এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুজোর ধারাবিবরণী ২০১০

    Samik
    অন্যান্য | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১০৪৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 59.161.188.51 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০১:১৮460417
  • ক্কেউ বানান জানে না। অথচ স্বীকারও করবে না। গড্ডলিকা।

    কথাটা পুজো নয়, পিজে। পিজে। ঠিকাছে?
  • a x | 143.111.22.23 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০১:৩০460418
  • দেখ কান্ড - ঐ দীপংকর বাবুও এমনই কয়েছিলেন, খুব রেগে মেগে গিয়ে কেউ বানান জানেনা! কিন্তুক পূজা আর পুজো ইহাই ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছিলাম, দীপংকর বাবুর ঐ রাগারাগি দেখে সংসদ খুলে তখনও দেখি পুজো আর পূজা। কোনো মানে হয়?
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০১:৩৩460419
  • Thank you, Manish, De, Til চেষ্টা করব ।এখানে সবাই এত ভাল লেখে , ভয় করে আমার আনাড়ি কলম চালাতে।

    তিল :-)))
  • d | 219.64.176.27 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:১৮460420
  • আমি পালাচ্ছি। সপ্তমীর সকালে পাঁইপাঁই করে কলকাতা ছেড়ে ..... বিকেল নাগাদ পশ্চিমবঙ্গও ছেড়ে যাব। ফিরব সেই লক্ষ্মীপুজোর পরে আরো দুইদিন কাটিয়ে তবে।
    অজ্জিত আমার একদিন বাদে। সে তো আবার ট্রেন, বাস দুইয়েরই টিকিস কেটে রেখেছে, যাতে কোথাও ঠেকে না যায়।
  • M | 59.93.207.163 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৯:৪৪460421
  • অজ্জিত হেথায় ছাড়া সবদিকেই আসছে, কি হলো ? সেতো এত রাগ টাগ করার ছেলে নয় বলেই জানতাম।
  • M | 59.93.173.216 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:১০460422
  • পুজা মানেই ছিল শিউলি গন্ধ ভোরবেলা,নীল আকাশে সাদা মেঘ, শিশির ভেজা মাঠের মিঠে আদর,এলোমেলো দুপুর রোদ্দুর,স্কুলেও পড়াশুনার চাপটা অটোমেটিক কমে যেত।মার সাথে গড়িয়া হাট অথবা হাতিবাগান চষে ফেলে জামা কেনা, (তখন ও তো মলের দাপট শুরু হয়নি)দ্যাখ ঐ লাল ফ্রকটার কত ঘের,পরে বোঁ বোঁ করে ঘুরলেই বিরাট ছাতার মতো হয়ে যাবে, মাও ছোটবেলায় ফিরে গেলো।বাবা মাসকাবারি করার সময় স্পেশালি এই মাসেই মার জন্য একটা স্নো-র কৌটো আর একটা কুমকুমের ছোট্ট লাল শিশি আনবেই , আর একটা নেলপালিশ, লিপস্টিক বাবার খুব অপছন্দের।মা সব কিছুই কিনবে কিন্তু এই জিনিস গুলো বাবা আনবে আর মা লজ্জা মেশানো হাসি হেসে তুলে রাখবে।আর আমায় স্নো মাখাতে গেলেই -- মাগো বড্ড শুকনো, আমি মাখবো না, অবশ্যম্ভাবি যুদ্ধ।ভাইয়ের অবশ্য জামা টামা নিয়ে কোনো মাথাব্যাথাই নেই, সাজগোজ ও তো ছেলেদের নেই, সে কেবল প্যান্ডেলের বাঁশ ধরে ঝুলতেই ব্যস্ত।অবশ্য আমরাও ঝুলেছি কম নয়।সবার প্যান্ডেলের বাঁশ পড়ে গেলো, বাঁধা শুরু হয়ে গেলো আমাদের ক্লাবের বাঁশ ই এলো না,কি দুশ্চিন্তা আমাদের ছোট মনে, একিরে বাবা , এরা বোঝেইনা অন্য পাড়ার ছেলেমেয়েদের কাছে আমাদের মান সন্মান ধুলোয় মিশে গেলো।তার থেকেও যা তা ব্যাপার সেবার ঘটলো, আমাদের ঠাকুর তো শুধু মাপেই ছোট হলো না, আসার সময় হাত ভেঙ্গে প্যান্ডেলে এসে পৌঁছালো। কি হ্যাটা অন্যদের কাছে।

    তারপর? তারপর বড় হয়ে যাওয়া, আরো বড় আর পুজার আনন্দ হারিয়ে গেলো যে কখন।আর এখন তো শুধুই বিরক্তি।পুজো মানেই জ্যামজট, পুজা মানেই মাইক,পুজা মানেই একগাদা আশা নিয়ে পুজাসংখ্যা কিনে একগাদা হতাশা এইসব।

    নেই নেই তবু ও তো আছে কিছু বলতে যা বাধা নেই, এবার পরের ছেলেটা আট বছর পর দেশে থাকবে পুজাতে, ভাই আসবে, প্রচুর আড্ডা হবে,ঋভু আর পটকার মারপিট হবে সঙ্গে চিল চিৎকার,মা আমাকে আর মিনাকে বকবে যখন আমরা মার নাতিদ্বয়কে বকবো,বাবা নিজের পাশবালিশ আর মশলার ডিবে সামলে বেড়াবে কেননা ছোটদুটোর আবার ওদিকেই বেশি নজর, মোদ্দা কথা অনেকদিন পর ভরপুর পারিবারিক জীবন পালন।
  • r.h | 117.194.229.72 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৯:১৮460423
  • পুজো এলে মনে পড়ে যায় ছোট নিস্তরঙ্গ শহরে শৈশব, গোমতী নদীর জলে কদাচিৎ ভুলো শুশুকের জলখেলা আর সন্ধের মুখে কাছিমের শ্বাস। সে শহরের পুজোর কোন স্মৃতি আমার নেই তবু, যখন অক্টোবরের শুরুতে বৃষ্টি ধোয়া শহরের অতিনিকট দিগন্তরেখা আবছা দেখায়, নীলচে মায়াতে ঢেকে যায় বিরক্তিকর ট্রাফিকের সাদাকালো খোপ, রেলপথের ধারে চাখানায় উদাস বেজে ওঠে এফেমের অবহেলিত কোলাহল, মনে পড়ে যায় ফেলে আসা সেই শহর, সত্যি সত্যি যাকে ফেলে আসার স্পষ্ট স্মৃতি আমার নেই।
    কিছুটা গল্পের মত জীবন, আর কিছুটা আরোপিত কল্পনাবিলাসে ভরা অবধারিত নিশ্চিন্দিপুরের আকাশ আরো নীল আর ঘাস ছিল আরো সবুজ, কলকাতার আস্তাকুঁড় সেজে উঠেছে আলোর মালায়, যে অবোধ শিশুরা এখনো সম্যক জানেনা একশো পয়সায় একটাকা, বা চব্বিশ ঘন্টায় একদিন বা ডলারের এক্সচেন্‌জ রেট, তাদের হাস্যোজল কোলাহল দেখে মনে পড়ে যায় সেই কল্পজগৎ, সত্যি যেদিন ছেড়ে এলাম তাকে সেদিনের স্মৃতি আমার নেই।
    হলিউড টেলারের মালিক কখনো হাল ফ্যাশনের প্যান্ট সেলাই করতেন না বলে বড় অনুযোগ ছিল আমাদের। অবস্থার ফেরে তিনি দোকান বেচে দেন, কিন্তু পুজোর সময় সেই বেচে দেওয়া দোকানের আসেপাশে ঘুরঘুর করতেন, আর পুরনো খদ্দেরদের আশ্বাস দিতেন, নতুন মালিকও সেরকমই দক্ষ কারিগর চালনায়। রাতে বাড়ি ঢুকতে ঢুকতে ঘিজিমিজি গলির কোনা থেকে হঠাৎ আসে শিউলি ফুলের গন্ধ, চট করে ধরতে পারিনা, মনে হয় কি যেন এটা। তারপর মনে পড়ে যায় সেইসব নির্মিত স্মৃতি, মৃত মানুষদের গল্পগাছা, ফেলে আসা সম্পর্কগুলি, হারিয়ে যাওয়া বন্ধু এবং বন্ধুত্ব কিছু কিছু।
    কলকাতা সেজে ওঠে, আমাদেরই জন্যে হয়তো, পুজোর মুখে, নীলচে ধোঁয়াশায় আলোর মালায় যথাসাধ্য রূপটানে, কিন্তু আমার কেন যে মনে পড়ে সে শহর, যার স্মৃতি সত্যিই আমার তেমন নেই।
    বিশ্বস্ত বন্ধুজন ঘিরে থাকে মনে পড়িয়ে দেয় আমাদেরও দিন ছিল উচ্ছল সমবেত এবং আলোয় মোড়া, কিন্তু মনে পড়ে তাদের কথা যাঁরা নিতান্ত অকতজ্ঞের মত চলে গেছে উৎসবের শেষে, নিকটজনের কথা উপেক্ষা করে, মনে পড়ে জানা হলো না কি যাতনা ছিল এমন।
    অনারোগ্য স্মৃতিবিলাপ আচ্ছন্ন করে পুজোর এগিয়ে আসার দিনগুলোকে, আমার গেলাসখানা আধখানা খালিই থেকে যায়, কেননা, ঠাকুর, যাবে বিসর্জন।
    কলকাতার প্রাপ্য নয় এই উপেক্ষা, কিন্তু সেই প্রায় না দেখা শহরের স্মৃতি আচ্ছন্ন করে প্রতিটি পুজোকে, সে এত প্রিয় বোধহয় এই কারনেই, যে তাকে নিয়ে আমার সেরকম কোন স্মৃতি অবশিষ্ট নেই।
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৬:০৫460424
  • হুতো কী পরিষ্কার লেখে !
  • shrabani | 124.30.233.102 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:৩২460425
  • বিশ্বকর্মা শেষ! প্যাকেটে প্যাকেটে "পরসাদ" সীটে হাজির প্রতিবছরের মত। রোদও উঠেছিল সেদিন, ছেঁড়া ছেঁড়া - তবু নীল আকাশের মেঘজড়ানো রোদ, মনখুশী শরত আকাশ। যদিও বড় তাড়াতাড়ি, তবু সেই শিরশিরে হাওয়া, এই তো এল পুজো!

    রবিবারের সকাল থেকেই অবশ্য মেঘকালো আকাশ, অবিরাম বরিষণ, ছিনিয়ে নিল দুদিনের ভালোলাগা।
    ভালো করে কিছু বোঝার আগেই ভাদ্র কেটে আশ্বিন এসে গেল নৌকো চড়ে যদিও দেবীর নাকি এবার দোলায় আসার কথা। শাড়ীগুলোরও নিশ্চয়ই এবছর মন খারাপ, অন্য বছরের মত এবার রোদে খোলা হাওয়ায় বদ্ধ আলমারির বাইরে আউটিং হলনা বলে।

    হয়ত মেঘ কেটে যাবে (হাওয়া অফিসের মতে মেরেকেটে আর সাত দিন:(((), তবে এ পুজোটা তো ভেস্তেই গেল। বিজনৌর, রামনগর - সাক্ষী সব কত সুন্দর ভ্রমণপথের, মুরাদাবাদ,লাক্সার - কতবেলার স্মৃতি জড়ানো জায়গা, আরো কত কত পরিচিত জায়গা, কত চেনা নাম----আজ বিপন্ন বানভাসি।
    বন্ধুরা নেমে পড়েছে বন্যাত্রাণে, সাহায্যে নিজেদের এলাকায় ও আশেপাশে। নতুন জামাকাপড়ের দিকে কী দেখব, কাল পুরনো জামাকাপড় বান্ডিল করে একত্র করলাম, কত লোকজন এককাপড়ে বেরিয়ে এসেছে, ফিরে যখন যাবে তখন হয়ত আর কিছুই থাকবে না!
    এ পুজো ভ্যাস্তা নয়তো আর কি?:(
    *************************************
    দিনে দিনে পুজো সব বিরক্তিকর রকমের হাইটেক হয়ে যাচ্ছে। পাড়ার পুজোয় এবারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তোলা বন্ধ। সবই ইমেলে, চাঁদা অ্যাকাউন্টে দিয়ে দিতে বলছে, দিলে রিসিটও আসবে মেলে ইসিগনেচার সহ!
    ভূভারতে এমন অশৈলী কান্ড কেউ দেখেছে কখনো! প্রবাসে পুজোর আগে আগে চাঁদা আদায়কারীদের জুলুম ব্যতিরেকে রবিবার সকালের চায়ের স্বাদই পানসে।
    এরপর হয়ত পুজোটাই টেলিকাস্ট করে দেবে পাড়ার ঘরে ঘরে, অঞ্জলি অনলাইন। প্যান্ডেল, কমিউনিটী হলের বালাই শেষ!
    পুরনো ঠাকুমা দিদিমারা থাকলে বলতো, এই সব দেখেশুনেই মা দুগ্গার বাপের বাড়ি আসার ইচ্ছেই চলে যাচ্ছে -- তার ফলস্বরূপ এসব বাধাবিঘ্ন, বৃষ্টি বাদলা।
  • paglaa bholaa | 123.236.179.254 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:২৪460427
  • dohaarergaantakeushunecho....
  • indrani | 124.149.39.18 | ০৮ অক্টোবর ২০১০ ১৬:১৮460428
  • সিডনির পুজো কাল শুরু হচ্ছে। কাল আর রান্না বান্না করতে হবে না। সেইটাই সবচেয়ে আনন্দের। বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের পুজো পরের শনি রবি তে।অর্থাৎ পরের সপ্তাহান্তেও নো রাঁধন বাড়ন।
    আগামীকাল কার্লিংফোর্ডের কাম্বারল্যান্ড হাই স্কুলে উত্তরণের পুজো আর ক্রয়ডন পাবলিক স্কুলে সিডনি উৎসবের পুজো।
    সিডনিবাসী গুরু বা চন্ডাল চলে আসুন মন্ডপে।
  • ranjan roy | 122.168.160.2 | ০৮ অক্টোবর ২০১০ ১৯:৩৪460429
  • মাইরি! এবার হরিদাস পালের পূজোর ভাগ্যি কি ভালো। সেইযে গতবার মহালয়ার সময় বাড়িছাড়া হয়ে ভিলাইয়ের হোটেলে থাকার সময় ষষ্ঠীর দিন ভাইবৌয়ের দলের পুরনো বাংলা গানের প্রোগ্রামে ওদের কথিকা পাঠের ভদ্রলোক অসুস্থ হয়ে পড়ায় রঞ্জন বাংলায় ফিলার লেখা ও পাঠ করে কাজ চালিয়ে দিয়েছিল, এবার সপ্তমী ও নবমীর দু রাত্তির রায়্‌পুরের কালীবাড়ি ও অবন্তীনগর প্যান্ডেলের প্রোগ্রামে সেই দায়িত্ব ওকেই পালন করতে হবে।
    ফলে ভাইবৌ ( De এর BARC এর অনুভবের সুবাদে আপনারা পরিচয় পেয়েছেন) নতুন পাঞ্জাবী ও পায়জামা পাঠিয়ে দিয়েছে। মঞ্চে ওদের টিমের সঙ্গে বসার ড্রেসকোড। তাতে মারাঠী ও পাঞ্জাবী মেয়েও বাঙ্গলা গান গাইবে।
    আবার একদশক আগে প্লেগের সময় "চুহা'' বলে হরিদাস পলের লেখা একটি নুক্কড় নাটক(পথনাটিকা) একটি রায়পুরের টিম করবে বলে সিলেক্ট করেছে।
    রায়পুর কালীবাড়ির রবীন্দ্রভবন বলে প্রেক্ষাগৃহের শিলান্যাস সত্যজিৎ রায় করেছিলেন--সেই ""সদ্‌গতি''র শুটিংয়ের সময়।
    তারপর এবার কোন টেনশন নেই।সব কোর্ট কেস স্টেডি চলছে।
    না:, সারাজীবন পাঁড় নাস্তিক থেকে এ'বছর মনে হচ্ছে আস্তিক হয়ে যাবো।:))))
  • ranjan roy | 122.168.160.2 | ০৮ অক্টোবর ২০১০ ১৯:৩৬460430
  • শ্রাবণীর পোস্টকে ক'।
  • ranjan roy | 122.168.160.2 | ০৮ অক্টোবর ২০১০ ১৯:৩৯460431
  • ইন্দ্রাণীর থেকে সিডনির পূজো আর নীনার থেকে ফিলাডেলফিয়ার পূজোর গল্প এই পাতায় চাই। আর অরণ্যের থেকে নিউ জার্সির পূজো।
    নিউ ইয়র্কের পূজোর গল্প আমার বন্ধু ধ্রুব দত্তের সৌজন্যে প্রতিবছর পাই। কিন্তু ও গুরুতে লেখেনা।
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৮ অক্টোবর ২০১০ ২১:১৪460432
  • রঞ্জন
    নিশ্চই লিখব তবে আমাদের চেরি-হিলের (সাউথ জার্সি) পুজো নিয়ে। আজকাল আর ফিলাডেলফিয়ার পুজোতে যাওয়া হয়না কারণ পাড়ার পুজো ও একই সময় হয়---
    প্লিজ আপনার "চুহা" নাটকটি পেতে পারি আমরা? তহলে অ্যানুয়াল ফাংশানে নামাব, প্লিজ।

  • indrani | 124.149.39.18 | ০৯ অক্টোবর ২০১০ ০৪:৪২460433
  • সিডনির পুজোর আলাদা কোরে কোনো গল্প নেই, রঞ্জনদা। আর পাঁচটা প্রবাসীর পুজো যেমন হয়, তেমনই।ব্যক্তিগতভাবে কোনো পুজোর সঙ্গেই প্রত্যক্ষ জড়িত নেই; সলতে পাকানোর গল্পও লিখতে পারব না।
    আমি ঘুরে বেড়াই, খাই দাই, বাড়িতে রান্না করতে হয় না- আমার গল্প বলতে এই।
    ২০০৬এ টই এর সুতোয় পুজোর ধারাবিবরণী দিয়েছিলাম-সেই দশমীর পরদিনই একদম অন্যসুরে একটা বুলবুলভাজা লিখতে হয়েছিল। ধারাবিবরণী লিখতে কলম ওঠে না তাই।
    গতবছর, উপরোধে আনন্দবাজারে একটা লেখা দি। সিডনির পুজো নিয়ে। ছাপা হয়। বহু শব্দ বাক্যর সম্পাদকীয় সংযোজনে, বিয়োজনে সে লেখা অচেনা ঠেকেছিল ছাপার অক্ষরে।

    ভালো থাকুন। জমিয়ে লিখুন।

  • ranjan roy | 122.168.169.193 | ০৯ অক্টোবর ২০১০ ২০:১০460434
  • নিনা,
    একটাই প্রবলেম। ""চুহা'' হিন্দিতে লিখেছি।অবশ্যি গ্রামার সিনট্যাক্স সব বন্ধুরা শোধরাতে হাত লাগিয়েছেন।:(((((
  • ranjan roy | 122.168.169.193 | ০৯ অক্টোবর ২০১০ ২০:১৩460435
  • ইন্দ্রাণী,
    কোথাও তোমার সঙ্গে আমার একটা রাশি-নক্ষত্রের মিল আছে।
    ব্যক্তিগত ভাবে কোথাও পূজোর সঙ্গে জড়াই না, ঠাকুর দেখতে যাই না। কিন্তু যেবছর পূজোয় নাটক করার বরাত পাই সেবছর রাত গুলো পূজোপ্যান্ডেলে কাটে।
    নয় তো বাড়িতে বসে বই পড়ি।
  • Nina | 68.36.163.248 | ০৯ অক্টোবর ২০১০ ২০:৩৫460436
  • পুজোর সময় ষষ্ঠীর দিন সবাই নতুন জামা পরে গুরুজনদের প্রণাম করবে , আমাদের বাড়ীতে এটাই আমার মার নিয়ম ছিল। বিয়ের পর কি বম্বে, কি ফিলাডেল্ফিয়া , মা ঠিক মেয়ে জামাই নাতি নাতনিকে পঠিয়েছেন ষষ্ঠীর নতুন পোশাক।
    গতবছর মে মাসে, মা অসুস্থ । আমি কলকাতায় মার কাছে আছি। মা বেশ ভাল হয়ে উঠছে। রাত্রে শুয়ে শুয়ে মার সঙ্গে কত গল্প, রোজ। একদিন মা বল্ল 'এবারে পুজিতে ষষ্ঠীর দিন নতুন জামা তোমরা সবাই পরবে , সে আমি থাকি আর নাই থাকি। খুব রেগে বল্লাম ' মা , এসব কি অলুক্ষুনে কথা বলছ'--মা হেসে বল্ল "অ" কই তার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছনা কেন। তোমরা যদি না পর সেটাই অলক্ষণ' ।
    মা চলে গেল জুন মাসে।

    গতবছর পুজোতে কেমন যেন ঘোরের মধ্যে ছিলাম, মা যে কোথায়, আছে কি নেই সবই কেমন একটা ডিনায়েলের মধ্যে--মার দেয়া নতুন জামাগুলো চারজনই পরেছিলাম।

    গতকাল মেয়ে নিউইয়র্ক থেকে ফোন করল। বল্ল " শোশোত্তি (মাঝে মাঝে ভুলভাল বাংলা বলে ফেলে) কবে?' বল্লাম 13th । বল্ল আমি বাড়ী আসব এই উইকএন্ডে। আমি বাবা আপু আর আমার জামা কিনে নিয়েছি । তোমার নতুন শাড়ী আছে তো মা, শোশোত্তিতে পরার?
    -আমি কথা বলতে পারছিনা , গালায় কি আটকে গেছে----

    মা, ওমা are you crying কথা বলছনা কেন talk to me মাআআঅ

    অতি কষ্টে বল্লাম--গত বছর দিদুকে কিনে দেয়া শাড়ীটা নতুনই তো আছে ওটাই পরব।

    আমার বন্ধু রিনি বলে প্রকৃতিতে মৃত্যু বলে কিছু নেই। শুধুই ফিরে ফিরে আসা। বড় ঠিক কথা।

  • Nina | 68.36.163.248 | ০৯ অক্টোবর ২০১০ ২০:৩৯460438
  • রঞ্জন , আমি ওটা বাংলা করে নেব। প্লিজ পাঠিয়ে দেবেন।
    রহস্য টই তে লিখুন এবার, আবার যেন ডুবে না যায় ।
  • ranjan roy | 122.168.169.193 | ০৯ অক্টোবর ২০১০ ২১:১৫460439
  • নিনা,
    postal address দিন। ওটা হাতে লেখা। ডাকে পাঠাবো।
  • Nina | 68.36.163.248 | ০৯ অক্টোবর ২০১০ ২১:৪৭460440
  • রঞ্জন ,
    আমি নভেম্বরে দেশে আসছি, 19th দিল্লী , আর 24th কলকাতা। এই এতদূরে ডাকে পাঠাবেন কেন, আমি দেশে যোগাযোগ করে নেব---সামরানের সঙ্গে আমার নিশ্চই দেখা হবে--আমি ঠিক যাবার আগে আপনার সঙ্গে কথা বলে নেব। নহেম্বরে কলকাতা আসার যদি প্ল্যান থাকে তো খুব ভাল---সমনাসামনি আড্ডাও হবে। ডিসেম্বরের প্রথম শনিবার । বোধহ্য 4th পর্য্যন্ত কলকাতায় অছি।

  • Suvajit | 115.117.202.60 | ০৯ অক্টোবর ২০১০ ২৩:৫৮460441
  • ইন্দ্রানীদি সিডনির কোন পূজোয় থাকেন? কনকর্ড হাই স্কুলের BANSW'র পূজোয়?

  • indrani | 124.149.39.18 | ১০ অক্টোবর ২০১০ ০১:৫২460442
  • শুভজিৎ,
    আমি সব পুজোতেই ঘুরে বেড়াই মানে খেয়ে বেড়াই। কোথায় কি খাওয়াবে আগে ভাগে জানতে পারলে কোথায় কখন যাবো-ঠিক করি।
    গতকাল সিডনি উৎসবের পুজোয় দুপুরে খেলাম আর রাতে কাম্বারল্যান্ডের উত্তরণের পুজোয় খেলাম আর নাচ গান দেখলাম।
    আগামী শনি রবি BANSWর পুজোয় নিশ্চয়ই যাবো-যাবার ইচ্ছে আছে আর কি।
    আপনি কি সিডনিবাসী?
  • ranjan roy | 122.168.212.124 | ১১ অক্টোবর ২০১০ ০০:২৬460443
  • নীনা,
    ঠিক আছে। নভেম্বরের শেষে কোলকাতায় আসবো। আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে নেব। আড্ডা দিতে পারলে আর কি চাই!
  • sana | 110.32.42.94 | ১১ অক্টোবর ২০১০ ১০:১৫460444
  • Nina,9thoct,8-35 এর পোস্ট পড়ে গলা আটকে গেলো.......
    আপনি Brian Weiss এর বই গুলো পড়েছেন,Nina? না পড়ে থাকলে অবশ্যই পড়ুন,প্লীজ,আমার অনুরোধ।
  • Nina | 68.36.163.248 | ১১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:১১460445
  • sana, Brian Weiss এর বইগুলো আমি পড়ি না গিলি---বিশেষ করে same soul, many bodies, the mirror of time আমি ডুবে যাই। ওনাকে একবার ওপরার শো এ দেখেছি/শুনেছি। আর আমাকে কে ইনট্রোডিউস করেছে জান--আমার মা। মা প্রথমে same soul পড়ে আর তারপর থেকে দুজনেই পড়া শুরু করি।
    এখন cd তে বই গুলো colect করে রখব ভেবেছি।
    শারদ শুভেচ্ছা জানাই আর আপনিটা বাদ দাও---এস তুমি তুমি, খেলি:-))
  • sana | 58.106.18.214 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ০৮:০৩460446
  • হ্যাঁ,Brian Weiss এর প্রত্যেকটা বইই বোধের জগৎ কে,উপলব্ধির জগৎ কে এক পূর্নতায় নিয়ে যায়।
    আমি বই গুলো বই হিসাবেই পড়তে ভালোবাসি,আর রিগ্রেসন সিডি গুলো সংগ্রহ করতে চাই।
    মা'র কাছ থেকে জেনেছো শুনে খুব ভালো লাগলো,Nina। তাহলে তো তাঁর চলে যাওয়ার অপার শূন্যতার মাঝেও তুমি যে বোধের পূর্নতায় ভরে আছো,তা তিনি জেনেই গেছেন।

  • sana | 58.106.18.214 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ০৯:১৬460447
  • Nina, ইন্ডিয়া তে তোমার মা Brian Weiss কোথা থেকে কিনেছিলেন,তুমি কি জানো? জানলে একটু জানাবে,প্লীজ?
  • Nina | 64.56.33.254 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ২৩:৫৮460449
  • সানা, আর তো জানার উপায় নেই রে ভাই---মা খুব বই পড়ত বলে আনেকে মাকে বই এনে দিত, লোকের কাছে চেয়েও প্রচুর পড়ত --কে জানে কি করে পেয়েছিল?!
    এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ে গেল--মা আমার এখানের অফিসের বন্ধুকে একটা ওষুধ সাজেস্ট করেছিল Maca যে প্ল্যান্টটা শুধু অ্যান্ডিস পাহাড়ে হয়--আর তাতে বন্ধু উপকার পেয়েছিল--আমিও তাজ্জব মা যে কোথা থেকে সেই খোঁজ পেয়েছিল---
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন