আমাদের বাড়ির অদূরে রেলওয়ে ময়দানে কালীপুজো উপলক্ষ্যে প্রতি বছর বসতো মস্ত এক মেলা । অর্ধশতাধিক বছর ধরে এই মেলা এলাকার মানুষদের সম্বৎসরের বিনোদনের উৎস ছিল । হ্যাঁ বিনোদন তো বটেই, কারণ নিস্তরঙ্গ জীবনে তখন ঢেউ তোলার মতো উপকরণ খুব একটা বেশী ছিলনা । তাই মেলার মাঠের নাগরদোলা, পুতুলনাচের তাঁবু, কিম্বা ভ্রাম্যমাণ চিড়িয়াখানার আকর্ষণ কিছু আলাদাই ছিল । হাফপ্যান্টুল আমরা অবশ্য তালপাতার বাঁশি, টিনের ব্যাঙ কটকটি, কিম্বা পোড়ামাটির গুলিতে লম্বা রবারের সুতো লাগানো-রাংতা মোড়া-ইয়ো ইয়োর বাঙালি সংস্করণ পেয়েই দিব্য খুশী থাকতাম । কিন্তু মা-কাকিমা-জ্যেঠিমাদের কাছে এই মেলা ছিল গৃহস্থালির হরেক রসদ সংগ্রহের আকর। লোহার সাঁড়াশি, বেড়ি, কাঠের তৈরী লবন রাখার পাত্র, ... ...
১অ বিমু, বিমু ... বিম্মু রাআআনী....চট করে ভেঙে গেল ঘুমটা। স্বরটা কেমন চেনা চেনা ঠেকল। এ নামে বিমলাকে শুধু দু জন ডাকত। ঘাড় ঘুরিয়ে জানালার দিকে তাকালো বিমলা। পর্দাটা তখনও এলোপাথারি উড়ছে।আবারও ঘুমের ঘোরে ভুলভাল বকছে ভেবে চোখ বন্ধ করল। এবার মনে হলো ফ্যানের ওপর কেউ পা ঝুলিয়ে বসে। ঘচাং করে বিছানায় উঠে বসল। মোবাইলের আলো ফেলল ওপরে। দেখল, ব্লেড তিনটে ঘটঘট আওয়াজ করতে করতে বন্ধ হয়ে গেল। সেই সময় যত রাগ গেল আগরওয়ালের ওপর। নির্ঘাত লোকটা লাইট ফ্যানের একটা কাজও করেনি। পই পই করে বলেছিলাম, সব সার্ভিসিং করিয়ে তবে বাড়িটা দেবেন। টেবিলে রাখা গ্লাস থেকে কিছুটা জল খেয়ে বাইরে এসে ... ...
সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজির অতি মুনাফার স্বার্থে ফ্যাসিকরণ চলছে ভারত রাষ্ট্রের। কমবেশি সমস্ত সংসদীয় দলই লগ্নি পুঁজির স্বার্থে ফ্যাসিবাদী আক্রমণ নামাচ্ছে শ্রমজীবী জনগণের উপর। তবে সেই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা শক্তি হল বিজেপি। ২০১৪ য় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কোথাও টাকা ছড়িয়ে, কোথাও আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জাতীয় হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলোর সাংগঠনিক ভিত্তি ... ...
বাৎসরিক ক্রিয়া কর্ম !!ওটা না হলে তো গয়া র পিন্ডি টা চটকানো যাবে না !! শত্রূ শক্তিমান ।..রাষ্ট্র ক্ষমতা তার নিপীড়ন ।..কলাকৌশল ।।.ছল চাতুরী এসব দিয়ে প্রতিবার এই ধরনের বন্ধ কে দমন করেছে ।..করবে ।..ঐতিহাসিক সত্য ।..তবুও ওই ভোঁতা অস্ত্র প্রয়োগ ??কিসসু হবে না চাঁদু ।..বুকটা চিতিয়ে রাস্তায় নামো দাদারা ।..সঙ্গে নাও আমাদের ।..বুড়ো ।..জওয়ান ।..বৌ ।..বাচ্চা ।..রুগী ।..সুস্থ ।..সবাইকে ।..গুলি টা ধেয়ে আসুক বুকে ।..সেভাবেই নামা যাক না ।..মিছিলে জনসংখ্যা বাড়িয়ে ।..আর দোকান ।..অফিস ।..কারখানা বছরে একদিন বন্ধ করে কিস্সু হবে না গো !!!২৬ নভেম্বর ভারত বনধের সমর্থনে হাওড়ায় মিছিল বামেদের, পাল্টা সরব তৃণমূল, বিজেপি আগামী ২৬ নভেম্বর দেশজুড়ে সাধারণ ... ...
আদর্শ ধুয়ে মুছেরাজনীতি করি ভাই,রাজ্য কে লোটা শেষ....এবার দেশকে লুটব তাই ।।
জনপ্রিয় এই গান টি শোনেননি এমন বাঙালি পাবেন না। "এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বোলো তো" সুন্দর এই পৃথিবীতে, মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে, যারা লম্বা হাঁটতে ভালোবাসেন বা যারা ট্রেকিংই যান, তাদের উত্তর যে "ভালোই হতো" হবে এটা বলাই বাহুল্য। সুগস্পিৎজে ট্রেকিং এর শুরুতে আমাদের ও ঠিক তাই মনে হয়েছিল কিন্তু পরের দিকে আমাদের দলের মধ্যে কারো কারো হয়তো মনে হচ্ছিলো "কতদূর আর কতদূর বলো মা"। আসুন দলের সাথে পরিচয় টা আগে করে দি, চার জনের টীম, চারমূর্তি। আমি, আমার স্ত্রী, আমাদের পুত্র ও কন্যা। এমনিতে বছরে দু থেকে তিনবার আমরা এদিক ওদিক বেরিয়ে পড়ি, যার মধ্যে ... ...
সংরক্ষণ নিয়ে লেখাটা কোথা থেকে শুরু করা যায় তাই ভাবতে ভাবতে হঠাৎই মনে হল, একেবারে প্রথম থেকে শুরু করলে কেমন হয়। মানে, ঋকবেদের সেই কুখ্যাত পুরুষ সুক্ত দিয়ে। যেখানে বলা হয়েছে যে শুদ্রর সৃষ্টি হয়েছে সেই ‘পরম পুরুষ’ এর পদদ্বয় থেকে। নাকি, খ্রিষ্টীয় সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীর এক ‘ব্রাহ্ম মুহুর্তে’ শঙ্করাচার্যের উদ্যোগে বৌদ্ধ ধর্মের ওপর যে নির্মম অত্যাচার নেমে আসে, সেখান থেকে। অবশ্য, এই নারকীয় ঘটনাবলীর জন্য খ্রিস্টিয় দ্বিতীয়-তৃতীয় শতাব্দী থেকে ব্রাহ্মণ্যবাদীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঐ সময়েই মনুস্মৃতির উদ্ভব হয়। আদি শঙ্করাচার্য বৌদ্ধদের ওপর অত্যাচার করার জন্য সিথিয়ান বা রাজপুতদের সাহায্য নেন। এই অত্যাচারের ফলশ্রুতিতে তৈরি হল ‘অচ্ছুৎ’ নামক পঞ্চম বর্ণের। আর, বৌদ্ধবিহার ... ...
‘দেবুদা আপনি তো রনজি খেলেছিলেন না ? ‘কৌস্তভ জিজ্ঞাসা করে।— না রে .... সে সৌভাগ্য হয়নি। স্পোর্টিং ইউনিয়নে তিন বছর আর মোহনবাগানে দু বছর ছিলাম। খুব ইরেগুলার ছিলাম ফার্স্ট ইলেভেনে। আর বাকি কেরিয়ার তো নবদিগন্তে মানে, নবদিগন্ত স্পোর্টিং-এ খেলেই কেটে গেল।’ কৌস্তভ বলল, ‘অম্বরীশ কাকু বলত আপনার মতো টেকনিক্যালি পারফেক্ট ব্যাটসম্যান খুব কম দেখা যায়। আপনার আরও অনেক অপরচুনিটি পাওয়া উচিৎ ছিল।’ ... ...
হাওয়ার দেওয়ালে ঝুলে আছি;বড় শঙ্কা হেসামনে মোচ্ছবে সামিল চিকন পুতুল-পিছনে ধর্মরাজ ;খড় ,মাটি আর বাঁশঠিক যেন সামনে যুদ্ধ, পিছনে পরিস্থিতি! হাওয়ার দেওয়ালে ঝুলে আছি -লাটাই ছিঁড়ে বেরিয়েছি সেই কবে !কিছু নাছোড়বান্দা সুতো জট পাকাচ্ছে-যেন ওড়ার আকাশটাও ইতিমধ্যে বিক্রী হয়ে যায়! মুখোশে ঢাকা এক উদ্ধত দালাল মুদ্রার মাধ্যাকর্ষণ মাপছে-আর আঙুল তুলে কি সব বকে চলেছে এক নাগাড়ে। রাত্রি এক এক করে সমস্ত অলঙ্কার খুলে রেখেআমাকে অনিবার্য পথ দেখাচ্ছে।আমি মুখ থুবড়ে পড়েছি রাত্রির সুচারু কালিমায়! ঈশ্বর সময় নষ্ট করেন না।-জানতে চাইলেন আমার শেষ ইচ্ছা!বুঝলাম,আমি কিনারায়! আমার উত্তরে ছাই দিয়ে হঠাৎ-তীব্র দংশনে আমার হৃদপিন্ড তছনছ হলো!-আর হাওয়ার দেওয়াল খসে পড়লো ,বদ রক্তের টানাপোড়েনে!অশেষ গহন খাদে, বা মহাশূন্যে বোধহীন ... ...
নিরীহ জনগনের ভাত মারে যারাতারা মানুষের জাতে পড়ে না। তাদের শ্বাপদের জাত বললেও-মনের গর্জন মেটে না, তারা দুনিয়ার নিকৃষ্ট বিষধর কীট।ও রা টাকার গোলাম সুদখোর ঘুষখোর, ওরা হিংস্র ওরা শয়তান দুঃশাসন দুর্যোধন। শুধু জানে কেড়ে নিতে সবকিছু-বাড়ি জায়গা টাকা পয়সা সন্তান স্ত্রী সব। ওরা ভোগী ডাকাত কামের ক্ষুধায় আষ্টেপিষ্টে শৃঙ্খলিত ।ওরা চলে 'অর্থ'র বলে, তা দিয়ে পাঞ্জা লড়ে পারে কিনতে ... ...
কালকূট ছদ্মনামে লেখক সমরেশ বসু শাম্ব উপন্যাসটি লিখেছিলেন। এটি ১৯৭৮ সালে দেশ পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। দু বছর পরে ১৯৮০ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পায়। পুরানের একটি গুরুত্বহীন কাহিনী ও চরিত্র এই উপন্যাসের মূল কাহিনী ও চরিত্র।
সখী আঁতেল কাহারে কয় ?সেকি কেবলই দেড়েল হয় ?
বাসের মধ্যে সিনিওর সিটিজেন সীটে বসা নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক লেগেছে। একজন বলছে- আমি বেশী বয়স্ক, আমি বসবোআর একজন বলছে- ধুর মশাই আপনার চুল এখনো কালো, কি বলছেন!- আরে! চুল সাদা মানেই বেশী বয়স?- ঠিক আছে,আপনার আধার কার্ড বের করুন, দেখি আপনার বয়স- এ রে! আমার আধার কার্ডে ডেট অফ বার্থ ভুল এসছে!- চলবে না, আধার কার্ডে যা থাকবে, সেটাই মানা হবে। কনডাকটর্ দাদাও এটাই বললো- আপনারা নিজেদের মধ্যে মেটাতে পারেন না যখন, তখন আধার কার্ডের জন্মসাল দেখেই মিটমাট হোক!এটা শুনে অন্য এক মধ্যবয়স্ক প্যাসেঞ্জার বলে উঠলো- বাহ! আমার আধার কার্ডে জন্মসাল এত ভুল এসছে যে সেই হিসেবে আমার বয়স এখন ... ...
“যে রাত্রে শমী গিয়েছিল, সে রাত্রে সমস্ত মন দিয়ে বলেছিলুম, বিরাট বিশ্বসত্তার মধ্যে তার অবাধ গতি হোক, আমার শোক তাকে একটুও পিছনে যেন না টানে। ... সেখানে আমাদের সেবা পৌঁছয় না, কিন্তু ভালোবাসা হয়তো বা পৌঁছয় – নইলে ভালোবাসা এখনও টিঁকে থাকে কেন?"