এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জম্বুদ্বীপ

    Abhyu
    অন্যান্য | ০৫ জুলাই ২০১০ | ৭৩৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kelo | 117.254.75.138 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১৭:১১454301
  • টাটা তো সব জমিতে কংক্রীট ঢালে নি। তাও ৪০০ একরের অনিচ্ছুক চাষীদেরকে কে আটকে রেখেছে চাষ করতে?
    এখানেও অনেকটা একই ব্যপার।
    কথায় বলে বাঘে ছুঁলে আঠেরো ঘা।
    একবার কোন কর্পোরেট কোন জমি ছুঁলে সেটাতে কি আর কোন চাষী ......
    "হাত গুটিয়ে নেওয়া" মানেটা বরং শশাঙ্কবাবুকেই জিজ্ঞেস করুন....

    না বলা গল্পটা ওসব কিছু নিয়ে নয়... নিছকই গল্প।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১৭:৩০454302
  • বোঝো কান্ড!! কেলো বাবু, আপনি কি কম্পু সাইন্সের স্টুডেন্ট ছিলেন?
  • SB | 59.161.147.206 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১৭:৪১454303
  • আরে কি মুস্কিল, মন খুলে লিখুন, হরেকৃষ্ণবাবুর গল্পও লিখুন, সব লিখুন, যা মন চায় লিখুন কেলোবাবু। সেন্টু খাওয়ার কিস্যু নাই। নিছক গল্পের লোভ দেখিয়ে এভাবে কেটে পরলে দু:খ্যু পাবো!
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১৮:৩১454304
  • রুচিফুচি শিকেয় তুলে নির্দ্বিধায় লিখুন কেলোবাবু । লোকে বড় জোর অবিশ্বাস করবে কি চাট্টি গাল দেবে । তাতে আপনার ঘণ্টা ।
  • kallol | 115.184.60.120 | ১৪ জুলাই ২০১০ ০০:৪৪454305
  • শশাঙ্কর লেখাতেই জবাবটা আছে - এই ৭ বছর কেন মৎস্যজীবীরা জম্বুদ্বীপে ঢুকতে পারেন নি। সুপ্রিম কোর্ট ওঁদের সপক্ষে রায় দেবার পরও যখন ঢুকতে গেছেন পুলিশ মেরে বের করে দিয়েছে।
  • kelo | 117.254.244.251 | ১৪ জুলাই ২০১০ ০১:৪৮454306
  • আচ্ছা কল্লোলদা,
    এই কর্পোরেটগুলো আদৌ কখনও কি "হাত গোটায়"?
    টাটা তো দিব্যি এখনও বছর বছর সিঙ্গুরের জমির লীজ রিনিউ করিয়ে চলেছে।অবলছে ঊপযুক্ত ক্ষতিপূরন না পেলে নাকি তারা ছাড়বে না।অএবং ক্ষতিপূরনের পরিমান ঠিক করবে তারাই।
    সরকার যেমন ক্ষতিপূরন না নেওয়া 'চাষী'দের চুলের মুঠি ধরে তুলতে পারেন.. তা কিন্তু 'টাটা'দের বেলা হয় না। ঐ চাষীদেরও ক্ষতিপূরনের পরিমান টাটাদের মতই মনোমত হয় নি এটাই ছিল তাদের দোষ।
    টাটা হাত গোটায় নি.. পস্কো হাত গোটাবে না.. সাহারাও যদি মনে করে থাকেন হাত গুটিয়েছে তবে বোধ হয় ভুলই করবেন।
  • sana | 114.78.33.110 | ১৪ জুলাই ২০১০ ০৫:৩৯454307
  • শশাংক বাবুর লেখাটা পড়ে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ, শশাংক বাবু। তবে,কেলো বাবু, আপনার লেখার জন্য এখনো অপেক্ষায় আছি।
  • sana | 114.78.33.110 | ১৪ জুলাই ২০১০ ০৫:৫৫454308
  • কেলো বাবু, আপনার চেপে যাওয়া গল্প টা নয় চাপাই থাক,শুনতে চাই না,যখন আপনি বলতে চাইছেন না,কিন্তু,আপনি ঐ মৎসজীবি সম্প্রদায় এর জীবন,ধর্ম বিশ্বাস,মাছ শুকানোর বিশেষ পদ্ধতি এ সব কথা লিখুন না,যেমন লিখছিলেন ? লিখতে ,লিখতে যদি মনে করেন সমস্যা টার কথাও বলবেন,তখন বলুন,নয়তো শুধু ওদের কে আমাদের জানতে দিন। আপনি ওদের এতো কাছ থেকে দেখেছেন বলেই বলছি,আমাদের কেও একটু কাছ থেকে দেখান না ওদের,তাতে তো কোনো দোষ নেই,কাউকে অখুশি করাও নেই,তাই না?
    তবে M এর মতো ই জানি না,এটাও বলে কেলো করলাম নাকি!
  • kelo | 117.254.255.126 | ১৪ জুলাই ২০১০ ০৭:৫৬454309
  • এই থ্রেডে আমার প্রথম বড় লেখাটা আর শশাঙ্কবাবুর লেখাটা পড়ে নিলেই ঐ মত্‌সজীবী গোষ্ঠী ও তাদের জম্বুদ্বীপ আন্দোলন সম্পর্কে জানতে কিছু বাকি থাকে না।অসমস্ত ইন্টারনেটেই ওদের সম্রর্কে এত ভাল তথ্য একজায়গায় নেই।অবাংলা ভাষায় তো নয়ই।
    গুরুচন্ডালীর সবাইকে এই উদ্যোগ নেবার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
    আমিও নাহয় সময় করে আরো দু একটা কথা লিখে দেব.. যাতে বৃত্তটা সম্পূর্ন হয়....
  • kallol | 124.124.93.205 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১১:৫৬454311
  • লেখো কেলো লেখো। বন্ধুরাও যখন বলে ধান্দা ছাড়া মানবাধিকার-পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো কোন কাজ করে না। তখন এই খবরগুলো গুচর মতো মঞ্চে আসাটা জরুরী। তার বেশী তো সাধ্য নাই।
  • kallol | 124.124.93.205 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১২:০২454312
  • কেলো - সাহারা হাত গুটিয়েছে মানে - লাভজনক প্রকল্প নয় বলে আর উৎসাহ দেখায় নি। সিঙ্গুরের সাথে একটা তফাৎ, সাহারাকে ওখানে জমি-টমি দেওয়া হয় নি বোধহয়। তাই তাদের কোন দায়ভার নেই, যেটা টাটার আছে। ঐ জমির জন্য টাটা টাকা দিয়েছে, তা যতো কমই হোক।
    যেদিন সাহারার মনে হবে সুন্দরবনে ভ্রমণশিল্পে বিনিয়োগ লাভজনক - সেদিন আবার চেগে যাবে।
  • kelo | 117.254.243.58 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৪:৪৯454313
  • ঠিকই বললেন কল্লোলদা...
    যে মূহুর্তে .. 'ভ্রমন' বা আরো কিছু লাভজনক হয়ে উঠবে ..তখনই ব্যাপারটা আবার চেগে যাবে। আমরা তো ঠিক জানিও না .. যে মৌ এ 'ভ্রমন' ছাড়া আর কোন কোন সম্ভাবনার রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে।
    তবে, কাজ তো এগিয়ে রাখা রইলই... মত্‌সজীবীরা তো জম্বু থেকে উত্‌খাত হয়েই আছে .. পরের স্টেজে এর পর থেকে শুরু করলেই চলবে। সেটা হবে আরও নি:শব্দে। পরের কাজটা সাহারা হয়ত নিজেও করবে না .. বেনামে করবে অন্যকেউ .. যাদের নামে উচ্ছেদের কলঙ্ক লেগে নেই। অনেকটা ইউনিয়ন কার্বাইড আর ডাও কেমিক্যালস এর মত।
    মত্‌সজীবীদের কাছ থেকেও তখন প্রতিবাদ আসার সম্ভাবনা কম.. কারন তারা তো অলরেডি ছত্রভঙ্গ। আমার আগের লেখায় তো লিখেইছি … কেউ গেছে কালিস্তান .. কেউ বকখালি.. কেউ বা সাগরে। যদি সাগরে পোর্ট হয়, তবে সেটা ঠিক যে জায়গায় হবার কথা ওঁরা এখন বসেন ঠিক সেইখানে।
    অর্থাত – আবার উন্নয়ন .. আবার উচ্ছেদ।
    যেহেতু ওঁরা ছত্রভঙ্গ, সুতরাং সাগরের খটি উচ্ছেদ হলে কি কালিস্তানের বহরদাররা আপত্তি জানাবেন ?? নাকি তাঁরা মনে করবেন “যাক আমি তো বেঁচে গেছি এ যাত্রা !” ?

    কয়েকবছর পরে যদি আপনারা আপনাদের আফিসে বা গাড়িতে বসে জম্বুর ইতিহাস আলোচনা করেন.. তখন দেখবেন হয়ত আপনার লিফ্‌টম্যান বা সিকিউরিটি গার্ড বা ড্রাইভার সেটা শুনে বলছেন যে “ বাবু, আমার বাবা কাকা রা তো জম্বুতে মাছ শুকোতেন এক সময়”

    তখন, কোন না কোন দলের এক 'জনদরদী' সরকার গর্ব করে দাবী করবেন যে ..“সবাইকে 'উপযুক্ত' পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে”
  • Manish | 59.90.135.107 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১১:২৫454314
  • কেলো ভাই চাট্টি ।।।।।।।।।।।।খাওয়াদাওয়া করে কিছু লেখা যায় না।
  • kelo | 117.254.249.114 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১৪:৩৩454315
  • হ্যাঁ হ্যাঁ চাট্টি ডি...মানে ইসে... খেয়েই আপনার অনুরোধমত এটা লিখে ফেল্লাম। এই নিন...

    আপনি যদি কাকদ্বীপ বাজারেরে মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ান .. আর সামনে থেকে যে কোন লোককে বেছে নেন.. তবে সেই লোকটি আমাদের এই গোষ্ঠীর লোক হবার সম্ভাবনা .. ১৫ তে ১ বা ২০ তে ১। তবে বাকি লোকেরা কারা? আমাদের এই মত্‌সজীবী গোষ্ঠীর লোকেদের সম্পর্কে তাঁদের মনোভাবই বা কি? সে সম্পর্কে এবার কিছু বলি...

    এই কথাগুলো না বললে, সত্যিই যদি আপনারা কোন একদিন সকালে দামী স্নিকারের ওপর জীন্স এঁটে .. টুপি- রোদচশমা বাগিয়ে, হাতে মিনারেল ওয়াটারের বোতল ঝুলিয়ে কাকদ্বীপে, আমার বলা কথাগুলো যাচাই করতে যান, তবে আমি আপনাদের কাছে ডাহা মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন হব।
    বরং আপনাদের মনে হবে .. সরকারী বক্তব্যই সত্য … এ লোকগুলো চোরাচালানকারী, বন্দুক পাচারকারী, নেশার দ্রব্য পাচারকারী .. এবং সর্বক্ষন নেশা করে বসে থাকা কিছু সমাজবিরোধী।

    কাকদ্বীপে ওঁদের প্রতিবেশীদের কথা দূরে থাক... আমার এতক্ষনের লেখা পড়েও কি মাঝে মাঝে তাই মনে হয় না ?
    ওদের “সীজন টাইমে”“সাবারের কাজ” করতে না পারলে ছটফটানি, ওদের বাংলাদেশ রেডিওপ্রীতি, সর্বোপরি ওদের বাইরের লোকদের প্রতি সন্দেহপ্রবনতার কথা তো আমি নিজের হাতেই লিখেছি.. আমার প্রথম যে লেখাটা থেকে এই টইটার উত্‌পত্তি সেটা দেখুন... । সেই লেখাটা পড়ে গেছে সম্পূর্ন অন্য বিষয় ..“উইন্ডোজ বনাম...” টই এ।
    ঐ টই এ আমার Date:04Jul2010 -- 06:45PM তে লেখাটা দেখুন.... নিচে লিঙ্ক দিলাম (কিন্তু ভেঙ্গে গেলে আমি জানি না)..
    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1277371077980&contentPageNum=16
    ওখানে আমি বলেছি যে প্রথমবার যখন আমরা চার বন্ধু মিলে কাকদ্বীপ যাই, সেই ১৯৯২ কি ১৯৯৩ সালে.. তখন ওদের গ্রামে ঢুকতে এবং বন্ধুকে খুঁজে বার করতে আমাকে কতবার জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল। ওরা যদি আমার কথামত এতই ধোয়া তুলসীপাতা হবে, তবে ওদের মনেই বা কিসের এত অবিশ্বাস? সে সময় তো জম্বুর কোন সমস্যাই ছিল না।
    সমস্যা ছিলই। ঠিক সমস্যা নয়, একটা ব্যবধান ছিল। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ব্যবধান ছিল..ওঁদের সামাজিক অবস্থানে .. ব্যবধান ছিল ..অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ..এবারে আসছি সে কথায়।

    আমি সম্পূর্ন আমার মত করে আমার নিজেরই তোলা প্রশ্নগুলোর ব্যাখ্যা দেব। যেটা দেব, সেটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে .. এবং বাস্তবে তা আলাদা হতেই পারে। তবে মনে রাখবেন ..ওদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে মত দেবার ক্ষেত্রে আমিও সুচেতনাদেবীর পরিবেশচর্চার মত কিছুটা অনধিকার চর্চাকারী।

    ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে সম্ভবত: কাকদ্বীপ অঞ্চলে এই গোষ্ঠীর একজন লোকও ছিলেন না.. তাঁরা ছিলেন তাঁদের নিজভূমে .. চট্টগ্রামে। এই টইএই আমার Date:05Jul2010 -- 02:42AM পোস্ট দেখলে দেখবেন কিভাবে ওরা ছড়িয়ে গিয়েছিলেন নানা উদ্বাস্তু শিবিরে.. তারপর কিভাবেই বা আবার এক হলেন কাকদ্বীপে। এর কিছুটা উল্লেখ বিকাশবাবুর বই Themoonandthenet এও আছে।
    তারপর এল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ.. আবার নতুন করে আসা মানুষের স্রোত। তারাও আগে আসা মানুষদের সাহায্য ও সহযোগীতা পেয়ে বসবাস শুরু করলেন কাকদ্বীপের কাছাকাছি এলাকাতেই। চেষ্টা করলেন তাঁদের নিজের গোষ্ঠীর সংস্কৃতি, জীবিকা, ও স্বাতন্‌ত্‌র্‌য টিকিয়ে রাখতে।

    এখানে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগছে নিশ্চয়ই.. যে.. কারা ছিলেন ঐ অঞ্চলে ১৯৪৭ এর আগে? এ প্রশ্নের কিছুটা জবাব পাবেন .. অমল কুমার দাস ও মনীশ কুমার রাহার লেখা TheOraonsofSunderban গ্রন্থে। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন যে বইটা মোটেই শুধু কাকদ্বীপ অঞ্চলে বসবাসকারী জনজাতি সম্পর্কে নয়। কিন্তু লেখকরা কিছু তথ্য দিয়ে ফেলেছেন ওতে, যাতে কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যায়, যে কেমন ছিল ওখানকার অবস্থা .. আমাদের এই মত্‌সজীবী গোষ্ঠী ওখানে আসার আগে।
    ওখানকার মূল লোকরা ছিলেন মূলত: পূর্ব মেদিনীপুর থেকে আসা লোক, কিছু ছিলেন.. লাগোয়া অন্য জেলা থেকে আসা লোক.. আর সামান্য কিছু ছিলেন.. ঐ রাহাবাবুদের বইতে লেখা ওঁরাও রা .. যাঁদের বৃটিশ সরকার .. জঙ্গল পরিস্কার করার শ্রমিক হিসেবে এনে ওখানে বসিয়েছিলেন।

    আমাদের চেনা এই জনগোষ্ঠী সেখানে পদার্পন করার আগে, আমার ওপরে বলা বাকি লোকজন বেশ মিলেমিশে গিয়ে দুটি করে খাচ্ছিলেন। কেউ ছিলেন .. বন থেকে মধু ও কাঠ সংগ্রহের কাজে..যাদের লড়াকু জীবনের কথা কয়েকটা পোস্ট আগেই কল্লোলদা লিখছিলেন আর আমরা শিউরে উঠে চোখ বন্ধ করে ফেলছিলাম।
    এছাড়া ছিলেন .. ট্রাডিশনাল মত্‌সজীবীরা, যাঁরা উপকূলের কাছে বা খাঁড়িতে জাল ফেলে মাছ ধরে সেটা টাটকাই বিক্রি করতেন। এছাড়াও ছিলেন সামান্য কিছু চাষী.. নোনা জমি ছাড়া চাষের জমির পরিমান ওখানে খুবই কম.. তাই তারা সংখ্যায় তুলনামূলকভাবে কিছু কম। পানপাতা হল ওখানকার একটা প্রধান ফসল।
    এইসব আদি জীবিকায় যাঁরা ছিলেন .. বা এখনো আছেন .. তাঁরা কিন্তু হদ্দ গরীব। হ্যাঁ .. এই চৌত্রিশ বছরের বাম শাসনের পরও। জীবন বাজি রেখে মধু সংগ্রহ করেও তাঁদের আর্থিক অবস্থা কিরকম .. সেটা জানতে বরং কল্লোলদাকে জিঞ্জেস করে নিন .. উনি তো নিজের মুখে গান শুনিয়েছেন তাঁদের। এ তো গেল মউলেদের কথা .. আর জেলে .. বা চাষী? .. তাদের আবস্থাও এর চেয়ে খুব একটা ভাল নয় .. কুমীর, কামট আর ঘন ঘন সাইক্লোনের সঙ্গে লড়াই করে তাঁরা যে ফসল ফলান .. সেটা পচনশীল.. অর্থাত মাছ বা পানপাতা .. দুইই। তাই তাঁদের উত্‌পাদিত পন্যের ন্যায্য দাম পান না বেশীভাগ সময়েই।

    আমি যখন নয় এর দশকের প্রথম দিকে ঐ এলাকায় যেতে শুরু করি, তখন সেখানে নিদারুন দারিদ্‌র্‌য..( এখন যে উন্নয়নের ঠেলায় সব পাল্টে গেছে তাও নয় কিন্তু)। আমি প্রথম কাজ করতাম .. যাঁরা নদী, খালে বাগদা চিংড়ীর পোনা সংগ্রহ করেন তাঁদের মধ্যে। সেটা তখন নতুন ওঠা পেশা .. এবং খুবই লাভজনক পেশা। অন্য নানা পেশার মানুষ তাঁদের অভাব অনটন খানিকটা কমাতে এই পেশায় চলে আসছিলেন তখন। সে অবশ্য একেবারে অন্য গল্প.. সেটা আর এখানে বলে এটাকে বড় করব না। সে পেশার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে দিস্তে দিস্তে পেপার লিখেছেন জ্ঞানীমানী মানুষজন.. খুঁজেপেতে পড়ে নেবেন ইচ্ছে হলে...

    আমরা যখন প্রথম কাকদ্বীপ যাই .. তখন কাকদ্বীপ বাজার থেকে পুকুরবেড়িয়া বাজবরনতলা ('বাজবরন' মানে 'ক্যাকটাস' সম্ভবত: চাঁটগেঁয়ে ভাষায়।) পর্যন্ত সাইকেল-ভ্যান ভাড়া ছিল কুড়ি পয়সা মাত্র। আমার এক বন্ধু জয়, যে কিনা আজ সুইডেনের এক বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক.. সে রীতিমত আন্দোলন করেছিল ওখানকার ভ্যানভাড়া বাড়ানোর জন্য। ভ্যানওয়ালারাই অবাক হয়ে চেয়ে থাকত তার দিকে... যে ..“দাদা, এই ভাড়াই মানুষ দিতে পারে না.. তা .. আরও বেশী ভাড়া চাইব কি ?” এ গল্প আমি আপনাদের বললাম শুধু ওখানকার মানুষের আর্থিক অবস্থা বোঝাবার জন্য।

    নব্বুই দশকের গোড়ার দিকে যদি এই অবস্থা হয় তবে বিকাশবাবুর কথামত ১৯৫৫, বা সত্তর দশকের শুরুর অবস্থার কথা কল্পনা করুন.....
    তারই মধ্যে হঠাত একদল অদ্ভুত মানুষ এসে কাকদ্বীপে বাসা বাঁধতে শুরু করল … যাঁদের মুখের ভাষা দুর্বোধ্য, ধর্মবিশ্বাস (অদ্বৈতবাদ) আরও দুর্বোধ্য, সবচেয়ে রহস্যময় হল তাঁদের আচার আচরন। শরতকাল এলেই তাঁরা ঘরবাড়ি , স্ত্রী সন্তান ফেলে …. সমুদ্রের মধ্যে কোথায় নিরুদ্দেশ হয়ে যান চার পাঁচ মাসের জন্য। যখন ফিরে আসেন তখনও সঙ্গে মাছটাছ কিছু আনেন না.. আনেন কেবল বিশ্রী গন্ধওয়ালা সামান্য কয়েকটা বস্তা। সেগুলূ আবার কোথায় পাচার করে দিয়ে ঘরে আনেন প্রচুর টাকা.. একেবারে হার্ড ক্যাশ। …. এতে সন্দেহ হবে না ??? এইরকম একদল লোকের ওপর প্রতিবেশীদের সন্দেহ হবে না তো কার ওপর হবে?
    আপনি ঐ প্রতিবেশীদের জায়গায় থাকলে আপনারও মনে হত যে ঐ বিটকেল গন্ধওয়ালা নোংরামত বস্তাগুলো কালাশনিকভ, রকেট লঞ্চার আর মাদকদ্রব্যে ঠাসা। আমি অন্তত আপনাকে দোষ দিতে পারতাম না। এর জন্য দায়ী ওরা নিজেই.. আমাদের প্রথম পরিচয়ে ওঁদের জেরার কথা তো আমি বারে বারে বলেছি। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও এই অবিশ্বাসের ব্যবধানটা বরাবর রয়ে গেছে ওখানকার লোকের মধ্যে .. আজও পুরোপুরি ঘোচে নি।

    সারাবছর গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানো আর শীতকালে দিব্যি বৌ এর হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে হাসিমুখে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা রোজগার করে নিয়ে আসা … বাঙ্গালী সমাজে এটাকে কবে কোনদিন ভাল চোখে দেখা হয়েছে?
    কত টাকা ওঁরা আয় করতে পারেন ঐ চার পাঁচ মাসে ?
    হিসেব করাও তো খুব সোজা.. আপনাদেরই বুলবুলভাজায় শশাঙ্কবাবুর লেখা পড়ুন .. উনি বলেছেন …
    “চার মাসে আনুমানিক ১৫ হাজার টন মাছ এই দ্বীপে নামানো হ'ত।”
    এই পনের হাজার টন মাছের লাভের টাকায় কতজন ভাগ পেতেন? শশাঙ্কবাবুর লেখা ও এম.এস.স্বামীনাথনের ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার একবাক্যে বলছে...
    “জম্বুদ্বীপের এই কাজে সরাসরি দশ হাজার মানুষ ছাড়াও মাছ ঝাড়াই বাছাই, মজুত এবং বাণিজ্যের কাজে আরো অন্তত: দশ হাজার মানুষ যুক্ত ছিল।”
    মানে অঙ্কটা সোজা .. পনের হাজারকে টন মাছকে দশ হাজার লোক দিয়ে ভাগ করে দিন... তা ছাড়া শুধু মাছ নয়.. মাছটা শুকোনোর ফলে প্রচুর 'ভ্যালু অ্যাডিশন'ও হত। মোদ্দা কথা .. ওদের আয় মোটেই ফ্যালনা ছিল না।

    এবার আপনারা তেড়ে উঠতে পারেন ….
    “কেলোটা আমাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে একেবারে গুরুতে টাটা বিড়লাদের গপ্প শুনিয়ে দিলে গা....সব্বোহারার ওয়েবসাইটটার আর কোন জাতই রইল না। কালই গঙ্গজল দিয়ে ধুয়ে রিবুট করতে হবে সার্ভারটা।”

    তা আপনারা করতে পারেন ..কি আর করা যাবে … এটুকুই বলতে পারি … ওরা যদি ওখানে না থাকত, তবে কাকদ্বীপে, ঐ সময়, ঐ ডিস্ট্যান্সের ভ্যানভাড়া হত বড়জোর পাঁচ বা দশ পয়সা। সেই সময় যেখানে যেখানে ওরা ছিল না .. মানে সেই .. ক্যানিং, কুলতলি, পাথরপ্রতিমা বা গোসাবায় ভ্যানভাড়া তো তাইই ছিল। বুঝলেন তো অবস্থা?

    পরে সময় সুযোগ করে আপনাদের এ লাইনে আরও কিছু গুলতাপ্পি দেওয়া যাবে...
  • vikram | 193.120.76.238 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১৪:৪২454316
  • কেলো বাবু র এই ল্যাখা এখানে পড়তে পারার সৌভাগ্য হচ্ছে এইটা ভাবাই যায় না। জয় গুরু।
  • kelo | 117.254.249.114 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১৬:০৪454317
  • হুঁ:...যা বলেছেন দাদা,
    ঠিকমত বোলচাল ঝাড়তে পারলে আরশুলাও এরোপ্রেন।

    কেলো।
  • vikram | 193.120.76.238 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১৭:৩৫454318
  • হ্যাঁ, কেলোর কীর্তি যাকের বলে।
  • til | 220.253.178.104 | ১৬ জুলাই ২০১০ ০৮:৩১454319
  • উৎসাহী পাঠকগণ নীচের এই লিঙ্কের প্রোগ্রামটা শুনতে পারেন; একটু ধৈর্য্য ধরে শুনলে দেখবেন খোদ আমেরিকাতে কি শোষণ চলে। ঘন্টাখানেকের, কিন্তু আমি গ্যারান্টী দিতে পারি অপচয় হবে না।
    ১৫ই জুলাই ২০১০ এর প্রোগ্রাম শুনুন।
    http://www.abc.net.au/rn/latenightlive/
  • কেলো | 120.227.243.217 | ১১ জুন ২০১২ ১৯:৩২454320
  • জুজুবাদ জিন্দাবাদ, জুজুবাদ দীর্ঘজীবী হউক।
    নিখিল বিশ্বের জুজুবাদী এক হও।
    অবশেষে সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান...

    আবার সে এসেছে ফিরিয়া-
    http://www.anandabazar.com/11bus1.html

    নাঃ খানিকটা টুকেই দি-

    “এর আগে সিপিএম জমানায় সুব্রতবাবু কলকাতায় লগ্নির উৎসাহ দেখিয়েছিলেন। সুন্দরবনে ভাসমান পর্যটক কেন্দ্র, ফিল্ম সিটি এবং আবাসন প্রকল্পের বিষয়েও কথাবার্তা এগোয়। কিন্তু সিপিএমের সঙ্গে বিরোধের জেরে শেষ পর্যন্ত সুব্রতবাবু পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করা থেকে পিছিয়ে যান। সুব্রতবাবুর ছেলের বিয়েতে নিমন্ত্রণ পেয়ে সে দিন দেশের বিভিন্ন দলের নানান নেতা এলেও বুদ্ধবাবু আসেননি। এর পর আর সুব্রতবাবু কলকাতামুখো হননি।”
    - আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১ জুন, ২০১২।

    সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র কেবল “ভাসমান” ছিল না। সে যুগের সাহারা ওয়েবসাইটে চমতকার বিস্তারিত দেওয়া ছিল সবকিছু পরিকল্পনা। সেও অবশ্য হিমশৈলের চূড়াটুকু মাত্র। আমি সেই সাইটটা লিচিং করে আমার মেশিনে জমিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু সেই ২০০৩-০৪ এর কথা, কোথায় গেছে কে জানে। তখনকার ব্লিডিং এজ্ ম্যাক্সটর কুড়ি জিবি হার্ডডিস্ক তো কব্বে ভোগে গেছে। খুঁজব, তবে পাব কিনা জানিনা।

    আরও আছে-
    “বাম জমানার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল হলেও তাঁর মতে, সার্বিক ভাবে তৎকালীন সরকার তাঁদের প্রকল্প বিশেষ করে, সুন্দরবন প্রকল্পটিকে সমর্থন করেনি। এ দিন অনুষ্ঠানের পরে প্রশ্নের জবাবে তাঁর বক্তব্য, ওই প্রকল্পটি নিয়ে পরিবেশগত কোনও সমস্যা না থাকলেও সরকার পিছিয়ে যায়। তাঁর কথায়, “বুদ্ধবাবু প্রগতিশীল ব্যক্তি। তিনি অনেক কিছু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। কারণ বিভিন্ন সমস্যা ছিল।””
    - আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১ জুন, ২০১২।

    এই ' ওই প্রকল্পটি নিয়ে পরিবেশগত কোনও সমস্যা না থাকলেও' সার্টিফিকেটটাতেও আমার প্রশ্ন আছে।ক্যানিং এ জনশুনানির নামে যে প্রহসনটি হয়েছিল সেটির বর্ননা ওই এলাকার কোন এস ইউ সি আই কর্মীর মুখেই শুনে নেবেন। তারাই একমাত্র (স্বীকৃত) রাজনৈতিক দল, যাঁরা এর প্রতিবাদ করেছিলেন। এই পরিবেশের ছাড়পত্রটি নিশ্চয়ই সেই জনশুনানিরই ফসল।

    টাটারা যেমন এখনও সিঙ্গুরের জমির দখল ছেড়ে দেয় নি, সেরকম সাহারারাও কোনদিনই সুন্দরবনে তাদের দখল ছেড়ে দেয় নি। যেটুকু তারা দখল করতে পেরেছিল সেটুকু এখনও এই মা মাটির সরকারের আমলেও তাদেরই রয়েছে।

    ২০০১ এর উন্নততর বামফ্রন্টের আমলে প্রগতিশীল বুদ্ধবাবু গোষ্ঠী যে কাজটা সুন্দরবনে ঠিকভাবে হাসিল করতে পারেন নি, ২০০৬ এ আরও সমর্থন এবং মিডিয়া প্রোপাগান্ডা পেছনে নিয়ে সেই কাজটাই সিঙ্গুরে সম্পন্ন করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবাসীর দুর্ভাগ্য, যে সেবারও কিছু ব্যাদড়া লোক তাঁদেরকে বাধা দেয় এমনকি যার জেরে তাঁদেরকে গদি পর্যন্ত হারাতে হয়।

    এখন সাহারশ্রী ফিরে এসে পরিস্থিতি কিরকম পাচ্ছেন সেটা একটু দেখুন দেখি -

    আগেরকার দলবল প্রগতিশীল-গতানুগতিক মিলিয়ে একেবারে ঢাকিসুদ্ধ বিসর্জন হয়ে গেছে। তখনকার SUCI এবং ব্যাদড়া লোকেরা এই সরকারকে গদিতে বসাতে যথেষ্ট সাহায্য করলেও তারা কোন অজ্ঞাত কারনে এই সরকারের কন্ট্রোলে নেই। যাঁরা আছেন, তাঁদের মুখ হলেন মুকুল রায়, মদন মিত্র শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ।

    জম্বুদ্বীপের আন্দোলনের ছিটেফোঁটা অবশিষ্ট নেই। আন্দোলনকারীরা কেউ সাগরদ্বীপে কেউ বা পাথরপ্রতিমার দিকে ছড়িয়ে পড়েছেন। যাঁরা সাগরে, তারা হয়ত সাগরদ্বীপের নতুন বন্দরের হাত থেকে নিজের জীবিকা বাঁচাতে ব্যতিব্যস্ত। . . . হায় জম্বুদ্বীপ!

    জম্বুদ্বীপ আন্দোলন এর প্রাণপুরুষ শ্রী হরেকৃষ্ণ দেবনাথ মহাশয় মৃত। তাঁর নেতৃত্বের উত্তরসূরী কেউ নেই। যাঁরা তাঁকে চেনেন তারা বুঝতেও পারবেন, যে তাঁর উত্তরসূরী হওয়া কেন কোন সাধারন মানুষের পক্ষে অসম্ভব।. . . হায় নিয়তি!

    মত্সজীবীদের মধ্যে যাঁরা উচ্চশিক্ষিত এবং নেতৃত্ব দেবার যোগ্য লোক ছিলেন তাঁরা অনেকেই আজ রাজ্য সরকারের বেতনভুক কর্মচারী।সুখী সংসারী মানুষ।. . . হায় প্রতিরোধ!

    সুতরাং অনুকূল পরিস্থিতিতে বারে বারে স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করাই হচ্ছে কর্পোরেটদের নীতি, এবং প্রতিকূল আবস্থায় দাঁত কামড়ে আগের আবস্থানে পড়ে থাকাও। পিছু হটা কোনমতেই নয়। আমার এই কর্পোরটবীক্ষার সঙ্গে আপনি যদি সহমত না হন, তাহলে বুঝব ডিডিদা আপনার মাথাটি এক্কেবারে খেয়েছেন।
  • কল্লোল | 125.184.99.121 | ১২ জুন ২০১২ ০৬:২৪454322
  • সুব্বোতোবাবু, আবার সে এসেছে ফিরিয়া ইষ্টাইলে ফিরে এয়েচেন। সেটা পড়েই আমার এই টইটার কথা মনে জেগেছিলো। তা, অধিকারী জন ভাবা মাত্রই কাজ নেমে গেছেন।
    জয় হোক কেলোর।
  • কেলো | 127.254.240.232 | ১৩ জুন ২০১২ ০২:৩২454323
  • আমার ওপরের পোস্টে দেওয়া লিঙ্কটা দেখছি অন্য লেখায় রিডাইরেক্ট করে দিচ্ছে। যদিও এমন করার কথা না। লিঙ্কে দেওয়া URL আর রিডাইরেক্টেড URL সম্পূর্ন আলাদা।
    যাক – ওই লেখাটা আনন্দবাজারের আর্কাইভে রয়েছে। এখানে তার লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি, আশাকরি এটা এক্সপায়ার করবে না।
    http://www.anandabazar.com/archive/1120611/11bus1.html

    আনন্দবাজার লিখেছিল -
    “পড়শি রাজ্য ওড়িশা কিংবা পড়শি দেশ বাংলাদেশে পা রাখলেও পশ্চিমবঙ্গ কত দিন ব্রাত্য থাকবে তাঁর কাছে?”
    -আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১ জুন, ২০১২।

    আমি বাংলাদেশে সাহারার পা রাখার ব্যাপারটা জানতাম না। তাই একটু খুঁজে দেখতে গিয়ে এই তথ্যকটি পেলাম -

    বাংলাদেশে সাহারা পা রেখেছে মাত্রই গত মাসের পঁচিশ তারিখে। ওইদিন রূপসীবাংলা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাহারাশ্রী “সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড” নামে একটি কোম্পানী আরম্ভ করেন।
    ( নামটি আমার ভারী ভাল লেগেছে - মা আছে মাটি/ভূমি আছে আবার উন্নয়ন ভি আছে)

    আরও মজা আছে -
    Sheikh Fazle Hossain Fahim, nephew of Prime Minister Sheikh Hasina, has been made its director. "Fahim will be our guide here and act as a mentor," Subrata said.
    -The Daily Star, 26 May, 2012.
    আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীরও একজন এমনতরো ভাইপো আছেন না? সেই যিনি মাঝে সাঁঝে পুলিশ ঠেঙ্গিয়ে বেড়ান! এইবেলা সাহারাশ্রীর কৃপায় তাঁর একটা হিল্লে লেগে গেলে কিন্তু বেশ হয়।

    মনে হতে পারে এসব পরনিন্দা পরচর্চা জম্বুদ্বীপের টইয়ে কেন? তাই তো ?

    জম্বুদ্বীপ তো সাহারা সুন্দরবন প্রোজেক্টের পার্ট। ওপারের সুন্দরবনের দিকেও কিন্তু সুব্বোতোবাবুর লজর আছে। ওই একই কাগজ লিখেছে -
    Subrata Roy said they also have plans to invest outside Dhaka. Sahara group is also keen to invest in Bangladesh's tourism sector and also shared a plan for taking up a project in the Sundarbans, he added.

    Sharing his bitter experience of a proposed tourism project with the West Bengal government in the Sundarbans, he said it was stalled because of the outcry of the environmentalists.

    “That project can be initiated here as the larger part of the Sundarbans falls in Bangladesh,” he said, adding that a proposal on this issue was submitted to the government on Thursday.
    -The Daily Star, 26 May, 2012.

    এই নিন ডেলী স্টার এর লিঙ্ক -
    http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=235783

    একটা কাকতালীয় ব্যাপারও আছে। ওই একই কাগজে লিখছে -
    Earlier, Subrata Roy told journalists, "Six months back, in our proposal to the Bangladesh government we asked for land [for the housing project]. We will build all infrastructures there. The government does not even need to invest since we will put all the money in."
    -The Daily Star, 26 May, 2012.

    মানে সুব্বোতোবাবুরা লড়ে চড়ে বসেন ঠিক এ রাজ্যে (পট) পরিবর্তনের পরে পরেই। এটা হয়ত একেবারেই কাকতালীয়, তবুও খেয়াল রাখতে দোষ কি!

    আর ওপারের সুন্দরবনের ট্যুরিজম প্রোজেক্ট টা ঠিক কিরকম?

    বাংলাদেশের ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস বলছে সেটা নদীর ওপর একটা শহর -
    Mr Sahara also conveyed his interest in investing on building a city over rivers in the Sundarbans area in Bangladesh saying that such a project, planned for implementation over rives in Paschimbanga, was cancelled earlier due to strong protest from the Indian environmentalists.
    -The Financial Express, VOL 20 NO 278, Dhaka, Saturday May 26 2012
    ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের লিঙ্ক -
    http://www.thefinancialexpress-bd.com/more.php?news_id=130797&date=2012-05-26

    আর একটা ব্যাপারে মজা লাগল -

    সুব্বোতোবাবু পর্শু এপারের আনন্দবাজারকে বলেছেন -
    বাম জমানার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল হলেও তাঁর মতে, সার্বিক ভাবে তৎকালীন সরকার তাঁদের প্রকল্প বিশেষ করে, সুন্দরবন প্রকল্পটিকে সমর্থন করেনি। এ দিন অনুষ্ঠানের পরে প্রশ্নের জবাবে তাঁর বক্তব্য, ওই প্রকল্পটি নিয়ে পরিবেশগত কোনও সমস্যা না থাকলেও সরকার পিছিয়ে যায়। তাঁর কথায়, “বুদ্ধবাবু প্রগতিশীল ব্যক্তি। তিনি অনেক কিছু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। কারণ বিভিন্ন সমস্যা ছিল।”
    -আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১ জুন, ২০১২।

    অর্থাত প্রকল্পটিতে পরিবেশগত সমস্যা ছিল না, রাজনৈতিক কারনে রূপায়িত হয় নি।'সরকার আটকে দিয়েছে।' তাই তো?

    অথচ গেল মাসের পঁচিশ তারিখেই ওপারের সাংবাদিক সম্মেলনে বলে এসেছেন -
    Mr Sahara also conveyed his interest in investing on building a city over rivers in the Sundarbans area in Bangladesh saying that such a project, planned for implementation over rives in Paschimbanga, was cancelled earlier due to strong protest from the Indian environmentalists.
    -The Financial Express, VOL 20 NO 278, Dhaka, Saturday May 26 2012
    এবং
    Sharing his bitter experience of a proposed tourism project with the West Bengal government in the Sundarbans, he said it was stalled because of the outcry of the environmentalists.
    -The Daily Star, 26 May, 2012.
    অর্থাত পরিবেশবাদীদের হট্টগোলেই এপারের সুন্দরবন প্রোজেক্ট আটকে যায়। তখন পরিবেশবাদীরা এপারে নিশ্চয় সরকার চালাচ্ছিলেন না।

    এসব হয়ত কিছুই নয়, তাও শশাঙ্কবাবু সমেত যাঁরা তখন মাঠে ছিলেন তাঁদের একটু সজাগ থাকতে বলবেন।
  • কেলো | 127.254.253.198 | ২০ জুন ২০১২ ০১:০১454324
  • কী কোইন্সিডেন্স!
    সুব্বোতোবাবুরা নড়ে চড়ে বসতেই বাংলার ফরেস্ ডিপাটমেন্টও একেবারে তেড়েফুঁড়ে উঠেছে।

    আজকের টাইমসে - Stop picnics, start eco-tourism in Sundarbans: Bengal forest dept শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে রয়েছে -

    ""We want to end irresponsible tourism and promote eco-tourism in the Sunderbans. To do so, we need the cooperation of all stakeholders. This is a clarion call for all-NGOs; tour operators; boat and lodge owners-to partner with the forest department and create awareness on the need to preserve the region's ecology while conducting tourism activities,"" Sunderban Biosphere Reserve director Pradeep Vyas told a stakeholders' meeting in the city on Monday.

    স্টেকহোল্ডারস মিটিং ??? স্টেকহোল্ডার কারা কারা ? টাইমসে প্রদীপ ব্যাস সাহেবের কথা মত তারা NGOs; tour operators; boat and lodge owners তাই তো ?
    কিন্তু বুদ্ধবাবুর প্রথম উন্নততর বামফ্রন্ট সরকারের আমলে যে সাহারা গুষ্টী কুলতলি ক্যানিং এ খোঁটা পুঁতল (এবং SUCI সে খোঁটা ওপড়ালো) তার কি হবে? খুঁটি পোঁতা মানে তো সাহারারাও 'স্টেক'হোল্ডার। সাহারাদের তাড়িয়ে দেবার জন্য তো দিদি রাতারাতি-আইন ও করেন নি, মামলাও করেন নি। তার মানে তো সাহারাদের স্টেক অক্ষুন্ন রয়েছে এখনো।

    আরও একটা প্রশ্ন – এই যে ইররেস্পনসিবল ট্যুরিজমের বিরুদ্ধে ব্যাস সাহেবেরা একেবারে জেহাদ ঘোষনা করলেন -"We want to end irresponsible tourism and promote eco-tourism in the Sunderbans" বলে, সেই ইররেস্পনসিবল ট্যুরিজমের জন্য স্পষ্টতই NGOs; tour operators; boat and lodge owners রা দায়ী। এবং প্রদীপ সায়েব বলেই দিয়েছেন We want to end irresponsible tourism. মানে কি আস্তে আস্তে এমন নিয়ম কানুনের কড়াকড়ি করা যাতে NGOs; tour operators; boat and lodge owners রা ধীরে ধীরে আর ব্যবসাই না করতে পারে?
    সেক্ষেত্রে 'প্রকৃত' eco-tourism এর আশ্বাস নিয়ে কি এইসব ইররেস্পনসিবল, ব্যাদড়া লোকজনদের বদলে স্বদেশ ও প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধ, প্রকৃত দায়ীত্বশীল স্টেকহোল্ডার রা এগিয়ে আসবে? এই যেমন ধরুন সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার।

    টাইমসের লিঙ্ক -
    http://timesofindia.indiatimes.com/home/environment/flora-fauna/Stop-picnics-start-eco-tourism-in-Sundarbans-Bengal-forest-dept/articleshow/14265451.cms

    যা যা দেখছি বা ভাবছি তা কি ঠিক ? নাকি স্রেফ সন্দেহবাতিক? জুজু দেখছি ? কে জানে কোনটা সত্যি। দিদি ও কুনালবাবুর একটি কথা আজকের পোতিদিনেও আছে। কথাটি আমাওর বড় ভাল লেগেছে। কথায় কথায় ওঁরা বলেন -
    জবাব দেবে ভবিষ্যত....
  • কেলো | 120.227.122.124 | ২৩ জুন ২০১২ ২৩:৫৯454325
  • উন্নয়নের একশেষ...
    জনমানবশুন্য জম্বুদ্বীপে কি এবার সেলফোনের টাওয়ারও বসতে চলেছে? প্রস্তাবটি প্রসাশনের কাছে পেশ করেছেন ওই অঞ্চলের 'প্রাক্তন' বিধায়ক শ্রী জয়কৃষ্ণ হালদার মহাশয়। খবর বর্তমানে -

    “     ,       ,                ’             ”
    “  ,   সামনে  ”
    - বর্তমান পত্রিকা, পৃষ্ঠা - ৬, শনিবার, ২৩ শে জুন, ২০১২
    লিঙ্ক - http://www.bartamanpatrika.com/content/kolkata.htm

    জম্বুদ্বীপে যাঁরা শুকনো মাছের ব্যবসা করতেন তাঁদের উচ্ছেদের পেছনে রাজ্য সরকারের বনবিভাগের প্রধান অভিযোগ ছিল 'পরিবেশ দূষন' এর। ( এছাড়াও, চোরাচালান, চোরাশিকার, বৃক্ষচ্ছেদন ইত্যাদি তো আছেই)
    এখন প্রশ্ন হল জম্বুদ্বীপে সেলফোন টাওয়ার কি পরিবেশ বান্ধব পরিকল্পনা? টাওয়ার বসান হলে তার বিদ্যুতই বা আসবে কিভাবে?
    খবরটা অবশ্য ঘোলাটে, কারন প্রতিটি ট্রলারে VHF রেডিওর বদলে স্যাটেলাইট টেলিফোন দিলে টাওয়ার বসানোর দরকার থাকে না। তাই একই সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনের প্রস্তাব করা এবং সেজন্য টাওয়ার বসান- ব্যপারটা ঠিক অর্থবহ হয় না। স্যাটেলাইট ফোনের এবং তার পরিষেবার যা খরচ, তাতে প্রতিটি ট্রলারে সে জিনিস দিতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঢাকের দায়ে মনসা বিকিয়ে যাবে। এর চেয়ে প্রতি মদ্যপায়ীকে দু লাখ টাকা আগাম দেওয়াও বোধহয় সস্তা পড়বে। তাই সবদিক বিচার করে দেখলে মনে হয় মাননীয় প্রাক্তন বিধায়ক স্যাটেলাইট ফোন নয়, পাতি বি এস এন এল মোবাইল ফোনের জন্যই টাওয়ার বসাবার প্রস্তাব করেছেন।
    আরও একটা জিনিস আমাকে অবাক করছে। সেটা হল নিরাপত্তার জন্য VHF রেডিওর থেকে মোবাইল ফোনকে অগ্রাধিকার দেবার ব্যাপারটা। VHF রেডিও Peer to peer পদ্ধতিতে কাজ করে। সেলফোনের মত One to one communication নয়। VHF রেডিও দিয়ে ব্রডকাস্ট করা সম্ভব যা সেলফোনে সম্ভব না। ব্রডকাস্ট করলে আপনার বিপদের কথা একইসঙ্গে অনেকে জানতে পারে ফলে সাহায্যের সম্ভাবনা বাড়ে। VHF এ চ্যানেল ১৬ হল ডিসট্রেস চ্যানেল। সেটা সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। চ্যানেল ১৬ তে গিয়ে ডিসট্রেস কল দিলে একই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সেই বিপদবার্তা শোনার ও সাড়া দেবার কথা। তার বদলে সেলফোন ! ! হাস্যকর শোনাচ্ছে না? মাননীয় প্রাক্তন বিধায়ক এ সবের কিছুই জানেন না এমন হতেই পারে না। ওয়্যারলেসের টেকনিকাল না হলেও প্র্যাকটিক্যাল নলেজ ওখানকার প্রতিটি মত্সজীবির মজ্জাগত। ভেবে দেখুন জম্বুর মত একটা রিমোট দ্বীপে টাওয়ার, যেটাতে পাওয়ার যে কোন মূহুর্তে ফেল করতে পারে। ওই টাওয়ার ফেল করলে বিস্তীর্ন অঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন ট্রলারে ছড়িয়ে থাকা সেলফোনগুলো পেপারওয়েট মাত্র। তার সঙ্গে টাইম টেস্টেড VHF ওয়্যারলেসের তুলনা করে সেলফোনকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। VHF এর সব Peer একসঙ্গে কোনমতেই ডাউন থাকবে না।
    এহেন উদ্ভট প্রস্তাবের পেছনে উদ্দেশ্য কিছু থাকতেই পারে। আবার এও দেখতে হবে যে, সবকিছুই ঘটছে সাহারা ওই এলাকায় নড়ে চড়ে বসার অব্যবহিত পরেই।

    জম্বুদ্বীপের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে নয়াচরে...
    ক্যানিং এ সাহারা তাদের পেটোয়া কয়েকজন বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদকে সামনে রেখে নামমাত্র একটা জনশুনানী করেছিল তাদের সাহারা সুন্দবরন প্রজেক্টোর জন্য। তার গাব্দা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট টা একটা থামের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। পড়তে চাইলে ওই থামের গায়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যত খুশী পড়ে নাও। থাম থেকে খুলে ওটা পড়া যাবে না, কপি করাও যাবে না। সে মুহুর্তে আর অন্য কোন কপি দেওয়াও যাবে না। .. এবার বলো এর বিরূদ্ধে তোমার কি বলার আছে। - এই ছিল ক্যানিং এ সাহারার জনশুনানীর সারমর্ম।
    সাহারাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে প্রসূনবাবুর ইউনিভার্সাল সাকসেস। এক্ষেত্রে জনশুনানীর ব্যাপারটাকে একেবারে বাদই দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান “    ,        ,    ” শীর্ষক প্রতিবেদনে লিখছে -

    “                         ,                                              ,        ?”

    এবং লেখাটি শেষ হচ্ছে এই কথা বলে -

    “                 ,                             ”
    -বর্তমান পত্রিকা, পৃষ্ঠা - ১০, শনিবার, ২৩ শে জুন, ২০১২
    বর্তমানের এই লেখাটি সুন্দর, এবং স্বয়ংসম্পূর্ন, পড়ে বুঝতে গেলে আগের ইতিহাস না জানলেও চলে। সময় পেলে একবার পড়ে দেখতে পারেন। এখানে লিঙ্ক রইল -
    http://www.bartamanpatrika.com/content/rajya.htm
    (আর্কাইভে গেলে বোধহয় লিঙ্ক পাল্টে যাবে।)

    নয়াচর সম্পর্কে আদালতের কালকের এই খবর আর অন্য কোন কাগজে পেলাম না। আমার অবশ্য চোখ এড়িয়ে যেতে পারে।
  • কেলো | 59.136.69.109 | ২৭ নভেম্বর ২০১২ ০৯:১৪454326
  • http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=1092&boxid=1528593

    ওপরের লিঙ্কটা প্রাসঙ্গিক়
    আমি ট্যাব থেকে মোটেই লিখতে পারি না। কোচি থেকে ফিরে লিখব নাহয়।
  • কল্লোল | 111.62.18.232 | ২৭ নভেম্বর ২০১২ ১১:৪৪454327
  • খবরটা দেখেই আমার নাকে গন্ধ এসেছিলো (শুটকির নয় অন্য গন্ধ)। কেলো ভালো গন্ধবিচার কত্তে পারবে।
  • কল্লোল | 125.242.184.58 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৭:১২454328
  • ভালো খবর।
    More than 1,000 fisher women and men lay seize today, September 4, 2014, at the Sundarban Tiger Reserve (STR) Headquarters at Canning in the district of South 24 Parganas defying heavy rains.
    In the face of widespread anger and the agitation of fisher people the STR authorities officially suspended the order banning the use of firewood in the fishing boats. They also submitted that no forest officer will bar the use of traditional tools like axe and chopper in the fishing boats.
    They admitted that the system of licence (Boat Licence Certificate, BLC) initiated by the forest department/STR in the 1980's was faulty and needs to be replaced. Further they admitted that the demand for recognition of the right of every forest dependent fisher to fish in the forest of Sundarban is a just one and they have also proposed the same to the authorities. They gave the union an official copy of their proposal.
    They said that they have already instructed all officers not to misbehave with the fishers and also to issue seizure tokens in case any confiscation is made.
    The union representatives said that they welcome these decisions as interim measures. But all the restrictions imposed by the STR and the Reserve Forest on the livelihood practices of forest dependent people of Sundarban including fishing communities are illegal. As such the Dakshinbanga Matsyajibi Forum and Sundarban Matsyajibi Joutha Sangram Committee, together with all the associated organisations, will fight those restrictions to the last to establish the right to livelihood of the fishing and other forest dependent communities.
    Pradip Chatterjee,Secretary,
    National Fishworkers' Forum (NFF)&President,Dakshinbanga Matsyajibi Forum (DMF)
  • তাপস | 233.29.204.178 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১১:৪৮454329
  • কেলোবাবু বা কল্লোলদা - কারোর কাছে কি মুন এন্ড দ্য নেট বইটা আছে? হরেকৃষ্ণদা পড়তে দিয়েছিলেন । উনি চাইতেন বইটার রিপ্রিন্ট হোক । ওনার নিজের একটা বই লেখার কথা ভেবেছিলেন, ঐটার সুত্রে, নাম ভেবেছিলেন, একলিস্পিড মুন এন্ড টর্ন নেট । সেটা আর হয়নি ।
  • kumu | 52.104.34.125 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৯:৪৭454330
  • খুব ইন্টারেষ্টিং।
  • লাইব্রেরী | 212.142.112.58 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১০:১১454331
  • একপিস দি মুন এন্ড দি নেট সুমেরুদার কাছে আছে। চাইলেই পাবার কথা। :)

    তবে বইটা হরেকৃষ্ণবাবু জীবিত থাকতে থাকতেই রিপ্রিন্ট হয়েছিল। মূলতঃ ওনারই উদ্যোগে। কিনতে চাইলে অ্যান্থ্রোপলজিক্যাল সার্ভের সেলস কাউন্টারে পেয়ে যাবেন মনে হয়। যদি না রিপ্রিন্টও শেষ হয়ে গিয়ে থাকে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন