এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somnath2 | 207.239.86.106 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০২:০৬483728
  • ছবিগুলো দারুন ! Achintyarup কে অনেক ধন্যবাদ এইগুলো আপ লোড করার জন্য। অবাক লাগে এইগুলো সংরক্ষন করার ব্যাপারে সর কারের ঔদাসীন্য দেখে।
  • Nina | 68.45.76.170 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০৩:২৮483729
  • চিন্টুবাবু, ছবিগুলো দেখে মনপখিটা শুধুই উড়ে যেতে চায় --বাংলামায়ের সবুজ আঁচলে----কিন্তু কঠিন বাস্তব দেখিয়ে দিচ্ছে রান্নাঘর :-(((
    তবু অপিশ থেকে ফিরে মোনটা স্নিগ্‌ধ হল---রান্নাগুলো নামবে ভাল :-))

  • achintyarup | 59.93.244.203 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০৪:৪২483730
  • :-))
  • pharida | 182.64.242.56 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৩:১৪483731
  • অচিনভাই, ঐতিহাসিক মুল্য নিয়ে বিশেষ ধরণা আমার নেই তবে তোমার লেখা যেন গুপ্তধনের দরজা খুলতে থাকে পরতে পরতে।

    সাবাশ।
  • pi | 72.83.74.17 | ২১ আগস্ট ২০১১ ০৬:০৭483732
  • অচিন্তিদা, যক্ষীর মাথা ফেক কীকরে বোঝা গেল ?
    লেখা, ছবি দুই ভাল লাগছে।
    আচ্ছা,সেই যে একজন ধরা পড়লো, সে নিয়ে আপডেট কি ? ওর সূত্রে আর কাউকে ধরতে পারলো ? ধরা পড়া পুরাবস্তুগুলোর গতি ই বা কী হচ্ছে ?
  • Gandhi | 59.93.215.179 | ২১ আগস্ট ২০১১ ২২:৩৪483733
  • @ অচিন্ত্যদা

    ছবিগুলো নিয়ে কিছু কমেন্ট আছে...

    . ছবি... "রিসেন্ট excavation " .... আমরা আজকেই চন্দ্রকেতুগড় ঘুরে এলাম.... ঐখানে কোনো খোড়াখুড়ি হয়নি... গ্রামের লোক খুঁড়ে জৈব সার বানিয়েছে....

    . ছবি.... " পুরনো excavation " কয়েক বছর আগেই ওখানে খোঁড়াখুঁড়ি হয়... সেখান থেকে দুটি কঙ্কাল পাওয়া যায় বলে গ্রামের লোকেরা জানিয়েছে... এই বিসয়ে কিছু সন্দেহ আছে...

    আজকেই ঘুরে এলাম... আমরা ৩ বন্ধু মিলে....

  • achintyarup | 59.93.245.75 | ২২ আগস্ট ২০১১ ০৫:২৪483734
  • @ পাই: এখানে স্টেট ডিরকটরেট অব আর্কিওলজি এবং আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়াতে এমন লোকেরা আছেন যাঁরা পুরাবস্তু নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। আমি যে পাঁচটি জিনিস নিয়ে তাঁদের কাছে গিয়েছিলাম, তার মধ্যে এই যক্ষীর মুণ্ডুটি দেখে সবাই বললেন (সম্ভবত) ওইটি জাল। জাল অর্থে মূল কোনো মূর্তির থেকে ছাঁচ তৈরি করে বানানো। কি ভাবে বুঝতে পারেন জিজ্ঞেস করাতে বললেন কোনো টেরাকোটার কাজ সত্যি সত্যি পুরোনো কিনা তা জিনিসটার কিছু কিছু লক্ষণ দেখে নাকি বোঝা যায় (পোড়ামাটির ভেতরের কালচে দাগ, ক্ষয়ে যাওয়ার ধরণ, গড়ন ইত্যাদি)। তবে সব সময় তা নির্ভুল ভাবে বলা কঠিন। প্রসঙ্গত, জাল টেরাকোটার ব্যবসা বেশ জমজমাট এখন চন্দ্রকেতুগড়ে। তার জন্য নাকি বিশেষ দক্ষ শিল্পীও আছে।

    পুরোনো টেরাকোটার বয়স বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে জানার জন্য থার্মোলুমিনিসেন্স টেস্ট করা হয়। সে খুব খরচসাপেক্ষ ব্যাপার। চন্দ্রকেতুগড় থেকে এ যাবৎ হাজারে হাজারে টেরাকোটা পাওয়া গেছে। সব কটির ওপর সেই পরীক্ষা করার পয়সা এ এস আই বা রাজ্য পুরা দপ্তরের নেই। দেশে সর্বত্র সে পরীক্ষা হয়ও না। ইদানীং শুনলাম যাদবপুরে শুরু হয়েছে। কিন্তু একই টেরাকোটার টুকরো সেখানে এবং জার্মানীর কোনো ল্যাব-এ পাঠিয়ে নাকি দেখা গেছে দু জায়গার ফলাফলের মধ্যে ফারাক বিস্তর। এখানকার এক্সপার্টরা টেরাকোটা মূর্তি বা ফলকের গড়ন এবং (যদি জানা থাকে) মাটির তলার কোন স্তর থেকে সে জিনিস পাওয়া গেছে সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই ধরণের পুরাবস্তুর বয়স নির্ণয় করে থাকেন।

    যদিও দুনিয়াশুদ্ধ লোক জানে যে চন্দ্রকেতুগড় থেকে প্রত্নবস্তু কিনতে পারা যায়, কিন্তু স্থানীয় পুলিশ সে কথা জানে না সে কথা বিশ্বাস করা একটু কঠিন। খবরের কাগজে একটা লেখা বেরোল, একটা লোক গ্রেফতার হল, কাগজওয়ালারা খুশি হয়ে কলার তুলে ঘুরে বেড়াল, তারপর লোকে আবার ভুলে গেল -- ঘটনাক্রম মোটামুটি এইভাবেই চলে। যে লোকটাকে কদিন আগে ধরা হয়েছে তার কাছ থেকে নাকি আর কিছু জানা যায় নি। তিন বস্তা টেরাকোটা বাজেয়াপ্ত করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ এস আই-কে খবর পাঠিয়েছিল পুলিশ, কিন্তু এ এস আই-এর এক্সপার্ট আজ সন্ধে পর্যন্ত গিয়ে দেখে আসতে পারেননি বাজেয়াপ্ত-করা জিনিসগুলির মধ্যে কতগুলো আসল আর কতগুলো নকল। কেন, সে বিষয়ে চন্দ্রকেতুগড়ের কাস্টডিয়ান অফিসার কিছু বলতে পারেননি। এর মধ্যে স্থানীয় এক ভদ্রলোক আমাকে জানালেন উনি পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন চোরাচালান বিষয়ে কিছু তথ্য দিতে, কিন্তু থানার ওসি ওঁর সঙ্গে দেখাই করেননি।

    ধরা পড়া বস্তুগুলো এখনও দেগঙ্গা থানার মালখানায় পড়ে আছে। প্রসঙ্গত, এ রকম অনেকগুলি বস্তাই থানার মালখানায় অনেক বছর ধরে পড়ে আছে।

  • lcm | 69.236.169.127 | ২২ আগস্ট ২০১১ ০৮:৪৪483735
  • তিনচুরিয়া তো আমি এখানে প্রথম শুনলাম! এই থ্রেডে অচিন্টো লিখল, প্রথম পাতায়, সবুজ দোকান লাল বোর্ড - ৫ নং প্যারায়। এমন সুন্দর নাম, খেতে নিশ্চয়ই জম্পেশ কিছু হবে।
  • achintyarup | 59.93.243.212 | ২৩ আগস্ট ২০১১ ০৫:৫৫483736
  • বলেছি কি, আমার সঙ্গে গিয়েছিল আমার মামাতো ভাই কৌশিক? কৌশিক নৃতঙ্কেÄর পণ্ডিত এবং এক খননশীল ব্যক্তিত্ব। দেশের নানা জায়গায় নানা এক্সকাভেশানের কাজে অংশ নিয়েছে। সেদিন ও সঙ্গে না থাকলে অনেক কিছু বুঝতেই পারতাম না, চোখে-দেখা জিনিসও না দেখা হয়েই থেকে যেত। ঢিবির ওপরের পতহ দিয়ে খানিক এগিয়ে বাঁদিকে নিখুঁত চৌকো করে কাটা গর্তটার দেখে ওই বলল, এই তো এক্সকাভেশানের কাজ হয়েছে এখানে। জানাল তাদের ভাষায় একে বলে ট্রেঞ্চ। দেখাল, ট্রেঞ্চের কোণ বরাবর খানিক দূরে দূরে পোঁতা রয়েছে সাদা রং করা এ এস আই-এর লোহার খুঁটি বা গ্রিড-পয়েণ্টিং পেগ।

    সার রবার্ট এরিক মর্টিমার হুইলার ছিলেন বিশ শতকের সবচেয়ে নামজাদা প্রত্নতাঙ্কিÄকদের মধ্যে একজন। ১৮৯০ সালে গ্লাসগো শহরে জন্মেছিলেন, মারা গেছেন ১৯৭৬-এ, লণ্ডনে। খোঁড়াখুঁড়ি করেছেন পৃথিবীর নানা জায়গায়, আমাদের রাখালবাবুর খুঁজে বের করা মহেঞ্জোদাড়োতেও। হুইলার সাহেব আবিষ্কার করেন যে এক্সকাভেশন সাইটকে কতগুলি ত্রিমাত্রিক গ্রিড বা খোপে ভাগ করে নিলে সুবিধা হয় খননকার্যের। ভারতে এখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেনে চলা হয় এই হুলারিয়ান গ্রিড মেথড। এই পদ্ধতিতে খোঁড়াখুঁড়ির সময় ভাগ করা খোপগুলির কোণায় কোণায় পোঁতা হয় কয়েকটি খুঁটি বা পেগ। সেইরকম পেগ-ই দেখেছিলাম আমরা চন্দ্ররাজার ঢিবির ওপর।

    চন্দ্রকেতুগড় থেকে ফিরে এসে যখন ভারতীয় পুরাতঙ্কÄ সর্বেক্ষণের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তাঁরা জানান যে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ এক্সকাভেশানের কাজ শুরু হয়েছিল ওখানে। বর্ষা নামার পর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি এ এস আই-ও তাদের ইচ্ছেমত যে কোনো জায়গা হঠাৎ খুঁড়তে শুরু করতে পারে না। তার জন্য তাদের অনুমতি নিতে হয় সে¸ট্রাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড অব আর্কিওলজি বা CABA-র কাছ থেকে। সেপ্টেম্বর থেকে সেপ্টেম্বর -- এই এক বছর সময়ের জন্য পার্মিশন দেওয়া হয়। বর্ষার পর-পরই নাকি সবচেয়ে ভালো হয় এক্সকাভেশানের কাজ। সে কারণে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এই দু মাস খুব ইম্পর্ট্যাণ্ট। কিন্তু এ বছরে সেপ্টেম্বর থেকে খোঁড়া শুরু করার জন্য কলকাতার এ এস আই কর্তৃপক্ষ এখনও কাবা-র কাছে চিঠি লিখে উঠতে পারেন নি। সোমবার দুপুরেও কথা বললাম চন্দ্রকেতুগড়ের কাস্টডিয়ান তপনজ্যোতি বৈদ্যর সঙ্গে। বললেন বর্ষার আগে পর্যন্ত ঢিবির ওপর খানিকটা খোঁড়াখুঁড়ি করে পলিথিন চাপা দিয়ে রেখে আসা হয়েছে, দেখা যাক, আবার কবে কাজ শুরু করা যায়। দেখা যাক। সব মিলিয়ে বোধ হয় মাস চারেক কাজ হয়েছে এ বছর। এই টইতেই দেখছি DB লিখেছেন কাজ যখন চলছে সে সময়ে তিনি গিয়েছিলেন ওখানে। কাছাকাছি ঘেঁষতে পারেননি। কিসের এত সতর্কতা কে জানে। এখন তো দেখলাম খোঁড়া জায়গাটুকু পড়ে রয়েছে সর্বসাধারণের জন্য, উন্মুক্ত।

    ঢিবির ওপর দিয়ে আরও খানিকটা এগিয়ে ডানহাতে পুরোনো যে এক্সকাভেশন স্পটটা দেখেছিলাম আমরা, তারও কোণায় কোণায় গ্রিড-পয়েন্টিং পেগ ছিল। সেগুলো কিন্তু লোহার নয়, কংক্রীটের। ঐ জায়গা থেকেই নাকি পাওয়া গিয়েছিল কঙ্কাল। সে ঘটনা বছর দুই আগের বলে আমি আগে লিখেছি, কিন্তু পুরোনো খবরের কাগজে দেখছি দু বছর নয়, এগারো বছর আগে পাওয়া গিয়েছিল কঙ্কালগুলো। তাদের কি গতি হল খোঁজ করে দেখতে হবে। ২০০০ সালের ২রা মে তারিখের টাইমস অব ইণ্ডিয়ার এক টুকরো খবর এখানে পাচ্ছি:

    BASIRHAT, West Bengal: Three human skeletons were unearthed along with several antiquities during recent excavations at Chandraketugarh near Berachapa, about 20 km west from here in North 24 Parganas. The ongoing excavations in two of the three marked zones of the area were being conducted by a team led by Bimal Banerjee, the head of...

    লিঙ্ক: http://article.wn.com/view/2000/05/02/Exhumed_skeletons_to_throw_light_on_Bengals_history/

    পুরো খবরের লিঙ্কটা কিছুতেই খুলছে না।

    ইউ এন আই-ও এই খবর প্রকাশ করেছিল দেখতে পাচ্ছি। ট্রিবিউন পত্রিকার লিঙ্কে:

    Human skeletons, fossils excavated
    BASIRHAT (West Bengal): Three human skeletons were unearthed along with several antiquities during recent excavations at Chandraketugarh near Berachapa, about 20 km west from here, in North 24 Parganas. The recent finding of human skeletons along with some fossils and pieces of ornaments and broken utensils could throw more light on ancient history of the area dating back to a few centuries BC, said Mr Bimal Banerjee, head of excavation of the Archaeological Survey on India. — UNI


    লিঙ্ক: http://www.tribuneindia.com/2000/20000502/nation.htm
  • achintyarup | 59.93.243.212 | ২৩ আগস্ট ২০১১ ০৬:০১483608
  • উ:, কি টাইপো।

    *ঢিবির ওপরের পথ দিয়ে...

    *চৌকো করে কাটা গর্তটা দেখে
  • achintyarup | 59.93.243.212 | ২৩ আগস্ট ২০১১ ০৬:০৪483609
  • উ:, কি টাইপো।

    *ঢিবির ওপরের পথ দিয়ে...

    *চৌকো করে কাটা গর্তটা দেখে
  • gandhi | 203.110.243.22 | ২৩ আগস্ট ২০১১ ১৪:৩৫483610
  • অচিন্ত্যদা ,

    ওখানকার একজন বাসিন্দা বলল ঐ গর্ততায় কয়েকমাস আগে ওরা জৈব সার বানিয়েছে... তাই বললাম....

    কঙ্কাল নিয়ে একট প্রশ্ন আছে... কঙ্কাল মাটির নিচে কি এতবছর থাকতে পারে??? নাকি কঙ্কালটা রিসেন্ট ???

    আর তপনবাবুর (তপন মৈতে) থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী এই বছর অক্টোবর নাগাদ আবার এক্সকাভেশানের কাজ হবে ....

    .. স্থানীয় লোকের কাছে আরো একটা ভার্সন শুনলাম ঐ পীর-চন্দ্রকেতু নিয়ে... সেটা পরে লিখব....

  • achintyarup | 121.241.214.34 | ২৪ আগস্ট ২০১১ ১৮:৫৭483611
  • জৈব সারের কথাটা মনে হয় রসিকতা।

    তপন মৈতে কে?

    পীরের অন্য গল্পটা দিয়েই দাও না বাপু, পড়ি।
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ২৪ আগস্ট ২০১১ ২০:৩২483613
  • ইনি দিলীপ মৈতে, তপন নন। এঁয়ার বাড়িতে আমি গেছি।
  • gandhi | 203.110.243.22 | ২৪ আগস্ট ২০১১ ২৩:৪১483614
  • সরি সরি .... ওটা দিলীপ মৈতে হবে....
  • achintyarup | 59.93.244.20 | ২৫ আগস্ট ২০১১ ০৫:১১483615
  • মাত্র একশো বছর

    ধরুন জায়গাটার বয়স আড়াই হাজার বছর, কিম্বা দু হাজার ছশো অথবা দু হাজার পাঁচশো পঞ্চাশ। তার তুলনায় একশোটা বছর কি এমন কিছু বেশি? তাহলে এই আধুনিক কালে চন্দ্রকেতুগড় প্রত্নক্ষেত্র হিসাবে আবিষ্কৃত হওয়ার পর ভারতীয় পুরাতঙ্কÄ সর্বেক্ষণ সেখানে খননকার্য শুরু করতে মোটামুটি একশো বছর সময় নিল, তাতে খুব একটা ভ্রূকুঞ্চনের কারণ আছে বলে তো মনে হয় না। আর যে গতিতে কাজ চলছে সে ভাবে চললে আরও শ খানেক বছর কেটে যাওয়ার পরেও কাজ খুব একটা এগোবে কিনা সে বিষয়ে ঘোরতর সন্দেহের কারণ আছে। তবে একট যুক্তি দেওয়া যেতে পারে, একশো বছর পরে প্রত্নবস্তুগুলি আরও এক শতাব্দী প্রাচীন হবে এবং তাদের পুরাতাঙ্কিÄক গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।

    বিশ শতকের একেবারে গোড়ার দিকেই পণ্ডিতদের নজরে এসেছিল এই জায়গা। কখনো পুকুর কি খাল কি কুয়ো কি ঘরের ভিত খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে চমৎকার মূর্তি, পোড়ামাটির ফলক, পুঁতি কি অন্যকিছু। সব সময় বিশেষ খুঁড়তেও হয়নি। বর্ষর পরে মাটির ওপরেই পাওয়া গেছে অনেক পুরোনো জিনিস। এই বেড়াচাঁপা অঞ্চলেরই মানুষ ছিলেন তারকনাথ ঘোষ। ভদ্দরলোকের মনে হল এজায়গার খবর সরকারকে জানানো দরকার। অনেক উৎসাহ নিয়ে সরকারি অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন ঘোষবাবু। এ হল গিয়ে ১৯০৬ সালের কথা। তো সরকারি ব্যাপার তো, সর্বদাই একটু ঢিমে তালে চলে। খবর পাওয়ার বছরখানেক পর আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়ার অফিসার এ এচ লংহার্স্ট সরেজমিনে দেখতে গেলেন বেড়াচাঁপা-দেউলিয়ার ধ্বংসস্তূপ। দেখে টেখে এসে সায়েব জানালেন, হ্যাঁ, ওখানে কিছু পুরোনো ইঁট-টিট পাওয়া যায় বটে, একেক খানা ইঁট পনের ইঞ্চি বাই এগারো ইঞ্চি, কিছু ছাঁচে গড়া ইঁটও পাওয়া যায়, সে সবও পুরোনো দিনেরই হবে, কিন্তু খুব একটা ইণ্টারেস্টিং বিশেষ কিছু নেই ওখানে (the ruins are of little or no interest)। তার বছর দুয়েক পর উঠতি ইতিহাসবিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় গেলেন জায়গাটা দেখতে, আরও দুয়েকজন পণ্ডিতও গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে। তাঁরা কি দেখেছিলেন সে কথা আগে একটু লিখেছি। তারও দু বছর পর, ১৯১১ সালে, নগেন্দ্রনাথ বসু ছয়খানা ঢালাই তামার মুদ্রা সংগ্রহ করে নিয়ে এলেন বেড়াচাঁপা থেকে। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের মিউজিয়ামে জমা দিলেন সেগুলো। কিছুদিনের মধ্যে আরও কিছু জিনিস জমা পড়ল সাহিত্য পরিষদে। রাখালবাবু তখন ছিলেন সেখানকার অ্যাসিস্ট্যাণ্ট সেক্রেটারি। পরিষদের খাতায় সংগৃহীত পুরাবস্তুগুলোর একটা তালিকা তৈরি করলেন তিনি। তালিকাটা এইরকম:

    ""Specimens from Chandra Ketu's garh''
    Berachampa, Dist. 24-Parganas

    * Fragment of a silver vessel

    * Fragment of a copper-jar badly eroded

    * Terracotta plaque representing reeds tied with three bands

    * Terracotta plaque bearing lower part of the legs of a woman, wearing anklets

    * Steatite seal bearing the letter ma of the Northern Brahmi alphabet of the 2nd or 3rd century BC

    * Terracotta spire of roof

    *Terracotta spindle-whorl

    * Terracotta spindle-whorl

    *Fragment from the front part of a terracotta figure of lamb


    ১৩৩০ বঙ্গাব্দে রাখালদাস চন্দ্রকেতুগড় বিষয়ে বাংলায় একটি প্রবন্ধ লিখলেন মাসিক বসুমতী পত্রিকায়। ১৯২০ থেকে শুরু করে ১৯৩০-এর দশক পর্যন্ত চব্বিশ পরগণার প্রত্নোৎসাহী কালিদাস দত্ত বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ লিখলেন বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়। তাঁরই উৎসাহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতাঙ্কিÄক কুঞ্জগোবিন্দ গোস্বামী, দেবপ্রসাদ ঘোষ এবং কল্যাণ কুমার গাঙ্গুলী ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে চন্দ্রকেতুগড় এক্সপ্লোরেশন করলেন। তারপর ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি পরেশ চন্দ্র দাশগুপ্ত গিয়ে ঘুরে ঘুরে খুঁটিয়ে দেখলেন জায়গাটা। অবশেষে ১৯৫৬ সালে ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু হল চন্দ্রকেতুগড়ে। তারকনাথবাবু সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার ঠিক পঞ্চাশ বছর পরে। তারপরেও একটানা না হলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ মিউজিয়াম খননকাজ চালিয়ে গেছে ১৯৬৭ পর্যন্ত। তার পর বিংশ শতাব্দীতে চন্দ্রকেতুগড়ে খোঁড়াখুঁড়ি আর প্রায় হয়নি।

    এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল, এ যাবৎ চন্দ্রকেতুগড়ে যেটুকু খননকার্য হয়েছে তার প্রায় সবটাই করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

    বিশ শতকের একেবারে শেষের দিকে কিছু কাজ শুরু করেছিল এ এস আই, কয়েক মাস চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। মাঝে মধ্যে যেমন যেমন পয়সা, অনুমতি এবং উৎসাহ মিলেছে, টুকটাক হয়েছে কিছু খোঁড়াখুঁড়ি। কিন্তু গত বিশ বছরের মধ্যে সব মিলিয়ে এক বছরও কাজ হয়েছে কিনা সন্দেহ।
  • achintyarup | 59.93.242.155 | ২৬ আগস্ট ২০১১ ০৫:৪৮483616
  • সংবাদিক সাংঘাতিক

    বেড়াচাঁপার মোড় থেকে সোজা দক্ষিণ দিকে চলে যাচ্ছে যে রাস্তা তার নাম বেড়াচাঁপা-হাড়োয়া রোড। মোড় থেকে রওয়ানা হয়ে সেই রাস্তা ধরে দেড় কিলোমিটার-টাক এগোলে দেখা যাবে বাঁ হাতে কোনাকুনি ঢুকে গেছে একটা কাঁচা মাটির পথ। যদি গড়ে পৌঁছতে চান, ঐ পথ দিয়েই আরও ছ-সাতশো মিটার যেতে হবে আপনাকে। বাঁদিকে একটানা ঝোপঝাড়-সঙ্কুলিত ঝিল্লিমন্দ্রিত ঢিপি ঢিপি ঢিপি। সেই ঢিপি ঢিপি ভাবটা যেখানে শেষ হবে সেই জায়গায় হল গড়ের সিংহদুয়ার।

    কাঁচা রাস্তাটার ঠিক মুখের কাছে ডানদিকে একখানা নীল বোর্ড লাগানো আছে। তাতে লেখা চন্দ্রকেতুগড়। কিন্তু ভাল করে নজর না রাখলে জায়গাটা পেরিয়ে চলে যেতে পারেন। অন্তত আমরা তাই গিয়েছিলাম। পরে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে আবার ঠিক পথে ফিরি এবং টিলায় গিয়ে উঠি।

    গড়ে ঘোরাঘুরি করি, পুরোনো খোলামকুচি কুড়োই, ইঁতের টুকরো ব্যাগে ভরি, ছেলেদের সঙ্গে পুঁতি নিয়ে দরদাম করি, কিন্তু সেই দেওয়ালটা তো দেখতে পাই না। ইণ্টারনেটে চন্দ্রকেতুগড়ের ছবি খুঁজতে গিয়ে বারবারই টান লম্বা দেওয়ালের ছবি চোখে পড়েছে। সেরকম কিছু তো এখানে দেখি না। সে কি তাহলে এখানে নয়? একটু হতাশ হই মনে মনে। একজন পাটচাষিকে জিগ্যেস করি এখানে মাটির তলা থেকে দেওয়াল টেওয়াল পাওয়া গিয়েছিল না? সে সব কোথায়? জবাব আসে -- সে তো আবার মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছে। চাষের জমি ছিল তো। আরও হতাশ হই। খানিক পরে আর একজনকে জিগ্যেস করি। সে বলে ও, রাজার বাড়ির কথা বলছেন? সে দেখতে গেলে আপনাকে ঐ বেড়াচাঁপার মোড় থেকে উত্তর দিকে যেতে হবে। ঐখানে রাজার বাড়ি আছে। এটা ছিল রাজার গড়, আর ঐটা ছিল রাজার বাড়ি। বোঝা গেল এই ঢিবিটা ছাড়া আরও একটা দর্শনীয় জায়গা আছে এখানে। (লেখাপড়া না করলে এমনিই হয়।)

    তারপর পুঁতি নিয়ে দরদাম, তারপর বৃষ্টি, তারপর ঢিবি পেছনে রেখে বড় রাস্তার দিকে ফেরা। ফিরতির সময় ছোট পথ আর বড় রাস্তার মোহনায় ডানদিকে গুটি দুই দোকান। একটা পান-বিড়ি বিক্কিরি হচ্ছে, আরেকটায় চা-বিস্কুট-পাঁউরুটি। তেষ্টা ছিল না, তাও চায়ের দোকানটায় গিয়ে ঢুকি। চায়ের দোকানে খানিক আড্ডা জমালে টুকিটাকি অনেক জরুরী খবর পাওয়া যায়, এ আমার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান।

    দোকানের ঢালু চালা থেকে তখনো টপ টপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে। যেখানে পড়ছে, দোকানের সামনে সে জায়গাটায় সরু একটা নালা মত হয়ে গেছে। টলটলে জলের নিচে ভেজা মিহি বালির দানা চিক চিক করছে সেখানে। এখানে মাটিতে বালির ভাগ একটু যেন বেশী।

    দু একজন বয়স্ক লোক আর গুটি তিন চার ছোকরা বসে ছিল দোকানে। নিজেদের মধ্যে গুলতানি করছিল। অচেনা শহুরে লোক দেখে কয়েক মুহূর্ত একটু থমকে গেল আড্ডা, তারপর আবার চলতে থাকল আগের মত। চায়ের অর্ডার দিই। বিস্কুট খাব না জানিয়ে দিই, কথাবার্তা শুনতে থাকি। আলাপ জমাতে চেষ্টা করি আড্ডাধারীদের সঙ্গে। এটা-ওটা দু একটা কথার পর জিগ্যেস করি, এখানে নাকি মাটির তলা থেকে অনেক পুরোনো জিনিস পাওয়া যায়। না না, সে যেত এক সময়, এখন আর যায় না। কারও কাছে আছে সে সব? কোথাও গেলে দেখা যায়? জানি সে সব জিনিসের অনেক দাম, কিনতে তো পারব না, যদি একবার চোখের দেখা দেখা যায়। চোখে চোখে কথা চালাচালি হয়। একজন বলে, না না, এখন আর সে কোথায় দেখতে পাবেন? তারই মধ্যে অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলে কথা বলে স্পষ্টবক্তা একটি ছেলে। বলে, দেখুন, জিনিস পাওয়া যায় এখানে মাটির তলা থেকে। প্রায় যে কোনো জায়গায় খুঁড়লেই পাওয়া যায়। এবং যেরকম পুতুল-টুতুল আপনি দেখতে চাইছেন সে রকম জিনিস এখানকার প্রত্যেকটা বাড়িতে আছে। কিন্তু কেউ দেখাবে না আপনাকে। আমিও দেখাব না। একমাত্র যদি আপনি কলকাতা কি দিল্লি থেকে যোগাযোগ করে আসেন, তাহলেই দেখতে পাবেন। আগে লোকে দেখাত। কিন্তু কয়েক বছর আগে একবার কয়েকজন সংবাদিক এসেছিল, তারা পুতুল-টুতুল দেখে ছবি-টবি তুলে নিয়ে গেল। তখন তো কেউ জানেনি যে তারা সংবাদিক। তারপর খবরকাগজে লেখা-টেখা বেরোলো আর পুলিশ এসে কয়েকজনকে তুলে নিয়ে গেল। তারপর থেকে আর কেউ ওসব দেখাতে চায় না সহজে। কে রিক্স নেবে বলুন।

    কিন্তু কোলকাত কি দিল্লির থেকে যোগাযোগ নিয়ে যারা আসে তারা তো কেনে? হ্যাঁ, তারা কেনে। আসলে এখানকারই আশেপাশের দু তিন জন লোক আছে তারাই গ্রামের লোকেদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যায়, তারা নিয়ে গিয়ে কলকাতার কি দিল্লির লোকে দের কাছে বিক্রি করে।

    চা খাওয়া শেষ। দাম মিটিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে আসি।
  • gandhi | 203.110.243.22 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ১২:৫৪483617
  • এই টইটা কি অচিন্ত্যদা ভুলে গেলে /????
  • gandhi | 203.110.243.22 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ১৬:২৯483619
  • কদিন আগে আমরা ৩ বন্ধু মিলে চন্দ্রকেতুগড়.. ঘুরে এসেছি... এই টই পরে উত্‌সাহিত হয়ে যাওয়া... তা সেখানকার একজন এর কাছে শোনা গড়ের গল্প আগের গল্পের থেকে একটু আলাদা....

    গড়ের লাগোয়া গ্রামের জনৈক মহ: কবিরুল মণ্ডলের থেকে শোনা চন্দ্রকেতুগরের গল্পের অন্য এক ভার্সন ..... যার অনেকটাই অচিন্ত্যদার গল্প এবং দিলীপ মৈতের গল্পের সাথে মেলে... আবার অনেকটাই মেলেনা... মোটামুটি জিনিসটা এক ই ......

    " অনেক বছর আগে এক রাজা ছিল | রাজার নাম চন্দ্রকেতু, তার নামেই নগরের নাম চন্দ্রকেতুগড় | নগরের একদিক দিয়ে বয়ে চলেছে পদ্মা নদী (বেড়াচাঁপার একটু পূর্বে বয়ে চলা একটি খালকে ওখানকার লোকে বলে পদ্মা... যে গিয়ে বিদ্যাধরিতে মিশেছে... ) ... মোটামুটি শান্ত একটি নগর... হঠাতই নগরে উদয় হয় এক সমস্যার |

    নগরে একদিন এসে উপস্থিত হলেন এক পীর, তার নাম সৈয়দ আব্বাস আলী .... তিনি রাজার কাছে চাইলেন এক চামড়া জায়গা.. রাজা ভাবলেন, এ আর এমনকি .. থাকুক এক চামড়া জায়গা নিয়ে... রাজা বললেন, " বেছে নাও তোমার জায়গা ... "

    পীর সেই একটা চামড়াকে কেটে ফেললেন অনেক টুকরোতে এবং সেই টুকরো দিয়ে ঘিরে ফেললেন অনেকটা অঞ্চল | রাজা প্রমাদ গুনলেন, এতটা জমি তো দেওয়া যায়না ... রাজা সেই জমি দিতে অস্বীকার করলেন .... পীরের সাথে মনোমালিন্য শুরু হলো.... "
  • gandhi | 203.110.243.22 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ১৬:৩০483620
  • এর পরের অংশটা একটু ঘাঁটা ... মানে জনশ্রুতিতে চলতে চলতে পাল্টাতে পাল্টাতে এখন একেবারে সাল-তারিখ ঘেটে কেলেঙ্কারী যাকে বলে আরকি .... তো সেই অংশটা লিখছি এবার .....

    " পীর করলো মামলা... মামলা হলো আলিপুরে (আমি জানিনা এটা কোত্থেকে ভেবেছে :( ... কোনো এক বড় রাজার কাছে হলে সেটা তাও বিশ্বাসযোগ্য হত.... ) সেই মামলা চলাকালীন আরো কিছু ঘটনা ঘটে রাজা আর পীরের মধ্যে .... রাজার বনের নাম ছিল গঙ্গাদেবী ... তিনি আসছিলেন রাজার ছেলের মুখেভাতে খাওয়া-দাওয়া করতে.... আসার পথে বেলিয়াঘাটা খাল পেরোনোর পর তার সাথে দেখা হয় গোরাচাঁদ পীরের (পীরের আরেক নাম গোরাচাঁদ , অচিন্ত্যদা লিখেছেন আগেই) .... রাজা যাতে আরো দুর্বল হয়ে পরেন, সেই কারণে পীর গঙ্গাদেবী মিথ্যা বলেন... তিনি বলেন, "রাজার মতিভ্রম হয়েছে ... সেই কারণে ছেলের মুখেভাতে মাংস রান্না হয়েছে.... " এই কথা শুনে গঙ্গাদেবী সেখান থেকেই ফিরে যান ... তাই সেই জায়গার নাম দেগঙ্গা (এখানকার জ্ঞানী-গুনীরা মারধর করবেননা.... এসব ভুলভাল লেখার জন্য :( ).... তো রাজা আরো দুর্বল হয়ে পরেন...

    এরপর মামলার ডেট পড়ে... রাজা সকালে যখন ঘরে চরে বেরোবেন ... তখন সেই হিন্দী সিনেমার কাসেতা হয়.... (এই পার্টটা অচিন্ত্যদা ফাটাফাটি লিখেছে :) পুরো করণ জহর :P ).... যাই হোক ... তো রাজা পাখিটা কে কাধে নিয়ে বেরোলেন.... আদালতে দেখা হলো পীরের সাথে.... পীর তো ম্যাজিসিওন ??? ও সবই জানে... তাই রাজা কে বললেন , "আপনার পাখিটা উড়তে পারে??" রাজা বললেন, "অবস্যই " | তখন পীর বললেন, "কোথায় ওড়ে ??? সারাক্ষণ তো আপনার কাঁধে চেপে এসেছে... " | রাজা উঠে গেলেন বাড়ে, "দেখ কেমন ওড়ে" ... ছেড়ে দিলেন পাখি... পাখি উড়তে উড়তে চলে এলো রানীর কাছে... তারপর তো রানীর ডুবে যাওয়ার গপ্প.... আর রাজার আদালতে মন খারাপ... রাজা গেল হেরে.... হলো বন্দী.... "

    হামা-দাম র গল্পটা সেম...

    রানীর ডুবে যাওয়ার পর রাজাও সেখানে ডুবে যান.... এই নিয়ে চন্দ্রকেতুগড়-এ কিছু গল্প প্রচলিত আছে....

    সাধারণ মানুসের বিশ্বাসে ওখানে গড়ের তলায় আছে একটা মস্ত বড় সোনার নৌকা ... আর তাতে বসে আছে এক বিশাল সোনার সাপ.... (কিন্তু সেগুলো খুব ই পবিত্র জিনিস... ) সেই সাপ বছরে একদিন ই বাইরে বের হয়... সেইদিন টা কদিন আগে চলে গেল ........ রমজান মাসের সাতাশতম দিন..... সেইদিন যে খুব ভালো ..... ধার্মিক... সে খালি সেই সাপের কিছু অংশ দেখতে পায়....... সাপের মাথা দেখা যায়না..... (গল্পটা খাজা হলেও এর একটা পসিটিভ পইন্ট আছে..) সেটা হলো.... এই কারণের ঐ গড়ের এলাকাতে কেউ কখনো কোনো সাপকে মারেনা.... এবং ঐ গড় খুব পবিত্র বলে ঐ গড় কেউ খোঁড়া-খুঁড়ি করেনা....বর্ষায় মাটি সরে গিয়ে যা পাওয়া যায় তাই নিয়েই ওরা খুশি......

  • gandhi | 203.110.243.22 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ১৯:০০483621
  • কয়েকটা টাইপো আছে.... " রাজা ঘোড়া চড়ে " আর ... "সিনেমা র মত"
  • kb | 203.110.246.230 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ২০:৪৩483622
  • গান্ধী একটু শুধরে দিই।

    রাজার ছেলের ভাতে নিষিদ্ধ মাংস রান্না হয়েছিল বলা হয়।

    আর রাজার পুত্র বধুর সাথে পীরের যাদুর লড়ায়ের গপ্পোটাও বলে দাও।।।।।।।।।
  • achintyarup | 14.99.224.166 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৪:১৫483623
  • সে গল্পটা শোনান না একটু
  • gandhi | 203.110.246.25 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:৫৬483624
  • কোনো এক সময়... ইতিহাস জানিনে.... পীরের সাথে রাজামশাইয়ের ছেলের বউ-এর বাজি হয়... রাজা চন্দ্রকেতুর বৌমা ও নাকি ছিলেন একজন জাদুকর .... পীর তো জাদুকর হিসেবে খুব ই বিখ্যাত.... তো ওদের দুজনের জাদুর লড়াই হবে....

    জাদুর লড়াইয়ে শর্ত হলো--- পীর চন্দ্রকেতুগড়ের প্রাচীরে ( বা বেড়ায়) চাঁপাফুল ফোটাবেন এবং রাজার বৌমা অমাবস্যার দিন দুখানা চাঁদ দেখাবেন.... (প্রথমটা বেশি ইজি ছিল... আমার মতে... ).. তো বাজি শুরু হলো.... বৌমা দুখানা চাঁদ বহুকষ্ট করে দেখালেন এবং তারপর সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মারা গেলেন... আর পীর বেড়াতে চাঁপা ফুল ফোটালেন... ব্যাস... পীর জয়ী...

    তারপর থেকে সেই জায়গার ও নাম হলো " বেড়াচাঁপা " ....

    দুই রাক্ষস . আকানন্দ আর বাঁকানন্দ নিয়ে ও একটা গল্প আছে.... সেটা আবার পরে লিখব....
  • pi | 128.231.22.133 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৪৩483625
  • দুটো চাঁদ খুব সোজা। আমি সেদিন তিনটে সূর্য দেখেছি। ছবি দিয়ে দেবো খন।
  • gandhi | 203.110.243.21 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:৫০483626
  • পাই দিদি

    ছবি দেখবনা... কি করে দেখা যাবে বল... আমি দেখব...
  • nk | 151.141.84.194 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:৫৮483627
  • দর্শকদের সবাইকে গণ সম্মোহন(ভালো স্কচ বা ভদকা হলেই হবে :-) )করিয়ে নিলে দুটো কেন পাঁচটা করে চাঁদ দেখানো যাবে। :-)
    কিন্তু গান্ধী, প্লীজ আকানন্দ আর বাঁকানন্দের গপ্পোটা কন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন