এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গল্পের টই

    M
    অন্যান্য | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৯২৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২১:৩৬424751
  • কিকিয়া as usual বেঁধে ফেল্লি----হাত চালাস রে সোনামেয়েটা।
    শরীর ঠিক আছে তো? মার কথা শুনবি, পাগলী --ভাল থাক, ভল লেখ:-))
  • M | 59.93.219.194 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২২:২৫424752
  • টিংলং করে একটা মেসেজ ঢুকলো,রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা এখন,এত রাত্রে কে!দেখি রুদ্রর মেসেজ, লিখেছে :
    তোকে দেখতে চাই।
    বললাম চলে আয়।
    এখন ওর বম্বে থাকার কথা।সঙ্গে সঙ্গে উত্তর এলো:
    এসেছি, দরজা খোল।
    কি কান্ড! তার মানে আমার দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে মেসেজ পাঠাচ্ছে।কিন্তু ওর তো এখন বম্বে থাকার কথা , কবে এলো?

    তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দেখি বাবু লাগেজ সমেত এসেছেন, মানে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এসেছে।

    তুই বলিসনিতো আজ ফিরবি।

    বললে তোকে অবাক করে দিতে পারতাম না।

    বলে একহাতে লাগেজ আর এক হাতে আমাকে তুলে নিয়ে ঢুকে পা দিয়ে ঠেলে দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিলো। রুদ্র এরকম ই।

    তারপরেই বললো, খুব ঘুম পেয়েছে, আমি জানি এরপরেই ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পড়বে। আমার আবার খুব বাতিক, বললাম , খবরদার আগে স্নান করবি তারপর বিছানায় উঠবি।

    বেচারি বাধ্য হয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়লো, আমি রান্নার জন্য এগোলাম, বাথরুম থেকে চেঁচিয়ে বললো, কিছু করিসনা, খেয়ে এসেছি।

    আমি কফির জন্য জল চাপিয়ে কি কি আছে সেসব দেখছিলাম, কাল বন্ধ কাজেই কাল কিছু পাওয়া যাবে না।কিছুটা চিকেন আছে, কিছু সব্জি আছে। কালকের জন্য চলে যাবে।দুকাপ কফি বানিয়ে এনে দেখি তিনি নাক ডাকতে শুরু করেছেন।রুদ্র এখনো ছোট্টই রয়ে গেলো।

    আমি আবার ডায়েরিতে মন দিলাম।
  • M | 59.93.219.194 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২৩:০১424753
  • দিন দিন অনি আমার থেকে দুরে সরে যাচ্ছিলো,আর আমাকে সব কথা বলেনা।এমনকি আমার কথা শুনতেও বিরক্ত হয়। এত ন্যাগিং তুমি বিবি, আমার কান্না পেয়ে যায়।কখন ও যদি খুব চিন্তায় আছে দেখে এগিয়ে যায় তো বলে দেয়, আমায় ডিস্টার্ব করোনা প্লিজ। আমি জানতে চাইলেই বলবে, তুমি বুঝতে পারবেনা।

    অনির বন্ধু বিশ্বাসদা আর তাঁর বউ মহুয়া আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন।কিন্তু আমি দেখতাম, মহুয়ার প্রতি অনি অত্যন্ত স্নেহশীল।যখন আমাকে বোঝার চেষ্টাটাও ও করছে না, তখন মহুয়াকে ও বুঝছে আর আমাকে তুলনা করছে, আমি জানি ওদের সম্পর্কে কোথাও কোনো কালি নেই, কিন্তু তবু আমি সহ্য করতে পারছিলাম না।আর আমি এই নিয়ে যখন ই কিছু বলতে যাচ্ছি আমায় শুনতে হচ্ছে জে আমি অত্যন্ত নীচ মনের।আমার মনে হলো আমি যদি এই ফিলিংসটা অনিকে ফিরিয়ে দিতে পারি।

    আমার একজন পত্রবন্ধু হয়, আমি তখন একটা কিছু আঁকড়ে ধরতে চাইছিলাম।আমার আর তাঁর অনেক কমন ইন্টারেস্ট ছিলো, তিনি কবিতা ভালোবাসতেন, আমিও।কবিতা দিয়ে উত্তর দেওয়া নেওয়া চলছিলো। আমি অনিকে একদিন বলি।ও একটু ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। বললো দেখো, ওনাকে আমি জানি, গুনী মানুষ, কিন্তু ওনার খুব একটা সুনাম নেই।আমার মনে হলো অনি জেলাস হচ্ছে, তাই এমন বলছে। আমি খুব খুশী হয়ে গেলাম, অন্তত: আমার কষ্টের জায়গাটা ওকে ফিরিয়ে দিতে পারছি।

    একদিন রাত্রে, অনি তখন ট্যুরে, আমি ওনাকে ফোন করেছিলাম,উনি কথা বলতে বলতে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি এখন কি পরে আছো? আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না,আমি উত্তর দিয়েই যাচ্ছিলাম, আমায় জিজ্ঞাসা করলেন, ছোট আর ট্রান্সপ্যারেন্ট পোষাক কি?আমি হঠাৎ করে আবিস্কার করলাম আমি নিজেকে ঠিক কোন জায়গায় নামিয়ে ফেলেছি।অনিকে আমি কিছু না বলে থাকতে পারিনা, বললাম, আর ও আমায় মাঝপথেই থামিয়ে দিলো, আমাকে স্যরি বলতে ও দিলো না, শাটাপ বিবি, তুমি তোমার প্রেমের গল্প আমায় শোনাবে আর আমি হাসি হাসি মুখ করে শুনবো। যদি ভেবে থাকো তোমার ভুল হয়েছে। আমি তোমায় সাবধান করেছিলাম। তুমি কিছু কম উস্কাওনি ওনাকে। তুমি সুযোগ দিয়েছো আর কিছু কচি খুকি নও তুমি।

    আমি আর সেদিন কাঁদিনি কিন্তু, কেবল ভেবেছি, আর ভেবে দেখেছি অনি একদম ঠিক।আমি যেটা করেছি সেটা কখনই ঠিক করিনি।কিন্তু এটাও ঠিক সে মুহুর্তে আমি সুস্থ ভাবে ভাববার পরিস্থিতিতে ছিলাম না। অনি এত স্বচ্ছ।এত পরিস্কার আর জোরের সঙ্গে সব কিছু বলতে পারে, আমার অস্বচ্ছতা, হেজিটেশন, ভালো সাজার জন্য সব কিছু বলে ফেলার চেষ্টা, আমি নিজের উপর খুব বিরক্ত হয়ে উঠলাম।

    আমার কেবল ই এই অনুভব হত যে আমি একদম সম্পূর্ন নই। আমার অসম্পূর্নতা আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াতে লাগলো, আমি সবাইকে ঈর্ষা করতে শুরু করলাম। জানো আগে আমি সেই সব মেয়ে মানুষকে খুব করুনার চোখে দেখতাম, যারা খুব সাধারন শাড়ী পরে সকাল বেলায় সংসার সামলিয়ে কাজে বেড়িয়ে পরে, যাদের নোখ গুলো ময়লায় ভর্তি, ঘেমে নেয়ে ভীর বাসে করে কাজে যায়, আবার কোনো দিকে তাকানোর সময় না পেয়ে ফিরে আসে ,কিন্তু তখন মনে হলো তারাও আমাকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে।
  • M | 59.93.219.194 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২৩:০৭424754
  • উফ! বানান ভুল, টাইপো ইত্যাদি তো ছিলোই, এবার ঘুম চোখে দাঁড়ি কমাও ভুল জায়গায় পড়ে যাচ্ছে।
  • M | 59.93.219.194 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২৩:২৫424755
  • আমি প্রানপনে এই সিচুয়েশন থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছিলাম। আমি আমার বান্ধবীদের সাথে,নীলের বন্ধুদের মায়েদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিলাম।প্রতি সপ্তাহেই কারোর না কারোর বাড়ীতে আমরা মিট করছিলাম, বা সিনেমা দেখতে যাওয়া, কেনাকাটা এসব নিয়ে মেতে উঠলাম।শাড়ী, গয়না, সিনেমা,রান্না, বাচ্চাদের পড়শুনা, শ্বশুরবাড়ীর সমালোচনা এইসব নিয়েই মেতে থাকতাম আমরা, প্রথম প্রথম বেশ ইন্টারেস্টিং ছিলো, কিন্তু ক্রমশ: অত্যন্ত একঘেয়ে হয়ে উঠতে লাগলো সবকিছু।

    এই সময় আমার আর একজন মানুষের সাথে আলাপ হয় যাতয়াতের রাস্তায়।আমরা আস্তে আস্তে খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম।আমি ভীষন খুশী থাকতাম সেই সময়টা। আমার সব কথা তাকে বলতাম, সেও তাই করতো। কিন্তু আমি খুব সতর্ক থাকতাম, কোনোভাবে তাকে না ভুল মেসেজ দিয়ে ফেলি, আসলে আমার এত ভালো বন্ধুকে আমি হারাতে চাইছিলাম না।একদিন আমাদের কিছু ফটো তাকে দেখাচ্ছিলাম, আর তার কমেন্ট গুলো থেকে আমি সিঁদুরে মেঘ দেখতে পেলাম। আমি আস্তে আস্তে বন্ধুকে দুরে সরিয়ে দিলাম। আর কোনো ভুল আমি চাই না।

    এদিকে আমার আর অনির সম্পর্কের শীতলতা ক্রমশ বাড়ছিলো, একদিন খুব ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে ও আমাকে বললো, তুমি বুড়ো হয়ে গেছো বিবি।

    আমি আয়নাতে অনেকদিন পর নিজেকে দেখলাম আগের মতো। আমি আমাকে একদম চিনতে পরছিনা, যাকে আয়নাতে দেখা যাচ্ছে সেতা আমি কি ভাবে হয়? হতেই পারে না। আমার গা গুলিয়ে উঠলো।তারপর থেকে আমি অনির ধারে কাছেও আর ঘেঁষতে পারলাম না। আর ও ও এত ক্লান্ত থাকতো আমাকে আর ডাকতো না।

    এরমধ্যে অনেকদিন পর আমার বন্ধুর ফোন এলো। আর আমার মনে হচ্ছিলো ও ঠিক একা আমার সাথে কথা বলছে না, আসলে ওর কথাগুলো এমন ছিলো, আমাকে দিয়ে কিছু ব্লিয়ে নিতে চাইছিলো, আর আমার মনে হচ্ছিলো ও কাউকে শোনাচ্ছে সেইসব। পরে আমি এমন কিছু প্রমান পেলাম যাতে বুঝলাম আমার ভাবনা সঠিক ছিলো। আমি সম্পুর্ন ভেঙ্গে পড়লাম। আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
  • M | 59.93.192.62 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০৮:০৬424756
  • আমি ক্রমশ: নিজেকে গুটিয়ে নিতে লাগলাম, এর মধ্যে মা , বাবা চলে গেলেন।নীলকে হস্টেলে পাঠিয়ে দেওয়া হলো।অনি কাজের জন্য বেশীরভাগ সময়টা বাইরে থাকতে লাগলো। আমার সময়ের আর শেষ হয় না।মাঝে মাঝে মনে হয় আমায় আটকে রাখা হয়েছে, আমি সব ভেঙ্গে ফেলতে শুরু করি।আমাদের কাজের মাসী,বিমলাদি অনেকদিনের লোক। সেই সব পরিস্কার করে দেয়। আমাকে শান্ত করে।

    আমাকে ভাবনা তে নিয়ে যাওয়া হলো। কাউন্সেলিং এর জন্য। অদ্ভুত প্রশ্ন করে ওরা। আমার উত্তর দিতে একদম ভালো লাগে না। আমার সেদিন যে প্রশ্ন করছিলো তার মুখটা খুব মজার দেখতে লাগছিলো, আমি হাসছিলাম,অনেক দিন পর, কিন্তু তারপরেই কি ভয়ঙ্কর দেখাতে লাগলো তাকে, আর তার প্রশ্নগুলো আমাকে কানে তালা লাগিয়ে দিচ্ছিলো, খুব বিরক্তিকর প্রশ্ন করছিলো সে আমার আর অনির সম্পর্ক নিয়ে।আমি হাতের কাছে ফাইল আর যা পাচ্ছিলাম ছুঁড়ে মারছিলাম তাকে।
  • M | 59.93.192.62 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০৮:১১424757
  • বাড়ী ফেরার পর অনি খুব ক্লান্ত ভাবে আমায় বললো, একটু শান্তি কি আমি তোমার কাছ থেকে আশা করতে পারিনা?

    আমি জানিনা আমার কেমন সব গোলমাল হয়ে গেলো, আমি তো শান্তি চেয়েছিলাম, কই কেউ দেয় নি তো।আমি কেন দেবো? আমি ফ্লাওয়ার ভাসটা নিয়ে আয়নাতে ছুঁড়ে মারলাম।অনি চোখ বড় বড় করে আমাকে দেখছিলো, আর তাতে আমার রাগ আরো বেড়ে গেলো, আমি কাঁচ গুলো আরো ছোট টুকরো করতে লাগলাম। আমার হাত পা মুখ কেটে গেলো।

    বিমলাদি কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এলো, ওরে থামাও গো দাদাবাবু বলে,তারপর আমাকে টানতে লাগলো।
  • M | 59.93.192.62 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০৮:২৩424758
  • নীল আসছে। ও আমাকে নিয়ে যাবে।আমার এখন আবার গান শুনতে ভালো লাগে। আমি সেদিন আকাশের নীল রঙ দেখতে পেলাম। গাছ গুলো যেন রঙ ফিরে পেয়েছে।আমার ভালো লাগছে। অনেক দিন পর আজ চোখ বুঁজে গাইছিলাম "আজ যেমন করে গাইছে আকাশ'।তাকিয়ে দেখি আমার বেঞ্চের পাশে ঘাসে ছোট্ট ছোট্ট ফুল হয়েছে।আলতো করে আদর করে দিলাম।

    এখানেই শেষ ডায়েরিটা।মনটা খুব ভারী লাগছে। কেবল কিছু ভুল ভাবনা নিয়ে মানুষটা কত কষ্ট পেয়েছিলো।বা আমি বুঝতে পারছি না হয়তো।

    সকাল হয়ে এলো। জানা খুলে দিলাম। আকাশ পরিস্কার হয়ে গেছে।স্নান করে গাছগুলোকে কি সুন্দর লাগছে। সবুজের ও কত শেড হয়।কাঁধে হাত পরতে চমকে দেখি রুদ্র ঘুম থেকে উঠে এসেছে।

    কিরে ঘুমোসনি? কি ভাবছিলি?

    ভাবছিলাম তোকে আদেও বিয়ে করাটা উচিৎ হবে কিনা!

    কেন? কেন?

    না অমন একটা রাত যে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে---

    ও তোর প্রমান চাই, বলবি তো--

    এই না............ না...........
  • M | 59.93.192.62 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০৮:২৬424759
  • হুম্ম! মনে হচ্ছে আমার অসাধারন সাবজেক্ট আর লেখার গুনে জনগন স্তব্ধবাক হয়ে পালিয়ে গেছে। যাক আর ভয় নাই। শেষ।
  • Shibanshu | 59.97.232.13 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৬:৪৭424761
  • এই ধরনের লেখা এর আগে M র কাছে পাইনি, সত্যি ভালো লাগলো।
  • de | 59.163.30.2 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:৫৪424762
  • বম্ম, খুব সুন্দর!
  • hu | 12.34.246.72 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৯:২৯424763
  • বাহ! ভালো লাগল।
  • titir | 128.210.80.42 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২১:০৩424764
  • M, খুব ভালো লাগলো।
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২১:১৩424765
  • কিকিয়া, তোর কি ধারণা আছে তুই কত ভাল লিখিস?? না ভাল নয়--কত অন্যরকমের ভাল লিখিস--তোর নিজস্ব একটা ইউনিক স্টাইল আছে যেটা সব্বার মন ছুঁয়ে যাবেই---আর তুই যখন লিখবি নিজের মনের মতন করে লিখবি---কেউ কিছু বল্ল কিনা সেটা বড় কথা নয়---তুই যেটা লিখে পুরো তৃপ্তি পাবি সেটাই তোর ভাল লেখা হবে-----অপূর্ব্ব লিখেছিস--আরও লিখিস রে মেয়ে। আমি অবাক হয়ে ভাবছি ঐ অত্তটুকুন মেয়েটা মনে হয় মায়ের শাড়ি পড়ে বড় হয়েছি খেলে--সে কি করে এমন গভীর লেখে---আমি শুধু তাই অবাক হয়ে ভাবছিই!!
  • Prabir Kundu | 14.96.8.113 | ০৮ মে ২০১১ ২১:৪৪424766
  • åX`çYÒ[ýÝÌ[ýEÇõ³QÇö
    ]c÷çãVã[ýÌ[ýYîçä³OôÌ[ýYãEõä»Oô×[ý×QÍö%çä»K÷*×EõܙÇöFçCÌ^çÌ[ý=YçÌ^åX+*A»OôçXçEõTö_çå]ä®ÏôçæºOô`X*×[ý×QÍöWýÌ[ýçã_åEõ×_ãÌ^\ÇöTöEõãÌ[ýåVã[ý*%[ý`î`îç][ýçLçÌ[ýå]çQÍöc÷ã_CåFãTöa]aîçc÷Tö*]c÷çãV[ýAFXaÇî»Oô[ýÇ»OôYäQÍöaçãc÷[ýåaãL%çä»K÷*A]Tö%[ýؚöçÌ^×[ý×QÍöFçCÌ^ç×EõׇûTö%XîçÌ^*`ç_ç»Rôîç]Xçåaçaç+×»Oô , GçQÍöÝÌ[ýEgõç»JôXç×]ãÌ^YçãXÌ[ý×YEõåZõ_ã_åEõ=×Eõ»KÇ÷[ý_ã[ý , ×EõܙÇöaçZõç×Ì[ýYäQÍö×[ý×QÍöåFã_+ æ»JôçF×Y»JôãEõTöçEõçã[ý* , ×[ý×QÍöÌ[ýåX`ç»Oôç×Eõ»KÇ÷ãTö+ ^çä¬K÷Xç*]c÷çãV[ýæºOô`ãXÌ[ýå_FçYQÍöãTö_çG_ , YÇ×_ã`Ì[ý\gÇö×QÍö]çYãTö_çG_*×EõܙÇöåEõçãXç×Eõ»KÇ÷ãTö+ [ýîç»Oôçä¬K÷ã_×[ý×QÍöÌ[ý×»Jôܙöç»Oôç^çä¬K÷Xç*×TöX[ý»K÷ãÌ[ýÌ[ýæYÒ×]Eõç×]PÇöå_׆å]ãÌ[ýä»K÷AEõ»OÇô%çãG÷*åa»OôçãTöC]çUç×Mõ]å]ãÌ[ý%çä»K÷*×TöX[ý»K÷ãÌ[ýXÌ^[ýçÌ[ýc÷ãTöc÷ãTöå[ýgä»Jôä»K÷Ì[ýçlùaÝ»Oôç , A[ýçÌ[ý^çÌ[ýG_çWýãÌ[ýMÇõ__ , TöçÌ[ýEõUç\öç[ýãTö×GãÌ^%ç[ýçÌ[ý×[ý×QÍöÌ[ýEõUç]çUçÌ^×»JôQÍö×[ýQÍöEõãÌ[ý=Pö_*WýÇaË*
    Yçã`AEõ×»Oô]×c÷_çAãa[ýãaä»K÷*]c÷çãV[ýTöçÌ[ý×VãEõ]X×V_*×[ý[ýç×c÷Tö , åVFãTöVã`×TöX , GÌ[ýÝ[ýåTöç[ýä»Oô+ , åXçeÌ[ýçC*æ»Kg÷QÍöç»JôçVÌ[ýGçãÌ^*XãF]Ì^_ç*×EõܙÇö×Eõ»KÇ÷EõÌ[ýçÌ[ýåX+ ×[ý×QÍöÌ[ýåX`ç»Oôç×»K÷[ýäQÍöEõãÌ[ý×Vä¬K÷ , AÌ[ýaçãU+ AEõ»OÇôå_×_ãÌ^YQÍöç^çEõ*C`ç_ça[ýå]ãÌ^Ì[ýç+ AEõ*Xçã]aTöÝ , EõçãLÌ[ýTöÝ*]c÷çãV[ýåaçLçYÒ`ÂEõÌ[ý_ , åEõçUçÌ^^çã[ýX ? åaçLç=wøÌ[ýåXTöçLÝ\ö[ýX*%ç[ýçÌ[ýYÒ` - [ýçQÍöÝ ? =wøÌ[ý - [ýçãYÌ[ý[ýçQÍöÝ*×EõXç] ? - `ÒÝ]ç*[ýÌ[ý×EõEõãÌ[ý ? - åaçXçÌ[ýåVçEõçãXEõçL*TÇö×] ? - [ýç¬JôçåV×F , %çÌ^ç*
    ]c÷çãV[ýaçc÷aåY_*åY»K÷XåUãEõc÷çTöÌ[ýçF_]×c÷_çÌ[ýEgõçãWý*]×c÷_ç×Eõ»KÇ÷[ý__Xç*åEõX[ý_ã[ý*aç]çXî%çÌ^ç*]c÷çãVã[ýÌ[ýc÷çãTöÌ[ýå]ç[ýç+_»OôçÌ[ýVç]YãXÌ[ýc÷çLçÌ[ý*H×QÍö»Oôç%ç»Oô*%çãÌ[ýçXçXçXEõUç»Jô_ãTö_çG_*æ»Kg÷QÍöçc÷ã_C`ÒÝ]çÌ[ý»JôçVãÌ[ýaÇ×[ýWýç%çä»K÷*]c÷çãVã[ýÌ[ýc÷çTöAFXaçeHç×TöEõa[ýLçÌ^GçÌ^åHçÌ[ýçãZõÌ[ýçEõÌ[ýä»K÷*`ÒÝ]ç]çãMõ]çãMõa×Ì[ýãÌ^×Vä¬K÷×EõܙÇö×XãLaÌ[ýä»K÷Xç*æºOô`XA]×X+ ZgõçEõç*å^EõLX%çä»K÷ , HçQÍöHÇ×Ì[ýãÌ^åVFä»K÷*ؑöç]Ý-ؗöÝÌ[ýA]X%UïêX×TöEõYçUïEõîTöçãVÌ[ýåEõìTÇöc÷ã_Ì[ýEõçÌ[ýS*AÌ[ýçVÇLX%[ý`îEõç=ãEõYçwøç×Vä¬K÷Xç*VÇä»Oôçå]ä®Ïôç×]aEõãÌ[ýCCãVÌ[ýåEõçãXç}ÓãlùYåX+*%ãc÷TÇöEõ%çÌ[ýXÌ[ý]`Ì[ýÝ×Ì[ýaç×~ãWýîVÇLãX+ ]çãTöçÌ^çÌ[ýç*×[ý×QÍöÌ[ýEõUç]c÷çãVã[ýÌ[ý%çÌ[ý]ãX+ åX+*
    ×]PÇö%çÌ[ýæYÒ]EõÌ[ýã[ý£ãX+ ]c÷çãVã[ýÌ[ýYÒU]]ãXc÷ãÌ^×»K÷_ , `Àç , ]çãMõ]ãWýî]çFç]ç×F»Oôç[ýµùc÷ãÌ^åG_*×EõܙÇöAFXåa×»Jôܙöç%çÌ[ýåX+*^Tö×VX]×c÷_çLç×Töå[ýgä»Jô%çä»K÷YÌ[ýEõÝÌ^çÌ^åEõ%ç»OôEõçÌ^*`ÒÝ]çÌ[ýaçãUåZõçXX¶‘öÌ[ý%çVçXYÒVçXc÷ãÌ^åGä»K÷*YãÌ[ýÌ[ýaçlùçdCYÀçXQö*åEõçXa]Ì^ , åEõçUçÌ^åVFçEõÌ[ýã_×Eõ×EõaÇ×[ýWýçå\öçGEõÌ[ýç^çã[ýa[ý%eEõ×c÷ãa[ýc÷ãÌ^åGä»K÷*å^Eõ×VXÌ[ýÓ»JôÝ`Ý_åEõ=åLçä»OôTöTö×VXA»OôçãEõ+ ×XeQÍöçãXç^çEõ*`ÒÝ]ç%[ý`îY+ Y+ EõãÌ[ý[ýã_×VãÌ^ä»K÷]c÷çãV[ýå^XåZõçXEõãÌ[ý*`ÒÝ]ç×XãL+ EõÌ[ýã[ý*
    ×]PÇöãEõa³YÉSï\Çöã_åa×VXÌ[ýçãTöؑöäYÂ`ÒÝ]çãEõ+ YÒ»JÇôÌ[ý[ýçÌ[ý=Uç_YçUç_EõÌ[ý_]c÷çãV[ý*aEõç_åUãEõ+ åZõçX»OôçEõç»K÷»K÷çQÍöçEõãÌ[ý×Xåa*%çL`ÒÝ]çåZõçXEõÌ[ýã[ý*EõÌ[ýã[ýåEõçãXçAEõa]Ì^*TöçÌ[ýYÌ[ý%eEõEõãb[ý§×VXYÌ[ýXTÇöXAEõ»OôçåVãc÷×_Šc÷ã[ýåa*×Eõ%àÇöTö , a[ýæ`ÒXÝÌ[ýå]ãÌ^Ì[ýç+ AEõÌ[ýEõ]*ã]EõçYEõÌ[ýçå]ãÌ^c÷ã_a]Ì^_çGTö , [ýçQÍöÝÌ[ý%çÌ^ç[ýã_Ygç»Jô×]×Xä»Oô+ [ýÇãEõc÷çTöÌ[ýçFãTöåYãÌ[ýä»K÷*
    ×[ýãEõ_å[ý_çÌ^åZõçX»OôçA_* , `ÒÝ]çÌ[ýåZõçXXÌ^*×]PÇöÌ[ýåZõçX*×]PÇöåQöãEõä»K÷*§ ,%çL`×X[ýçÌ[ý , YÒ×Tö`×X[ýçÌ[ý+ CÌ[ýç×]PÇöÌ[ýnõçä»OôÌ[ýçTöEõç»OôçÌ^*%[ý`î×]PÇöA+ CÌ^ç×XïeC×VãÌ^ä»K÷å^C×EõܙÇö]c÷çãV[ýãEõ×[ýãÌ^EõÌ[ýãTöYçÌ[ýã[ýXç*×[ýãÌ^C%×Ì[ý³V]ãEõ+ EõÌ[ýã[ý*^Tö×VX%×Ì[ý³V]%çãÌ[ýçAEõ»OÇôæzõçLc÷ä¬K÷ , TöTö×VX]c÷çãV[ý%çaãTöYçãÌ[ý*]c÷çãVã[ýÌ[ýæPögçä»OôÌ[ýåEõçXçÌ^c÷ç×aÌ[ýåÌ[ýFç*`Àçå]ãÌ^ä»K÷ã_*C×X¸JôÌ^^çã[ý , ×XEÇõ×»JôEõãÌ[ýä»K÷\öçã_çc÷CÌ^çÌ[ý*åaLçãXa[ýå]ãÌ^Ì[ýç+ a[ýïXç`Ý*Xç , \Çö_c÷_åEõçUçC , AEõ»OÇô£WýãÌ[ýåXCÌ^ç\öçã_ç - a[ýç+ XÌ^ , åEõ=åEõ=....`ÒÝ]ç%çÌ[ýåZõçXEõãÌ[ý×X*]c÷çãV[ýC%çÌ[ýåZõçXEõãÌ[ý×X*UçEõ , EõçãÌ[ýçEõçãÌ[ýç\öçã_çc÷ãÌ^UçEõçÌ[ýFÇ[ýVÌ[ýEõçÌ[ýAFXC*

    Writer–PrabirKundu
    132 , S.SenNagar , Dumdum , Kolkata , India
    Contact - +918961256275
    Email–[email protected]
    Facebooklink–

  • I | 14.96.63.11 | ০৮ মে ২০১১ ২২:৩৪424767
  • হুম! একটু দুর্বোধ্য গল্প।
  • Bratin | 117.194.99.143 | ০৮ মে ২০১১ ২২:৪৩424768
  • আজকাল পুরোটা বুঝে ফেললে গল্প আর গল্পকার কারোর ই মান থাকে না । বুঝেছেন মহায়!!:-))
  • kumudini | 14.98.14.243 | ০৮ মে ২০১১ ২৩:২০424769
  • জলের মতো সোজা,এতে আর না বোঝার কী আছে?
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৮ মে ২০১১ ২৩:৩১424770
  • কুমু, শুধু একটু জলের ডিস্যালিনেশান লাগবে!
  • siki | 122.162.75.227 | ১৮ মে ২০১১ ২০:০৫424773
  • তুলে দিলাম।
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৮ মে ২০১১ ২১:১৯424774
  • এই না হলে শমীক--বেঁচে থাক রাজা হও।
  • siki | 122.162.75.227 | ১৮ মে ২০১১ ২২:০৭424775
  • আমি দুখের অনুসারী। মন্ত্রী হলেই খুশি। বেশি কিছু চাই না, দিল্লিতে গোটা চারেক প্রাপার্টি।
  • M | 59.93.209.103 | ২৩ মে ২০১১ ২৩:৪০424776
  • টিনা,
    এত রাত্রে নিশ্চয় তুই ঘুমিয়ে পড়েছিস।আমি এদিকে খাতা পেন নিয়ে বসে পড়েছি,একের পর এক পাতা ছিঁড়ছি, আর পেন চিবুচ্ছি।আসলে জানিস একেকটা দিন এমন আসে যে গতে চলা সময়টাকে ধরে ঝাঁকিয়ে দেয়।আজ এমন একটা দিন।আসলে একটা ফোন সব কেমন গোলমাল করে দিলো।

    তোর বিনুকে মনে আছে? কলেজে ওকে নিয়ে বিস্তর মজা হতো! আজ ওর ফোন এলো। না না চমকানোর কিছুই নেই,এই সেদিন দেখা হলো ওর সাথে স্টেশনের সামনে। প্রায়ই দেখা হয়,কিন্তু সেদিন কথা বললো,আমিও বললাম। আসলে এত দিন কেটে গেছে যে এখন পুরানো বন্ধুদের দেখলে বেশ অন্যরকম লাগে। কিন্তু সে অর্থে কি ও আমার আদেও বন্ধু ছিলো? না বোধহয়। মনে আছে,ওকে নিয়ে একবার তোর সাথে আমার প্রায় কথা বন্ধ হবার যোগার হয়েছিলো।

    আসলে,ফার্স্ট ইয়ারে ক্লাস শুরু হবার কিছুদিন পর থেকেই ও আমার সঙ্গে অদ্ভুত কিছু ব্যবহার করতো,সবসময় কাছে ঘেঁষে থাকার চেষ্টা করতো, যেচে কথা বলতে চাইতো,আর আমি খুব বিরক্ত হতাম।তোরা তাই নিয়ে খুব মজা করতিস। একদিন তো এত ঘেঁষে রাস্তা চলছিলো আর আমি কেবল সরে চলছিলাম যে প্রায় নর্দমায় পরার অবস্থা,ঘুরে দাঁড়িয়ে খুব রেগে বললাম,এভাবে আমায় বিরক্ত করার মানে কি? তোরা তাই নিয়ে খুব মজা করতিস।

    একদিন ফিজিক্স ল্যাবে তখন কেউ ছিলো না, এমনকি জগন্নাথদাও নয়, তোরা আমায় বললি ল্যাবে তোকে স্যর ডাকছে, আমি গিয়ে দেখি বিনু রয়েছে, তখন ই বুঝলাম তোদের বদমায়েসি। আমায় ও বলতে লাগলো, দেখ আমি ম্যাথ অনার্স নিয়ে পড়ছি, মানে আমি যেহেতু পাশে,ও বোঝাতে চাইছিলো ও আমার দেখে দড়, আর আমি বেজায় মজা পাচ্ছিলাম।তারপর বললো,আমাদের স্টেশনের কাছেই বাড়ী, আমার বাবা............ মানে ও বোঝাতে চাইছিলো যে ওর ভবিষ্যৎ কতটা সিকিওর্ড,আমি হাসি চেপে শুনছিলাম, আর তারপর বললাম তো? বেচারী তোতলাতে লাগলো, তারপর বললো,আই লাভ ইউ।আর আমি হাসতে হাসতে বসে পরলাম।

    মনে আছে তুই সেদিন কি দু:খ পেয়েছিলিস, আসলে তুই তো চিরকেলে ইমোশোনাল।বলেছিলি, ও যদি খুব হ্যান্ডু হতো তুই পারতিস এভাবে হ্যাটা দিতে?তারপর সিঁড়ির কাছে একটা টেবিলে আমরা সবাই একে অন্যের থেকে মুখ ফিরিয়ে বসেছিলাম। আমি খুব রাগ করেছিলাম তোর কথায়। কেন তুই এভাবে বলবি আমাকে?শুধু হ্যান্ডু হলেই কি আমি গলে যাই নাকি?আমার যে ভিখিরিপনা সহ্য হয় না। বরং ডাকাতি আমি খুব পছন্দ করি।হা হা হা!!! কি ছেলেমানুষ ছিলাম নারে?
  • M | 59.93.209.103 | ২৪ মে ২০১১ ০০:০১424777
  • তো সেদিন যখন দেখা হলো, আমার মোবাইল নাম্বার নিলো।অন্য কারোর সাথে কথা বলছিলো, তার ফাঁকেই.....আমারো বিস্তর কাজ ছিলো।আমায় বললো কাজ সেরে আমায় একটা মিস কল দিস। আমি সেটাও ভুলে গেছিলাম। যখন আমায় কল করলো,তখন আমার কাজ ও শেষ, বললো স্টেশন মোড়ে আয়। গেলাম,কি বলবে বুঝতে পারছিলাম না। গিয়ে বললাম,তাড়াতাড়ি বল,আমার তাড়া আছে।বিনু বললো আমার অফিস কাছেই, চল না। বুঝলাম ও ওর অফিস দেখাতে চায়, সরাসরি জিজ্ঞেস করলাম, তোর অফিস দেখাবি? বললো হ্যাঁ। ঘড়ি দেখলাম, এখন ও আধাঘন্টা আমার হাতে আছে , বললাম চল।

    অফিসে বসালো, নিজের ব্যবসার সাফল্যের কথা বলছিলো। ওর বিরাট বাড়ীর নিচেই অফিস।আসলে আমার মনে হলো ও আমাকে দেখাতে চাইছে , দেখ আমি কিন্তু নিজেকে তৈরী করেছি। আমায় বললো তুই কি করছিস? ভারী থমকে গেলাম। সত্যিতো, আমি কি করলাম? বললাম সংসার করছি। বললো সেকিরে, আর কিছু নয়? নাতো, আমি তো পড়াশুনায় করলাম না রে। বলে হেসে দিলাম। খুঁটিয়ে জানতে চাইলো আমার ডিটেইলস। আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, যে আমি বরের গরবে গর্বিত হওয়াকে খুব অবজ্ঞার চোখে দেখতাম,সেই আমি নাকি আমার বরের কাজ কর্ম নিয়ে বিরাট ফাটিয়ে এলাম। ও কেবল চুপটি করে শুনলো। তারপর বললো তুই খুব রোগা হয়ে গেছিস। আমি হাসতে হাসতে বললাম, সেকিরে বয়স হচ্ছে না? আমায় খুব বললো, বাড়ী চল আমার বউ এর সাথে আলাপ করিয়ে দেব।আমি কাটিয়ে দিলাম। আমার ওকে খুব সুখী লাগছিলো। খামোকা কোনো অপ্রিয় কিছু না ঘটুক আমি চাইলাম।আর আমার খুব ভালো ও লাগছিলো সব কিছু।সবাই নিজের মতো খুশী থাকুক সেটাই চাই যে।বাড়ী চলে এলাম পরে আসবো বলে।
  • M | 59.93.209.103 | ২৪ মে ২০১১ ০০:২৬424778
  • তারপর আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন,তাকে বললাম,আর সে ফ্যাকফ্যাক করে হেসে বললো , হলো,তোর পুরানো প্রেম আবার হানা দিলো, খুব রেগে বললাম তার মানে? মোটেই আমার প্রেম নয়।হাসতে হাসতে বললো, ঠিক আছে, কিন্তু ফোন নম্বর দিলি কেন? জ্বালাবে তো। আমি বললাম। এভাবে ভাবছিস কেন? আমার কিন্তু একটু ও তা মনে হয় না।আসলে ওকে প্রচুর হ্যাটা দিয়েছি, তাই আমাকে ওর দেখানোর ছিলো, কিন্তু খারাপ কোন কাজ বিনু করবে না দেখিস।

    তারপর আজ হঠাৎ বিনুর ফোন এলো।প্রায় সপ্তা দেড়েক বাদে। ফোন করেই জিজ্ঞেস করলো,
    তুই কোথায় রে?
    বাড়ীতে?

    আমি এত অবাক , বললাম হ্যাঁ,

    তোর ছেলে?

    আমার পাশেই ,কেন?

    তোকে একটা খবর দেবার ছিলো।আমার বৌ গত বৃহস্পতি বার এক্সপায়ার করেছে।

    আমি হতবাক! বুঝতেই পারছিনা কি বলছে আদেও, এই তো সেদিন কত সুখী দেখে এলাম।বললো এদিকে এলে কখনো আসিস । বলেই ফোন ছেড়ে দিলো।আমার তখন ও ঘোর কাটেনি।মজা করছে নিশ্চয়।কিন্তু মানুষ এত নিষ্ঠুর মজা করতে পারে?

    আরেক বন্ধুকে ফোন করি। হা কপাল! সেখানেও মৃত্যুর খবর, তার মা মারা গেছেন। তাও আমি জেনেনি খবরটা আদেও সত্যি কিনা। আসলে কিছুতেই মানতে পারছিনা। আর কেন জানিনা মনে হচ্ছে, আমি কি এই বিপর্য্যয় ডেকে আনলাম। না, তাতো নয়।মেয়েটির হঠাৎ করেই সব অর্গ্যান একসাথে কাজ বন্ধ করে দেয় নাকি। আমার তবু কেন যে নিজেকে অপরাধি লাগছে কে জানে!সব শুনে আমার ঘরের মানুষটি বললো, একদম মন থেকে এসব ঝেড়ে ফেলো। তুমি আসছো কোথা থেকে? আর যোগাযোগ রেখোনা ওর সাথে।

    হা ভগবান! আমি যোগাযোগ কোথায় রাখলাম, আর কি বলছো? না আমি, তোমাকে কিছুই বলছি না। কিন্তু দেখো তার এই অসময়, আর কোনো অস্বস্তিতে তোমাকে কোনো ভাবে পরতে না হয়। হাজার হোক এখন বিনুর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। লজ্জায় মরে যাই। আমি বন্ধুর এই দুর্দিনে তার পাশেও একটু দাঁড়াতে পারবো নারে। আদেশ এসে গেছে।তুই বলবি, বললেই সব শুনতে হবে কেন? তুই কি ভয় পাচ্ছিস তোর ঘর ভেঙ্গে যাবার? নিজের ক্ষতি হবার। কেমন করে যে বোঝাই তোকে, নিজের ক্ষতির পরোয়া আমি করিনা।কিন্তু অনেকের মুখ চেয়ে অনেক কিছুই সয়ে নিতে হয়।

    ভাবছিস নিশ্চয় হলো কি আমার? কোনো কারন নেই যা নিয়ে ভাবার তাই নিয়ে ভেবে মরছি কেন? আমিও তাই ভাবছি জানিস!

    যাকগে, টা টা।

  • sayan | 115.241.9.198 | ২৪ মে ২০১১ ০০:৩০424779
  • যুগ যুগ ধরে মেয়েরা ছেলেদের এভাবেই ভোগে পাঠিয়ে এসেছে আজও পাঠাচ্ছে নতুন কিছু নয়।
  • M | 59.93.194.162 | ২৭ মে ২০১১ ২২:৪৮424780
  • ব্রতীনদের অদ্ভুত সবুজ বাড়ীর কিম্ভুত ভাটলিশ:

    (ডি: এটা গল্প, আর কে না জানে গল্পের গরু গাছে চড়ে, এই নিয়ে কেউ নেত্য জুড়বেন্না যেন)

    ওয়ান্স আপন এ টাইম, ধ্যেৎ বাবা,একদা একসময় ছিলো, যখন পরিবত্তন এলো হৈ হৈ রৈ রৈ করে,এক ক্ষ্যাপাটে বাউন্ডুলে মেয়েমানুষ(তখন একটা ট্র্যানজিশন সময় যাচ্ছিলো কিনা, মানুষজন বেজায় কনফু থাকতে ভালোবাসতো আর লোককে ও অমন কনফু করে রাখতে চাইতো, মানে সেটাই ট্রাডিশন ছিলো, সোজা জিনিস কে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে তথ্যবহুল করে রাখতে ভালোবাসতো আর সে নিয়ে বিরাট বিরাট তত্ব সৃষ্টি করতো, যার মুল উদ্দেশ্য ছিলো কোনো সমস্যার কিছুতেই সমাধান হবে না।সে যাকগে , )এক সুদর্শন সভ্য রাজাকে রাজ্যপাট থেকে দুড়ুম করে সরিয়ে দিয়ে ( সে রাজা বেচারি ও ক্ষ্যাপাটেই ছিলো,তাই তার রাজকর্মচারীরা তাকে ডুবিয়ে ছাড়লো)বললো কিনা সরোতো বাপু, আমায় একটু এসব সামলাতে দাও।

    তা এ হেন পরিবত্তনে অনেক কিছুই ঘটছিলো, আসলে যেখানকার কথা হচ্ছে কিনা, সেখানকার লোকজনের একটু জাড্যময় হয়ে থাকার অভ্যেস।নতুন অবস্থা মানাতে বড্ড সময় ও নেয় আর মানিয়ে নিলেও সেটা কাটাতে কালঘাম ছুটিয়ে ফেলে।(যেমন কিনা, হঠাৎ তাদের মাথায় ঢুকলো সবাই সমান হবে, এদিকে ক্ষী ক্ষেলো, যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষ জন তো স্তরে স্তরে ভাগ রয়েছে, অর্থাৎ কিনা সেখেনে উঁচু নিচু আছে, থাকবেই,কারন সবাই সমান ভাবে দক্ষ হতে পারে না। ক্ষেলো হচ্ছে, তারা সব কিছু নিয়ম আর আবেগ অ্যাসান গুলিয়ে ফেলেছে যে উপরের চেয়ারের মানুষ যখন নীচের চেয়ারের মানুষকে কিছু অর্ডার করছে তখন নীচের চেয়ারের মানুষ এই ভাবছে যে কিনা, আরে আমি কেন শুনতে যাবো ওর কথা? আর সে নিয়ে সবাই হায় হায় করতে লেগেছে যে দেখেচো, এ উপরের তলার লোক বলে মানুষকে মানুষ জ্ঞান করছে না। সে এক বড় সংকট ময় সময়। তারই ফাঁকে আরেক বিপ্লব হয়ে গেলো। আজ তারই গল্প শোনাবো তোমাদের।
  • M | 59.93.194.162 | ২৭ মে ২০১১ ২৩:১২424781
  • তো সেই সময় ব্রতীন সেই রানীর প্রিয় রঙে নিজের বাড়ী পুরো সবুজ করে ফেললে। আর তখন দু পাড়ার বেজায় ঝামেলা ছিলো(অনেকটা ঈষ্ট বেঙ্গল- মোহনবাগান বা ঘটি-বাঙাল,সিপিয়েম টিনমুল টাইপ,এগুলো তো ইতিহাস বিখ্যাত ঝামেলা, তোমরা সবাই জানো নিশ্চয়। এরা পাশাপাশি থাকবেও আবার এ ওকে চিমটি কাটতেও ছাড়বে না। )তো সেই বড় পরিবত্তন ঝড়ের দাপটে কিনা সব মিলে মিশে ভাটলিশ হোক ঠিক করে ফেললো।আসলে অনেকেই আছে যারা দুই পাড়াকেই ভালোবাসে। কিন্তু সবসময় ই জানোতো লোকজন দুভাগে ভাগ হয়ে যায়, গোঁড়া আর প্রগতিশীল না কি বলে যেন। আ: মেলা গোল কোরো না। বুঝতে তো পারছো কি বলতে চাইছি,জ্বালিয়ো না বাপু ।

    তো গোঁড়া লোকজন বললো, এ হতে পারে না। কিছুতেই না। একদল বলছে কিনা , আমরা অভিজাত মানুষ, আরেকদল বলছে, হুঁ, আমাদের মতো ওরা ভাবতে জানে এত বিচিত্র ভাবে, সেই তো একই জায়গায় গোল গোল পাক খায়।মাঝের দল বলছে, আরে ছাড়োনা বাপু।

    শেষ অবধি দেখা গেলো যারা বেশি গোল করছিলো তারাই সবার আগে সাজুগুজু করছে যাবার জন্নি। আর ব্রতীনদের বাড়ীতে তখন আরেক দৃশ্য।

    একটা মিষ্টি মতন মেয়ে মুখচোখ লাল করে,নীল শাড়ী পরে, মুক্তোর গয়না ঝুলিয়ে চাদ্দিকে তদারক করে বেরাচ্ছে।এদিকে লনে সদ্য পোঁতা ঘাসফুলের বীজ থেকে কচি কচি চারা বেরিয়েছে।কাজেই লনটা ব্যবহার যোগ্য নেই, পাশের মাঠটাকেই বিকল্প রেখেছে। আবার ডিডিদাদা ফোনিয়ে বলে দিয়েছে, দ্যাখো মেয়ে ঘরে কোনো ফারনিচার রেখোনা খালি ফরাস বিছিয়ে দাও। আর শিবাংশুদা সেই শুনে বলে দিয়েছে, আমার বাপু অল্প আড্ডা পোষায় না।কিছু পাশবালিশ রেখো, শেষ পর্য্যন্ত গড়িয়ে ভাটলিশ হবে।সে সব দেখতে হচ্ছে।
  • Update | 72.83.97.171 | ২৮ মে ২০১১ ১০:২৭424782
  • Name:ranjanroyMail:Country:

    IPAddress:122.168.229.145Date:28May2011 -- 07:03AM

    M ,
    সক্কালে গল্পটি পড়ে খানিকক্ষণ বুঁদ হয়ে রইলাম। তারপর স্ত্রীকে পড়ে শোনালাম।অউনি খানিকক্ষণ কথা বলতে চাইছিলেন না, বল্লেন রেশ কেটে যাবে। আমরা স্থায়ীভাবে কোলকাতায় গেলে পরে উনি তোমার সঙ্গে দেখা করতে চান।
    আমাকে ভুল বুঝোনা। পেট্রনাইজিং করছি না। আমার দেখা ছোট্ট মিষ্টি মেয়েটার মন এত অনুভূতিপ্রবণ এবং জটিল!
    বেশ ঝটকা লেগেছে।

  • Netai | 182.64.70.25 | ২৮ মে ২০১১ ১৫:৫৬424784
  • উরিত্তারা। ব্রতীনদার অদ্ভুত সবুজ বাড়ী নেবেও গেলো এর মধ্যে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন