এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গল্পের টই

    M
    অন্যান্য | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৯২৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • rimi | 24.42.203.194 | ১৯ জুলাই ২০১০ ০৮:৪৮424651
  • বড় ম-এর শালিকের গল্পটা বড্ড ভালো লাগল (কষ্টও হল)। সত্যি, ছোট্টো ছেলেটার মন ভারী সুন্দর।
  • M | 59.93.215.61 | ১৯ জুলাই ২০১০ ০৯:৪৪424652
  • থ্যাঙ্কু :)
  • Nina | 64.56.33.254 | ২০ জুলাই ২০১০ ০২:১৯424653
  • ও লামা, বসেই পড়ল যে--চলছেও না তো
    :((

  • M | 59.93.163.209 | ২২ জুলাই ২০১০ ১৩:৩১424654
  • লামাকে গন কানমোলা দেওয়া হোক।
  • til | 210.193.178.129 | ২২ জুলাই ২০১০ ১৩:৩৫424655
  • গণ + কানমলা = গাণমলা??
    ডি: ণ এর প্রকৃত উচ্চারণে (যেভাবে মারাঠীরা করে)
  • Lama | 203.99.212.53 | ২২ জুলাই ২০১০ ১৩:৪১424656
  • মারাঠি উচ্চারণে উহা শুনিতে কিঞ্চিৎ অশ্লীল :)
  • til | 210.193.178.129 | ২২ জুলাই ২০১০ ১৪:০৬424657
  • সাধেই কি ডিসক্লেমার দিয়াছি? আমার কি ইঁট পাটকেলে ভয় নেই?
  • Lama | 203.99.212.53 | ২২ জুলাই ২০১০ ১৪:৪০424658
  • (চলছে)

    প্রথম যখন সাইটে গেলাম, বাপিদা ছিল সাইট ইনচার্জ। বাপিদা পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার বা সার্ভেয়ার না হলেও এই লাইনে অনেকদিন ঘষটানোর ফলে অনেক অভিজ্ঞ সার্ভেয়ারের নাক কান কাটতে পারে। আমি আসার তিন দিনের মাথায় বাপিদা অন্য সাইটে চলে গেল, আর ইন চার্জ হয়ে গেলাম আমি। যাবার আগে পয়সাকড়ির একটা আধখ্যাঁচড়া হিসেব দিয়ে গেল। আমি একটু কিন্তু কিন্তু করে বললাম "বাপিদা, অমুক ভাউচার...'। বাপিদা গর্জে উঠে বলল "আমার ট্রেনের সময় হয়ে যাচ্ছে আর উনি এসেছেন ভাউচার চাইতে। কিছু জানার থাকলে ফোন করে জেনে নিবি।' যাবার আগে বলে গেল, "ঐ বালামুরুগণটা কিচ্ছু জানে না। ওকে চাপের ওপর রাখবি।' বালামুরুগণকে চাপে রাখার ব্যাপারটা আমার এত পছন্দ হল যে বাপিদা চলে যাবার চার ঘন্টা পর আমি আবিষ্কার করলাম যে, কিছু জানার থাকলে যে নাম্বারে ফোন করতে হবে সেই নাম্বারটাই নেয়া হয় নি।
  • Lama | 203.99.212.53 | ২২ জুলাই ২০১০ ১৫:০৩424659
  • বালামুরুগণ লোক মন্দ নয়। প্রথম প্রথম যখন এ চত্বরে আসি, ভাষা সমস্যার কারণেই হয়তো (বাপিদা সহ এলাকার তবৎ লোক ইংরেজি বলতে পারে না। বালামুরুগন হিন্দি বলতে পারে না) বাপিদার সঙ্গে ওর ঠিক জমছিল না। আমি একটু আধটু ইংরেজি বলতে পারতাম বলে আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে বেশ একটু আগ্রহীই ছিল মনে হয়। কিন্তু বাপিদার কুপরামর্শে ওকে শত্রু বানাতে আমার মাস তিনেকের বেশি লাগল না।

    (চলবে)
  • Sags | 114.143.7.146 | ২২ জুলাই ২০১০ ১৫:২৪424662
  • এইবারে আবার দীর্ঘ বিরতি। এর থেকে বেশী মেটেরিয়াল তো জিতেন্দ্রোর মেয়ের সিরিয়ালের এক এপিসোডে থাকে।
  • de | 59.163.30.2 | ২৩ জুলাই ২০১০ ১২:৪০424663
  • আবার থেমে গেলো! সাপ্তাহিক না পাক্ষিক?
  • Arya | 125.16.82.195 | ২৩ জুলাই ২০১০ ১৩:০১424664
  • লামা, জায়গাটার নাম বললে গল্পটা আরো জমে যেত।
    আর একটু তাড়াতাড়ি কি লেখা যায় না?
  • Nina | 68.45.144.238 | ২৪ জুলাই ২০১০ ০৫:৫৩424665
  • তাই বলে চার লাইন করে?! লামা এ কি ঘোর অন্যায় :-((

  • M | 59.93.221.190 | ০৮ আগস্ট ২০১০ ২১:৪৫424666
  • বন্ধুরা,

    আমার বিচ্ছিরি ভাল্লাগেনা হয়েছে,কোনো কিছু ভাল্লাগেনা, আর যাচ্ছেতাই যেখানে সেখানে ভাল্লাগেনা করে ঘ্যান ঘ্যানাচ্ছি,পাবলিক ক্ষেপে উঠে আমায় দেখলেই কেটে যাচ্ছে।

    কিছুদিন আগেও এত্ত ভালো না লাগার জিনিস পত্র ছিলো আর সময়রা ফুরুৎ করে পালিয়ে যেত , কিছুতেই খপাৎ করে ধরা যেত না তখন ও এত খারাপ লাগা ছিলো না।আমি তো দিব্যি তার মাঝ থেকেই সময় চুরি করে ভাল্লাগাতাম,কেমন করে? ধরো এন্তার গাল খাচ্ছি, কিঁউ? আমায় এঁটো বাসন কলতলায় রেখে আসতে হচ্ছে, কাজের মেয়ের জন্য, আমি সেগুলো দিব্যি কোলে করে গায়ের সাথে লাগিয়ে নিয়ে নাচতে নাচতে চলেছি, কি করা যাবে, সবাই তো আর বড় হলেই বড় হয়না, আমিও হয়নি।আর সেটাতো বাড়ী নয় যে আমি সর্বাঙ্গ ভাতের এঁটো করে ঘুরে বেড়াবো আর সবাই মেনে নেবে, ব্যাস।আমি একগাদা কথা শোনার মাঝখানে ও দিব্যি কল্পনায় উড়ে বেড়াচ্ছি। আবার ছাদে পাঁচিলের উপর বসে আছি, সে নিয়েও ঝঞ্ঝাট, কিন্তু আমার ঘ্যাঁচকলা, আমিতো তখন স্পেস সিপে করে চলেছি।

    আর এই সেদিন যখন একগাদা দালালের খপ্পরে পরে 3A বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি, আর কানে সেই গুচ্ছ দালালের সমৃদ্ধ ভাষার ঢেউ আছড়াচ্ছে আর আমার মনে হচ্ছে আমার আর নিজের ঠাঁই হলো না, আবার বাবা মার কাছেই গ্যারেজ হতে হবে তখন কি আমি মন খারাপ করেছি? কখনোই না। আমিও তখন পরের ছেলের পয়সায় আই এস ডি করে তাকেই তুমুল গাল দিচ্ছি আর নিজে দিব্যি মনে মনে হাল্কা হয়ে যাচ্ছি।

    তারপর এই চিড়িয়া খানায় যেদিন ঢুকলাম,আর স্নান করতে করতে দেখলাম জল আর আসছেনা তখন একটুও রাগ করিনি, দিব্যি হাফ স্নান করে ঘুমিয়ে পড়লাম, তারপর সে কি শোঁ শোঁ আওয়াজ। ঘুম ভেঙ্গে আমার মনে হলো আমি কোনো ঘন জঙ্গলে বিশাল জলপ্রপাতের সামনে টামনে আছি, ওমা দেখি কিনা কলের , শাওয়ারের ভিতর থেকে ঐ সব আজব আওয়াজ বেরোচ্ছে।তারপর এলো সে, মানে ইয়ে , জল। আর আমিও দিব্যি স্নান করে বেরিয়ে পড়লাম।
  • M | 59.93.221.190 | ০৮ আগস্ট ২০১০ ২১:৫৬424667
  • এইরকম কত কি,কিন্তু এখন আমার অফুরান সময়, আর অনন্ত ভাল্লগেনা।

    তো এই সেদিন গিয়ে একগাদা সিনেমা কিনে নিয়ে এলাম। তারপর দেখেই চলেছি, ক্ষুদিত পাষান, হারমনিয়াম,আজব গাঁয়ের আজব কথা। আর এই শেষের টা দেখেই নিজেকে আবিস্কার করলাম। ক্ষী জ্বালা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখন ভুত পাই কোত্থেকে? আমার বাড়ীতেই এক ভুত আছে, কিন্তু সে ভারী ভালো, আমি ভুলে টুলে গেলে সে জিনিস পত্র চোখের সামনে এনে দেয় টেয়।

    গম্ভীর সমস্যা।

    কিন্তু দেখো, এই ভাল্লগেনা আমার একার নয়, আমাদের এই কলকেতে তে প্রায় সবার ই ভাল্লাগে না হয়েছে। ব্যাপক ছোঁয়াছে।বাড়ী ওলা, ভাড়াটে, টিচার স্টুডেন্ট, ক্লাবের ছেলেপিলে দের , কোচিনের স্যার আর ছাত্রছাত্রী দের, বাস ড্রাইভার, অটোয়ালা এমনকি ফুচকা ওয়ালাদের ও।সবাই সব সময় খিঁচোচ্ছে।

    তারপর আমি খেই হারিয়ে ফেলেছি, তাই শেষ।
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ০৯ আগস্ট ২০১০ ০১:০৪424668
  • বিগেমের পোস্ট পড়ে আমাকেও যে 'ভাল্লাগে না'তে ধরছে মনে হচ্ছে!!
  • til | 220.253.188.158 | ০৯ আগস্ট ২০১০ ০১:৪৯424669
  • এই সব ভাল্লাগেনার একটাই ওষুধ, বিয়ে দিয়ে দেয়া। কিন্তু সে কম্ম তো হয়েই গেছে কবে, অতএব পরের ছেলের কাছে ঘরের মেয়েটিকে পাঠিয়ে দিলেই সব ভাল্লাগতে শুরু করবে!
  • Nina | 68.36.163.248 | ০৯ আগস্ট ২০১০ ০৫:৪৩424670
  • তিল, বিলকুল সহী বোলা---m & m এক প্যাকেটেই থাকার কথা :-))
  • Nina | 68.36.163.248 | ০৯ আগস্ট ২০১০ ০৫:৪৫424671
  • লামা, তুমি "vogus" লিখছ কিন্তু লিখছনা
  • til | 210.193.178.129 | ০৯ আগস্ট ২০১০ ০৬:৩৬424673
  • ও নিনা, প্যাকেট? কামরাকে কি আমেরিকায় প্যাকেট বলে?
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ০৯ আগস্ট ২০১০ ০৮:৪৪424674
  • আচ্ছা ধরা যাক, আমি নেই। ‘নেই’ মানে ‘নেই’ নয়। দিব্যি আছি। ভূত-টুত কিছু হই নি। খালি একটু বদলে গেছি। বলা যেতে পারে ‘নেই মানুষ’ হয়ে গেছি। হেই মানুষের জায়গায় নেই মানুষ। কালো-কোলো আধমনি চেহারার জায়গায় একটা মিষ্টি মত সবজএ ছায়া হয়ে উড়ে বেড়াচ্ছি যে দিকে মন চায়। এই ইচ্ছে হল, রাস্তায় গড়াগড়ি খাওয়া পপি’স চিকেনের ফ্লায়ারটার সাথে এক পাক নেচে নিলাম। পরের মূহুর্তেই চড়ে বসেছি সিলভার ম্যাপেলের মগডালে। শ্রীমান কাকেশ্বরের পাশটিতে বসে গম্ভীর গলায় বলছি – ক্ক:! আর সে ব্যাটা চমকে চিৎপাত। একরাশ হাওয়া দিল। ফুরফুরে চেরি ব্লসমের সাথে জড়িয়ে-মরিয়ে আমি সটান মাটিতে। ঘাসের বুকে শুয়ে মজাসে দেয়ালা করছি। একটা মভ রঙের ফ্রক পরা ঘোঁতন মত মেয়ে উদোল-বুদোল পায়ে আঁকাবাঁকা হাঁটতে হাঁটতে থুপুস করে পড়ল আমার ওপর। আর অমনি আমি ওর প্রজাপতি ক্লিপে আটকে গেলাম। তারপর আর কিছুতেই বেরোতে পারি না। আমাকে তো বসিয়ে দিয়েছে গাড়ীর পিছনে কার সিটে। আমিও চলেছি ওর সাথে সাথে আকাশ দেখতে দেখতে, বাতাস দেখতে দেখতে, সবুজ দেখতে দেখতে – রোদ্দুরের সাথে ছুটতে ছুটতে। একটিবারের জন্য রেস্ট এরিয়ায় দাঁড়িয়েছে গাড়ি। আর আমিও সেই সুযোগে ধাঁ! এক লাফে আকাশে উঠে গিয়ে এক টুকরো ছায়া হয়ে রোদ্দুরের বুকে লেগে রইলাম।

    ওমা! শুনি লোকজনে বলাবলি করছে – কি আপদ! মেঘটাকে এখনই আসতে হল! কার্নিভালটা মাটি না হলে বাঁচি! কার্নিভাল? কোথায় কার্নিভাল? আমি কার্নিভাল দেখব! তরতর করে নেমে আসি আবার। নাগরদোলায় একটি পাক খেয়ে মাটি ছুঁই। দেখি একশো লোকের ভীড় জমেছে। মুখোস এসেছে আফ্রিকা থেকে। ইটালী থেকে ঘন বুনোটের ট্যাপেস্ট্রি। মরক্কোর চামড়ার ব্যাগ। জাপানী জলরং। অ্যাজটেক পুঁতির গয়না। সরগরম ব্যাপার একেবারে! আমি তক্কে তক্কে লেগে রইলাম এক ছবিওলার গায়ে আঠার মত। ভারী ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে সে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা ঘুরে বেড়ায় আর ছবি তোলে। কখনও সে চলে যায় জর্ডনে – শেষ সূর্যের আলো যখন পেট্রাকে গোলাপী আভায় মুড়ে দেয় তার চোখে পলক পড়ে না। চাঁদনী রাতে রাওয়ান্ডার জঙ্গলে বসে সে নীলনদের জন্মকথা শোনে। ইস্টার দ্বীপে পাহাড় সমান মানুষের মুখগুলোর নীচে দাঁড়িয়ে একমুঠি ধুলো ভরে নেয় তার চামড়ার পাউচে। রঙ-বেরঙের পাথর ছড়ানো কাসিদের বেলাভূমিতে আনমনা হাঁটে। ভারী কাজের মানুষ। এবারে যাবে দক্ষিণ আমেরিকায়। আমিও ওর সাথে ভেসে ভেসে চলি লিমা, লিমা থেকে কুজকো, কুজকো থেকে ইনকা ট্রেল ধরে হাঁটতে থাকি মাচুপিচুর দিকে। সারাদিন হাঁটি। সন্ধ্যে হলে তাঁবু খাটিয়ে জিরিয়ে নিই। অল্প অল্প চাঁদের আলো আর কুয়াশা মাখা আন্দিজ একরাশ রূপকথা বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। একদিন আমরা আকাশে পৌঁছৈ। মাচুপিচুর সবুজ শিখর ধূসর নীল মেঘে ডুবে আছে। ঐ ম্লান মেঘ আমায় ডাকে। আমি আমার ছবিওলার ঝোলা থেকে বেরিয়ে সেই বিষাদে মিশে যাই।

    বাংলা দেশে তখনও আলো ফোটে নি। গুমোট রাতের শেষে আমি আকাশ ভরা কেদার হয়ে বাজতে থাকি। পায়ের তলায় পুরোনো শহর। আমার ফেলে আসা সব কিছু। কিছুটা চেনা, কিছুটা অচেনা। আমি অবিশ্রাম বৃষ্টি হয়ে ঝরতে থাকি আমার আধোচেনা অতীতে। মা স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে বেরোতে গিয়ে দেখে থই থই করছে জল। সাবধানে শাড়ী বাঁচিয়ে রেললাইনের ধার দিয়ে হাঁটে মা। আমি মায়ের শাড়ীর আঁচলে লেগে থাকি। মায়ের পিঠে ছিটে ছিটে জলের কণা হয়ে জড়িয়ে থাকি মা-কে। ভিজে মাটির গন্ধ হয়ে মায়ের নাকে ভাসি। জলে ভিজে মায়ের অল্প অল্প সর্দি হয়। আমি এক টুকরো ব্যাথা হয়ে সারাদিন ঝুলতে থাকি আমার মায়ের গলা ধরে।
  • M | 59.93.223.223 | ০৯ আগস্ট ২০১০ ১০:১৭424675
  • এইযো দিদিয়া আর তিল,
    আমার মোট্টে এটা বিরহা নয়, এটা ভাল্লাগেনা, গোলালে খেলবো নাকো।

    আর এই শুচিস্মিতা মেয়েটা মনটা ক্যামন করে দিলে গো, একেই ভাল্লাগেনা নিয়ে পেরে উঠছিনা তাপ্পর আবার মনক্যামনিয়া।

    যাকগে দুরন্ত লিখেছো,আবার ইচ্ছে করলেই লিখে যেও, খুব ভালো লাগে তোমার লেখা পড়তে।

    কিন্তু লামা কি হারিয়ে গেলো?
  • shrabani | 124.30.233.102 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:১৯424676
  • ডি: - লাগাতার বৃষ্টি, বাদলা, সত্যিই আর ভাল্লাগছেনা! শরীর মন দুই বেহাল। তাই ইচ্ছেখুশী কিবোর্ড চালাব ঠিক করেছি:((((

    আসা যাওয়ার মাঝখানে - তিয়া
    -------------------------------------

    ট্র্যাফিকের জন্য বেশ খানিকটা সময় লেগে গেল বাড়ি থেকে এয়ারপোর্টে আসতে। দেরী হয়ে গেসল তাই প্রথম যে লাইনটা সামনে পড়ল সেটাতেই দাঁড়িয়ে পড়লাম । পরে একটু থিতু হয়ে অন্য লাইন গুলোর দিকে দেখি, যদি একটা খালি লাইন পাওয়া যায়, চলে যাব। এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে একটু দুরে একজনের দাঁড়ানোর ভঙ্গী কেমন যেন খুব চেনা লাগল। বার বার চোখ চলে যাচ্ছিল, কিন্তু লোকটির মুখ অন্যদিকে ফেরানো। কার মত সেটাও ছাই মনে পড়ছেনা, কিন্তু জানা কেউ, খুব পরিচিত। দুটো লাইন ই এগোতে থাকে, আমারটা একটু ধীরে, অন্যটা তার থেকে দ্রুত। প্রায় কাউন্টারের সামনে এসে সে মুখ ফেরাল আর এতক্ষণে তার মুখ পরিস্কার দেখতে পেলাম। শুভ!
    স্থানকাল বেখেয়ালে অসভ্যের মত জোরে চেঁচিয়ে উঠি ,
    -"আরে শুভ না? এই শুভ, এই এদিকে"।

    প্রথমে ক্ষণিক বিস্ময়, তার পরমুহুর্তেই চিনতে পেরে আমার দিকে হাত তোলে আমার ইউনিভার্সিটীর বন্ধু, একদা সহপাঠী। আর আমি? চেক ইনের দিকে আর মন নেই, শুধু মনে হচ্ছে কখন এসব ঝামেলা মিটে যাবে, শুভর সঙ্গে কথা হবে। এমন চিরতা গেলা মুখ করে দাঁড়িয়ে রই, পারলে যেন সামনের লোকেদের ধাক্কা মেরে আগে চলে যাব। শুভর মিটে গেল আমার আগে, হাতের লাগেজে ট্যাগ লাগাতে লাগাতে এগিয়ে এল,

    -"কিরে তুই কোত্থেকে? কোথায় চলেছিস?"
    পুরনো দিনের মতই ঝাঁঝিয়ে উঠে বলি,
    -"মানে? আমার শহরের এয়ারপোর্টে আমায় দেখা যাবে, এ বড় আশ্চর্যের ব্যাপার, তাই না? তুই এখানে কেন? দিল্লী এসেও আমার সঙ্গে দেখা না করেই চলে যাচ্ছিলি যে বড়?"
    এই চিল চিৎকারে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে আমাকে শান্ত করতে করতে বলে,
    -"আরে বলব সব কথা,আগে তুই কাজ তো সার। আমি ঐখানে গিয়ে বসছি, তুই আয়, কথা হবে।"
    একটু লজ্জা পাই, এতদিন পরে অপ্রত্যাশিতভাবে শুভকে দেখে আমি একটু বেশীই উত্তেজিত হয়ে পড়েছি। লাইনে সামনে তখনও দুজন যাত্রী, তাদের সঙ্গে অনেক মালপত্র তাই সময় লাগছে। আমার ঝামেলা নেই, সঙ্গে একটা হাল্কা ট্রলি ব্যাগ, কেবিনে নেব।
  • shrabani | 124.30.233.102 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:৫২424677
  • প্রায় দশ বছর পরে দেখা শুভর সাথে। শেষ দেখা হয়েছিল আমি চাকরি পেয়ে বাইরে চলে আসার আগের দিন সন্ধ্যায়। আরো বন্ধুরা ছিল। আমাদের ক্লাসের নিয়মে সবাইকে চাকরির ট্রীট দিতে হয়েছিল। এরপরেও কিছুদিন চিঠিপত্র চলেছিল, জন্মদিন, নতুন বছরে কার্ড। একে একে সবাই এদিক ওদিক চলে যাচ্ছিল, শুভটাই শুধু কিছুদিন কলকাতার মাটি কামড়ে রয়ে গেছিল একটা সাদামাটা চাকরি নিয়ে। শেষ পর্যন্ত আর টিকতে পারলনা। ভাল অফার পেয়ে চলে গেল সূদুর জুনাগড়ে, মায়া কাটিয়ে। আমার বিয়ের কার্ড পাঠিয়েছিলাম, কোনো বন্ধুই আসতে পারেনি, শুভও নয়।
    চেক ইন হয়ে গেল। তাড়াহুড়ো করে বসার জায়গাটায় এলাম, এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি ও কাফেটেরিয়ার সামনের লোহার চেয়ারে বসে, টেবিলে কফির কাপ।
    -"কিরে কফি খাবি?"
    -"না:, এই দুপুরে ইচ্ছে করছেনা। তুই বস, আমি কিছু ঠান্ডা নিয়ে আসি।"
    -"হ্যাঁ, সেই ভাল। মাথাটা ঠান্ডা হবে।"
    খ্যা খ্যা করে হেসে উঠল। আগে হলে এই দু:সাহসে এতক্ষণ কিলিয়ে ঠান্ডা করে দিতাম না! নেহাত এখন আমাদের বয়সটয়স হয়ে গেছে, তায় পাবলিক প্লেস। একটা আগুন দৃষ্টি আর "ছাগল" সম্বোধন, এর বেশী কিছুই করতে পারলাম না। তাতে ফল কিছু হলনা , ওর কেলানে দাঁত আরও কেলিয়ে গেল।

    এয়ারপোর্টের ভেতরে ঠান্ডা হলেও এতটা রাস্তা গরমে এসে অনেকক্ষণ গলাটা শুকিয়ে গেছিল। দাম মিটিয়ে আইসড টীর গ্লাসটা নিয়ে এসে ওর সামনে বসলাম। চায়ে একটা লম্বা চুমুক দিয়ে ওর দিকে তাকালাম। খুব কিছু পরিবর্তন হয়নি, আগের মতই রোগা রোগা, চোখের মোটা চশমাটাও একই ধরণের আছে। শুধু সামনের চুল কমে গিয়ে কপালটা একটু চওড়া হয়েছে। ও পক্ষও আমাকে জরীপ করছিল,
    -"তুই সেই আগের মতই আছিস, হাঁউমাউ চেঁচামেচি, বাচ্চা বাচ্চা ব্যাপার, ম্যাচিওরিটী এলনা। চাকরিবাকরি, ঘর সংসার করিস কি করে বলতো?"
    -"থাক, তোকে অত চিন্তা করতে হবেনা। কি করে করি, সে যাদের সঙ্গে করি তারা বুঝবে। তুই বল, তুই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করিস নি কেন? আমার ঠিকানা ফোন নং না থাক, কোথায় চাকরি করি সেটাতো জানতিস। হেড অফিসে যোগাযোগ করে খোঁজ করতে পারলিনা। অফিসের নম্বর শহরের টেলিফোন ডাইরেক্টরীতেই থাকে।"
    -"একেবারে তোর উপযুক্ত কথা বলেছিস। তবে এভাবে খোঁজখবর করতে সময় লাগে সেটা মানিস তো? আমি পরশু রাতে এসেছি। কাল সারাদিন এ অফিস ও অফিস ঘুরে ঘুরে মিটিং করেছি। গভীর রাতে হোটেলে ফিরে কোনরকমে কঘন্টা ঘুমিয়েছি। সকালে উঠে আবার মিটিং লাগেজ নিয়েই বেরিয়েছিলাম, মিটিং থেকেই এয়ারপোর্টে। কাল সকালেই আবার অফিসে রিপোর্ট করতে হবে । "
    -"যা যা বেশী ভাও খাসনা। আমরাও অফিসের কাজে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করি, কিন্তু এরকম নয়। এরকমটা শুধু হাই লেভেলের বসেরা করে। তুই বলতে চাইছিস তুই এত হাইফাই হয়ে গেছিস আজকাল?"
    -"আরামের সরকারী চাকরি করিস বাওয়া, তুই আমাদের প্রাইভেট সেক্টরের যন্ত্রণা বুঝবি কি করে! যাক, আমরা একটা প্রজেক্ট করছি হরিয়ানায়। এখন বারকয়েক আসতে হবে। চেঁচামেচি করে ভুলে মারার আগে তোর ফোননাম্বার গুলো দেতো।"
    পকেট থেকে মোবাইল ফোনটা বার করে, আমার নাম্বার জেনে একটা মিসড কল দেয়। ওর ফ্লাইট লেট একঘন্টা, আমার টাইমে, ওর আগে যাব আমি। দুজনে সিকিউরিটী চেক করিয়ে ভেতরে গিয়ে বসি। আগড়ুম বাগড়ুম গল্প হতে থাকে দুজনের। ভারী ভাল্লাগছিল, মাঝে মাঝেই কেমন যেন টাইম ট্র্যাভেল করে সেই বয়সে ফিরে যাচ্ছিলাম।

    কি যেন একটা জিজ্ঞেস করার ছিল শুভকে, একটা জরুরী কথা, কিছুতেই মনে পড়ছিলনা। নানা কথার মাঝে একটা চাপা অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়ছিল মনের আনাচেকানাচে। বোর্ডিং এর জন্য ডাকতেই আশেপাশের সব হুড়মুড়িয়ে দৌড়ল দরজার দিকে। আমার তাড়া নেই, এতকাল যাচ্ছি, জানি ফেলে তো যাবেইনা এরা বরং ধরেবেঁধে ডেকে ডেকে নিয়ে যাবে। তবু শেষমেষ উঠে দাঁড়ালাম আর ঠিক সেই মুহুর্তেই মনে পড়ে গেল কথাটা। ভাল করে চিন্তাভাবনা করার আগেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল,
    -"শুভ, তুষার বেঁচে আছে এখনও?"
    শুভও উঠে দাঁড়িয়েছিল আমায় বিদায় দিতে। প্রথমটায় একটু কেমন অবাক চোখে তাকাল, যেন প্রশ্ন টা ঠিকমত হৃদয়ঙ্গম হয়নি। তারপরে যেন বুঝতে পেরে গম্ভীর, এক মুহূর্ত ভেবে নিল উত্তর দিতে।
    -"আছে। সে অনেক কথা, এখন সময় নেই। তুই এখন যা, পরে সময় পেলে বলব।"
    আমি একটু থমকে গেলাম এহেন রিয়্যাকশনে। তবু তুষারের বেঁচে থাকাটাই অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু আর কি কথা থাকতে পারে? যাক সময় নেই, ভাবনাটাকে দুরে সরিয়ে এগিয়ে গেলাম বোর্ডিংয়ের লাইনের দিকে। বাইরে বেরিয়ে বাসে ওঠবার আগে ফিরে একবার কাঁচের দরজার ভেতর দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম শুভ স্মোকিং জোনে, সিগারেট ধরাচ্ছে।

  • d | 115.117.224.201 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:২৪424678
  • শ্রাবণী ফ্রাস্টু খেলে গপ্পো লেখে? :-O
    কি লক্ষ্মী মেয়েরে!!
  • shrabani | 124.124.244.109 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:৩৬424679
  • :)))!!
    আমি যে ভাটে দড় নই, তাই আমার গপ্পই সই।
  • shrabani | 124.124.244.109 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:৫২424680
  • হাত বাড়ালেই সিগারেট আর... ? -- শুভ
    -------------------------------------

    তিয়ার সাথে আজ কতকাল বাদে দেখা। একই রকম রয়ে গেল মেয়েটা, সেই হালকা ফঙফঙে আর হল্লাবাজ। মাঝে মাঝে যে ওর কথা মনে পড়েনি তা নয়। কিন্তু আমি আবার জন্মকুঁড়ে, বন্ধুদের খোঁজখবর করতে যা উদ্যম লাগে তা আমার নেই। অদিতি নিত্যই অনুযোগ করে আমার এই স্বভাবের জন্য। সত্যিই তো, তিয়া এ শহরে আছে সেটা জানা থাকা সত্বেও এখানে এসে ওর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টাই করিনি। ভালই হল ওর সাথে দেখা হয়ে। অনেকদিন বাদে কেমন যেন পুরনো দিনে ফিরে যাওয়া হল তিয়ার হাত ধরে। বেশ ঝরঝরে লাগছে। শুধু-------?
    শুধু শেষকালে তুষারের কথাটা কেন তুলল ও? তবে কি তিয়া?
    বিমানের সন্দেহটা তবে অমূলক ছিল না? সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া এসব ধোঁয়াশা কাটবে না।

    তিয়ার সঙ্গে তুষারের অপারেশনের ফান্ড যোগাড় করা নিয়ে কথা বলার আইডিয়াটা অরিন্দমেরই ছিল। ঠেকে তখন নিত্য আলোচনা, প্রায় এক দুই লাখের ধাক্কা। আমরা সবাই বেকার, বাড়ীও এক দেবু ছাড়া সবারই মধ্যবিত্ত। তুষারের বাড়ীতে ওর বাবা একটা মামুলী চাকরি করেন আর দাদা এখনও পড়ছে। এছাড়া তুষার বলছে ওর বাবার জমানো টাকা পয়সা সবই ওর চিকিৎসায় বেরিয়ে গেছে। অথচ দৃষ্টিশক্তি ছাড়া ছেলেটা যে বাঁচার লড়াই করছে তা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে। সবাই ভেবে কূল পাইনা, তুষারের করুণ মুখের দিকে তাকিয়ে আমাদের ডবল হাফ ঠান্ডা হয়ে যায়, বিড়ির আগুন নিভে যায়।

    তিয়া আমাদের ক্লাসের মেয়ে। আমার সাথে সব মেয়েদেরই ভাল সম্পর্ক ছিল, তিয়ারও। ওরা মাঝে সাঝে আমাকে টিফিনের শেয়ার দিত বা কালে ভদ্রে সিনেমা দেখার সঙ্গী করত। তবে আমাদের মেয়েগুলো কিছু জাঁদরেল ছিল। সাধারণত ক্লাসের ছেলেদের পাত্তাও দিতনা, জন্ম আড়ি যেন!
    তিয়ার মত নরম সরম দেখতে মেয়ে যে কি করে ইউনিয়নের পান্ডা হয় ভেবে পেতামনা। তিয়াকে এই জন্য ছেলেরা একটু এড়িয়েই চলত, ও ইলেকশন জিতত মূলত মেয়েদের ভোটে। অবশ্য আমিও প্রতিবার ওকে ভোট দিয়েছি, ছেলেদের লুকিয়েই। মেয়েটা অত্যন্ত হেল্পফুল ছিল, এ ওর অতি বড় শত্রুতেও বলত। মেয়েরা ঐ কারণেই তিয়া বলতে অজ্ঞান ছিল। তাই অরিন্দম তিয়াকে অ্যাপ্রোচ করার কথা বলতে একটু অবাক হলেও অরিন্দমের বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারিনি।
  • M | 59.93.221.114 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:৪১424681
  • দারুন, যথারীতি.............
  • koli | 27.251.4.98 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:৫১424682
  • তারপর----?
  • til | 220.253.188.98 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:০৭424684
  • শ্রাবণীর লেখাটা বেশ লাগছে কিন্তু।
    আমরা তো হাভাতে টাইমের পাবলিক, আমাদের কোনও গল্প নেই যে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন