বহন করে। বিয়ে , জন্মদিন বা যে কোন অনুষ্ঠানে এরা গুলি ছুঁড়ে আনন্দ প্রকাশ করে থাকে। পাশ্চাত্য মিডিয়া এদেরকে বর্বর ও জঙ্গি হিসেবে তুলে ধরতে এই যুক্তিটা খুব ব্যবহার করে।.অথচ এই অভ্যাসটা ছিল বলে তারা পরপর তিন আধুনিক পরাশক্তিকে আফগানিস্তান থেকে তাড়িয়ে দিতে পেরেছিল। ... ...
বিজয়া / আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় / দূর থেকে বলিলে-ভা -ল -বা -সি--, আগে নাহি বুঝি , / এক স্বপ্ন মেখে বসেছিলাম কিনারায় / আকাশ ছিল ভরা তারায় তারায় / দূর থেকে গুনগুন গান আস ছিল ভাসি ।
- " দাজু, য়াদি তপাই হাত্যরু হেরনা চাহুঞ্চা ... চিত্তো আও " ( দাদা, মার্ডার দেখতে হলে তাড়াতাড়ি আসুন ) থ্রিলার লেখার একটা ইচ্ছে জীবনভর। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এক্সপিরিয়েন্স ছাড়া থ্রিলার লিখলে কলম না মন কোনটাই শান্তি হয়না ঠিক। বারো বছর আগে যখন পেটভাতার জোগাড়ে পাহাড়ে এসে পৌছেছিলাম তখন থেকেই এই থ্রিলার ব্যাপারটা মাঝে মাঝেই চাগাড় দিয়ে গেলেও জমে উঠছিলোনা। সাহস টা দিল রুহান। রুহান তামাং। আমার অসময়ের সঙ্গী। সময়েরও। ... ...
বর্তমান সময়ের অতি আলোচিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আগে আমাদের উচিত কাজ হবে ভারতবর্ষের শ্রম আইন নিয়ে একটু জেনে নেওয়া। কারণ রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা যেমন একদিকে ডিয়ারনেস এল্যাউন্সকে তাদের ন্যায্য দাবী বা অধিকার বলে প্রচার করছে তেমনি রাজ্য সরকার ডিয়ারনেস এল্যাউন্সকে সরকারের অনুদান বলে প্রচার করছে। অর্থাৎ সরকারের এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে তার কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে ডিয়ারনেস এল্যাউন্স দিতে হবে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মুখপাত্ররা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায়কে তাদের যুক্তির স্বপক্ষে ঢাল করছে। সরকারী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যদি ভাবনা শুরু করা যায় তাহলে বলতে হয়, সরকারী কর্মচারীরা যেমন সরকারের অধীনে কর্মরত এবং তাদের বেতন, ভাতা ইত্যাদি প্রদান করা সরকারের দ্বায়িত্বের ... ...