এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তৃণমুলী পরিবর্তনকামী বুদ্ধিজীবিদের ভূমিকা

    mousumi mukherjee
    অন্যান্য | ০৬ অক্টোবর ২০০৯ | ১২৫৬৫১ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Samik | 122.162.75.233 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ০০:০০420711
  • পিটি,

    তঙ্কÄ বুঝি না। গোদা বাংলায় একটা কথা বলি। পাতা উল্টে পেছনদিকের টইপত্তর পড়ার সময় বা ইচ্ছে হয় তো আপনার খুব একটা নেই। তবু যদি কখনও সময় পান, তো সেই সময়কার, যেদিন সিঙ্গুর হল, যেদিন নন্দীগ্রামে সূর্যোদয় হল, সেই সময়কার টইগুলো খুলে পড়তে পারেন তো অনেক অনেক অল্টারনেটিভ পথের খোঁজ পাবেন।

    এখানে, আমার আগের পোস্টে আমি সাদাসাপ্টা যেটা বলতে চাইছিলাম, সেটা হল, পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই যে অজস্র ইন্ডাস্ট্রি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, বা অলরেডি মৃত, গঙ্গার দুপাড় ধরে যে শয়ে শয়ে কারখানার চিমনিতে আর ধোঁয়া ওঠে না অনেকদিন হয়ে গেল, সেইগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করলে বোধ হয় সাধারণ মানুষের কাছে সরকার নিজেদের কিছুটা ক্রেডিবিলিটি রাখতে পারত। যে হ্যাঁ, এই সরকারের শিল্পায়নের প্রতি কিছু সদিচ্ছা আছে। আগে সেইগুলোর কথা চিন্তা করে তারপরে টাটা ন্যানো আর জিন্দাল স্টিলের কথা সরকার ভাবলে লোকের বা বিরোধীদের বিশেষ মাথাব্যথা থাকত না বলেই মনে হয়। সেই রকম অল্টারনেটিভের কথা আপনার পছন্দ?

    শুধুমাত্র ট্রেড ইউনিয়ন আর ইনকিলাব জিন্দাবাদ আর চলছে না চলবে না আর কালো হাতে ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও করে একটা রমরমিয়ে চলা টায়ার কারখানা কীভাবে জঙ্গলে পরিণত হয়ে গেল, এ আমার নিজের চোখে দেখা। এর পরে সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো এলে সিঙ্গুর সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে, এমন আশা আমি সেদিনও করি নি, আজও করি না।
  • a x | 76.247.246.200 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ০১:৫২420712
  • পিটি,
    আপনি লিংক চেয়েছেন দেখে আমি লাফিয়ে উঠলাম। কারণ লিংক দেবার ব্যপারে আমি সম্প্রতি বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছি।

    অমিত ভাদুড়ি মশাই এই বিকল্প মডেল নিয়ে বিস্তর লেখালেখি করেছেন, তাই নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা এই গুরুতেই হয়েছে। একটু ঘুরে ফিরে দেখতে পারেন । অমিত ভাদুড়ি মশাইএর development o dignity নিয়েই এইসব আলোচনা। এটার লিংক তো পাবোনা, কিন্তু এই বই নিয়ে কিছু আলোচনা আছে, সেগুলো
    দেখতে পারেন -
    http://sanhati.com/wp-content/uploads/2009/03/unnayan.pdf
    এবং
    http://sanhati.com/wp-content/uploads/2008/10/ab-beng-mini-drc-4-24-9-08.pdf

    aar
    EPWতে ভাদুড়িবাবুর নিজের লেখা, বেসিকালি ঐ DwithD'র কথাই-http://sanhati.com/wp-content/uploads/2007/05/alternatives_in_industrialisation_amit_bhaduri2.pdf
    http://sanhati.com/wp-content/uploads/2009/02/amit_bhaduri_epw_jan_31_2009.pdf

    ডেভিড হার্ভের একটা লেকচার সিরিজ আছে, তাতে উনি "accumulation by dispossesion" এর উদাহরণ হিসেবে প:বঙ্গের কথা বলেছেন। এখানে শুনতে পাবেন- http://davidharvey.org/2008/09/capital-class-13/
  • pinaki | 67.43.241.179 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ০২:১৮420713
  • PT বাবু, অশোক মিত্রের অল্টারনেটিভগুলো নিয়ে আপনার কি বক্তব্য একটু কন তো শুনি।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ০৪:৩৮420714
  • আমারও অল্টারনেটিভ আছে। সোজা বাংলায়। একটু সময় পেলেই লিখছি। ধৈর্য ধরুন। :)
  • bb | 117.195.162.107 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৮420716
  • ঈশান এই দাবিগুলি খুবই যুক্তিযুক্ত। এটা কে বাস্তবায়িত করার জন্য একটি কমিটি করা উচিত যাতে দলমত নির্বিশেষে লোক থাকবে। আর এইসঙ্গে এটাও দেখা উচিত যে সমগ্র ব্যাপারটা স্বচ্ছ করার জন্য পরিকল্পনা আর তার রূপায়ণ দুই নিয়মিত ব্যবধানে প্রকাশ করা উচিত সরকারের।
    তবে এর থেকে দূরে রাখা হোক সমগ্র 'সুশীল' ও আর তার বিরোধীদের, যারা এই বিরোধ জিইয়ে রাখার পক্ষপাতি।
    দেখা যাক সরকারি প্রতিক্রিয়া কি হয়? তবে এই সময়ের মধ্যে জনগণের কমিটি ইত্যাদির নামে মাওবাদীদের কোন রকম আইন অমান্যও করা উচিত নয়।
    এক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমগ্র ব্যাপারটা সম্পূর্ন করা উচিত।
  • PT | 203.110.243.21 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ১২:৩৯420717
  • Das Kapital পড়িনি কখনো কিন্তু ৭১-এর সময়ে মিছিলের ছবি এঁকে egalitarian সমাজের তত্বে আস্থা রেখেছিলাম-সে বিশ্বাস এখনও ত্যাগ করিনি।

    কিন্তু সমস্যা অনত্র। এই তত্বের ব্যবহারিক রূপ কি হবে এবং সেই তত্বের প্রয়োগে কোন রাজনৈতিক দল পক্ষে বা বিপক্ষে থাকবে।

    প্রশ্নগুলো প্রথম মনে আসে যখন গোর্বাচভের সময়ে (তখনকার) লেলিনগ্রাদে যাই অল্প সময়ের জন্য। সব কিছু বোঝা সম্ভব নয় কিন্তু যা প্রথমেই চোখে পড়ল সেগুলো হচ্ছে: ১) রুটি-সব্জির দোকানের তাকগুলো ফাঁকা-এই দেশ নাকি আমেরিকাকে টক্কর দেয়! ২) দোকানে গোর্ভাচভের যে ছবিগুলো বিক্রি হচ্ছে সেগুলোতে গোর্ভাচভের কপালের সদাদৃশ্যমান জড়ুলগুলো অনুপস্থিত-এই দেশ আমাদের বাবাদের জেনারেশন-কে সত্যিকথা বলতে উদ্বুদ্ধ করেছে? ৩) হোটেলের রিসেপ্‌শন হলের মধ্যে একদল সুন্দরী সারাক্ষণ বসে আছে। গাইড জানালেন যে এরা পশ্চিম ইউরোপের পুরুষদের শয্যাসঙ্গিনী হয় এমনকি একটি ক্যামেরার লোভেও-কেউই দেহপসারিণী নয়-এই দেশ নাকি অপ্সংস্কৃতির বিরুদ্ধে জেহাদ করতে শিখিয়েছে!

    যে দেশ থেকে USSRএ গিয়েছিলাম সেই দেশটির নাম Sweden। এদেশে থাকাকালীন তাত্বিক দাদা-দিদিদের কাছে শুনেছিলাম যে রাজনৈতিক অবক্ষয়ের আরেক রূপ হচ্ছে social democracy নামক রাজনীতি। প্রায় পাঁচ বছর থাকার পরে (এবং আরো দু-একটি দেশে ঘোরা বা থাকার সুবাদে)আমার সম্যক উপল্বদ্ধি এই যে এখনও কোনো দেশ freedom of expression এর হাত ধরে egalitarian সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগীতায় Sweden-Norway-Finland এবং too some extent Canada-কে হারাতে পারেনি। গত অনেক বছরের UNDP report দেখলে সেটা বোঝা যাবে। আমরা মনে হছে যে তাঙ্কিÄক কচকচির মধ্যে বড্ডবেশী সময় নষ্ট করছি আমরা। সিঙ্গুর যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

    বাকি কথা পরে হবে--------
  • a x | 76.247.246.200 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ১৩:৩০420718
  • পিটি, আপনার লালগড় নিয়ে কথাগুলোর উত্তর এখনও দেওয়া হয়নি। কিন্তু আজকেই এটা বেরোল। লালগড়ে বিকল্প উন্ননয়ন, মাওবাদীদের প্রস্তাব। দেখুন -
    http://epratidin.in/Details.aspx?id=4550&boxid=29198666

  • PT | 203.110.243.21 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ১৩:৪৫420719
  • @ a-x

    এই লিংক-টা ঈশানও দিয়েছেন আগে। সকালে উঠে দাঁত না মেজেই পড়ে ফেলেছি। খুবই উৎসাহব্যঞ্জক approach! মানুষ খুন না করে এই-ভাবে রাজ্যসরকারকে challenge জানানো আরও আগে উচিত ছিল। তবে এবারে কিন্তু রজ্যসরকারের অফিসগুলোকে কাজ করতে দিতে হবে আর রাস্তা বানানোর contractor-দের কাছ থেকে তোলা নেওয়া চলবে না।
  • dukhe | 117.194.231.74 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ১৩:৫৯420721
  • @PT, আপনি বুশ না লাদেন কার পক্ষে এখনও বুঝলাম না । আপাতত: বৃহন্নলাই ধরছি । ভুল হলে শুধরে দেবেন ।
    আসীম ডাশগুপ্তের কি একটা বিকল্প অর্থনীতি ছিল না? সেটা খায় না মাথায় দেয় কেউ জানেন?
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ১৭:৪৯420722
  • দুখে দাদা। একটা ব্যাপারে আপনার সাহাজ্য চাই।...............Mamata Banerjee দির্ঘ দিন ধোরে রাজ্যে ৩৫৬ প্রোয়োগ করার দাবি জানিয়ে আসছে । ভালো কথা কিন্তু যদি এটা বাস্তবে ঘটে তাহোলে কিন্তু সমস্যা হবে।কারন সাধারন মানুসের সেন্টিমেন্ট তখন cpm এর দিকে চলে যাবে। cpmও তাই চাইছে। cpm তখন কেদে কেটে মানুসের কাছে প্রচার কোর্বে।ওরা তো প্রচারে ওস্তাদ ।আর তাছারা যেসব comred ঘরে ঢুখে গেছে তারাও পুনরায় জিবিত হোয়ে উঠবে। ফল বিপরিত হবে। Total ব্যাপার টা নস্ট হয়ে জাবে।এটা আমার মতা মত। আমার computer থেকে বাঙ্গলা লেখার উপায় নেই । না হলে আ: বা: পত্রিকা তে লিখ্‌তাম। web site জানলে সরাসরি লিখতাম Mamata কে । তাই আপ্নার মাধ্যমে এটা যানাতে চাই Mamataa কে
  • a x | 76.247.246.200 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:৪২420723
  • :-O
  • d | 115.118.231.21 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:৫২420724
  • অ্যাঁ!?
    দুখে আপনি কে?
  • dukhe | 117.194.234.149 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ২০:৫৯420725
  • আমিও তাই ভাবছি! আমি কে?
    Mmu, আপনি অন্য কাউকে ধরুন । বা আ:বা: তে হাতে লিখে চিঠি পাঠান ।
  • Samik | 122.162.75.115 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৩১420726
  • জাগো বাংলায় লিখুন। ইশ্‌শ্‌, এক্ষুনি না জানালে কিন্তু খুব দেরি হয়ে যাবে।
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৫৪420727
  • samik দা । জাগো বাঙ্গলা কোথাএ পাব?
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ০৪:০৫420729
  • ধন্যবাদ PT
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ০৪:১৭420730
  • পরুন- cpm কেন নিষিধ্য হবেনা..........................................
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ০৪:২০420732
  • sorry পত্রিকার নামটা লিখতে ভুলে গেছি......আ: বা: পত্রিকা 2-11-09
  • kallol | 115.184.69.163 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ০৬:৫৬420733
  • বৌদ্ধ গীতা :-http://www.anandabazar.com/2raj1.htm
    ফলের আশা না করিয়া কম্মো করুন।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৩420734
  • হ্যাঁ, বিকল্পের কথা হচ্ছিল। ছোটো করে লিখি।

    বিকল্প দুরকম হয়। এক হচ্ছে, কি করা উচিত ছিল, কি করলে রাজ্য ও দেশের এবং বাম রাজনীতির উপকার হত, ইত্যাদি। আর আরেকটা হচ্ছে, এক্ষুনি, আমাকে, সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী করে দিলে আমি কি করব, প্রশাসনের মাথা হিসেবে। আমাকে কেউ মুখ্যমন্ত্রী করছেও না, এক পিটি ছাড়া আমার মতামতও কেউ চায়ও নি, তবুও আমি দুই নং টাই লিখব। ছোটো করে। :)

    পয়েন্ট নং এক। আমি চাইব, সরকারের মাথা হিসেবে আমি, এবং আমার দল, এটা স্বীকার করুক, যে, "সীমিত ক্ষমত'য়, একটি "একটি অঙ্গরাজ্য' তে হলেও, আমার দায়িত্ব হচ্ছে "সুশাসন' দেওয়া। "রিলিফ' নয়। মানে, আমি সিপিএমকে স্ট্যান্ড বদলাতে বলব। এইটা বিশ্বাস করতে বলব, যে, চটজলদি কিছু রিলিফ না, সত্যি সত্যিই রাজ্যের সরকারের রাজ্যের জন্য কিছু করার আছে। তাত্বিক স্পেসে এটা বিশ্বাস না করলে তিরিশ বছর ধরে সরকার চালানোর কোনো মানে হয়না।

    দুই। কেন মানে হয়না? সীমিত ক্ষমতার রিলিফ ছাড়া কিছু হবেনা, এটা সিপিএমের বহু পুরোনো স্ট্যান্ড। ইন ফ্যাক্ট সিপিআই আমলের স্ট্যান্ড। এর কিছু যৌক্তিকতাও আছে। অতীতে যেকোনো কমিউনিস্ট বা বামপন্থী রাজ্যসরকারকে কেন্দ্র যেকোনো উপায়ে বরখাস্ত করেছে। সেই কেরালায় নাম্বুদিরিপাদ সরকার থেকে শুরু। তারপর বঙ্গে যুক্তফ্রন্ট। ইত্যাদি। ফলে বামফ্রন্ট যখন ৭৭ সালে ক্ষমতায় এল, তখন এটা ধরেই নেওয়া হয়েছিল, যে, সরকার বেশিদিন নেই। যেকোনো দিন কেন্দ্র ফেলে দেবে। ফলে হাতে বেশি সময় নেই, যতটা পারা যাক ঝপাঝপ জনতাকে তাই রিলিফ দেওয়া হোক।

    কিন্তু কেস যা দাঁড়ালো, তা হল, নানা কারণে ভারতীয় গণতন্ত্র বদলালো। সরকার পড়লনা। সরকার/রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজের বশে আনার জন্য সিপিএম নানা কায়দা করল, ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু স্লোগান বদলালো না। স্লোগান সেই রিলিফই রয়ে গেল। তাতে লাভ কি হল? সরকার চটজলদি নানা সিদ্ধান্ত নিতে লাগল, এবং সেটাকেই অভ্যাসে পরিণত করে ফেলল। সেটা সব ক্ষেত্রে খুব খারাপ না। যেমন ঝপ করে বর্গাদারদের পাট্টা দিতে হবে, এটা খুব ভালো কাজ দিল। এরকম আরও উদাহরণ আছে হয়তো, কিন্তু মনে পড়ছেনা।

    কিন্তু এই অ্যাপ্রোচে প্রবলেম হল, তিরিশ বছর ধরে এই মোডে চলেনা। তিরিশ বছর রাজ্য চালাতে গেলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। "মৌলিক' কিছু কাজ, "সুশাসন', ইত্যাদি দিতে যে পারা যায়, এই বিষয়ে বিশ্বাস থাকা দরকার। সেইটা, তাঙ্কিÄক ভাবেই এই সরকারের ছিলনা। আজও নেই।

    এই অ্যাপ্রোচের ফল কি হল? সমস্ত স্তরে অ্যাড হক কাজকারবার। এর অনেক উদাহরণ আছে। আপাতত: একটাই বলি: প্রাথমিক থেকে ইংরিজি হঠাও, এবং এক্ষুনি। এটা একটা অ্যাড হক সিদ্ধান্ত। লক্ষ্য খুবই ভালো ছিল, কিন্তু কোনো পরিকল্পনা ছিলনা। ফলে অদতে বাংলা মধ্যম ইশকুলগুলো মুখ থুবড়ে পড়ল। কেন পড়ল? না অভাবটা মূলত: পরিকল্পনার। অন্য কিচ্ছুর না।

    তিন। এতো পুরোনো কাসুন্দি কেন ঘাঁটছি? না, এইটাই বোঝাচ্ছি, যে, "সীমিত ক্ষমতায় একটি অঙ্গরাহ্যে' দীর্ঘমেয়াদি কোনো কাজ করা যায়, এই বিশ্বাসটাই এই সরকারের গড়ে ওঠেনি। যে কারণে বারবার অজস্র অ্যাড হক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি কাজ, সাফল্যের জন্য যার কোনো বিকল্প নেই, তার উপরে আদতে একটুও জোর দেওয়া হয়নি।

    চার। এতক্ষণ ভূমিকা হল, এবার সোজা কাজের কথায়। উন্নয়ন এবং শ্‌ল্‌পায়ন। শিল্পের কেসটা এক্কেবারে ক্লাসিক। পশ্চিমবঙ্গে শিল্প বিশেষ নেই, যা ছিল, তার অনেকই কেটে পড়েছে, পড়ছে, এসব আমরা জানি। কেন পড়ছে, তাও জানি। এর অনেক কারণ ছিল। এক কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি (মাশুল সমীকরণ ইত্যাদি)। দুই। বাজে ইমেজ (ওখানে শুধু ট্রেড ইউনিয়ন হয়)। তিন। বঙ্গীয় সরকারের অ্যাড হক নীতি।

    এর মধ্যে মাশুল সমীকরণ নীতি অনেকদিন (আমার ধারণা বছর দশ-পনেরো) উঠে গেছে। ইমেজটা শিল্প হলেই উন্নত হবে। অর্থাৎ বাকি রইল তিন নং পয়েন্ট। এবং এখানে অ্যাড হক নীতির চূড়ান্ত দেখা যাচ্ছে। নীতি বা নীতিহীনতা, যাই বলুন একে। নব্বইয়ের দশকে এই সরকার মনে করত কম্পিউটার অতি খারাপ জিনিস। আশির দশকে এই সরকার ইনফোসিসকে রাজ্যে বেওসা করতে দেয়নি। এটা হল একটা দিক। আর দু হাজার পেরোনোর পরে, সেই সরকারই মনে করছে উইপ্রো আর ইনফোসিস হল ভগবান। টাটাকে আসলে জামাই আদর করা উচিত। এক্কেবারে পোলার অপোজিট। কেন? না আদতে এই বিষয়ে কোনো নীতিই নেই। পুরোটাই অ্যাড হক। যখন যেমন তখন তেমন।

    চার। তাইলে, কি করা উচিত? একটা নির্দিষ্ট প্ল্যান নিয়ে একটু দীর্ঘমেয়াদি ভাবে ভাবা উচিত। টাটা সরকারের শত্তুরও না, জামাই ও না। শিল্পপতি মাত্রেই রক্তচোষা কৃমিকীটও না, আবার রাজপুত্তুরও না। শিল্পপতিতা ব্যবসা করে খান, এঁদের সহজে ব্যবসা করার রাইট আছে অন্য সকলের মতো, সেটুকু সরকার দেবে, এইটুকু মেনে নেওয়াই ভালো। এবং কনসিস্টেন্টলি দেবে। লাথি ঝাঁটা মারারও দরকার নেই, রেড কার্পেট পাতারও দরকার নেই। সহজে ব্যবসা করার সুযোগ পেলে (অর্থাৎ কম লালফিতের ফাঁস, সহজে সাইট পাওয়া, তোলাবাজির সমস্যা না থাকা), ব্যবসায়ীরা এমনিই আসবেন। উন্নততর বামফ্রন্টের আমলে এই ব্যবস্থাগুলি উন্নততর হলে আপসেই আসবেন। আর না এলে এলেননা, কি আর করা যাবে, এই অ্যাপ্রোচ থাকাই ভালো।

    পাঁচ। তাহলে এটা করতে গেলে কি করতে হবে? দীর্ঘমেয়াদী ভাবে পরিকাঠামোর উন্নয়ন। লাল ফিতের ফাঁস সরানো (যেগুলো সাধারণ মানুষেরও কাজে লাগবে)।

    একটা উদাহরণ দিই। ধরুন সফটওয়্যার কোম্পানিরা। এদের জামাই আদরে ডাকা হচ্ছে, এবং জলের দরে জমি দেওয়া হচ্ছে রাজারহাটে, যেখানে জমি এখন অগ্নিমূল্য। এটা না করে, পরিকাঠামো একটু বাড়ালেই, শহরকে পরিকল্পনামাফিক, ধরুন মধ্যমগ্রাম বারাসত অবধি বাড়ালেই, জমির এই একটা কৃত্রিম ক্রাইসিসও থাকবেনা, জমি কেনার/দেবার এতটা অসুবিধেও থাকবেনা। ফাঁকতালে কলকাতা বারাসত পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। সেখানকার লোকজনও পরিকাঠামোর সুযোগ পাবেন।

    ডি: এটা জাস্ট একটা উদাহরণ। :)

    ছয়। ল্যান্ড ব্যাঙ্ক। এইটা স্পেসিফিকালি বলছি, কারণ এখন জমি নিতে গেলেই লাথালাঠি হচ্ছে। এর জন্য এই সরকারই দায়ী, কিন্তু আমি এখন মুখ্যমন্ত্রীর কি করা উচিত সে নিয়ে বলছি, অতএব অতীত নিয়ে কোনো কমেন্ট করবনা। ল্যান্ড ম্যাপ, ল্যান্ড ব্যাঙ্ক, এগুলো সবই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ। শিল্প করতে গেলে এগুলো দরকার। বাম সরকার রিলিফে বিশ্বাস করে, পরিকল্পনায় করেনা বলে এগুলো করেনি। বুর্জোয়া সরকাররা অনেক বদগুণ সত্বেও করে ফেলেছে। অনেকেই।

    এই হল "ছোটো' লেখা। আরও কিছু পয়েন্ট আসতে পারে। কিন্তু বাংলা কথা ঐ একই। রিলিফ নয়, গভর্নেন্স। অ্যাড হক কাজ নয়, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ০৮:৪৮420735
  • পলিটিক্সের প্লেনে এই পরিবর্তনটা ২০০৪ এর পার্টি কংগ্রেসে সিপিএম অলরেডি করে ফেলেছে - যে সাময়িক রিলিফ নয়, দীর্ঘমেয়াদে সরকারে থাকাই লক্ষ্য। উন্নয়নের পলিসি মেকিং এ তার ছাপ পড়ে নি - এটা বলতে পারো। কিন্তু রাজনীতির চেঞ্জটা সিপিএম করেছে। কিন্তু সেই করাটা ভালো কি? একটা বাম দল যদি দীর্ঘমেয়াদে সরকারে থাকার লক্ষ্য নিয়ে চলে, তাহলে আন্দোলন ইত্যাদি ডকে তুলে দিয়ে তাকেও তাই তাই করতে হয় যা কংগ্রেস বা বিজেপি করছে। অর্থাৎ সোজা কথায় বড় পুঁজির স্বার্থের সাথে বোঝাপড়া করতে হয়।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ০৯:১৭420736
  • অ্যাবসলিট সেন্সে ভালো না মন্দ জানিনা। তবে বামপন্থার বিকাশের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে নির্ঘাত ভালো না। :)

    এখানে পুরোটা আসলে খুব খন্ডিতভাবে দেখা হয়েছে। জাস্ট, বলা যায়, প্রশাসনিক ভঙ্গীতে। যদি ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যে দীর্ঘদিন একটি বামপন্থী পার্টি ক্ষমতায় থাকে, এবং যদি অন্যত্র তার কোনো বিকাশ না হয়, (এই দুটো কন্ডিশন গিভন), তাহলে সেই অঙ্গরাজ্যে সরকারের কি করা উচিত।

    কিন্তু তক্কো আসতেই পারে, যে, আদতে সবকিছু এতো খন্ডিত নয়। সবটাই একই পলিটিক্সের অংশ, ইত্যাদি। সেই সমালোচনাটাও খুব ভ্যালিড। কিন্তু সেই বিকল্প পলিসিটা মনে হয় পিটি চাইছেন না। উনি গিভন দা কনডিশন, একটি "ভালো' সরকার (নট নেসেসারিলি বামপন্থী সরকার) কি করতে পারে জিগাচ্ছিলেন। (পিটি আমি ভুল বললে শুধরে দেবেন প্লিজ)।
  • pi | 72.83.213.179 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ০৯:৫৩420737
  • আচ্ছা, তাহলে ঐ অন্যান্য রাজ্যের বুর্জোয়া সরকারের নীতি নিয়ে চললেও তো হয়।

    গুজরাতে মোদী সরকারের গভর্নেন্স নিয়ে (আপাতত ঐ সংখ্যালঘু ইস্যু বাদ রাখছি) তাহলে অভিযোগ নেই ?
    তারা কিন্তু শিল্পপতিদের জন্য একরকমের রেড কার্পেট ই পেতেছে।
    এই সিম্পলিফায়েড মডেলে ধরে নিচ্ছি, দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগিয়েছিল বলে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে তেমন সমস্যা হয় নি। এবার বৃহৎ পুঁজি কি তাদের লাভ আরো বাড়াতেই চাইবে না ?
    তাহলে তারা কোথায় যাবে ? রেড কার্পেট আর লাথি ঝাঁটার ইন্টারমেডিয়েট দশার থেকে রেড কার্পেট ওয়েলকাম ই কি তারা বেশি প্রেফার করবে না ?
    বৃহৎ পুঁজি তো চাইবেই তাদের মুনাফার ম্যাক্সিমাইজেশন। আর সেক্ষেত্রে তাদের আর সাধারণ মানুষ উভয়ের স্বার্থের ব্যালান্স টা কি শুধু গুড গভর্নেন্স দিয়ে করা সম্ভব ?

    সৈকতদার মডেলটা ওভারসিম্পলিফায়েড মনে হল।

  • Ishan | 173.26.17.106 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ১০:২৭420738
  • নানা। পরিকাঠামো একটা বড়ো ব্যাপার। তাতে করে রেড কার্পেট না থাকলেও লোকে সস্তায় মাল পেতে পারে। এই ধর যদি পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু এক্সপ্রেসওয়ে থাকতো, তাহলে, টাটা কক্ষনো সিঙ্গুরের জন্য জেদ ধরতনা। কলকাতা থেকে একটু দূরে জমি নিতে পারত। সরকারি জমিই হয়তো নিতে পারত। সেটা এমনিয়েই সস্তা পড়ত।

    কিংবা ধর ইনফোসিস/উইপ্রো। বারাসতে/মধ্যমগ্রামে/ডানকুনিতে জমি নিলে সস্তা পড়ত অনেক। ব্যাঙ্গালোর বম্বের চেয়ে অনেক তো বটেই। এটা একটা বড়ো সুবিধে।

    এ নয়, যে, এই করেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু এক্কেবারেই কিছু হতনা তাও নয়।
  • PT | 203.110.243.21 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ১০:৩৪420739
  • আগে একটু বলে রাখি যে নব্বই দশকের গোটাটাই প:বঙ্গের বাইরে (দেশেই) ছিলাম। বছরে দুতিনবার করে যাতায়াত করেছি এবং সব সময়েই মনে হয়েছে যে শহরটা বদলে যাচ্ছে-ভালর দিকেই। তারমানে সরকার কাজকর্ম করছে। যদিও মানুষ আরো বদল চাইছে যেটা স্বাভাবিক। গ্রামের দিকে বা district শহরে যাঁরা থাকেন তাঁদের কাছেও শুনছি যে জীবন বদলাচ্ছে।

    কিন্তু এই বদল তো অন্য প্রদেশেও হচ্ছে। কোথাও কোথাও আরো বেশী হচ্ছে। তাহলে একটা বামপন্থী সরকার থাকার খুব বেশী প্রয়োজন আছে কি? যতই বিকল্প পলিসীর কথা ভাবুননা কেন একটা সময়ের পরে কিছু করতে পারার ক্ষমতা একটা saturation point-এ পৌঁছে যেতে বাধ্য। একটা ছোট্টো ঊদাহরণ। প্রাইমারী লেভেল-এ ইংরিজি তুলে দেওয়া-আমি সেটার একজন ব্যাপক সমর্থক ছিলাম। এই সমস্যাটা অ-শিক্ষিত বা অল্প-শিক্ষিত পরিবারের না হলে কেউ বুঝতে পারবেন না। এইখানেই সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটটা পরিষ্কার হয়ে গেল। ""আমাদের ছেলেরা কিকরে compete করবে""-ইত্যাদি sentimental issue দিয়ে এইরকম একটা জরুরী বিষয়কে ঘেঁটে দেওয়া হল। এবং একটা বিরাট সংখ্যক বামপন্থী মধ্য-, নিম্ন-বিত্ত মানুষ এটাকে কেন্দ্র করে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে চলে গেলেন। এটা শুধুমাত্র রিলিফ কিংবা গভর্নেন্সের বাইরে।

    এই background-এ আমি গোটা আলোচনাটাকে অন্য angle থেকে ধরতে বা বুঝতে চাইছিলাম। লোকসভা নির্বাচনের আরো আগে থেকে যদি দেখেন। খুব কৌশলে বিরোধীরা বাংলাভাষী mass media-র সাহায্যে আমলাশোল/লালগড়ের issue-টাকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। মজাটা দেখুন। ইংরিজি তুলে দেওয়ার issue-তে আমরা ভারতের অংশ কিন্তু আমলাশোল/লালগড়ের issue-তে আমরা আর গোটা ভারতের না-খেতে-পাওয়া ২০০ মিলিয়নের প্রেক্ষিতে আলোচনা করতে রাজী নই।

    এমতবস্থায় একটি-দুটি রাজ্যে একটা বামপন্থী সরকার থাকার দরকার কি?

    ক্রমশ------
  • Shubhabrata Deb | 117.200.81.177 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ১০:৪৬420740
  • PT, একা কুম্ভ রক্ষা করে নকল বুঁদির গড়।ছাড়ান দিন দাদাভাই। আজকের স্বার্থসর্বস্ব যুগে বামপন্থা নিয়ে কে মাথা ঘামাবে? বরং দেশে দেশে বামপন্থার পতন হয়েছে সেই স্লোগানে গলা মিলিয়ে সাম্রাজ্যবাদের দাসত্ব করলে আখেরে লাভ আছে। মমতাদিদিকে যখন সো-কল্‌ড্‌ শিক্ষিত মানুষ সিপিএমের বিকল্প হিসেবে মেনে নিতে পারে, তখন আর কি বা বলার আছে? চেপে যান দাদা। আপনার আমার মতো কিছু অচল ভাবনার স্বপ্নদেখা লোক চিরকাল থেকেছে, থাকবে। তবে এই গুনীজনের বোদ্ধাদের আসরে কথা না বলাই ভালো। এককালে আন্দোলন করেছি, তবু অনেক কষ্ট পেয়ে মমতাকে বিকল্প ভেবেছি, বলা ভালো ভাবতে বাধ্য হয়েছি, এমন জাস্টিফিকেশনও পড়ছেন তো?ছেড়ে দিন দাদাভাই। জেগে ঘুমোলে কাউকে জাগানো যায় না।

  • Shubhabrata Deb | 117.200.81.177 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ১০:৪৭420741
  • PT, একা কুম্ভ রক্ষা করে নকল বুঁদির গড়।ছাড়ান দিন দাদাভাই। আজকের স্বার্থসর্বস্ব যুগে বামপন্থা নিয়ে কে মাথা ঘামাবে? বরং দেশে দেশে বামপন্থার পতন হয়েছে সেই স্লোগানে গলা মিলিয়ে সাম্রাজ্যবাদের দাসত্ব করলে আখেরে লাভ আছে। মমতাদিদিকে যখন সো-কল্‌ড্‌ শিক্ষিত মানুষ সিপিএমের বিকল্প হিসেবে মেনে নিতে পারে, তখন আর কি বা বলার আছে? চেপে যান দাদা। আপনার আমার মতো কিছু অচল ভাবনার স্বপ্নদেখা লোক চিরকাল থেকেছে, থাকবে। তবে এই গুনীজনের বোদ্ধাদের আসরে কথা না বলাই ভালো। এককালে আন্দোলন করেছি, তবু অনেক কষ্ট পেয়ে মমতাকে বিকল্প ভেবেছি, বলা ভালো ভাবতে বাধ্য হয়েছি, এমন জাস্টিফিকেশনও পড়ছেন তো?ছেড়ে দিন দাদাভাই। জেগে ঘুমোলে কাউকে জাগানো যায় না।

  • kallol | 220.226.209.2 | ০২ নভেম্বর ২০০৯ ১১:৩১420744
  • এক্কেবারে ঠিক - নকল বুঁদির গড় রক্ষা কারার জন্য এনাজ্জি খচ্চা না করে বরং আসল বুঁদির গড় নিয়ে ভাবুন। প:ব: - ত্রিপুরা - কেরালায় অন্য সমাজ গড়ার অন্দোলন গড়ে তোলা যায় ? ভোটে সরকার গড়ার কথা না ভেবে।
    কেন এই তিনটে রাজ্যের কথা বলছি? ভারতে নানান ধরনের অসম বিকাশের ফলে আর এই তিন জায়গার সাংষ্কৃতিক বৈশিষ্টের ফলে এখানেই তো বাম সরকার আছে/থাকে/আসে-যায়, তাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন