এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ছোটদের জন্য কবিতা...

    nandini
    অন্যান্য | ১২ জুলাই ২০১১ | ২৩১৩০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 132.174.107.55 | ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ১৮:৩৫477456
  • এসো ঘিলু খাই
    ডিসি

    সেদিন আমার এক বন্ধু বলছিলো,
    ঘিলু নাকি চমৎকার খেতে
    তাইতো দোকানে দোকানে
    ভেজা ফ্রাইয়ের এতো কদর!

    একথা শুনে আমি দেরি করলাম না মোটে।
    পাশেই পড়েছিল বাকারাট ক্রিস্টালের একটা ভারী ডিক্যান্টার,
    যেটায় করে সন্ধে থেকে হুইস্কি গিলছিলাম আমরা
    চট করে ওটা তুলে গায়ের জোরে ছুঁড়ে মারলাম বন্ধুর মাথায়
    কড়াক শব্দ করে মাথাটা দুফাঁক হয়ে গেল
    আর বিনা বাক্যব্যয়ে মরে গেল ও।

    রান্নাঘরে গেলাম
    ফিরে এলাম একটা চামচ নিয়ে, আর সাবধানে
    চামচেতে করে একটু ঘিলু নিয়ে চেখে দেখলাম।
    বাঃ ভারি ভালো খেতে তো!

    আমার ছোট্ট বন্ধুরা,
    তোমরাও পারলেই ঘিলু খেয়ে দেখো, কেমন?
    তবে সাবধানে, জামায় রক্ত না লাগে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.227.71.9 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:২৩477457
  • প্রভাত রবি ছড়ায় কিরণ
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    প্রভাত রবি ছড়ায় কিরণ
    পূব আকাশের গায়,
    বিহগ সকল করে কোলাহল
    বসি তরুর শাখায়।

    ফুলের বনে ফুলের কলিরা
    একে একে সব ফুটে,
    ফুলের গন্ধে বাতাস ভরে
    মধুকর আসে ছুটে।

    রাঙাপথের দুধারে দেখি
    মাঠে মাঠে সোনা ধান,
    সকাল হলে চাষীরা সকলে
    ধান কাটে গেয়ে গান।

    গাঁয়ের বধূ কলসী কাঁখে
    জল নিয়ে ঘরে যায়,
    শঙ্খচিলেরা পাখা মেলে উড়ে
    দূর আকাশের গায়।

    অজয়ের ঘাটে নৌকাটি বাঁধা
    নদীর শীতল জল,
    নদীর বাঁকে আসে ঝাঁকেঝাঁকে
    শালিক পাখির দল।

    ধবল বলাকা নদীকূলে বসে
    ছোট ছোট মাছ ধরে,
    দিনের শেষে সূর্য্যি লুকায়
    অজয় নদীর চরে।

    গাঁয়ের মাটিতে মাটির ঘরে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের মাটিতে মাটির ঘরে
    মাটির পরশ পাই।
    গাঁয়ের মাটি বিশুদ্ধ খাঁটি
    তুলনা যে তার নাই।

    মাটি মেখে মাটি দিয়ে সবে
    মাটির পাঁচিল তুলে,
    মাটি দিয়ে নিকানো উঠোন
    আছে ভরা ফুলে ফুলে।

    মাটির উঠোনে মাধবী মালতী
    মাটির পরশ পেয়ে,
    পূবের সূর্য ছুঁতে চায় ওরা
    বাঁশের বেড়া বেয়ে।

    আমার বাড়ি পাথরচুড়ে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    বাড়ি আমার পাথরচুড়ে
    অজয় নদীর পারে,
    তাল সুপারি গাছের সারি
    রাঙাপথের ধারে।

    মাটির ঘরে পাঁচিল ঘেরা
    বাড়ির আঙিনায়,
    ময়না চড়ুই পাখিরা এসে
    খুঁটেখুঁটে ধান খায়।

    বাড়ির পাশে বেড়ার ধারে
    বাঁশ গাছের বন,
    সকাল হলেই মোরগ ডাকে
    ভরে আমার মন।

    রাঙাপথের দুই ধারেতে
    সোনা ধানের মাঠ,
    ওই যে দূরে যায় দেখা ঐ
    অজয় নদীর ঘাট।

    অজয় নদীর ঘাটে মাঝি
    খেয়া পার করে,
    ঝাঁকে ঝাঁকে শালিক এসে
    চরে খেলা করে।

    গাঁয়ের মাটি স্বর্গ আমার
    কোথায় গেলে পাই?
    এ গাঁয়েতে জন্ম আমার
    এ গাঁয়ে মরতে চাই।

    এই মাটিতে লাঙল চালায়
    গাঁয়ের চাষী সকল,
    মাটির ঘরে রাখে যতনেতে
    সোনা ধানের ফসল।

    এই মাটি দিয়ে গাঁয়ের কুমোর
    বানায় কলসী হাঁড়ি,
    গাঁয়ের মাটির রাঙাপথ দিয়ে
    রোজ চলে গোরুগাড়ি।

    গাঁয়ের মাটি স্বর্গ যে আমার
    এই মাটি আমার মা,
    গাঁয়ের মাটিতে স্নেহের পরশ
    আমার জীবন সাধনা।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.193.86 | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ১৭:১৯477458
  • আমাদের গাঁয়ে আছে ছোট তালদিঘি,
    রবির কিরণে জল করে ঝিকিমিকি।
    পাড়ে আছে তাল আর খেজুরের গাছ,
    সাদা বক পাড়ে বসে ধরে ছোট মাছ।

    নাম তার তাল দিঘি সুশীতল জল,
    ছেলেরা সাঁতার কাটে করে কোলাহল।
    কেহবা গামছা পরে আধ গলা জলে,
    তেল মেখে চান করে ঘরপানে চলে।

    তাল পুকুরের ঘাটে পড়ে আসে বেলা,
    পায়রার ঝাঁক এসে পাড়ে করে খেলা।
    লুকায় সোনার রবি সোনা ধান খেতে,
    সাঁঝের আঁধার নামে আমার গাঁয়েতে।

    তাল পুকুরের ঘাটে কালো অন্ধকার,
    জোনাকিরা ওঠে জ্বলে সেথা চারিধার।
  • পাঠক পাঠক | 132.172.121.174 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০১477459
  • জোৎস্নায় ডেকে যায় রাতচরা পাখি
    ঝোপে ঝাড়ে জেগে থাকে জোনাকির ঝাঁক
    ঘুমের গল্পগুলি রাতের শিয়রে
    গাড়ির মতন ছোটে রাস্তার ডাক।

    হিম পড়ে হাওয়া দেয় পলাশের বনে
    চুপ করে ঝিঁঝিপোকা কান পেতে আলো
    ফোঁটে নাকি গুণে গেঁথে রাখে রাত্তির
    ঝুঁকে দেখে কারা জাগে কে যারা ঘুমালো।

    ঝাঁক বেঁধে তারাগুলি গ্রামে ও শহরে
    চেয়ে দেখে কোন পথে মানুষেরা হাঁটে
    এখনো এমন রাতে কারা ফেরে ঘরে
    কাদের সন্ধ্যে ভোর ইতি উতি কাটে।

    রাত চরা পাখি জাগে পূর্ণিমা ধরে
    এখন অনেক রাত, আলোরা ঘুমালো।
  • পাঠক পাঠক | 132.172.105.15 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৩:১১477460
  • মাঠের ওপর চিলের ছায়া ঘাসের প্রজাপতি
    কলের লাঙল সগর্জনে সমান করছে মাটি
    শুকনো ডালে শুকনো পাতায় আগুন জ্বেলে ধোঁয়া
    নতুন দোকান নতুন দালান নতুন বসত ঘাঁটি

    বানাচ্ছে সব নতুন শহর নতুন বাসা বাড়ি
    নতুন মানুষ নতুন কাজে এদিক ওদিক পাড়ি
    দিচ্ছে কেমন এদেশ ওদেশ শহর থেকে দূরে
    গড়ছে শহর গুটিয়ে নিয়ে পুরনো পাততাড়ি

    দূরের থেকে আসছে মানুষ নতুন ছেলে মেয়ে
    ইঁট্পাথরের নানান মজা বানাচ্ছে মিস্তিরী
    নিয়মছাড়া হোঁচট ঢিপি সমান ধুলোয় ছেয়ে
    দেওয়াল ঘিরে ছাদ বানালো ছাদের ছাদের দিকে সিঁড়ি

    রাস্তা জুড়ে মেঘের ছায়া রাস্তা জুড়ে গাড়ি
    কলের করাত কাটছে সমান ঝাউ গাছেদের সারি।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.67.212 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:৫৪477461
  • শীতের সকাল
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
    শীতের রাতে ঘুমায় সবে
    শীতের কাঁথা মুড়ে,
    পূবের রবি উঠলো হেসে
    দূরে পাহাড় চূড়ে।

    খেজুর গাছে চড়ছে কেহ
    বাঁধছে মাটির হাঁড়ি,
    মাঠের থেকে ধান বোঝাই
    আসছে গোরুর গাড়ি।

    পুকুর পাড়ে মায়ে ও ঝিয়ে
    করছে ঝগড়া খুব,
    দিঘির জলে মরাল ভাসে
    পানকৌড়ি দেয় ডুব।

    দিঘির ঘাটে বধূরা চলে
    কলসী লয়ে কাঁখে,
    বাঁশ বাগানে ঝোপের আড়ে
    মুরগীরা সব ডাকে।

    আকাশ জুড়ে আলোর খেলা
    ছড়ায় কিরণ রবি,
    ফুলের বনে ফুল ফুটেছে
    দেখি সুন্দর ছবি।

    সবুজ গাছে পাখিরা ডাকে
    হৃদয়ে পুলক জাগে,
    ঘন কুয়াশা ভুবন জুড়ে
    আকাশে রং লাগে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.67.212 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:৫৫477462
  • আমাদের গাঁয়ে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    অজয়ের এপারেতে ছোট মোর গাঁয়,
    ছোট ছোট আছে ঘর তরুর ছায়ায়।
    প্রতিদিন উঠে রবি পূরব গগনে,
    ছোট ছোট ফুল ফুটে কুসুম কাননে।

    ছোট ছোট দিঘি আছে আমাদের গাঁয়ে,
    মাঠে মাঠে সোনা ধান আম-বন বাঁয়ে।
    রাঙাপথে গাছে গাছে পাখি গীত গায়,
    ছোট বধূ স্নান সেরে, জল নিয়ে যায়।

    আমাদের গাঁয়ে আছে ছোট এক নদী,
    কুলু কুলু বয়ে চলে হয়ে বেগবতী।
    নদীধারে দুইকূলে ছোট ছোট গ্রাম,
    অজয়ের কলতানে মেতে ওঠে প্রাণ।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.67.212 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:৫৬477463
  • আমাদের গ্রামখানি
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
    আমাদের গ্রামখানি অজয়ের পারে,
    সবুজ ধানের খেত পথের দুধারে।
    রাঙাপথে লালধূলো গাছে ডাকে পাখি,
    ছোট গাঁয়ে মোরা সবে সদা সুখে থাকে।

    এ গাঁয়ের মাঝখানে গোয়ালা পুকুর,
    সামনে অজয় নদী নয় বহু দূর।
    সকালে বিকালে রোজ রাঙাপথ দিয়ে,
    গাঁয়ের বধূরা ঘরে যায় জল নিয়ে।

    এ গাঁয়ের চৌমাথায় কালীর মন্দির,
    অমাবস্যা রাতে সেথা জমে বহু ভিড়।
    সন্ধ্যায় আরতি হয় ঢাক ঢোল বাজে,
    সাঁঝের সানাই বাজে এ গাঁয়ের মাঝে।

    রাত কাটে ভোর হয় গ্রাম উঠে জেগে,
    রবি উঠে ফুল ফুটে রঙ লাগে মেঘে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 340112.79.896712.145 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:২৫477464
  • অজয় নদীর বাঁকে
    -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    আমার গাঁয়ের উত্তরেতে, দেখি অজয় নদীর ঘাটে,
    রোজ দুপুরে পাড়ার ছেলেরা নদীতে সাঁতার কাটে।
    কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূরা নাহিবারে যবে আসে,
    শরতের নীল গগনে গগনে সাদা মেঘমালা ভাসে।

    সোনা-ঝরা রোদ ঝরে গাঁয়ের অজয় নদীর চরে,
    শালিকের ঝাঁক অজয়ের বাঁকে নিত্য খেলা করে।
    কাশফুল ফোটে নদীর দুকূলে কলকল নদী বহে,
    স্নান হলে সারা সকল বধূরা চলিছে আপন গৃহে।

    বেলা আসে পড়ে অজয়ের ঘাটে ক্লান্ত দিনের শেষে,
    সোনালী সূর্য ডুব দেয় দিগন্তের পাহাড়-চূড়া ঘেঁষে।
    পাখিরা ফেরে আপন বাসায় নৌকা বাঁধা নদী চরে,
    কাশের বনে নামিল আঁধার বলাকা উড়ে যায় দূরে।

    নির্জন ঘাটে রাত্রি নামিল আকাশে তারারা ফোটে,
    রাতি শেষ হয়ে ভোর হয়ে আসে নতুন সূর্য ওঠে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 340112.79.896712.145 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৩১477356
  • অজয় নদীর বাঁকে
    -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    আমার গাঁয়ের উত্তরেতে, দেখি অজয় নদীর ঘাটে,
    রোজ দুপুরে পাড়ার ছেলেরা নদীতে সাঁতার কাটে।
    কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূরা নাহিবারে যবে আসে,
    শরতের নীল গগনে গগনে সাদা মেঘমালা ভাসে।

    সোনা-ঝরা রোদ ঝরে গাঁয়ের অজয় নদীর চরে,
    শালিকের ঝাঁক অজয়ের বাঁকে নিত্য খেলা করে।
    কাশফুল ফোটে নদীর দুকূলে কলকল নদী বহে,
    স্নান হলে সারা সকল বধূরা চলিছে আপন গৃহে।

    বেলা আসে পড়ে অজয়ের ঘাটে ক্লান্ত দিনের শেষে,
    সোনালী সূর্য ডুব দেয় দিগন্তের পাহাড়-চূড়া ঘেঁষে।
    পাখিরা ফেরে আপন বাসায় নৌকা বাঁধা নদী চরে,
    কাশের বনে নামিল আঁধার বলাকা উড়ে যায় দূরে।

    নির্জন ঘাটে রাত্রি নামিল আকাশে তারারা ফোটে,
    রাতি শেষ হয়ে ভোর হয়ে আসে নতুন সূর্য ওঠে।
  • সিকি | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:৪৮477357
  • আরেঃ, এই ত্তো, আবার ফিরে এসেছেন :)
  • গগনবিপিন | 232312.172.8989.150 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:১৭477358
  • ডুবে যাওয়া নদী ঘিরে শীতের শহর
    ছোট্ট স্টেশনে নিভু হ্যাজাকের আলো
    রং ধরা কাঁঠালের পাতায় হলুদ
    নতুন বাঁখারি বেড়া বাঁশ কাঁচা ঘ্রাণ
    টান পড়ে এসুতোয় ও সুতোয় খালি
    চামড়ায় নীল নীল সুতো বাঁধা দাগ
    বালুকা বেলায় খুব সোনা ঝিকমিক
    ছোট নদী মনে রাখে রক্তের ছিটে।

    দরমা বেড়ায় বাঁধা দর্জী দোকান
    দরমা বেড়ায় বাঁধা বিউটি সেলুন
    দরমা বেড়ায় বাঁধা লোকেদের বাড়ি
    দরমা বেড়ায় বাঁধা রাধিকার স্নান।
    ছবি থেকে ছবি হয় গ্রামেরা শহর
    নদীগুলি ক্ষীণ হয় জমিরা নিলাম।

    মানুষ শিকার করে দেশ ঘুরে ঘুরে
    মেরে ফেলে মরে যায় সময়ের খাঁজে
    গোষ্পদে পড়ে গেলে বিজয় ফানুষ
    আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে।
  • San | 015612.242.6767.249 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:১৬477359
  • এটা বেশ।
  • aranya | 3478.160.342312.238 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৩477360
  • গগনবিপিন = হুতো ? :-)
  • গগনবিপিন | 342323.226.8989.246 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩০477361
  • সামান্য পুঁজি নাইলন ব্যাগে নিয়ে বাজার সদাই
    তার ঘোরে বাসে বাসে জলযানে নীচের তলায়
    ঘোরে ধুলো তার চারপাশে জলের ঘুর্ণি ঘোরে
    চোখকুনি মাছগুলি ঠোকরায় দাঁড়ের শ্যাওলা ঘিরে
    কোনদিন বনপথে বাস দেখে ছাতারে পাখির ঝাঁক
    দৌড়য় দিক ভুলে এদিক ওদিক
    ধুলো জমে জলের কুয়াশা জমে নাইলন ব্যাগে তার
    জালের কোনাচে কোনাচে তার সামান্য পুঁজি।

    মেলায় মেলায় যায় গঞ্জের হাটে যায় শহরের আস্তিনে
    রেলপথ ধরে ধরে নেহায়েত ঠুনকো ও খেলো
    রংচটা পুরাতন ক্লান্ত জলের স্মৃতি ছাতারে পাখির
    তালকানা গান নিয়ে ঘুরিতেছে পলিথিনে পেতে দেয়
    পায়ের নাগালে, হাঁটে লোক, হেটো বা ব্যাপারী
    আর উদাসীন বিবাগী বা মৃত লোক, সামান্য পুঁজি।

    নাইলন ব্যাগে নিয়ে চলিতেছে লোকালয় নির্জন সাধু ও চলিত
    এটুকু তুচ্ছ পুঁজি ফিরি করে, হাঁক ডাক করে না সে
    চলে যায় বাসে চেপে, জলযানে নদীর ওপর দিয়ে
    নীচের তলায় বসে, ব্যাগ ঘিরে জমে ওঠে
    নাদী ও পথের ঘ্রাণ, বনের থমকে থাকা
    ধুলিকনা বয়ে আনে যেটুকু যা স্মৃতি।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 3445.231.8956.3 | ০৩ জুন ২০১৯ ১৮:৩৩477362
  • গাহি মানবের গান
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাহি মানবের গান,
    মানবের মাঝে সতত বিরাজে সদা শ্বাশত ভগবান।

    ঊষর মরুর বুক চিরে যারা
    চালায় লোহার লাঙল,
    রোদে পুড়ে আর জলে ভিজে যারা
    ফলায় সোনার ফসল।

    তারাই মানব, তারাই দেবতা গাহি তাদের জয়গান,
    মানবের মাঝে নিয়ত বিরাজে ওই জাগ্রত ভগবান।

    গাহি মানবের গান,
    মানবের মাঝে সতত বিরাজে সদা শ্বাশত ভগবান।

    কেটেছে অরণ্য গড়েছে নগর
    বিশাল ধরিত্রী মাঝারে,
    সাগর সেঁচিয়া এনেছে মুকুতা
    ডুবিয়া অকূল পাথারে।

    তারাই মানব তারাই দেবতা, করহ তাদের সম্মান।
    তাদের মাঝারে বিরাজে ঈশ্বর মানবের ঐ ভগবান।

    গাহি মানবের গান,
    মানবের মাঝে সতত বিরাজে সদা শ্বাশত ভগবান।

    কেটেছে পাহাড় কুড়ায়ে পাথর
    গড়েছে যে পথ বন্ধুর,
    বিজনে নগরে অট্টালিকা গড়ে
    তারাই মানব ঠাকুর।

    মানবের তরে যুগ যুগ ধরে ঝরেছে যাদেরই ঘাম,
    তারাই আজিকে জাতির দেবতা গাহি তার জয়গান।

    গাহি মানবের গান,
    মানবের মাঝে সতত বিরাজে সদা শ্বাশত ভগবান।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 3445.231.8956.3 | ০৩ জুন ২০১৯ ১৮:৩৫477363
  • প্রভাতে পাখিরা ডাকে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    প্রভাতে পাখিরা ডাকে,
    আমাদের গাঁয়ে, রাঙাপথ বাঁয়ে সবুজ তরুর শাখে।

    গ্রাম সীমানায় নদী বয়ে যায় এ গাঁয়ের পাশ দিয়ে,
    গাঁয়ের বধুরা জল নিয়ে যায় কাঁখেতে কলসী নিয়ে।
    সকাল হতেই এ গাঁয়ের পথে চলেছে গরুর গাড়ি,
    আম কাঁঠালের বন পথ ধরে তালগাছ সারি সারি।

    নয়ন দিঘির সুশীতল জলে মরাল মরালী ভাসে,
    নয়নদিঘিতে সাঁতার কাটতে পানকৌড়ি হেথা আসে।
    বটের ছায়ায় বাউলেরা গায় একতারা লয়ে হাতে,
    লয়ে সব্জি বোঝা পথ চলে সোজা হাটুরে চলেছে হাটে।

    নদী কিনারায় পড়ে আসে বেলা সূর্য যায় অস্তাচলে,
    সূর্য ডুবে যায় ফিরিছে বাসায় সাদা বক দলে দলে।
    নদীর ঘাটেতে নামিল আঁধার নির্জন নদীর ঘাট,
    দিবসের শেষে সাঁঝের বেলায় ভেঙে যায় সেই হাট।

    পাখিরা বাসায় ফেরে,
    খেয়াঘাটে বাঁধা ঘাটে নৌকাখানি মাঝি চলে গেছে ঘরে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 3445.231.8956.3 | ০৩ জুন ২০১৯ ১৮:৩৬477364
  • অজয় নদীর ঘাটে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    অজয় নদীর ঘাটে।
    দিবসের শেষে বেলা পড়ে আসে তপন বসেছে পাটে।

    ঘাটে নাই মাঝি, তরী বাঁধা আজি, অজয় নদীর চরে।
    সাঁঝের আকাশে তারারা ফুটেছে জোছনার আলো ঝরে।
    কল কল বেগে, নদী বয়ে যায়, বয়ে চলে অবিরাম,
    চাঁদের আলোকে ছবিময় হয়ে ভেসে ওঠে ছোট গ্রাম।

    জোছনা আলোয় পথের দু’ধারে সবুজ গাছের সারি,
    রাঙাপথ বাঁকে শেয়ালেরা হাঁকে হুক্কাহুয়া ডাক ছাড়ি।
    অজয়ের তীরে শ্মশানের ঘাটে, জ্বলিছে মৃতের দেহ,
    চিতার আগুনে পুড়িয়া মরিছে প্রেম প্রীতি আর স্নেহ।

    পূবের আকাশে শুকতারা হাসে রাত কাটে ভোর হয়,
    গাছে গাছে ডাকে প্রভাত পাখিরা শীতল হাওয়া বয়।
    অজয়ের ঘাটে ছুঁয়ে যায় তরী খেয়াঘাটে মাঝি আসে,
    আসে দলে দলে যাত্রীরা সকলে প্রভাতের রবি হাসে।

    অজয় নদীর ঘাটে।
    আজ রবিবারে অজয় কিনারে আসে সকলেই হাটে।
  • Ekak | 12.39.456712.114 | ০৩ জুন ২০১৯ ২১:৪৭477365
  • ভালো হচ্চে। একটু মাত্রার দিকে খেয়াল দিন। ছোটদের লেখায় মাত্রা ঠিক না থাকলে ছোটরা কী শিখবে।
  • রঞ্জন | 232312.176.454523.84 | ০৪ জুন ২০১৯ ০০:০৯477367
  • (১)
    গাছের ডালে বসেছিল ব্যঙ্গমা ব্যঙ্গমী।
    একটি গেল বাঁয়ে উড়ে, অন্যটি ডাইনে
    একদিকেতেই উড়তে হবে
    লিখেছে কোন আইনে?
    (২)
    অংকের ক্লাসে শ্রীকান্ত স্যার আসে,
    কপালে তার মস্ত বড় আঁব,
    ভয়ের চোটে ঝগড়া-টগড়া ভুলে
    সব্বাইকে বলি --ভাব ! ভাব!
    (৩)
    আমাদের ইস্কুল দুই-তিনতলা,
    টিফিনেতে খেতে দেয় পাঁউরুটি-কলা।
    আমাদের হেডস্যার এমে বিয়ে পাশ,
    পড়া না করলে মারে ঠাস ঠাস।।
    (৪)
    ভরপেট ভাত খেয়ে ক্লাসে বসি--হায়,
    বাংলার ক্লাস শুরু, খালি ঘুম পায় ।
    বাংলার বিধুস্যার ভয়ানক কড়া,
    ঢুলে পড়লেই বলে বেঞ্চিতে দাঁড়া!
    (৫)

    ইংলিশ মিডিয়াম! বড্ড যে ফাট।
    আমাদের ভাবে ওরা -- মুখ্যু আকাট।
    'কিন্তু' ও 'পেছন'কে বলে ওরা 'বাট',
    পি ইউ ট 'পুট', তবু সি ইউ টি --'কাট'?
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 3445.231.8956.3 | ০৪ জুন ২০১৯ ১৫:৪৯477368
  • বাড়ি আমার পাখির বাসা
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    আকাশ পারে পূবের কোণে সূর্য্যি যখন উঠে,
    ফুল বাগানে ফুলের কলি সকলি দেখি ফুটে।
    সোনার আলো ঝলমলিয়ে উঠোনে রোদ হাসে,
    কাকের দল ঝগড়া করে কূয়ো তলার পাশে।

    দুটো শালিক সকাল হলে ঘুরে উঠোনময়,
    জোড়াশালিক দেখতে ভালো সবলোকেই কয়।
    আমার বাড়ি বেড়ার পাশে, আছে আমের বন,
    সারাটা দিন কোকিল ডাকে, ভরে আমার মন।

    চড়ুই পাখি উঠোনে রোজ চরতে যবে আসে,
    ফড়িংগুলো উড়তে থাকে কচি সবুজ ঘাসে।
    ময়না, টিয়া, পায়রাগুলো, ঘুরে উঠোনটায়,
    একটু পরে কেউবা ঘুরে, কেউবা উড়ে যায়।

    পাখির মত আপনজন কোথায় গেলে পাই?
    বাড়ি আমার পাখির বাসা সুখ শান্তির ঠাঁই।
  • r2h | 162.158.22.99 | ১৩ এপ্রিল ২০২০ ১২:৪০730583
  • এই টইটাও আমি মাঝে মাঝে এসে পড়ি।

    লক্ষণবাবু অনেকদিন লিখছেন না।
  • একক | 162.158.158.202 | ১৩ এপ্রিল ২০২০ ১২:৪১730584
  • হ্ ম অজয় নদের পদ্য পড়ব বলেই ক্লিক কল্লুম।  

  • Lakshman Bhandary | ১৫ জুলাই ২০২০ ১৭:৪৫732402
  • করোনার সংগ্রাম- সচেতনতার হাতিয়ার
    সবাই করো সংগ্রাম........ প্রথম পর্ব
    কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    সাধন ভজন প্রার্থনা নমাজ সব কিছুই থাক পড়ে,
    বাঁচতে হলে বন্দী হয়ে, এবার থাকতে হবে ঘরে।

    আসিছে ঐ মহামারী বিশ্বত্রাস,
    শত-সহস্র মানবে করিতে গ্রাস,
    আসিছে নোভেল করোনাভাইরাস
    বিপুলা ধরিত্রী গিয়েছে ভরে।

    লড়াই করে বাঁচতে হবে, করো লড়াই বাঁচার তরে।
    সাধন ভজন প্রার্থনা নমাজ সব কিছু থাক পড়ে।

    ..........।ওগো, আজ কেহ যেও না কো ঘরের বাহিরে,
    লক ডাউন দিকে দিকে তাই পথে লোক আজি নাহিরে।

    ইস্কুল কলেজ হয়েছে বন্ধ,
    মেট্রো বাস আর বিমান বন্ধ,
    বাতাসে ভাসে ভাইরাসের গন্ধ,
    চারিদিকে দেখো চাহিরে।

    ঘরে বন্দী সবাই আজিকে, ওগো যেও না ঘরের বাহিরে।
    লক ডাউন দিকে দিকে তাই পথে লোক আজি নাহিরে।

    বাঁচার লড়াই দিকে দিকে আজি এবার বিপ্লব সশস্ত্র,
    সচেতনতা আজি সবার জীবনে জাতীয় মুক্তির মন্ত্র।

    লাগাও হাতে স্যানিটাইজার
    হাত দুটি তব ধুয়ে বারবার
    সচেতনতা তাই আজি জনতার
    হলো প্রধান লড়াইয়ের অস্ত্র।

    ডেটল দিয়ে ধুয়ে নাও সবে যত পরিধানের সব বস্ত্র।
    বাঁচার লড়াই দিকে দিকে আজি এবার বিপ্লব সশস্ত্র।

    অসুস্থ পৃথিবী অসহায় আজি, লাজে মুখ মাস্ক ঢাকা,
    মাস্ক হলো সংগ্রামের ঢাল, আঘাত সয়ো না একা।

    বাঁচতে হবে, আর বাঁচাতে হবে,
    জেগে ওঠো জাতি বিশাল ভবে,
    সংগ্রামে মোদের জিততেই হবে,
    বন্ধ হোক ভাইরাসের চাকা।

    সশস্ত্র যোদ্ধা সহায় মোদের, ভারত সরকার দিচ্ছে টাকা।
    বাঁচো সবাই, বাঁচাও সবাকারে, আনো সকাল রক্তমাখা।

    অসহায় বিশ্ব মরিছে অসুখে, শোন ঐ কান পাতি,
    বিশ্ব-ত্রাস করোনা ভাইরাস গ্রাসিছে সমগ্র জাতি।

    প্রধানমন্ত্রী তাই দিচ্ছেন ডাক,
    করোনা ভাইরাস নিপাত যাক
    গৃহের মধ্যে সবাই বন্দী থাক
    ভাইরাস বাঁধিবে না ঘাঁটি,

    ভাইরাস যুদ্ধে মেতেছে বিশ্ব, জাগুক মানব জাতি।
    অসহায় বিশ্ব অসুস্থ পৃথিবী, গাহিছে জাগরণ গীতি
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:9fb:fd7b:822:7ac5 | ১৫ জুলাই ২০২০ ১৮:০৪732403
  • লক্ষণবাবু অনেকদিন পর।
  • Lakshman Bhandary | ১৭ জুলাই ২০২০ ১৬:০৮732409
  • করোনার সংগ্রাম- সচেতনার হাতিয়ার।
    সবাই করো সংগ্রাম........ দ্বিতীয় পর্ব

                  কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    করোনা ভাইরাসে ছেয়ে গেছে দেশ। শুধু চীন রাষ্ট্র নয়, বিপন্ন হয়েছে ইতালি, ইরান, জার্মানি, আমেরিকা, ফ্রান্স সহ বিশ্বের 180টি দেশ।  মৃত্যুর মুখে আজ সারা বিশ্ববাসী। মারণ সংগ্রামের প্রথম ও প্রধান হাতিয়ার জন সচেতনতা। ঘন ঘন স্যানিটাইজার ব্যবহার করা মানেই করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে দূরে রাখা। মুখে থাকুক মাস্ক। দিকে দিকে লক-ডাউন। তাই বাইরে বেরোবেন না। ঘরের কোণে বন্দী থাকুন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকুন। সবাইকে দূরে রাখুন। নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান। সু্স্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

    করোনার সংগ্রাম- সচেতনার হাতিয়ার।
    সবাই করো সংগ্রাম........ দ্বিতীয় পর্ব

                    কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    ভাইরাস থেকে বাঁচাতে নিজেকে বন্দী থাকো সবে ঘরে,
    বিশ্বত্রাস নোভেল করোনা ভাইরাস ছেয়েছে ধরার পরে।
    নিজেকে বাঁচাতে অপরে বাঁচাতে লক-ডাউন দিকে দিকে,
    বাঁচার তরে সংগ্রাম করিছে মানুষ মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে।

    হয়েছে সময়, আর দেরি নয় তাই নাই কোন সংশয়,
    বন্দী হয়ে ঘরে বসে থাকো সবে যাবে কেটে মহাভয়।
    স্যানিটাইজার করো ব্যবহার করো না কেউ অবহেলা,
    মানুষ হয়ে, মানুষ থেকে তুমি, দূরে থাকো এইবেলা।

    দেশ ও জাতি আক্রান্ত আজিকে সবার হৃদয়ে বাজে,
    বাঁচাও বিশ্ব, জেগে উঠুক জাতি বিশাল ধরণী মাঝে।
    বাঁচো সবাই বাঁচাও সবারে আগে নিজেরে করো জয়,
    বিশ্ব-ত্রাতা সহায় মোদের তাই বিপদে করি না ভয়।

    করোনাভাইরাস হানিছে আঘাত, করে মৃত্যুরে আহ্বান,
    ধর্ম ও কর্ম সব গেল রসাতলে আজি পরাজিত বিজ্ঞান।

  • dc | 103.195.203.1 | ১৭ জুলাই ২০২০ ১৮:৫০732410
  • আরে এই টইতে আমি কি সুন্দর একটা কবিতা লিখেছিলাম! ভুলেই গেছিলাম!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন