এক যে ছিল ট্রামপর্ব - ৪|| আমরা তখন ক্লাস ইলেভেন, আমরা তখন কালো ফুলপ্যান্ট ||মাধ্যমিকের পর সবারই লেজ গজায় | অন্তত আমাদের সময়, সেই সুদূর নব্বইতে গজাতো | নিজেদের স্কুলেই বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হয়েছি আমরা প্রায় সবাই যারা বেহালা থেকে ট্রামে আসতাম | ২৭ এর সাথে যোগ হয়েছে আরো একটি রুটের ট্রাম | ২৪/৩৭ - যা বালিগঞ্জ থেকে জোকা যাবে | আমাদের অনেকেই বেহালা ট্রামডিপো থেকে জোকার মধ্যে থাকে | তাই সবারই খুব সুবিধে হলো | আমাদের গ্যাং আরো বেড়ে গেলো |সাথে সাথে বাড়লো পথের দাবি | অন্তত চারটে স্কুল ও একটা কলেজ থেকে ট্রামে উঠতো শাড়ি, স্কার্ট, সালোয়ার কামিজ ... ...
.ফিল্মের মহারথীদের একের পর এক বিপুল বাজেটে নির্মিত ফিল্ম বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছে। একটি আপাত জোলো কারণ আকাশে বাতাসে মিডিয়ার কল্যাণে ভেসে বেড়াচ্ছে। হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে কিছু লোক নাকি বয়কট লিখে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছে। তাই নাকি ফিল্মগুলো দর্শক দেখতে হ'ল ভরাচ্ছেন না। আমির খান, অক্ষয় কুমার প্রমুখ তারকা খচিত একটি ছবি, কয়েকজনের করা বয়কট পোস্টের জন্য মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিলেন ? এই বালখিল্য যুক্তিটি মানানসই বলে মনে হয় ? বিশেষ করে আমির খান ও অক্ষয় কুমারের মত সুপার স্টারের ছবি ! মুম্বইয়ের অনেক তাবড় ফিল্ম বিশেষজ্ঞদের ভাবনা অনুযায়ী কারণ এমনটাই বর্ণিত। অথচ দক্ষিণী ছবিগুলো ডাবিং করে সারা দেশ ... ...
এ খেলা কেমন খেলা,জীবন ওঠে শঙ্কা ভরে।যাপন হেথায় দুর্বিষহ,গান গাইছে নাকিসুরে।ফাঁকাই থাকে খেলার মাঠ,অফিসবাড়ী ধু ধু করে।কারখানার তালা বন্ধ সব,কল গিয়েছে চাবির তরে।নারীর মান শূন্যে লুটায়,ইজ্জত গড়ায় ধুলার পরে।লক্ষ্মী কবেই হাল ছেড়েছেন,বীনাও আর নেইকো সুরে।চতুর্দিকে অসুর ও বেসুর,শুধুই ভীড় নদীর তীরে।বিসর্জনের সুরটা শুধুই,বাজছে যে ভাই শরীর জুড়ে।তবুও সবাই বলছে শুধুই,খেলা হবে, খেলা হবে।খেলার মধ্যে লাভটা কি,উন্নয়ন কিছু দেখা যাবে?নাকি, শুধুই কাকতাড়ুয়া,জমির আলে দাঁড়িয়ে রবে? ... ...
পুরানো দিনের স্নান ঠোঁটে নিয়ে উড়ে আসে যারা, বাদামি হলুদ লাল হাঁসবাঁধা হবে কি জ্বরের শরীরে বাসা, তাদের আকাশ? আমন্ত্রণ লেখা ছিলো শিরাধমনীতে, তৃষিত গহনে ঘন বাসখোলা হবে কি দরজা নলিপথ, একে একে টানা হবে শ্বাস সাহস রক্তে থাকে, সংসারে প্রাণ থাকে অস্তবিকেলময় যদিআজন্ম ভয়ের তাড়না, কাকভোর থেকে ফুলে ওঠা রাত্রি অবধিঅথচ দিন ফুরালে জলের শরীরে মেশা সরু নীল শব্দহীন নদীহয়ে বয়ে যাওয়া রক্তে লেখা ছিলো, সেই ক্ষত ভুলেছে পরিধি ক্রমাগত ছোট হতে হতে, যখন কালো পাখির তীক্ষ্ণ ছুরি শিসছিন্নভিন্ন করে ঘুমমহল্লা, নখের বাড়িতে জমা হতে থাকে অহর্নিশবাঁ চোখের দুর্ভাগ্য এবং দুর্ভাগ্যজনিত গ্রহবিষসেই থেকে সমস্ত মাংস শুধু, চরাচর দুর্বোধ্য আমিষ ধুয়ে জল নামবে উঠোনে ... ...
"কবে তৃষিত এ মরু ছাড়িয়া যাইব তোমার রসালো নন্দনে"। চোখ দিয়ে বারিনবাবুর জল গড়িয়ে পড়ছে, বারিনবাবুর স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে লক্ষ্য করছে। তাদের চোখও ভিজে গেছে। বারিনবাবু কিন্তু গেয়েই চলেছেন, "কবে তাপিত এ চিত করিব শীতল, তোমারি করুণা চন্দনে"। প্রতিদিনই ঠাকুরঘরে কালীমায়ের ছবির সামনে বসে বারিনবাবু শ্যামাসঙ্গীত গেয়ে থাকেন এই সন্ধ্যাবেলায়, একনিষ্ঠ ভক্ত তিনি কালীমায়ের। তবে আজকে তিনি রজনীকান্তের গান গাইছেন, যদিও এটাও সমর্পণেরই সঙ্গীত। গানের গলাটাও চমৎকার বারিনবাবুর। এইসময় তাঁর কোনো বাহ্যিক জ্ঞান থাকেনা। স্ত্রী ও ছেলে বহুবার লক্ষ্য করে দেখেছে। বাহ্য জ্ঞান তিনি হারিয়ে ফেলেন, যখন তিনি নিজেকে সমর্পণ করেন মায়ের শ্রীচরণে। আজকে তাঁর গলায় গানটাও যেন অন্যদিনের ... ...
রামায়ণে পড়েছি, কোন এক সময় এক জোড়া জুতো দেশ শাসন করেছিল, কিন্তু আজ জুতোর কোন সম্মান নেই। এই কারণে জুতোর জন্য আমার বড়ো কষ্ট হয়। জুতো ছাড়া আপনি চলতে পারবেন না, অথচ তাকে আপনি আপনার ঘরে ঢুকতে দেন না। অন্যের ঘরে ঝগড়াঝাটি বাঁধাতে আপনি ঐ জুতো উল্টে দিয়ে
মরে গেলে তো ব্যাপারটা একতরফা হয়ে যায়প্রকৃতির নিয়মেই কাছে আসা আবার একই নিয়মে দূরে যাওয়া।সময় যখন যেমন চাইবে তেমনই হবেদুজনেই জানব দুজনেই আছি, অথচ মাঝে বয়ে যাবে কেবল নিঃশব্দের নদী। সময় প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হয়, সাথে পাল্লা দিয়ে অনেক কিছুই বদলায়, আবার অনেক কিছুকে নিজ থেকেই নিজেকে বদলে নিতে হয়, নয়তো নতুন পরিস্থিতিতে সে হয়ে পড়ে অকেজো আর বেমানান।তাই আমরাও হয়তো বদলে যাব, কেউবা বদলে নিব।আর যে পরিবর্তনটা আঁচ করতে পারবে না, বদলাবে না সে-ই ঐ পরিস্থিতিতে বেমানান হয়ে পড়বে। এমনটা আমার অনুভূতিতে এসেছে বলেসময়কে বোঝা আর সে অনুযায়ী আচরণ করা ছাড়া আমি নিরুপায়সময় আমাকে বদলে দিয়েছে এমনটা বলার থেকে বরং আমিই নিজেকে ... ...
কয়েক বছর ধরে হাঁটিতেছে সে ইউনেস্কোর পথেঅবশেষে ঐতিহ্য ঘরে;তপতী বাড়ী আছো? 'মেঘলা দিনে দুপুর বেলা যেই পড়েছে মনে'-'এতদিন কোথায় ছিলেন?' 'যেতে পারি...
৬ই জুন , ১৯৪৫।নরম্যান্ডিতে মিত্রবাহিনীর সৈন্যরা ইউরোপকে মুক্ত করার জন্য অবতরণ করছে । এটি ছিল আধুনিক সমর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযান। জার্মান বাধা অতিক্রম করে বিচ পেরোতে গিয়ে নিহত হয় হাজার হাজার মিত্রপক্ষের সৈনিক।.ওদিকে সুদূর আমেরিকায় মিলিটারি হেডকোয়ার্টারের এক কোনায় বসে কয়েক ডজন ক্লার্ক একযোগে শত শত চিঠি টাইপ করে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য মৃত সৈনিকদের শেষ খবরটি তার পরিবারকে পৌঁছে দেওয়া।.হেডক্লার্ক সব টেবিলে ঘুরে ঘুরে সবাইকে তাড়া দিচ্ছে কারণ আরও হাজার হাজার মৃত সৈনিকের পরিবারে চিঠি পাঠাতে হবে। হঠাৎ তিন টেবিলের তিনটি চিঠির উপর তার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। প্রত্যেক মৃত সৈনিকের নামের শেষ উপাধি রায়ান।.হেডক্লার্ক চিঠি তিনটি নিয়ে তার সুপারভাইজরের দৃষ্টি ... ...
১৯৯০ সালের গ্ৰীষ্ম কালের কোনো এক রবিবারের বিকেল। কর্ম সূত্রে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনীয়ারিং সংস্থার নির্মাণ বিভাগের হয়ে ভাইজাগে পোস্টেড।প্রায় সাড়ে তিন বছর সেখানে ছিলাম। অনেক সহকর্মীর মতো আমারও কর্ম জীবনের এবং বোধকরি ব্যাক্তি জীবনেরও সেরা সময়( গিন্নী সেরকমই বলেন)। নানা কারণে বঙ্গোপসাগরের উপকুলীয় এই শহর স্বাস্থ্যকর, শান্ত ও মনোরম।স্টীল প্লান্টের গা ঘেঁষে সমূদ্রের পাড়ে গঙ্গাভরম বলে জায়গাটা আজো মনের ক্যানভাসে ছবি হয়ে আছে! সমূদ্রের ধারে একটা পাথর আর একটা পাথরের ওপর ভারি বিপজ্জনক ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। 'হম বনে তুম বনে...'। 'এক দুঁজে কে লিয়ের' Shooting হয়েছিল এখানে! পাহাড়ের উপরে একটা মন্দির আছে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা যায়!প্রায় শ'দেড়েকের মতো স্টেপ হবে ... ...
থানার দুজন উর্দিহীন সাব ইন্সপেক্টর চোখের পলক ফেলতে না ফেলতে কলতানের কাছাকাছি এসে তাকে এদিক ওদিক খুঁজতে লাগল । কলতান বলল , ' এই যে ... আমি এখানে ... ' । এস আই দুজন সঞ্জয় ঘোষ এবং প্রতীক চক্রবর্তী তার সামনে যেতেই সে তার দাড়ি পাগড়ি সব খুলে ফেলল । প্রতীকবাবু বললেন, ' আরে... কেয়াবাত .... আপনার সত্যি জবাব নেই ... কেউ চিনতেই পারবে না ...' । সঞ্জয়বাবু বললেন, ' মেক আপ দুর্দান্ত হয়েছে .... 'কলতানের কানে এসব কথা ঢুকছে না । সে বলল , ' ওসব বাদ দিন । হারি আপ ... কে এফ সি বিল্ডিং..... মারুতি ভ্যান .... ... ...
নটা বাজার মিনিট পাঁচেক আগে কলতান মাথায় একটা পাগড়ি পরে গালে দাড়ি লাগিয়ে নিল চট করে । এত দ্রুতবেগে কাজটা করল যে আশপাশের কেউ কিছু বুঝতেই পারল না । অনেক বছর ধরেই সে এ কাজটায় অভ্যস্ত । বাইকের রিয়ার ভিউ গ্লাসে নিজের মুখটা দেখে নিল । নিজেকে নিজে চিনতেই পারছে না । বারের ভিতরে ঢুকে কাউন্টারের একপাশে দাঁড়িয়ে রইল । ফ্লোরের টেবল দু তিনটে এখনও খালি । বাকিগুলোয় পানরসিকরা উদ্বেল হিল্লোলে ভাসছে । রাত আস্তে আস্তে রঙে রঙে রঙীন হয়ে উঠছে । দারিদ্র, মালিন্য ভরা কলকাতার ভিতরে আর এক কলকাতা । ন নম্বর টেবিলটা একপাশে একটু নিরিবিলিতে ঢিমে বাতির নীচে । ... ...
মাত্র দুবার রিং হবার পর ওদিকে কেউ ফোন তুলল । পুরুষকন্ঠে একটা ছোট আওয়াজ আসল --- ' হুমম্ ' । কুলচা নার্ভ ধরে রেখে গলায় মধু ঢেলে বলল,' হরি ওম ' ।মোবাইল নিঃশব্দ হয়ে গেল । স্পীকার অন করাকরা আছে । বোঝা যাচ্ছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি । ওপারের ভদ্রলোক বোধহয় সতর্কভাবে জল মাপছে .... । কুলচা ক্রিজে বেশ তাড়াতাড়ি সেট হয়ে গেছে মনে হচ্ছে । সে ছোট্ট একটা গিগল মিশিয়ে আবার একবার বলল , ' হরি ... ও..ম ' ।এবার ছোট্ট একটা জবাবও এল ' লিডার 'এবার কি বলা যায় ভেবে না পেয়ে কলতানের কথামতো চুপ করে রইল । কলতান তাড়াতাড়ি ... ...
Switzerland of Assam হিসেবে পরিচিত হাফলং, অনন্যসাধারণ এক শৈলশহর। আসামের একমাত্র শৈলশহর গৌহাটি - শিলচর রেললাইনে গৌহাটি থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার আর শিলচর থেকে ১০৩ কিলোমিটার দূরে। আগে ট্রেন পাহাড়ের ওপরে উঠে যেত, কিন্তু ব্রডগেজ লাইন হওয়ার পর থেকে পাহাড়ের নীচে নতুন 'নিউ হাফলং' স্টেশনে নেমে গাড়ীতে করে প্রায় ৯ কিলোমিটার পাহাড়ে উঠে আসতে হয়। শিলচর শহর থেকে ১০৩ কিলোমিটার দূরত্ব হলেও পাহাড়ী রাস্তা বলে ৪ ঘন্টা সময় লাগে ট্রেনে। এই লাইনে ট্রেনের লেট হওয়া নিত্যনৈমিত্যিক ব্যপার, কারণ সিঙ্গল লাইন। আজ ট্রেন এক ঘন্টা লেট করেছে কিন্তু, রাস্তার নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল ট্রেন আরও লেট করলেই ভালো হয়।দিমা হাসাও ... ...
নৌকো আসে দলে দলে, রত্নচূর্ণ মাখানৌকো মানেই জল থাকে বুঝি? এখন কিছু নেইনা থাকা জলচ্ছায়া খোলের ভিতর রাখা হাত ডুবোও, হাতে ধরে তোলোযত পুরোনো নদী, হেমন্তকাল এলে সরু নৌকো আসে দলে দলে, অন্ধকার হোলো আমরা যে সব দিন, যে সব আলুথালুকথাবিন্দু ভাসিয়েছিলাম, তাদের মনে করেফিরে আসছে নৌকোঋতু, ঘামছে বাম তালু উপোস গেলো, চালবাতাসা ভিজছে ঘরে ঘরেকি করে ভেজে? দারুণ দাবানলে বৃদ্ধ তরুপুড়ে যাচ্ছে, খালি হচ্ছে মেঘের চবুতরা নৌকো আসে দলে দলে, অথচ বুকে খরাজল জল বলে দিনান্তে নিশি ডাকছে তো ডাকছেই ... ...
গ্রীষ্মকালের চরম শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার তৃণভূমিতে আগুনলাগা নতুন কোনো ব্যাপার নয়। তীব্র তাপমাত্রায় বয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাস , বজ্রপাত , অসাবধানী ক্যাম্প ফায়ার ও নানা কারণে তৃণভূমিতে প্রায়ই আগুন লাগে।.তৃণভূমিতে এই বাৎসরিক আগুন লাগার পেছনে তৃতীয় একটা কারণ আছে যা আধুনিক মানুষ মাত্র কিছুদিন আগে জেনেছে। এটা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা হাজার বছর আগেই জানত -- আগুনে বাজ বা Fire hawk ..Fire hawk বা Black Kite ( Milvus Migrans ) নামে পরিচিত এই বাজ কোথাও আগুন লাগতে দেখলে একা বা সংঘবদ্ধভাবে ছোটখাটো জ্বলন্ত ডালপালা ঠোঁটে করে বয়ে নিয়ে গিয়ে দূরে নিক্ষেপ করে।.আগুন লাগলে কীটপতঙ্গ পতঙ্গ ও সরীসৃপ দলবেঁধে বেরিয়ে আসে। ... ...
ফ্ল্যাটের আসল মালিক সরোজ ভরদ্বাজের ফোন নম্বরটা পাওয়ার পর কলতান বলল, ' রাকেশ মিশ্র, মানে যে এসে মাঝে মাঝে থাকে তার ফোন নাম্বারটাও দিন ... ' ভদ্রলোক রেজিস্টার হাতড়ে ফোন নম্বরটা বার করে কলতানকে দিলেন । কলতান ফোন নম্বরটা সঙ্গে মিলিয়ে দেখল সূর্য শ্রীবাস্তবের নম্বরের সঙ্গে মেলে কিনা । নম্বর মিলবে আশা করেনি এবং মিললও না । কলতান বলল, ' বিল্ডারের নাম এবং ফোন নম্বর দিন ' ভদ্রলোক বাধ্য বালকের মতো চুপচাপ একটা কার্ড বার করে কলতানকে দিল । পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা... । কার্ডে চারটে ফোন নম্বর রয়েছে । রিয়্যালটর কোম্পানির নাম নিলাদ্রি বিল্ডার্স । অভিরূপবাবু বললেন , ' মিস্টার ... ...
এক যে ছিল ট্রামপর্ব - ৩|| ২৭ নম্বর ট্রাম ||" আরে আজকে স্নান করে আয়নার সামনে টাইগার ব্যালেন্স করতে গিয়ে উল্টে পরে গেছি | টেবিলে এক লাথি | বাড়ির লোকজন ছুটে এসেছে কি হলো কি হলো বলে |" " আর আমি খাটের উপর শুয়ে করতে গিয়ে ঘাড়ে লেগেছে |" হা হা হা হা | বক্তারা হলো পার্থ দা, দিব্যেন্দু দা, সৌম্য দা | আমাদের থেকে তিন বছরের সিনিয়র | পরের বার মাধ্যমিক | পিটি ক্লাসে দীপক বাবুর কঠোর নির্দেশ | তাই বাড়িতে প্র্যাকটিস করতে গিয়েই বিপত্তি |২৭ নম্বর ট্রামে করে বেহালা থেকে হাজরা স্কুলে যাবার পথে এই কথোপকথন | মুগ্ধ ... ...
জ্ঞানীগুণী মাত্রেই জানেন গত ২৬ তারিখে , ১৯৫৫ সালে পথের পাঁচালী মুক্তি পেয়েছিলো , ইত্যাদি ইত্যাদি। জানা তথ্য আবার বলে অজন্তায় দাগা বুলিয়ে কাজ নেই। একটা অন্য জিনিসে আলোকপাত করা যেতে পারে। পথের পাঁচালীর থিম মিউজিক নিয়ে বাড়াবাড়ির অন্ত নেই। কিন্তু সেই অমর সুরকেও অমৌলিকত্বের সন্দেহে পড়তে হয়েছিলো। সন্দেহ করেছিলেন স্বয়ং ঋত্বিক ঘটক। তারপর সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলিয়াছে। বাজালে লোকে বলবে সত্যজিতের করা সুর। পরিচালকের ডেবিউয়ের মহিমা। দুর্ভাগ্য রবিশঙ্করের ; একে বাঙালি তার আন্তর্জাতিক আইকনদের তালিকায় ভদ্রলোককে (সঙ্গত প্রায়োগিক কারণ থাকলেও) রাখতে চায় না , মোটামুটি রবি-সত্য-অমর্ত্য-সৌরভ কোয়াড্রাতেই কাজ চলে যাচ্ছে। উপরন্তু জীবনের শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালনার কাজে নিজস্বতা ঢেলে দিয়েও কল্কে টল্কে পাচ্ছেন না। ইদানিং ... ...
মুখের চানাচুর শেষ হলে অচিন্ত্য বলল, ' আপনি কাকে ফোন করেছিলেন ? '----- ' সূর্য শ্রীবাস্তবকে । অবশ্য ওটাই আসল নাম কিনা শিওর নই । কিংবা সেই ফোন ধরল কিনা বলা মুশকিল । যাই হোক ধরে নেওয়া যাক এটাই সূর্যকুমার । তুমি কখনও ফোনে কথা বলেছ ওর সঙ্গে ? '---- ' না না ... পাগল নাকি ? '----- ' ওদের কিছু কোড ল্যাঙ্গুয়েজ জানা আছে তোমার ? '----- ' হ্যা ... হরি ওম-টা জানি । গ্যাঙের মেম্বাররা একজন আর একজনকে এটা বলে ...' ----- ' আর ফক্স টেরিয়ার ? '----- ' হ্যা এটাও জানি ... এটা একটা সতর্কবার্তা। এর মানে হল ... ...