এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গল্পের টই

    M
    অন্যান্য | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৯৩৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 115.184.6.214 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:৫২424385
  • লেখায় অন্যরকম গভীরতা আসছে। খুব ভালো।
  • de | 117.98.67.102 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৭:৫৯424386
  • বম্ম,
    আমি খুব সহজে আইডেন্টিফাই কোত্তে পারলাম যাদের কথা লিখেছো, খুব ভালো হচ্ছে, চালিয়ে যাও, থেমো না :)

    তিল কি জেমস নাকি? আমারো কেমন সন্দ হচ্ছে :)
  • til | 220.253.71.161 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:৩৬424387
  • উঠো উঠো এম রানী কত নিদ্রা যাও।
    কফি বানাইয়্যা আনছি আমি
    মৌজ কইর‌্যা খাও।।

    কফি খাইয়্যা লিখতে বসো এক্সপ্যাটদের নষ্টামী
    আঁচল গলায় বইস্যা আছি
    শুনবো তোমার কহানী।।
  • Nina | 76.124.208.223 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:৩৮424388
  • জেমস/তিল :-)
  • M | 59.93.203.135 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৩২424389
  • আগে মৌজ কইরা কফি তো খাই। আহা!
  • kk | 76.114.64.110 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৪২424390
  • বড়ম'র সিরিয়াস লেখা গুলো বেশ ভালো হয়। ফচ্‌কে লেখার থেকে এগুলো বেশি ভালো লাগে।
  • M | 59.93.169.64 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৩:২৫424391
  • থ্যাঙ্কু :)
  • M | 59.93.169.64 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৩:৪৮424392
  • এদিকে অর্ক খবর পায় ওর পাওনা যে টাকা শ্রীকে পাঠানোর কথা তা দেওয়া হয়নি।কি করা যাবে যখন খারাপ সময় আসে তখন এমন সবই ঘটতে থাকে।

    এদিকে জ্যাঙের বাড়ীতেই অফিস ছিলো আর অর্ক ও সেখানে থাকতো কাজ করার সময়। জ্যাঙ মি: তুষারকে তার বাড়ী খালি করে দিতে বলে, আর তিনিও অন্য জায়গায় অফিস নিয়ে যান। আবার সেই বাড়ীতেই নতুন করে ব্যবসা শুরু করে অর্ক।

    এদিকে ক্যাপিটালের অভাব , আর দুজন ও দেশীয় মানুষ আসেন ব্যাবসার জন্য। অনভিজ্ঞ জ্যাঙ আর অর্ক তাদের সাথে ব্যবসা শুরু করে। প্রথম ব্যবসা যেদিন পায় ওরা আনন্দে সেটা সেলিব্রেট করে।কিন্তু কিছু মানুষ থাকে ওঁত পেতে। তারা তোমার দু:খের সময় সাথী হিসাবে আসবে আর সুযোগ বুঝে নিজেদের ফায়দা তুলে নেবে।

    দেখা গেলো বাকী দুজন যেহেতু বেশী টাকা ঢেলেছে তাই তারা আর কোনো কাজ তো করছেই না উল্টে প্রতিবারেই নিজেদের প্রথম শেয়ার তুলে নেবার পর ও নানান ভাবে ব্ল্যাকমেলিং করে টাকা আদায় করে নিয়ে যাচ্ছে।শক্ত হাতে অনেককিছু মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হয় অর্ককে। তবু সে হার মানতে নারাজ।

    অবশেষে প্রত্যাশিত ফল মিলতে শুরু করে। জ্যাঙ আর অর্ক নিজেদের ব্যবসা শুরু করে নিজেদের টাকায় আর লাভের টাকা কিছু নিজেদের ব্যায়ের জন্য রাখতে পারে।কিছু মানুষ যেন আগের জন্মের কোনো আত্মীয়তা সুত্রে এ জন্মে আবার ফিরে আসে কাছাকাছি। নইলে জ্যাঙ আর অর্ক কি করে পরস্পরের কাছে এলো। জ্যাঙ বিপদে বা কঠিন সময় কখন ও অর্ককে ভুল বোঝেনি বা তার প্রচুর সুযোগ থাকা সঙ্কেÄও কোনো অন্যায় সুযোগ নেয় নি।

    অর্ক ভাবে এবার শ্রীদের আনতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে ওর আনার ক্ষমতা আছে।
  • M | 59.93.222.154 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৩৬424393
  • ছ বছরের পুঁচকে নিয়ে শ্রী এর প্রথম বিদেশ ভ্রমন।খুব দুরে যেতে হলে কোনো বাড়ী থেকেই ছাড়া হতো না। আর এ তো একদেশ থেকে আরেক দেশ।অর্ক খুব চিন্তায় ছিলো। কিন্তু কি করা যাবে।

    এবার বিদেশে নিয়ম হলো দেশ থেকে কোনো কারোর আত্মীয় বা কেউ এলেই পার্টির হুল্লোর বয়ে যাবে।আসলে কিছু উপলক্ষ্য চাই আনন্দ করার।আর অর্ককেও তাই পার্টি দিতে হলো। সবাই এলেন আর সবাই তাদের বাড়ী যাবার আহবান জানিয়ে বিদায় নিলেন,কিন্তু এত বড় খোরাক কি নিরামিষ যাবে?যাওয়ার সময় কেউ কেউ বলে গেলেন যে আমরা কি গাড়ীতে লিফট দেবো? আফটার অল অত গিফট, যার জন্য পার্টি দেওয়া সেগুলো তো নিয়ে যেতে হবে।

    তারপর শুরু হলো আরো মজার সব ঘটনা।একটি ফ্যামিলি ওদের যেতে বলেন।অর্ক ছেলে আর বৌ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে পৌছে যায়। তখন ও তারা অফিস থেকে ফেরেননি।তাদের বাচ্চাটা মেডের কাছে খেলা করছে। তো মেড দরজা খুলে ওদের বসায়।আর কিছুক্ষন পর ওরা আসেন আর চৌধুরী মিসেস খুব অসন্তোষ নিয়ে তাকান, যেন আসতে বলেছি আর হ্যাংলার মতো চলে এলো দেখো।

    শ্রী অর্ককে চোখের ইশারায় বলে, চলো বাড়ী যাই।কিন্তু সে ভদ্রতার খাতিরে বসে থাকে।

    বেশ খানিকক্ষন পর সেই মহিলাটি স্নান করে নিচে আসে আর একটাও কথা না বলে হাতের ফোন তুলে নিয়ে কথা শুরু করেন।

    হাই বীনা,হ্যাঁ রোবিবারের পার্টির জন্য রিমাইন্ডার দিতে ফোন করেছি।হ্যাঁ হ্যাঁ বেশী জনকে বলতে পারবো না, না না , কিটি, শুধু আমরাই, মানে বউরাই, বরদের বাদ(খুব স্যাটিসফ্যাকশনের হাসি)আরে (কিছু মহিলাদের নাম বলে) এরা মানে সবাই, বাকী যারা তাদের কি ভাবে বলি বলো?তাহলে তো মাটিতে বসাতে হবে।(আবার নির্লজ্জের মতো হাসি)

    এইরকম একেরপর এক হেনস্তা চললো ওদের।শেষে দেশীয় লোকেরা পার্টিতে ডাকেলেই শ্রী আর ছোট্টটা ভয়ে সিঁটিয়ে যেতে শুরু করলো, মা মা প্লিজ বাবাকে বলো আমায় যেন বাড়ীতে তালা দিয়ে যায়, আমিতো এটিকেট গুলো ঠিক জানিনা।শ্রী এর ও একই অবস্থা, কিন্তু বলতে ভয় পায়।

    এরমধ্যে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে পার্টি হয়।শ্রী অবাক হয়ে খেয়াল করে বাঙালী অনুষ্ঠানে যে কটি সুন্দর বাঙলা প্রোগ্রাম হলো তা বাঙলাদেশীদের পরিচালনায়।কালচারাল দিক দিয়ে ওরা অনেক রিচ ভারতের বাঙালীদের থেকে।এখানেও এক নাটক শুরু হয়।

    মিসেস তুষার আসেন প্রোগ্রামের মাঝখানে, ভীষন ব্যস্ত মানুষ তিনি,তিনি এসে একটা লম্বা কবিতা পড়তে শুরু করলেন তার নিজের লেখা, অতি খাজা, সব মহিলাদের নাম জড়িয়ে চুড়ান্ত ন্যাকা কবিতা। শেষে পুরুষদের নিয়েও খানিক সে নাটক চললো।আসল নাটক শেষে; বাকী যারা আছেন তাদের নিয়ে আমার লেখার প্রবৃত্তি হলো না।আজব স্বভাব হয় মানুষের, হিংসের চোটে তারা বাস্তব জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, প্রায় ই দেখা যায় অন্যকে ছোট করতে গিয়ে সবার আগে নিজেকেই ছোট করে ফেলে।

    যত সুন্দর স্মৃতি ওদের প্রথমবার ঘোরার রইলো তা কেবল যে সময় ওরা নিজেদের কম্যুনিটির বাইরের মানুষদের সাথে এবং নিজেদের ফ্যামিলির মধ্যে কাটালো। তাই বা কম কি!

  • M | 59.93.222.154 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৫০424395
  • এরপর দিন কেটে যেতে থাকলো নিজের নিয়মে।আর উপরওয়ালার আজব খেল। ঠিক অর্ককে তাড়ানোর এক বছরের মাথায় মি: তুষারের কাজ চলে যায় নিজের কোম্পানির থেকে চুরির দায়ে।ব্যবসাও লাটে ওঠে।এবং দেশে ফেরার আগে শেষ কটি দিন কাটাতে হয় মাথা নীচু করে অন্যের আস্থানায়।

    অর্কর ব্যবসা দিন দিন বাড়তে লাগলো।এর মধ্যে ভারতের এক বড় কোম্পানি জয়েন্ট ভেঞ্চারের অফার দিয়েছে অর্কর কোম্পানিকে।এই কাজটা শুরু করতে পারলে জ্যাঙ আর অর্ক দুজনেই আইনত একটা ভালো পার্সেন্টেজের মালিকানা পাবে।সৎ ভাবে কাজ করলে যে তার ফল পাওয়া যাবেই তা ওরা দুজনেই জানে।

    ঘটে গেছে আরো কতো কি।শ্রী আর অর্কর দুরত্ব ক্রমশ: বাড়ছিলো। ওরা দুবছর একসঙ্গে থাকে বাচ্চাটাকে হোস্টেলে রেখে, এর দুটো ফল হয়, ওরা নিজেদের খুব ভালো করে চিনে নিতে পারে বিয়ের এতগুলো বছর পরে। আর বাচ্চাটা ক্রমশ: মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। তাই ওরা ঠিক করে যতদিন না সময় হয় অর্ক ব্যবসা নিয়ে এগোবে আর শ্রী বাচ্চাকে নিয়ে।

    অপেক্ষা করে সুদিনের, আর রাত কেটে নতুন দিন আসে। অর্ক রেডি হয় কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য।
  • M | 59.93.222.154 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৫২424396
  • শেষ

    ড্যাং ড্যা ড্যাড্যাং..........
  • a | 115.117.149.208 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:০৫424397
  • একি সত্যি কথা? এতো নির্লজ্জ মানুষ হতে পারে? এত নিষ্ঠুর?
  • Ninaa | 66.240.33.39 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:০৭424398
  • কিকিয়াআআআ, খুব ভাল লাগল--অর্ক, শ্রী ও বচ্চাটার (নাম দিসনি কেন র‌্যা ) উত্তোরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি। আরও ভাল হোক, আরও ভাল হোক, খুউউব ভাল হোক!:)
    এবার আর একটা শুরু কর।
  • Du | 65.124.26.7 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৩৫424399
  • কান্না নেই, শুকনো খটখটে চোখ - এ গল্প পড়ে কিছু বলার থাকে না বড়ম - মাঝেও না, শেষেও না।
  • kk | 76.114.64.110 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:২১424400
  • বড়ম, একটা কথা বলব? তুমি এই ধরণের সিরিয়াস লেখার দিকে একটু মন দাও না। আমার মনে হয় তুমি আরো অনেক লিখতে পারবে। মানে, বি সিরিয়াস উইথ সিরিয়াস লেখাপত্তর :)।
  • M | 59.93.212.78 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৫424402
  • যারা
  • M | 59.93.212.78 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৫424401
  • অ কলি! কি চেষ্টালুম সিরিয়াস হবার জন্য কিন্তু হওয়াই যাচ্ছে না।

    আচ্চা যার পড়লে সবাইরে থ্যাঙ্কু।
  • M | 59.93.206.109 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:১৪424403
  • টইটাকে তুলে দে গেলাম,

    আজ বিয়ে বাড়ী যাবো, হেবি সাজবো।

    আর এসে যেন দেখি কেউ না কেউ গপ্প লিখতে শুরু করেছে।

    দিদিয়া, শিবাংশুদা, রঞ্জনদা, জেমস,কলি, আরো সবাই যারা আমি ডাকলে রাগ করবে না তাদের ডেকে গেলাম।
  • de | 59.163.30.5 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:২২424404
  • বম্ম,
    খুব তাড়াতাড়ি শ্যাষ হইলো। এট্টা কথা কই -- মনে কেমন সন্দ, এ কি আপ্তোজীবনী :))?

    যাগ্গে, আমি পরের গল্পের জন্য বসে রইলাম।
  • Lama | 203.99.212.53 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৮:৫৪424406
  • ছুটির দিন। বি ই কলেজের হোস্টেলে দুপুরের আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। মলিন চেহারার এক প্রৌঢ় বিনা অনুমতিতে, একটু কিন্তু কিন্তু পায়ে, ঘরে ঢুকে পড়লেন। ঢুকেই গড়গড় করে ইংরেজিতে (ইংরেজিটা ওঁর চেহারা আর সাজসজ্জার পক্ষে বেশ বেমানান যদিও) যা বললেন, তার সারমর্ম, 'বাবাসকল, আমি এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। পেনশন নিয়ে আইনি জটিলতার ফলে নিদারুন অর্থকষ্টে পড়েছি। তোমরা ছাত্র, একজন প্রাক্তন শিক্ষককে তোমরা আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে এই আশা নিয়ে তোমাদের কাছে আসা।'

    ও হ্যাঁ, লোকটির জামাকাপড় ময়লা হলেও চোখে একখানা ইম্প্রেসিভ দেখতে চশমা ছিল, আর তার আড়ালে চোখ দুটি বেশ উঙ্কÄল।

    আমরা সবাই বিরক্ত বোধ করলেও কেউ কেউ চুপ করে রইলাম। কেউ কেউ বলল 'জানেন না, এখানে ভিক্ষা করা বারন?' ইত্যদি। (লোকটিকে নিছক ভিখিরির চেয়ে বেশি কিছু না মনে করলেও ইংরেজি বলা ভিখিরিকে 'তুমি' বলে সম্বোধন করা যচ্ছিল না।)

    এর কয়েক মাস পর, লোকটিকে আবার দেখলাম কলেজের গেটে, ভাবিজির পুরী তরকারির দোকানের সামনে। ততদিনে তার গালের কাঁচাপাকা দাড়ি আরো খোঁচা খোঁচা হয়েছে। জামাকাপড় আরো ময়লা। তবে ইম্প্রেসিভ চশমার আড়াকে যথারীতি চোখ দুটি আগের মতই জ্বলজ্বলে। একটু অনুরোধের সুরে বলছিলেন, 'গোপাল, তোমাদের ঐ লুচিগুলো কত করে? এক টাকা? পঞ্চাশ পয়সা করে দিতে অসুবিধে হবে? '

    ****************

    এর মধ্যে দু বছর কেটে গেছে। চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে রি ইউনিয়নে গিয়েছিলাম। কলেজের গেস্ট হাউসে দু দিনের জন্য ঘর নিয়েছি। সকালবেলা ভাবলাম যাই অনেকদিন পর একটু ভাবীর দোকানের পুরী খেয়ে ব্রেকফাস্ট করি। দোকানে গিয়ে সবে খাওয়া শুরু করেছি, দেখি পাশের বার্জার পেইন্টসের কারখানার ভাঙ্গা পাঁচিলের ফাঁক দিয়ে একটা আধ পাগল মত লোক হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে এল। ভাবীর দোকানের সামনে চার হাত পায়ে এসে দাঁড়াতে, ভাবীর ছেলে গোপাল একটা পুরীতে কিছু সবজি মুড়ে লোকটির দিকে ছুঁড়ে দিল। লোকটি কুকুরের মত খেতে শুরু করল।

    লক্ষ্য করলাম, লোকটির চোখে চশমা রয়েছে, তার আড়ালে অসম্ভব জ্বলজ্বলে দুটো চোখ। কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারলাম না।
  • de | 117.98.158.47 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৫৪424407
  • লামা,
    উ:! কিছু বলার নেই!
  • M | 59.93.241.111 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:১৮424408
  • কি মারাত্মক!!!!!!!!!

    দে,
    হে হে :P
  • M | 59.93.203.197 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৩১424410
  • কেউ না লিখে আমার টই ডুবিয়ে দিলে এসব বাজে গপ্প ই লিখবো
  • M | 59.93.203.197 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৩১424409
  • বিকেলে স্কুল থেকে ফিরেই ছেলে কলিং বেল বাজিয়েই চলেছে,

    কি রে, থামবি তো?

    খোলোনি এখনো তো!

    খুলছি হতচ্ছাড়া।

    সারি উমরো হাম , মর মরকে জি লিয়ে।।।

    সেকি র‌্যা?

    এবার লজ্জায় বেগনে হয়ে, কি খাবো? রুটি খাবো নাআআআআআআ।

    চিল চিৎকার।

    আগে তো দ্যাখ, আর রুটিতে খারাপ কি আছে? তোর ভুঁড়ি নামবে কি করে?

    খেয়ে টেয়ে শান্ত, এবার দিদান বাড়ী যাবো।

    কেন?

    আজ ফ্রাই ডে। তাই।

    চল--

    ফেরার পথে রাস্তায় অটো নেই, চল হাঁটি, যতটা হাঁটা যায়।

    মা অন্যমনস্ক, হঠাৎ পাশে কিসব হচ্ছে, তাকিয়ে দেখে মনে হলো ঘুঁষি ছুঁড়ছে কেউ, ভ্যাবলা মা তাকিয়ে আছে, আর স্রেয়ন বনে যাওয়া ছেলে ও ঘুঁষি নাকের কাছে বাগিয়ে কাকে মারছে চিনতে না পেরে ঘুরে গেলো--

    কামে হামে হা

    বাবারে,

    হঠাৎ খালি অটো, দুজনেই সম্বিৎ ফিরে দৌড়, এই অটো এই অটো---

    বাড়ী এসে ধেড়ে খোকা মার কোল ঘেঁষে শুয়ে পড়েছে।

    একিরে তুই না বড় হয়ে গেছিস?

    অত বড় হইনিতো।

    তারপর ঘুমের দেশে , স্বপ্নেরা আসে।

  • Nina | 66.240.33.41 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৫২424411
  • কিকিয়া, তুই শত চেষ্টা কল্লেও বাজে গপ্প লিখতে পারবিনা রে--আর আমি, হে হে , হাজার চেষ্টা কল্লেও ভাল গপ্প নামাতে পারবনা!!
    টইটা ডুবতে দিসনা ---লিখো মেরি জান ফটা ফটাফট!
    তেকোনা কে ধরনা, লিখতে বল ওকে--

  • kk | 76.114.64.110 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:২০424412
  • আমি বড়ম কে একটা কথা জিগ্যেস করবো। তোমার লেখা থেকে জানলাম যে তুমি মানিকতলায়, বেহালায় থেকেছো। সম্ভবত বাংলায় পড়াশোনা করেছো। কিন্তু তোমার লেখায় প্রায়ই 'কেন কি','পুছো কিঁউ','হয়ে হবে' জাতীয় হিন্দী বলয় ঘেঁষা কথা দেখতে পাই। এর কারণ কি গো?
  • Lama | 117.194.226.137 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:২৭424413
  • বাজে গল্প লেখার কি প্রাণান্তকর চেষ্টা।

    হয়নি, হয়নি, একদম বাজে হয়নি।

    হয়নি, হয়নি, ফেল
  • til | 220.253.71.161 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:৩২424414
  • বিগ M বাঙাল ভাষা, ২৪ পরগনা, কলকাত্তাইয়া হালুম, হুলুম, খেলুম সব ডায়ালেক্টেই স্বচ্ছন্দ। লেখা পড়ে তাই ই তো লাগে। তার ওপরে হিন্দীর নারকেল কোরা ছড়ানো আরও বেশ লাগে।
  • A | 99.183.185.250 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:০১424415
  • কলেজের কোন গেটের (1st na 2nd?) কাছে "ভাবিজি'র" পুরি'র দোকান? (3rd গেট কে বাদ-ই দিলাম নাহয়- ওর বাইরে তো গরু/মোষের গোয়াল/খাটাল) :)

    ভাবিজি'র পুরি'র দোকানের নাম কেন জানিনা? (এটা কি গল্পের স্বার্থে বানানো দোকান? :D )অনুকূলের চপের দোকানের নাম কিম্বা মা কালীর মোগলাই পরোটার নাম কেন জানি?
    মনে কত্ত কত্ত প্রশ্ন কিলবিলাচ্ছে:(
  • m | 173.26.17.106 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:১৪424417
  • ভাবীর দোকান ফার্স্ট গেটের পাশে তো। পুরি তরকারি তেমন আহামরি নাহলেও (এখন ভাবলে মনে হচ্ছে অমৃত)চাটনিটা ফাস্টো কেলাশ:)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন