এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kiki | 59.93.198.42 | ১২ আগস্ট ২০১১ ১২:৪৩483695
  • অমনই হয়!!( একটা গাল ফোলানো স্মাইলী)
  • ranjan roy | 122.168.174.197 | ১২ আগস্ট ২০১১ ১৫:১৫483696
  • আচ্ছা! তোমার হাঁড়িমুখকে একটু হাসি- হাসি করে দিচ্ছি এক্ষুণি! একটি আনন্দ সংবাদ দিয়ে। গত মঙ্গলবার চিন্টুবাবুর আপন ভাই সন্দীপন রায় উর্ফ বুবাইএর পরিচালনায় ""একলা আকাশ'' ফিলিমের আউটডোর শুটিং সারারাত বৃষ্টির মধ্যে আনোয়ার শাহ রোডের ফ্লাইওভারের ওপর হয়েছে।
    নায়ক: পরমব্রত, নায়িকা: "" রঞ্জনা, আমি আর আসবো না''র নায়িকাটি।
    সঙ্গীত পরিচালনা: জিৎ গাঙ্গুলী
    কন্ঠস্বর: রাশিদ খান ও আরো কেউ। একটি গান সন্দীপন নিজে লিখেছে এবং গেয়েছে।
    চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: সন্দীপন রায়(বুবাই)।
    প্রেস শোয়ের সময় অচিন্ত্য তোমাদের গেস্ট কার্ড দেবে।:))))))
    এটা বুবাইয়ের ডেবু ফিলিম। তোমাদের সবার শুভেচ্ছা চাই।
  • siki | 123.242.248.130 | ১২ আগস্ট ২০১১ ১৫:২৯483697
  • পুজোর সময় রিলিজ হবে কি? তাইলে আমারো একটা গেস গার্ড চাই।
  • kumu | 122.160.159.184 | ১২ আগস্ট ২০১১ ১৮:৩৯483698
  • আন্তরিক শুভকামনা,বুবাইএর জন্য।
  • Nina | 12.149.39.84 | ১২ আগস্ট ২০১১ ১৯:১৩483699
  • একে রায়, তায় এই "রায়-ক্ল্যান" পোচ্চুর পোচ্চুর শুভকামনা রইল!
    রিলিজ হলেই দেখব :-)
  • kiki | 59.93.245.40 | ১২ আগস্ট ২০১১ ১৯:২৬483700
  • রঞ্জনদা,
    মুগাম্বো খুশ হুয়া।আপনাদের ভাইরা সবাই খুব গুনী তো। খালি ,পরমব্রত ক্ষেন? যীশু নয় ক্ষেন? এনিয়ে হাল্কা একটা বিদ্রোহ করবো ভাবছিলাম কিন্তু কাটিয়ে দিলুম।:P
  • ranjan roy | 122.168.174.197 | ১২ আগস্ট ২০১১ ২১:৩৭483701
  • কিকি,
    হে-হে! যীশুকে নিয়ে ক্রাশ আছে নাকি? বুবাইকে বলে রাখবো। আসলে এটা তো ওর ডেবু সিনেমা। সাকসেস পেলে তখন পছন্দমত নায়ক নির্বাচন করতে পারবে। তোমাদের সবার শুভকামনার
    জোরে একদিন নিশ্চয়ই পারবে।
  • kiki | 59.93.245.40 | ১২ আগস্ট ২০১১ ২১:৪০483702
  • কিন্তু আনোয়াশা রোডের ফ্লাইওভার আমি মনে মনে খুঁজে পাইচ্ছিনা কেন? ইসে কোনদিকে? মানে যাদব্বুর থানা পজ্জন্ত্য কোনো ফ্লাই ওভার নাই তো।তবে? লজ্জা না দিয়া উত্তর দিবেন , যাহারা দিবেন।
  • kiki | 59.93.245.40 | ১২ আগস্ট ২০১১ ২১:৪২483703
  • রঞ্জনদাও কি zএ কন? আপনাদের ভাই সাকসেস পাবে না। হুঁ , আমার যীশুর উপর হেবি ব্যাথা।
  • kiki | 59.93.245.40 | ১২ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৫483705
  • না এর পরে বিষ্ময়সূচক চিহ্ন হইবে।
  • ranjan roy | 122.168.174.197 | ১২ আগস্ট ২০১১ ২২:০৫483706
  • চিন্টুবাবুর থেকে জানলাম-- অনেকটা ভেতরে আনোয়ার শা রোডের একপাশে ''মান্নার খাবার'' বলে দোকানের ডানদিকে ইত্যাদি। আজও শুটিং চলছে। আজ তারানন্দে নাকি খবর হিসেবে দেখিয়েছে।
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ০১:৫৪483707
  • চন্দ্রকেতুগড় থেকে অনেক দূরে চলে আসা গেছে। এই সুযোগে অন্য একটা লেখা টুকে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না।

    হামদি বে ছিলেন ডাকসাইটে সাংবাদিক। চাকরী করেছেন স্টেটসম্যানে এবং রয়টার্সে। ১৯৮০ সাল নাগাদ আজকাল পত্রিকা যখন চালু হয়, সে পত্রিকার প্রথম সম্পাদক গৌরকিশোর ঘোষ হামদিকে সেখানে নিয়ে আসেন নতুন সাংবাদিকদের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য। তারপর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আজকালের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল হামদির। শেষের দিকে একটা কলম লিখতেন, বে অব বেঙ্গল। আমার অতি প্রিয় ছিল সে সব লেখা। পরে আজকাল সেই লেখাগুলির একটা কালেকশন প্রকাশ করে। সে বই আমার সঙ্গে থাকে সর্বদা। প্রথম সংস্করণ। প্রকাশক প্রতাপকুমার রায়। কপিরাইট মীনাক্ষী দত্তের। বে অব বেঙ্গল থেকে একটা লেখার অংশ তুলে দিচ্ছি। লেখার নাম ছুটির বাড়ি।

    মহেঞ্জোদাড়ো-খ্যাত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় সিন্ধু মরুভূমির এক নির্জন অংশে তাঁবুতে খুন হয়েছিলেন বন্য হুর উপজাতির হাতে, তিরিশের দশকে। সিন্ধু সভ্যতার কিছু চিহ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে এমন টিলার সন্ধানে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। খননের কাজ যখন চলে তখন শতশত শ্রমিক কাজ করে, তাছাড়া পাহারাদাররা থাকে চুরি বা অন্য কোনো বিপদ ঠেকাবার জন্য। কিন্তু খননের জায়গা যখন খোঁজা হয়, তখন শুধু পরিমাপক, একজন সহকারী, রাঁধুনি ও তাঁবু বইবার জন্য ও পাতবার জন্য আধডজন কুলি ছাড়া আর কেউ থাকে না, অস্ত্রধারী পাহারাদারও থাকে না। হয়ত জোর একটা শটগান থাকে পাখি মেরে খাবার জন্য, যখন টিনের খাবার খেয়ে খেয়ে মুখে অরুচি ধরে যায়। সেই বন্দুক তুলেই রাখা হয়, আত্মরক্ষার জন্য সঙ্গে থাকে না। আক্রমণকারীর সামনে এই দল তাই একেবারে অসহায়। অন্তত রাখালদাস ও তাঁর দল তা-ই ছিলেন যখন হুর লুটেরারা তাঁদের তাঁবু তচনচ করেছিল। যে রাত্রে রাখালদাসের খুন হবার খবর এল সেই রাত্রে রয়টার্সে আমি ডিউটিতে ছিলাম। এই মর্মান্তিক ঘটনার তেমন কোনও অনুপুঙ্খ বিবরণ আসেনি।

    পুলিস এক চৌকিদারের মুখের বিবরণ শুনে চলে এসেছিল। ফার্দিনান্দ ম্যাগেলান, যাঁরা জাহাজ প্রথম পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেছিল, আর ক্যাপ্টেন কুক উপজাতীয় সন্দেহ ও ক্রোধের বলি হয়েছিলেন। রাখালদাসকে সন্দেহ করার কোনও কারণ ছিল না। তিনি উপজাতীয়দের শান্তি কোনওভাবেই বিঘ্নিত করেননি। তাঁরা সরকারি অফিসার ছিলেন এবং রাখালদাস নাম করা লোক। হয়ত তাঁদের চকচকে যন্ত্রপাতি এবং তুলনামূলকভাবে দামী ও পরিচ্ছন্ন পোশাক উপজাতীয়দের লোভ জাগিয়েছিল। অবশ্য ক্যাশবাক্সটিও ছিল, যাতে তাঁবু-জীবনের খরচাপাতির টাকা রাখা কিন্তু সেটা তো লুটেরাদের জানবার কথা নয়। আবার অজানা-ই কৌতূহল ও লোভ অধিক জাগায়।

    বাংলা ছাড়া অন্যান্য ভাষার খবরের কাগজে ঐ পুলিস রিপোর্ট ব্যতীত আর বিশেষ কিছু ছাপা হয়নি। সব বড় সাহেবরাই তো ইংরেজ ছিলেন, যাঁরা ভারতীয়দের মুনশি কেরানি কুলি ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারতেন না। রয়টার্সের উপরিওয়ালাও ছিলেন ইংরেজ এবং ভারতীয়দের বিষয়ে তিনি সেইসব স্বজাতির দ্বারা পরিচালিত হতেন যাঁরা তাঁর চাইতে বেশিদিন এই দেশে আছেন। ভারতীয়দের বিষয়ে তাঁদের ধারণা যে একপেশে হতে পারে সেই সম্ভাবনার কথা তাঁর কল্পনাতেও ছিল না। এই হত্যার রিপোর্টের পর, রাখালদাসের যে মৃত্যুপরবর্তী জীবনী লেখা হয়েছিল তা ছিল অতি সংক্ষিপ্ত এবং তাতে তাঁর চাকরির আর পদোন্নতির কথাই শুধু বলা হয়েছিল। বাংলা কাগজে অবশ্য তাঁর বই-এর নামের উল্লেখ ছিল।

    ইংরেজদের এই একপেশেমির জন্যই রাখালদাসের মহেঞ্জোদাড়ো আবিষ্কারের কথা ঢাক পিটিয়ে বলা হয় না। নগণ্য এক ভারতীয় যার বয়স মাত্র তিরিশ -- কী করে এমন এক আবিষ্কার করতে পারে? আমাদের সমাজে চুল না পাকলে বুদ্ধি পাকে না এমন এক ধারণা জনপ্রিয়। হরপ্পা এমন একটা জায়গা বলে ভাবা হত যেখানে বৃষ্টি পড়লেই উঁচু ঢিপি থেকে শিলমোহর গড়িয়ে পড়ে।

    লাহোর ও মুলতানের মধ্যে রেললাইন তৈরি করার সময় হরপ্পার টিলা খোঁড়া হয়েছিল। প্রত্নতঙ্কÄবিদ মার্শাল, পরবর্তীকালে যিনি হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়ো, দুজায়গাতেই খননে নেতৃত্ব দিয়েছেন, একবার রেলে যাচ্ছিলেন, রেললাইন যে ইঞ্জিনিয়ার পেতেছিলেন তাঁর সঙ্গে। হরপ্পার টিলার পাশ দিয়ে যখন ট্রেন যাচ্ছে তখন সেই ইঞ্জিনিয়ার বেশ স্মৃতিবিধুর স্বরে বলেছিলেন, "ওখান থেকে চমৎকার ইট পেয়েছিলাম।' ১৯৪৬ সালে সার মর্টিমার হুইলার প্রত্নতঙ্কÄ বিভাগের ভার নেবার আগে এই ছিল প্রত্নতঙ্কেÄর অবস্থা।

    আর্কিওলজিকাল সার্ভেতে ঐতিহাসিকদের চাকরি দেওয়া হত। যেহেতু প্রধান প্রামাণিক বস্তুই ছিল লিপি সেহেতু প্রধানত সংস্কৃত, আরবি বা পালি জানা লোকেরাই স্থান পেতেন। রাখালদাস ও পণ্ডিত বাৎসও সেই গুণেই চাকরি পেয়েছিলেন, এবং পরে মার্শালের নেতৃত্বে মহেঞ্জোদাড়ো ও হরপ্পার খননের ভার পেয়েছিলেন।

    মার্শাল সিন্ধু সভ্যতার ওপর একটি বই লিখেছিলেন পরে। প্রকৃত আবিষ্কারক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাৎস-এর কথা সার্ভে রিপোর্টের তলায় চাপা পড়ে যায়, কারণ সেই রিপোর্ট কেউ পড়ে না। তাই এই বিশাল আবিষ্কারের সঙ্গে তাঁদের যোগের কথা বিশেষজ্ঞ ছাড়া কেউ জানতে পায় না। এটাও অনেকে জানেন না যে কবি ও ঔপন্যাসিক হিরানন্দ সচ্চিদানন্দ বাৎসায়ন হরপ্পার এক খননিকের পুত্র। এই ভাষাতাঙ্কিÄক যিনি প্রত্নতাঙ্কিÄকে পরিণত হয়েছিলেন, ছেলের নামকরণ করেছিলেন উপনিষদের রীতিতে, পিতৃনামে পুত্রের নাম।

    শিক্ষাবিদ কপিলা বাৎসায়ন বীরবল সাহানির আত্মীয়া। বীরবল সাহানি ছিলেন উদ্ভিদবিদ্যাবিশারদ, যিনি পুরোনো বীজ ও পরাগ থেকে উদ্ভিদ নির্ণয় করতেন। তিনিও সার্ভের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হরপ্পা খননের সময় বাৎস ও সাহানি ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়েছিলে। সেখানে গম, বার্লি ইত্যাদির যে সব দানা পাওয়া গিয়েছিল সে সব পরীক্ষা করা সাহানির কাজ ছিল, তাঁর ক্ষমতা ও জ্ঞানের পক্ষে নগণ্য কাজ। পরে তিনি লক্ষ্ণৌ-এ উদ্ভিদবিদ্যার প্রতিষ্ঠান শুরু করেন, সাহানি ইনি্‌স্‌টটিউট অফ পেলিওবটানি।

    রাখালদাস বা বাৎস এইসব তথ্য জানতে পারলে কত না খুশি হতেন। সিন্ধু উপত্যকায় চাষ শুরু হয়েছিল খ্রীষ্টপূর্ব ৫০০০ সালে, শহর পত্তনের বেশ কিছুদিন আগে। ঋতু পরিবর্তনই হয়ত এই সভ্যতার পতনের জন্য দায়ী, খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০০ সালে বৃষ্টিপাত কমে গিয়েছিল ঐ অঞ্চলে। খননের সময় বিশেষজ্ঞরা এই সভ্যতার শুরু, বৃদ্ধি ও পতন নিয়ে কোনও ধারণাই সঠিক করতে পারেননি। তাঁরা দেখতেন ফুল ফোটে ও মরুভূমির ফুলের মত ঝরে যায়।

    এ টি এভানস ক্রিটে খুঁজে পেলেন গ্রীসের চাইতেও পুরোনো এক সভ্যতার চিহ্ন, যার লিপি উদ্ধার হয়েছে মাত্রই ১৯৫২ সালে। লিওনার্ড উলি খনন করলেন উর আর নিনিভে-তে। বাইবেল বর্ণিত বন্যার সময় তিনি নির্ধারণ করলেন খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০০ সালে। ম্যাক্স মালোভান, আগাথা ক্রিস্টির স্বামী, খনন করেছিলেন নিমরুদে। মানব বসতির এই স্তর যেহেতু লিপি-র ব্যবহারের আগেকার, এর কাল-নির্ণয় করা কঠিন। প্রাক্‌-ঐতিহাসিক যুগের এই স্তরের সময় নির্ণয় করলেন ম্যাক্স মালোভান সেখানে আবিষ্কৃত মৃৎ-পাত্রের সাহায্যে। ম্যাক্স মালোভানকে অনেকেই আগাথা ক্রিস্টির দ্বিতীয় স্বামী রূপেই শুধু চেনেন।

    মালোভানের চাইতেও কঠিন ছিল রাখালদাসের কাজ। খ্রীষ্টপূর্ব ৮০০ সালের আগেকার ভারতের কোনও লিপির পাঠোদ্ধার করা যায়নি। সিন্ধু উপত্যকার পাত্রগুলির মত পাত্রও অন্য কোনও জায়গায় দেখা যায়নি বলে মিলিয়ে নিয়ে তারিখ ঠিক করা সম্ভব হয়নি।

    যেভাবে রাখালদাস "মৃতের টিলা' অথবা মহেঞ্জোদাড়ো আবিষ্কার করলেন তা দারুণ নাটকীয় নিশ্চয়ই, কিন্তু আমি কোথাও তার বর্ণনা পড়িনি। এখানেও হরপ্পার শীলমোহর পাওয়া গিয়েছিল, সেইজন্য দুটিকে একই সভ্যতা বলে স্থির করা হল। সিন্ধু সভ্যতা যে তাম্রযুগের সেটাও স্থির করা মুশকিল হচ্ছিল। সেখানে পাওয়া তামার জিনিসগুলি গুলিয়ে ফেলা হচ্ছিল সাম্প্রতিক উপজাতীয়দের ব্যবহারের তাম্রপাত্রের সঙ্গে। এমন একটা ধারণা ছিল যে ভারতে তাম্রযুগের সভ্যতা ছিল না। আমি কোনও বইতে রাখালদাসের এই আশ্চর্য আবিষ্কারের স্পষ্ট বর্ণনা পাইনি। সরকারি দপ্তরের নথিপত্রে খননকার্যের নেতরই নামে সব যায়।

    শিলঙে চার বছর আমি রাখালদাসের পাশের বাড়িতে থেকেছি। তাঁর বাড়ির নাম ছিল অশ্রুনীড়। নিশ্চয়ই ছেলে অকালে মারা যাওয়ার পর রাখালদাসের মা-বাবা ঐ নাম দিয়েছিলেন বাড়ির। আমি যখন এলাম, তখন কোনও এক এয়ারলাইন্সের হলিডে হোম হিসেবে সে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। অশ্রুনীড়ে ছুটির মজা? ভাবা যায় কি?
  • byaang | 122.178.192.206 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ১১:৪০483708
  • চিন্টুবাবু, আরো জানতে ইচ্ছে করছে এই ব্যাপারে। একটু বেশি করে করে লিখবি প্লিজ? আরো বেশি করে হাত চালিয়ে।
  • ranjan roy | 122.168.174.197 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ১১:৫১483709
  • ফাটাফাটি! তোর দাদা হিসেবে গর্বিত বোধ করছি,
  • kumu | 14.98.184.154 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ২১:০৯483710
  • শুধু রঞ্জনদাই দাদা?
    আমরাও সব চিন্টুবাবুর দিদি,দাদা,হ্যাঁ।
  • I | 14.99.43.15 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ২১:৩৪483711
  • আম্মো !
  • nk | 151.141.84.194 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ২৩:৫৭483712
  • উফ্‌ফ। এতদিনে! যেন একটা মহাশান্তি পেলাম।
    অচিন্ত্য, আরো শুনতে চাই।
  • achintyarup | 59.93.246.41 | ১৬ আগস্ট ২০১১ ০৫:৪২483713
  • প্রথম যৈবনে কয়েক মাস আমি একটি বাংলা খবর কাগজে কাজ করেছিলাম। কাগজটি বাংলা, কিন্তু নামটি ছিল ইংরিজি -- ওভারল্যাণ্ড। তার পর একাধিক শহরে একাধিক কাগজের আপিসে কাজ করেছি, কিন্তু সেই প্রথম চাকরির কয়েক মাস যেমন আনন্দ পেয়েছিলাম তেমনটি আর কোথাও পাইনি। সেই আপিসে অনেক ইণ্টারেস্টিং মানুষেরা ছিলেন, যাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন গুপী গাইন তপেন চ্যাটার্জী। যদ্দুর মনে পড়ে উনি পুরো সময়ের কর্মী ছিলেন না (সম্ভবত বিজ্ঞাপন বিভাগের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করতেন) কিন্তু আপিসে আসতেন রোজ। সে সময় আমার ডিউটি ছিল দুপুর দুটো থেকে সন্ধে নটা পর্যন্ত। দুপুরের দিকে, যখন কাজের চাপ খুব একটা থাকত না, তপেনদা এসে আড্ডা জমাতেন নিউজ ডেস্কে। অফুরন্ত গল্প এবং রসিকতার ভাণ্ডার ছিলেন। আমি তখন প্রায় সদ্য গাঁ থেকে আসা ভালমানুষ টাইপের তরুণ, এক কোণায় বসে কলম চিবোতাম, আর আড়-কানে গল্প শুনতাম। কথাবার্তা বলতাম না। তপেনদার অনেক রসিকতায়ই আদিরসের ছোঁয়া থাকত, এবং মাঝে মাঝেই আমার দিকে ইঙ্গিত করে বলতেন, দেখো, ওর কানদুটো কেমন লাল হয়ে উঠেছে দেখো। সব ভাল গল্প-বলিয়েদের মত তপেনদারও অতিরঞ্জন প্রবণতা ছিল। কারণ আমার কান লাল হওয়া এখনও যেমন, তখনও সেই রকমই অসম্ভব ছিল। খুব বেশী হলে একটু বেগনী আভা দেখা গেলেও হয়ত যেতে পারত।

    সাধারণ রসিকতা ছাড়াও তপেনদা বলতেন ফিল্মের গল্প, সত্যজিৎ রায় এবং অন্যান্য খ্যাতিমানদের সঙ্গে কাজ করার নানা অভিজ্ঞতা। একদিন কোনো এক ফিল্ম শুটিং-এর গল্প বলতে গিয়ে বললেন --

    আমি আর উৎপলদা যাচ্ছিলাম এক গাড়িতে। পুরুলিয়া যাওয়ার কথা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে, গাড়ি চলেছে তো চলেছেই। উৎপলদার চোখেও অল্প অল্প গোলাপী রং ধরছে। ড্রাইভারকে জিগ্যেস করেন, আর কতক্ষণ? ড্রাইভার বলে অওর তিন ঘণ্টা সাব। ঘণ্টা দেড়েক পর আবার জিগ্যেস করেন, আর কতদূর ভাই? ড্রাইভার বলে ঢাই ঘণ্টা সাব। এই রকম চলেছে। উৎপলদার চোখ তখন লালচে। আমিও বেশ ক্লান্ত। কখন শুটিং-এর জায়গায় পৌঁছে গাড়ি থেকে নেমে হাত-পায়ের খিল ছাড়াব আর একটু বিশ্রাম করব সেই কথা ভাবছি। কিন্তু গাড়ি সমানে চলেছে। পুরুলিয়ায় পৌঁছনোর নামও নেই। হঠাৎ উৎপলদা বললেন, বুঝলে তপেন, আমার মনে হয় আসলে পুরুলিয়া বলে কোনো জায়গা নেই। ওটা জাস্ট একটা জিওগ্রাফিক্যাল কনসেপ্ট।

    অনেকদিন পর তপেনদার গল্পটা মনে পড়ে গেল সরকারি মানচিত্রে চন্দ্রকেতুগড় খুঁজতে গিয়ে। দেখলাম সার্ভে অব ইণ্ডিয়ার ম্যাপে ঐ নামে কোনো জায়গাই নেই! পঞ্চায়েতের হিসেবে চন্দ্রকেতুগড় বলে কোনো গ্রাম নেই। জায়গাটা কি তাহলে শুধু একটা আর্কিওলজিকাল কনসেপ্ট? একটু ঘাবড়েই গিয়েছিলাম। অবশেষে খোঁজ খবর করে দেখ গেল জায়গার নাম চন্দ্রকেতুগড় নয়, বেড়াচাঁপা। বা দেউলিয়া। বা দেবালয়। একই গ্রামের তিন নাম। এই গ্রামেই চন্দ্রকেতু রাজার ঢিবি, যেখানে নাকি ছিল চন্দ্রকেতুর গড়। চন্দ্রকেতুর গড়ই ক্রমে লোকমুখে চন্দ্রকেতুগড় হয়ে গেছে। এখানেই শেষ নয়। ইতিহাস বই ঘেঁটে দেখুন, চন্দ্রকেতু নামের কোনো রাজার উল্লেখই নেই সেখানে। রাজা চন্দ্রকেতুর অস্তিত্বকে এখনও স্বীকার করে না ইতিহাস। কারণ এখনও পর্যন্ত এমন কোনো পাথুরে প্রমাণ পাওয়া যায়নি যার ওপর ভরসা করে বলা যায় সত্যি সত্যিই এখানে এক রাজা ছিলেন যাঁর নাম ছিল চন্দ্রকেতু। আর শিলালিপি, তাম্রপট্ট বা মৃৎফলক যখন এখনও পাওয়া যায়নি, কিসের ভিত্তিতেই বা বলা যাবে রাজার কথা -- খুঁজে বের করা যাবে কোন্‌ সময়ে রাজত্ব করেছিলেন ভদ্রলোক? চন্দ্রকেতু রাজার গল্প তাই এখনও শুধুমাত্র লোক-পুরাণ। সে সব ঘেঁটে দেখার দায়িত্ব নৃতাঙ্কিÄক আর সমাজবিজ্ঞানীদের। (যদিও এখনও পর্যন্ত সে লাইনে কেউ কিছু করেছেন বলে আমার জানা নেই।) তবে ঐতিহাসিকরা অফ দ্য রেকর্ড বলে থাকেন, চন্দ্রকেতু নামে কেউ যদি কখনো এখানে রাজত্ব করেও থাকেন, তাঁর বয়স বড়জোর সাতশ কি সাড়ে সাতশ। তার বেশি কিছুতেই নয়।
  • achintyarup | 59.93.246.41 | ১৬ আগস্ট ২০১১ ০৫:৫২483714
  • অনেক ইণ্টারেস্টিং মানুষ* ছিলেন,
  • DB | 115.187.38.169 | ১৬ আগস্ট ২০১১ ১৮:৪৪483716
  • ঢিবির ওপরে ঐ খোঁড়াখঁড়িটা চলছিল যে দিন আমরা গিয়েছিলাম। কিন্তু আমদের কাছেই ঘেষতে দেয়নি সেদিন। হাতে ক্যামেরা দেখে সটান ভাগিয়ে দিয়েছিল। লেখাটা পড়তে পড়তে জায়গটা ভেসে উঠছে চোখের ঐপরে
  • kiki | 59.93.243.165 | ১৬ আগস্ট ২০১১ ১৮:৪৯483717
  • বাসুদা,
    আপনি ছবি কিভাবে দেখাবেন জিগিয়েছিলেন বোধায়।এখানে অনেকে পিকাসো তে আপলোডিয়ে লিং দিয়ে দেয়। আমি এপজ্জন্ত্যই জানি। পিকাসো কেসটা অন্য কেউ কয়ে দিতে পারবে।
  • achintyarup | 59.93.246.56 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ০৫:১৩483718
  • পুঁতি

    অমলবাবুই প্রথম বলেছিলেন। সে প্রায় বছরখানেক আগে। ইণ্টারেস্টিং কিছু খবর আছে কিনা জিগ্যেস করাতে বললেন, যান না, একবার চন্দ্রকেতুগড় ঘুরে আসুন না। ইণ্টারেস্টিং খবর পেয়ে যাবেন। সেখানে নাকি অবাধে বিক্কিরি হয় প্রত্নবস্তু। জিগ্যেস করলুম কোনো লোকের নাম জানেন ওখানে, যে এরকম পুরোনো জিনিস বিক্রি করে? অমলবাবু বললেন, আপনি একবার যান না, ওরাই আপনাকে খুঁজে নেবে।

    আলস্য কাটিয়ে যেতে যেতে এক বছর পার হয়ে গেল।

    *****

    ঢিবির ওপর ঘুরে বেড়াই এদিক ওদিক। চাষীদের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু কিছুই বেরোয় না তাদের মুখ থেকে। হ্যাঁ, এখানে কিছু খোঁড়াখুঁড়ি করেছে সরকারি লোকেরা, কি পাওয়া গেছে তা আমরা জানিনা। গাঁয়ের লোকেরা কেউ কেউ পুতুল টুতুল পেয়েছে মাটির তলায়। আমরা শুনেছি। এর বেশি কিছু জানিনা।

    সত্যিই তো, কে সাহস করে মুখে খুলবে অচেনা লোকেদের কাছে? গুটি তিনেক ছোট ছোট ছেলে ঘোরাঘুরি করছিল বড়দের থেকে একটু দূরে। তাদের গিয়ে ধরি। এখানে অনেক কিছু পাওয়া যায়, না রে? জিগ্যেস করি একজনকে। পাওয়া যায় তো। পুতুল পাওয়া যায়, মাটির পাত্র পাওয়া যায়, পুঁতি পাওয়া যায়। ঐ তো ওর কাছেই পুঁতি আছে। অন্য ছেলেটি ঘাড় হেলায়। পুঁতি আছে তার কাছে। কিরকম পুঁতি? গোল পুঁতি আছে, ঢোলক পুঁতি আছে, ছোট্ট ছোট্ট সাদা-কালো পুঁতি আছে। দেখাবি আমাদের? ছেলেটি রাজি হয়ে যায়। সাইকেল নিয়ে উধাও হয়ে যায় কোথায় যেন। মিনিট পাঁচেক পরেই ফিরে আসে, পকেট থেকে বের করে ছোট্ট কাগজের মোড়ক। মোড়কের ভেতর চরখানা পুঁতি। দুটো সাদা-কালো, আর অন্য দুটোর রং মধুর মত। হ্যাঁ রে, এগুলো বিক্রি করবি? রাজি হয় ক্লাস এইটে পড়া ছেলেটি। কত দাম দেবেন? কত নিবি? ছেলেটি একটু দূরে গিয়ে বছর তিরিশের একটি লোকের সঙ্গে কথা বলে আসে। তারপর জানায় দুশো টাকা পেলে পুঁতি চারটি বিক্রি করতে রাজি আছে সে। কোথায় পাস এই রকম পুঁতি? অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। বৃষ্টির পর এই ঢিবির গায়েই পাওয়া যায়। মাটি ধুয়ে যেখান দিয়ে জল নেমে আসে, সেখানে খুঁজলে পাওয়া যায় অনেক সময়। কিন্তু পুঁতিগুলো কি একশো টাকায় দিবি। না, একশোয় হবে না। মামা বারণ করেছে। আচ্ছা, একশো আশি টাকা দিন, দিয়ে দেব। ছাড়ি না। আরও দর করি। একশো কুড়ির বেশি দিতে পারব না, ভেবে দেখ। না একশো কুড়িতে হবে না। ঠিক আছে, একশো তিরিশ দিন। আমি রাজি হই না। কথা বলতে বলতে বৃষ্টি নামে চড়বড় করে। গাড়ির দিকে দৌড়ই আমরা। ছেলেদুটি দৌড়য় কাছের একটা চালার দিকে। বৃষ্টি থামার পর পুঁতি-বিক্রেতাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

    *****

    নানা রকমের পুঁতি পাওয়া যায় চন্দ্রকেতুগড়ে। সেমি-প্রেশাস পাথরের, কাচের, হাড়ের, হাতির দাঁতের। নানা আকৃতির। এইসব পুঁতি খুব সহজে পাচার হয়ে যায় বিদেশে। কিভাবে? সে গল্প শোনালেন এক সরকারী প্রত্নতাঙ্কিÄক। বিলেতের এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক স্বনামধন্য প্রত্নতঙ্কÄবিদ নাকি এক সময় এই অঞ্চলের গ্রামগুলিতে ঘুরে ঘুরে গ্রামের লোকেদের বলতেন কার কাছে কি আছে দেখাও, আমি কিনে নেব। এরকম সব পুঁতি বাটি ভর্তি করে নিয়ে আসত লোকে। উনি সামান্য দামে সে সব কিনে নিতেন। তারপর সে সব পুঁতি ধুয়ে মুছে চকচকে করে সেগুলো দিয়ে মালা গাঁথতেন। তারপর সেই সব মালা গলায় ঝুলিয়ে তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা বিলেতে ফেরার উড়োজাহাজে চড়ে বসতেন। কে সন্দেহ করবে?

    খবরের কাগজে প্রবন্ধ লেখার প্রয়োজনে ই-মেলে যোগাযোগ করি কেম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক দিলীপ কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে। চন্দ্রকেতুগড় বিষয়ে দিলীপবাবুর কিছু প্রবন্ধ পড়ে বেশ ভাল লাগে। ওঁর লেখা আর্কিওলজিক্যাল জিওগ্রাফি অব দ্য গঙ্গা প্লেন নামের একটি অতি ইণ্টারেস্টিং বই আছে। দিলীপবাবুকে জানিয়েছিলাম কেমনভাবে ছোট ছোট বাচ্চাদের কাছেও প্রত্নবস্তু কিনতে পাওয়া যায় চন্দ্রকেতুগড়ে। মাত্র একশো তিরিশ টাকায় চারখানা অমূল্য পুঁতি আমাকে বিক্রি করতে রাজি হয়েছিল সেখানকার এক বালক। মাত্র একশো তিরিশ টাকা। ভাবা যায়! ফিরতি চিঠিতে দিলীপবাবু লিখলেন: I am somewhat amused that they were thinking of Rs. 130 for 4 beads. Years ago, a few 'biris' would have got such beads in handfuls ! Smuggling will continue as long as there is no government remuneration for people who actually find the stuff. বোঝো! কয়খানা বিড়ির বদলেই নাকি মুঠো মুঠো এরকম পুঁতি সংগ্রহ করা যেত এক সময়।
  • kiki | 59.93.215.247 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১১:৪১483719
  • চিন্টুবাবু, এবার গেলে আমার জন্য দুটো পুঁতি এনো তো।দাম টামের কথা বোলোনি যেন।বন্ধু মানুষ , গিফট দিবা।আমি একটু ছুঁয়ে দেখবো, কত কত আগের কেউ সেই পুঁতির মালা পরে সাজতো,সময়টাকে একটু ছুঁতে চাই।
  • lcm | 69.236.169.127 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১১:৪৪483720
  • আর, আমার জন্যে দুটো তিনচুরিয়া, টাটকা দেখে।
  • kiki | 59.93.215.247 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১১:৪৭483721
  • ইসে, এট্টু লজ্জা পেয়ে, তিনচুরিয়াটা আমি বুঝি নাই,এলসিএম চট করে বলে দেননা!
  • kumu | 122.160.159.184 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১১:৪৯483722
  • একশো আশি/দুশো ঠিকাছে।
    চাট্টে/আট্টা পুঁতি কুমুদির জন্য।
    লিখে রাখো-
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৯:৩৮483723
  • চিন্টুবাবু, মনটা খারাপ হয়ে গেল গো ! কি ভাবে আমাদের সম্পদ আমরা অন্যের হাতে তুলে দি ই ---আর নিজের মাটির জিনিষ যখন বিদেশি পালিশে ঝাঁ চকচকে হয়ে প্রদর্শনি তে যায় ----তখন আমরা মুগ্‌ধ হয়ে টিকিট কেটে দেখতে যাই!
    তুমি একটু ছবি তোলোনি এইসব অমূল্য হেলাফেলার??

  • Sibu | 71.103.149.170 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৯:৫০483724
  • এখানে এল কাউন্টি মিউজিয়াম অফ আর্টসে চন্দ্রকেতুগে্‌ড়র পোড়ামাটির জিনিষের একটা ভাল কালেকশন আছে। এক বাঙালী ভদ্রলোক LACMA-র কিউরেটর ছিলেন অনেক বছর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন