এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নটবর : একটি গেঁয়ো গল্প

    achintyarup ray
    অন্যান্য | ০৫ ডিসেম্বর ২০১০ | ১০৯১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kumudini | 59.178.139.67 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১৭:২৩467380
  • অচিন্ত্যরূপ,দু:খিত, প্রথম দিন ভাঙাচেয়ারে বসতে দিইছিলাম বলে।
    নটবরের চা-টার কি হল?আর ঐ ব্যারোমিটারটাই বা কখন বানাবে?আসল কাজগুলো ছেড়ে নটবর মাঠে গে দেঁইড়ে রয়েচে ক্যনো?ওসব প্রকৃতি ই: দেখা অনেক হল,এইবার কাজে লাগতে বলেন।
  • Nina | 68.84.239.41 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:১২467381
  • এই যো অচিনভায়া, আপিশ থেকেও দু একটা প্যারা জুড়ে দাওনা---বড্ড ভাল লাগছে ---
  • achintyarup | 59.93.242.41 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ০২:৫১467382
  • :)
  • Tim | 198.82.21.78 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ০৩:১৬467383
  • বাঁধিয়ে রাখার মত হচ্ছে লেখাটা।
  • achintyarup | 59.93.242.41 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ০৩:২২467384
  • বাঁধালে লেখা ছোট হয়ে যায়। সাইডগুলো কেটে যায় তো
  • d | 14.96.51.2 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:০৪467385
  • কাল রাতের কিস্তি কই?
  • kumudini | 59.178.53.177 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৫৩467386
  • আমাদের সঙ্গদোষে অচিন্দা কিরকম ফাঁকিবাজ হয়ে যাচ্চে!
  • de | 203.199.33.2 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৫৭467387
  • অ্যায়, দমদিকে একদম পরের কিস্তি পড়তে দেওয়া চলবে না -- সেই কবেত্থেকে আমি সিকিমের পরের কিস্তি পড়বো বলে বসে আচি -- পুরো ভুলেই মেরে দিলো? কিস্তির সঙ্গে অনেক ছন্দ মিলিয়ে কোবতে লিখতে ইচ্ছে যাচ্ছে -- সেটা আর লিখলুম না! :))

    অচিনবাবু লিখুন, বড্ড ভালো হচ্ছে!
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:১৭467388
  • সক্কলের কতাই শুনবো ঠিক্কোরেছি। কিন্তু নটবর একটু বাইরে গেছে
  • Nina | 64.56.33.254 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:০০467390
  • তা তাই লেখ না ভায়া--নটবর কোতায় গেল, কেন গেল কবে আসবে--ততক্ষণ না হয় তাই পড়ি :-((
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৪২467391
  • সে এখন যেখেনে আছে সেখেনে স্তব্ধ বীণার তারে তারে সুরের খেলা চলছে, ডুবসাঁতারে
  • Nina | 64.56.33.254 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:০৬467392
  • আহা , বীণাপাণির কস্ট্যুমটি কেমন ;-))লটবরের হিদয় বুঝি লুটোপাটি;-))
  • ranjan roy | 59.161.118.80 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৪২467393
  • অ অচিন্ত্য! নটবর বাংলাদেশে গেলো নাকি!
  • M | 59.93.243.167 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:০৩467394
  • পেরু নয়তো? হুচিটা যেভাবে ল্যাখে,সেখেনেই হয়তো....... যাকগে তাড়াতাড়ি ফিরলেই হলো।
  • KABERI | 59.92.135.174 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ০২:১১467395
  • ঊ আ ।
  • sana | 58.106.4.180 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ০৪:৩৫467396
  • বড্ড ভালো লাগছিলো! তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন,নটবর-----
  • achintyarup | 59.93.245.184 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ০৪:৪৭467397
  • কলেজে ঢোকার পর ঘটনাটা একদিন নোটনকে বলেছিল ও। নোটন তখন রাজনীতি-টাজনীতি করে, একটা বিজ্ঞান ক্লাবের সেক্রেটারি -- নানা জায়গায় ক্লাবের অনুষ্ঠান হয় ওদের। নটবরকেও যেতে বলেছিল কয়েকবার। যাওয়া হয়ে ওঠেনি। নোটন কিন্তু ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দেয় নি। বলেছিল, "এরকম তো হতেই পারে। ঢাকও বেজেছিল, ধুনোর গন্ধটাও ভুল ছিল না। কিন্তু দুটো-ই ছিল তোর মাথার মধ্যে। একে বলে অটোসাজেশান। মানে, বলতে পারিস আত্মসম্মোহন। তুই একমনে ঐ ঢাকের শব্দ শুনতে চাইছিলি, মনে মনে ধুনোর গন্ধও পেতে চাইছিলি নিশ্চই। সে জন্যেই এই রকম হয়েছিল। মানে পুরোটাই আসলে তোর নিজেরই কল্পনা। সাধু-সন্নিসিরা তো এই ব্যাপারটাকে কাজে লাগিয়ে কত লোককে বোকা বানায়।'

    আজ এতদিন পরে ব্যাপারটা মনে পড়তে নিজের মনেই হেসে ফেলল নটবর। ছোটবেলার যত আজগুবি সব খেয়াল।

    "আর দু মিনিট নটদা। এই ফুট উঠছে জলে,' শশীর গলা শুনে চটকা ভাঙ্গল নটবরের।

    "হ্যাঁ হ্যাঁ, তুমি করো না তোমার মত। তাড়া কিছু নেই। আমার দোকান তো খুললেই হল এক সময়।'

    উনুনের গোড়া থেকে হাত খানেক দূরে মাটিতে একটা লাল পিঁপড়ের বাসা। সারি বেঁধে কতগুলো পিঁপড়ে সর্ষেদানার মাপের একটা গর্তে গিয়ে ঢুকছে, একটা দুটো করে বেরিয়েও আসছে। কয়েকটা পিঁপড়ে এলোমেলো উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক। গর্তের চারদিকে গুঁড়ো গুঁড়ো মাটির দানার ছোট্ট ঢিপি। বাসাটার দিকে নটবরকে তাকিয়ে থাকতে দেখে শশী বলল, "এই পিমড়েগুলোর জ্বালায়, বুজলে নটদা, একটুক শান্তিতে কাজ করার জো নেই। এখেনে ওখেনে চাদ্দিকে গত্ত করে রেখে দেবে মাটিতে। আর কামড়ে একেবারে শেষ করে দেয় গো! এইটুক দেখতে হলে কি হবে, বিষ খুব।'

    "হ্যাঁ, বর্ষার শেষ দিকটা দিয়ে খুব পিঁপড়ে বাড়ে। শীতের জন্যে খাবার জমা করে তো।'

    "আচ্ছা নটদা, এত তো সব যন্তর-টন্তর বানাও তুমি, এই পিমড়ে মারার একখানা কিছু বানাও তো দেখি,' ধোঁয়া-ওঠা চায়ের গেলাসটা এগিয়ে দিয়ে বলল শশী।

    পিঁপড়ে মারার যন্ত্র? হেসে ফেলল নটবর। "একটা যন্তর বলব? একখানা খবরের কাগজ নিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে বাসার মধ্যে ফেলে দাও। ব্যাস, সব মরে-ঝরে সাফ।'

    "তা যা বলেচ,' ফোকলা মাড়ি দেখিয়ে একগাল হাসল শশী।
  • pakhi | 72.94.182.10 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:০৩467398
  • Babasakol,
    apnaderkonodoshnai,kebolektukhotiyedekhben - NatabarnorechoreadotekhaniktaMohinderAmarnath-erstyle-ebatkorarmoto.AroupjuktoupomaholoGeoffBoycott.
    Osadharonlekhatirbyapyareeeitipponi-tirakhtehochhejanogonerexpectationsetkorarjonye.2006saleNatabartintefullscapekagojbhorechilo - sutorungtarpurnatapraptidekhteholekolebalishbagiyetelmakhiyemuri-chanachursahojogebakijibonbhordhoirjongrohu!
  • Mabish | 59.94.76.223 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৪:৫৪467399
  • বুঝলে নটবর, লেখাটা বেরে হচ্ছে,
    তারপর..............
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৭:১৫467401
  • @pakhi: হায় পাখি, একদিন কালীদহে ছিলে নাকি...

    বাংলা অক্ষরে লেখার চেষ্টা কর, খুব এক্টা কঠিন নয়
  • pakhi | 72.94.182.10 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৯:৪৭467402
  • praybigatosahosrabdireeicompu-jantorebanglalekhayjhamelahochhe.
    etikeakas-batasjadughorediyeakdinrich&famoushoyejabartaleaachi.
    tobeNatabareraktagotiholetarname-odanchatrokortepari.
  • achintyarup | 59.93.255.80 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০৫:২২467403
  • সত্যি, এককালে নানা রকম উদ্ভট যন্তরপাতি বানানোর শখ ছিল নটবরের। একবার একটা পিঠ চুলকোনোর যন্ত্র বানিয়েছিল -- পুরীতে যে লম্বা লম্বা মোষের শিং-এর হাত পাওয়া যায়, তার সঙ্গে ছোট্ট মোটর ফিট করে। খুব মজা পেয়েছিল সবাই। আরেকবার এই যন্ত্র বানানোর ঝোঁকে তো প্রায় জেলেই যেতে বসেছিল ও। কিসের একটা ম্যানুয়াল দেখে দেখে একটা ট্রান্সমিটার বানিয়েছিল। তাতে কথা বললে আশেপাশের বাড়ির রেডিও সেটে শোনা যেত। তো, সে সময় দেশ জুড়ে ডামাডোল চলছে, চীন-ভারত যুদ্ধ হয়ে গেছে ক' বছর আগে,সারা রাজ্যে লোকজন খুন হচ্ছে হরদম, পুলিশে যাকে পারছে তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। ঐ যন্ত্র বানানো যে বেআইনি সেটা জানতও না নটবর। কয়েকদিন খুব মজা করে সেটা চালানোর পর হঠাৎ পুলিশ এসে হাজির বাড়িতে। কি, না তাদের গোয়েন্দা বিভাগ টের পেয়েছে ও বেআইনি ট্রান্সমিটার ব্যবহার করছে। যন্ত্র বাজেয়াপ্ত হল, দু'দিন ধরে আটকে রেখে পুলিশ জেরা করল ওকে। অবশেষে রাজনীতির লোকেদের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ নেই নি:সন্দেহ হওয়ার পর ছাড়া পেল নটবর। যন্তরটা অবশ্য গেল। খুব ভয় পেয়েছিল ও সেবার। সে সব কবে চুকে বুকে গেছে, কিন্তু তারপর থেকে ওরকম কিছু বানানো-টানানো একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে নটবর। ব্যারোমিটারের ব্যাপারটা অবশ্য আলাদা। ব্যারোমিটার তো আর কিছু বেআইনি যন্তর নয়। তার মধ্যে কিছু রাজনীতি বা দেশদ্রোহের গন্ধ থাকতে পারে না। আর গোলমেলে কিছুর মধ্যে যে ও কখনো থাকে না সেটা আশেপাশের দশটা গাঁয়ের লোক জানে।

    কম দেখল নটবর এই এক জীবনে! ওর নিজের দোকানটার কথাই ধরা যাক না কেন। প্রথম যখন ব্যবসা খুলে বসল, এ তল্লাটে তখন এ রকম দোকান আর একটাও ছিল না। তিন-চার মাইল দূরের গাঁ থেকেও লোকে আসত ওর দোকানে -- "ও নটদা, রেডিও তো চলছেনে', কিম্বা "নটবাবা, একটু দেখিস তো গিয়ে, এরিয়েলের তারটা বোধ হয় ছিঁড়ে গেছে। যা হনুমানের উৎপাত।' তখনও ট্রানজিস্টার রেডিওর বেশি চল হয় নি, ঢাউস ঢাউস সব রেডিও থাকত লোকের বাড়িতে। খুব বেশি বাড়িতে নয় অবিশ্যি। ওদের নিজেদের বাড়িতেও ছিল -- একটা রেডিওগ্রাম। পাঁচ ফুট লম্বা আর দেড় ফুট চওড়া। তার ওপরের ডালাটা আবার খোলা যেত। ভেতরে ছিল একটা রেকর্ড প্লেয়ার, আর সামনের দিকটায় রেডিওর নব-টব সবকিছু। চালালে যা মিষ্টি গমগমে আওয়াজ বেরোত সেটা থেকে, সে ভোলার নয়। সেটার যন্ত্রপাতি খুলে খুলে আর জুড়ে জুড়েই তো নটবরের এই বিদ্যায় হাতেখড়ি।
  • kumudini | 59.178.155.95 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৫২467404
  • ও নটবরদা,সেই কখোন থেকে যে বসে রয়েচি ব্যারোমিটার বানানোটা দেখব বলে।মার্কারি আন্তে কারে পাঠালে?অতটা জোগাড় কর্তে পারবে তো? মা যে এক্ষুনি খু-উ-উ-কু-উ-উ, চুলে তেল দে,চান করে নে তাড়াতাড়ি, বলে মহা চ্যাঁচামেচি জুড়ে দেবে।
  • Samik | 115.248.4.217 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:৩৭467405
  • আহা, সেই রেডিওটা এখনও আছে আমাদের বাড়িতে। কাঠের চকচকে পালিশ করা মারফি রেডিও। এরিয়াল টাঙাতে হত ঘরের এ কোণা থেকে ও কোণা। সেই এরিয়ালটাও বোধ হয় এখনও খুঁজলে পাওয়া যাবে চিলেকোঠার ঘরে।

    দারুণ হচ্ছে :)
  • lcm | 69.236.170.156 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১৪:৪২467406
  • নটবর-এর লুঙ্গিটা কিন্তু জম্‌পেশ.... নীল-কালো চেক
  • debu | 72.130.151.116 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:১২467407
  • নটা কে মাও -রা ধরে নিয়ে যায় নি তো?
  • aishik | 115.248.152.33 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১৪:৪৭467408
  • অচিন্ত্যদা, পড়লাম।খুব ভালো। কিন্তু বাকিটা আরো তাড়াতাড়ি চাই।
  • kumudini | 59.178.146.235 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১৬:০২467409
  • ঐশিক বাবু,নমষ্কার,এখানেই জিগাই-জিন্দেগী কেমন চলছে?
  • Nina | 68.84.239.41 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ০৬:৪৫467410
  • ঐ পাখি ই অচিনরে ঠিক চিনসে--নট( not নড়ন-চরন) বর (বড় আর হসে্‌সনা) :-((((
  • achintyarup | 59.93.244.242 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০৪:৪৩467412
  • অনেক বাড়ির রেডিওতে এরিয়েল লাগানো থাকত তখন। রেডিওর পেছন থেকে একটা তার উঠে যেত ওপরে, আর ছাদের কাছাকাছি দিয়ে ঘরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত টানানো থাকত জাল-জাল ফিতের মত এরিয়েল। কোনো কোনো বাড়িতে আবার সেটা ছাদের ওপরে খাটিয়ে রাখা হত। খানিকটা বড়লোকি চাল দেখানোর ব্যাপারও যে তার মধ্যে ছিল না তা নয়। সে সময় রেডিও রাখতে গেলে আবার লাইসেন্স লাগত। বাড়িতে বাড়িতে যত্ন করে রাখা থাকত নীল রঙের লাইসেন্স বই। ক' মাস পর পর একবার করে পোস্টাপিসে গিয়ে লাইসেন্সের টাকা জমা করতে হত। তারপর আস্তে আস্তে এসে পড়ল ট্রানজিস্টারের যুগ। দামও কমল খানিকটা। আশেপাশের অনেক লোক রেডিও কিনে ফেলল। নটবরের ব্যবসার তো তখন রমরমা অবস্থা। একা হাতে সামলে ওঠাই দায়। শেষে একটা লোক রাখতে হল। গণেশ কোলে। তার কথা অবশ্য যত কম বলা যায় ততই ভাল। অর্ধেক দিন তাড়ি খেয়ে গড়াত, নয়ত ঝিমোতো দোকানে এসে। যন্ত্রপাতির হিসেব গোলমাল করে ফেলত, টাকা পয়সাও মনে হয় সরাত কিছু কিছু। কয়েকমাস দেখার পর মানে মানে তাকে বিদায় দিল নটবর। সেই থেকে আপনা হাত জগন্নাথ করেই চালিয়ে যাচ্ছে।

    ব্যবসা যখন বাড়তে শুরু করল, নটবর ঠিক করল দোকানঘরটা একটু ভাল করে সাজাবে। জমানো পয়সা খুব বেশি ছিল না, নানা রকম সখের যন্ত্রপাতি আর সে সব বানানোর বইটই কিনতেই খরচ হয়ে যেত অনেক। ভাগ্যিস বিয়ে হয়নি তখনও। তাই টিকটিক করে কানের পোকা নামানোর কেউ ছিল না। সঞ্জয় জ্যাঠা ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়ার পরামর্শ দিল। কিন্তু ও সব ধার-বাকির কারবারে যেতে নটবরের খুব ভয়। ঠিক করল হাওয়াখানাটা বিক্রি করে দেবে। হাওয়াখানা হল গিয়ে হাওয়া খাওয়ার বাড়ি। নটবরের ঠাকুদ্দারা ছিল এ তল্লাটের জমিদার। এ হল সেই জমিদারির অবশেষ। শরিকি ভাগ হতে হতে ওর হাতে এসে ঠেকেছিল বসতবাটির একটা টুকরো, ক' বিঘে জমি, আর এই হাওয়াখানা। বেশ খানিকটা দূরে, পুবদিকে দুটো গাঁ ছাড়িয়ে তবে গিয়ে সেইখানে পৌঁছতে হয়। মাঠের মধ্যে পুকুরের ধারে সেই বাড়ি -- খানিকটা বাংলো মত। লাল সিমেণ্টের কয়েক ধাপ সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। একটাই মাত্র বিরাট হলঘর তাতে। তার চারপাশ ঘিরে বারান্দা। গরমকালে দুপুর-বিকেলটা কাটানোর জন্যে এর চেয়ে ভাল জায়গা আর হয় না। কিন্তু সে হাওয়াখানা দিয়ে নটবর করবেটা কি? ওখানে গিয়ে আয়েস করার ওর সময় কই? এমনি পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হচ্ছে জায়গাটা। ইস্কুলের এক মাস্টারমশাইকে তাই একদিন কথায় কথায় বলল, "নেবেন নাকি সার? আপনাকে পনের হাজারে দিয়ে দেব, জমিশুদ্ধু।' কিন্তু ইস্কুলমাস্টারদের হাতে তখন বিশেষ পয়সা থাকত না। বিরসমুখে ঘাড় নেড়ে ঘোষবাবু বলেছিলেন, "না রে ভাই, অত টাকা হাতে নেই। তার চেয়ে বরং পঞ্চায়েতের লোকজনদের জিগ্যেস করে দেখ, ওদের নতুন অফিসের জন্য একটা বাড়ির খোঁজ করছে শুনছিলাম।'
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন