এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ৭০ দশকে ভারত-সোভিয়েৎ রাশিয়ার ""বন্ধুত্ব""এর স্বরূপ

    kallol
    অন্যান্য | ২৩ জুলাই ২০১১ | ৭১৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 115.184.108.5 | ২৩ জুলাই ২০১১ ১৫:৫৩483783
  • সোভিয়েৎ রাশিয়া ভারতের মিত্র।
    কারণ ১) সে ভারত কে ঋণ দেয়, ২) সে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য করে, ৩) সে ভারতের শিল্পোন্নয়নে বিনিয়োগ করে।
    এইভাবে সোভিয়েৎ রাশিয়া ভারতকে সাহায্য করে চলেছে।
    ১৯৭১-৭২ সালে ভারতে
    মোট বৈদেশিক ঋণ ১১০৯৬.২ কোটি টাকা
    সোভিয়েৎ ইউনিয়ানের দেওয়া ঋণ ৮৯২.৭ কোটি টাকা

    রাশিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী কোন উদ্যোগ বা শিল্প সংস্থা স্থাপিত হলে তবেই ঋণ দেওয়া হয়। এই ধরনের ঋণকে বলে নির্দিষ্ট প্রকল্পভিত্তিক ঋণ।

    এই সব প্রকল্পের গোড়া পত্তন থেকে শুরু করে যন্ত্রপাতি উৎপাদন, কাঁচামাল সরবরাহ, নকশা, যন্ত্রপাতি সরবরাহ, বিনিয়োগ, শিল্পের স্থান নির্বাচন, বন্টন এবং পরিচালনা ব্যবস্থা পর্যন্ত সমস্তটাতেই ঋণদানকারী দেশের কতৃত্ব বজায় থাকে।

    ঋণের টাকায় শিল্প নির্মানের জন্য যাবতীয় দ্রব্য ও যন্ত্রপাতি রাশিয়া থেকেই আমদানী করতে হয়।

    এই ঋণ শোধ করতে হয় রাশিয়ায় পণ্য পাঠিয়ে। অধিকাংশ পণ্যই ভারতের মূল্যবান কাঁচামাল।

    এই আমদানী-রপ্তানীর ফলে ভারতের রপ্তানী বেশী হলে সেই উদ্বৃত্ত রপ্তানীর মূল্য দিয়ে রাশিয়া থেকেই পণ্য আমদানী করে আমদানী=রপ্তানী করে ফেলতে হয়। উল্টোটা হলে রাশিয়ার কোন দায় বর্তায় না।

    এছড়া রাশিয়া ভারতের থেকে সুদ নেয়।
    ১৯৬৭-৬৮ ভারত সুদ দিয়েছে ৫৩০ মিলিয়ন টাকা
    ১৯৭২ ভারত সুদ দিয়েছে ৬০০ মিলিয়ন টাকা
    রাশিয়ার সুদের হার কম। গড় হার ২.৫%
    আমেরিকার সুদের গড় হার ৩.১%
    কিন্তু ঋণ পরিশোধের সময় - রাশিয়া ১২ বছর, আমেরিকা ৩৩ বছর।
    ভারতের পক্ষে এতো অল্প সময়ে ধার শোধ করা সম্ভব হয় না। তাই, প্রতি বছর রাশিয়া আবারও ধার দেয় পুরোনো ধার শোধের জন্য।
    ১৯৭১-৭২ রাশিয়া ধার দিয়েছে ২২৩,৫০০,০০০ রুবল। ভারত পুরোনো ধার সুদে আসলে শোধ দিয়েছে ৪০৯,১০০,০০০ রুবল।
    (আরও আছে)
  • kallol | 115.184.108.5 | ২৩ জুলাই ২০১১ ১৬:১১483856
  • রাশিয়া ভারত থেকে পণ্য কেনে আন্তর্জাতিক বাজারদরের চেয়ে কমে।
    ১৯৭২এর এক চুক্তি বলে রাশিয়া ৩ বছর ধরে ভিলাই থেকে লোহা নেবে বাজার দরের চেয়ে ১০% থেকে ২০% কম দামে।

    ভারত অমেরিকাকে চিনি বেচে ৬০ পয়সা কিলো। রাশিয়া কেনে ৪২ পয়সায়।

    ১৯৬৮ সালে পাট শিল্পের মন্দার সুযোগে রাশিয়ায় রপ্তানী শুল্ক প্রতি গাঁঠে ৩০% কমাতে বাধ্য করে।

    ১৯৭৩এ রাশিয়ার চাপে ভারতকে হেসিয়ান চটের দাম কমাতে হয়ছে। যখন বিকল্পের অভাবের ফলে দাম বাড়তে পারতো।

    ১৯৬৯এ রাশিয়াকে ৫৪০০০টি ৮৫ টন ওয়াগন সরবরাহের চুক্তি হয়। বরাত দেওয়া হয়, ব্রথওয়েট, ব্রিজ অ্যান্ড রুফ, ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ওয়াগন, বার্ণ, টেক্সম্যাকো ও জেশপকে। এই ওয়াগনগুলোকে শূণ্যের নীচে তাপমাত্রায় কর্মক্ষম থাকতে হবে, তাই ভারতকে বিশেষ শক্তি সম্পন্ন ইস্পাত কিনতে হলো ডলারের অঙ্কে। অর্থাৎ রাশিয়ার ডলারের সমস্যা ভরতের ঘাড়ে চালান হলো। এই ওয়াগনগুলোর উৎপাদন ব্যায় যেখনে ৪০,০০০ টাকা, সেখানে রাশিয়া দাম দিয়েছে ২০,০০০ টাকা। বাকিটা ভারত সরকার ভর্তুকি দিয়েছে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে।
    (আরও আছে)

  • kallol | 115.184.108.5 | ২৩ জুলাই ২০১১ ১৬:৫৭483867
  • রাশিয়া ভারতকে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে বেশী দামে পণ্য বেচে।

    ইউরোপীয় বাজারে ১ টন নিকেলের দাম ১৫,০০০ টাকা। রাশিয়া ভারতকে বেচে ৩০,০০০ টাকা টন।
    পূর্ব ইউরোপীয় দেশে রাশিয়া যে দামে ট্রাক্টারের যন্ত্রাংশ বেচে, ভারতকে বেচে তার ৩ গুণ দামে।

    ১৯৭৪এ রাশিয়া ভারতকে ১৯৭৩এর চাইতে ৪ গুণ বেশী দরে কেরসিন বেচেছে।

    রাশিয়া ভারতকে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে ২ বা ৩ ডলারের বেশী দামে নিউজ প্রিন্ট বিক্রি করে।

    ১৯৬৫ সালে টাকার অবমূল্যায়নের পর রাশিয়া তার সমস্ত জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়, আর ভারতীয় জিনিসের দাম কমিয়ে দেয়। অথচ ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য প্রধানত টাকার অঙ্কে হয়। বিদেশী মুদ্রার প্রশ্নই নেই। তাই ভারত আপত্তি করে। রাশিয়া তাতে কানই দেয় নি।
    (আরও আছে)

  • . | 121.245.105.10 | ২৩ জুলাই ২০১১ ১৮:০০483878
  • http://www.saag.org/common/uploaded_files/paper2111.html
    "The close ties of friendship, cooperation, mutual trust and understanding have deep roots. This is no mere rhetoric because India has received, earlier from the Soviet Union and thereafter from its successor state Russia, extremely valuable political, diplomatic and strategic support on vital issues affecting Indias national interests. At crucial times, it was this country that consistently stood by us in international forums on vital issues like Kashmir and other matters affecting our territorial integrity and sovereignty. It was Soviet diplomatic backing and material support, and the confidence provided by the Indo-Soviet Treaty of Peace, Friendship and Cooperation, which enabled us to successfully undertake the Bangladesh operations in 1971.

    This excellent political understanding was underpinned by a strong economic and strategic relationship reflected in the unmatched assistance India received from the Soviet Union/Russia in the development of our economy as well as in the sensitive areas of defence, space and atomic energy. India was offered cheap economic credits for infrastructure projects, gratefully accepted and repaid in rupees because we neither had the capital, nor the technological know-how to develop them on our own, nor the foreign exchange to pay for them; reliable, affordable and good quality military supplies, also on credit; and large-scale supply of crucial products like oil (mostly via a swap deal with Iraq), fertilizers, metals, etc. With steel magnate Lakshmi Mittal in the limelight today, few people may care to recall that Indias first steel plant, Bhilai, was set up with Soviet assistance after the West refused to do so, or that some of todays globally competitive public sector companies like BHEL, ONGC and HAL were set up with Soviet cooperation. In Soviet times it was a truly strategic, if somewhat unequal, partnership."


    এসব মনে হয় মিথ্যে কথা।

    লেখকের পরিচয় : Rajiv Sikri - recently retired as Secretary in the Ministry of External Affairs, New Delhi after more than 36 years service as a diplomat
  • kallol | 115.241.55.187 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২০:০২483889
  • সরকারী মানুষ, সরকারী ভাষ্য দেবেন। এতে আর নতুন কি আছে। অজস্র মিথ্যা যে কোন সরকার তার নিজের সাফাইয়ে বলে থাকে।
    এই যেমন মমতা বলছেন, সন্ত্রাস মোটেও হচ্ছে না। একটু আধটু অমন হয়েই থাকে। সেটা কি ? সত্যি না মিথ্যা?
  • kallol | 115.241.55.187 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২০:০৪483900
  • এই লেখার শেষ তথ্য সূত্রও দিয়ে দেবো। পারলে অন্য রকম অথ্য দেবেন আমার তথ্যগুলোকে ভুল প্রমাণ করে।
  • Sushanta Kar | 117.198.49.189 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২১:০৫483911
  • দারুণ তহ্যবহুল পোষ্ট দিলেন কল্লোল। রুশি সাম্রায্যবাদ ভারতে বৃটিশ সাম্রায্যবাদ থেকে কম কিছু ছিল না। তফাৎশুধু এই যে ওরা প্রত্যক্ষ ভারত শাসন করত না। কিন্তু ঋণ আর সাহয্যের ফাঁদে ভালৈ জটিয়েছিল এবং ভাতকে প্রায় ট্যাঁফো করতে দিত না। এই প্রসঙ্গে তাদের প্রবল তাত্বিক সহযোগী ছিল সিপিআই, এবং দুর্বল সহযোগী ছিল সিপিএম। তবে আমি যতদূর জানি সমস্ত রাশিয়া ভারতকে টাকার হিসেবে দিত, ভারতকে দিতে হতো রুবলের হিসেবে। হিসেবের গরমিলটা তাতেও বেড়ে যেত। টাকার দাম খুবই কম ছিল, রুবলের দাম প্রচুর। ভারতের সমস্ত ভারি শিল্পে বিনিয়োগতো ওদের ছিলই, তদারকিটাও ওদের হাতে রেখেছিল। আমরা ছোট বেলা রুশিদের খুব দেখতাম তেলের সন্ধান তদারকি করবার জন্যে অসমেও নিয়মিত যাতায়াত করতেন 'কমরেড'রা, দেখে সিমিএম সিপিয়াই ছাড়া আর কোনো মুর্খ বিপ্লবে উদ্বুব্দ হতো কিনা জানিনা। আমার মনে আছে তখন কাগজে দেখেছিলাম ভিলাইতে ওদের এক বড় আবাসিক অঞ্চল ছিল । সেখানে সবকিছুতেই ওদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। এবং এক প্রবল বর্ণ বৈষম্যও চালু করেছিল ওরা। যেমন ওদের বারে কোনো ভারতীয় যেতে পারত না, ওদের জন্যে থাকা সিনেমা থিয়েটার হলে কোনো ভারতীয় সাহেবেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তাইনা দেখে আলহাদে আটখানা বাঙালি বাবুরা তখন সোভিয়েত দেশের কোনো নিন্দেমন্দই শুনতে চাইতেন না। সোভিয়েত পতনে যে বাবুবা কমিউনিজমের পতন বলে চেঁচিয়েছে তারাই সোভিয়েত জমানাতে সোভিয়েত বেলের ভক্ত ছিল বেশি, বাড়িতে 'সোভিয়েত দেশ' কাগজ রাখাটা বাংলা দেশ পত্রিকার চেয়েও বেশি সম্মানের ছিল। আর বৈঠকখানাতে সোভিয়েতের রঙিন কেলেণ্ডার যে টানাতে পারল তার জাতই ছিল আলাদা। আমরা স্কুলে পড়বার দিনগুলোতে দেখতাম যে ছাত্র সোভিয়েত দেশের ছেঁড়া পাতাতে বইয়ের মলাট করে আনতে পেরেছে তার দিকে মাষ্টার মশাইরাও তাকাতেন বেশ সমীহ নিয়ে।
  • dd | 115.184.126.191 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২১:৩৯483922
  • কল্লোল তো খাসা লিখচে।

    তাবে রাশা না থাকলে কাশ্মীর ধরে রাখা কঠিন হতো। ইউ এনের সব রেজোলিউশনেই রাশা ভেটো দিতো।আর কেউ থাকতো না ইন্ডিয়ার পক্ষে।
  • siki | 122.162.75.8 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২১:৪৪483933
  • সুশান্তবাবু ছোটবেলা মনে করিয়ে দিলেন। সোভিয়েত নারী, সোভিয়েত দেশ, তাতে গল্প আর ক্রস স্টিচের কলাম। আর সেই পাঁচ বছরের মোটা সোভিয়েতের ক্যালেন্ডার। বাবা বা মায়ের যে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে ঐ ক্যালেন্ডার দেখতে পেতাম, তাদের সঙ্গেই যে কী একাত্ম বোধ করতাম, ক্ষী বলব! :-))

    ভালো বইয়ের মলাট হত ঐ কাগজে।
  • PT | 203.110.243.21 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২১:৫৮483784
  • তথ্য নিয়ে প্রশ্ন করার কিছু নেই কেননা সেগুলো বস্তাপচা এবং বহু চর্বিত। নকশালদের এইসব দেওয়াল-লিখন পড়তাম কৈশোরকালে।

    কিন্তু একুশ শতকে মার্ক্সবাদে বিশ্বাস হারিয়েছেন এমন কেউ যখন ১৯৭০-৮০-র দশকের চীন এবং নকশালদের মার্ক্সীয় দৃষ্টিভঙ্গী তথা সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের তত্বের আঙ্গিকে ভারত-রাশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু করেন তখন গোটা অলোচনাটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। এই ""গন্ধের"" কথা তো আগেই লিখেছিলাম।

    এবং এই আলোচনাটি প্রত্যাশিত ভাবেই ক্রমশ: আমেরিকাকে প্রায় দেবদূতের মত দেখতে লাগবে। বেশীর ভাগ প্রাক্তন নকশালদের যেমন সিপিএমের থেকে তৃণমূলকে বেশী পছন্দ - কতকটা সেইরকম আরকি!!
  • Arpan | 112.133.206.22 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২১:৫৯483795
  • সিকিকে ক। পুরো ছোটবেলা মনে করিয়ে দিলেন সুশান্তবাবু। :)
  • Bratin | 117.194.103.238 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২২:০৩483806
  • কল্লোল দা, ধন্যবাদ অনেক কিছু জানতে পারলাম।

    সেই সময় আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে একটু লেখো প্লিজ। আর স্বাধীনতার পর থেকে অন্য কোন দেশ কি তেমন ভাবে ভারত কে সাহায্য করেছিল?
  • siki | 122.162.75.8 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২২:১৪483817
  • পিটি। শেষ লাইনটা পছন্দ হল না।
  • PT | 203.110.243.21 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২২:৩০483828
  • শেষ লাইনটা গুরুতে অনেকেরই পছন্দ হবেনা - প্রত্যাশিত ছিল। তবে "সবাই" লিখিনি। শুধু তৃণমুলের কথা বলি কেন, আরো অনেক আগে ""কংশাল"" শব্দটা এমনি এমনি তৈরি হয়নি।
  • Arpan | 112.133.206.22 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২২:৪৪483839
  • আরেকটা মজার কথা মনে পড়ল। নব্বইতে সোভিয়েতের পতনের পরে বাজারে রুবলের দাম দ্রুত পড়তে থাকে। তখন রাশিয়ার চাপ ছিল ভারত যেন ডলারে দেনা মেটায়।
  • lcm | 69.236.169.213 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২৩:৪৮483853
  • এ আর নতুন কথা কি। যে কোনো দুটি ঋণ দাতা - গ্রহীতা র মধ্যে মোটামুটি এরকম সম্পর্ক।

    কথা হল, সেই সময় রাশিয়া যদি ঋণ না দিত, তাহলে কি হত। আর কি অপশন ছিল?
  • bb | 117.195.164.229 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২৩:৪৮483850
  • PT কে বড় হাতের ক। এই গুরুতেই কল্লোল থেকে আর ও অনেক প্রাক্তন নকশালের যা পরিবর্তন দেখেছি তাতে তারা আমেরিকারর পোষ্য বা সাহায্য পেয়ে থাকলেও আশ্চর্য হব না। ইতিহাসকে গুলিয়ে দিতে এদের অসাধ্য কিছুই নেই।
  • lcm | 69.236.169.213 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০০:০০483854
  • এই থ্রেডে কল্লোলদার ৩নং পোস্টের প্রসঙ্গে -

    রাশিয়া ভারতের থেকে বেশী দাম নিত, আর অন্য দেশকে কম দামে দিত। ঠিক। কিন্তু অন্য দেশ গুলো কারা? পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার প্রায় দখল নেওয়া (পাপেট সরকার বসিয়ে) দেশগুলো। রাশিয়া প্রায় ফ্রি-তে বা অসম্ভব শস্তায় যে জিনিস রুমানিয়া-কে দিত, অফ্‌ কোর্স সেই দাম ভারতকে দেবে না। কারণ ভারত রাশিয়ার কলোনি ছিল না।
    ইন ফ্যাক্ট, রাশিয়ার ভারতের প্রতি ইন্টারেস্ট ছিল কেন? কোথায় যেন পড়েছিলাম, মূল কারণ আমেরিকা বা পাকিস্তান নয়। মূল কারণ ছিল ভারত-চীন সমঝোতা/প্যাক্ট আটকানো।
  • PT | 203.110.243.21 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০০:৩১483855
  • যে প্রেক্ষিত এবং সময়কালকে মনে না রাখলে আলোচনাটা ইতিহাসকে ঘেঁটে দিয়ে বাচ্চাদের কাছে ভুল খবর পাঠাবে:

    How many murderous dictatorships has the US installed or supported?

    Chile Gen. Augusto Pinochet 1973-1990 3000 murdered. 400,000 tortured.

    Argentina Gen. Jorge Rafael Videla 1976-1981 30,000 murdered.

    Indonesia Suharto 1965 coup against left-leaning Sukarno, 1975 support of East Timor genocide 500,000 dead after 1965 coup; 100,000-230,000 dead in East Timor;

    Guatemala Armas, Fuentes, Montt 1954-

    Iran The Shah of Iran
    Ayatollah Khomeini was on the CIA payroll in the 1970s in Paris


    Egypt Sadat, Mubarak 1978-today

    Iraq Saddam Hussein

    Nicaragua Anastasio Somoza & sons 1937-1979

    Paraguay Stroessner. US supported throughout (state.gov says US has supported Paraguayan development since 1942) ($142M between 1962 and 1975) 1954-1989

    Bolivia Col. Hugo Banzer overthrew elected leftist president Juan Jose Torres 1970-

    Angola Jonas Savimbi/UNITA (didn't actually win his revolution, but killed or displaced millions) 1975-1989

    Zaire Mobutu

    Saudi Arabia Saud family

    Kuwait a monarchy

    Morocco, Tunisia, Algeria, Jordan

    Panama Noriega was US-supported for years

    Haiti Papa Doc, Baby Doc

    Dominican Republic Trujillo, a military dictator for 32 years with US support for most of that time; Belaguer, Trujillo's protege, installed after US Marines intervened to put down an attempt to restore the democratically elected government of Juan Bosch 1930-61, 1965-78

    Honduras

    El Salvador 1980s

    Nepal monarchy since 1948

    Cuba Fulgencio Batista pre-Castro

    Brazil Gen. Branco overthrew elected president Goulart with US support 1965-67

    Uzbekistan Kamirov "The Boiler", $150M from the Bush administration for an air base. 1965-67

    সবগুলো চেক করার সময় পাইনি। এত ব্লম্বা লিস্টি। ভিয়েৎনামটা বাদ গেল বুঝি? তথ্যে ভুল থাকলে জানাবেন।

    এর সঙ্গে জুড়ে নিন যে নিক্সনের ভারতীয়দের মাথায় পেচ্ছাপ করে দিতে ইচ্ছে করত। তারপর রাশিয়ার দেওয়া ধারের সুদের হিসেবটা কষবেন।
  • ranjan roy | 122.168.175.34 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০০:৪৯483857
  • এই ফেনোমেননকে ভিয়েৎনাম যুদ্ধ বা ১৯৬৯ এ উসুরি নদীতে
    চেনপাও দ্বীপ নিয়ে চীন-রুশ সংঘর্ষ এবং তার পরবর্তী ক্রমবর্ধমান তিক্ততা কে বাদ দিয়ে বোঝা যাবে না।

    আর সুশান্তবাবুকে বলি:
    আমার বাবা ভিলাইয়ে ১৯৫৯ থেকে ১৯৭৯ পর্য্যন্ত রাশিয়ান কাউন্টারপার্টদের সঙ্গে কাজ করেছেন। বাবার শেষ পর্যায়ের কলীগ উক্রেইন বাসী মি: গুলেশা আমার দের কোয়ার্টারে এসে খাওয়াদাওয়া করেছেন। আমিও বাবা-মার সঙ্গে ওঁদের কোয়ার্টারে গিয়েছি, রাজনৈতিক বিতর্ক ( মাইল্ড ধরণের করেছি)। উনি মস্কোয় প্যাট্রিস লুমুম্বা ইউনিভার্সিটিতে আমাকে অর্থনীতি পড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি তখন ঘোর মাওভক্ত, সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। বাবা মারা গেলে ওনারা আমাদের বাড়ি এসেছিলেন, আমিও গেছলাম।
    কাজেই ওদের সেক্টরে অন্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, এমন নয়। তবে ওদের এরিয়ার গেটে সিকিউরিটি থাকতো, রেসিডেন্টদের পারমিশন নিয়ে ভেতরে যেতে হত, যেমন কোলকাতার অনেক আবাসনে হয়। ওদের ওখানে গিয়ে সিনেমাও দেখিছি।
    প্রচারে একটু মিথ তৈরি হয়।
  • ranjan roy | 122.168.175.34 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০১:০৬483858
  • পিটি,
    কল্লোলের খোলা টইয়ের নামটি দেখুন। আলোচ্য বিষয় আম্রিকা-রাশিয়ার মধ্যে কে কত বড় গুন্ডা তার ফিরিস্তি নয়। আমেরিকার বিশ্বজোড়া গুন্ডামির কথা সর্বজনবিদিত। ইদানীং সিরিয়া-মিশর-সুদান তার তাজা উদাহরণ।
    আলোচ্য বিষয় হল সত্তরের দশকে সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সাহায্য সত্যিই কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ বা সমাজতান্ত্রিক, সেই নিয়ে কথা হোক না! একজন একশ'টা মার্ডার করেছে, তার ফিরিস্তি দিলে কি আর একজন এক বা দু'টো মার্ডার করেছে সে কথা বলা যাবে না?
  • Netai | 180.149.52.43 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০১:৪৫483859
  • রাশিয়ার ইন্টারেস্ট বোঝা গেলো। কিন্তু ভারতের সম্পর্ক রক্ষার কি দায় ছিল বোঝা গেলো না। শুধুই কাশ্মীর বাঁচানো? এতো টাকা দিলে আম্রিগা কি ইন্ডিয়াকে সাপোর্টাতোনা? নাকি সবই জনদরদী নেহেরু আর স্বৈরাচারী ইন্দিরা গান্ধীর ইচ্ছা?
  • lcm | 69.236.169.213 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০২:৩২483860
  • ১) ব্রিটিশ দের হাত থেকে স্বাধীনতা পাবার পরে পরেই আমেরিকার কাছে সাহায্যের হাত বাড়ানো ভারতের পক্ষে ঠিক স্বস্তিকর ব্যাপার ছিল না। ৪৭-এর পর থেকে, ইন ফ্যাক্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ইউএস-ইউকে রিলেশন আরো ক্লোজ হয়। আর এক ইংরেজি বলিয়ে নেশনের সঙ্গে বন্ধুত্ব, তার ওপর উইনস্টন চার্চিল-এর মা ছিলেন আমেরিকান :)

    ২) পাকিস্তান-ইউএস রিলেশন কূটনৈতিকভাবে ভারতকে খানিকটা বাধ্য করে প্রো-সোভিয়েত হতে। বিশেষ করে যুদ্ধাস্ত্র-র জন্য।

    ভারত-সোভিয়েত সম্পর্ক যে খুব মসৃণ ছিল তা নয়,

    ভারত-সোভিয়েত সম্পর্কে বার বার নেহেরুকে (সময় বিশেষে রাশিয়ানদেরও) অস্বস্তিতে ফেলেছে ভারতের তৎকালীন কম্যুনিস্ট পার্টি (সিপিআই)। তারা ভারতের স্বাধীনতা বা সরকার স্বীকার করে নি, এবং বিপ্লবের কথা আলোচনা করে যাচ্ছিল, তার চেয়েও বড় কথা হল তারা মস্কোর সাথে যোগাযোগ রাখছিল।

  • kallol | 115.242.174.21 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০৭:৫৫483861
  • যুক্তি ও তথ্যে যেকোন বিতর্কে সুবিধা করতে না পারলে ছাপ মারা শুরু হয়। ""বস্তা পচা তথ্য"", ""আমেরিকার পয়সা খায়"" এসব তো বলবেই লোকে।
    ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। এ কাজ স্তালিন ও হিটলার আরও বড়ো মাপে করেছেন।
    আমার তাতে কোন অসুবিধা নেই। তথ্য গুলোকে ভুল প্রমাণ করে দিক কেউ।
    আর এঅকটা কথা।
    লেখাটা আমার নয়। এটি একটি অন্য অর্থ প্রতিবেদন। অন্য অর্থ তৃতীয় সংখ্যা। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ১৯৭৪। অন্য অর্থ ১৯৭৩ ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৫ সালের মে পর্যন্ত বার হয়েছে। মূলত: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিপার্টমেন্ট, যাদবপুরের ইতিহাস ডিপার্টমেন্টের কিছু ছাত্রের এটা বের হতো।
    আমি লেখাটি তুলে দিচ্ছি মাত্র। কাজেই এর কৃতিত্ব আমার নয়। কিন্তু দায় ১০০ ভাগ আমারই।
  • lcm | 69.236.169.213 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০৮:০৭483862
  • জানি না অনেকে আশ্চর্য হয়েছেন কেন, আমার কিন্তু কল্লোলদার দেওয়া তথ্যকে অস্বাভাবিক কিছু মনে হল না। creditor এবং debitor এর মধ্যে যেরকম রিলেশন থাকে।
    কিন্তু গত শতাব্দীর কোল্ড ওয়ারের আবহে ভারত-সোভিয়েত সম্পর্ককে শুধু creditor-debitor রিলেশন দিয়ে ব্যাখা করা সম্ভব নয় বোধহয়।
  • kallol | 115.242.174.21 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০৮:৩৩483863
  • ১৯৭২-এ সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া থেকে আমদানী করা ইস্পাত দিয়ে ভারত বল্টু ও স্ক্রু তৈরী করে আবার তা রাশিয়ায় ফেরৎ পাঠাবে। একই কাজ হতো পশম-পশমজাত পোষাক, তুলো-কাপড়ের ক্ষেত্রেও।
    বল্টু ও স্ক্রুর জন্য যে ইস্পাত দরকার ভারত নিজের দেশে তৈরী ইস্পাত দিয়েই তার চাহিদা মেটাতে পারতো। কিন্তু তাহলে রাশিয়ার ইস্পাত বিক্রি হতো না।
    ১৯৭-৭৩এ ভারতে তুলোর ফলন অপেক্ষাকৃত ভালো হওয়ায়, কাপড়ের মিলগুলো রাশিয়র তুলো নিতে অস্বীকার করে। ভারত সরকার কিন্তু রাশিয়ার তুলো কেনায় চাপ দেয়। শেষ পর্যন্ত সব মিলকেই কোটা করে দেওয়া হয়। একটা পরিমান রাশিয়ার তুলো কেনাটা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়, সরকার ভর্তুকি দেবে এই শর্তে।
    এই পণ্য গুলি রাশায়ায় তৈরী না করার কারন ওখানকার শ্রমের বাজারের তুলনামূলক চড়া দাম। ভারতের শ্রম সস্তা।
    এই পণ্যগুলি পরে ""রাশিয়ায় প্রস্তুত"" ছাপ মেরে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করা হতো।

    ১৯৭৩ সালে কলকাতা চা-নিলামে দার্জিলিং চায়ের ক্ষেত্রে রাশিয়া প্রায় একচেটিয়া অধিকার লাভ করে। চায়ের দাম নির্ধারণে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে, সেই চা আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতো রাশিয়া।

    এঅবার কিছু মণিমাণিক্য :

    ""পশ্চাৎপদ দেশগুলোকে ধার বা সাহায্য দেবার ব্যাপারটা সোভিয়েত ইউনিয়ানের দিক থেকে কোন দয়া দাক্ষিণ্যের ব্যাপার নয়, বাণিজ্যিক স্বার্থেই এসব সাহায্য দেওয়া হয়।"" এ এম স্মির্ণভ। ইউএসএসআরিন্টার কারেন্সী অ্যান্ড ক্রেডিট রিলেশনস। মস্কো ১৯৬৩। পৃ: ২৭৫

    ""অন্নুন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন বাণিজ্য ও সাহায্য চুক্তি অনুসারে সোভিয়েত যে ধার দেয় তা এসব দেশে সোভিয়েত রপ্তানী বাড়ানোর ব্যাপারে বিশেষ সাহায্য করে। এ কোদাচেংকো। মেঝদুনারোদনায়া ঝিঝন। ২য় সংখ্যা ১৯৬২।পৃ: ৫৫

  • kallol | 115.242.174.21 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০৮:৫২483864
  • তথ্য সংগ্রহের সূত্র।

    ১) ইকনমিক টাইমস। ২ অগাষ্ট ১৯৭২, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২, ৩ অক্টোবর ১৯৭২, ৯ এপ্রিল ১৯৭৩।
    ২) পূর্বতরঙ্গ। ৬ ডিসেম্বর ১৯৭৩, ৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪।
    ৩) স্টেটসম্যান। ৭ মে ১৯৭২, ৩০ মার্চ ১৯৭৩, ৭ এপ্রিল ১৯৭৩, ২৮ ডিসেম্বর ১৯৭৩।
    ৪) অনীক। জানুয়ারী ১৯৭২, জানুয়ারী ১৯৭৩, ফেব্রুয়ারী ১৯৭৩।
    ৫) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১, ১৯ এপ্রিল ১৯৭২।
    ৬) লালতারা। ৭ অক্টোবর ১৯৭২, ৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৩, ৭ মে ১৯৭৩, ২২ মে ১৯৭৩, ৭ জুন ১৯৭৩।
    ৭) হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড। ২৩ জানুয়ারী ১৯৭৪।
    ৮) ফ্রন্টিয়ার। ২৩ অক্টোবর ১৯৭১, ৮ মে ১৯৭৩, ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৩, ৩০ জুন ১৯৭৩, ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩।
    ৯) জার্নাল অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড। সেপ্টেম্বর ১৯৬৮।
    ১০) চিঙ্গারী। ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩।
    ১১) আফ্রো এশিয়ান জার্নালিস্ট। সংখ্যা ১৫, ১৯৭১।
    ১২) ফরেন কোলাবরেশন ইন ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি। আর বি আই, ১৯৬৮।
    ১৩) রিপোর্ট অন কারেন্সী অ্যান্ড ফিনান্স। আর বি আই, ১৯৭১-৭২।
    ১৪) ফ্যাসেটস অব ফরেন এড। বিপিনবিহারী।

    আবারও বলছি, লেখাটি আমার নয়। এটি একটি অন্য অর্থ প্রতিবেদন। ৩য় সংখ্যা। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ১৯৭৪।

  • kallol | 115.242.174.21 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০৮:৫৯483865
  • লেখাটি আরও অনেক বড়ো।
    আমি অনেক টেবল এইখানে তুলিনি। কারন আমার যা বলার ছিলো তা এই মূল লেখাটির এই সংক্ষিপ্ত ভার্সনে বলা হয়ে গেছে।

    আমেরিকার ""সাহায্য"" নিয়েও বেশ কিছু লেখা আছে।

    উৎসাহীরা সংগ্রহ করতে পারেন :
    অন্য অর্থ। চর্চাপদ। ১৩ বি রাধানথ মল্লিক লেন। কলকাতা ৭০০০১২। ফোন ০৩৩-২২৫৭-৩১৪৪, ৯৮৩০৩৭৯৮৪২। দাম ১০০০ টকা।
  • kallol | 115.242.174.21 | ২৪ জুলাই ২০১১ ১০:০১483866
  • পিটিকে ধন্যবাদ সেই সময়ে আমেরিকার ভূমিকাকে তুলে ধরার জন্য। আমেরিকা সেই সময়ে সবচেয়ে ঘৃণিত রাষ্ট্র। ভিয়েৎনাম, কঙ্গো, কিউবা, চিলি...... কিত্তির তো শেষ নেই। তার ওপর পিএল৪৮০। আমেরিকা তখন লুটে খাচ্ছে, সারা পৃথিবী। এই আবহে সোভিয়েত রাশিয়া, সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া, লেনিনের রাশিয়া দেবদূতের মতো হাজির হয়েছিলো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সামনে। তারাও বিশ্বাস করেছিলো, সোভিয়েতের সাহায্য আর আমেরিকার সাহায্যে ফারাক থাকবে নিশ্চই। দুর্ভাগ্যবশত: তারা ভুল ছিলো।
    আজ এই আমেরিকা শাসিত দুনিয়ায় গোটা ছবিটাই অন্য রকম হয়ে গেছে। সোভিয়েতের পতন, দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু অবশ্যাম্ভাবী ছিলো। সেই ঠান্ডা যুদ্ধের জামানায় তবু একটা ভারসাম্য থাকতো। এখনতো মদগর্বী আমেরিকা ভাবছে ""আমাকে ঠেকায় কোন শা....।"" আশার কথা পৃথিবীর নানান কোন থেকে প্রতিরোধ উঠছে। শুধু ইসলামী মৌলবাদ নয়। সিয়াটেল, প্রাহা, রোম WTOর বিরুদ্ধে যে রামধনু প্রতিরোধ গড়ে তুলছে তা অভূতপূর্ব।
    আমি এখনো বিশ্বাস করি আমরা পুঁজি-মুনাফা-বাজারের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারবো। রাস্তা এক নয় বহু। ব্যবস্থা এক নয় বহু।
  • ranjan roy | 122.168.206.102 | ২৪ জুলাই ২০১১ ১৮:২৭483868
  • আসলে বিকাশ ও অর্থনীতির অল্টারনেটিভ মডেল হিসেবে সমাজতন্ত্রের সংকট, তার কারণ ও উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিৎ। স্তালিনও তাঁর শেষ দিনে "" ইঅকনমিক প্রবলেম্‌স অফ সোস্যালিজম ইন ইউ এস এস আর'' বলে একটি নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ বা প্রবন্ধের সমাহার লিখেছিলেন। আজকে প্রায় সাত দশকের ব্যবধানে তার অনেকগুলো উপপাদ্য অপ্রাসংগিক হয়ে পড়েছে। মুদ্রার ভূমিকা ও রূপান্তরণ এবং সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে বাজারের ভূমিকা নিয়েও স্তালিন ভেবেছিলেন।
    আজকে ট্রেড সাইকল এর পৌন:পুনিকতা এবং মার্কেট ক্যাপিটালিজম ও কেইনসীয় দাওয়াই এর বিভিন্ন অল্টারনেটিভ প্রেস্ক্রিপশন নিয়ে পুঁজিবাদের সংকট কাটিয়ে ওঠার প্রমাণিত ইলাস্টিক ক্ষমতা--- এগুলো নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
    একদিকে যুদ্ধকালীন কম্যান্ড ইকনমিকেই একমাত্র সমাজতান্ত্রিক মডেল বলার একদর্শিতা তথা সামাজিক পুঁজি নির্মাণে এই মডেলের সীমাবদ্ধতা, আর অন্য মেরুতে
    আবার পুঁজির কেন্দ্রীকরণ, পভার্টির নতুন পরিভাষা, পরিবেশ দূষণ কোন আশার আলো দেখাচ্ছে না।
    প্রশ্ন ঊঠছে সমাজতন্ত্রের সংকটের কথা তুললেই যদি কিছু বান্ধব সি আই এর দালাল বলে রে-রে করে ওঠেন ( যেমন অম্লান দত্তদের নিয়ে আগে কয়েক দশক ধরে করা হয়েছে) তাহলে আলোচনা করা দুর্ভার।
    জোয়ান রবিন্সন একবার ওনার "" সেকন্ড ক্রাইসিস অফ ইকনমিক থিওরি'' তে বলেছিলেন যে সরকারী এক্‌স্‌পার্ট দের চেয়ে crank রা একটু ভাল। কারণ, তারা অন্তত: স্বীকার করে যে এস্টাব্লিশড্‌ থিওরিতে ক্রাইসিস আছে।
    তেমনি আমরা যদি ধরে নিই যে সমাজতান্ত্রিক ঈশ্বরের দুনিয়ায় সব ঠিকঠাক চলছে, চিন্তার কোন কারণ নেই,-- সমালোচনা করা মানেই সিআইএর চক্রান্তের অংশীদার হওয়া তাহলে আর বলার কিছুই নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন