এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ-একটি নির্মোহ ব

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০১২ | ৭৬৩৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 72.83.83.28 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২০:৪৫516192
  • বিপদার ঐ কোটটা অর্ধেক, দুখেদা এইটা দেখানোর পর থেকে ( পুরো কোটটা পড়লে বিবেকানন্দকে কেমন মনে হয় সে প্রশ্নে যাচ্ছিনা, কিন্তু বিপদা যেটা বলতে চেয়েছিলেন, সেটা মনে হয় না), অন্যান্য কোটেশন গুলো নিয়ে একটু চিন্তায় আছি। সেজন্যই কাল থেকে নাম বাবু/বিবি বা আর যাঁরা এনিয়ে পড়াশুনা করেছেন তাঁদের ওগুলো ভেরিফাই করে দেখতে বলছিলুম ( সেই পোস্ট অবশ্য কাল উড়ে গেছে :(), এগুলো পুরো কোটেশন কিনা, কোন কনটেসে্‌ক্‌ট বলা ইত্যাদি।
    অভিজিতদা তো পাতা সহ রেফারেন্স দিয়ে দিয়েছেন, তাই খুঁজতেও অসুবিধা হবার কথা নয়। বা, আপনার যাঁরা এ নিয়ে পড়াশুনা করেছেন, তাঁরা এমনিই জানবেন।
    তবে এগুলৈ যদি বলা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এ নিয়ে আপনাদের মতামতও জানতে চাইবো।

    সেক্ষেত্রেও, মানে এগুলো সত্যি হলেও যেটা
  • maximin | 59.93.161.250 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২২:০৫516203
  • প্রথমত বেদান্ত আর বিবেকানন্দ এক নন। বেদান্ত উচ্চ আসনে বসে শাস্ত্রের বানী বিতরণ করে।
  • maximin | 59.93.161.250 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২২:২৫516214
  • "Ifinthishellofaworldonecanbringalittlejoyandpeaceevenforadayintotheheartofasingleperson, thatmuchaloneistrue;thisIhavelearntaftersufferingallmylife;allelseismeremoonshine."

    ইংল্যান্ডের ঠাণ্ডায় একটা কোট কিনেছিলেন কিম্বা একটি দামী পাইপ, তো কী হয়েছে? তাই বলে তিনি ভন্ড? তাহলে পৃথিবীসুদ্ধু সকলেই ভন্ড।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৩২516225
  • সে তো ঠিকই কথা। ভন্ড নয় এমন মানুষ পৃথিবীতে একটিও নেই। যবে থেকে মানুষ বুদ্ধি খরচ করে ভাবতে শিখেছে, তবে থেকেই ভন্ডামি মানুষের অবিচ্ছেদ্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে। ও আর পাল্টাবার উপায় নেই। একমাত্র পশুপাখি পোকামাকড়রাই ভন্ড নয়, কেননা তারা চোখ কান বুজে নিজেদের বেসিক ইনস্টিংট ফলো করে যায়।

    আর ইয়ে, মাংস খাওয়া, পাইপ টানা কেন শুধু, বিবেকানন্দ যদি কোনো মেয়ে বা কোনো ছেলের সঙ্গে যৌনতাও করে থাকেন, তবু তাঁকে ভন্ড বলা যাবে না। কারণ, প্রথমত, মানুষমাত্রেই ভন্ড। দ্বিতীয়ত, সন্ন্যাস নেওয়া মানে যৌনতা করা যাবে না এমন কথা কোথাও বলা নেই। সংসার না পাতলেই হল তো।
  • maximin | 59.93.161.250 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১৬516236
  • রিমি বেসিক ইনস্টিংট কথাটা বলে ভালো করলে। যতই তার বুদ্ধি থাকুক, মানুষেরও বেসিক ইনস্টিংট একটা জায়গায় এক নয় কি? একজন হয়তো মন খারাপ করে বসে আছে, তুমি চা করে দিলে, চা খেয়ে হঠাত করেই তার মনের মেঘ কেটে গেল সে খুব খুশি হয়ে গেল। এরম হলে গর্ব হয়না, সৌভাগ্য বলেই মনে হয়। তার কারণ এগুলো আমাদের বেসিক ইনস্টিংট। বিবেকানন্দ মানুষের এই বেসিক ইনস্টিংটকেই কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। তোমরা বিজ্ঞানী, এনার্জির মূল্য জানো। মানুষের ভালো ইনস্টিংট ও এক বিশাল সোর্স অফ এনার্জি।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:২৩516247
  • আরে ম্যাক্সিদি, সেইটাই তো বললাম :-)

    তবে ইয়ে, আপনি কি বলতে চাইছেন যৌনতা "বাজে" বেসিক ইনস্টিংট? সেই জন্যে বিবেকানন্দ সেইটা কাজে লাগাতে বারণ করেছিলেন?
  • pi | 128.231.22.133 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৩০516258
  • একি রে ভাই !! মামুর কলে কোন ভূত ঢুকিয়েছে !
    আমার বাকি পোস্ট কই গেল ? রিমিদিকে অত কিছু লিখলুম যে :((
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৩২516269
  • আমার 10.32 এর পোস্টের পরে তো??
    জ্জয় ম্মা ভবানী!! কি টেলিপ্যাথি আমার! 10.33 এই ভাবলাম, এই পোস্টের পরে নিগ্‌ঘাত পাই কিছু লিখবে :-)))))
  • maximin | 59.93.161.250 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৩৬516280
  • এক বিদেশিনী শিল্পী লিখেছে, সে নানা বিপর্যয়ে অবসন্ন হয়ে পড়েছিল, কে যেন তাকে বিবেকানন্দর সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে গেছিল। সে কিছু বলার আগেই বিবেকানন্দ তাকে বলেছিলেন, মন খারাপ করে থেকোনা.Youmustbecheerful. "Yoursouldemandsit.Yourartdemandsit."

    যৌনতা বাদ দাও, এই উপদেশ তাকে দেন নি কিন্তু।
  • pi | 128.231.22.133 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৩৭514914
  • টেলিপ্যাথি ফেইল কচ্চে তোমার :(

    দৃষ্টিশক্তিও x-(

    আমার ৮:৩৭ এর পোস্টের আধখানা তোমার ১০:৩৩ এর উত্তর হয় ক্যামনে !:)

    গতকল্যের পোস্টের পরে।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৩৯514925
  • ম্যাক্সিদি, মেয়েদের কেন যৌনতা বাদ দিতে বলেন নি? ঐটা শুধু ছেলেদের জন্যেই কেন তবে?
  • maximin | 59.93.161.250 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৪১514936
  • রিমিকে বললাম।
  • maximin | 59.93.161.250 | ১৮ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৩514947
  • সে তো সবাই বলে রিমি। ছেলেরা লুজার মেয়েরা গেইনার।

    ডি: মজা করলাম।
  • Sushanta | 117.198.54.86 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০০:১৭514958
  • বিপ্লব বাবুর লেখা ভালো লাগল। শুধু পরে এক যায়গাতে মন্তব্য করেছেন দেখলাম,"কী এ শতাব্দির সেরা যারা দার্শনিক- স্যার পপার, কুন, রে ভাস্কর, দেরিদা, ফুকো- এদের লেখার মধ্যে বিবেকানন্দ কখনো আসে নি। রে ভাস্করের লেখায় সামান্য এসেছেন। বিবেকানন্দ অত শক্তিশালী চিন্তাবিদ হলে, এদের লেখাতে উনার চিন্তাও আসত। প" বিবেকানন্দ নিয়ে রমা রয়ঁলা কিন্তু বেশ উৎসাহী ছিলেন। শুনেছি, শুনেছি মানে পড়েছি। পরে তিনি ভারতের প্রায় সমস্ত 'মুক্তিদাতা'দের থেকে হতাশ তথা মুক্ত হয়ে কমিউনিষ্ট দল নাম লেখান। 'অনীক' বোধহয় বহু আগে একটা সংকলন করেছিল তাঁকে নিয়ে। ১২৫ বছরে।অসেটি আর আমাই গোলাম মোর্তজার বইটি পড়েছি। মোর্তজার বইটিও দুর্বল বলেই মনে হয়েছে। সে যাক, যেমন কেউ কেউ বলছেন, কোনো ব্যক্তিকে বুঝতে গেলে তাঁর সমস্ত লেখা পড়তে হবে--এমন মত আমার কাছে প্রচণ্ড যুক্তিহীন বলে মনে হয় । তবেতো পৃথিবীর সিংহভাগ ব্যক্তি এবং বিষয়কে বোঝা হবেই না কোনো দিন, কেননা আমাদের এক জীবনে এতো সময় নেই। আমরা যে বিবেকানন্দ ছাড়া আর কোনো অবাঙালি বা অহিন্দু ব্যক্তিদের তেমন স্মরণীয় পুরুষ করে নিলাম না, সে কি এর জন্যে যে তাদের সমস্ত লেখাপড়ে আমরা জেনে গেছি যে তাঁরা সেভাবে গ্রহণযোগ্য নন মোটেও। বিবেকানন্দের সময়ে তাঁর এক প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পণ্ডিতা রমাবাঈ, আমরা কি সেই পন্ডিতাকে জেনেবুঝে নাকচ করে ফেলেছি? আজকের নারিবাদীরাও দেখি ভদ্রমহিলার নাম তেমন নেন না। তার মানে কাউকে গ্রহণ বা বর্জন করতে গেলে তাঁর রচনাবলী বা কর্মকাণ্ডের মধ্যি দিয়ে গেলে ভালো, কিন্তু অধিকাংশ (পরিমাণে তা ৯৯.৯৯%) ক্ষেত্রেই সেরকম পঠন বা অভিজ্ঞতার বাইরের কিছু আমাদের গ্রহণ বর্জনের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষ করে সাহিবী ছাপ্পা নাপড়লে কোনো ভারতীয়কেই আমরা পড়ি না, বিবেকানন্দকেও পড়তাম না। আপনি ফুকো দেরিদা পড়েছেন, প্রতাপের বিষয়টি বোঝেন। আমি বাকিদের জন্যে কথাটা বললাম। এই প্রতাপটি কিসের, কাদের নির্মাণ এই সব বুঝলেও ব্যপারগুলো আরো স্পষ্ট হয়। রামকৃষ্ণ মিশন টিশন দারুণ ব্যাপার সন্দেহ নেই, কিন্তু আমাদের কাছে কি মাদ্রাসার কথা বাদ দিলেও খৃষ্টান মিশনের নজির নেই? 'হিন্দু' নাম নিয়ে বিবেকানন্দের যে ধর্ম সংস্কার প্রস সেগুলোর জন্যে কি ব্রাহ্মসমাজের ত্রিধা বিভক্তির পর ক্ষেত্র তৈরি হয়েই ছিল না? আর তাঁর সেই জাতীয়তাবাদ!!!! 'হিন্দু' ধর্ম আর 'ভারতবর্ষ' -এই দুটো ধারণাকে সমগোত্রীয় করে ফেলবার আদি পুরুষই কি বিবেকানন্দ নন? আপনি সুভাষ বোস নিয়ে যে সাহসী উক্তি করলেন, তার জন্যে সাধুবাদ পেতেই হয়, সুভাষ বসুর বর্মী কমরেডরা কিন্তু সেদেশের ক্ষমতা পেয়েছিলেন, কী করলেন আমরা দেখছি। আর তাঁর অধিকাংশ শিষ্যরা যখন শৌলমারীর এক পলাতক সাধুর মধ্যে সেই বীর পুরুষটির সন্ধান করে বেড়ান, তখন তাদের রাজনৈতিক শিশুসুলভতা নিয়ে হাসতেও আমাদের ভয় করে। বিবেকানন্দের 'জাতীয়তাবাদে'র জন্যেও কি তখন বাংলা বা ভারতের ক্ষেত্র তৈরি নয়? জাতীয় কংগ্রেস অস্তিত্বে এসে যায় নি? বিবেকানন্দ সেই শিশু কংগ্রেসের তাত্বিক ভাষ্যকার ছাড়া আর কিছু ছিলেন কি? যদি ছিলেনই, তবে তার রামকৃষ্ণ মিশন কেন আজ আর কোনো মুক্তির বার্তা বয়ে আনেনা, বরং শূদ্রদের সেবার জন্যে নিবেদিত উচ্চবর্ণের এক বনেদী দাতব্য সংগঠন হয়েই থেকে যায়? খৃষ্টান মিশনারিদের মতো? আমি প্রশ্নগুলো রেখে দিলাম, কেননা মনে করি আমার সে যোগ্যতা রয়েছে। তাঁকে না পড়েও। কোত্থেকে এলো সেই যোগ্যতা? প্রতাপ যাকে 'চিহ্ন' হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়তে রেখেছে তার কথা ও কাজের বিচ্ছুরণ নিত্যদিন আমাদের চারদিকে ঘটতেই থাকে। আর আমরা সব্বাই সেগুলো পড়তেই থাকি এবং নিজেদের দরকার মতো বুঝতে থাকি। সেই পাঠই ঠিক করে দেয়, কাকে আমাদের আর গভীরে গিয়ে পড়বার দরকার আর কাকে নয়, এটা যিশু থেকে মার্ক্স কিম্বা ফুকো সবার ক্ষেত্রে সত্য। বিবেকানন্দ ব্যতিক্রম হবেন কিসে? এবারে , আপনার যেহেতু অধ্যয়ন রয়েছে, উত্তরে আপনি বা অন্যেরা আরেকটু আমাদের সমৃদ্ধ করবেন এই আশা রইল।
  • name | 69.211.15.70 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৪১514980
  • রিমির ১০:৩২ অব্ধি পড়ে এটা লিকেছিলাম। পোস্ট করতে দেরী হল। আলোচনা আরও এগিয়েছে, আবার পড়তে আরম্ভ করছি। কিছু মনে হলে পরে লিখব 'খন।

    প্রথমত, "বিবেকানন্দ আর বেদান্ত এক" একথা কেউ বলে নি। বিপ্লব বিবেকানন্দের দর্শন নিয়ে আলোচনা (?) করার করার কথা বলছিলেন, সেই থেকে প্র্যাক্টিক্যাল বেদান্তের কথা এল। সুস্মিতার জন্য বললাম।

    রিমি, আপনি পতঞ্জলি যোগশাস্ত্র পড়েছেন? পড়ে থাকতে সেক্স নিয়ে সংসারের সঙ্গে ঝোল মাখিয়ে এই বোকা কথাটি বলতেন না।
    সত্যি বলছি, যেটা যার কাপ অফ টি নয়, তার সেই নিয়ে কথা বলার দরকার কি? এইটাই আমার আজীবনের ধাঁধা। প্রচুর, প্রচুর এই রকম লোক দেখেছি। জিঞ্জাসা করতে পারিনা তো সবাইকে, যদি আপনি একটু বলেন ঠিক কি ধরনের ভাবনা কাজ করে এর পিছনে তবে আমি একটু ভাববার খোরাক পাবো। এই আর কি।

    আর উমেশ, আমিও লক্ষ্য করেছি, শুধু দেবদেবী আর বিবেকানন্দের মধ্যে যে বাঙালীরা ডিসক্রিমিনেশন করেন এমন নয়, ওরা যতটা সোচ্চার এদের নিয়ে নিন্দে মন্দ করতে তার পয়েন্ট জিরো জিরো জিরো টু দি পাওয়ার ইনফিটও নন ইসলাম নিয়ে কোনও রকম আলোচনায়। আফটার অল, মুণ্ডু গেলে খাবেটা কি?
  • dukhe | 117.194.227.17 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৪১514969
  • আকা চাইছে অভিজিৎ রায়ের লেখা পয়েন ধরে ধরে কাটা হোক । কিন্তু সেটা রিইনভেন্টিং দ্য হুইল । ধরেন বিবেকানন্দ আর স্টার্ডি । 'বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ' দ্বিতীয় খণ্ড সপ্তম মুদ্রণের ১০৫-১১১ পাতা পড়ুন । অভিজিতের অর্ধসত্য ও অসত্য পরিবেশন কিলিয়ার হবে । নাহলে নিবেদিতার চিঠি, স্টার্ডির চিঠি, বিবেকানন্দের চিঠি, স্টার্ডির পরবর্তী লেখা সব এখানে তুলতে হবে । যদি চান এই কেসটা করে দিতে পারি কারণ অনেক মাল দেখলাম নেটে আছে । কিন্তু কেউ অত পড়বেন কিনা ভেবে তুলিনি । আর এইটা সমস্ত পয়েনের ক্ষেত্রে খুঁজে খুঁজে করা অন্তত: আমার পক্ষে সম্ভব না ।

    বি ইনফর্মড । জীবনী, বাণী ও রচনা, শঙ্করীপ্রসাদ, নিবেদিতার লেখা - সব বাদ দিয়ে অভিজিৎ রায়ের তিনপাতার আর বিপের একপাতার প্রবন্ধ দিয়ে বিবেকানন্দের 'নির্মোহ' মূল্যায়নে যাঁরা অভিভূত, তাঁদের এটুকু সাবধান না করলে মহাপাতক হবে । এট্টু পড়াশোনা না থাকলে কোন কোট থেকে সিদ্ধান্ত হবে ভদ্রলোকের কাছে ব্রহ্মচর্য এলেবেলে, মাকে খুশি করতে কাটিয়ে দিতে পারেন । অথচ সারাজীবন যে তিনি ব্রহ্মচর্যকে, সন্ন্যাসকে ধারণায় আর চর্যায় উঁচু আসন দিয়ে গেলেন, অজ্ঞতার কারণে তা খেয়াল হবে না ।

    পড়তে হয়, নইলে -
  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৫০514991
  • আচ্ছা আমিই না হয় অভিজিতের লেখা থেকে একটা র‌্যান্ডমলি পয়েন্ট তুলে দেব নে। তাতে যদি কেউ লেখে। নইলে জল ঘোলা হইতাছে, তাতে কার মাছ কে ধরবে কে জানে।
  • Sushanta | 117.198.54.86 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৫৫515002
  • লেখাটা দারূন লাগল বিপ্লব বাবু। ধন্যবাদ সমৃদ্ধ করলেন বলে। শুধু এক জায়গাতে আপনি লিখেছেন,"কী এ শতাব্দির সেরা যারা দার্শনিক- স্যার পপার, কুন, রে ভাস্কর, দেরিদা, ফুকো- এদের লেখার মধ্যে বিবেকানন্দ কখনো আসে নি। রে ভাস্করের লেখায় সামান্য এসেছেন। বিবেকানন্দ অত শক্তিশালী চিন্তাবিদ হলে, এদের লেখাতে উনার চিন্তাও আসত।" শুনেছি, শিনেছি মানে পড়েছি রমা রঁলা তাঁকে নিয়ে খুব উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষে তিনিও ভারতীয় 'মুক্তি'দাতাদের থেকে হতাশ তথা মুক্ত হয়ে কমিউনিষ্ট দলে নাম লেখান। দরকার আছে কি বিদেশিদের খাতাতে কারো নাম থাকা? না কাউকে জানতে গেলে বই পড়াটাই খুব দরকার? যেমন কেউ কেউ আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছেন, তাঁর সব লেখা পড়ুন। Neme বলে এক বন্ধু দেখলাম একবার লিখলেন,"মার্ক্স দিয়েও আমাকে বিবেকানন্দের সমাজ চিন্তা বুঝতে হবে না। বিশ্বের তো বাদই দিলাম, ভারতের কটা রাজ্যে ঐ রাজনৈতিক সামাজিক ভাবনায় লোক কতটুকু কাজ করছে আর উপকৃত হচ্ছে আর বিবেকানন্দের ভাব ধারায় অনুপ্রাণিত লক্ষ লক্ষ সন্ন্যাসী-গৃহী মিলে যে কাজ করছেন সারা জগত জুড়ে তাইতেই আমি চাঁদমালা আর চাঁদের তফাত সাদা চোখেই দেখতে পাই। বই পড়ে নয়।
    আর সব শেষে, ভুল ধরার আগে, মানে আপনি স্বামীজীর ভুল ধরার আগে, শুধু জানতে চাইব দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য আপনার কোনও অবদান আছে? " পরে তিনিই আবার পরামর্শ দিচ্ছেন,"আপনি পরিব্রাজকের ডায়েরী ইত্যাদি পড়ুন। " যদি বই পড়েই ঠিক করতে হতো কাকে গ্রহণ আর কাকে বর্জন করব তবেতো মুস্কিল ছিল। গোটা জীবনে আমরা আর কত ব্যক্তির লেখা পড়তে পারব বা তাঁর কাজের শরিক হয়ে অভিজ্ঞতা নিতে পারব? Neme-যে লিখেছেন,"আমি চাঁদমালা আর চাঁদের তফাত সাদা চোখেই দেখতে পাই" আমাদের প্রত্যকের সমস্ত পাঠ আসলে সেরকমই। কিন্তু এটা বিবেকানন্দ কেন কেবল যিশু থেকে মার্ক্স সবার ক্ষেত্রে সত্য। আমরা যে আর কোনো অবাঙালি বা অহিন্দুকে দিয়ে আজ অব্দি বিবেকানন্দকে প্রতিস্থাপিত করবার কথা ভাবিনি, সেকি তাদের পড়ে বুঝে বর্জন করেছি বলে? পন্ডিতা রমাবাঈ ছিলেন সেকালে বিবেকানন্দের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। কই তাঁকে নিয়ে আজকের নারীবাদীদেরও বেশি কথা বলতে দেখিনা। তার মানে আমাদের গ্রহ্‌ণ বর্জন গুলো বই পড়বার বাইরের কোনো ক্ষমতা ঠিক করে দেয়। সেটি Name-এর নজিরে অনেকটা , কিন্তু সবটা স্পষ্ট নয়। তিনিও যেমন "বিবেকানন্দের ভাব ধারায় অনুপ্রাণিত লক্ষ লক্ষ সন্ন্যাসী-গৃহী মিলে যে কাজ করছেন সারা জগত জুড়ে" দেখছেন, কিন্তু দেখছেন না বিবেকানন্দের এই মিশনের ধারণাটাই খ্রিষ্টীয় ঐতিহ্য থেকে নেয়া, মাদ্রাসার প্রাচীণ ঐতিহ্য যদি ভুলেও যাই। তবে এই টুকুনের জন্যে বিবেকানন্দ ভক্তিতে গদ গদ হব কেন? আর খ্রিষ্টান মিশনারীদের পুড়িয়ে মারবার দৃশ্য এক দেশে সহ্য করব কেন ( আমি বলছি না যে Name সেরকম কিছু হলে সহ্য করেন, কিন্ত বহু বিবেকানন্দ ভক্ত তাও করেন) যে আপনি ফুকো দেরিদা পড়েছেন। প্রতাপের ব্যাপারটা বোঝেন। নিশ্চয় এও জানবেন সেই প্রতাপ, কারা কখন কেন, আর কীভাবে তৈরি করে? আমি জানি না, ফুকো কী বলেন। কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞানে 'এন্টেঙ্গলমেন্ট' বলে একটা ধারণা আছে, সেই গুণে যেকোনো বস্তুর থেকে সংকেত বিনা সময়ে দূরউউউররররতম বস্তুতে গিয়ে পৌঁছোয়। সেখান থেকে আমার অভিমত যেকোনো নাম বা বস্তুর থেকে সংকেত আমাদের চারদিকে বিচ্ছুরিত হতেই থাকে। সেগুলোর পাঠ এবং দরকারী গ্রহণবর্জনে সমৃদ্ধ হয় আমাদের বোধ এবং বুদ্ধি। সেই নাম কিম্বা বস্তুগুলো যদিবা কখনো বেশ প্রতাপ অর্জন করে নেয় তবে তার থেকে বিচ্ছুরিত সংকেত গুলো হয় অনেক বেশি স্পষ্ট। সেই সংকেত পড়েই আমরা ঠিক করি কাকে কতটা নেব আর নেবনা। এটা যিশু থেকে মার্ক্স সবার ক্ষেত্রে সত্য। এই যেমন ধরুন Name বললেন,"বিবেকানন্দের ভাব ধারায় অনুপ্রাণিত লক্ষ লক্ষ সন্ন্যাসী-গৃহী মিলে যে কাজ করছেন সারা জগত জুড়ে" আমি দেখছি, তারা কাউকে কোনো মুক্তির বার্তা সত্যি দিচ্ছেন না, এমন কি ব্রাহ্মণে শূদ্রের ভেদ দূর করবার নামে তারা যা হয়ে উঠেছেন, তা হলো শূদ্র সেবার এক বনেদী উচ্চবর্ণীয় দাতব্য অনুষ্ঠান, খ্রিষ্টান মিশনারীদের মতো। যখন জমি থেকে কৃষক উচ্ছেদ করতে কয়লা খনির মালিক গুণ্ডা আর পুলিশ লেলিয়ে দেয় তখন সেখানে রামকৃষ্ণ মিশনকে পাওয়া যায়না প্রতিবিধান করতে। হ্যা, তাঁড়া দিন কতকের খাবার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন বা অনাথদের আশ্রয়। তো আমার কি খুব আগ্রহ বাড়ল বিবেকানন্দ পড়ে সময় নষ্ট করবার? আমার দরকারতো অন্য। ঠিক এই কারণেই হয়তো Name কোনো দিন মার্ক্স পড়বেনা না, কিম্বা মাদার টেরিজা , কিম্বা সৈয়দ আমীর আলী । আমার কয়েকটা প্রশ্ন, বিবেকানন্দের আগে কি সত্যি 'হিন্দু' আর 'ভারত' কথাটা সমার্থক ছিল? আমরা কি বিবেকানন্দ এবং তাঁর সময়ে নির্মিত হিন্দু ভারতে আজকাল বাস করছি না? সেটি কি খুব ভালো কিছু হলো? কিন্তু তিনি যা করলেন তার ক্ষেত্র কি ব্রাহ্ম সমাজের ত্রিধা বিভক্তির পর তৈরি হয়েই ছিলনা? তার 'জাতীয়তাবাদ?" আপনার কি মনে হয় না জাতীয়কংগ্রেসের শৈশবের সঙ্গে এর কোনো যোগাযোগ রয়েছে বলে, ইনি কি এদেরই বাল্যাবস্থার তাত্বিক ভাষ্যকার নন? খুব ভালো লাগল সুভাষ বসুর সম্পর্কে আপনার সাহসী প্রত্যয়। সুভাষ বসুর সমস্ত ত্যাগ তিতীক্ষা মেনে নিয়েও কি মনে হয় না, তিনি তাঁর রাজনৈতিক গুরু চিত্তরঞ্জনের থেকে একটুও বেশি পরিপক্কতার পরিচয় দেন নি? আর, আমি যতদূর জানি আজকের মায়ান্মারে সুভাষ বসুর কমরেডরা ক্ষমতা দখলে সফল হয়েছিলেন। আমি স্যু কির বাবার কথা বলছি। কি দেশ দিলেন দেখছি না কি? আমার খুব সুশৃঙ্খল অধ্যয়ন নেই। প্রশ্নগুলো মনে খেলে , করে ছেড়ে দিলাম।
  • dukhe | 117.194.227.17 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৫৬515013
  • আকা আবার আমার পোস্ট পড়ে নাই । পয়েন তো তুললাম । এবার বল তোমার কোর্টে । সব চিঠিপত্র এখানে দেব কিনা বল ।
  • Sushanta | 117.198.54.86 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৫৭515025
  • ও মা! আমার মন্তব্য দেখি দুবার এসে গেছে। প্রথমবার পোষ্ট করে খোঁজেই পেলাম না। ভাবলাম আসেনি। আবার লিখলাম।
  • Sibu | 74.125.59.177 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০১:২৪515036
  • দুখে কেন যে ধরে নেয় আর কেউ কিছু পড়ে না।

    আর মহাপাতক মন্দ কি? শুনেছি সন্ন্যাসীরা স্বর্গে যায়, আর মহাপাতক করলে নরকে থাকা যায়।

    নামবাবু, আপনি পাতঞ্জল যোগশাস্ত্রও পড়েছেন নাকি? একটু হয়ে যাক। আমাদের এদিকেও দু-চাজ্জনের ওসবে একটু ঝোঁক আছে তো। হেঁ হেঁ।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০২:০৬515047
  • দুখে হোক না, তাই তো চাইছি। বুঝেই বলেছি। আমি একটা র‌্যাণ্ডমলি বক্তব্য তুলব সেটাকে খণ্ডন করা হোক। তাতে প্রমাণিত হয় না পুরো বক্তব্যটাই জালি কিন্তু অন্তত সন্দেহ দেখা দেয়।

    তা তুলি? অপেক্ষা করুন পরের পোস্টের জন্য।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০২:১০515058
  • আমাদের নারীগণকে আধুনিক-ভাবে গড়িয়া তুলিবার যে সকল চেষ্টা হইতেছে সেইগুলির মধ্যে যদি সীতা-চরিত্রের আদর্শ হইতে ভ্রষ্ট করিবার চেষ্টা থাকে, তবে সেগুলি বিফল হইবে। ভারতীয় নারীগণকে সীতার পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া নিজেদের উন্নতি বিধানের চেষ্টা করিতে হইবে। ইহাই একমাত্র উন্নতির পথ

    সীতার মত পতিব্রতা নারী স্বামিজীর পছন্দ ছিল বলেই কীনা জানিনা, সতীদাহ কিংবা সহমরণের মত ঘৃণ্য প্রথাকেও তিনি বিনা বাক্যব্যয়ে সমর্থন করেছেন । সতীর আদর্শকে মহান প্রতিপন্ন করতে গিয়ে বলেছেন [27]

    এই আদর্শের চরম অবস্থায় হিন্দু বিধবারা সহমরণে দগ্‌ধ হতেন।

    সহমরণের সমর্থনে তার আরো অনেক সুস্পষ্ট উদ্ধৃতিই হাজির করা যাবে। যেমন [28]

    প্রথমে সেই ভাবটাই উস্কে দিয়ে তাঁদের (হিন্দু নারীদের) characterform করতে হবে যাতে তাঁদের বিবাহ হোক বা কুমারী থাকুক, সকল অবস্থাতেই সতীত্বের জন্য প্রাণ দিতে কাতর না হয়। কোন একটা ভাবের জন্য প্রাণ দিতে পারাটা কি কম বীরত্ব?

    স্বামী বিবেকানন্দ যে সহমরণ সমর্থন করতেন, তা ভগ্নি নিবেদিতার ভাষ্যেও স্পষ্ট হয় [29]

    জগতের চোখে সহমরণ এত বড় প্রথা কেন কারণ ওতে ইচ্ছাশক্তির বিকাশ হয়

    স্বামীজি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগরের বিধবা বিয়ে নিয়েও ছিলেন দারুণ বিরূপ। ১৯০০ সালের ১৮ই জানুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারতের নারীদের নিয়ে তিনি একটি বক্তৃতা দেন। সেখানে তিনি বলেন, যেহেতু পুরুষের চেয়ে নারীরা সংখ্যায় বেশি, সেহেতু বিধবাবিবাহ প্রবর্তিত হলে নাকি কুমারী মেয়েদের স্বামী মিলবে না

    স্বামীজির এই সারবত্তাহীন বক্তব্য জাকির নায়েকের জোকারি মূলক উক্তির সমতুল্য, যেখানে তিনি পুরুষের বহুবিবাহকে বৈধতা দিতে চান পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যাধিক্য টেনে এনে। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই সত্য নয়। সারা পৃথিবীতে নারী এবং পুরুষের অনুপাত হল ১ :. ০১ । পুরুষেরাই বরং সামান্য হলেও সংখ্যায় অধিক। এমনকি ভারতের ক্ষেত্রেও স্বামীজির বক্তব্য যে অসার তা দৈনিক আজকালে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন ভারতের মানবতাবাদী সমিতির সম্পাদিকা সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৪ সালের ৮ ই এপ্রিল [30] (সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ নির্মোহ চিঠিকে এবং তার পরবর্তীতে হিন্দুত্ববাদী পাঠকদের জবাবকে কেন্দ্র করে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত দৈনিক আজকাল পত্রিকায় ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত তুমুল বিতর্কের সূত্রপাত ঘটেছিলো, যেগুলো পরবর্তীতে সংকলিত হয়েছে রাজেশ দত্ত সম্পাদিত রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ : মুক্ত মনের আলোয় শীর্ষক গ্রন্থে। উৎসাহী পাঠকেরা পড়ে দেখতে পারেন)-

    ১৯০১ সালের সেন্সাস অনুজায়ই ভারতীয় নারী-পুরুষের অনুপাত হল ৯৭২ : ১০০০। অর্থাৎ, প্রতি একহাজার জন পুরুষ পিছু ৯৭২ জন নারী। সুতরাং স্বামীজি তার স্বমত প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারী পরিসংখ্যানকে শুধু বিকৃত করেননি, বিদ্যাসাগরের মত একজন সমাজ সংস্কারকের জীবনের সর্বপ্রধান স্‌ৎকর্ম কেও অস্বীকার করেছেন

  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০২:১৩515069
  • চোখ বন্ধ করে মাউস ঘোরাতে ঘোরাতে যেখানে থামল সেই পুরো কনটেক্সটা কপি অ্যাণ্ড পেস্ট করেছি।

    নিন name বা দুখে প্রমাণ করুন ইহা ভুল তাহলে বোঝা যাবে লেখাটি কিছুটা হলেও ধুর।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০২:১৬515080
  • দেখুন নামবাবু, যৌনতা বুঝতে গেলে পতঞ্জলি যোগশাস্ত্র বুঝতে হবে এইটা একটু কেমন যেন দাবী... :-) যদি আপনি মনে করেন পতঞ্জলি জানলে আমার বিএর ব্রহ্মচর্য্য বুঝতে সুবিধা হবে, তাহলে ব্যপারটা আপনিই খোলসা করে বলুন না।

    তবে ম্যাক্সিদিরে আমার এট্টা প্রশ্ন ছিল। কেউ মন খারাপ করে বসে আছে। আমি তাকে খানিকটা যৌন আনন্দ দিলাম। তার মনের মেঘ কেটে গেল। এরকম হলেও কি সৌভাগ্য বলে মনে হবে না? এটাও তো আমাদের বেসিক ইনস্টিংক্ট। আর সোর্স অফ এনার্জিও বটে (ডাক্তার আরো ভালো বলতে পারবে।) তো, কথা হল, বিবেকানন্দ চা খাবার ইনস্টিংক্টকে অ্যাপ্রুভ করলেন, অথচ যৌনতাকে না - এইটা কেন?
  • biplab pal | 63.118.38.200 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০২:২৫515091
  • বি ইনফর্মড । জীবনী, বাণী ও রচনা, শঙ্করীপ্রসাদ, নিবেদিতার লেখা - সব বাদ দিয়ে অভিজিৎ রায়ের তিনপাতার আর বিপের একপাতার প্রবন্ধ দিয়ে বিবেকানন্দের 'নির্মোহ' মূল্যায়নে যাঁরা অভিভূত, তাঁদের এটুকু সাবধান না করলে মহাপাতক হবে । এট্টু পড়াশোনা না থাকলে কোন কোট থেকে সিদ্ধান্ত হবে ভদ্রলোকের কাছে ব্রহ্মচর্য এলেবেলে, মাকে খুশি করতে কাটিয়ে দিতে পারেন । অথচ সারাজীবন যে তিনি ব্রহ্মচর্যকে, সন্ন্যাসকে ধারণায় আর চর্যায় উঁচু আসন দিয়ে গেলেন, অজ্ঞতার কারণে তা খেয়াল হবে না



    LookIhaveblamedhimforriseofHindunationalism.

    Ihaveclaimednosecularreforminreligionispossiblewithapoliticalforceagainstreligion-buthiswritingcouldnotfavorapoliticalforceagainstHinduism.Thereforehisdialogueforreligiousreformisuseless.

    Whichoftheaboveiswrong??

    Ifsomebodyclaimsanyoftheaboveiswrong , hisknowledgeofhistoryandpoliticalscienceislessthanpathetic.
  • biplab pal | 63.118.38.200 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০২:৩৩515102
  • sorrywithoutapoliticalforceagainstreligionhabe
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০২:৩৯515113
  • বিবেকানন্দের ব্রহ্মচর্য্যার নীতির মধ্যে একটা বিরাট বড় ফ্যালাসি আছে। সেইটাই ঠিক ক্লিয়ার হচ্ছে না।

    ধরে নিলাম ইশ্বর আছেন, তাঁর ইচ্ছাতেই পৃথিবী চলছে। তিনিই মানুষসহ সকল জন্তু জানোয়ারকে যৌনাঙ্গ দিয়েছেন যৌনতা করার জন্যে। বিবেকানন্দ সর্বশক্তিমান ইশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে থাকলে কোন যুক্তিতে যৌনতাকে জীবন থেকে বাদ দিতে বলেন? অন্যদিকে, যৌনতাকে পাপ বলে ঘৃণা করলে, বিবাহিত ব্যক্তি মাত্রই যোনিকীট বলে ঘোষণা করলে বিবেকানন্দের নিজের বাপ মার প্রতিও অশ্রদ্ধা হবার কথা। নিজের জন্মের প্রতিই ঘেন্না ধরে যাবার কথা।

    অন্যদিকে, বিবেকানন্দ বলেছেন জীবে সেবা করে যেই জন ইত্যাদি। তো জীবে সেবা মানে কোন সেবা? খাদ্য এবং আশ্রয়ের মতন যৌনতাও জীবনের এসেনশিয়াল কাজ। বেঁচে থাকা মানে তো শুধু আমার একার বেঁচে থাকা নয়, আমার জিনগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা - একেবারে বেসিক ইনস্টিংক্ট। তো জীবে সেবার একটা পার্ট অবশ্যই তবে যৌন সেবা? অর্থাৎ অন্যকে খাবার দিলে যেমন ইশ্বরকে খুশি করা হয়, যৌনতা দিলেও তেমনি ইশ্বরের খুশি হবার কথা। তাই কি না?

    হ্যাঁ, বিয়ে করলে আর ছেলেপুলে হয়ে গেলে তাদের জীবন ধারণের ব্যবস্থা করতে যৌবনের অনেক শক্তি খরচ হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে মহৎ কাজ করার লোক কম পড়বে। অতএব বিয়ে কোরো না - এই উপদেশের মানে বোঝা যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে হস্ত মৈথুন বারণ করার কি যুক্তি?

    তবে সবচেয়ে বড় ফ্যালাসি এইটাই যে বিবেকানন্দ ও রামকৃষঁএর এই যে এত ভক্ত গুরুতে আসেন, তাঁদের কেউই, হায় হায়, ব্রহ্মচর্য্যায় আসলে বিশ্বাস করেন না। আর যদি মনে মনে বিশ্বাস করেনই সত্যি, তাহলে নিজেদের যোনিকীট মনে করে তাঁদের মরমে মরে থাকার কথা। (জীবে সেবা ইত্যাদি না হয় বাদই দিলাম)। তাহলে বিবেকানন্দর শিক্ষায় আখেরে লাভটা কি হইল? নামবাবু কি বলেন?
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০২:৪৮515124
  • এইবার হাবি জাবি কথা বাদ দিয়ে একটা সিরিয়াস প্রশ্ন করে যাবো আমি চলে।

    ২০১২ সালের ভারতবর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বিবেকানন্দের মূল্য কতখানি? আরো প্রিসাইজলি বললে, ২০১২ থেকে শুরু করে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতীয় শিক্ষিত মধ্যবিত্তের জীবনে বিবেকানন্দকে কতটুকু দরকার এবং কেন? তাঁর শিক্ষার কতটুকু অংশ আজকের ভারতে রেলেভ্যান্ট?
  • pinaki | 85.231.136.182 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ০৩:০০515147
  • আমি দেখেছি, ১২ থেকে ১৮ - এই বয়েসটায় বিবেকানন্দের ওয়ান লাইনার খুব জোশ দেয়। যেমন ১৮ থেকে ২৫ মাও এর ওয়ান লাইনারের বিশাল প্রভাব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন