এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কন্যা সন্তান-- আশীর্বাদ না অভিশাপ

    Ananya
    অন্যান্য | ২৭ আগস্ট ২০১০ | ৩৯০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 128.231.22.87 | ৩১ আগস্ট ২০১০ ২২:৪৩461208
  • কোশ্চেনগুলো মাল্টিপল চয়েস করা হোক।
  • Tim | 198.82.21.4 | ৩১ আগস্ট ২০১০ ২২:৪৪461209
  • একটা সিরিয়াস পোশ্নো। এখানে এই যে আমরা গলা ফুলিয়ে ডায়লগ দিচ্ছি, নিজেদের ব্যালায় সেসব খেয়াল রেখে চলি/চলেছি কি? নিজেকে বিপ্লবের বাইরে রাখাই যায় অবশ্য, পুরোনো ছক। স্ববিরোধ না কি বলে যেন।
  • dukhe | 117.194.232.163 | ৩১ আগস্ট ২০১০ ২২:৪৮461210
  • ল্যাদ, সেরেফ ল্যাদ মশাই । বাঙ্গালী জাতটা যে করে গোল্লায় গেল । নইলে বে করতে লাগেটা কী ? একখান টোপর - তাও রিইউজেবল । কুঁড়েমি কাটিয়ে একবার আদাজল খেয়ে লাগলে -
    অল্পেতে খুশী হবে দামোদর শেঠ কি ?
  • bb | 117.195.172.233 | ৩১ আগস্ট ২০১০ ২৩:২৮461211
  • যদিও আমরা মূল বিষয় থেকে সরে গেছি, তবু টিম কিন্তু খুব ভালো একটা প্রশ্ন করেছেন।এখানে যারা এত কথা বলছেন পণের বা তঙ্কেÄর বিরুদ্ধে তাদের নিজেদের বিয়ের কাহিনী একটু শোনা যাক না।
    ডি: আমি পণপ্রথার বিরোধী, নিজের আর পরিবারের অন্য পুরুষ এবং মহিলা কারুর বিয়েতেই পণ নেওয়া বা দেওয়া হয় নি।

  • Samik | 122.162.75.173 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:০৯461212
  • আমার বে'তে বোধ হয় টোপরও ছেলো না। ছ্যা ছ্যা ...
  • pi | 128.231.22.87 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০১:৫৯461213
  • অনন্যা, মজাটা হল, এই শাড়ী, গয়না, তঙ্কÄ নিয়ে খোঁটা টা কিন্তু মেয়েরাই মূলত দ্যায়! :)
    পণ এর কারণে হত্যা বা আত্মহত্যা তাতে সবচে বড় রোলটা থাকে শাশুড়ি, ননদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ।
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০২:৩৭461214
  • হুমমম টিমের প্রশ্নটা আমার ও পাচ্ছিল অনেকক্ষণ ধরে কেউ লিখলো না দেখে নিজেই লিখতে শুরু করলাম,

    প্রথম অংক
    ----------
    ৬ বচ্ছর চুটিয়ে প্রেম করার পরে এক পুণ্য বিকালে আমাকে শশ্বুর মশাই জিগালেন, ইয়ে মানে সবই তো ঠিক ঠাক হয়ে আছে , তা তোমার কি লাগবে মানে বিশেষ কিছু ইচ্ছা আছে ? প্রশ্নের গুঢ় অর্থ বুঝে খুব স্বাভাবিক ভাবে বলেছিলাম হ্যাঁ একটা কোল্ট পুলিশ পসিটিভ দেবেন .32 ক্যালিবার হলেই ভালো হয় , অন্য ক্যালিবারে খরচা বেশি , টানতে পারবো না।
    ঊত্তর স্বাভাবিক ভাবেই তেনার ট্যান গেছিল। পরের প্রশ্ন এল তা সেটা কি বাবা ?
    (যতটা সিরিয়াস থাকা যায় এমন মুখ করে) , - রিভলভার ।
    - অ্যাঁ রিভলভার !!!! ???? (এখানে ওনার মুখটা দেখবার মতন হয়েছিল ) সে কী করে কিনবো ? সে তো লাইসেন্স লাগবে। (এইখানে আমার শশ্বুর মশাই বোধকরি গভীর সন্দেহ বোধ করেছিলেন আমার মানসিক সুস্থতা , অথবা বাকি বাঙালিদের মতন ভেবেছিলেন , আমি টেররিস্ট, পুলিশ, সমাজবিরোধী অথবা মিলিটারী জাতিগোষ্ঠী কিনা ? )

    - হ্যাঁ তা তো লাগবেই
    - তবে ? লাইসেন্স কি করে পাবো ?
    - তা আমি কি জানি , চেষ্টা করে দেখুন , পেলে ভালো, না পেলে দেবেন না, মিটে গেল।
    - না মানে বলছিলাম , এই রিভলভার ছাড়া অন্য কিছু ???
    - না, বন্দুক/রিভলভার ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন কিছুর উপরে আমার কোন লোভ নেই।

    এর পরে আমার সাথে এই নিয়ে আলোচনা আর এগোয় নি । বোধ করি উনি ভেবেছিলেন বেশি বললে আমি হয়তো ওটা বফর্স কামান করে দেব।

    বলা বাহুল্য আমার শশ্বুরমশাই জামাতা বাবাজীবনের এ হেন আবেদনে সাড়া দেওয়া সমীচীন মনে করেননি।

    দ্বিতীয় অংক
    ------------
    বিয়ের দিন পাঁচেক আগে তিনি ছাড়া আর সবাই মহা সমারোহে হইহই করে এসে হাজির সঙ্গে একদল বাহকবৃন্দ, তাদের ঘাড়ে কাঁধে নানা সাইজের বাক্স, ইত্যাদি। ঝুলি থেকে বেড়াল বেরোনোর মতন তা থেকে বেরুলো খাট , আলমারি ও একখান সোকেস। আমি প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে চাইলে , আমার শাশ্বুরি গদগদ কণ্ঠে বললেন , বাবা নতূন শয্যা ছাড়া বিয়ে হয় না, তাছাড়া এটুকু তো দিতেই হয় নাহলে লোকে কি বলবে ? আমি খাটের দিকে তাকালাম , উরে দাদা সেকি খাট রে ভাই, বারো দশ ঘরে সাত বাই ছয় খাট !!! ব্যাৎস্যায়ান মুনি কোথাও খাটের দৈর্ঘ্য প্রস্থ উল্লেখ করেছিলেন কিনা জানা নেই তবে আমার রসিক শশ্বুর মশাই এই মাপই বিবেচনা করেছিলেন , প্রসঙ্গত: আমি তখন ৬২ কেজি আর তিনি তখন ৪২ কেজি। তাকে সেল ফোনে ধরে আমার আপত্তি জানালে তিনি বললেন " কি ভেবেছ তুমি ? কিছু নেবে না মানে ? আমরা কি ভিখিরি ফ্যামিলি নাকি ?? " এর পরে আর কথা চলে না। আমি ক্ষান্ত দিলাম।

    তৃতীয় অংক
    ------------
    আমেরিকার মেরিল্যান্ড প্রদেশ, সকাল বেলা, আমি , সে ও আমাদের চার বছরের ছানা এয়ার বেড এ শুয়ে আছি ( আগের দু দুটো গদি যথাক্রমে 700500$ দিয়ে কেনা ফেলা গেছে বেড বাগের উপদ্রবে। ) তিনি ঘুম থেকে উঠে বিছানা ছেড়ে উঠলেন , ফলত: ছেলে এবং আমি দুজনেই একটু ঢুকে গেলাম, আমাদের ঐ অবস্থা দেখে তিনি চা করতে করতে মন্তব্য করলেন সত্যি বাবার দেওয়া বিছানাটা কোন কাজেই এল না , শুধুমুধু পড়ে পড়ে ধুলো খাচ্ছে। আগে যদি জানতাম এখানে এয়ার বেড এই শুতে হবে তাহলে অন্যরকম ভাব্‌না চিন্তা করতাম

    কিছু কথা অন আ সিরিয়াস নোট।

    আমি বিয়েতে কোন দাবি করিনি এক পয়সা ক্যাশ ও নিইনি শশ্বুর মশাইএর থেকে কিন্তু এটা দেখেছি , জিনিষ পত্র দেওয়ার ব্যাপারে ছেলেদের থেকেও মেয়েদের বেশী আগ্রহ থাকে , বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই যুক্তিটা থাকে এরকম "লোকে কি ভাববে " অথবা মেয়েদের বাড়ির তরফে "আমরা কি ফেলনা নাকি বা আমাদের কিছু নেই নাকি ? " এক্ষেত্রে যে মেয়েটি শশ্বুরঘর করতে আসছে এটা তার প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া নিজেরা মেয়ে হওয়া স্বত্তেও তাদের একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকে। আমার বাবা তখন ক্যান্সার পেশেন্ট ছিলেন প্রায় শয্যাশায়ী, তিনি পুরো ব্যাপারে ছিলেন ই না। মা ও মুখ ফুটে কিছু চান নি । কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি আমার আপত্তি থাকা স্বত্তেও খাট বিছানা, আলমারি দেওয়াতে তার প্রচ্চন্ন সমর্থনই ছিল, ভাবখানা ওদের মেয়েকে ওরা দিচ্ছে তাতে আমার বলার কি আছে ? আমার বঊ ও এক বস্ত্রে আসতে রাজি নয় , কারণ তার মতে সে বা তার বাবা যে ফ্যালনা নয় লোকসমাজে সেটা বোঝাতে এগুলির দরকার আছে। বোধকরি একই মতামত আমার শাশ্বুরি মাও পোষণ করেন। একই ঘটনার পুনারাবৃত্তি দেখেছিলাম আমার দিদির ক্ষেত্রে, মনোভাব এক, সুধু পাত্র পাত্রী আলাদা, আমার জামাইবাবু ও এক পয়্‌সা পন নেননি, কোন দাবি করেনও নি। কিন্তু আমার দিদির দাবি ছিল খাট ইত্যাদি দিতে হবে , নইলে শশ্বুরবাড়িতে কি ভাববে etc etc। এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসা বেশ টাফ।

    আমি ঠিক করেছি ছেলের বিয়েতে একটা কানাকড়িও নেব না। মেয়ের বাবার সামাজিক প্রতিপত্তি দেখাবার ইচ্ছা থাকলে বলব মেয়ের নামে ফিক্সড করে দিতে। তবে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়ানো এখনো বাকি, আমার ছেলেই বা কিরুপ ধারণ করবে তখন সেটাও দেখার তবে আশা করব এই মানসিকতা কিছুটা হলেও পাল্টাবে তখন।
  • a x | 99.54.68.27 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০২:৪৩461215
  • এই তো ধরেই নিলেন ছেলে বিয়ে করবে। এবং বিয়ে করলেও মেয়েকেই করবে। তেমনই আপনার বাবা/মা ধরেই নিয়েছিলেন বিয়ে করলে তো একটু ওরম "দিতেই" হয় ;-)
  • a x | 99.54.68.27 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০২:৪৮461216
  • চাবিটা আবার বেঁকা মত। আর একদিকেই খোলে। মানে এখানে তো গাড়ির চাবির সোজা পিঠ উল্টো পিঠ নাই। এটার আছে। তায় ট্রাংক আর প্যাসেঞ্জার সাইডের দরজা খুলতে মিনিট তিনেক ধস্তাধস্তি করতে হয়। কুছ পরোয়া নেই।

    একদিকের ভ্যানিটি মিররের ঢাকনা নাই, আরেক দিকের ভ্যানিটি মিররটাই কে বা কারা সযত্নে ধার দিয়ে কেটে খুলে নিয়ে গেছে ঢাকনা সমেত। তাতেই বা কি! গাড়ি তো চলে হু হা!

    ও আর গাড়িটা যেদিন টেস্ট ড্রাইভ নিয়ে বেরোলাম, একটা সাইড লেন, যেখানে স্টপ সাইন আছে, সেখান থেকে একটা ঢাউস গাড়ি হুস্‌ করে বেরিয়ে না কেনা গাড়ির পেছনটা একটু খিমচি কেটে বেরিয়ে গেল। থামলনা। পুলিশ ডেকে ঘন্টা দেড়েক দাঁড়িয়ে থেকে, তাপ্পর সেই গাড়িই কিনে বাড়ি ফিরলাম।
  • a x | 99.54.68.27 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০২:৪৮461057
  • আহ্‌ ওহ্‌। মিশটেক।
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০২:৫৭461058
  • অক্ষ, বাবা ধরেননি , উনি তখন ধরার অবস্থায় ছিলেন না। এটা বলা মুশকিল অবশ্য, ছেলে বড় হয়ে বিয়ে করবে কিনা, করলেও সেটা কোন মেয়েকেই করবে কিনা, তবে কিনা গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করবেই সেটা ভেবে নিয়ে তো কেউ গাড়িতে চড়ে না, তাই স্বাভাবিকটাই এখন ভেবে রাখছি পরে অন্য কিছু হলে তখন দেখা যাবে । গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়ানো বাকি আছে বলেছি বোধহয়...
  • Tim | 198.82.21.4 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৩:০৬461059
  • হুকোদা, স্বাভাবিক কোনটা সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। চারপাশে বুবি ট্র্যাপ, সাবধান। :-)
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৩:১২461060
  • টিম ভায়া, পয়েন্ট নোটেড :))
  • a x | 99.54.69.60 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৩:৩৮461061
  • পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র লীক হয়ে যাচ্ছে!
  • rimi | 24.42.203.194 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৭:৪৭461062
  • খাটের গপ্পে দু:খের ঘটনা মনে পড়ে গেল। খাটের ভাগ্য বিয়ের পর থেকেই চূড়ান্ত খারাপ। বাবা মার থেকে খাট নেবার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু বিয়ের পরে শুতেও তো হবে, আকার তো চিরকালই ভিখিরির দশা, বিয়ের আগে এক ঘর আর বাথরুম করে তার অবস্থা এমনই যে নতুন খাট কেনার পয়সা ছিল না। শেষমেষ তার দাদুর বিশাল খাটখানা বিছানাশুদ্ধু তুলে এনে নতুন ঘরে ফিট করা হল। সে তো খাট নয়, খট্টাঙ্গ! বৌভাতের রাতেই খাটের মাঝখানটা আল্গা হয়ে নিচে পড়ে গেল। পরের দিন শ্বশুরমশাই এসে নিজেই কি সব ইস্ক্রুপ লাগিয়ে খাট জুড়ে দিলেন! কিন্তু সবসময়েই ভয়ে ভয়ে থাকতে হত পাছে আবার খাট আল্গা হয়ে যায়! :-(( ওফ্‌ফ!
  • bb | 117.195.163.117 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:২৯461063
  • বিয়ের পর অন্তত: তিন বছর আমার কোম্পানীর দেওয়া তিন কামরার ফ্ল্যাটে আসবাব বলতে ছিল একটি খাট আর একজোড়া চেয়ার aluminum এর আর একটি সেন্টার টেবিল, এমনকি কোম্পানির দেওয়া ফোন থাকত মাটিতে। কোন কারণে দুজন বাড়ীতে এলে আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হোত কেন না আর বসবার জায়গা ছিল না :)। আর সমস্ত জানলায় পর্দাও লাগান হয় ৬ মাস পরে কেন না একসঙ্গে ২০মিটার পর্দার কাপড় কেনার ক্ষমতা ছিলনা।
    হায় সেই সব দিন আজ অতীত:(
  • kallol | 124.124.93.205 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:৪১461064
  • ধার করে বিয়ে করেছিলাম। কারন আমাদের থাকার মতো ঘর ছিলো না বাড়িতে, তাই উঠোনে একটা ঘর তুলতে হয়েছিলো। ব্যস পয়সা ফুরুৎ। বন্ধুরা ধার দিলো, পর্দা, দিলো বিছনার চাদর দিলো, বিয়ের ছবি তুলে দিলো, ফুলজ্জার ফুল দিলো.... আমরা বিয়েটা করলাম। শ্বশুর বাড়ি থেকে খাট আর আলমারী দিয়েছিলো। আমি আর না করিনি। করলে ঐ জবাবই পেতাম - কেন? আমরা কি ভিকিরীঈঈঈ।
    খাটটা এখনো আছে, আলমারীটাও। ২৭ বছর হলো।
  • aka | 24.42.203.194 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৯:০৪461065
  • পণ নিয়েছিলাম তো প্রণামী, তঙ্কÄ, আংটি, ঘড়িটা জোটে নি।

    যতদূর মনে পড়ে দিয়েওছিলাম প্রণামী, তঙ্কÄ, আংটি, ঘড়ি দিই নি।

    লিস্টি ফিস্টি মিলিয়েই হয়েছিল। তারপর আমার একটা নিষ্পাপ প্রশ্ন ছিল দুই পক্ষেই যখন একই জিনিষ তখন যে যার নিজেরটা কিনে নিলেই তো হয়। উত্তর মেলে নি, খুব বেশি মাথাও ঘামাই নি।

    আমার বন্ধুদের মধ্যে শর্ত ছিল পণ দেওয়া নেওয়া হলে সেই বাড়ির নিমন্ত্রনে আমরা যাব না। আমার বিয়েতে অবশ্যি এসেছিল সবাই পণের এই সাটল ফর্মটা ধরতে পারে নি। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে একজনের বিয়ে বয়কট করা হয়েছিল।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৩৭461066
  • আমার বাবা মা পণটণের ঘোর বিরোধী । আমাদের কালে লোকে বাবা-মায়ের সামনে গলা তুলত না । কাজেই আমার সমর্থন বা বিরোধিতা অবান্তর ।
    আবার আমার মেয়ের কালে বাবা-মায়েরা ছেলেমেয়ের সামনে গলা তুলবে না । তার বে বা পণ নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই ।

  • roks | 203.110.243.22 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৪৬461068
  • আমিও, এমনিতে "পণটনের ঘোর বিরোধী', তবে, ঐরম এককোটি টাকার অফার থাকলে কি করবো, সেটা খুব জোর দিয়ে বলতে পারছি না :(

    আমাদের প্রগতিশীল আবাপ-র বিতর্ক বিভাগে কি মাল বেরোয় দেখুন http://anandabazar-unicode.appspot.com/proxy?p=1edit5.htm
    "মেয়েদের কাজ গর্ভধারণ, ছেলেদের কাজ গর্ভসঞ্চার'!
  • Raj | 202.79.203.59 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৫১461069
  • আংটি , পাঞ্জাবির বোতাম আর একসেট ধুতি পাঞ্জাবি আর তঙ্কÄতে ডজন ঝুড়ি সুজ্জো মোদক আর পঞ্চাননের মিষ্টি সঙ্গে কিছু কাপড়চোপড়-প্রসাধনী ইত্যাদি।

    আর হ্যাঁ বাসরঘরে ঢুকতে চারহাজার টাকা গাঁটগচ্ছাও গেছিল।
  • lcm | 69.236.164.54 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৫৭461070
  • এটা দেখে মনে পড়ে গেল, একবার, বিকেলে চা খেতে বেরিয়ে একটা ক্যাসেটের দোকানে তারস্বরে কুমার শানু-র নজরুলগীতি চালিয়েছে বলে, আমি আর তীর্থং অন্য দিক দিয়ে ঘুরে চায়ের দোকানে যাব ঠিক করলাম।
    কিন্তু অন্য পথে, এক মিটিং হচ্ছে - কোনো এক ধর্মীয় গুরু এক ধর্মসভায় বক্তব্য রাখছিলেন - "... আপনি এ ধরাধামে কোথা হইতে আসিয়াছেন? মাতার গর্ভ হইতে, নাকি, পিতার বীর্য হইতে....'।
    আমরা ব্যাক করে শানুগীতি-র দিক দিয়েই চায়ের দোকানে গেলাম।
  • M | 59.93.161.34 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:০১461071
  • আচ্ছা রিমি ঠিক কি বললো?
  • de | 59.163.30.3 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:০৩461072
  • বিবির উত্তরে কনফেসন :)) ---

    আমরা দুজনেই বাড়িতে জানিয়ে রেখেছিলাম যে কোন বাড়ি থেকেই কোন কিচ্ছু দেওয়া চলবে না, আমাদের যা দরকার আমরাই কিনবো। খুব স্ট্রিক্টলি এটা বলেছিলাম বলে দুবাড়ির কোথাও আপত্তি ওঠেনি। বাবা-মায়েদের শুধু একটাই দাবী ছিলো, পাড়া-পড়শী, আত্মীয়-স্বজনদের নেমত্তন্ন করে খাওয়ানো! তখন আমরা সবে চাকরি পেয়েছি, তো লোক খাওয়ানোর পয়সা জোগাড় করার জন্য তক্‌খুনি বিয়ে করা হলো না। প্রায় দেড়-দুই বছর লিভ-টুগেদার করতে হোলো :)) -- পয়সা জমলো, সেই পয়সায় কলকাতায় রিসেপশন অ্যারেঞ্জ করা হলো! তঙ্কÄ, নমস্কারী ইত্যাদী কেনার পয়সা ছিলো না, হয়ওনি। তবে চেষ্টা করেছিলাম দু-বাড়ির সকলের জন্য কিছু না কিছু কিনে দিতে।
    দুজনের কারোরই গয়না-গাঁটি কেনার পয়সা আর জোগাড় করা যায় নি!

    আর হ্যাঁ, আরো একটা গপ্পো আছে। ঐসব কান্নাকাটি মার্কা ন্যাকামো অসহ্য লাগে বলে, প্রথমে ঠিক করা হয়েছিলো ঐ-সব মালাবদল ইত্যাদীর ঝামেলায় যাবো না। আমার বাড়িতে সেটা নিয়ে কোন আপত্তি না থাকলেও আমার শ্বশুর-বাড়িতে ছিলো। তাই শুধু দু-বাড়ির লোকের উপস্থিতিতে একটা মিনিমাম ফুল-মালার আয়োজন করা হয়েছিলো আমার শ্বশুর-বাড়িতে। আমরা এখনো এটা মনে পড়লে খুব হাসি -- আমি বিয়ের দিন সকালে ওদের বাড়ি গেলাম, সেখানে ঐসব ফর্ম্যালিটি গুলো হলো, সেই রাতটা ওখানে থেকে পরের দিন ওকে নিয়ে আমার বাড়িতে এলাম। তখন অতো ভেবে কিছু করিনি, কিন্তু পরে আমার খুড়তুতো, মামাতো ভাইবোনেরা আমার বরকে খুব আওয়াজ দিয়েছিলো ওকে আমি বিয়ে করে নিয়ে এলাম ইত্যাদী বলে। সেটা এখনো কোন সোস্যাল গ্যাদারিংয়ে আমাদের শুনতে হয়!

    আর আমাদের সংসারের যাবতীয় জিনিসপত্র আমরাই কিনেছিলাম। একটাও জিনিস কারো কাছ থেকে নেওয়া নয়। আমাদের বাবা-মায়েদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ, ওঁরাও আমাদের মতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন!
  • lcm | 69.236.164.54 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:৫৭461074
  • ধুর, দেয়া নেয়া - খারাপ কেন। যে দেয় তারও আনন্দ, যে নেয় সেও খুশী। বিয়ের পরেও দিতে পারে। দেয়ও তো অনেকে। আর কাকেই বা দেবে, ছেলেপুলে, নাতিপুতি.... । এই যেমন এদেশের বিয়ে-শাদিতে... ছেলে বা মেয়ের বাবা-মা ধরো স্পনসর করল হানিমুন প্যাকেজ, বা, ধরো রিসেপ্‌শন ডিনার। সব দেশেই তো এক, সামর্থ্য অনুযায়ী। এগুলো খারাপ হবে কেন ।

    ডাউরি আলাদা ব্যাপার, সেটা তো একটা ডিম্যান্ড বা . ট্র্যানজ্যাকশন... নি:সন্দেহে লজ্জাজনক প্রথা।

    আর দ্যাখো, সন্তানের জীবনের এক গুরুত্বপুর্ণ এবং শুভ মুহূর্তে বাবা-মা বা অন্য শভানুধ্যায়ীরা কিছু দিলে, আর সেটা না নিলে, মানে ইয়ে...

    আর, বোস্টিং, সে তো যে করার করবেই। অনেকে কিছু নেয় নি বলে করবে, বাকীরা নিয়েছে/পেয়েছে বলে করবে।

  • pi | 72.83.80.105 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:১০461075
  • বেশ কিছুকাল খাট ছিলো ই না। মেঝের উপর গদি সম্বল। এমন কিছু অসুবিধে ও না। কলকাতায় ঐ ছুটির কদিন তো। তাই নিয়ে আমার মা বাবার সাথে কম মন কষাকষি চলেনি। বর জানিয়ে দিয়েছিল, খাট ঢুকলে ও ঘরে ঢুকবে না। কিন্তু বিয়ের এক বছর পর এক ছুটিতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখি ঘরের মধ্যে খাট ঢোকানো। আবার আরেক সেট অশান্তি হল। তবে ওটাকে আর ঘর থেকে বের করা যায় নি।
    আর তত্ব তালাশী হয়েছিলো তো। কিন্তু কোনো বাড়ি থেকেই কোনো লিস্টি ধরিয়ে দেওয়া হয়নি তো ! দু বাড়ির আত্মীয় স্বজন ই চেনা জানা ছিল। তাদের জন্য যেমন যা সম্ভব কিছু কেনা হয়েছিল। পুজোয় আত্মীয় স্বজনকে জামা কাপড় উপহার দেওয়া হয় না ? এটাকে সেরকম ই কিছু ভাবা যেতে পারে তো! ( সব ক্ষেত্রে ভাবা হয় , সেটা বলছিনা)। আর তঙ্কÄ ইত্যাদি শুধু শো অফ এমনটাও সব সময় না। ছোটো থেকে বাড়োর নানা বিয়েতে এই সাজানোটা দারুণ মজার একটা পর্ব ছিলো তো ! সবাই মিলে একসাথে বসে... সারা ঘরময় রঙ্গীন কাগজ, আঠা, কাঁচি, সেলোফেন পেপার ...., আর হাসি , ঠাট্টা খাওয়া দাওয়া ... এগুলো তো দারুণ মজার ই !

    আরো কত্তরকম মজা হয়। আমার বাড়ি থেকে যে মিষ্টি পাঠানো হয়েছিলো, তার মধ্যে দুটো ট্রে ছিলো চালের গুঁড়ো দিয়ে বানানো :) । আমার বৌদি আর মামাতো দিদির কুবুদ্ধি। আমার শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন আবার সোনামুখ করে খেয়েও ফেলেছিলেন। :)
    যতক্ষণে আমার বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হল, তার মধ্যে বেশ কয়েকজন মুর্গী হয়ে গেছেন। পরে অবশ্য পেস্ট্রির ভিতর ভিতর লঙ্কা গুঁজে আমার বাড়ির লোকজনের উপর ও শোধ তোলা হয়েছিল ! :)
  • Samik | 121.242.177.19 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:১৯461076
  • :-)

    গুড গুড। আরও হোক !
  • bb | 117.195.163.117 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:১৫461077
  • অন্ধ্রের পণ নিয়ে জনগণ একটু পিছিয়ে আছেন। আমার সঙ্গে কাজ করেন একজন মহিলা বিয়েতে ১০ কোটির জমি স্ত্রীধন হিসাবে নিয়ে এসেছেন এবং তার বোনের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার।
    অনেক ভেবে চিন্তে তাকে প্রশ্ন করেছিলাম তার আর কোন বোন আছে কিনা আর দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে কিরকম দেওয়া হয়। ইচ্ছা ছিল ৫ যদি পাওয়া তাহলে আধা নিজের বর্তমান বৌকে দিয়ে দেব, অন্তত: তিনি তার বাকী জীবনটা আনন্দ করে কাটাতে পারবেন। হায় তার আর কোন বোন নাই :(। এমন একটি প্ল্যান শুধু শুধু মাঠে মারা গেল!!!!
  • santanu | 82.112.6.2 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:৩৪461079
  • একটু অন্য প্রসঙ্গ, কদিন আগে একজনের সাথে কথা হচ্ছিল যে সে ফ্ল্যাট কিনবে কিন্তু তার বাবা মায়ের সেই শহরেই আরো একটা ফ্ল্যাট তালাবন্দ পরে আছে। আমি বললাম কিনবে ক্যানো, ওটায় গিয়ে থাকো। সে হা হা করে উঠল, তা কি করে হয়!!
    সে তো ছিল ফ্ল্যাট, আর এখানে তো দেখি লোক-জন সংসার এর জিনিষ ও নিতে চায় না।
    চিন্তার ব্যপার, আমার মেয়ে ও যদি বলে তোমাদের কিচ্চু লিবোনি, তাহলেতো বেঁচে থাকতে থাকতে আমাদের যা আছে সব দান ধ্যান বিলি ব্যবস্থা করার লোক ঠিক করতে হবে!! এ তো মহা চিন্তা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন