এবারে "গুরুচণ্ডালি " তে যে লেখাটি আমি পাঠাচ্ছি, সেটি বেশ কিছুদিন আগেই পাঠানো যেত, কিন্তু 'করোনা ভাইরাস' মহাশয় একটু বাঁধ সাধলেন। তাঁরই কীর্তিকলাপের বিস্তারিত বিবরণ ই ছিল আমার লেখার বিষয় বস্তু। মনে হচ্ছে আমার প্রতি বিশেষ ভাবে প্রসন্ন হয়েই এবার তিনি আমার ই বাড়ির গৃহকর্তা এবং তাঁর অবিভাবক (attendant) টির ঘাড়ে চেপে বসলেন। বুঝতেই পারছেন, মাথায় উঠলো লেখা জোখা, অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা । মোটামুটি তাঁরা সুস্থ হওয়ার পর আবার লেখাটির কথা মাথায় এলো। ... ...
মধ্যযুগের মলের টুকরো ছিটকে এসে পড়েছেযারা চেয়েছিলো তারা এখন নারায়ন শিলা মানে।পূতিগন্ধে পরিযায়ী পাখি ফুলেদের ডাক দিয়েছেপাখি জানেনা ফুলেরা মরেছে ভগবানের চরণে।
বৈকুন্ঠবাবু চিন্তাকুল মুখে বিদায় নিলেন । বিদ্যুৎ বলল, ' কলতানদা ... অম্বরীশবাবুকে দিয়ে এন্টালি থানায় একটা ডায়েরি করাতে হবে । ওটা ওদের জুরিসডিকশানে । আমি তো কাল ওখানে যেতে পারব না । আমি অবশ্য এন্টালি থানার ওসি বিমল মন্ডলকে কেস ডিটেলসটা দিয়ে একটা মেল করছি । ফোনেও কথা বলে নিচ্ছি । তুমি যদি কাল ফার্স্ট আওয়ারে অম্বরীশ চ্যাটার্জীকে দিয়ে একটা জেনারেল ডায়েরি করিয়ে নিতে পার ভাল হয় ... ওই গ্যাঙ অফ ফোরের নামে.... '----' হ্যা ... দেখছি ... কিন্তু বিদ্যুৎ ... চারজনের নামে না , ডায়েরিটা একজনের নামে করে তাকে গাঁথতে হবে । তারপর তাকে দিয়ে বাকিদের তোলাতে হবে । ... ...
এক যে ছিল ট্রামপর্ব - ২|| এক পয়সা ট্রামভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলন ||( আগের পর্বের পর...)সমস্ত শহর জুড়েই অরাজকতার সৃষ্টি হয় | এইরকম গুরুত্বপূর্ণ সময় মুখ্যমন্ত্রীর ইউরোপ চোখ অপারেশনের জন্য চলে যাওয়াতে তদানীন্তন কংগ্রেস নেতৃবর্গএর পক্ষে এই পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল হয়ে পরে | কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজ্যসভার সংসদ বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, ঐতিহাসিক হিরেন মুখার্জী প্রমুখ ছয়জন প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর কাছে চিঠি লিখে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ জানান | বিরোধী পার্টিগুলি একজোট হয়ে এই সময় কংগ্রেস সরকার কে পদত্যাগ করতে বলে পুনর্নির্বাচনের ডাক দেয় |প্রতিরোধ কমিটির ডাকে শহরের ছাত্র-যুবারা ম্যাংগো লেনে ট্রাম কোম্পানির অফিসের সামনে অবরোধে বসে | ট্রাম কোম্পানির তরফে A C ... ...
বটতলায় বসে আছে ছেলেটা। দূর থেকে দেখছে অখিল সেই থেকে একটু যেন আনমোনা। দেখতে ভারী সুন্দর। সাইকেলে করে কাপড় ফেরি করে ঘুরে ঘুরে ও। দুপুর দিকটায় এখানে এসে রোজ বসে। আগে কখনো দেখে নি ছেলেটাকে। সেই থেকে গভীর ভাবে কি যেন ভাবছে। এই নির্জনতায় কিছু শোনার চেষ্টা করছে হয়তো
ফর্টিফাইভ বাই ওয়ান সূর্য সেন স্ট্রীট । এ টু জেড ডিজিটাল । বেলা এগারোটা । মাঝারি সাইজের দোকানঘর , পাঁচ ছ জন লোক কাজ করছে । অনেকগুলো কম্পিউটার এবং নানারকম যন্ত্রপাতি দেখা যাচ্ছে । একজন দাড়িওয়ালা লোক দোকানে এসে দাঁড়াল । বাইরে বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে । নানাধরণের কাজ নিয়ে এসেছে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ চালু দোকান । একটা দাড়িওয়ালা স্বাস্থ্যবান লোক দোকানের ভিতর পা রাখল । সামনের মনিটরের স্ক্রিনে চোখ রেখে একমনে মাউস ... ...
সকাল আটটা বাজে । কলতান এক কাপ কফি নিয়ে বসে খবরের কাগজে চোখ বোলাচ্ছিল ।কাল রাত্রে অপরাধ বিজ্ঞানের ওপর এক বিদেশী লেখকের লেখা একটা বই পড়ছিল । তাতে একটা দারুণ উপপাদ্য পেল গোয়েন্দাতত্বের ব্যাপারে ----- 'স্ট্রাইক দি পয়েন্ট ব্লাইন্ডলি অ্যন্ড ফলো দা ওয়ে দি রিবাউন্ড কামস ব্যাক ... ইউ উইল রিচ ইয়োর এন্ড 'মানে, কোন লক্ষ্যে আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ে দেখ কি দাঁড়ায় .... প্রতিক্রিয়ার গতিপথ থেকেই তোমার গন্তব্যের ঠিকানা পাবে ... । বাংলা কাগজ শেষ করতে পনের মিনিটের বেশি লাগে না ... ...
বজ্জাত লোকে দেশটা ভরপেট্টা হয়ে গেছিলো, মহান সরকার বাহাদুর দেশাত্মবোধক জমি দখল করে, আদিবাসী উচ্ছেদ করে সে জমি আদাম্বানিদের প্লেটে তুলে দেওয়ার মহান পরিকল্পনা কে ভেস্তে দিতে বজ্জাত লোকগুলো হেব্বি ঘোঁটাচ্ছিলো, কিন্তুু সে সব দেশ বিরোধী চক্রান্তকে ফুঁ মন্তরে জেলস্থ করে দিয়েছেন, ছাপান্ন ইঞ্চির ছাতি আর দুশোছাপ্পানো ইঞ্চির এক স্ফীতোদরের দুই গুজরাটি, তা বলে আপনারা আবার ধোকলা খেতে যাবেন না, বাঙালি পেটে ওসব সইবে না, যাগগে, গির অরন্যের সিংহরা বিনা অনুপ্রেরণায় নিজ সন্তান, উৎপাদন করে আম্বানিদের চিরিয়াখানায় পড়তে পাঠাক,যাহোক এখনো কিছু দুষ্টু বাজ্জাত লোক খোদ দিল্লির বুকে বসে সরকার বাহাদুরের মুখে চুনকালি দেবার চেষ্টা করছে, ভালো করে শুঁকলে বাম বাম ... ...
অনেক চিন্তা, ভাবনা ও পরিকল্পনার পর ১২১১ সালে সকল জেনারেলদের ডেকে ঘোষণা দিল আমরা জিন সাম্রাজ্যের উপর আক্রমণ করছি। জেনারেলরা জানতে চাইল কোন পথে ? মানচিত্রে আঙ্গুল দিয়ে সর্বাপেক্ষা কঠিন পথ গোবি পার হয়েই হামলা করব।.জেনারেলরা জানের ভয়ে কিছু বলতে না পারলেও বলল মরু পারি দিব কি করে? চেঙ্গিস ফর্মুলা বলে দিল প্রত্যেকেই কয়েকটা করে ঘোড়া নিবে, এক ঘোড়া ক্লান্ত হয়ে গেলে তাকে ফেলে আরেকটায় আরোহন করবে।.জিন সাম্রাজ্য নিজের মূল ফোর্স না পাঠিয়ে সীমান্তের যাযাবর গোষ্ঠীর প্রায় ৫০,০০০ সৈন্যের মার্সেনারি ফোর্স গঠন করে জিংসিংয়ের পাস রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত করে। সম্রাটের ভাবা উচিৎ ছিল, অধিকাংশ যাযাবর গোষ্ঠীগুলো কোন না কোনভাবে মঙ্গোল ... ...
তুমিই আমার জীবন, তুমিই আমার জীবনের আরাধ্য, তোমাতেই আমার সব, আমার কোনো অস্তিত্ব নেই তুমি ছাড়া, আমার অস্তিত্বের প্রতিটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ তোমারই, আবার আমিই তোমার অংশ। আমিই তুমি আবার তুমিই আমি। আরাধ্য বা ঈশ্বরের সাথে আরাধ্যকারী বা মনুষ্যরূপী তুচ্ছ জীবের এ এক আত্মিক সম্পর্ক, ভাবজগতের লীলা। আমি কেউ নই, তুমি ছাড়া আমার অস্তিত্ব নেই এই জগতে, আবার আমাতেই তোমার অধিষ্ঠান। ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, সংসাররূপী যে জগতের মধ্যে দিয়ে আমাদের মতো লোভী, পাপী, কামনা-বাসনার পাঁকে ডুবে থাকা মানুষদের মনুষ্যজীবন কাটাতে হয়, তা থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ দেখাতে গিয়ে ভক্তজনদের বলেছিলেন, "ত্বমসি মম জীবনম্"। আমাতেই মহাশূন্য আবার মহাশূন্যতেই আমি বিলীন। ঈশ্বরকে ... ...
এক যে ছিল ট্রামপর্ব - ১"শেষ ট্রাম মুছে গেছে, শেষ শব্দ,কলকাতা এখনজীবনের জগতের প্রকৃতিরঅন্তিম নিশীথ"এক গ্রীষ্মের বিকেল হবে - সন্ধ্যা নামার খানিক আগে | আগের দিন কালবৈশাখী সহ বৃষ্টি হওয়াতে গরম টা একটু কম | বেহালা ব্লাইন্ড স্কুল | রবিবারের বিকেল | তাই রাস্তায় ভীড় কম | এক মাস ও হয়নি | পশ্চিম বাংলায় ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস | ৩৪ বছর পর বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটেছে | আমি দাঁড়িয়ে আছি, ডায়মন্ড হারবার রোড পেরিয়ে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে যাবো |এমন সময় একটা অদ্ভুত দৃশ্য দেখলাম সেই বিকেলের পড়ে আসা ফিকে আলোয় | বড়ো বড়ো ... ...
কিম্ভুতকিমাকার রাজার বচন বিমুদ্রাকরনেই ফেরে কালাধন! ইতিহাসে ইতিসাবাড়কর নীতিহানাহানি,উস্কানি দিয়ে বিভাজন। ফকির রাজার ভারি আজব চলনভাষন, ভূষণ আর ভুবন ভ্রমন!সংখ্যা বেকুব কর্জ মুকুবদানি আর বানী গায় রাজার ভজন।
মিছিল আন্দোলন, উৎসব আড্ডা, যানযট, বীর বিপ্লবীদের গাঁথা, সব মিলে ব্যাস্ত শহর, আমাদের গর্বের কোলকাতা। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, সবকিছু থাকে মিশিয়া মিলিয়া, আছে ট্রাম আছে ভিক্টোরিয়া, আছে ডেঙ্গু
চিরশ্রী দেবনাথস্বীকারোক্তি যখন কবিতাআমি একটি ট্রেনলাইনের পাশাপাশি হাঁটছি, দূর থেকে শুনতে পাচ্ছি সিগনাল, আমার অন্তঃস্থলে দুর্ধর্ষ মেঘ ডাকছে, সমবেত কুয়াশা চারপাশ থেকে আমার দিকে ছুটে আসছে, আমি এখুনি আরেকটা জগতে চলে যেতে চাই, একটু রক্তপাত হবে, শীতল দীর্ঘ শব্দ কেটে দেবে শরীর, কিন্তু পারছি না, আটকে রেখেছে কলম, কলমেই লিখবো এইমাত্র না হওয়া মৃত্যুকে। কেন ফিরে এলাম, পায়ের পাতা থেকে ব্রেন অব্দি উঠে এসেছে যে সংঘবদ্ধ লাইন সেগুলো কীটময়, পতঙ্গের দুঃসহ একঘেয়ে সঙ্গীত, মেপল পাতার অরণ্য থেকে বাঁশবন আশ্রিত, উত্তর আমেরিকার একটি নিঃসঙ্গ গির্জার দক্ষিণ বাহু দিয়ে বয়ে যাওয়া ছবির মতো নদীটির তীরভূমি আস্তে আস্তে ঢুকে যাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের পল্লীগ্রামে ... ... ...
কোডনেম: বারবারোসাব্লিৎসক্রিগের প্রথম দশ দিন লেখক : শোভন চক্রবর্তী প্রকাশক : বই চই পাব্লিকেশান What is History ? - এই শিরোনামে ১৯৬১ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি ভাষণ দেন ব্রিটিশ ঐতিহাসিক ও কূটনীতিক Edward Hallet Carr | পরবর্তী কালে সেই ভাষণগুলিকে একত্রিত করে একই শিরোনামে যে বইটি প্রকাশ পায় সেটি আধুনিক সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত তত্ত্বগুলির মধ্যে একটি | Carr বলেন তথ্য হলো বাজারে মাছওয়ালার কাছে পরে থাকা মাছের মতন | ঐতিহাসিক তার পছন্দ মতন মাছ বেছে নেন, বাড়ি যান, সেগুলো ধুয়ে মুছে রান্না করে নিজের মতন পরিবেশন করেন |অর্থাৎ ঐতিহাসিক যেভাবে তথ্য গুলি দেখছেন বা বুঝছেন, তিনি সেভাবেই সেগুলোকে ব্যাখ্যা করছেন | তার ... ...
শ্রীচরণে সু, এবারের পঁচিশে বৈশাখে আমি আপ্লুত। আমি বিহবলিত। এই জীবনে এরকম একটি দৃশ্য দেখতে পাব, আমি ভাবতেই পারিনি। কারণ রবীন্দ্রনাথের নোবেল পাওয়া আমি দেখিনি। সত্যজিতের অস্কার পাওয়ার সময়ও আমি দেখতে পাইনি। ইউটিউবে অবশ্য সেই দৃশ্যটি দেখেছি। কিন্তু মন ভরেনি। কারণ সেই যুগে আমি জন্মাইনি। নোবেল অস্কার নাহোক। আপনি একাডেমী পুরস্কারটি যেভাবে নিজেই নিজেকে ছুঁড়ে দিয়ে লুফে নিলেন, তাই বা কম কিসের ! জানেন ম্যাম, হেবোর বাবা আমায় সর্বদা অবজ্ঞা করে। তাচ্ছিল্য করে। আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে। ঠিক আমায় নিয়ে নয়। আমার লেখা কবিতাগুলো নিয়ে। আমিও অবসরে আপনার মত কবিতা লিখি। লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক পত্রিকায় সেগুলো পাঠিয়েছি। কিন্তু একটাও ছেপে বের হয়নি। ... ...
মহাকবির বিয়োগান্ত চলছিল ঠিকঠাকহঠাৎ রাজা সাজঘরে তে পাল্টালো পোশাক!মঞ্চে ঢুকেই নতুন ড্রেসে অসংলগ্ন সংলাপবলে -"এতক্ষণ যা হচ্ছিল সব পাগলের প্রলাপ!-রাজার আবার ভুল হয় নাকি!এডমন্ড হলো আদর্শএখন থেকে যেকোন উপায়ে আদায় করো রাজস্ব।সত্য মিথ্যা নীতির কথা ,নাটক নভেলে মানায় বেশঅনুগত যারা থাকুক তারা,বাদবাকি সব ছাড়ুক দেশ।-যুদ্ধ যুদ্ধ করবো খেলা যখনই দেখা দেবে অভাবযত্রতত্র খাইখাই করা প্রজাবৃন্দের ভিখারি ভাব।চাষাবাদ করে খাজনা আর আত্মনেপদী রোজগারঅন্যথা কিছু করলে স্রেফ ভর্তি হবে কারাগার!-কর্ডেলিয়ারা বিদেশেই থাক,সত্য বড়ই অপ্রিয়মহান মিথ্যা প্রচার করেই রাজা দেশে জনপ্রিয় ।"এক নাগাড়ে বলে চলে বিষাক্ত-নীল মনের বাতমুখ বন্ধের চেষ্টা বৃথা স্তম্ভিত হয়ে সবাই মাত।পরিচালকের মাথায় বাজ,লীয়ারের একি মতিভ্রম!-ট্রাজেডি শেষে প্রহসন হলে সমস্তটাই ... ...