এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ-একটি নির্মোহ ব

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০১২ | ৭৫৬৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 128.231.22.133 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৪515450
  • আর উনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন, ব্রাহ্মণদের চক্রান্তে মেয়েদের এই দুর্গতি, 'হিন্দু সমাজে' 'দুর্গতি' আছে ( আপনিও সেটা বলেছেন), এগুলো স্বীকার করার মানে এই অপ্রেশন বা স্বাধীনতার অভাবকে উনি মোটেও ভাল বলেননি। সেটার রুট কোথায় তাই নিয়ে তর্ক থাকতেই পারে। ঠিক ভুল নানা মত আসতে পারে। কিন্তু খারাপ ধারণা ছিল বা কিছু করেননি কি বলা যায় ?
  • pi | 128.231.22.133 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৫515451
  • আরেকটা কথা, আপনি বারবার বলেছেন অভিজিতদার লেখার ফ্যালাসি গুলো আপনি পয়েন্ট আউট করতে পারবেন। আর কেউ যখন করছেন না, আপনিই করে দিন।

    দুখেদা একটা হাল্কা করে দিয়েছেন। এটা নিয়ে সত্যি জানতে চাই।

  • pi | 128.231.22.133 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৭515452
  • মেয়েদের স্কুলগুলোর স্ট্যাটাস নিচে ? কে বল্লো ?
    স্ট্যাটাস মানে কি ? :)

    তবে, তুমি এখন যেটা বল্লে সেটা হলে ঠিক আছে।
  • pi | 128.231.22.133 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৯515453
  • দুখেদার কথায় ঠিক সেটা মনে হয়নি। নামবাবুর কোন কোন পোস্টে মনে হয়েছে।

    তবে এখন কাটতে হবে। বাস মিস করবো।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৫০515454
  • পাই, কিছুই করেন নি কথাটা প্রথমে রা আর সা এর সঙ্গে এক সাথে চলে এসেছিল প্রথমে। পরে তো ক্লিয়ার করে দিয়েছি, "তেমন কিছুই করেন নি"।
    আর "খারাপ ধারণা" পোষণ করতেন, এটাই বা কোথায় বললাম? বলেছি মেয়েদের সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন মনে করতেন। সেইটা যে একমাত্র উনিই মনে করতেন তা তো নয়, সেইসময়ে বাঙালী মহা এবং মহা নয় পুরুষেরা অনেকেই সেটা মনে করতেন, ইন ফ্যাক্ট, এখনো অনেকেই সেটা মনে করেন। তাতেই বা কি হল? কে কি বলেছে বা মিন করেছে তাই নিয়ে না জল ঘোলা করে সোজাসুজি লেখ না উনি আরো কি কি ভাবতেন বা কি কি করেছিলেন মেয়েদের জন্যে।
  • pinaki | 138.227.189.8 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৫১515455
  • আসলে একটা লোক দুনিয়ার সব বিষয়ে সবচেয়ে 'প্রগতিশীল' আর সবচেয়ে 'ব্যালান্সড' স্ট্যান্ড নেবে - এটা একটু বেশী এক্সপেক্টেশন। এই কথাটা বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ, যীশু, মহম্মদ, চে গুয়েভারা, মার্ক্স, লেনিন, মাও, চৈতন্যদেব - সকলের জন্যে সত্যি। অতিভক্তি এবং অতিবিদ্বেষ - দুটো পোলই আসলে কোথাও একটা এই সত্যিটা ভুলে যাওয়ার ফসল।

    আমরা একজনকে দেখছি সমকালে নয়, প্রত্যক্ষভাবেও নয়। নিজের সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর কি ভূমিকা - সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূল্যায়নের জন্য। সেক্ষেত্রে সতীদাহর মত একটা সমকালীন ব্যাপারে বিবেকানন্দ যদি সমর্থন নাও করেন, যদি নীরবও থেকে থাকেন - সেটাও খুবই খারাপ বিজ্ঞাপন। সেই সত্যিটা স্বীকার করতে হবে। সেক্ষেত্রে বেদান্ত, শংকরাচার্য পড়া নেই বলে আমরা ওনার বক্তব্য বুঝছি না, বা 'উনি নিশ্চই অন্য কিছু গভীর উদ্দেশ্য নিয়ে সতীদাহ নিয়ে ঐ কমেন্টটা করেছিলেন' - এরকম ভেবে নিশ্চিন্ত হওয়ারও কোনো কারণ নেই। আবার পাশাপাশি সেই সময়ের নিরিখে প্রচুর প্রগতিশীল কথা ও কাজ অবশ্যই আছে রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ - দুজনেরই। সেগুলোকেও প্রাপ্য ক্রেডিট দেওয়া উচিৎ।

    স্ববিরোধিতা থাকাটাই একটা সুস্থ লোকের বৈশিষ্ট্য বলে মনে হয়। যাঁরা ওনাকে ভগবান বানিয়েছে একমাত্র তাঁদের কাছেই এই স্ববিরোধিতা অস্বস্তিকর। আমার কাছে তো দিব্যি নর্মাল।
  • biplab pal | 63.118.38.200 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৫২515456
  • আরেকটা কথা, আপনি বারবার বলেছেন অভিজিতদার লেখার ফ্যালাসি গুলো আপনি পয়েন্ট আউট করতে পারবেন। আর কেউ যখন করছেন না, আপনিই করে দিন।

    দুখেদা একটা হাল্কা করে দিয়েছেন। এটা নিয়ে সত্যি জানতে চাই।

    ^^^^^^^^^^^^^^^^
    dukhobaNemeikaruk.Amidekhi.

    Iwantpeopletothinkcriticallyaboutanythingandanybody.LookingatNemeandDukheandtheirblindirrationaldevotion, Iwillservetheworldbetterbyremainingsilenthere.Letthemdoit, iftheycan,
  • biplab pal | 63.118.38.200 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৫৫515457
  • আর উনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন, ব্রাহ্মণদের চক্রান্তে মেয়েদের এই দুর্গতি, 'হিন্দু সমাজে' 'দুর্গতি' আছে ( আপনিও সেটা বলেছেন), এগুলো স্বীকার করার মানে এই অপ্রেশন বা স্বাধীনতার অভাবকে উনি মোটেও ভাল বলেননি। সেটার রুট কোথায় তাই নিয়ে তর্ক থাকতেই পারে। ঠিক ভুল নানা মত আসতে পারে। কিন্তু খারাপ ধারণা ছিল বা কিছু করেননি কি বলা যায় ?


    PI
    Youneedtoread.Ihaveclearlystate, hislineoffeminismwaswrongbecausehetriedtoproveHindureligionhasgiven "right" statustowomen, butitsstakeholdersmadeitdifferent.

    Ihaveveryclearlyexplainedwhysuchlineofthinkingisatbestjuvenilewhenyoulookatitfromsocialscientificandanthropologicalviews.
  • pi | 128.231.22.133 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৫৬515458
  • চট করে একটা কথ বলে যাই। মেয়েদের অনেক স্বনির্ভরতা প্রকল্প কিন্তু এঁরা চালান। সেগুলো বেশ ভাল কাজ করে।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৯ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৫৭515460
  • স্ট্যাটাস মানে কি?

    প্রথমত, কটা রামকৃষ্ণ মিশন আর কটা সারদা মিশন? কটা সারদা মিশনে ক্লাস টুয়েলভ আছে আর কটা রামকৃষ্ণ মিশনে ক্লাস টুয়েলভ আছে? পড়াশুনোর মান, ওভারল রেজাল্ট ইত্যাদিতে রা মিশন আর সা মিশনের তফাৎ কেমন? (এইটা আবার বলিস না যে ইন জেনারেল ছেলেরা মেয়েদের থেকে ভালো রেজাল্ট করে, কারণ ছেলেদের মাথা বেশি:-)) টিচারদের কোয়ালিফিকেশন কেমন? আর্থিক অনুদানের বন্টন কেমন রা আর সা মিশনে?

    ব্যারাকপুরে একটি সা মিশন আছে, যেটা আমি নিজের চোখে দেখেছি। খুব সুন্দর জায়গা, সুন্দর বিল্ডিং, অনাথ মেয়েদের থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু.... রা মিশনগুলোর সঙ্গে জাস্ট তুলনা হয় না।

    এছাড়া কলেজ, উচ্চশিক্ষার কথা বাদই দিলাম।
  • rimi | 168.26.205.19 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:০৫515461
  • আমার মনে হয়, মেয়েদের ব্যপারে কি স্ট্যান্ড নেওয়া উচিত, এই ব্যপারে বিবেকানন্দ রীতিমতন কনফিউজড ছিলেন। হিন্দু ধর্মকে জাগিয়ে তুলতে গেলে তার নারীত্বের আদর্শের খুব বেশি বিরোধিতা করা চলে না।
    অন্যদিকে, বিলেতে মেয়েদের বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতা ইত্যাদি দেখে মুগ্‌ধও হয়েছিলেন। বিদ্যাসাগর বা রামমোহন যেমন প্রচলিত ধর্মীয় রীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, বিবেকানন্দ সেইটা করতে পারেন নি, বা হয়ত চান নি। সব মিলিয়ে একটা জায়গায় ব্যালান্স করার চেষ্টা হয়ত করেছিলেন। হয়ত আরো কিছুদিন বেঁচে থাকলে অন্যরকম কিছু বলতেন বা করতেন।

    কে জানে!!!! কিন্তু যা বলো বাপু, মেয়েদের ইস্কুলে রা সা বির ফটো ঝোলানোটা মাইরি... যাকে বলে.. ইয়ে।
  • I | 14.99.18.39 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:১০515462
  • পিনাকীকে বড় করে ক। বিবেকানন্দ পড়তে বসলে মনে হয় একটা মানুষের মধ্যে অনেকগুলো মানুষ ঠেলাঠেলি করছে কে বাইরে বেরোতে পারবে তাই নিয়ে। ফলে একটু গোল হয় এই যে কোন বিবেকানন্দকে আমরা ঠিকঠাক নিতে পারব। পার্টিকুলার একজন কাউকে যে নিতেই হবে তারও কোনো মানে নেই। রবীন্দ্রনাথেও এইরকম স্ববিরোধ আছে, সবার মধ্যেই আছে, তবে বিবেকানন্দের মধ্যে কিছু বোধ হয় বেশী। ঠিক জানি না। আরো পড়তে হবে।

    মনে হয়, মানুষ কোনো স্ট্যান্ড নেয় "হৃদয়' দিয়ে,আর একবার স্ট্যাণ্ড নেওয়া হয়ে গেলে তাকে জাস্টিফাই করে মস্তিষ্ক দিয়ে ( নন-মেডিক্যাল টার্ম ব্যাভার করলাম বলে আবাজ দেবেন না।) বিবেকানন্দের ক্ষেত্রেও সেরকমটা লাগছে। পাশ্চাত্যশিক্ষায় রীতিমত শিক্ষিত একজন যুবক, ঝকঝকে ইনটেলেক্ট , কিন্তু ঈশ্বরভাবে পাগল; কি করে রামকৃষ্ণের দ্বারা মেসমেরাইজড হলেন সেটা একটা এনিগমা; মূর্তিপূজায় বিশ্বাসী, কিন্তু অদ্বৈতবাদী; পশ্চিমের চোখ দিয়ে দেখে সেসময়কার ভারতের প্রান্তিক মানুষদের-নারী, দলিত-এদের জন্য সহানুভূতিশীল। কিন্তু এদিকে বৈদান্তিক ধর্ম ও তার চতুর্বর্ণ বিভাজন শ্রেষ্ঠ, সেই বিশ্বাস। এইসব কিছুকে একসাথে প্যাকেজ করে, এদের বিরোধিতাকে যুক্তি দিয়ে ভোঁতা করার চেষ্টা করে চলার নাম বিবেকানন্দ।

  • Nina | 12.149.39.84 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:২৫515463
  • ডাগদারের অ্যানালিসিসটা ভাল লাগল।
    (আমার)

    এট্টু ঠাট্টা করা চলবে এই টইতে?
    রিমি দাঁড়াবি নাকি ওবামার বিরুদ্ধে? জিতে যাবি --ডিবেটগুলোতে তো বটেই!
  • maximin | 59.93.211.140 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:২৮515465
  • সতী নিয়ে রবীন্দ্রনাথ কী বলেছিলেন? কিছুই কি বলেন নি?
  • rimi | 168.26.205.19 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:২৮515464
  • বাপ রে, নিনাদি, কোনো রকম রাজনীতির মধ্যে আমি নেই :-)))
  • I | 14.99.18.39 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৪৯515466
  • ব্যালান্স করতে চাওয়ার কারণ বড়সড় কোনো sociopolitical upheaval বিবেকানন্দ চান নি। আসল উদ্দেশ্য আধ্যাত্মিক উন্নতি, কিছুদূর অবধি নারীশিক্ষা -ডোম-চাঁড়ালের খানিকটা উন্নতি এগুলি সবই part of the game। কেননা খালিপেটে ধর্ম হয় না, সেটা বোঝার মত তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ওঁর ছিল।

    স্বামী-শিষ্য সংবাদ কোট করছি; একজায়গায় বলছেন -"তোরা মেয়েদের নিন্দাই করিস কিন্তু তাদের উন্নতির জন্য কি করেছিস বল দেখি? স্মৃতি-ফৃতি লিখে, নিয়ম-নীতিতে বদ্ধ করে এদেশের পুরুষরা মেয়েদের একেবারে manufacturing machine করে তুলেছে! মহামায়ার সাক্ষাৎ প্রতিমা এই সব মেয়েদের এখন না তুললে বুঝি তোদের আর উপায়ান্তর আছে !'

    তবে কিনা মেয়েদের তোলা বলতে যে "ধর্মপথে তোলা' , অন্য কোনো পথে নয় সেব্যাপারে সন্দেহ নেই :

    "শিষ্য। আধুনিক শিক্ষায় কিন্তু মহাশয়, বিপরীত ফল ফলিতেছে বলিয়া বোধ হয়। মেয়েরা একটু আধটু পড়িতে ও সেমিজ-গাউন পরিতেই শিখিতেছে, কিন্তু ত্যাগ-সংযম-তপস্যা-ব্রহ্মচর্যাদি ব্রহ্মবিদ্যালাভের উপযোগী বিষয়ে কতটা উন্নত যে হইতেছে, তাহা বুঝিতে পারা যাইতেছে না।
    স্বামীজী। প্রথম প্রথম অমনটা হয়ে থাকে। দেশে নতুন ideaর প্রথম প্রচারকালে কতকগুলি লোক ঐ ভাব ঠিক ঠিক গ্রহণ করতে না পেরে অমন খারাপ হয়ে যায়। তাতে বিরাট সমাজের কি আসে যায়? কিন্তু যারা অধুনা প্রচলিত যৎসামান্য স্ত্রীশিক্ষার জন্যও প্রথম উদ্যোগী হয়েছিলেন, তাঁদের মহাপ্রানতায় কি সন্দেহ আছে? তবে কি জানিস, শিক্ষাই বলিস আর দীক্ষাই বলিস, ধর্মহীন হলে তাতে গলদ থাকবেই। এখন ধর্মকে centre করে রেখে স্ত্রীশিক্ষার প্রচার করতে হবে। ধর্ম ভিন্ন অন্য শিক্ষাটা secondary হবে। ধর্মশিক্ষা, চরিত্রগঠন , ব্রহ্মচর্যব্রত উদ্‌যাপন-এজন্য শিক্ষার দরকার। বর্তমানকালে এ পর্যন্ত ভারতে যে স্ত্রীশিক্ষার প্রচার হয়েছে , তাতে ধর্মটাকেই secondary করে রাখা হয়েছে, তাইতেই তুই যে সব দোষের কথা ( "সেমিজ-গাউন পরা': মন্তব্য আমার) বললি, সেগুলো হয়েছে।...

    অন্য এক জায়গায় :

    "শিষ্য। মহাশয়, তবে কি আপনি বলিতে চান, সকলের স্পৃষ্ট অন্ন খাওয়াই আমাদের কর্তব্য?
    স্বামীজী। তা কেন বলব? আমার কথা হচ্ছে তুই বামুন, অপর জাতের অন্ন নাই খেলি, কিন্তু তুই সব বামুনের অন্ন কেন খাবিনি?.... এই দেখ না, ভারতের কোথাও আর চাতুর্বর্ণ্য বিভাগ দেখা যায় না। প্রথমত: ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র-এই চার জাতে দেশের লোকগুলোকে ভাগ করতে হবে। সব বামুন এক করে একটি ব্রাহ্মণজাত গড়তে হবে। এইরূপ সব ক্ষত্রিয়, সব বৈশ্য, সব শূদ্রদের নিয়ে অন্য তিনটি জাত করে সকল জাতিকে বৈদিক প্রণালীতে আনতে হবে।...'

    এমনটা কি হতে পারে, ওঁর এই যে হিন্দুধর্মের পুনরুত্থানের ইচ্ছে , এর ড্রাইভিং ফোর্স ছিল স্পিরিচুয়ালিজম নয়,জাতীয়তাবাদ? "বিশুদ্ধ' ভারতীয় হিন্দু জাতীয়তাবাদ?
  • Somnath | 117.194.204.255 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৫১515467
  • জানিনা সবাই কেন "পড়া নেই, পড়া নেই, বই নেই, বই নেই " করছে। এখনে কি কিছু কম আছে না জালি জিনিস আছে?
    http://www.4shared.com/zip/BYJccwMy/swami_vivekananda_-_the_comple.html

    এতক্ষণেও এটা কেউ বলে নি মানে কি এটা কেউ কখনো ভাবেনি, বা এটা একা আমারই থিয়োরি? বিবেকানন্দের যে বাণী ও রচনা নিয়ে কথা হচ্ছে, তার প্রচুর লেখা আসলে বক্তৃতা - বিভিন্ন ফোরামে, কিছু স্বামী শিষ্য সংবাদ, কিছু চিঠি ব্যক্তিগত, কিছু নির্দেশ, কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ। তার সবটা একই কথার পুনরোচ্চারণ হবে কেন? বাণী ও রচনা কি লোকটার লেখা একটাই প্রবন্ধ? একটা ফল্গু সুতো অবশ্যই আছে, সেটা ঠিক জীবে প্রেম মানে বলি দেওয়া কিনা গোছের অতটা স্থূল কিছু নয়, অদ্বৈত কনসেপ্ট - এটা আমার দাবী।

    এবার ধরা যাক, আমি ১৮৯৩ সালে, আমেরিকায় দাঁড়িয়ে ভারতকে রিপ্রেজেন্ট করছি। আমার লক্ষ্য এ দেশ কে পৃথিবীর কাছে সম্মান ও শ্রদ্ধার আসনে তুলে নিয়ে যাওয়া। আমি কি মিনমিন করে বলব হ্যাঁ ইয়ে মানে আমাদের দেশে বর মারা গেলে বৌদের জ্বালিয়ে দেয়া হয়, এটা ঠিক নয়, আর হ্যাঁ বাচ্চামেয়েদের ধরে বিয়ে দেওয়া হয়, সেটাও ঠিক নয়, আরো অনেক আজে বাজে জিনিস হয় যা হওয়া উচিত নয়, ইয়ে তবু তোমরা বুঝলে আমাদের একটু সম্মান টম্মান দিও। নাকি আমার প্রথম কাজই হবে আমাদের দেশের সব কিছুকেই প্রচন্ড গ্লোরিয়াস করে দেখানো, তাদের কাছে যারা এ দেশের আদৌ কিছুই জানেনা। সেটা লোকটা করেছে। বেশ করেছে। ওদেশে দাঁড়িয়ে বা ওদেশের লোকের কাছে যখন বলব তখন অবশ্যই তাদের একেবারে হ্যাটা দেব না, তাহলে লোকে আমার কথা শুনবেই না। ইগোয় লাগবে। আবার তাদের স্তুতিভজনাও করব না, তাহলে তারা আমার কাছে কেন আসবে? ঘ্যাম নিয়ে কেটে যাবে। তাদের যথোচিত হাইট দিয়ে তারমধ্যেই বিনীত ভাবে জানিয়ে দেব আমাদের দেশের দর্শন ইত্যাদি আর কি কি তাদের চেয়ে কত ভালো। লোকটা তাই করেছে। বেশ করেছে। তারপর দেশে ফিরে দেশের লোকেদের বলার সময় তাদের ঘাড় ধরে বলেছে, এইসব ছাগলামি বন্ধ কর। কুসংস্কার ছাড়। যে ভাষণে মূলত নিম্নবর্ণের লোকেরা ছিল সেখানে বলেছে উচ্চবর্ণদের থেকে সমাজের কর্তৃত্ব ছিনিয়ে আনতে কি করতে হবে। পড়তে হবে। ইকুয়ালি কমপিট করতে হবে। উচ্চবর্ণদের ভিড়ে বলেছে তাদের কি করা উচিত, নিচুবর্ণেদের চাপ না দিয়ে সমান দেখার ফান্ডায়। সেই সময়ের বাবু কালচারে ডুবে থাকা ম-কারে মত্ত লোকজনদের বলেছে ব্রহ্মচর্যের কথা। শরীরী আকর্ষণ থেকে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করেছে। ভোগের পাশে ত্যাগের মহত্ব গেয়েছে। আর মেয়েদের জন্যে খুঁজেছে আরেক মেয়ে বিবেকানন্দকে। সেই সমাজে দাঁড়িয়ে মেয়েদের মধ্যে থেকে মেয়েদের জন্যে কাজ করলে কি পরিমাণ কুচ্ছো আর অকারণ বদনামী হয় তা তো রামমোহন আর বিদ্যাসাগরকে দেখেই বোঝা যায়। সেসবের সাথে কমব্যাট করে ওদিকটায় এই অকারণ শক্তিক্ষয় না করে ওদিকটা মেয়েদের হাতে ছেড়ে দেওয়াটাই তো মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ। আমি হলে তো অন্তত তাই করতাম। না হলে আর একটা রামমোহন বা বিদ্যাসগর হত, যাদের হয়ে কোনো কাজ করার মত কেউ আজকের ভারতে নেই। একটা একক আদর্শ, কোনো দেশজোড়া দীর্ঘস্থায়ী সংগঠন নয়। রামকৃষ্ণ মিশনে যত ব্রিলিয়ান্ট ছেলেরা তাদের কেরিয়ারের মোহ ছেড়ে ব্রহ্মচারী হয়েছে, সন্ন্যাসী হয়েছে, সারদা আশ্রমে তার কত শতাংশ হয় আমার জানা নেই, তাই ঐ কোয়ালিটির মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অভাব প্রসঙ্গে কিছুই বলা গেল না। নিবেদিতা কেন, অন্য কোনো মহিলা যদি নিজেকে বিবেকানন্দের লেভেলে নিয়ে যেতে পারত, তো এদেশে স্ত্রীশিক্ষা বা নারীপ্রগতির ইতিহাস অন্যরকম হত হয়ত। সে ক্যালির মেয়ে পাওয়া যায় নি, কি করা যাবে?

    তো এই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফোরামে বলা বিভিন্ন কনটেক্সটের থেকে হাফকোট করে যদি তার দ্বিচারীতা কি কনট্রাডিকশন কনস্ট্র্যাক্ট করা হয়, তো সেটাকে আরবিটই বলব।

    (হ্যাঁ, যা যা লিখলাম সেসব বাণী ও রচনা রিভিসন না দিয়েই লিখলাম, কাজেই আক্ষরিক কোট খুজবেন না যেন complete works এ । )
  • Mridha | 65.200.157.179 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৫৩515468
  • যদিও টাই এর আলোচনা আর বিষয়ের থেকে একটু সরে যাচ্ছে, তবে dukhe বাবুর লেখাটা ভাল লেগেছে, আর ওনার উদ্দেশেই লেখা, আমার পড়াশুনা বেশি নেই, বিবেকানন্দকে জানা অনেকটা আমার 'টুকরো আমার কুড়িয়ে পাবার মত', ওনার দর্শনটা আমার অনেকটা এই রকম লাগে:

    •The purpose of life is to make our personality better than what we were born with.
    •Our better thoughts always have a tendency to be overpowered by our illusion about the happiness ( we tempt to get more fun than joy), that’s call MAYA. All the living beings do have their very own maya and the purpose of life is to clear this. If we keep on doing this, we start getting more joy and feeling more content in our own life.
    •Third important point is this world was never perfect and will never be perfect, it’s a game of different atmna playing under different level of maya but through this exercise room of world only, we can uplift ourselves.
    •We don’t go from wrong to right in this life but truth to better truth.


    আসল বস্তুটা কি এটার কাছাকছি ?
  • rimi | 168.26.205.19 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৫৮515471
  • ইন্দোদাদা, দারুণ। আরো লেখ। কোথায় পেলে এগুলো?

    আমারো এই টই থেকে একটা লাভ হল এই যে অনলাইন লাইব্রেরি থেকে বিবেকানন্দের কমপ্লিট ওয়ার্ক্স নামালাম। বইএর প্রথমেই আছে বেশ কিছু চিঠি, আমেরিকার যাত্রাপথে এবং আমেরিকা থেকে লেখা। কয়েকটা চিঠি পড়লাম, এবং মুগ্‌ধ হলাম। কিছু অরিজিনাল আর কিছু ট্রানস্লেশন। ভারি সুন্দর চিঠিগুলো, আধ্যাত্মিকতা বা সমাজ সংস্কারের জন্যে নয়, নিছক সাহিত্যগুণে।
  • I | 14.99.18.39 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৫৮515469
  • ওমনাথ ভালো লিখেছে।
  • omnath | 117.194.204.255 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০১:০০515472
  • ও: অনেক আগে লেখা শুরু করেছিলাম, অনেক লেটেস্ট কমেন্ট না পড়েই পোস্ট করেছি। অকারণ পরিশ্রম। যাই ঘুমোই। ;-)
  • I | 14.99.18.39 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০১:০৪515473
  • হ্যাঁ, এটা তো খুবই ঠিক। খুব পাওয়ারফুল লেখক ছিলেন। ভাষা থেকে তেজ ঠিকরে বেরোত। ধর্মসংস্কার করতে যাওয়ায় একজন ভালো লেখককে বাঙালী হারালো। তাতে ভালো হল না মন্দ হল তা জানি না।
  • maximin | 59.93.211.140 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০১:১০515474
  • বাঙালী আজকাল লোকসমাজে বাহির হইয়াছে। মুশকিল এই যে, জগতের মৃত্যুশালা হইতে তাহার কোনো পাস নাই। সুতরাং তাহার কথাবার্তা যতই বড়ো হোক, কাহারো কাছে সে খাতির দাবি করিতে পারে না। এইজন্য তাহার আস্ফালনের কথায় অত্যন্ত বেসুর এবং নাকিসুর লাগে। না মরিলে সেটার সংশোধন হওয়া শক্ত।

    তর্কের দ্বারা লজ্জা যায় না। বিশ্বকর্মা নৈয়ায়িক ছিলেন না, সেইজন্য পৃথিবীতে অযৌক্তিক ব্যাপার পদে পদে দেখিতে পাওয়া যায়। সেইজন্য, যাহারা মরিতে জানে না, তাহারা শুধু যুদ্ধের সময়ে নহে, শান্তির সময়েও পরস্পর ঠিক সমানভাবে মিশিতে পারে না। যুক্তিশাস্ত্রে ইহা অসংগত, অর্থহীন, কিন্তু পৃথিবীতে ইহা সত্য।

    অতএব, আরাম - কেদারায় হেলান দিয়া পোলিটিকাল সুখস্বপ্নে যখন কল্পনা করি ‘সমস্ত - ভারতবর্ষ এক হইয়া মিশিয়া যাইতেছে', তখন মাঝখানে এই একটা দুশ্চিন্তা উঠে যে, বাঙালির সঙ্গ শিখ আপন ভাইয়ের মতো মিশিবে কেন? বাঙালি বি .. এবং এম .. পরীক্ষায় পাস হইয়াছে বলিয়া? কিন্তু যখন তাহার চেয়ে কড়া পরীক্ষার কথা উঠিবে তখন সার্টিফিকেট বাহির করিব কোথা হইতে? শুদ্ধমাত্র কথায় অনেক কাজ হয়, কিন্তু সকলেই জানেন চিঁড়ে ভিজাইবার সময় কথা দধির স্থান অধিকার করিতে পারে না; তেমনি যেখানে রক্তের প্রয়োজন সেখানে বিশুদ্ধ কথা তাহার অভাব পূরণ করিতে অশক্ত।
  • maximin | 59.93.211.140 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০১:১৪515476
  • অথচ যখন ভাবিয়া দেখি আমাদের পিতামহীরা স্বামীর সহিত সহমরণে মরিয়াছেন, তখন আশা হয়–মরাটা তেমন কঠিন হইবে না। অবশ্য, তাঁহারা সকলেই স্বেচ্ছাপূর্বক মরেন নাই। কিন্তু অনেকেই যে মৃত্যুকে স্বেচ্ছাপূর্বক বরণ করিয়াছেন, বিদেশীরাও তাহার সাক্ষ্য দিয়াছেন।

    কোনো দেশেই লোকনির্বিশেষে নির্ভয়ে ও স্বেচ্ছায় মরে না। কেবল স্বল্প একদল মৃত্যুকে যথার্থভাবে বরণ করিতে পারে–বাকি সকলে কেহ বা দলে ভিড়িয়া মরে, কেহ বা লজ্জায় পড়িয়া মরে, কেহ বা দস্তুরের তাড়নায় জড়ভাবে মরে।

    মন হইতে ভয় একেবারে যায় না। কিন্তু ভয় পাইতে নিজের কাছে ও পরের কাছে লজ্জা করা চাই। শিশুকাল হইতে ছেলেদের এমন শিক্ষা দেওয়া উচিত, যাহাতে ভয় পাইলেই তাহারা অনায়াসে অকপটে স্বীকার না করিতে পারে। এমন শিক্ষা পাইলে লোকে লজ্জায় পড়িয়া সাহস করে। যদি মিথ্যা গর্ব করিতে হয় তবে ‘আমার সাহস আছে' এই মিথ্যা গর্বই সব চেয়ে মার্জনীয়। কারণ, দৈন্যই বলো, অজ্ঞতাই বলো, মূঢ়তাই বলো, মনুষ্যচরিত্রে ভয়ের মতো এত ছোটো আর কিছুই নাই। ভয় নাই বলিয়া যে লোক মিথ্যা অহংকারও করে, অন্তত তাহার লজ্জা আছে এ সদ্‌গুণটারও প্রমাণ হয়।

    নির্ভীকতা যেখানে নাই, সেখানে এই লজ্জার চর্চা করিলেও কাজে লাগে। সাহসের ন্যায় লজ্জাও লোককে বল দেয়। লোকলজ্জায় প্রাণবিসর্জন করা কিছুই অসম্ভব নয়।

    অতএব আমাদের পিতামহীরা কেহ কেহ লোকলজ্জাতেও প্রাণ দিয়াছিলেন, এ কথা স্বীকার করা যাইতে পারে। প্রাণ দিবার শক্তি তাঁহাদের ছিল–লজ্জায় হোক, প্রেমে হোক, ধর্মোৎসাহে হোক, প্রাণ তাঁহারা দিয়াছিলেন, এ কথা আমাদিগকে মনে রাখিতে হইবে।

    বস্তুত দল বাঁধিয়া মরা সহজ। একাকিনী চিতাগ্নিতে আরোহণ করিবার মতো বীরত্ব যুদ্ধক্ষেত্রে বিরল।

    বাংলার সেই প্রাণবিসর্জনপরায়ণা পিতামহীকে আজ আমরা প্রণাম করি। তিনি যে জাতিকে স্তন দিয়াছেন, স্বর্গে গিয়া তাহাকে বিস্মৃত হইবেন না। হে আর্যে, তুমি তোমার সন্তানদিগকে সংসারে চরম ভয় হইতে উত্তীর্ণ করিয়া দাও। তুমি কখনো স্বপ্নেও জান নাই যে, তোমার আত্মবিস্মৃত বীরত্ব - দ্বারা তুমি পৃথিবীর বীরপুরুষদিগকেও লজ্জিত করিতেছ। তুমি যেমন দিবাবসানে সংসারের কাজ শেষ করিয়া নি:শ পতির পালঙ্কে আরোহণ করিতে দাম্পত্যলীলার অবসানদিনে সংসারের কার্যক্ষেত্র হইতে বিদায় লইয়া তুমি তেমনি সহজে বধূবেশে সীমন্তে মঙ্গল - সিন্দুর পরিয়া পতির চিতায় আরোহণ করিয়াছ। মৃত্যুকে তুমি সুন্দর করিয়াছ, শুভ করিয়াছ, পবিত্র করিয়াছ–চিতাকে তুমি বিবাহশয্যার ন্যায় আনন্দময় কল্যাণময় করিয়াছ। বাংলাদেশে পাবক তোমারই পবিত্র জীবনাহুতি - দ্বারা পূত হইয়াছে–আজ হইতে এই কথা আমরা স্মরণ করিব। আমাদের ইতিহাস নীরব, কিন্তু অগ্নি আমাদের ঘরে ঘরে তোমার বাণী বহন করিতেছে। তোমার অক্ষয় অমর স্মরণনিলয় বলিয়া সেই অগ্নিকে, তোমার সেই অন্তিমবিবাহের জ্যোতি:সূত্রময় অনন্ত পট্টবসন - খানিকে, আমরা প্রত্যহ প্রণাম করিব। সেই অগ্নিশিখা তোমার উদ্যত বাহুরূপে আমাদের প্রত্যেককে আশীর্বাদ করুক। মৃত্যু যে কত সহজ, কত উঙ্কÄল, কত উন্নত, হে চিরনীরবস্বর্গবাসিনী, অগ্নি আমাদের গৃহ প্রাঙ্গণে তোমার নিকট হইতে সেই বার্তা বহন করিয়া অভয় ঘোষণা করুক।
  • I | 14.99.18.39 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০১:১৪515475
  • রিমির ঐ "আরো কিছুদিন বেঁচে থাকলে' বলায় মনে হল। সত্যি, কত অল্পদিন বাঁচলেন। এই দিক থেকেও শংকরের সাথে এক তা অ্যানালজি চলে আসে। যেন দ্বিতীয় শংকর। তেমনি মেধা, তেমনি ছোট্ট জীবন। তবে শংকরের বোধ হয় দর্শনে কϾট্রবিউশন বেশী ছিল, যাঁরা জানেন বলতে পারবেন।
    ডায়াবেটিস ছিল বিবেকানন্দের। এক জায়গায় পড়ছি হাত-পা ফুলে যাচ্ছিল। কবিরাজ জল ও লবণ কম খেতে বলেছেন। রঙ্গনের লেখায় পড়লাম কার্ডিয়াক অ্যাজমা ছিল । অর্থাৎ পালমোনারি ইডিমা হত মাঝেমধ্যে। সম্ভবত: তাতেই মারা গেলেন। ডায়াবেটিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি? ইসকিমিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি? সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল কখনো? কে জানে ! তখন তো চিকিৎসাও ছিল না তেমন !
  • maximin | 59.93.211.140 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০১:১৬515477
  • এই হল শ্রীল শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বক্তব্য।
  • aka | 168.26.215.13 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০১:২৫515478
  • সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল যখন বিলেতে তখন। কোথায় জানি পড়েছি, ওনার মনে হয়েছিল হার্ট বন্ধ হতে চলেছে।
  • I | 14.99.18.39 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০১:৩২515479
  • ম্যাক্সিদি, গুড জব। এই কনট্রাডিক্ষনকে আমরা ছোটবেলায় ( অর্থাৎ কিনা যখন লিবারেশন আপিসে যেতাম এবং দেশব্রতী-তে অনিন্দ্যসেন-অরিন্দম সেনের "অতিকথার বাংলায় আরো একবার' পড়তাম ও বাড়ি ফেরার পথে ক্রীক রো'র মুখে শুঁড়ওলা চিংড়ির চপ কিনে খেতাম) গোদা বাংলায় উনিশ শতকীয় বাঙালী নবজাগৃতির জন্মদাগ বলে জানতাম।
  • ridhhiman | 108.218.136.234 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০১:৩৩515480
  • আচ্ছা, বিপ্লব, আপনার এরকম কেন ধারণা আপনাকে রিফিঊট করতে গেলে ফুকো দেরিদা, আর প্লেটোর রিপাবলিক পড়তে হবে?
    ভাবছেন, পাবলিক ডন ২ দেখছে, হাসছে, জোক মারছে তাই আর এগুলো পড়ে উঠতে পারেনি? খুব মজা না? সবাই রাত জেগে চুপি চুপি পড়ে নিচ্চে, তারপর সকালে এসে বলছে, আইরিশ রাম দিয়ে নারকেল নাড়ু বানালাম, সুবর্ণলতা দেখলাম, সান্দখফু গিয়ে হুলিয়ে মাল খেলাম,--আর মুর্গি হচ্ছেন আপনি । স্কুলের ছেলে ছোকরাদের ছেঁদো স্ট্রাটেজি(আমি নিজে এরকম করব না) কিন্তু পয়েন্ট টা হল, সবাই আপ্নার থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, আপনি জানতেও পারছেন না। এটা কি মুক্তমনা পেয়েছেন? চুলে তেল লাগানো সরল ছেলেপুলে পেটে টোকা পড়তেই হুড়মুড় করে মাগ্গা বলে দিল?

    এখানকার সম্পাদক কিন্তু দেরিদা জানে! আমি নিজের চোখে দেখেছি। আমি নিজে প্লেটো ডেমোক্রিটাস, ওয়েডিপাস ইত্যাদির মাস্টার। সোজাসুজি বলছি। এখানে হ বলে এক্‌জন লেখে, সে ফুকোর পেনডুলাম ধরে নাড়িয়ে দেবে , ফুকো কিস্‌সু টি বলবে না । বড়জোড় উদ্বাহু হয়ে সন্সেহে 'নাড়া নাড়া' (গান্ডু সিনেমার লাস্ট গান) গাইবে।

  • maximin | 59.93.211.140 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০১:৩৪515482
  • *নি:শব্দে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন