আপনি যে প্রশ্ন করছেন সেটার উত্তর খুব সজা সাপটা ভাবে দেওয়া যায়না । আমজনতা বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন ? আপনাকে তাহলে জানতে হবে সে সময় কারা সাহিত্যচর্চা করত ? কবিতা পড়ত ? সেটা নিয়ে আবার আলোচনা করত ?
তখন 'বাবু' সমাজের মধ্যেও সবাই তা করত না। 'বাবু' সমাজের মধ্যে একটা ইন্টেলেকচ্যুয়াল রিফর্মমিস্ট ক্লাস ছিল যারা বই পড়তেন । মাসিক পত্রিকা রাখতেন । সাহিত্য সভায় যেতেন । সাহিত্য গোষ্ঠী ও বিদ্যতসাহি সভা করতেন ।
'বাবু'দের মধ্যে পার্থক্য ছিল। ছাতু বাবু লাটু বাবু ও ঠাকুর বাড়ির তফাৎ ছিল। আবার বঙ্কিমচন্দ্রের মত ইন্টেলেকচ্যুয়ালরা লিটারেরি কালচার ডমিনেট করছেন যারা আক্ষরিক অর্থে কলকাতাবাসী নন। রমেশচন্দ্র দত্ত কলকাতাবাসী হলেও খুব আধুনিক মনভাবাপন্ন একটি পরিবারের সদস্য। দত্তদের এক্তা শাখা ক্রিশ্চান । আরেকটি রিফর্মড হিন্দু ।
রমেশ দত্তের বাড়ির অনুস্থানেই বঙ্কিম বাবু রবীন্দ্রনাথকে গলার মালা পরিয়ে দেন ।
উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের 'অ্যালবাম পুনশ্চ' বইতে একটি চিঠির উল্লেখ আছে আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীকে রবীন্দ্রনাথের লেখার কথা জানাচ্ছেন ১৮৯০ র শেষে । বইটা হাতের কাছে এখন নেই।
একদমই তাই। বাঙালি এখনও রবীন্দ্রনাথ পড়ে না। সাজিয়ে রাখে কেবলমাত্র। ওই দুঃখে আমি রচনাবলি কিনিনি। যা কিনেছি সব টুকরো টুকরো বই। বিশ্বভারতী থেকে। জলের দরে ফলের রস। ১৯৯০ নাগাদ।
আতোজ, এই যে কেবলমাত্র আপনার জন্য।
১৯০০ সালে বন্ধু প্রিয়নাথ সেনকে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, “ভাই,একটা কাজের ভার দেব? ... আমার গ্রন্থাবলী ও ক্ষণিকা পর্যন্ত সমস্ত কাব্যের কপিরাইট কোন ব্যক্তিকে ৬০০০ টাকায় কেনাতে পার? ... আমার প্রস্তাবটা কি তোমার কাছে দু:সাধ্য বলে ঠেকছে?” তত দিনে তিনি লিখে ফেলেছেন ‘মানসী’, ‘কড়ি ও কোমল’, ‘গল্পগুচ্ছ’, ‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’, ‘চৈতালি’, ‘রাজর্ষি’, ‘বাল্মীকি-প্রতিভা’, ‘বিসর্জন’ এবং ‘চিত্রাঙ্গদা’।
তাঁর নোবেল পাওয়ার পর এই পরিস্থিতির সহসা বদল ঘটে। এত দিন মুখ ফিরিয়ে রাখা বাঙালি তখন রবীন্দ্রনাথে এতটাই আপ্লুত যে, ভক্তের ভক্তির প্রাবল্যে ত্রস্ত কবি রোদেনস্টাইনকে ১৮ নভেম্বর, ১৯১৩তে লেখা চিঠিতে তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করে লেখেন,“The very first moment I received the message of the great honour conferred on me by the award of the Nobel Prize my heart turned towards you with love and gratitude. ... But, all the same, it is a very great trial for me. The perfect whirlwind of public excitement it has given rise to is frightful. It is almost as bad as tying a tin can at a dog’s tail, making it impossible for him to move without creating noise and collecting crowds all along. I am being smothered with telegrams and letters for the last few days and the people who have never had any friendly feeling towards me nor ever read a line of my works are loudest in their protestations of joy. ... Really, these people honour the honour in me and not myself.”
অনেক দিন আগে আনন্দবাজারে আমার লেখার একটা ছোট টুকরো তুলে দিলাম।
Atoz দা
আপনি বড়ো মুখ করে কিছু চাইছেন সেখানে না দেবার মতো দম আমার কলজে তে নেই
তবে ঠিক কি চাইছেন একটু পরিষ্কার করে বলবেন? আমি আবার রূপক টুপক বোঝার ক্ষ্যামতা রাখিনা জে
কোন পোস্ট এর রেফারেন্স ?
১৮৯৩ এ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ প্রতিষ্ঠা হয় । তার সহ সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ।
আতোজ আমি একেবারেই যোগ্য ব্যক্তি নই। তবে প্রিয়নাথ সেনকে তিনি যে চিঠি লিখেছিলেন ১৯০১ সালে মানে তাঁর ৪০ বছর বয়সে, তা থেকে স্পষ্ট তাঁর সাহিত্যকর্ম আদতেই জনসমাদৃত ছিল না।
বিলাতে খ্যাতি পাওয়ার পরে দেশে জনপ্রিয়তা পেলেন নিশ্চয় কিন্তু তার অনেক আগেই বাংলা সাহিত্যে তিনি সমাদৃত কবি ও সাহিত্যিক। ১৯১২ সালে সুভাষচন্দ্র বসু কটক থেকে কলকাতায় মাকে রবীন্দ্রনাথের কবিতার বই পাঠাতে বলছেন। সুভাষচন্দ্রের বয়েস তখন পনেরো । কবির পঞ্চাশ বছর বয়েসে তাঁকে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এবং সম্ভবত টাউন হলে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেটা সুখ্যাতি না থাকলে নিশ্চয় হত না।
রবীন্দ্রনাথের জীবন বিশদে জানতে, সেই সময়টা জানতে তাঁর জীবনীকারদের লেখা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করি। প্রশান্তকুমার পাল ঠাকুরবাড়ির হিসেবের খাতা, সমস্ত নথি , চিঠি, স্মৃতিকথা ও সরকারী তথ্য গবেষণা করে লিখেছেন ।
এছাড়া জাতীয় কংগ্রেস অধিবেশনের জন্যে 'বন্দেমাতরম' গানটির সুরারোপ করেছিলেন ১৮৯০ র দশকেই (সাল মনে পড়ছে না)। এগুলো পরিচিতিরই লক্ষণ তাও জাতীয় স্তরে ।
খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চাইলে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের 'রবীন্দ্র জীবনকথা' বা প্রশান্তকুমার পালের 'রবি জীবনী' র খণ্ড ঘাঁটতে হবে আপনাকে ।
'বিশেষ কেউ জানত না' সেটাও ঠিক নয়। তবে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে আবির্ভাব উল্কাপাতের ন্যায় নয়। যেটা মধুসূদনের ক্ষেত্রে হয়েছিল।
১৮৯৩ সালে রবীন্দ্রনাথের বয়েস বত্রিশ । পিতা ঠাকুরের নির্দেশে শিলাইদহে ঠাকুর এস্টেটের জমিদারী দেখেশোনা করছেন । কখনো কুঠিবাড়ি , কখনো 'পদ্মা' বোট থেকে ভাইঝি ইন্দিরা দেবীকে পূর্ববাংলার প্রকৃতি ও জীবনযাত্রা নিয়ে চিঠি লিখছেন, পরে 'ছিন্নপত্রাবলী' নামে প্রকাশিত, সুখ্যাত ও সমাদৃত । 'সাধনা' নামে একটি পত্রিকাও ঐ সময় সম্পাদনা করছিলেন ।
১৬ জুন ২০২০ ০১:২৬
Hutobabu আমি ক্ষমাপ্রার্থী , আগের দিন গোয়েন্দাগিরি ব্যাপারটায় আপনাকে আন্ডার এস্টিমেট করেছিলাম , আপনার deduction অনেকাংশে ঠিক
অবশ্য সিএস এর মেনসন করা দেশ নয় তবে ওই দেশের কাছাকাছি আর বেশ খানিকটা দূরে বসবাস
IP নিয়ে বেশ খেটেছেন বুঝলাম , ওটা আমার কাজ এর জন্যে একটা হাইফাই ভিপিএন নিতেই হয়েছে , মাসে প্রায় ৮০ ডলার equivalent খরচা , সে যাগ্গে , জিনিষটা কাজ করে নির্ভুল আর দ্রুত
আর ওই মাথা গরম ব্যাপারটা এতবার আপনি মেনসন করলেন , আমি দৃশ্যকল্প করছিলাম , আপনি ছয় চার , বাঁটুল এর মতো বডি , পরনে কালো স্যান্ডো গেঞ্জি , লোমশ বুকে সোনার মোটা চেন , তাতে চে র ছবি দেওয়া লকেট , পকেটে খুর নিয়ে বাইকে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন
আমি পাঁচ তিন , ছাতি ৩৪ , আসলে ঐসব মাথা গরম শুনে ঘাবড়ে গিয়ে দৃশ্যকল্প করে কাঁথামুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম , আপনার পরের পোস্ট পড়ে তবে উঠে দুটি মুড়ি বাসি আলুর চপ দিয়ে খেয়ে তবে পেত্যয় পেলাম
কুড়ি পয়সা র ব্যাপারটা বলার জন্য ও ক্ষমাপ্রার্থী তবে ৭৫ পয়সার কথা বলে প্রসঙ্গ টা সিএস প্রথম শুরু করেছিলেন
এতো কিছুর মধ্যে আকাদা আমায় ফাঁকি দিয়ে দিলেন , না পান্তুয়া না পায়েস না পুডিং , বাসি চপ ই ভাগ্যে ছিল
কি আর করা
আজ্ঞে কারও বইয়েই দিইনিকো। কল্লোলবাবুর একটা মন্তব্যে দিয়েছিলাম। ওতেই মহা অপরাধ হয়ে গেল। ঝাল পান? তা-ও দিয়েছি। অন্য একজনে লাগাতার চোপা দেখানোর অনেক পরে।