এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গল্পের টই

    M
    অন্যান্য | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৯৩১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Nina | 68.45.145.174 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ০১:২০424826
  • রঞ্জন, গুরুতে লেখা পড়ে যে চোখ জলে ভরে উঠবে, এক নাচেনা মানুষের জন্য শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে পড়বে--ভাবিনি কখনও----
    রত্নাকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম, শিখলাম তার কাছে অনেক----আর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা----
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৪:০৭424827
  • ranjan দা আপনি অসাধারন। পায়ের ধুলো দেবেন দাদা।
  • M | 59.93.204.186 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ১০:১১424828
  • বাঘু বেকার ক্যামন লিখবেনা বলে দিলো, হেবি দু:খু পেয়ে কেঁদে দিলুম,ভ্যাঁ ভ্যাঁ।
  • ranjan roy | 115.184.110.193 | ০৮ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:৩৮424829
  • কি হোলো? KK? M? Tim? Tikon?
    টই কি বন্ধ হয়ে যাবে? সব দারুণ দারুণ গল্প বলিয়েরা--- কোথায় গেল?
    শ্রাবণী, --- না হয় আরেকটা চমৎকার হু-ডান-ইট হয়ে যাক্‌।
    দময়ন্তীর লেখা কি হোলো?
  • M | 59.93.243.177 | ০৮ জানুয়ারি ২০১০ ২১:৫৭424830
  • কেউ লেখে না রঞ্জনদা। ভ্যাঁ ভ্যাঁ।
    আপনি লিখুন না পিলিজ।আমি শুনবো বলে বসে আছি।
  • kk | 76.114.64.110 | ০৮ জানুয়ারি ২০১০ ২২:২৮424831
  • রঞ্জনদা, আমার স্টকে আর কিছুই নাই :(।
  • shrabani | 59.94.104.133 | ০৯ জানুয়ারি ২০১০ ১০:১৪424832
  • রঞ্জনদা,
    সব জায়গায় সব কিছু লেখা যায়না। যে টইতে উপরের লেখা লিখেছেন তাতে "হু ডান ইট" আমি লিখতেই পারবনা! কোনোদিন অন্য কিছু লেখার থাকলে লিখব!
  • M | 59.93.193.70 | ০৯ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:১৪424833
  • রঞ্জনদা,
    আমার কি হবে? আমি তো এত ভেবে টেবে চলতে পারিনা! এত ভালো লেখার পর হয়তো আমার মাথায় কোনো হালকা গপ্প চাগিয়ে উঠলো আর আমিও সাধারন ভাষায় সেসব লিখে ফেললাম! গুরুর হাই ফাই লোকজন তো খুব হ্যাটা চোখে আমার দিকে তাকাবে।আমার আবার সেটাও খুব খারাপ লাগবে। তাচ্চেয়ে আপনি একটা মজার গপ্প লিখে দিননা।
  • ranjan roy | 115.184.102.130 | ১০ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:৫৭424834
  • বড়মা,
    আরে! এখানে তো গুরু ও চন্ডাল একপাত্রে ভোজন করছে। করুণ ও হাস্যরস একই টইয়ে খুব চলবে। কেউ হ্যাটা করবে না। করলে আমি আছি।:)))তোমার ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়ে আছি।:))
    আমি একটু দম নিচ্ছি। কোলকাতার জন্যে ১৫ তারিখ রওনাদেব, অফিসের পেন্ডিং, হ্যানোত্যানো সব নিপট রহা হুঁ।
    আর হ্যাঁ, ডি: নিয়ে তোমার নরম তিরস্কার আমি মাথা পেতে নিলাম। আরো কেউ কেউ জানিয়েছেন যে ওই ডি: বাড়াবাড়ি দেখাচ্ছে।
    a bit playing to the gallery? অনেক সময় মানুষ নিজেকে বুঝতে পারে না।
  • ranjan roy | 115.184.58.165 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ০০:২৩424836
  • বড়মা,
    হাসির গল্প লেখা বেশ কঠিন, আমি পারলাম না। তুমি লেখ, বেশ মজা হবে। আগেও কয়েকটা ভালো নামিয়েছ,
    আমি একটা মিনি গপ্পো ছাড়ছি। আমার মাথায় কিস্যু আসছে না।
    ( এটা অজিতা রায় ইন্দিরা ফাইন আর্টস সে¾ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় দশ মিনিটের মিনি নাটক কম্পিটিশনের জন্যে ইংরেজিতে লিখেছিল, বাংলা পারে না।
    ওর নাট্যনির্দেশনা ছিল যে এতে পুরো আন্ডার- অ্যাকটিং করতে হবে, লাউড হলে একদম চলবে না, লাস্ট আমি ঝেড়ে বাংলায় সংক্ষেপে নামালাম। অণুগল্প:))))))।

    প্রথম দৃশ্য:
    একটি বছর আঠেরোর মেয়ে পুতুলের চুল আঁচড়াচ্ছে। মাটিতে কিছু খাতাবই, জিওমেট্রি বক্স ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা। পাশে একটি এফ এম ব্যান্ড রেডিও তারস্বরে বাজছে। মেয়েটি গান শুনছে না, মন দিয়ে পুতুলের কাপড় গোছাচ্ছে, নিজের অজান্তে গানের তালে তালে শরীর দোলাচ্ছে। সাউন্ড ট্র্যাকে কারো কথা শোনা যাচ্ছে, কিন্তু রেডিওর জন্যে কিছু বোঝা যাচ্ছে না।
    হটাৎ মেয়েটি সচকিত হয়ে কিছু শুনলো, তারপর এক ঝটকায় রেডিও বন্ধ করলো।
    সাউন্ড ট্র্যাকে মায়ের গলা: কিরে! শুনতে পাচ্ছিস না? ডেকে ডেকে গলা চিরে গেল।
    মেয়ে: শুনতে পাইনি তো!
    মা: কি করে শুনবি! পড়া নেই, শোনা নেই, খালি রেডিও নয় টিভি। পরীক্ষার আগে কেবল্‌ কাটিয়ে দিলাম। কিন্তু আরেক আপদ জুটেছে--- এফ এম ব্যান্ড। লেখাপড়া শিকেয় উঠেছে।
    মেয়ে: উ:! বড্ড টিকির টিকির কর আজকাল। কেন ডাকছ বলবে?
    মা: হ্যাঁরে! আমি কথা বল্লেই তোর খারাপ লাগে , নারে? আজকে তোর --। আমি না বল্লে কে বলবে? তোর ভালোর জন্যেই বলি। শুনবি না শুনবি তোর ইচ্ছে।
    মেয়ে: কাজের কথা বল মা!
    মা: কি করে বলবো? আগে ঐ রেডিওটা তো বন্ধ কর।
    মেয়ে: ওতো অনেকক্ষণ বন্ধ করে দিয়েছি। তোমার কাজ হল খালি নিজের মেয়ের দোষ ধরা। ঠিক আছে, স্নানে যাচ্ছি, তারপর কলেজে যাবো। ভাত বেড়ে রেখ।
    অন্ধকার স্টেজে একটা স্পট দেয়ালে টাঙানো একটা ছবির ওপর। বয়স্ক এক পুরুষের ছবি, ছবিতে মালাটা শুকনো।
    অন্ধকারে সাউন্ড ট্র্যাকে শোনা যায় মেয়েটির গলা।
    : উ:, মাকে নিয়ে আর পারা যায় না। দিন দিন বড় খিট্‌খিটে আর বাতিকগ্রস্ত হয়ে উঠছে। সারাদিন খালি এটা করবি না, সেটা ছুঁবি না। বই হাতে নিস না কেন, হ্যানোত্যানো।
    মা আমাকে একটুও বুঝতে পারে না। বাবা ঠিক বুঝত। মা তো বাবাকেও বুঝতে পারে না। তাইতো--।
    আমি ঠিক বাবাকে বুঝতে পারি। বাবার কখন কি চাই সব আমি বুঝে চাই। কি ভাল হোতো যদি শুধু আমি আর বাবা--। বাবার সব দরকার আমি দেখে নেব।

    দ্বিতীয় দৃশ্য:
    অন্ধকারে মেয়েটির কন্ঠস্বর: এখন আর আমার কোম কষ্ট নেই, বাবারও না। এখন শুধু আমরা দুজন, মাঝে কেউ নেই।
    ( স্পটে দেখা যায় দেয়ালে টাঙানো দুটোছবি, মায়ের ছবিতে নতুন মালা।)
    স্পট মেয়েটির মুখে। মেয়েটি
    হাসছে। এক নি:শব্দ, অস্বাভাবিক হাসি। হাসিটি চওড়া হচ্ছে।(শেষ)
    [ কোন সন্দেহ নেই যে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ শেষ দিনে নাটকটিকে অনুমতি দেন নি।]:))
  • a x | 75.53.204.181 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ০০:৩৬424837
  • এতো হরর্‌ স্টরি!

    রঞ্জনদা, রত্নাদি কি বাংলা লিখতে পারেন? না হিন্দিতেই অভ্যস্ত?
  • ranjan roy | 115.184.70.31 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ০৫:১৮424838
  • অক্ষ,
    এক, হ্যাঁ, হরর স্টোরি।
    বড় মেয়েকে স্যারেরা বকেছিল।
    দুই, বাংলা বলতে পারে, পড়তে বা লিখতে পারে না। প্রবাসী বাঙালী।
    সেই জন্যেইতো আমি এতক্ষণ গুরু বা আই-পত্রিকায় নাক গুঁজে বসি,--বাংলায় পড়ব, আড্ডা দেব বলে।
  • aranya | 144.160.226.53 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ০৭:২৭424839
  • রঞ্জন-দা, অনেক দিন পর আজ একটু সময় পেয়ে পুরনো সব লেখা পড়ছিলাম। 'নীল আকাশের গল্প' পড়ে চোখ ভিজে গেল। অবশ্য 'বাস্তহারা'-তেও বৌদির আদর্শবাদী, জেদী ও সাহসী চরিত্র বেশ ভালই বোঝা যায়। আপনাকে তো গুরু মেনেছি বহু দিনই, বৌদিকেও কুর্নিশ করছি, সত্যিই আপনাদের মত এমন হর-গৌরী যুগল দুর্লভ।
    অজিতার গল্পটা তো দারুণ, হরর স্টোরি হিসেবে না দেখে শুধু একটা ভাল অণু গল্প/নাটক হিসেবে দেখলে বকা খাবার কোন কারণ-ই নেই।
  • Nina | 75.147.111.42 | ১৪ জানুয়ারি ২০১০ ০১:৫৮424840
  • রঞ্জন , আরও আরও চাই আপনার কাছে----থামবেননা, প্লিজ।

  • M | 59.93.162.215 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ১৪:৫০424841
  • গল্প, আবার গল্প নয় :

    এয়ারপোর্টের অটোমেটিক স্লাইডিং ডোরটা বন্ধ হয়ে গেলো,তাও কাঁচের দরজা দিয়ে দেখা যাচ্ছে, শ্রী চলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।পর পর বিরাট বিরাট আয়তক্ষেত্রের মতো C , D-র কাউন্টারের সারি দেখা যাচ্ছে। ডি তেই সিঙ্গাপুরের চেক ইন দিয়েছে।লাগেজ বুক করে একবার হাত নেড়ে মুখ ফিরিয়ে শ্রী চোখের আড়ালে চলে গেলো,এটা খুব জরুরী ছিলো, নইলে চোখের জল কারোর সামনে মোছা বা ফেলা যায় না। অর্ক চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো খানিকক্ষন। মনের উথালপাতাল ওর বাইরের চেহারাতে কখনই ধরা পরে না। আবার ট্যাক্সি নিয়ে ফিরে চললো সে তার গন্তব্যে।

    বাড়ী ফিরে অর্ক কিচেনে ঢুকলো, কিছু খাওয়া দরকার। কিচেনটায় এখন ও শ্রী শ্রী গন্ধটা রয়েছে, সারা বাড়ীতেই শ্রী-র অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।ঝকঝকে গোছানো, পরিপাটি।কিন্তু তার মাঝেই কি ভীষন ফাঁকা এক অনুভুতি।

    আজ যেন অর্ক টাইম মেশিন করে পিছনে ফিরে চলেছে।মায়ের মুখে গল্প শুনেছে ওর জন্ম কানপুরে। ওখানে ওর সেজো জেঠু থাকতেন, খুব পার্টিকুলার সব বিষয়ে।উনি ওদের বংশের বেশীর ভাগ মানুষের সাথেই যোগাযোগ রাখার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।ওনার বাবা বারাসাত থেকে এলাহাবাদে কর্মসুত্রে চলে আসেন,তারপর থেকেই ওরা বাংলার বাইরে।অর্ক-র বাবারা আট ভাই সারা দেশে ছড়িয়ে আছেন,কেউ মুরাদাবাদ, কেউ পাঞ্জাব কেউ কানপুর, কেউ এলাহাবাদ আর অর্ক-র বাবা মানে সবচেয়ে ছোট ভাইটি কাজ নিয়ে চিত্তুর এ চলে যান। যখন তিনমাসের ও , তখন থেকে চিত্তুরে।
  • M | 59.93.243.253 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:৫৩424842
  • এলোমেলো শৈশব;
    সবাই ছোটবেলা নিয়ে কত নষ্টালজিক হয়ে পড়েন কিন্তু অর্ক-র ছোটবেলা মনে পড়লেই আতঙ্ক হয়। খুব সুন্দর আর সুবেশ যে লোকটি নিজের খেয়ালে থাকেন,সাদা টি শার্ট আর সাদা হাফ প্যান্ট পরে টেনিস খেলতে চলে যান তিনি বাবা, আর ঘরে সারাক্ষন যে কাজ করে চলেছেন আর অকারন বকা মার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি মা।হ্যানো কোনো দিন নেই যে দিনটা অশান্তি না হয়ে গেছে। অর্ক নিজের মনেই থাকতো তাই, কারন ওখানকার লোকেরা ভারী গোষ্ঠী কেন্দ্রিক, নিজেদের লোক ছাড়া অন্য লোকেদের সাথে খুব একটা ভালো ভাবে মেশে না, আর যেহেতু ওর বাবা একজন বড় অফিসার ওখানকার সুগারমিলের তাই সবার সাথে কথাও বলা যায় না, আর বাড়ীতেও তার দিকে নজর দেবার সময় কারোর নেই।কাজেই ফেন্সিং এর ফাঁক দিয়ে সামনের মাঠের দিকে তাকিয়ে থাকা বা গাছ ঘেরা বাগানে চুপচাপ নিজের মনে গপ্প করা ছিলো তার খেলা। আর স্কুলে গিয়েও পড়া না পারা আর তারজন্য শাস্তি ছিলো রোজকার রুটিন। ঠিক যেন তারে জমিন পরের ছোট্ট ঈশান।

    কত টুকরো টুকরো ঘটনা মনে পড়ে হঠাৎ হঠাৎ।একদিন স্কুলের গাড়ীতে না উঠে হেঁটে হেঁটেই পুরো টাউন ঘুরে বাড়ী এলো, মা উদভ্রান্তের মতো তখন তাকে খুঁজে বেরাচ্ছেন।
    একটা ছোট্ট পুতুলের মতো বোন নিয়ে এলো মা, তখন অর্ক পাঁচ বছরের। আর কি আশ্চর্য্য , সেই পুতুলকে নিয়ে বাবা মা এত ব্যস্ত হয়ে পড়লেন যে উনি আরো একা হয়ে গেলেন। আর বোনটা তাতে করে বড় হয়েও একটা পুতুল হয়েই রইলো, নিজের ডিশিসন নেবার ক্ষমতা আর তৈরী হলো না, সব সময় কারোর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। অথচ কি মিষ্টি মেয়েটা ছিলো। অর্কর খুব রাগ হায় মাঝে মাঝে, মনে হয় ভারতীয় মা বাবারা বাচ্চাদের বড় বেশী প্রোটেকশন আর আরাম দেয় কিন্তু মানুষ করতে ঠিক পারেনা,কেমন সব সময় বড়দের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবে, ঘার হেঁট করে থাকবে এমন মানুষ পছন্দ করে।

  • M | 59.93.254.36 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ২২:০৭424843
  • একজন জেঠু আসতেন কলকাতা থেকে,ন জেঠুর বন্ধু, তিনি আসতেন চিকিৎসা করাতে আর এসে দু তিন মাস করে থেকে যেতেন, তাঁর সব সেবা শুশ্রুষার ভার পড়তো মায়ের উপর।আর লোকটি নির্লজ্জের মতো সব সেবা নিতো এবং অর্ডার করতো, মজার ব্যাপার ওরা যখন কলকাতা ফিরে এলো তখন আর লোকটি কোনো যোগাযোগ করেননি।এই কারনে ওরা কলকাতার বাঙালীদের দেখতে পারেনা।এরা অদ্ভুত হয়, কোনো কথা পরিস্কার করে বলবে না, সেই প্রবাদটার মতো, পেটে খিদে মুখে লাজ,আর সুযোগ নিতে ওস্তাদ,লোকেদের নিয়ে এত ব্যস্ত থাকে মানে সমালোচনায় যে আত্মসমালোচনার সুযোগ ই পায় না, তাই নিজেরাও বাড়তে পায় না আর কেউ উঁচুতে উঠে যাচ্ছে দেখলে তাকে কাঁকড়ার মতো টেনে নামিয়ে নেয়। এত মজার জাত হচ্ছে যে একসাথে গুটি কয়েক রাখলে দেখবে কোনোটাই উন্নতি করবে না, দিনে দিনে দিব্বি নিচে নেমে যাবে।

    তো মাঝখানে বোধহয় এক কি বছর দুই আসেননি জেঠু, এদিকে বাবার প্রমোশনের জন্য ওদের কোয়াটার ও চেঞ্জ হয়েছে। একদিন অর্ক বসে আছে বারান্দায় আর ফেন্সিং এর ওপারে যে পার্ক রয়েছে সেদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে সন্ধ্যে হয়ে যাওয়া দেখছে, গাছ গুলোতে কিচির মিচিরের হুল্লোর।পাখিরা সব ঘুমুতে এসে গেছে, রাত নামছে ,ও ও উদাশ হয়ে বসে আছে, মা আর বাবা গেছেন সিনেমা দেখতে বোনকে নিয়ে, আর সিকিউরিটির জিম্মায় রেখে গেছেন আট বছরের ছেলেকে বাড়ীতে, তখন ওখানকার একমাত্র এন্টার্টেইনমেন্ট ছিলো সিনেমা দেখা, আর ছেলে বুঝতে শিখেছে, এখন সিনেমা দেখিয়ে তাকে পাকানোর কোনো মানে নেই। হঠাৎ অর্ক-র মনে হলো কে যেন পার্কের বেঞ্চে বসে কাঁদছে আর অর্ক---- বলে ডেকে যাচ্ছে, ছোট ছোট পায়ে পার্কে গিয়ে দেখে ,ওমা! একি! এ যে সেই জেঠু, একি জেঠু তুমি কাঁদছিলে? আমি তোমাদের খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তাই।জেঠু আমরা কোয়াটার পাল্টেছি, চলো, স্যুটকেস তুলে নিলো আট বছরের ছোট্ট অর্ক, আর অবিবেচক মানুষটিও দিব্যি খালি হাতে চলে এলেন পিছু পিছু।এসে বেচারী মাকে দেখে সেখা ভদ্রতা করে বললো , জেঠু চা খাবে? হ্যাঁ, তিনি একবারো ভাবলেননা কি ভাবে এই ছোট্ট ছেলেটা তা বানাতে পারে!

  • M | 59.93.254.36 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ২২:১৮424844
  • এদিকে স্কুলে দিনে দিনে অবস্থা খারাপ হচ্ছে, রোজ রোজ ই বাইরে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে।বাড়ীতে রিপোর্ট যাচ্ছে আর তার চোটে আরো মার পড়ছে। একদিন তো স্কুলে টিচার এত রেগে গেলেন যে বল্লেন আজ তোমাকে বাড়ী ছাড়া হবে না,তিনি আশা করেছিলেন যে প্যারেন্টসরা চিন্তায় আকুল হয়ে চলে আসবে আর তিনি তাদের সাথে ডিরেক্ট কথা বলবেন, কিন্তু হায়! সেটা টিচারের ই শাস্তি হয়ে গেলো শেষ পর্যন্ত্য, কেননা কেউ ই এলেননা, শেষে কোনো কাজের লোক এসে অর্ককে নিয়ে যায়।টিচার ও হাল ছেড়ে দেয়।আর অর্ক ও পুরোপুরি পড়াশুনা ছেড়ে দেয়।

    এদিকে দিনে দিনে ওর মা অস্থির হয়ে পড়লেন বাংলায় ফেরার জন্য, এই নির্বান্ধব জায়গায় আর টিকতে পারছিলেননা, মেয়েও বড় হচ্ছে, কাজেই চাপাচাপিতে অর্কর বাবা পলাশী সুগার মিলে চলে এলেন আর অর্ককে নিয়ে ওর মা ওদের মামা বাড়ীর কাছে বাসা বাড়ী নিলেন।তারপর একটু গুছিয়ে মেয়েকে বোনের বাড়ী আর ছেলেকে ভাইদের কাছে রেখে পলাশীতে চলে গেলেন।

    একটা দীর্ঘশ্বাস ওঠে ।জল তেষ্টা পেয়েছে প্রবল।জলের বোতলটা কই?
    শ্রী------
    উফ্‌হ্‌হ্‌হ্‌হ্‌হ্‌হ !!!!! অভ্যেস এমন ই জিনিস।শ্রী এতক্ষনে নিশ্চয় সিঙাপুরে বসে আছে।
  • M | 59.93.254.36 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৩১424845
  • অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ছিলো ওদের।বিয়েরদিন শ্রীকে দেখে ও অবাক, একি মেয়ে! বন্ধুদের সাথে মিলে মিশে ঘুরে বেরাচ্ছে, কার যে বিয়ে বোঝায় যাচ্ছে না।কি ক্যাজুয়ালী পুরুতমশাইকে বলে দিলো, দাদু ছোট করে পড়বে, অতক্ষন বসে থাকতে পারবো না, আর শ্বশুর বাড়ী যাবার সময় সব মেয়েরা কাঁদে, আর এর কোনো কান্নার বালাই ই নেই।উল্টে প্রথম দিন ই দিব্বি খানিক ঝগড়া করে নিলো আর ছোট্ট করে মারপিট ও হয়ে গেলো, অবশ্য অর্ক ও কিছু কম যায়না।বিয়েরপর ঘরে ঢোকানোর সময় শ্রীর বন্ধুরা বললো, দেখছেননা ও খালি পায়ে রয়েছে। ওকে কোলে তুলে নিয়ে যেতে হবে।আর সেও ছোট্ট খাট্টো শ্রীকে দিব্বি পাঁজাকোলা করে তুলে নিলো আর বেচারী শ্বশুড়মশাই এদের নির্লজ্জতা দেখে নিজেই ঘুরে দাঁড়িয়ে থাকলেন,বন্ধুরা হৈ হৈ করে উঠলো মজা পেয়ে, আর কমবয়সী বড়রা পিঠ চাপড়ে দিয়ে গেলো মজা পেয়ে, আর বিটলে ফটোগ্রাফার ও ফটো তুলে নিলো ঝপাং করে।

    বৌভাতের পরের দিন শ্রীকে ডেকে ছাদে নিয়ে গেলো অর্ক।তোমায় কিছু বলার আছে ডার্লিং। শকিং, কিন্তু বলতেই হবে।আমি তোমার বাবাকে বলে ছিলাম,কিন্তু উনি নিশ্চয় তোমাকে কিছু বলেননি।আর আমি পরশু শিলিগুড়ি ফিরে যাবো।
    বলো।
    কি সহজ আর সপ্রতিভ ছিলো মেয়েটা,কোনো টেনশন নেই তার কোনো কিছুতেই।
  • M | 59.93.254.36 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৩২424847
  • দু, তোমার জন্যে গপ্পেও শিলিগুড়ি টেনে আনলাম।:)
  • Nina | 66.240.33.35 | ২২ জানুয়ারি ২০১০ ০২:০৮424848
  • আরে বাহ!! দরুণ হচ্ছে রে --য়া, উফ! এই থেমে যাওয়াটা বড্ড কষ্টকর--
  • M | 59.93.218.227 | ২২ জানুয়ারি ২০১০ ১০:২৫424849
  • দিদিয়া,
    তুমি কি মোরে কিকিয়া ডাকতে চাইলে? ভারী মিত্তি ডাক, স্বচ্ছন্দে ডাকতে পারো। :)
  • M | 59.93.218.227 | ২২ জানুয়ারি ২০১০ ১১:০০424850
  • শ্রী এর কোলে মাথা রেখে ঠিক যেন আঁকড়ে ধরতে চাইছে কিছু , এইভাবে ও বললো যে আমার অতীত ভালো নয়, আমি পড়াশুনা করতাম না, বাড়ী থেকে পালিয়ে গেছিলাম, আর আমার একটা অ্যাফেয়ার ছিলো,কিন্তু বিশ্বাস করো এগুলো আমার অতীত।
    আরে সত্যি! তুমি পালিয়ে গেছিলে? কোথায়? বলো সেই গল্প,আমি শুনবো।
    তুমি খারাপ ভাবছো আমায় তাই না?
    ধুস্‌স্‌স! আমি তো পথিক দেখার পর থেকে অমন পালানো চরিত্রকেই পছন্দ করতাম।আর তুমি যাকে পছন্দ করতে তাকে বিয়ে করলেনা কেন?
    আমি নই, সেই আমাকে বিয়ে করেনি।
    অর্কর গালে হাত ছুঁইয়ে শ্রী বললো, ঠিক আছে, প্রথমে বাড়ী থেকে পালানোর গপ্প।
    সত্যি শুনবে? স্প্রিং এর মতো সোজা হয়ে বসলো অর্ক।

    চাদের ধারের নারকেল গাছ,পেয়ারা গাছ আর ঝকঝকে পরিস্কার আকাশের তারারা ও এই গল্প শুনতে শুরু করলো।

    আর বলোনা, আমায় তো মা জুলিয়েন ডে তে ভর্তি করে মামা বাড়ী রেখে চলে গেলেন,আর আমিও দিব্যি এদিক সেদিক ঘুরে দিন কাটাতে লাগলাম।আসলে কেউ আমাকে একটু ও ভালোবাসতোনা জানো! শুধু দিদা, কিন্তু ঐ বড় সংসারে দিদার আর জোর কতটুকু বলো, আর তাছাড়া মামীদের ই বা কি দোষ, নিজেদের নিয়েই অস্থির আর তার মধ্যে আমি এসে জুটলাম, তা আমার একটু খাওয়ার পরিমানটা বেশী, তাই নিয়েও কি অশান্তি ,মাছের যে পিসটাতে মাছ নেই প্রায় সেটা আমাকে দেওয়া হতো, আরেকটা মাছ চাইলে সবাই ছি ছি করতো, এদিকে বাড়ীতে খাওয়া নিয়ে চাইলে সেটা লজ্জার হতে পারে কখন ও মনে হয়নি, তাই বেশির ভাগ সময় পয়সা দিয়ে ঝাল চানাচুড় বা রাজ্যের মুখোরোচক জিনিস খেতে শুরু করলাম আর পেটের বারোটা বাজাতে শুরু করলা। আর জানো, সবচেয়ে মজার যেটা হলো, আমি বেশী খাই বলে আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো , যে আদেও আমার কোনো অসুখ আছে কিনা, আসলে তোমরা কলকাত্তাইয়ারা কেবল পেটের রোগে ভোগোতো তাই তোমাদের এইরকম ভাবনা।

    খবরদার! কলকাতা নিয়ে কোনো কথা নয়, আর তোমাদের রুট ও তো বাংলা বাপু, আর কলকাতা সমস্ত বাংলাকে রিপ্রেজেন্ট করে, জানোনা?

    ওক্কে বাবা, ঠিক আছে। তো শোনোনা কি মজা হলো একবার, ছোটমামা বললো তুই পড়াশুনা করিসনা, তোর বই আমি উপরে তুলে দিলাম, তোর শাস্তি, এদিকে আমার তো মজা আরো বেড়ে গেলো।মামা পরিসান হয়ে শেষে নামিয়ে দিলো নিজেই।এক ভারী দুষ্টু হাসি দিলো ও, আর শ্রী দেখলো কি সুন্দর দাঁতের গড়ন ওর, একদম সাজানো আর প্রত্যেকটা দঁত সমান, কোনো এবরো খেবরো নয়।

    তো, জানো, আমি ফেল করলাম।মা বাবা এসে খুব বকা আর মার দিয়ে গেলো, একবারো আমার প্রবলেম কি বা আমি কেমন আছি জিগাসা করলো না।এদিকে আমাদের বাড়ী তৈরী হবে সেই নিয়ে সবাই ব্যস্ত হয়ে গেলো, সেটাও মামাবাড়ীর কাছেই।কেবল মামা বাড়ীতে বড় মাইমার এক বোনঝি আসতো আমার বয়সী, সেই ছিলো আমার বন্ধু।

    ভ্রু কুঁচকে তাকালো শ্রী, তোমার তো দেখি নার্সারি থেকেই শুরু।অ্যাঁ? কপট রাগ দেখায় ও।

    তারপর?

    আর কি? পরের বছর আবার ফেল, তখন আমি সেভেন এ পড়ি।আর রেজাল্ট পেয়ে বুঝলাম আর বাড়ী ফেরা যাবেনা, সোজা রেল স্টেশন, গলার টাই আর সোয়েটার আর ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যে ট্রেন পেলাম, তাতেই চড়ে বসলাম।
  • ps | 117.201.117.50 | ২২ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৩৮424851
  • বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে পারছি না। তারপর কি হল?
  • a | 115.117.156.12 | ২২ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:১৪424852
  • "এমন মজার জাত হচ্ছে..."... তা কবে নাগাদ হয়ে উঠবে বলে মনে হয়? :)

    একটু পা টানলাম। চলুক, জমিয়ে হচ্ছে। আমরো একখান শ্রী বলে মেয়েকে দারুণ লাগত, তবে সে কিনা হায়দ্রাবাদের
  • Du | 65.124.26.7 | ২৩ জানুয়ারি ২০১০ ০০:১২424853
  • বড়ম, তাই দেখছি :) । চালাও, সুন্দর হচ্ছে, তোমার মতোই।
  • Nina | 66.240.33.34 | ২৩ জানুয়ারি ২০১০ ০১:৫৯424854
  • উফ! কিকিয়া, এইটুকুতেই থেমে যাস কেন বলতো?! খুব মজা লাগে আমাদের কস-কে সততে :

  • baps | 203.199.41.181 | ২৩ জানুয়ারি ২০১০ ১০:০৯424855
  • উফ্‌ফ্‌ফ ব্যাপক হচ্ছে। আমিও একবার বাড়ি থেকে পালিয়ে ছিলাম। বজ বজ থেকে গঙ্গা পার হয়ে বাউড়িয়া হয়ে খড়গপুর এর ট্রেণে উঠেও ফেরৎ এসেছিলাম। ঠিক সাহস হয়নি। হলে হয়ত এখনকার সময় টা অন্যরকম হত...
  • M | 59.93.204.61 | ২৩ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:০৬424856
  • :)
    সাতাতে আমার দারুন লাগে, তবে লিখে না না লিখে সেখানে একটা কোচ্চেন মার্ক!
    :P
  • M | 59.93.204.61 | ২৩ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:২৬424858
  • তারপর! তাড়াতাড়ি বলো--

    আর কি? ট্রেনে চড়ে বেশ যাচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখি টিটি, ব্যাস ঐটুকু বয়সে এটা বুঝেছিলাম যে ধরলেই বাড়ী পাঠিয়ে দেবে,তাড়াতাড়ি টয়লেটে ঢুকে পড়লাম আর সেখানে বেশ কিছুক্ষন কাটিয়ে ফিরে এলাম, এসে তো বসার জায়গা নেই,আবার বাথরুমের পাশেই বসে পড়লাম।তারপর নামলামতো নামলাম গিয়ে সেই শান্তিনিকেতনে, তখন ওখানে পৌষমেলা শুরু হবে। জানো! আমি খুব কষ্ট পেয়েছি ঐ সময় কিন্তু কখনো আমার বাড়ী ফিরে আসার কথা মনে হয়নি,বরং ফিরবোনা এই জেদ থেকেই কষ্টটা সয়ে নিয়েছিলাম।

    তুমি খুব জেদী বুঝি?

    হ্যাঁ , তা একটু।

    মরেছে, আমিও! খুউউউউউব।শ্রী ফিক করে হেসে ফেলে, ভালোই হলো।তারপর, তারপর?

    আর কি? নেমে এধার সেধার ঘুরে বেড়াচ্ছি,তখন তো খুব খিদে পাচ্ছে,আর শীত ও।
    দেখি একটা ফ্যামিলি, ঐ যারা রাস্তায় থাকে,জানো?

    খুব রেগে যায় শ্রী;

    না তুমি সব জানো কিনা। আমি ছোটবেলায় উত্তর কলকাতাতে ছিলাম, খুব হাঁটতাম আমরা , রাস্তায় কত দেখেছি,আমি জানো খেলতাম, মানে খাটে মার শাড়ীটা এভাবে ঝোলাতাম, খাটের ছত্রীর থেকে একদিক ঝুলিয়ে গুঁজে দিতাম তোষকের সাথে আর একদিক টেনে নিয়ে একটা তাঁবু সেপ দিয়ে অপরদিকে আটকাতাম, ঐটা হতো আমার বাড়ী, আর পুতুল নিয়ে সংসার, আর ভাই সেসময় ইংলিশ খাটের যে ধারের দিকটা উঁচু হতো না, সেখানে বসে বাস আর লরী চালাতো।রাস্তার বাড়ীগুলো পলিথিন দিয়ে অমন করেই বানানো হয়, জানো?

    হ্যাঁগো, ওগো?

    কিগূঊঊঊঊও?

    তুমি ই কি আমার কপালে ঝুলছিলে?

    শ্রী মনে মনে একই প্রশ্ন করলো, আর তুমি কি---কিন্তু গল্পটা না শোনা হয় যদি সেই ভয়ে আর কিছু বললো না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন