এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ - ১৮ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৯ মে ২০২৪ | ৫৬ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ - পর্ব ১৮

    পছন্দসই একটা আস্তনার সন্ধান পাওয়া গেল। রণজয়ের এক ছাত্রের বাবা ব্যবস্থা করে দিলেন। তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি। বন্ধুটি থাকেন কোলকাতায়, ছুটিছাটাতে এখানে এসে দু এক দিন কাটিয়ে যান। একজন মালি বাড়িটার দেখাশুনা করে। বাগানওয়ালা সুন্দর দোতলা বাড়ি। এক তলায় দুটো ঘর, রান্নাঘর, স্নানঘর আর একটা বড় বারান্দা ভাড়াটিয়ার জন্য বরাদ্দ হল। বাড়ির চারপাশে অনেকটা বাগান। সুন্দর পরিবেশ। রণজয় ঢোকার আগে গৃহকর্তা ছোটখাট মেরামত, রং ইত্যাদি করিয়ে বাড়িটাকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে দিলেন। রণজয় খাট, বিছানা, আলমারি, বাসন-কোসনের মত নতুন সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ধীরে ধীরে কিনতে থাকল। একদিন মাকে সাথে করে নিজের নতুন ঠিকানায় নিয়ে এসেছিল। ঘরদোর, আসবাবপত্র, সব কিছু দেখিয়েছে। দেখেশুনে ছলছল চোখে কণিকা বলেছিলেন—কি কপাল আমার, অত বড় বাড়ি থাকতে ছেলেকে ভাড়া বাড়িতে সংসার পাততে হচ্ছে।

    নির্মাল্য মেয়ের বিয়েতে কিছু আসবাব দিতে আগ্রহী ছিলেন কিন্তু রণজয় শোনা মাত্রই সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। নভেম্বারের ২৭ তারিখ বিয়ের দিন ঠিক হল। কিছুদিনের মধ্যে নির্মাল্যদের বাড়ির কার্ড ছেপে চলে এল। মেয়ের বিয়ের নেমন্তন্ন করাও ওনারা শুরু করে দিলেন। গৃহত্যাগের সময় আসন্ন, রণজয় বেশ সমস্যায় পড়ল। বাবার কারণেই বাড়ি ছাড়তে হচ্ছে, তাই বাবাকে নিয়ে ভাবছে না। ভাবনা মাকে নিয়ে, মা খুব কষ্ট পাবে। কিন্তু রণজয় নিরুপায়, এ ছাড়া আর তো কোন উপায় নেই।

    বাণী একদিন বিকাশকে অনুরোধ করেছিল ভাইয়ের ব্যাপারে বাবার সাথে কথা বলতে। বলেছিল, “তোমার কথা বাবা ফেলতে পারবে না। তুমি বুঝিয়ে বললে বাবা ঠিক রাজি হয়ে যাবে।”

    বিকাশ আপত্তি জানিয়ে বলেছিল, “তোমার বাবা চরম উন্নাসিক মানুষ। কেবলমাত্র অর্থই ওনার মানুষ মাপার মাপকাঠি। তা না হলে নিজের এককালের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সম্পর্কে অমন কুকথা কেউ বলতে পারে! রাশি যদি কোন ধনী ঘরের মেয়ে হত, উনি সাদরে গ্রহণ করতেন। তখন কোন কিছুতেই আপত্তি থাকত না। সবকিছু জানার পর আমার এই ব্যাপারে ওনার সাথে কথা বলার কোনোরকম ইচ্ছে নেই। তবে তোমার ভাইয়ের বিয়েতে আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত থাকব এবং তা তোমার বাবার জ্ঞাতসারেই।”

    বাড়ি ছেড়ে চলে আসার দিন রণজয় কারণ জানিয়ে বাবাকে একটা চিঠি লিখে ওনার টেবিলে চাপা দিয়ে রেখে এসেছিল। ওনার বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য মার্জনাও চেয়েছিল ওই চিঠিতে। বাবার অনুপস্থিতিতে বাড়ি ছেড়েছিল। কণিকা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করলেন। কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছিলেন না।

    রণজয় মাকে আদর করে বলল—এত ভেঙে পড় না মা। আমি তো দূরে কোথাও চলে যাচ্ছি না। আর তুমি হাসি মুখে বিদায় না জানালে আমাদের অমঙ্গল হবে।

    একথা শোনার পর কণিকা সংযত হলেন।

    বাড়ি ফিরে ছেলের চিঠি পড়ার পর দিগ্বিজয় একটু গুম হয়ে গেলেন। কণিকা চা নিয়ে ঘরে ঢুকতে বললেন- কাপুরুষ।

    -- কেন, আমি কি করলাম?

    -- তুমি নয়, তোমার ছেলে। বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে, সেকথা সামনে বলার সাহস হল না। চিঠি লিখে গেছেন। একটা পরের মেয়ের জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে গেল।

    -- পরের মেয়ের দোষ দিচ্ছ কেন? ওকে বাড়ি ছাড়া করেছ তুমি। মেয়েটাকে ভালোবাসে জানার পর ওকে তুমি কি না বলেছ? এত ভাল ঘরের কি সুন্দর মিষ্টি মেয়ে, যেমন দেখতে তেমনি ব্যবহার, তাকে কিনা তুমি বাড়িতেই ঢুকতে দেবে না।

    -- চুপ কর। একদম বাজে বকবে না।

    -- চুপ[ করিয়েই তো সারা জীবন রেখে দিলে। অন্যদের কথা একটু যদি শুনতে তাহলে আজকে এই দিন দেখতে হত না।

    কণিকা আর তর্কের মধ্যে না গিয়ে ওখান থেকে চলে এলেন।

    স্ত্রী ঘর থেকে চলে আসার পর দিগ্বিজয়ের হঠাৎ মনে হল কণিকা ছেলের বৌয়ের এত প্রশংসা করল কি করে? ও কি তবে দেখেছে!

    রাতে খাওয়ার সময় কথাটা তুললেন—তুমি কি মেয়েটিকে দেখেছ?

    কণিকা একটু সময় নিয়ে আমতা আমতা করে বললেন, “হ্যাঁ।”

    দিগ্বিজয় আর কোন কথা বলেননি।

    বৌভাতের কার্ড ছাপতে দেওয়ার সময়ও রণজয় একটু চিন্তায় পড়েছিল। ছেলের বৌভাতের নিমন্ত্রণপত্রের নিচে বাবা আর মায়ের নাম থাকাটাই উচিৎ। যে বিয়েতে বাবা অংশগ্রহণই করছেন না, তার কার্ডে নিজের নাম আছে জানতে পারলে আরো বিগড়ে যেতে পারে। একটু ভাবনা চিন্তার পর ভবিষ্যতের সমস্যা ভবিষ্যতের জন্য তুলে রেখে বাবা আর মার নাম দিয়ে কার্ড ছাপিয়েছিল। বৌভাতের অনুষ্ঠান কোথায় হবে এই নিয়েও একটু চিন্তা ছিল। রণজয়কে এলাকার বহু মানুষ ভালবাসত, বন্ধু-বান্ধব আর আপনজনেরা এগিয়ে এল, ফলে কোন অসুবিধে হয়নি। হরিসভার পাশের মাঠে বৌভাতের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা হল। বৌভাতের অনুষ্ঠানের সব দায় দায়িত্ব তারা নিজেদের কাঁধে তুলে নিল। কেবল আপনজনেরা এগিয়ে এসেছিল তা নয়, এগিয়ে এসেছিল আরো কিছু মানুষ যারা দিগ্বিজয়কে মোটে পছন্দ করত না। অপছন্দের মানুষকে হিউমিলিয়েট করার এত বড় সুযোগ তারা হারাতে চায়নি। শালার বিয়েতে বরকর্তা হয়ে যাওয়া থেকে আরম্ভ করে বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত সবটা বড় ভাইয়ের মত বিকাশ তদারকি করেছিল। বাবার অনুপস্থিতি রনজয়েকে টের পেতে দেয়নি। বরের বলে বলিয়ান হয়ে বীণাও বাবার অসন্তোষকে উপেক্ষা করে প্রাণভরে উপভোগ করেছিল একমাত্র ভাইয়ের বিয়ে। রজতও খুব আনন্দ করেছিল মামার বিয়েতে।

    সুন্দরভাবে বিয়ের সব অনুষ্ঠান হয়ে গেল, কেবল দুজন মূল মানুষের অভাবে তা সর্বাঙ্গসুন্দর হতে পারল না।

    শুরু হল নতুন বাড়িতে রণজয় আর রাশির নতুন সংসার। নয়নের মত রজতেরও দুটো মামার বাড়ি হয়ে গেল। সেই সময় রজত ক্লাস নাইনে পড়ে, অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। দাদুকে ও খুবই ভালবাসত, কিন্তু দাদুর মামার বিয়েতে না থাকাটা ও মেনে নিতে পারেনি। ফিরে আসার আগে দাদুকে বলেছিল—দাদুভাই, এটা তুমি ঠিক করলে না। তোমার জন্য দিদা কত কষ্ট পেয়েছে জান? মা হয়ে নিজের ছেলের বিয়ের পুরো সময়টা ঘরে বসে কাটাল। আর নিজেদের এত বড় বাড়ি থাকতে মামু কিনা বিয়ের পর মামিকে নিয়ে একটা ভাড়া বাড়িতে উঠেছে। এটা কি ভাল লাগে?

    কিশোরের এই অভিমান, এই অভিযোগের কোন উত্তর তার উকিল দাদুর কাছে ছিল না।

    রণজয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে কণিকার আর এক মুহূর্তও বাড়িতে ভাল লাগে না। কত্তার সাথে প্রয়োজনের বাইরে একটা কথাও বলেন না। মাঝে সাঝে দুপুরের দিকে বেরিয়ে মেয়েটার কাছে গিয়ে একটু গল্প করে আসেন। সংগ্রহ করে আনেন বেঁচে থাকার কিছুটা অক্সিজেন।

    দিগ্বিজয়ের মনও আজকাল একদম ভাল নেই। এজলাসে গিয়ে কাজকর্মেও তেমন একটা মন দিতে পারেন না। মেয়ে, জামাই আর নাতি ক’দিন এসে ছিল, কিন্তু অধিকাংশ সময় কাটাল ছেলের ওখানে। বাড়িতে ছিল ওই পর্যন্তই, কথাবার্তা প্রায় কিছুই হয়নি। অন্যান্যবার নাতিটা কত গল্প করে, এবারে সেও যেন কেমন ছিটকে ছিটকে ছিল। যাওয়ার আগে অভিমান উগরে দিয়ে গেল। কনিকাও কেমন যেন বোবার মত হয়ে গেছে, চুপচাপ নিজের মত থাকে। ছেলের বিয়েটাকে কেন্দ্র করে সবকিছু কেমন এলোমেলো হয়ে গেল। আপনজনেরা সব একে একে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে দূরে সরে যাচ্ছে। মনে হছে একটা বেষ্টনীর মধ্যে তিনি একা ঘুরপাক খাচ্ছেন। ভালবাসার মানুষগুলোর মায়া, মমতা, অনুরাগ, কোন কিছুই যেন সেই নিশ্ছিদ্র বেষ্টনী ভেদ করে তাঁকে স্পর্শ করতে পারছে না। প্রাচুর্যের সিংহাসনে অধিষ্ঠান করেও নিজেকে নিঃস্ব মনে হচ্ছে। না, কিছুই ভাল লাগছে না। কোর্টেও রোজ যেতে ইচ্ছে করে না। উদ্দেশ্যহীন রোজগারে আর মন সাড়া দিচ্ছে না। বাড়িতে থাকলে একটু বই পড়েন, নয়ত চুপচাপ ঘরে বসে থাকেন। কণিকার সাথে ছেলে আর বৌমার যে যোগাযোগ আছে তা তিনি বিলক্ষণ বুঝতে পারেন। তাঁরও যে মাঝে মাঝে ইচ্ছে করেনা তা নয়, কিন্তু নিজেরই টানা গণ্ডি পার হওয়া সাধ্যে কুলোয় না।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন