এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গল্পের টই

    M
    অন্যান্য | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৯২৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 59.163.30.3 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:৫৪424518
  • তিলের নাড়ু খেতে বেশ ভালোই হয়েছে:)), তবে সরপুঁটি আর সরলপুঁটি যে এক নয় তা আমিও জান্তুম না!!
  • M | 59.93.246.62 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:০৩424519
  • আম্মো একবার মেকং এর ছোট ইলিশ খেয়ে কাঁটা ফুটিয়েছিলাম, কিন্তু গলায় নহে।তাই আর কখন ও সে মাছ আসেনি।মাছ জিনিসটা অত্যন্ত জঘন্ন্য।
  • Nina | 66.240.33.41 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৪৪424520
  • বড়ম, এক্কেরে সহী বোলা! মাছ ক্যান বি সো বিদঘুটে কখনও কখনও!

    ও: তিল, ভাগ্যিস তোমার গলায় কাঁটা ফুটিয়াছিল--হে হে কারুর পৌষমস, কারুর সব্বোনাশ!! ইয়ে, মানে নইলে তো জানতেই পারতুমনা সরপুঁটি ও সরলপুঁটি এক নয়!
    হে হে হে হে তিল--সরলপুঁটি খাইয়া পটল তুলিয়াছেন তিল-----তার সঙ্গে যোগ কল্লুম--ইহাকেই বলে তিল, তিল কে তাল করিয়াছেন---
    তোমার Moral টা লিখে নিলুম , বাপরে কক্ষনো এমৎ ভুল করিবনা ।

    নাড়ু চাই নাড়ু, আরও আরও।

  • Nina | 66.240.33.41 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৫১424521
  • বড়ম তোর মিস করাটা কি সুইট---
    দুইখানে রহি দুজনে আজি
    বুঝেছি ইহার মানে !!
    ইস বরের সঙ্গে একসঙ্গে বসে (?!) ভ্যলেন্টাইন ডেতে পড়ছি আর তোর জন্য কষ্ট পাস্যি :(
  • Ninaa | 66.240.33.43 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:১৬424522
  • অম্রিগায় বিয়েবাড়ী

    অনেক বিয়েবাড়ী যাই, মিক্সড বিয়ে মানে একপক্ষ আম্রিকান ও অন্য পক্ষ Bongs তা বেশ লাগে। এক প্রস্থ চার্চে বিয়ে হয়---একেবারে টিপটপ সব কিছু, মেপে চলা, মেপে মন্ত্র, লাইন করে ঢোকা, আবার সুন্দর ভাবে বেড়োনো, মাপা উচ্ছাস।
    তারপর বল আমাদের কোর্টে--- হৈ চৈ, কাঁইকিচির। বিয়ের মন্ডপ বসে , সব্বই কথা বলে একসঙ্গে ( কে যে শোনে !) তার মাঝে পুরুত মশাই মন্ত্র পড়ে চলেন, একবার সম্‌সকৃত আবার সেটাকে ইনজিরিতে --এই করে চলছে তো চলছে--সাদারা ভীষণ হাসিহাসি মুখে চোগা-চাপকান শাড়ী-লেহঙ্গা ইত্যাদিতে সেজে ( বঙ্গ পক্ষ যা দেবেন বলে স্থির করেছেন) বসে থাকেন। আমরা যা ইচ্ছে করি, মানে যার সামনে হল দাঁড়িয়ে পড়লাম, ছবি তুলছি তো--আর এখন সব অম্রিকানরা যারা বঙ্গ বিয়ে করছেন তারা যথা গোত্র" ভুক্ত--মানে পুরুতমশাইকে বলতে শুনেছি শ্রীমান চার্লস আনডারুড, যথা গোত্র--

    তো এইবার গেছি এক বিয়েতে । পাত্রী বঙ্গ-ললনা ও পাত্র পোলিশ! একেবারে খাঁট্টি পোলিশ--দেখতেও এখনো ইউরোপিয়ান, জামাকাপড় সাজগোজের ধরণ সব দেখে বোঝা যাচ্ছে পুরো আম্রিকান নন! এইবার চার্চে:
    নিয়মগুলো বেশ আলাদা ধরণের আর থেকে থেকেই পাত্রপক্ষ উঠে দাঁড়াচ্ছেন, কেন বোঝা যাচ্ছেনা তো---আমার ভিউ টোটাল ব্লক ! তারপর এক একজন করে উঠে নিজেদের ভাষায় কি সব পড়ে যাচ্ছেন, কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা----হা হা হা আমদের কি বিরক্তি । ওরা সামনে দাঁড়ালে বলছি কোনো ভদ্রতা জানেনা, নিজেদের ভাষায় কথা বল্লে বলছি ' কি বোর করছে"। রিসেপশনে ওদের ভাষার ডী-যে, ওদের ভাষার গানই বেশি, ওরা দারুণ নাচছে , আমাদেরও টেনে নিচ্ছে---আমরা বলছি উফ! কি লাউড ম্যুজিক! (ভাঙ্গরা বড্ড কম দিচ্ছে যে)
    যাইহোক মোটমাট টেস্ট অফ আওয়ার ঔন মেডেসিন বেষ হাড়ে হাড়ে টেরটি পেলাম--

    বড়ম, সরি তোর টই টা ঘেঁটে দিলুম :((
  • Nina | 66.240.33.44 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২১424523
  • লামার সঙ্গে আড়ি----আমার চোয়ালে খুব ব্যাথা হয়েছে---

    ভ্যালেনটাইন্ডে পন্ড হয়নি চন্দনা ( চিনি কি তোমায়--লাগে চেনাচেনা ) হে হে ল্যাপি ও বরের সাথ দিল, কি কারণে হঠাৎ কি হল ইনটারনেট এলনা আর :))

  • M | 59.93.244.196 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:২৩424524
  • দারুন তো।
  • pra | 59.160.111.23 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:২১424525
  • তিল,
    মাছের কাঁটা নিয়েও এমন রম্যরচনা লেখা যায় জানা ছিলো না।

    প্র

  • til | 210.193.178.129 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:৫১424526
  • প্র,
    ধন্যবাদ, তবে সত্য ঘটনাই ব্যক্ত করিয়াছি, ২৪ ক্যারাট!
  • Nina | 66.240.33.41 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৪৪424528
  • গল্পের টই গেল কই?! বড়ম, তিল, রঞ্জন--সব ঘুমোচ্ছে নকি?
  • til | 220.253.71.161 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:০৩424529
  • যার টই তার সময় কই
    অন্য লোকের ঘুম নেই!

    এরকম পাড়াবেড়ানী টই মালিক হলে টই ডুববে না ভাসবে- কোনটা?

  • M | 59.93.244.121 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:২২424530
  • :(
  • Lama | 203.99.212.54 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:৪৭424531
  • (পূর্ব প্রকাশিতের পর)

    তো এই ভাবে, অর্ধশতাব্দী আগের কোনো এক রাত্রিবেলা, মফ:স্বল শহরের জেলখানার কোয়ার্টারে এক বিচিত্র প্রানীর আবির্ভাব ঘটল।

    তিন দিনের মাথায় আমার দাদুর কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিল- আমাদের নতুন অতিথির খাদ্যাভ্যাস কোন পরিচিত প্রাণীর সঙ্গে মেলে না। পালং শাক, কচি ঘাস, মাংসের কুচি, মাছ, কেঁচো, উইপোকা- আমিষ ও নিরামিষ সব খাবার অভুক্ত পড়ে রইল। আশ্চর্য জন্তুটা না খেতে পেয়ে কেমন নির্জীব হয়ে পড়ল।

    বেগতিক দেখে ঠাম্মা বললেন "চিড়িয়াখানায় দিয়ে দাও না'। দাদু ভয়ঙ্কর মুখ করে বললেন, "আমাদের এই শহরে চিড়িয়াখানা কোথায়?'

    ঠাম্মা বললেন, "কেন, করিমভাই?'

    তখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের এত রমরমা হয় নি। করিমভাই বলে এক ভদ্রলোক ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটা চিড়িয়াখানা তৈরি করেছিলেন, নিজের বাড়িতেই। দাদু সেই করিমভাইয়ের একজোড়া বাঘের সঙ্গে তাঁর আশ্চর্য জন্তু এক্সচেঞ্জ করলেন।

    আর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে "হয় আমি, নয় বাঘ' বলতে বলতে ঠাম্মা বাবা আর দুই পিসির হাত ধরে বাপের বাড়ি প্রস্থান করলেন।

    সেই রাতে বাড়িতে চোর এল।

    জেলখানার সাহেবের বাড়িতে চোর আসাটা এমনিতেই অপমানজনক। দাদুর পিত্তি আরো জ্বলে গেল যখন দেখলেন জোড়া বাঘ হাসি হাসি মুখ করে তুলসীতলায় নিদ্রামগ্ন।

    'যে বাঘ চোর এলে হালুম পর্যন্ত করতে পারে না, তাকে দুধ কলা দিয়ে পোষার মানে হয় না।' এই বলে দাদু ব্যাঘ্রদ্বয়কে দুই লাথিতে বিদায় করলেন।

    *** *** ***
    শোনা যায় তার পর বেশ কয়েক বছর আমাদের শহরের কোন কোন চায়ের দোকানে এক জোড়া ঘিয়ে ভাজা বাঘকে থাবা তুলে লেড়ো বিস্কুট চাইতে দেখা যেত। সবাই তাদের নাম দিয়েছিল "নেড়ি বাঘ"।

    *** *** ***

    উপসংহার:

    এসব অনেকদিন আগের কথা। আমার কাছে প্রমাণ নেই। প্রমাণ একটা ছিল, আমার ছোটপিসি (যার কাছে এই গল্প শোনা), তিনিও আর নেই। দাদু-ঠাম্মা তো অনেক আগেই বিগত।

    ছোটবেলায় গল্প শোনার একটা সুবিধে হচ্ছে, সেই বয়সের কল্পনাশক্তি অনেক ফাঁকফোকর পূরণ করে নেয়। এই গল্প যখন শুনেছিলাম, তখন আশ্চর্য জন্তুর চেহারা নিয়ে কোন প্রশ্ন মাথায় আসে নি।

    ভাগ্যিস মাথায় আসে নি। আজ এই মাঝবয়েসে, যখন মঙ্গলগ্রহে মানুষ থাকে না জানা হয়ে গেছে, বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলের ঢপবাজি ফাঁস হয়ে গেছে, তখন টিকটিকির মত দেখতে বাছুরের মত বড় জেব্রার মত ডোরাকাটা কোন অজানা প্রানীর চেহারা কল্পনা করে বেশ টাইম পাস হয়ে যায়।

  • rabaahuta | 203.99.212.54 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:২০424532
  • প্রমান আছে।
    আগরতলার অনেক চায়ের দোকানে আজও নেড়িদের বাঘা নামে ডাকা হয়।
    আমাদের বাড়িতে আজও বাঘ পোষা হয় না, অনুমান করি সেই ঘটনার পর থেকেই।
  • M | 59.93.197.204 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৩৫424533
  • ওয়াও! বঢ়িয়া!!
  • M | 59.93.166.198 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:২২424534
  • বন্ধু তোকে,
    আবার চিঠি লিখতে বসলাম, আসলে কি জানিস, আজকাল মনের কথাগুলো আর মনের মাঝে রেখে দিতে পারিনা, আবার এত ভালো শ্রোতা পাইনে যাকে বকবকিয়ে সব শোনানো যায়। সবাই এত ব্যস্ত!

    আগে কত কথা বলার মানুষ থাকতো, বড় বুড়ো আর কচিকাচারা তো একে অন্যের সাথী ছিলোই, আর মাঝখানের মানুষগুলোর ও অনেক সমবয়সী সাথী থাকতো যাদের কাছে মনের কথা বলে হালকা হওয়া যেত, যেমন ধর না কেন গিন্নিদের দুপুরের তাস খেলার আসর, মনে নেই শরৎ বাবুর গপ্প, আর জোয়ানদের বৈঠকখানা,রবী ঠাকুরের একটা বর্ননা পড়েছিলাম কিভাবে বাইরের ঘরে দুকুরের ফল সাজিয়ে পাঠানো হত।এখন তো শুধু কাজ আর কাজ, আর রুটিনমাপা সামাজিকতা,কারন অত চাপ নেবে কে? এমনিতেই বাইরে ঘরে কম চাপ নাকি? তাই বোধহয় নেটের এত জনপ্রিয়তা।কত বন্ধু হয়ে যায়।কত রকম ভাবে মনটা হালকা করা যায়। আবার সেই চাপ ও নেই। কারন আমার বন্ধুত্ব কতগুলো লেখার সাথে, কিছু নাম, তারা এভাবে লেখে, কাজেই একটা নামের লেখার ধরন আরেকজনের থেকে আলাদা।এ ভাবে লেখা বন্ধুরা। তাদের সাথে ও রাগ, আনন্দ, তর্ক কতকিছু হয়। কিন্তু তত চাপ ও নেই। দারুন মজা।

    আমার আবার অনেক সময়, আর আমি ভাবতে ভালোবাসি।ভাবনা নিয়ে দারুন সময় কাটাই। আর মানুষ পড়তেও দারুন ভালোবাসি।মানুষ পড়া শুনে অবাক হচ্ছিস? কেন? এটা একটা খুব মজার গেম।একটা মানুষের মুখের দিকে তাকিয়েই মোটামুটি একটা ধারনা আসে, সেটা ভুল হতেই পারে, তাতে প্রবলেম নেই যতক্ষন না সেটা অন্য কারোর সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। এবার কিছুদিন টানা লক্ষ্য করলে দেখবি মজার মজার তথ্য পাচ্ছিস, যা দিয়ে একটা ছোট গল্প তো অবশ্যই হচ্ছে।

    গল্প তো এভাবেই হয়, তাই না? আমি দেখেছি যারা খুব ভালো গল্প বলতে পারে তারা চেতনে বা অবচেতনে এভাবেই মানুষ স্টাডি করে। আর থাকে তার সাথে কল্পনার মিশেল।
  • M | 59.93.166.198 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:০৪424535
  • আজ বলবো মিস হা-র গল্প, আগেও বলেছি।আবার, কি করি বয়সের দোষ, এক কথাই বারে বারে বলি।

    হ্যানয়ের একটু উত্তরে ডাউনটাউনের মানুষগুলো অনেকটা আমাদের পুরানো কলকাত্তাইয়াদের মতো।একটু গোঁড়া ধরনের।এখানে মেয়েদের বেশ লম্বা চুল হয়। রেশমের মতো কালো আর সিল্কি।বেনী করা থাকে।দক্ষিনের মেয়েরা চুল খোলা রাখে বেশী,উত্তরের মেয়েদের গায়ের রঙ ও বেশী সুন্দর, একেকটা বার্বি ডল যেন। শুধু হাইটটা খুব বেশী নয়।এখন অবশ্য লম্বা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

    এখানেই থাকে মিস হা, তার মাকে নিয়ে।মায়ের একটা ছোট্ট খাবারের দোকান আছে। এই দোকান গুলো খুব পরিচ্ছন্ন হয়। তুমি যদি খেতে যাও তো দোকানদারনি মাথায় ডোঙা ধরনের টুপি আর সিল্কের প্যান্ট আর ঢোলা জামা একই কাপড়ের, এই ড্রেসে একগাল মিষ্টি হাসি নিয়ে স্বাগত জানাবে।একটা পরিস্কার,কিন্তু অল্পদামী টেবিলে তোমায় বসাবে, আয়োজন সামান্যই কিন্তু পরিবেশন তোমায় তাক লাগিয়ে দেবে,হ্যাঁ প্রেজেন্টেশন এদের মজ্জাগত।তোমায় যদি খুব ভালো লাগে তবে খাবারের শেষে কোনো ফল দারুন সুন্দর করে কেটে দেবে।

    মিস হা মাকে সাহায্য করে আর পড়াশুনা করে দিব্যি দিন কাটাচ্ছিলো।এখানে পড়াশুনা সবাই করে।

    আর এখানকার মেয়েরা একটা বয়সের পর আর বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে না।তখন এরা নিজেদের জীবন কি করে কাটাবে তা বুঝে নেয়।এ ছাড়া এ সময়ে প্রত্যেকে জীবন সঙ্গী নির্বাচনের কাজটাও করতে থাকে।এটা যদি বাবা মাকে করে দিতে হয় তাহলে খুব লজ্জার ব্যাপার হয়।আমার মেট বড়রা খুঁজবে? ভারী হাসির ব্যাপার ওরা মনে করে।আর সেকস নিয়ে ও ওদের শুচিবায়ুগ্রস্থতা নেই। ওরা জানে এটা স্বাভাবিক জীবনের ধর্ম,হ্যাঁ পার্টনারের কাছে লয়াল থাকার চেষ্টা করে। তবে বড় বাস্তব বাদী।

    হা ও সেই বয়সে পৌঁচেছে। ওর ও একজন বয়ফ্রেন্ড আছে।ওরা দুজন স্বপ্ন দেখে ঘর বাঁধবে। শহরে একটা বাড়ী হবে। ছেলেটির ব্যবসা হ্যানয় শহরে।
    মিস হা ওর বান্ধবি স্যু কে সব মনের কথা বলে।বান্ধবীর ও সেকথা শুনে দুচোখ রঙীন হয়ে ওঠে স্বপ্নে।হা অবাক হয়ে তা লক্ষ্য করে।ইদানিং ওর বয়ফ্রেন্ড ডুক ও মনে হয় স্যুকে নিয়ে কথা বলতে বেশী ভালোবাসছে।

    গলার কাছে কি একটা আটকায় সরল মিষ্টি মেয়েটার। একদিন ও ডুককে বলে আমায় পড়াশুনার জন্য হোচিমিন চলে যেতে হবে।বেচারী আশা করেছিলো হয়তো সে বাধাপ্রাপ্ত হবে, হয়তো এমন প্রস্তাব থাকবে যে হ্যানয়েই ও পড়াশুনা করুক ।কিন্তু তা হয় না। বুদ্ধিমান মেয়েটি মাকে ছেড়ে দেশের উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিনে চলে আসে।নিজেকে লুকানোর জন্য এ দুরত্ব বড্ড দরকারী যে।

    ছুটিতে ফিরে দেখে স্যু আর ডুক খুব খুশীয়াল আছে। এবার ডুকের সঙ্গে পরিস্কার কথা বলে ও,দেখো, আমি তো উত্তরে ফিরতে পারবো না। তাহলে তো তোমাকে বিয়ে করা আমার সম্ভব নয়।

    তারপর? স্যু আর ডুক সুখী গৃহী, আর হা তেমনি ওদের বন্ধু, ভালো বন্ধু আছে। আমি যখন মিস হা কে দেখি, তখন ও আমার বাড়ির মেড, সকালে আমার কাছে, দুপুরে ফিলিপিনস এয়ারলাইন্সে আর রাত্রে পড়াশুনা নিয়ে তুমুল লড়াই চালাচ্ছে মেয়েটা। আমায় যখন ও ওর এলবাম দেখাচ্ছিলো তখন ওর হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার গল্প বলছিলো।এক পশলা কষ্ট ঝড়িয়ে আরো অশান্ত মন নিয়ে শান্ত ভাবে চলে গেলো ও।
  • suchetana | 122.172.106.1 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৪৭424536
  • অপূর্ব বম্মা!
  • Nina | 66.240.33.41 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:২০424537
  • লামা, মধুরেন সমাপয়েত। আর একটা হোক।

    এ গল্প বারবার শোনা যায় রে কিকিয়া। বিষাদ-মধুর।
  • M | 59.93.243.153 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:৩৫424539
  • জেরিনা:

    একটা সময় ছিলো যখন আমি প্রায় জেলের জীবন কাটাচ্ছিলাম,আমার বাসস্থানে কোন বই থাকতো না, আমি বই না দেখলে ঘুমোতে পারিনা, না পড়লেও গুচ্ছ বই আছে দেখলে বেশ নিশ্চিন্ত হই, অনেকটা বাচ্চাদের চুষী কাঠি মুখে গোঁজার মতো।সেই সময় আমায় বন্ধুদের সাথে বা পাড়ার কারোর সাথে কথা বলতে দেওয়া হতো না। এক অদ্ভুত আক্রোশে আমার সব কিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো, আজ অবশ্য এতগুলো বছর পর আর কাউকে কাঠ গড়ায় দাঁড় করাই না।নিজের ও অনেক কমি ছিলো। শক্ত মেরুদন্ডের ছিলাম না। তাই কি? বা হয়তো বেশী মাত্রায় সেন্সিটিভ ছিলাম এই ভেবে যে আমার এতদিন নিজের জন বলে ভেবে এসেছি যাঁদের তাঁরা যেন আমার আচরনে মাথা নিচু না করেন।মানে এই ভাবেই আমায় ভাবানো হয়েছিলো, আর আমার সেই নিজের জনরাও আমার ভালোমানুষী ব্যবহার করেছেন এই ভেবে যে তাঁরা আমার ভালো চান।কাজেই আজ আর পরের মানুষগুলো যাঁরা আমার নতুন নিজের লোক হয়েছিলো তাঁদের দোষ আর ধরতে যাই না।আর সবচেয়ে কাছের মানুষটি সবসময় এত দুরে দুরে থেকেছেন আর তিনি এত শক্ত মানসিকতার মানুষ যে খুব ভয় পেতাম নিজের মনের দৈন্য প্রকাশ করতে।সে যা হোক ধান ভানতে শীবের গীত হয়ে যাচ্ছে।

    জেরিনা,কালোবুড়ি, এমন অনেক কাজের লোক ছিলো আমাদের বাড়ীতে, কেউ ই সেই মারাত্মক মুখের সামনে বেশীদিন টিকতে পারতো না, আবার পেটের দায়ে দুদিন অন্তর চক্রবত ঘুরে ফিরে হাজির হতো। নতুন বৌদির কাছে তারা দুদন্ড গল্প গাছা করে যেত।আর নতুন বৌদিও গল্পের বই এর অভাবে সে সব গল্পই গিলতো।

    জেরিনা বাংলাদেশের থেকে যখন আসে তখন ট্যাঁকে এক মেয়ে আর এক দেওরকে নিয়ে এসেছিলো,উনিশ কি কুড়ি বছরের তখন।ওর বর ওকে তালাক দিয়েছে।বেচারী নিজের সব কিছু হারিয়ে ছোট্ট দেওর, যাকে ও মায়ের মতো মানুষ করেছিলো আর কমাসের মেয়ে নিয়ে ভারতে এসেছিলো।বাংলাদেশ থেকে এভাবে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ চলে আসে। কারন ভারতের টাকার দাম একটু বেশী, আর এখানে কলকাতায় একটু মাথা গুঁজে ফেললে কিছু জমিয়ে ফিরে যাওয়া যাবে এই ভরসায়।

    এরা আসে খোচরের ভরসায়। খোচররা বর্ডারের পাশে কোনো গ্রামে মানুষগুলোকে তোলে, সেখানে এক রাত কাটিয়ে সকাল সকাল বর্ডার পার করে দেয়। তার বদলে তখন জন পিছু পাঁচশো টাকা নিতো। এখন কত কে জানে।আর ঐ পার হবার সময় কোন কারনে ফোর্সের কেউ এসে পড়লে নিরাপদ দুরত্বে দাঁড়িয়ে থাকা খোচর অদৃশ্য হয়ে যায়। আর কেউ গ্রেফতার হয়ে গেলে সারা জীবন জেলে পচে। তার আর খোঁজ হয় না। কারন অত পয়সা কার ই বা আছে। তারপর ঢুকে যাবার পর যে যেখানে যেতে চায় ছড়িয়ে পরে। এভাবে রোজ কত মানুষ যে এ পারে চলে আসছে, আর মজার ব্যাপার এরা দিব্যি রেশন কার্ড ও বছর ঘুরতেই বানিয়ে ফেলে, তখন এরা এদেশের নাগরিক হয়ে যায়।

  • M | 59.93.174.40 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৫:১৯424540
  • জেরিনা সেই অর্থে বাঁধা কাজ করে না।খুব শক্ত পোক্ত শরীরের গঠন ওর। কাচা বা এমন কোনো কাজ , যেমন ছাদ ঝাঁট দেওয়া, যাতে নগদা নগদি পয়সা দিতে হয় তাই করতো ও।আমি যখন ওকে দেখি তখন সপ্তাহে একদিন ও আসতো, আমি কাপড় ভিজিয়ে রাখতাম।

    একদিন ও আমায় এসে বললো বৌদি তুমি দাদার পকেট না দেখেই ভিজাইসো, এই নাও, ট্যাকা ছিলো, আমি শুকিয়ে দিয়েছি। বেচারী আমি যাতে বকা না খাই তারজন্য ছাদে বসে টাকা শুকিয়ে দিয়ে গেছিলো। তখন থেকেই ওর সাথে গল্প শুরু হয়। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তুমি তো নিয়ে নিতে পারতে, নিলে না কেন? বলে কিনা, বৌদি আমি যা রোজগার করি তাতে আমার দিব্যি চলে যায়।কি দরকার! ভারী অবাক লেগেছিলো, ওর পক্ষে লোভ করাটাই ছিলো স্বাভাবিক।

    জেরিনা ছিলো খুব স্পষ্ট কথার মানুষ, কখন ও ওকে ঘার ঝোঁকাতে দেখতাম না। ওর দেওর বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছিলো আর খোঁজ করতো না ওর। তা নিয়ে জেরিনার কোনো তাপ উত্তাপ ছিলো না।ভালো আছে ছেলেটা এই যথেষ্ট ছিলো ওর জন্য।

    আমি মাঝে মাঝে বলতাম , এই যে তোমাদের মরদগুলো হাজারটা বিয়ে করে, বৌএর ঘারে বসে খায়, ইচ্ছে হলে তালাক দেয়, তোমরা কিছু বলতে পারোনা। তোমরা তার আগে তালাক দিতে পারো না।সে চুপ করে হাসতো। কিছু কিছু জিনিস ও জানতো খুব স্বাভাবিক। তা নিয়ে নালিশ করা যায় ওর কখন ও মনে হতো না।
  • M | 59.93.174.40 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৫:২২424541
  • দিন কাটে দিনের নিয়মে, হঠাৎ কানাঘুষো শুরু হলো, জেরিনা খারাপ চরিত্রের মেয়ে মানুষ, বাজারে কোন লোকের সাথে ওকে প্রায় ই দেখা যাচ্ছে।এই গল্প মজার ব্যাপার হলো কাজের লোক মারফত বাড়ীর গিন্নিদের কাছে আসে আর এই গিন্নী বান্নীরা দুপুর বেলায় আয়েশ করে চাটনি চাটার মতো করে যখন সবার বাজে দিকটা নিয়ে আলোচনা করে আর নিজেকে আমি সবার উপরে প্রমান করতে চায় তখন এগুলো একেবারে হট টপিক হয়ে ওঠে।

    আমাদের বেশীর ভাগ কাজের মেয়েরা আসতো সাঁপুই পাড়া থেকে, এটা ঠাকুরপাড়ার লাগোয়া,মজার ব্যাপার দেখো, উঁচু গোত্রের ঠাকুর পাড়ার লোকেদের পাশেই বর্ডার পার হওয়া গরীব মুসলমানদের পাড়া। এখানে গেলেই তুমি দেখতে পাবে বেশ কিছু রামছাগল কাঁঠাল পাতা চিবুচ্ছে। এদের পালাপার্বনের জন্য যত্ন করে বড় করা হয়। আর তুমি যদি ওদের পরবে যাও তো মানুষগুলো এত খুশী হবে যে ঝকঝকে করে মাজা বাসন গুলো আবার করে মেজে আলাদা রান্না করে তোমায় খাওয়াবে। আর পরবে যে কতরকম হালুয়া রাঁধে এরা।আমায় পরবে জেরিনা নিজের হাতের তৈরী সিমাই দিয়ে যেত কারন ওর হাতে রাঁধা খাবার যদি না খাই।আমি ওকে বলতাম আমার কাছে পরিচ্ছন্নতাই আসল, আর তুমিতো খুব পরিস্কার। তবু ও সাহস করে না। এত ভালোবাসা আমরা ঠেলে ফেলে দি বলেই হয়তো রায়ট বাঁধে, মানুষ অন্ধ হয়ে যায়।

    জেরিনাকে একদিন জিগাসা করি হ্যাঁগো তোমার নামে একি শুনি? ভালোতো আছো, আবার এইসব জ্বালা নিচ্ছো কেন?মুখ নিচু করে বলে বৌদি মানুষটাকে আমার ভালো লাগে। আমরা নিকা করবো।

    জেরিনার নিকা হয়ে যায়। লোকটার আগের পক্ষের বউ আছে। সে এসে জেরিনাকে চাট্টি মারধোর করে যায়। স্বাভাবিক। তারপর এমন ভাবে চলতে থাকে, মাসের আদ্ধেক দিন লোকটা জেরিনার কাছে আর আদ্ধেক দিন থাকে আগের পক্ষের বৌএর কাছে। জেরিনা কাজ বাড়িয়ে দেয়।ওর পয়সায় লোকটা ফুর্তি করে আর ওর আগের পক্ষের বউ আসলেই এটা সেটা চুরী করে পালায়।

    বেচারী খুব গোছানো ছিলো, পয়সা জমিয়ে গয়না, ব্যাঙ্কে রাখা এসব করতো। শেষে ভয়ের চোটে আমাদের বাড়ী সব রেখে যায়।

    তারপর একটা মেয়ে আবার হয়।তারপর পরের পর অ্যাবর্শন করতে থাকে।লোকটা অদ্ভুত, নিজে কোনো প্রোটেকশন নেবে না, আর জেরিনাকে ও নিতে দেবে না।ফলে মেয়েটার এই অবস্থা। আমি বলি তুমি শোনো কেন? জানো বারবার গেলে তোমার শক্ত অসুখ করবে। বলে আমাদের খোদায় নাকি বারন করেছে।কি করবো বলো? সেকি? খোদায় তোমায় প্রান গুলো মেরে ফেলতে বারন করে নি? কি করি বলো, অতগুলান পালতে পারবো না। আমায় ই তো পালতে হবে। মেয়েটাকে বিয়ে দিতে হবে, দুটো মেয়েকে পড়াতে হবে।

    কি অদ্ভুত না?এত এগিয়ে এসেও আমাদের সমাজ আজ ও মেয়েদের খুব একটা এগোতে দিলো না, সমস্যা হয়তো আলাদা, কিন্তু দুর্বলতা ইউজ করা হয় সব সার্কেলেই।তবু যখন দেখি এত কিছু সত্বেও ঐ গরীব মেয়ে মানুষ গুলো প্রনপন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তখন ভারী অবাক হই এদের জীবনী শক্তি দেখে।

  • Nina | 66.240.33.41 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:০১424542
  • কিকিয়া, তোর গল্পের টই দেখে প্রাণ আনন্দে টই টুমবুর :)

    আমাদের অফিসে কাজ করে, ক্যরেন। B.A. /Accounting, M.B.A. Hospital Mgmt বড় ভাল মেয়ে। কেমন যেন আমাদের দেশের মতন ঘরোয়া। বিয়ে করেছে বিল, পেপসির ট্রাক চালায়, কোনওমতে হাই স্কুল পাশ করেছে। কি আকাশ পাতাল পার্থক্য দুজনের রুচিতে, সব কিছুতে--- দুটি ছোট্ট মেয়ে যমজ। আমার খুব অবাক লাগে কি করে নিত্যদিন দুটি মানুষ একেবারে আলাদা পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে একসঙ্গে আছে। মাঝে মাঝে ধুন্দুমার ঝগড়া হয়, বিল হাতও চালায়, আবার মিটেও যায়। হয়ত চোখে কালশিটে নিয়ে কাজে এসেছে, অফিসে বলে বাথরুমে পড়ে গিয়েছিল তাই। আমার খুব বন্ধু, আমার কাছে কাঁদে , শোনায় কেমন ভাবে ঠেলে ফেলে দিয়েছে বিল, পড়ে গিয়ে এই দাগ। আমি বলি তুমি এত পড়াশোনা করা মেয়ে, এত ভাল চকরী, তুমি সহ্য কর কেন--বলে আসলে ও মানুষটা ভাল, একটু রাগী । কি করি
    I love him, he loves me too.
    এদেশে আবার কখনও আমি এর উল্টোটাও দেখি, বর বউ দুজনেই লেখা পড়া চাকরী সবেতে সেরা--কিন্তু বউকে ধরে পেটায়, বউ দিব্ব্যি পিটুনি খেয়ে থাকেও।
    সত্য সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ!
    বরের হাতে পিটুনি খেতে এদের লাগে বেশ
    :))
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৫:৪৪424543
  • বিগেমের এই লেখাটায় একটা নির্লিপ্তি আছে। বেশ লাগলো।
  • Nina | 76.124.208.223 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:৫৪424544
  • কিকিয়া তুই বললি বলে ভয়ে ভয়ে ---

    কলংকিনী চাঁদ

    শহরে হৈ চৈ, লোকে ছিছি:কার করছে। প্রত্যেকের মুখে ঐ একই কথা--ঐ রকম বাজে মেয়ের এই পরিণতিই হয়। মেয়েটি চন্দ্রা পান্ডে। শহরের প্রতিষ্ঠিত গাইনোকলজিস্ট ডাক্তার রামনাথ পান্ডের পালিতা কন্যা। আজ সকালে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে তার শোবার ঘরে, প্রচুর ঘুমের ট্যবলেট খেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। মাত্র আঠারো বছর বয়স, কলেজে ঢুকেছে বছর খানেক। ডাক্তার পান্ডে অত্যন্ত মানী গুণি মানুষ। নামী ডাক্তার, প্রচুর দান ধ্যান করেন, বিয়ের দুবছরের মধ্যে স্ত্রী মারা যান, আর বিয়েথা করেন নি। দুটি মেয়েকে মানুষ করেছেন নিজের মেয়ের মতন করে। দুটি মেয়েই হাসপাতালের দরজায় তাদের বড়ীর লোকের ফেলে দিয়ে যাওয়া, হয়ত অবৈধ সন্তান, কেউ জানেনা তাদের পরিচয়। এটি ছোট, চন্দ্রা, আর বড়টি আট বছরের বড় তারা।
    তারা তার পালিত বাবার মতনি গুণি মেয়ে, সেও ডাক্তারি পাশ করে কাছের শহরে থকে, বিয়ে করেছে ভালবেসে একটি সাধারন ছেলেকে, মেডিকাল রিপ্রেসেন্টেটিভ। তারার বাবার ইচ্ছে ছিল আরো ভাল যোগ্য পাত্রে বিয়ে দেবার, কিন্তু মেয়ের পছন্দে আপত্তি নাকরে, প্রথমে একটু আটকাবার চেস্টা করলেও পরে ধুমধাম করেই বিয়ে দিয়েছেন। লোকে বলে তারা নিশ্চয় কোনো ভাল ঘরের মেয়ে, হয়ত নিতান্ত নিরুপায় হয়ে তার মা তাকে ত্যাগ করেছিল।

    কিন্তু এই চন্দ্রা, অদ্ভুত , একই লোকের কাছে একই ভাবে মানুষ জন্মে থেকেই তো সেও---কিন্তু কি অমিল দুটিতে। চন্দ্রা ছোট থে্‌কই অবাধ্য, অসভ্য , দুরন্ত। কাউকে সে পরোয়া করেনা, বড়দের মুখে মুখে কথা বলা, অসন্মান করে সবার সঙ্গে কথা বল্ল, এই তার স্বভাব। যেমন যেমন বড় হয়ে উঠেছে তেমন তেমন একটি একটি করে বদগুণ দেখা দিয়েছে---কিশোরি বয়স থেকেই ছেলেদের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করা, জামা কাপড় ও বয়স বাড়ার সঙ্গে তাল রেখেই কমেছে।
    কলেজে ঢুকে তো কথাই নেই, সিগারেট, ড্রিংক ও যোগ হয়েছে। ডাক্তার পান্ডে অনেক চেস্টা করেছেন, তারার চেয়েও বেশি মনোযোগ দিতে চেস্টা করেছেন, দামী উপহার, ভালভবে বোঝানো, কিন্তু ভবি বোলবার নয়। সারা শহরে যেন প্রমান করে দিয়েছে চন্দ্রা যে ঘর ভালো, আমরা যাকে বলি ভাল রক্ত তার কত দাম।
    কদিন পর কানাঘুষোয় এও শোনা গেল চন্দ্রা অন্ত:সত্বা ছিল। সবাই ডাক্তার পান্ডেকে বুঝিয়েছে কি আর করা , উনি তো সব চেস্টাই করেছিলেন , একজন তার মর্য্যাদা রেখেছে অন্যজন নিজের রক্তের পরিচয় দিয়েছে।
    দিন চারেক পর যেন বজ্রপাত আবার ছোট শহরটিতে। পুলিশের ডিআইজি ও আদালতের জাস্টিস দুজনের কাছে দুটি রেজিস্ট্রি চিঠি এসেছে----লেখা চন্দ্রার । সে লিখেছে:
    আমি এক ভাগ্যহীনা মেয়ে, জন্মালাম আমার মা আমায় ত্যাগ করল। যদি আমি তখনি মরে যেতাম তাহলে তো নিজেকে ভাগ্যবতী বলতাম, কিন্তু না অশেষ দুর্ভোগ কপালে নিয়ে জন্মেছি , গিয়ে পড়লাম এক মানুষের মুখোশ পরা শয়্‌তানের হাতে। ছোট্টবেলা থেকে সেই শয়্‌তানের অত্যাচার সহ্য করতে করতে বেড়ে উঠ্‌লাম। দুনিয়া জানে তিনি ভগবান , জানি আমি সে কতবড় শয়তান, কতবড় পশু সে। কাউকে বলতে পারতামনা, লজ্জা আর কে বিশ্বাস করবে আমার কথা! তারা জানিনা কি তার দুর্ভোগ হয়েছে, তাই কি তারা যাকে পেয়েছে তাকে বিয়ে করে সরে গেছে---কে জানে। আমি এই ঘেন্নার জীবন আর টানতে পারছিনা, ভালবেসেছি একজনকে কিন্তু অসাবধানতায় আমি মা হতে চলেছি , জানিনাতো এ কার সন্তান , সেই পশুর ও হতে পারে-----আজ তাই আমি সব জানিয়ে নিজের কলংকিত জীবনের ইতি টানলাম-----একটাই প্রার্থনা অবৈধ সন্তান দেখবেন যেন কোনো সুস্থ সংসারে পালিত হয় যেখানে বাবা মার দুজনের আদর আছে।---হতভগিনী চন্দ্রা।
  • til | 220.253.187.47 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:৫৯424545
  • নিনাজী, অপূর্ব!
  • M | 59.93.214.185 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৯424546
  • উহ!

    একটা ঘটনা মনে পরে গেলো, একটা ভিয়েতনামিস মেয়ের,ওদের বাজে খবর গুলো চট করে বেরোয় না, কিন্তু এটা নিউজ পেপারে এসেছিলো।

    মেয়েটিকে তার বাবা চব্বিশ বছর ধরে বাড়ীর নিচে ঘর বানিয়ে সেখানে আটকে রেখেছিলো আর অত্যাচার করতো, মেয়েটা কখন ও বাইরের আলো দেখেনি আর কয়েকবার বাচ্চা টাচ্চা ও হয়েছে এমন, কিসব মারাত্মক ঘটনা।
  • Lama | 117.194.234.140 | ০৭ মার্চ ২০১০ ১৮:৪৭424547
  • ডাক
    **********

    সেটা নব্বই এর দশকের শুরুর দিক। এক বিকেলবেলায় যখন ট্রাঙ্ক আর হোল্ড অল সমেত হোস্টেলের দরজায় পা রাখলাম তখন কি আর জানতাম, যে এখান থেকে বেরিয়ে আসা এত কঠিন হবে?

    সেই কালে ঘরে ঘরে কম্পিউটার ছিল না, কেবল টিভি আসে নি, ইন্টারনেটের নাম তখনো পর্যন্ত শুনি নি। এমনকি এসপ্ল্যানেড গিয়ে সিনেমা দেখাও অজকের তুলনায় অনেক কঠিন ছিল, কারন দ্বিতীয় হুগলি সেতুও তখনো পুরো তৈরি হয় নি। বি গার্ডেন ঘাট থেকে লঞ্চে করে বাবুঘাট গিয়ে তারপর হেঁটে ধর্মতলা যেতাম আমরা। কিন্তু, "ছিল না'র তালিকা এত দীর্ঘ হওয়া সঙ্কেÄও সময় কাটানো নিয়ে কোনদিন কোন সমস্যা হয় নি। দিব্যি কোথা দিয়ে যেন হু হু করে সময় কেটে যেত।

    কেটে গেলও। চার বছর।

    বেশির ভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে জীবন যেরকম ভাবে কেটে যায় আমাদেরও সেরকমই কাটতে লাগল। আস্তে আস্তে ক্লাসরুমগুলো চিনলাম, ল্যাব চিনলাম, যেসব প্রোফেসরদের গৃহিনীদের দেখতে ভাল তাদের চিনলাম, ব্যাতাইতলা গার্ডেন বার (যেখানে বীয়ারের সঙ্গে ফ্রি চাট হিসেবে ভিজে ছোলা দেয়, আর দশ টাকা দিলে মাছভাজা) চিনে গেলাম। চিনতে বাকি রইল না ফার্স্ট গেটের ভাবীর পুরীর দোকান আর সেকেন্ড গেটের ভাবীর গাঁজার দোকান। যেসব সিনেমা হলে রাতের শোয়ে মালয়ালম থেকে ডাব করা হিন্দী সিনেমা দেখায়, যেসব ঠেকে মাঝরাতেও দারু পাওয়া যায় সেসব নিষিদ্ধ বস্তু এবং স্থানের সঙ্গেও ভালই চেনাশোনা হয়ে গেল।

    ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কিছু কিছু ব্যাপার প্রায় কুড়ি বছর আগে যে রকম ছিল আজও তেমনই আছে বলে আমার ধারনা- বছর বছর ফেল করা ফূর্তিবাজ সিনিয়র, অসহ্য রকমের তেলবাজ ফার্স্টবয়, হোলির দিনের ভাং, প্রতি বছর দু এক জনের আত্মহত্যা, কলেজ ফেস্টের রাতে প্রথমবার মাল খেয়ে বমি করা, রুমমেটের প্রেমপত্র শুনে যাচ্ছেতাই রকমের বোর হওয়া: এগুলো তখনও ছিল, আজও নিশ্চয় আছে।

    গল্প তো অনেক! এত বছর পর লিখতে বসে কোনটা লিখব আর কোনটা লিখব না ভাবতে গিয়ে কেমন ঘেঁটে যাচ্ছি। তবে চার বছরের সব গল্পের মধ্যে আমার খারাপ হয়ে যাবার গল্পটা উল্লেখযোগ্য।

    হয়েছে কি, হোস্টেলে যখন এলাম তখন আমি পাট পাট করে চুল আঁচড়ানো, মোটা কালো ফ্রেমের চশমা চোখে, না কামানো কোঁকড়ানো দাড়ি গালে টিপিক্যাল জয়েন্টে ভালো র‌্যাঙ্ক করা গাঁট টাইপের ভালো ছেলে। সিনিয়াররা বলল "ওরে, জীবন বড় কঠিন। দু চারটে খিস্তিখাস্তা না শিখলে জীবনে কিস্যু হবে না।' শুনে মনে ভারী দু:খ হল। ঠিক করলাম অবিলম্বে খিস্তি শিখে জীবনকে একটু অর্থপূর্ণ করে তুলব। কিন্তু দিন যায়, মাস যায়, খিস্তি করার মত মনের জোর আর যোগাড় করে উঠতে পারি না- জিভের আড় আর ভাঙ্গে না। অবশেষে, এক পূর্ণিমার রাতে, সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েছে, তখন ঠিক করলাম, আজ একটা হেস্তনেস্ত হয়ে যাক। সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলাম। সোজা চলে এলাম খেলার মাঠে। চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে ক্যাম্পাস। ঘাসের ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লাম।

    তারপর চাঁদের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বললাম, "শালা, শালা।'

    যাই হোক, এইসব ঘটনা, অল্পস্বল্প পড়াশোনা, কিঞ্চিৎ ধানাইপানাই সহযোগে চার বছর কেটে গেল। ফোর্থ ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেল । এবার শুধু শেষ ভাইভা বাকি- গ্র্যান্ড ভাইভা।

    বেশীর ভাগ বন্ধুবান্ধব ততদিনে হোস্টেলের পাট চুকিয়ে বাড়ি চলে গেছে। নির্দিষ্ট দিনে বাড়ি থেকে এসে ভাইভায় বসবে। শুধু আমার মত যাদের দূরে বাড়ি তারা তখনো হোস্টেল ছাড়ে নি । তাই ক্যাম্পাস বেশ নির্জন। মেস বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আমরা যারা হোস্টেলে রয়ে গেছি তারা ফার্স্ট গেটে অনুকূলদার দোকানে দু বেলা খেতে যাই।

    ফাইনাল ইয়ারের শেষের এই সময়টা জীবনের অন্য সময়গুলোর চাইতে আলাদা। গুমোট গরমের সন্ধ্যেগুলো হঠাৎ এক এক ঝলক হাওয়া দিয়ে যায় আর ফেলে আসা চারটে বছর ফ্ল্যাশব্যাকের মত চোখের সামনে ভিড় করে আসে। চার বছরের জন্য ঘরবাড়ি হয়ে যাওয়া হোস্টেলটার দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত এক বিষণ্নতায় ভরে যায় মন।চরপাশের সবকিছু যেন অদ্ভুত মায়াময়।

    এইরকম এক সন্ধ্যায়, একা একা হেঁটে এসে বসলাম সেই খেলার মাঠে, যেখানে চার বছর আগের এক পূর্ণিমার রাতে এসেছিলাম অফিশিয়ালি খারাপ হব বলে।

    একটু দূরে আমার হোস্টেল। তিনতলায় আমার ঘরে আলো জ্বলছে- আমি যেখানে বসে আছি সেখন থেকে দেখা যাচ্ছে। পরশু থেকে এই ঘর আর আমার থাকবে না। চার বছর আগে এই ঘরে যে থাকত আমি তাকে চিনি না, চার বছর পর এই ঘরে যে থাকবে সে আমাকে চিনবে না।সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে কেমন ঘোর লেগে গেল।

    মাঠে কতক্ষন বসেছিলাম খেয়াল নেই। এক সময় চটকা ভাঙ্গল। মনে পড়ল রাতের খাওয়ার সময় হয়ে গেছে। বেড়া টপকে মাঠ থেকে বেরিয়ে অনুকূলদার হোটেলের পথ ধরেছি, দেখলাম হোস্টেলের দিক থেকে একটা ট্যাক্সি বেরিয়ে আসছে। ট্যাক্সিতে যে বসে আছে তার মুখ দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু ডিকি আধখানা খোলা, কিছু বাক্সপ্যাঁটরার আভাস দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ কেউ চিরকালের মত হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে।

    একটু পরে, আমি যখন প্রায় ফার্স্ট গেটের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি, তখন সেই ট্যাক্সিটাই আমাকে ওভারটেক করল। ট্যাক্সির ভেতর থেকে একটা ব্যাকুল ডাক ভেসে এল "লামা...'

    কে ডাকল বুঝতে পারার আগেই ট্যাক্সিটা হুস করে বেরিয়ে গেল। ভেতরে কে ছিল জানা হল না।

    সেই ডাকটা আজও তাড়া করে বেড়ায়। কে ডেকেছিল সেদিন? কোনোদিন কি জানতে পারব? তার সঙ্গে কি কোনদিন দেখা হবে? দেখা যদি হয়ও, তার কি সেদিনের কথা মনে থাকবে?
  • byaang | 122.172.61.241 | ০৭ মার্চ ২০১০ ১৯:০৪424548
  • বা:
  • pi | 72.83.210.50 | ০৭ মার্চ ২০১০ ২০:০৫424551
  • বেশ লাগলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন