এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জম্বুদ্বীপ

    Abhyu
    অন্যান্য | ০৫ জুলাই ২০১০ | ৭৩৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 80.221.25.236 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০২:০৭454357
  • Name:keloMail:Country:India

    IPAddress:117.254.253.179Date:05Jul2010 -- 01:53AM

    হুঁ …. অনেকেই ওটা জানে না। কিন্তু আপনাদের তো জানার কথা।
    বুদ্ধবাবুদের ওটা ফার্সট ইনিংস ... ওয়ার্ম আপও বলতে পারেন। কাল ডিটেইলস দেব। এখন ... সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের যুগে ওটা নিতান্তই নিরামিষ। তবে ব্যাপারটা চাপা আছে .. ফুটে বেরোতে পারে যখন তখন।
    রাষ্টের্‌র ভিউ টা তো CEC রিপোর্টটাতেই পাচ্ছেন।
    আর ইউটিউবের ভিডিওটা মত্‌স্‌য়জীবিদের পক্ষে .. ওটার লিঙ্কটা সারিয়ে দিছিছ .. এই নিন-
    http://www.youtube.com/watch?v=f5hzSP-nNgg
    সুনীতা দুবে আর সুপর্না লাহিড়ীর এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টটাও দেখতে পারেন
    http://www.dishaearth.org/A%20Fact%20Finding%20Visit%20to%20the%20Isla
    nd%20of%20Jambudwip.pdf
    ওদের হয়ে লড়েছিলেন ন্যাশনাল ফিশওয়ারকার্স ফোরামের .. হরেকৃষ্ণ দেবনাথ, মেধা পটেকারও ছিলেন একসময়।
    এরা কেউ অস্ত্র হাতে নেয় নি। একেবারে নিরীহ মানুষ এরা। এদের আমি খুব ভাল জানি .. অনেককাল মিশছি তো। এখনো এরা আদালতে আইনের পথে অধিকার ফিরে পাবার আশা রাখে।
    Jambudwip বলে গুগলান ... অনেক পাবেন।
  • kelo | 117.254.253.179 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০২:১৮454379
  • বিষয়টা পুরোন। খুব পুরোন.. এখন একেবারে আলাদা টই পাওয়া জম্বুদ্বীপের উচিত হল কিনা জানিনা। তবে আপনারা কিছু জানতে চাইলে আমি যথাসাধ্য জানাব।
    সব ঘটনার মত এরও তিনটে ভিউ আছে ..
    একটা রাষ্ট্রের
    একটা মত.সজীবিদের
    আর একটা আমার আপনার মত নিরপেক্ষদের।
    সবাই প্রায় তাদের নিজের কোলে ঝোল টানতে ব্যস্ত। নিরপেক্ষ মতটা কিছুটা আমার কাছেই পাবেন। বাকিদের মত পাবেন ইন্‌চারনেটে।
    আপনারা কি জানতে চান বনুন।
  • Abhyu | 80.221.25.236 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০২:৩০454390
  • আগে মৎস্যজীবীদের মতটাই আপনার মত করে বলুন, কারণ সেটা পাওয়াই সবচেয়ে কঠিন বলে মনে হয়।
  • kelo | 117.254.253.179 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০২:৪২454401
  • দেশভাগের পর চট্টগ্রাম থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছিলেন ভারত সরকারের বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে। কেউ বিহারে কেউ বা মধ্যপ্রদেশে। সমুদ্রের নেশা যাদের রক্তে .. যারা আশ্বিন মাস এলে পাগলের মত ছটফট করে ওঠে সংসার ফেলে সমুদ্রে বেরিয়ে যাবার জন্যে … তাদের কাছে এ এক অসহনীয় জীবন। কয়েকবছর এভাবে উদ্বাস্তু শিবিরে কাটানোর পর তাঁরা নিজেই পথ খুঁজে নিলেন তাঁদের নিজেদের স্বত্বা বজায় রাখার। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন উদ্যোগ নিয়ে আবার দল বানালেন তাঁদের আদি নিবাসের মত .. আবার পাল তুলল তাঁদের নৌবহর .. বঙ্গোপসাগরে। খুঁজে নিলেন নতুন জায়গা .. নতুন দেশের মাটিতে।
    তাঁদের জীবিকার ধরন বুঝিয়ে না বললে আপনারা কিছুই বুঝতে পারবেন না.. তাই ওদের মাছ ধরার প্রক্রিয়ার কথাও একটু বলা দরকার..বলছি শুনুন....
  • bitoshok | 76.113.141.132 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৩:৪৮454412
  • কেলো স্যার কে ধন্যবাদ এই ইস্যু টিকে গুরুর পাতায় নিয়ে আসার জন্য। আপনি লিখুন।
  • kelo | 117.254.253.179 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৭:৫০454423
  • এখানে ঐ ফিশারম্যান কমিউনিটির জীবনধারার ডিটেলস লিখলাম.. একটু বড়ই হয়ে গেল .. কিন্তু এটা যদি একটু কষ্ট করে পড়েন তবে আর ওদের বিষয়ে কোন কিছুই পড়ে বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়। এটা ঠিক আন্দোলনের কারন বা ফল কোনটাই নয়, কিন্তু কারন বা ফল বুঝতে এটা জানাটা জরুরী।

    চট্টগ্রাম বিখ্যাত ছিল শুঁটকি মাছের জন্য। প্রধানত আমাদের এই বিশেষ জনগোষ্ঠীর তৈরি শুঁটকিমাছ এর জন্য। শুঁটকির সমাদর শুধু উত্তরপূর্ব ভারতেই নয় .. সারা ভারত এবং বাংলাদেশ জুড়ে। খাদ্যগুন ও দীর্ঘকাল সহজে জমিয়ে রাখার সুবিধার জন্য প্রধানত: শুঁটকির কদর। শুটকীমাছেরও নানা রকমফের আছে। আপনাদের মধ্যে যাঁরা সিলেটি তাঁদের কাছে নিশ্চয়ই শীদল এর কথা বলতে হবে না। নানা কোয়ালিটির শুঁটকির মধ্যে আমদের এই জনগোষ্ঠীর লোকেরা তৈরি করতেন সর্বোচ্চমানের শুঁটকী বা 'শুকনা'… যা আজও পৃথিবীর কেবলমাত্র দু জায়গায় তৈরী হয়।

    শুকনো মাছ বানানোর জন্য যা যা লাগে .. এবং যে পদ্ধতিতে বানানো হয় তার বিস্তারিত বিবরন ড. বিকাশ রায়চৌধুরী তাঁর বই TheMoonandTheNet এ দিয়েছেন। আমি এখানে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি .. বিকাশবাবুর বইয়ের সঙ্গেও আমার অভিজ্ঞতার হুবহু মিল। আমার ওদের সঙ্গে পরিচয় যদিও উনি বইটা লেখার ৩০ বছর পরে।

    ঐ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন পরিবার তৈরি করেন তাদের নিজস্ব “বহর”। প্রতি বহরে কম করে দুটো যন্ত্রচালিত দেশী নৌকা থাকেই। এই নৌকাগুলিরই স্থানীয় নাম “ট্রলার”। কিন্তু মত্‌সবিজ্ঞান এর টেকনিকাল পরিভাষায় “Trawler” বলতে যা বোঝায় এগুলো তা আদৌ নয়। এই নৌকোগুলো কোনোদিনই Trawlfishing করে না। এগুলো প্রধানত:.. জাল সমুদ্রতলে পোঁতার কাজে এবং ঐ জালে ধরা মাছ ডাঙ্গায় পরিবহন করার কাজে লাগে।

    দেখুন একটু আগেই বলেছি যে প্রত্যেক বহরে কমপক্ষে দুটো ঐ নৌকো বা ট্রলার থাকে.. এর কারন হল জাল আটকানোর বাঁশের (ফঙ বাঁশ) খুঁটিগুলো পুঁততে ঠিক দুখানা করে ট্রলার পাশাপাশি আনতে হয়। যদি আপনারা ইউটিউবে চলচ্চিত্রটা দেখতে পেয়ে থাকেন তো বুঝবেন... কিকরে খুঁটিটা সমুদ্রের গভীরে .. খাঁড়িতে পোঁতা হয়। চরায় পোঁতা হয় না কারন চরায় সবসময় বালি থাকে .. তাতে খুঁটি হেলে যায় স্রোতের টানে। ওখানের টাইডাল অ্যামি্‌প্‌লচিউড এত বেশী যে স্রোতের টান প্রচন্ড। তাই খুঁটি পোঁতা হয় গভীরতর অংশে.. খাঁড়িতে.. যেখানে বালির চেয়ে কাদার ভাগ বেশী।

    এমন নয় য়ে একটা ট্রলার নিয়ে বহর হতে পারে না .. অন্য একটা ধার করেও কাজ চালানো যায়। কিন্তু সেখানেও রেষারেষি .. কোন বহর অন্য বহরকে নিজের জালের ডিটেলস বলে না। এমনকি এমন গল্পও চালু ….যে বাবা পর্যন্ত ছেলেকে সেটা বলে না। ডিটেলস বলতে দুটো মাত্র প্যারামিটার .. 'কোথায়' … এবং কত 'গভীরে'। সঠিক স্থান ও গভীরতা নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে সেই জালে কত মাছ বা কি ধরনের মাছ পড়বে সেটা।

    প্রতি বহরের একজন শীর্ষ নেতা থাকেন .. তাঁর নাম 'বহরদার'। তিনি কোন একটা পরিবার থেকে বংশ পরম্পরায় আসতে পারেন বা যে কেউ নিজে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নিজের বহর গড়ে তুলতে পারেন। এ একেবারে জুয়া খেলার মত। হয়ত দেখা গেল আজকের বিশাল বহরদার … নাম যশ টাকা পয়সা ফেটে পড়ছে .. হয়ত বহরে ৪০ টা ট্রলার আর ৬০০ লোক। দু বছরের মধ্যে দেখা গেল তিনি সর্বস্বান্ত... অন্যের বহরে সামান্য মাঝির কাজ করছেন। 'সামান্য মাঝি' বললাম বটে কিন্তু মাঝিরাই হল বহরের মূল চালিকাশক্তি। তাঁদের অভিজ্ঞতার ওপরেই নির্ভর করে দলের লাভ লোকসান। তাঁদের সম্মানও দলের মধ্যে বহরদারদের পরেই। তাঁরা হয় লাভের অংশ পান বা বাঁধা মাইনে নেন চুক্তির ভিত্তিতে। অভিজ্ঞ মাঝি বহরে কাজ করে অভিজ্ঞতা ও অর্থ সঞ্চয় করে পরে বহরদার হয়েছেন এমন উদাহরন ভুরি ভুরি।

    এরা জাল পাতেন সমুদ্রের বেশ ভিতরে গিয়ে। 'পাতেন' বললাম ..' ফেলেন' বললাম না .. কারন এঁদের জাল Stationary. ইউটিউবে দেখুন জালটা কিভাবে লাগায় আর জালের চেহারাটাই বা কিরকম। লক্ষ্য করুন জালের সামনের দিকের ফুটো বড় বড় এবং সরু দিকের ফুটো ক্রমশ: ছোট। ফলে বড় মাছ পালাতে না পারলেও ছোট মাছ দিব্যি বড় ফুটো গলে পার পেয়ে যায় পরের বছর বড়সড় হয়ে ধরা দেবার জন্য।

    জালের কার্যপ্রনালী বড় অদ্ভুত। আগে আমি সমুদ্রের “ভিতর” বলেছি লক্ষ্য করুন ..“গভীরে” বলি নি। কারন ওখানে সমুদ্রতলের ঢাল বড়ই কম .. সেই কারনেই ওখানে জোয়ার ভাঁটার তীব্রতা বেশী । এই জাল কাজ করে পুরোটা ঐ স্রোতের তীব্রতা কাজে লাগিয়ে। জাল একজায়গায় বাঁধা থাকে .. ইউটিউবের ছবি দেখুন। জোয়ারের সময় জালের সরু দিকটা থাকে ডাঙ্গার দিকে। খোলা সমুদ্র থেকে আসা জোয়ারের জল হু হু করে ঢোকে জালের মধ্য দিয়ে .. সঙ্গে মাছের ঝাঁক।

    জোয়ারের তাব্রতা কমে এলে স্থির জলে (Slackperiod) জালের সরু প্রান্তাটা তুলে সরু ও শেষপ্রান্তে জমা হওয়া সমস্ত মাছ তুলে নেওয়া হয় ছোট নৌকোতে। এবার জালটা স্রেফ উল্টে ছেড়ে দেওয়া হয়। মানে .. এবারে জালের খোলা মুখ থাকে ডাঙ্গার দিকে আর সরু প্রান্তটা চলে যায় খোলা সমুদ্রের দিকে। এবার শুরু হয় ভাঁটার টান। আবার ডাঙ্গার দিক থেকে জল ঢুকতে থাকে জালে... সঙ্গে আবার মাছের ঝাঁক। আবার স্থির জলে ওরা উল্টে দেন জালটা.. মাছটা সংগ্রহ করে নেবার পর।

    এই যে ছোট নৌকোর কথা বললাম .. এই নৌকো কিন্তু বাঁধাই থাকে জালের সঙ্গে .. যতদিন জালটা থাকে। একবারও ডাঙ্গায় নৌকোগুলো ফেরে না, নিতান্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে। তবে নৌকোর লোক প্রতি পনের দিন পরে পরে পাল্টে পাল্টে যায়। এই নৌকোগুলো কেবল মাছ জাল থেক ছাড়ানোর কাজেই নিযুক্ত থাকে। এই নৌকোগুলোতে জমা করা মাছ .. ঐ বড় নৌকো মানে ট্রলার .. ডাঙ্গায় নিয়ে আসে। এই কারনেই আমি ট্রলারের কাজ বলেছিলাম- পরিবহন। Trawlnetting মানে টানা জাল এর সঙ্গে এদের কোন সম্পর্কই নেই। প্রতি ভাঁটার টানের সঙ্গে সঙ্গে ট্রলার ডাঙ্গা থেকে জালের দিকে রওয়ানা দেয় ফারের লোকের জন্য পানীয় জল আর রসদ নিয়ে। আর প্রতি জোয়ারের জলের সঙ্গে ট্রলার ফিরে আসে জালে পড়া মাছ আর ফারের লোকেদের খালি জলের ব্যারেলগুলো নিয়ে। “ফারের” লোক মানে হল যারা ঐ জালের কাছে ডিঙ্গি নৌকোতেই পড়ে থাকেন দিন রাত। আর “পারের” লোক হল ডাঙ্গায় যেখানে অস্থায়ী শিবির করা হয় তার লোক। যাঁদের কাজ মূলত: মাছ শুকোনো।

    এই জনগোষ্ঠীর লোক বিহার মধ্যপ্রদেশের উদ্বাস্তু শিবির ফেলে কাকদ্বীপ ও তার আশে পাশের অঞ্চলে বাসা বেঁধেছেন সেই ১৯৫৫ থেকে। ডাঙ্গা বা “পার” বলতে কিন্তু কাকদ্বীপে নিজের বাড়ি বোঝাছে্‌ছ না। আশ্বিন মাসের শুরুতেই কাঁসর ঘন্টা .. শাঁখ বাজিয়ে এরা পাড়ি দেন জম্বুদ্বীপের উদ্দেশ্যে। সেখানে প্রতিটি বহর অস্থায়ী শিবির বা “খটি” গড়ে তোলেন ছয় মাসের জন্য। জাল পোঁতার কাজ শুরু করেন একেবারে শুরুতেই । জাল চালু হয়ে গেলে প্রতি জোয়ার ভাঁটায় ঘড়ির কাঁটার মত শুরু হয় ট্রলারের আনাগোনা .. পার থেকে ফারে …. আবার ফার থেকে পারে। প্রাকৃতিক নিয়মে রোজ পাল্টে পাল্টে যায় জোয়ার ভাঁটার সময়। চাঁদের তালে তালে চলতে থাকে এই মানুষগুলোর জীবন.. নিঁখুত সময় মেনে.. একচুল এদিক ওদিক হবার উপায় নেই যার। এই কারনেই বিকাশবাবুর বই এর ঐ নাম।

    ডাঙ্গায় এনে ঐ মাছ শুকোনো হয় স্তরে স্তরে। তৈরি হয় শ্রেষ্ঠমানের শুঁটকিমাছ। কাকদ্বীপে না হয়ে এই কাজ জম্বুতে হবার কারন..
    ১) জম্বু হল দক্ষিনতম ভূভাগ। ট্রলারে করে জাল থেকে জম্বু অব্দি মাছ আনার খরচ অনেক কম।
    ২) জনশুন্য জম্বুদ্বীপে নির্বিবাদে মাছ শুকোনো চলে .. মানুষ বা পশুর উপদ্রব নেই।
    ৩) জম্বুর মাটিতে কাদার ভাগ বেশী ও ম্যানগ্রোভ থাকার ফলে শুকোনোর সময় উড়ন্ত বালি পড়ে শুকনো মাছের গুনমান কমে না।
    ৪) জম্বুর খাল ও খাঁড়ি মাছ নাবানোর ন্যাচারাল হারবারের কাজ করে।
    ৫) ম্যানগ্রোভে ঢাকা জম্বুদ্বীপ সাইক্লোন প্রভৃতি প্রকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে সুরক্ষিত।
    ৬) জম্বু থেকে শুকনো মাছ মূল ভূখন্ডে আনাও সুবিধা। এই কাজ ভুটভুটিতে করা হয়।
    এ ছাড়াও আরও কিছু কারন থাকতে পারে সে সব আপনারা ইন্টারনেট ঘাঁটলে পেয়ে যাবেন।

    ফেব্রুয়ারি মাসে যখন দখিনা বাতাস শুরু হয়, তখন সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে । এইভাবে মাছ ধরা তখন আর সম্ভব না। তখন এরা জাল তুলে ফেলে। জাল আর অন্যান্য জিনিস সব একত্র করে জম্বুতে একটা বড় আস্থায়ী চালাঘর বানিয়ে তাতে রেখে বন্ধ করে কাকদ্বীপ ফিরে আসে... ঘরের ছেলে ঘরে। প্রতিটা বহরের একটা করে চালাঘর বা গোডাউন রয়ে যায় জনশূন্য দ্বীপটাতে। পাহারা দেবার জন্য সামান্য কয়েকজনকে পালা করে থাকতে দেখেছি আগে ফরেস্ট গার্ডদের পাশাপাশি। ফরেস্ট গার্ডরাও কিছু অর্থ দাবী করতেন ওদের মালের নিরাপত্তার বিনিময়ে।

    বর্ষাকাল থেকে শুরু হয় নতুন বহর তৈরির কাজ। পারের লোক, ফারের লোক, আর মাঝিরা চেষ্টা করেন নিজের নিজের পছন্দমত বহরদারদের দলে ঢুকতে.. আবার বহরদাররাও চেষ্টা করেন সেরা মাঝি বা লোকদের নিজের বহরে নেবার বা ধরে রাখার। এই করতে করতেই এসে যায় আশ্বিন মাস … আবার ঘরবাড়ি ছোড়ে কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে বেরিয়ে পড়েন সবাই। জম্বুদ্বীপে আবার শুরু হয় কর্মযঞ্জ।

    অদ্ভুত নেশা এই কাজের … আমি সৌভাগ্যবান যে আমার বন্ধু এই গোষ্ঠীর একজন .. তাই আমি ঘরের ছেলের সম্মান পেয়েছি চিরকাল। বাইরেরে লোক হিসেবে আমায় দেখা হয় নি কোনদিন। আমি ওদের একজন হিসেবে অনুভব করতে পেরেছি ওদের জীবন .. মাছের রুপোলী ঝাঁক .. দিগন্তবিস্তৃত আকাশে হু হু হাওয়া .. ছিটকে ওঠা সমুদ্রের নীল জল, চাঁদের সঙ্গে, পৃথিবীর সঙ্গে, তাল মিলিয়ে কাজ করার নেশা। ও জিনিষ বলে বোঝানো যায় না।

    ওদের আছে নানা সংস্কার .. কু-সংস্কার বলব না। উদাহরনস্বরূপ.. ওদের ঐ বিশেষ জাল চট্টগ্রামের উচ্চারনে “বেহুন্দী”জালকে ওরা জীবিত মানুষের সম্মান দেন। জাল সম্পূর্ণ ছিঁড়ে গেলে তার সত্‌কার করা হয় প্রধাসিদ্ধ পদ্ধতিতে। শুধু জালকেই না .. নৌকোকেও এ সম্মান দেওয়া হয়। জাল ও নৌকো ওদের কাছে অন্নদাত্রী মা। তাই নৌকোয় জুতো পরেও ওঠা বারন।

    খটিতে দুপুর ও রাত্রে সবাই একসঙ্গে পংক্তিভোজনে বসেন। খেতে বসেও এক এক বার এক একজনকে দলপতি নির্বাচন করা হয়.. তাঁকে দেওয়া হয় বড় থালা । তিনি খাওয়া শুরু করলে সবাই খাওয়া শুরু করে .. এবং সকলের খাওয়া ঠিকঠাক শেষ হলে নিজের পাতে জল ঢেলে তিনি খাওয়া শেষ করেন। খেতে খেতেই আলোচনার মধ্য দিয়ে ওরা করেন নিজেদের জলের ডাঙ্গার নানা সমস্যার সমাধান।

    আরও আছে ওদের জীবনের নানা খুঁটিনাটি। সব তো এখানে বলা যাবে না.. কিছু কিছু বলা আছে ড.বিকাশ রায়চৌধুরীর বইয়ে, ওটা হাতে পেলে একটু উল্টে নেবেন .. ভাল লাগবেই।

    যতটা বললাম সেটা নিজেদের জীবিকা সম্পর্কে মত্‌সজীবীদের মত .. তবে এগুলো আমার নিজেরও দেখা, বিকাশবাবুরও .. কাজে এ নিয়ে বিশেষ সন্দেহের অবকাশ নেই।

    তবে আপনারা ওদের জীবিকা নিয়ে ইন্টারেস্টেড নন .. 'সমস্যা' মানে ইস্যুটি সম্পর্কে ওদের মত আমার মুখ থেকে শুনতে চেয়েছেন.. এর পরে আমি সেটাই বলব......এ ভূমিকা না বলে নিলে বুঝতে পারতেন না তার কিছুই।
  • santanu | 82.112.6.2 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৮:৪৩454277
  • বা: বা: অসাধারন, চলুক
  • pi | 72.83.93.99 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৯:২২454288
  • কেলোদা, কিন্তু কিন্তু না করে এরকম সব ডিটেলস ই দিন।
  • kallol | 115.184.114.214 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১০:২৫454299
  • কেলো আমাদের কি দেখা হয়েছিলো ডায়মন্ডহারবার বা হরিপুরে।
    ঐ দুবারই মাত্র আমি গেছি মৎসজীবী সমবায়ের এজিএম-এ, নেহাৎই গান গাইতে। সেই সূত্রে ওরা অনেকেই খুব বন্ধু হয়ে গেছিলেন।
    ও হ্যাঁ, আর একবার কলকাতায় একটা প্রতিবাদ সভায়। আমার কিছু বন্ধু যারা দিশার সাথে আছে ওদের সাথে গেছিলাম।
    খুব ভালো লাগছে এই বিষয়টা এখানে আসাতে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মানুষমারা ভূমিকা সামনে আসুক।
  • nyara | 203.83.248.37 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১০:৩৮454310
  • ব্রিলিয়ান্ট।
  • sana | 114.78.33.110 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১০:৪৬454321
  • না, না, আমরা পুরোটা জানতে চাই; জীবিকা,জীবনের সব খুঁটি-নাটি থেকে সমস্যা পর্যন্ত, কিছুই জানতাম না,এ ব্যাপারে! অসাধারন লাগছে। আরো লিখুন,ডিটেইল্‌স-এ,প্লীজ?
  • til | 210.193.178.129 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১০:৫৫454332
  • কেলো,
    রূদ্ধশ্বাসে পড়লাম। বাহ!
    আরও লিখুন। কার্পণ্য করবেন না।
  • Arpan | 204.138.240.254 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১১:১৮454342
  • কেলোদা, হ্যাট্‌স অফ।
  • kelo | 117.254.253.179 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১১:৫৫454343
  • কল্লোলদা আপনি আছেন দেখে ভাল লাগল... কেউ তো এ বিষয়ে কিছু জানে বলে বোঝাই যাচ্ছিল না এতক্ষন। নেটের লিঙ্কগুলো দিতে না পারলে তো মনে হত যেন আমি মনগড়া গল্প বলে চলেছি।
    আপনার সঙ্গে আমার দেখা হয় নি হয়ত .. কিন্তু আমি নিশ্চিত যে আপনার ঐ ডায়মন্ডহারবারের বন্ধুদের মধ্যে অনেকে আমারও বন্ধু।

    আমার লেখায় বারবার সমুদ্রে যাবার জন্য ওদের ছটফটানির কথা শুনে হয়ত ভাবছেন ওটা আমার ব্যক্তিগত আবেগ?
    - - ভুল - -
    ঐ আবেগের কিছুই আমি ফোটাতে পারি নি। ড্রাগ অ্যাডিক্টের উইথড্রল সিমটম দেখেছেন? অনেকটা তার মত ব্যাপারটা। আমি ওদের এক যুবককে এক বহরদারের হাতে পায়ে ধরতে দেখেছি। ছেলেটি কারো দলে চান্স পায় নি। অথচ তার বৌ তাকে ঘরে ঢুকতে দেবে না বলেছে সাবারের কাজ না জোটাতে পারলে। আর পারলে? সেই বৌকে ছেড়েই দ্বীপান্তরে যেতে হবে পাঁচমাসের জন্য। খটির কাজে নারী সম্পূর্ন বিবর্জিত। মহিলারা মূল ভূখন্ডে থেকে জাল তৈরির কাজ ইত্যাদি করেন এই সময়টা বয়স্কদের সঙ্গে। নারীসঙ্গ বিসর্জন দিয়েও তার কি আকুতি .. শুধু দুবেলা খাবার দেবার পরিবর্তেই সে যে কোন কাজ করার শর্তে রাজী।
    এই খাবারেরও বৈশিষ্ট্য আছে। যে বহরদার তাঁর লোকজনকে যত ভাল খাবার যোগান দিতে পারবেন তাঁর তত সুনাম। খাবার বলতে মাছ মাংস না .. স্রেফ তরকারী। চব্বিশ ঘন্টা মাছ ঘাঁটতে ঘাঁটতে মাছে অরুচি হয়ে যায় তো .. তখন মাছ মাংস কিছুই মুখে রোচে না। পারের, বিশেষত: ফারের লোকেদের চাহিদা থাকে প্রচুর টাটকা আর সুস্বাদু তরকারী আর সব্জী। যে বহরদার এই চাহিদা যত ভাল মেটাতে পারবেন পরের বছর ভাল লোক দলে টানার সম্ভাবনা তাঁর তত বেশী.. এমনকি কম টাকা কবুল করেও। শুনতে হাস্যকর লাগলেও সত্যি।
    দলে ভাল লোক টানার উপায় নারী নয় সুরা নয় এমনকি অর্থও নয় … শুনেছেন কখনো এমন কথা ??
    সুরার কথা যদি বলেন .. কেউ কেউ পান করলেও আমি বেহেড হতে দেখি নি কাউকে কোনদিন। সম্ভবত: সেটা হলে শাস্তিও বরাদ্দ। সুরার নেশায় নয়, কাজের ছন্দে ডুবে থাকে ওরা.. ঘড়ির কাঁটার মত। কোন হইচই নেই তাড়া হুড়ো নেই সবাই সব জানে তার কাজ কি। এমনও দেখেছি ট্রলার থেকে মাছ নাবাতে গিয়ে কাদায় পা পিছলে কেউ পড়লে তাকে তোলার লোকও আগে থেকেই প্রস্তুত... নীরবে। সুরার কথা থেকে সরে এলাম..আমার বন্ধুর দাদা একজন বহরদার, তিনি সুরা স্পর্শ করেন না। ধূমপানও না। লেখায়, ভিডিও ক্লিপিং এ তাঁর নাম পাবেন বারবার। শ্রী শুকলাল দাস... বাস্তবে মিলিয়ে নিতে পারেন।

    আন্দোলনের ঘটনাপঞ্জী সাজিয়ে দিতে পারলে খুব ভাল হত। কিন্তু মুস্কিল হল আমি সে কাজের যোগ্য লোক নই। আমি ওদের দেখেছি ওদের সোনালী সময়ে। যখন জম্বুদ্বীপ সম্পদ আর সাফল্যের চূড়ায়। তার পতনের সময়টাতেই ওদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ অনিয়মিত ছিল। তাই আমি ওদের এই সময়ের ইতিহাস ধরতে গেলে ভুলভ্রান্তি হবে কিছুটা। তাও চেষ্টা করব যথাসাধ্য। যদি আপনাদের চেনা দিশা বা NFF মানে ন্যাশানাল ফিশওয়ার্কার্স ফোরামের কেউ থাকে তবে তাকে একটু ডাকুন এখানে.. তিনি হবেন যোগ্য ব্যক্তি এখানে কিছু বলার। আমি ওপরে এতক্ষন যা বললাম তা অবশ্য কেউই বলবে না মত্‌সজীবীরা নিজেরা ছাড়া। কিন্তু এই ঘটনা আর আন্দোলনটাকে চর্চা করতে গেলে ওগুলো নয়, আন্দোলনের ঘটনাপঞ্জী প্রাথমিক শর্ত।
  • m | 122.163.79.63 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১২:২৬454344
  • অপেক্ষা করছি। তাড়াতাড়ি লিখুন।
  • d | 115.117.233.85 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১২:৩২454345
  • দুরন্ত!
  • Souva | 125.18.104.1 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১২:৩৪454347
  • অসাধারণ লাগছে। লেখককে এইরকম যথাসম্ভব ডিটেইলে লেখার অনুরোধ জানাই।
  • M | 59.93.171.131 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১২:৫৪454348
  • দারুন! তাড়া দিয়ে গেলুম।

    এই জন্যই গুরুতে আসা, এত ভিন্ন রকম জানা আছে তাও এত সহজ করে গভীরে গিয়ে।
  • kelo | 117.254.253.179 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৩:৩১454349
  • গুরুতে লেখার অ্যাতো ফ্যাচাং জানতাম না মশাই …. স্নান খাওয়া করতে দেবে না লোকে .. এয়ামোন তাড়া মারছে।অ। আমারও খারাপ লাগে তো অপেক্ষা করিয়ে রাখতে...
    যতোটা বলেছি মশাই আচ্ছা আচ্ছা সোশাল ওয়ার্কার জানে না অ্যাতো কতা অথচ খেয়ে না খেয়ে ওদের হয়ে দশ বছ্‌ছর সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
    একটু নিজে চরে খান না... এখন এই নলেজ নিয়ে নেট ঘাঁটলে দেখবেন ভগবানের মত দেখতে পাচ্ছেন যে কে সত্যি বলছে , কেই বা মিথ্যা বলছে... বললে কেনই বা বলছে।
    আমি সেই ফাঁকে টুক করে চাট্টি ডিমেরঝোল ভাত খেয়ে নি।
    খেয়েদেয়ে ওদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে দুটি কথা শোনাব ভগোবানের কথা উটলই যকোন... পালাবেন না.. ভয়ের কিছ্‌ছু নেই .. আমিও নাস্তিক .. বাপের শ্রাদ্ধ করি নি পর্যন্ত।
  • Abhyu | 80.221.25.236 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৩:৩৯454350
  • হ্যাঁ কেলো স্যার ঘুমোন বলেও তো মনে হচ্ছে না। ঘাবড়াবেন না, ওদিকে ব্ল্যাঙ্কিকে দেখুন। দু হপ্তায় এক লাইন। নিজের সময় সুযোগ মতন লিখুন দাদা। :)
  • pi | 72.83.93.99 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৩:৪১454351
  • আর কেউ কেউ দু মাস বাদে বাদে আরো দু মাস বলে ছুটি রিনিউ করায় :)
  • d | 115.118.79.159 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৩:৫২454352
  • রোজরোজ ডিমেজ্ঝোল খান ক্যানো? মাঝেমাঝে মাছেজ্ঝোল বা ডিমের্কষা খেলে হয় না?
    :-P
  • Abhyu | 80.221.18.28 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৪:০৭454353
  • উনি হয় তো আমার মতো সারা সপ্তাহের রান্নাটা উইকেণ্ডে একবারে সেরে রাখেন।
  • intellidiot | 117.194.68.224 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৪:১০454354
  • সিম্পলি অসা... চালিয়ে যান স্যার...
  • Blank | 59.93.204.220 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৪:১৪454355


  • Raj | 202.79.203.59 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৪:২৮454356
  • কেলোবাবুর কথামত নেট ঘেঁটে কিছু লিংক পাওয়া গেল

    http://www.tehelka.com/story_main7.asp?filename=Ne102304fishermen.asp কিরণময় নন্দর পুরোনো সাক্ষাতকার , উনিও তো মনে হলে মৎস্যজীবিদের দাবিকে সমর্থন করেন আর কেন্দ্রের কোষ্টাল রেগুলেটারি আইনকেই দোষারোপ করছেন।

    http://www.indiatogether.org/2005/may/env-jambudwip.htm এটিও বেশ পুরোনো তথ্যসমৃদ্ধ লেখা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন