এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জম্বুদ্বীপ

    Abhyu
    অন্যান্য | ০৫ জুলাই ২০১০ | ৭৩৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 64.255.180.67 | ০৮ জুলাই ২০১০ ০০:৩২454425
  • 'বুদ্ধবাবুর কন্যা সুচেতনার বান্ধবীর বাবা' !!! হঠাৎ বুদ্ধবাবুর মেয়ে, তার বান্ধবী ইত্যাদিদের টেনে আনার কারন বুঝলাম না। এনারাও কি মাছ টাছ ধরেন? নাকি ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের অতনু রাহাই একমাত্র বিবাহিত সংসারী মানুষ !!!
  • a x | 143.111.22.23 | ০৮ জুলাই ২০১০ ০১:২৩454427
  • কেলোদা বোধহয় এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টটার কথা বলছিলেন?

    http://aidindia.org/main/content/view/90/39/
  • kelo | 117.254.245.37 | ০৮ জুলাই ২০১০ ০১:৩৬454428
  • “বুদ্ধবাবুর কন্যা সুচেতনার বান্ধবীর বাবা, আমাদের মাননীয় মুখ্য বনপাল শ্রী অতনু রাহা..”
    বাক্যটির তাত্‌পর্য অপরিসীম। আপনি সঠিক জায়গায় ধরেছেন...........

    আপনারা তো জানেন নিশ্চয়ই .. যে বুদ্ধবাবুর কন্যা শ্রীমতি সুচেতনা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ইংরাজীতে অনার্স নিয়ে পাশ করেছিলেন। তিনি কিন্তু হঠাতই পশুপ্রেমী হয়ে গেলেন। আমি বলছি না যে ইংরাজী পড়লে কেউ পশুপ্রেম করতে পারবেন না। কিন্তু পশুপ্রেম যদি আগে থেকেই থাকত তবে তাঁর জীববিদ্যা পড়ার সম্ভাবনাই বেশী ছিল.. ইংরাজী নয়। ইংরাজী পড়ার পর কারো অনুপ্রেরনা বা প্ররোচনায়ও তিনি পশুপ্রেমী হয়ে থাকতে পারেন।
    এক্ষেত্রে অনুপ্রেরনা টা ছিল... সুচেতনার সহপাঠী অতনুবাবুর কন্যা।
    আপনার এ বিষয়ে কিছু জানা থাকলে একটু জানাতে পারেন। পরে দেখবেন কাজে লাগবে। বিশেষকরে যদি জানাতে পারেন সুচেতনার বর্তমান কর্মক্ষেত্র।
    দুই কন্যার ঘনিষ্ঠতা এতই ছিল .. যে দুটি পরিবার পারিবারিক বন্ধুত্বের বন্ধনে বাঁধ পড়েছিলেন। দপ্তরের ফাইল চালাচালির বাইরে ছিল এ সম্পর্ক।
    সাহারা এই সম্পর্ক কাজে লাগায় দারুনভাবে... অন্তত: জম্বু দ্বীপের ক্ষেত্রে।

  • Blank | 64.255.180.67 | ০৮ জুলাই ২০১০ ০১:৪২454429
  • এগুলো ঐ সব ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টে আছে? তথ্য সুত্র সমেত !!!
  • a x | 143.111.22.23 | ০৮ জুলাই ২০১০ ০২:০১454430
  • ব্ল্যাংক কি আমারে জিগালো?
  • blank | 64.255.180.67 | ০৮ জুলাই ২০১০ ০২:০৪454431
  • নানা
    কেলো দাকে
  • | 210.193.178.129 | ০৮ জুলাই ২০১০ ০৪:৪৪454432
  • ma`tsa= মৎস
    --
    উরেব্বস, ভেতরে ভেতরে এতো?
  • Nina | 68.45.144.238 | ০৮ জুলাই ২০১০ ০৬:৫৮454433
  • WOW!! টান্টান হয়ে বসলাম :-০
  • a x | 143.111.22.23 | ০৯ জুলাই ২০১০ ০০:৫৬454278
  • ঐ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টেও দেখলাম লিখেছে জম্বুদ্বীপের নাম অন্য ছিল আগে - নিউমুর আইল্যান্ড। কিন্তু তারপর আবার গুগল সার্চ করে দেখলাম নিউমুর নামে একটা দ্বীপ নাকি ২০১০'এ জলের তলায় চলে গেছে (TOI'র খবর)! এই জায়গাটা নিয়ে তো ঐ ল্যান্ডম্যাপের মতই কনফিউশন দেখছি!
  • Blank | 59.93.203.89 | ০৯ জুলাই ২০১০ ০১:১৬454279
  • নিউমুর তো পুর্বাশা। ভুগোল বইতে থাকতো। জম্বু দ্বীপ আলাদা পুরো
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৯ জুলাই ২০১০ ১৫:৫২454280
  • অ কেলো, এ তো ডুবে যচ্ছে গো।
    এই ফাঁকে আমার দুটো গল্প বলে নেই।
    সেটা ২০০৫ ডিসেম্বর। অনেকদিনের বন্ধু শশাঙ্ক বললো গান গাইতে যেতে হবে NFFএর সম্মেলনে ডায়মন্ডহারবারে। শশাঙ্কর সাথে বন্ধুত্ব সেই এপিডিআর আমল থেকে। ওরা তখন দারুন একটা ছোট পত্রিকা চালাতো - মাটির কাছে।
    তখন শশাঙ্ক আরও কয়েক বন্ধু মিলে দিশা তৈরী করেছে। মূলত: চিকিৎসা বর্জ্য নিয়ে কাজ করতে করতে হরেকৃষ্ণ দেবনাথের হাত ধরে NFFএ। এই হরেকৃষ্ণদার কথা কেলো আগে বলেছে।
    তা গেলাম। বেলা ৯টা নাগদ পৌঁছে দেখি এক বিশাল হলে সম্মেলন সবে শুরু হয়েছে। হল বলতে আমাদের পরিচিত স্টেজ-গ্যালারী হল নয়। বিশাল এক গুদাম দোতলায়। একতলায় অনেক ঘর, সেখনে রাতে থাকা যায়।
    সম্মেলনে অনেকে বলছিলেন। সামুদ্রিক জলপাই কচ্ছপ বাঁচাতে বহুজাতিক মেছো কোম্পানীদের বাধ্য করা হোক আইন মেনে জাল বানাতে, যাতে সামুদ্রিক জলপাই কচ্ছপ সে জাল গলে যেতে পারে। কেউ বলছিলেন ঐ বহুজাতিকরা তাদের গভীর সমুদ্রের সীমনা ছাড়িয়ে চলে আসছে পাড়ের কাছে, ফলে এঁদের পাতা জাল ছিঁড়ে যাচ্ছে, পাড়ের কাছে মাছ প্রায় শূণ্য হয়ে যাচ্ছে। কেউ প্রস্তাব তুলছেন ডিম পাড়তে যাওয়া ইলিশ ধরা চলবে না।
    আমার কাছে সম্পূর্ণ অচেনা এক জগত। রোজ বাজরে যাই। মাছ কিনি না কিনি মাছ বেচা বন্ধুদের সাথে চা-বিস্কুট আড্ডা মারিই। মাছের পাইকরী বাজারের হাল হকিকত শুনি। তার পিছনে আর যাওয়া হয়নি কখনো।
    মাছ ধরা জীবীকার নানা সমস্যা। ট্রলারের যন্ত্রাংশের দাম বেড়ে যাওয়া। জালের মান নেমে যাওয়া, সবার উপরে বহুজাতিক মেছোদের দৌরাত্ম (এই একটা বিষয়ই চেনা চেনা লাগছিলো)।
    সকাল গড়িয়ে দুপুর। খাওয়া-দাওয়ার পর বিশ্রাম। অনেকেই চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুম। কেউ কেউ বিড়ি ধরিয়ে গুলতানি কচ্ছেন। এমন সময় হেঁকে উঠলেন নারানদা - এই যে মশয়, এখন একটু গান হবে নাকি?
    আমি যন্তর নিয়ে বসলাম ওনাদের সাথে। গান গাইলাম অনেকগুলো। তারপর আড্ডা শুরু হলো। নারানদাকে তিন-চার জন ওস্কাতে লাগলো - সেইটা বলো না ওনাকে। নারনদাও গুছিয়ে শুরু করলেন।
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৯ জুলাই ২০১০ ১৬:২৯454281
  • জাল পেতেছি। এবার ডাঙ্গায় নেমে খুঁটি পুঁতে জালের এপ্রান্ত আটকানো হবে। চার পাঁচ জন নেমেছি। আমি নজর রাখছি, অন্যেরা খঁটি পুঁতছে। ওদের মধ্যে একজন আমার ভাইপো। কিছু বোঝার আগেই সামনের হেতল ঝোপটা দুলে উঠলো আর আমার সামনে দিয়ে ঝাঁপ দিলেন তিনি ভাইপোর উপরে। হলো কি, ঝাঁপটা ঠিকমতো হয় নি বা ভাইপো কোন ভাবে কাদায় পিছলে ওনার পেটের তলায় উপুর হয়ে। পাছায় কামড় দেবার চেষ্টা করছেন তিনি। জিনস পড়ে থাকায় সুবিধা হচ্ছে না। এই পর্যন্ত হুঁশ ছিলো না আমার। হঠাৎ মনে হলো, আরে বৌদিকে কি বলবো। আমি আজও ভাবতে পারি না, কি করে কি করলাম। আমি ওনার মাথাটা দুহাত দিয়ে ঠেলছি আর মুখে বলছি যা যা.......... আর তিনি ঐ অবস্থায়েই গুড়ি মেরে পেছোচ্ছেন। আর আমি এতো বড়ো বোকা**, ভাবছি আমার ঠেলার চোটে উনি পেছোচ্ছেন। এই ভাবে পেছোতে পেছোতে ভাইপোর পিঠ পার হয়ে ঘাড়ের কাছে আসতেই আমার চোখের সামনে ওর মাথার পুরোটা মুখে পুরে চাপ দিলো। আমি খুলি ভাঙ্গার শব্দ শুনতে পেলাম। দু কষ দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত আর ঘিলু আমার মুখে ছিটকে এলো। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
    পরে সাথীদের মুখে শুনি ওরাও পেছন থেকে দা, লাঠি দিয়ে মারছিলো। কিন্তু কিছুই করা যায় নি এক ঝটকায় ভাইপোর দেহটা মুখে তুলে ঝাঁপ মেরে জঙ্গলে ঢুকে গেলেন।
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৯ জুলাই ২০১০ ১৬:৫৬454282
  • আমি থম মেরে ছিলাম। কিছু ভাবার মতো অবস্থা ছিলো না। নারানদা পিঠে হাত রেখে বললেন, এ তো লেগেই আছে। দাঁড়ান। মন পাল্টে দেই। ঠিক এই কথাটা বলেছিলেন, মন পাল্টে দেই।
    কাকে একটা ডেকে বললেন - তোমাদের সে কথাটা বলো এনাকে। মধুর সিজিনের কথাটা।
    তিনি শুরু করলেন, আজও তার নাম জানি না।
    চাক পাওয়া গেছে। মশাল জ্বালানো হয়েছে। মশাল মানে লাঠির আগায় প্রচুর খড় টাইট করে বাঁধা (অনেকটা বাবা ইয়াগার ঝাঁটার মতো)। তাতে আগুন লাগিয়ে দিলে ধোঁয়া হবে খুব। আগুন জ্বলবে ধিকি ধিকি। উনি বলেন নি। কিন্তু আমার মনে হয় সম্ভবত: ভেজা খড়।
    হঠাৎ আওয়াজ পেলাম একটা - হাঁক। অত বড়ো বস্তুটি যেন উড়ছে। সামনের সাথীর ঘাড়ে তাক। সে কি করে যেন (জান বাঁচানোর ঠেলায় মানুষ কি না করে) তার হতে ধরা মশালটি দিয়েছে তার হাঁয়ে ঠেসে। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। তার মুখের ভেতর ধিকি ধিকি জ্বলা মশাল, লাঠিটা বাইরে ঝুলছে। কোন মতে দুহাতে মুখ থেকে মশাল বের করে একটা হাঁকার ছাড়লো সে। তখনো প্রচুর জ্বলতে থাকা খড় তার মুখ ভর্তি। তারপর দৌড়লো জঙ্গলের ভিতর। আমরা পেছন পেছন গেলাম। দেখলাম, ঝোপের গায়ে, গাছের গুড়িতে গায়ের ছাল আটকে আছে। দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড়েছে সে।

  • til | 220.253.178.104 | ০৯ জুলাই ২০১০ ১৭:০৮454283
  • কল্লোল,
    প্রথমটায় ভ্যাবাচাকা খেয়ে গেলাম; জম্বুদ্বীপে বাঘ?
    ওহ, এটা অন্যখানে; তাই বলুন।
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৯ জুলাই ২০১০ ১৭:১৭454284
  • ও হ্যাঁ। আমারই ভুল। বলে নেওয়া উচিৎ ছিলো। ওঁরা সুন্দরবনের খাঁড়িতে মাছ ধরেন, মরশুমে মধু জোগাড় করেন।
  • kelo | 117.254.251.216 | ০৯ জুলাই ২০১০ ১৭:১৭454285
  • কল্লোলদা,
    বলুন বলুন..........
    আপনি যেটা বলছেন .. তাদের কমিউনিটি হয়ত আলাদা... কিন্তু তাদেরও আমি চিনি.... এ ওদের রোজকার কথা ... ঘরে ঘরে এই একই অভিজ্ঞতা রয়েছে কারো না কারো।
    দেখি,
    পারলে আজ রাতে আগের প্রসঙ্গে ফেরা যাবে দুলাইন লিখে। ততক্ষন আপনারটা মন দিয়ে শুনি....
  • til | 220.253.178.104 | ০৯ জুলাই ২০১০ ১৭:২৫454286
  • কি মনে হয় জানেন, এই সুন্দরবন যদি ধরুন অষ্ট্রেলিয়াতে বা আমেরিকাতে হতো তাহলে ঐটা ভাঙ্গিয়ে এরা সারা পৃথিবীতে মধু সাপ্লাই করতো, একটু বৈজ্ঞানিক উপায়ে। আমাদের দেশে আছে সবই, বড় বড় ল্যাব, কৃষি গবেষণাগার, বড় বড় বাবু। কিন্তু কাজের বেলায় ফক্কা।
    আর এইসব জনগণ- fend for themselves!
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৯ জুলাই ২০১০ ১৭:৩০454287
  • আমার ঝুলিতে আর তেমন কিছু নেই।
    হরিপুরে (হ্যাঁ সেই পরমাণু হরিপুর) NFFএর পরের সম্মেলনে গিয়ে দেখেছিলাম সারা দিন সমুদ্র পাড়ে জাল ফেলে ফেলে গোটা পঁচিশেক পার্শে গোছের মাছ ধরেছেন এক দম্পতি। ওখানেই আর একজনের বাড়িতে জ্যান্তো শঙ্খ দেখেছি। আর মাইলের পর মাইল ঘন ঝাউ বন আর বেলাভুমি - জনমানব নেই। আমরা কজন সে বেলাভূমি আর ঝাউ বনের রাজা সেজেছিলাম কয়েক ঘন্টার জন্য। নানান চিত্র-বিচিত্র ঝিনুক এনেছিলাম।
    সেবার হরেকৃষ্ণদার সাথে প্রচুর আড্ডা আর গান হয়েছিলো। তবে সে সবই কেজো আড্ডা। জম্বুদ্বীপ সমস্যা তখন পেকে উঠছে সবে।
  • | 117.194.66.183 | ১১ জুলাই ২০১০ ১৬:০৮454289
  • এই টই কি দেহ রাখলো?
  • | 117.194.66.183 | ১১ জুলাই ২০১০ ১৬:১২454290
  • অ কেলো বাবু? অ কল্লোল বাবু?
  • | 117.254.251.142 | ১২ জুলাই ২০১০ ০১:৫১454292
  • বুলবুলভাজায় শশাঙ্কবাবুর জম্বুদ্বীপ নিয়ে লেখাটাও দারুন।
    ওখানে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
  • kallol | 124.124.93.205 | ১২ জুলাই ২০১০ ১০:২৯454293
  • জম্বুদ্বীপের বাবদে আমার ভূমিকা ছিলো, বিরতিতে যাতে সকলে সঙ্গে থাকে, তার জন্য গল্প বলা। আমার ঝুলি খালি। এবার কেলো নিয়ে যাবে।
    আর হ্যাঁ, শশাঙ্ক ওর লেখাটা নিয়ে মতামত জানতে চেয়েছে।
  • Neel | 115.241.179.6 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১৩:০০454294
  • কেলোদা, অনেকেই কিন্তু অপেক্ষা করছে আপনি কবে আবার লিখবেন তার জন্য।
    ভাল আছেন আশাকরি।
  • kelo | 117.254.252.155 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১৩:৪০454295
  • কল্লোলদা,
    শশাঙ্কবাবুকে জানাবেন … ওনার লেখাটা ultimate।অওটা সবকিছু ছুঁয়ে গেছে। ওটা পড়ার পরে আর কারো কোন কথা বাকি থাকতে পারে না।

    আমারও নেই....
  • kallol | 124.124.93.205 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১৪:১৫454296
  • কেলো - আমি শশাঙ্ককে জানিয়ে দেবো।
    কিন্তু তাতে তোমার জম্বুদ্বীপ আখ্যান শেষ হয় না। তোমার অভিজ্ঞতা অনন্য। তার ভাগ দেবে না বন্ধু?
  • M | 59.93.244.69 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১৫:৪৫454297
  • কল্লোলদা,
    যেহেতু আমি খুব একটা দেশ আর দশের খোঁজ রাখিনা তাই কেলোর লেখা বেশ ইন্টারেষ্টিং লাগছিলো, নতুন এক ধরনের মানুষদের জীবনযাত্রা জানতে পেরে, কিন্তু কিছু ধোঁয়াশা থাকছিলো, কিন্তু শশাঙ্ক বাবুর লেখা পরে খুব পরিস্কার লাগলো পুরো ব্যাপারটা।ভালো লেগেছে বলার চাপ আর নিতে পারছি না, তবে পড়ে অনেককিছু জানলাম, আর পড়লাম সহজ ভাবে লেখা হয়েছে বলে।

    কেলোবাবুর কাছেও আরো লেখার দাবী জানিয়ে গেলাম।

    আর একটা কেলো করলাম কিনা ক্ষে জানে!
  • kelo | 117.254.75.138 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১৬:২২454298
  • এরপর আমার আর বেশী কিছু বলার ছিল না।
    ওদের ওপর কি কি অত্যাচার চলেছিল.. সে কথায় তো পৌঁছেই গিয়েছিলাম। আমি কথা দিয়েছিলাম যে মত্‌সজীবী নিয়ন্ত্রন করার জন্য রাজ্য সরকারের একটা উদ্যোগের কথা বলব.. যেটায় আপনাদের চুল টুল সব সী আর্চিনের মত খাড়া হয়ে উঠবে। কিন্তু সেটা আর বলতাম না। কারন … সেটা পুরোপুরি কন্সপিরেসি থিওরী... সেটার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য নেই প্রমান নেই.. কিচ্ছু নেই।
    স্বর্গত: হরেকৃষ্ণবাবু বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিনিধিকে এ গল্প বলে বলে মুখে রক্ত তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু কেউ তার এক লাইনও ছাপে নি। আমি নিজেই গল্পটা ঠিক বিশ্বাস করি না। এটা ভালই বুঝি যে হাতে প্রচুর সাক্ষ্য প্রমান থাকলেও ঐ গল্প ছাপা মুস্কিল, বা তাতে বিশ্বাস করা মুস্কিল। তাই সবদিক বিচার করে (পড়ুন প্যাঁক খাবার ভয়ে) সেই গল্প আর আপনাদের বলতাম না।
    তবে হরেকৃষ্ণবাবু কেন যে সেটা এতবার এতজনকে বলতেন সেটা আজও আমার কাছে পরিস্কার নয়... ওটা কি তবে স্রেফ লড়াইয়ের স্‌ট্‌র্‌যাটেজী? ওটা থেকে কার কি লাভ হল ? মত্‌সজীবীদের ? নাকি ওনার ? আজও তো দেখি মত্‌সজীবীরা জম্বুতে ঢুকতে পারে না .. তাদের তো লাভ হয় নি … হরেকৃষ্ণবাবুও মোটেই বিশাল সম্পত্তি রেখে পরলোকগমন করেন নি, তাই ওনারও যে কোন লাভ হয় নি এটাও পরিস্কার।
    ঐ রোমহর্ষক গল্পটা বাজারে চাউর করে কারোরই কোন লাভ হয় নি। গল্পটার পেছনে মোটে সাক্ষ্যপ্রমান নেই সেটা আগেই বলেছি … তাই ঐ বিতর্কিত গল্পটা ছাপার অক্ষরে বলে মত্‌সজীবীদের, বা তাঁদের সদ্যপ্রত নেতাকে জনসমক্ষে আর হেয় করব না বলে ঠিক করেছি।

    স্ট্রং সাক্ষ্য প্রমান ছাড়া কিছু সুশীল সমাজের কাছে বলতে গেলে কি হয় তার প্রমান পাবেন আমার শেষ পোস্টে... যেখানে বুদ্ধবাবু আর অতনুবাবুর পরিবারের গায়ে কাদা ছেটাতে গিয়ে আমি কোন সাক্ষ্য প্রমান দিতে পারি নি। এমনকি কোন অতিপ্রতিক্রিয়াশীল এনজিওর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট পর্যন্ত না।

    তবে আমার তথ্যে কিছু ভুলও ছিল .. আমি তার জন্য ক্ষমা চাইছি..... আসলে আমি তো বুদ্ধবাবু-অতনুবাবু-আলাপনবাবুর পরিবারের অতটা ঘনিষ্ঠ নই .. যতটা আমি ঘনিষ্ঠ ঐ মত্‌সজীবী পরিবারগুলোর। তাই আশাকরি আমার ভুল আপনারা মার্জনা করবেন।
    আমার ভুলটা হল.. সুচেতনাদেবী প্রেসিডেন্সী থেকে ইংরাজী নয়, পলিটিকাল সায়েন্সে গ্রাজুয়েশন করেন।
    ২০০২ সালে সুচেতনাদেবীর নিজের কথামত-
    “IamastudentofpoliticalscienceandobviouslyIaminterestedinpolitics.IkeepmyselfabreastofpoliticaldevelopmentinIndiaandmanyothercountries,”shesays.Storiesaboundabouthowsheadvisesanddiscussesseriouspoliticalmatterswithherfather.
    ---
    Inthenameofthefather
    NonaWalia, TNN, Jul8, 2002, 06.11pmIST
    তবে আমার বাকি অভিযোগ আমি ফিরিয়ে নিচ্ছি না। কারন আমি বলেছিলাম-
    “...যে বুদ্ধবাবুর কন্যা শ্রীমতি সুচেতনা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ইংরাজীতে অনার্স নিয়ে পাশ করেছিলেন। তিনি কিন্তু হঠাতই পশুপ্রেমী হয়ে গেলেন। আমি বলছি না যে ইংরাজী পড়লে কেউ পশুপ্রেম করতে পারবেন না। কিন্তু পশুপ্রেম যদি আগে থেকেই থাকত তবে তাঁর জীববিদ্যা পড়ার সম্ভাবনাই বেশী ছিল .. ইংরাজী নয়। ইংরাজী পড়ার পর কারো অনুপ্রেরনা বা প্ররোচনায়ও তিনি পশুপ্রেমী হয়ে থাকতে পারেন।
    এক্ষেত্রে অনুপ্রেরনা টা ছিল ... সুচেতনার সহপাঠী অতনুবাবুর কন্যা।”
    সুচেতনাদেবী নিজমুখেই বলেছেন যে তাঁর পলিটিক্যাল সায়েন্স পড়ার কারন ওনার রাজনীতিতে বিশেষ অনুরাগ। এহেন একনিষ্ঠ রাজনীতিপ্রেমীও ঠিক সাহারা সুন্দরবন প্রজেক্ট চলার সময়টাতেই রাজনীতির চেয়ে পশু ও পরিববেশ নিয়ে এমনভাবে জড়িয়ে পড়লেন যে ঐ সময়ের সংবাদপত্রগুলিতে তাঁর পরিচয় পরিবেশবিদ বা পশুপ্রেমী হিসেবেই দেওয়া হত। (আপনারা খুঁজে নেবেন দ করে)
    মজার কথা .. সাহারা সুন্দরবন থেকে হাত গোটানোর পর অবশ্য কাকতালীয়ভাবে সুচেতনাদেবীর পশুপ্রেমেও কিছুটা ভাঁটা পড়ে। পরেও অবশ্য তাঁকে আমি পরিবেশ বিষয়ে নানা জায়গায় থাকতে দেখেছি । তবে তাঁকে তাঁর ঘোষিত ভাললাগার বিষয় “রাজনীতি” তে কোনদিনই সেভাবে থাকতে দেখি নি।

    স্বীকার করছি … কারো পারিবারিক ব্যপারে নাক গলানো একটু 'রুচিতে বাধে' .. আশাকরি এটা শুধু আমার নয় .. আপনাদের সকলেরই।
    তাই আমি বুদ্ধবাবু, অতনুবাবু, আলাপনবাবু ও তাঁদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব 'অতি সামান্য' কারনে তাঁদের পরিবারকে কালিমালিপ্ত করার (চেষ্টা করার) জন্য। এবং ভবিষ্যতে এই চেষ্টা থেকে বিরত থাকব।

    তবে এটাও ভুললে চলবে না ---------
    যে সাহারা ইন্ডিয়া কোন কর্পোরেট নয়।
    সাহারা ইন্ডিয়া একটি পরিবার।
    তাই আমার উপরোক্ত অঙ্গীকার, সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

    সুতরাং … আপনারা কেলোকে অব্যহতি দিন... এই রুচিবিরুদ্ধ কাজ করার থেকে।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১৬:৫৩454300
  • যা: বাবা!! এটা কিরকম হলো?

    সাহারা বলল ফ্লোটেল বানাবো, প্রচুর পয়্‌সা এদিক ওদিক হলো, বাড় খেয়ে অতনু বাবু, আলাপন বাবু, বন দপ্তর, পুলিশ সবাই মিলে সেই জম্মুদ্বীপে গিয়ে মৎস্যজীবীদের মারধোর করে ভাগালো, শুদ্ধ পরিবেশবাদীরা খুব নিজেদের পিঠ চাপড়ালো - এ হলো ২০০৩

    তাপ্পর সাহারা সব ঝেড়ে কাটিয়ে দিল।

    তাহলে এই ৭ বছর ধরে মৎস্যজীবীদের কে আটকে রাখলো আবার জম্মুদ্বীপে মাছ ধরতে? আইন!!!!

    নাকি এখানেই আসল গল্পটা, যেটা কেলোবাবু চেপে গেলেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন