এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Shubha | 59.93.195.139 | ১৬ জানুয়ারি ২০১২ ১০:৫৪493349
  • আচ্ছা কেউ কি সজারু কাটা পড়েন নি? আমি কিন্তু বেশ মিল পেলাম। আরঐ কবিতা লিখে খুন ব্যাপারটাও ব্যোমকেশের কোন একটা গলপে ছিল। শুভমহরত Agatha Christie গল্প থেকে নেওয়া হলেও indianization টা দারুন করেছেন ঋতুপর্ণ।
  • phutki | 121.241.218.132 | ১৬ জানুয়ারি ২০১২ ১০:৫৭493350
  • সজারুর কাঁটা তো বামপন্থী হৃদয়ের দক্ষিণপন্থী হওয়ার গপ্পো। তার সাথে মিল পেলাম না তো !
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:৩৫493351
  • সত্যি কথাটা প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া যাক। `বাইশে শ্রাবণ` দেখে এ নাদান দর্শক মুগ্‌ধ। এর পরে যেগুলো লিখতে যাব তার পর না বোঝা, আঁতেলগিরি, বৃক্ষপাকামির অভিযোগ উঠবে। তাতেও তো আনপড় ভাল্লাগাটুকু কেটে ছেঁটে বাদ দেওয়া চলে না! কারণ ও জিনিস প্রত্যেকের নিজস্ব ব্রণর মতৈ একান্ত পবিত্র, কারণ ব্যাক্তিগত। সেই ব্যাক্তিগত ব্রণবিলাস একবার লাইফে লেখার সুযোগ পেয়েছি! তাড়ু না চালালে আর ব্যাটসম্যান কিসের! এমনিতেও এর পর গুরুর এডিটর আর লিখতে ফিখতে দেবে না। লোকটা শুনেছি হেভি হারামিও বটে। কাজেই যা বলার বলে ফেলি ঝট্‌পট। তৌবা-শেম-এর তোয়াক্কা না করেই।

    শহরে একটার পর একটা খুন, আর তার সমাধানকল্পে ডাক পড়ল সাসপেন্ড হওয়া পুলিস অফিসারের। গপ্পে নতুনত্ব বিশেষ নেই। এ জিনিস `সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্ব` বা তার হিন্দি রূপান্তরে আমরা দেখেছি। কাজেই সিনেমা বলতে যাঁরা গল্প বোঝেন, তাঁদের এক সাইডে রেখে আমরা চলে যাই সিনেমার ভাষায়। এখানেই যে কলার তোলা স্পর্ধা শ্রীজিত দেখিয়েছেন, তার জন্য এই কলম কয়েকবার স্যালুট ঠুকল। কেন?

    বাইশে শ্রাবণে সুরু থেকেই খুব অন্ধকার। সে অন্ধকার হাড়কাটা গলি থেকে শুরু। প্রবীরের ঘর সেই অন্ধকারকে ইমেজায়িত করে। প্রথম যখন প্রবীরের ঘরে ঢোকে অভিজিত, লক্ষ্য করবেন, ক্যামেরা অদ্ভুতভাবে ঘুরতে থাকে। গুরূত্বপূর্ণ চরিত্রকে প্রথম দেখানো হচ্ছে (এর আগে তার গলার আওয়াজ আমরা পেয়েছি, মুখ দেখিনি) লং-শট দিয়ে, সেখান থেকে জাম্প-কাট করে পরমের মুখ, অথবা বলা ভাল পরমের পাশের দেওয়ালে ঝোলানো একটা মুখোশ। পুরোপুরি সামন্ত পরিবেশ। সেই অন্‌ধ্‌কার ঘরে সারাদিন বসে থাকে এক্‌জন, আর মদ খায়। তাকে এমনকি ক্লোজ-আপ টুকুও দেওয়া হয় না। একটা আড়াল। আর এভাবেই একটা লার্জার দ্যান লাইফের আর্কেটাইপ তৈরি হতে থাকে সিনেমা জুড়ে। এমনকি প্রায় গোটা সিনেমাতেই প্রবীরের সম্বন্ধে বলে যায় অন্য লোক, প্রবীর নীরব থাকে। এই আড়ালটুকু না থাকলে লার্জার দ্যান লাইফ আসে না। শ্রীজিত খুব ব্যাকরণ মেনেই এলিয়েনেশনের প্রথম শর্‌ত্‌টুকু কাজে লাগান। আর এখানেই ভাংতে থাকে প্রচলিত নায়কের আর্কেটাইপ।

    এর আগে বাংলা/হিন্দী সিনেমায় লার্জার দ্যান লাইফ আসেনি কি? অনেক এসেছে। প্রবীর তো এক অর্থে `প্রহার` এর নানা পাটেকরের এক উল্‌ট্‌পুরাণ। সেখানেও বিচারের শেষে যখন নানাকে মানসিক ভারসাম্যহীন রায় দেওয়া হয়, নানার মনে হয় এর থেকে ফাঁসি হলে ভাল ছিল। কিন্তু সেই নানা আসলে তরুণ নব্বই-এর ভারতবাসীর স্বপ্নহীনতা নিয়ে বাঁচতেন। যে আশা নিয়ে ইমার্জেন্সি উত্তর ভারত যাত্রা শুরু করেছিল, সেই আশার এলিজি রচনা করার জন্য নানাকে পিস্তল তুলে নিতে হয়েছিল হাতে। কিন্তু স্বপ্নহীনতা থাকে, যদি স্বপ্নের প্রতিশ্রুতি থাকে নাটকের প্রথম অঙ্কে। আর যদি কেউ বাঁচে কোনো স্বপ্নহীন সময়ে? যদি এমন হয় যে শক্তিমান সময় স্বপ্নহীন হয়ে যাবার কারণে স্বপ্নহীনেরা শক্তিমান হয়ে উঠছে? তাহলে যে শুন্যতা তৈরী হয়, যা হয়ে চলেছে আজকের সময়ে, তখন নানা বা দিওয়ারের অমিতাভকে দিয়ে চলে না। এপিটাফ লিখতে ডাক পড়ে এমন কারো যে নিজে তার শরীরে বয়ে চলেছে সময়ের সব ক্ষতি্‌চহ্ন। প্রবীর এক অর্থে আমাদের গোটা সময়টার প্রতিনিধি। তার বৌ-ছেলে নিহত হয়েছে এ তো খুব গৌণ কথা-এর থেকেও বড় ব্যাপারটা হল, প্রবীর এক দুরারোগ্য রোগের শিকার, যার কোনো নিরাময় নেই। সে খুব স্বাভাবিক গলায় বলে যে তার প্রিয় গন্ধ হল নোনাধরা দেওয়ালের গায়ে কয়েদীদের পেচ্ছাপের গন্ধ, ধুলোভরা ফাইলের পাতায় পুলিশের ঘামের গন্ধ। ৯/১১ উত্তর এই উত্তরাধুনিক পৃথিবীর আতঙ্কের পরিমন্ডলে বাঁচে এমন একজন, যে সেই আতঙ্কের ভাষাটাকেই নিজের মধ্যে বয়ে চলেছে।

    খেয়াল করুন প্রবীরের মুখ। এক অনতিপ্রতিম বিষাদ মাখানো সেই মুখে। প্রথম যে শটে তার মুখ ধরা হয়, তাতে আর্ধেকটা ছিল অন্ধকারে ঢাকা। প্রথম এক্সট্রিম ক্লোজ আপ নেওয়া হয় যখন প্রবীর বলে ওঠে `স্যার!` আবার ক্লোজ আপ, প্রবীর চোখ তুলে তাকায় এবং বলে `আমি মুদীর দোকান চালাই না`। শুধু বিষাদ বললে কম বলা হয়। স্বপ্নহীন বল্লেও পুরোটা বলা হয় না। এক নিরাময়হীন অসুখ ধরে রাখে ক্যামেরা সেই শটে। সেজন্যই এত অন্ধকারের ব্যবহার। শ্রীজিত আসলে ডকুমেন্টেশন করেন অন্ধকার সময়ের।

    আর এই ফাঁক দিয়ে ভাংতে থাকে লার্জার দ্যান লাইফের কনভেনশনাল প্রতিমা। সেটাও হয় খুব ডায়লেকটিকালি। ফর্মের ব্যাকরণ মেনে ভাংতে থাকে ইমেজের ব্যাকরণ। এর আগে বাংলা বা হিন্দী সিনেমায় এরকম নায়ক থাকলে আমরা দেখেছি তাকে প্রথমে দেখানো হয় না। প্রথমে কাট ইনের ব্যাবহার হয় প্রচুর। আমরা দেখি নায়কের শরীর, হাত-পা, গলার স্বর শুনি। তারপর সময়ের প্রয়োজনে কোনো এক নাটকীয় মুহূর্তে ক্লোজ শটে দেখি তার মুখ। এই ক্লিশে কাজে লাগান শ্রীজিতও। তফাতটা হল, প্রথম ক্লোজ শট দেখানোর পর আমাদের সিনেমার দর্শন হচ্ছে যে নায়ক এবার দর্শকের স্বত্তার অংশ। তার প্রতিটা কাজ, তার রাগ দু:খ অভিমান আনন্দ, এই সব কিছু সে দর্শকের সাথে ভাগ করে নিতে বাধ্য। তার ভিলেন পেটানোর আক্রোশ আসলে দর্শকের মর্ষকামের বহি:প্রকাশ। নায়িকাকে সে প্রোপোজ করলে আমাদের হার্টবিট স্কিপ করে, মেয়েটা হ্যাঁ বলবে তো? মোদ্দা কথায়, নায়ক আসলে আমার শরীরের অংশ। আমার শরীর যা চায়, নায়ক তাই করবে। তাই সাধারণত প্রথম ক্লোজ আপের পর আর কাট ইনের দরকার পড়ে না নায়কের ক্ষেত্রে। দীওয়ারের রাগী যুবক পরভীন বাবির সাথে প্রেম করে অনায়াসে, স্বপ্ন দেখে মায়ের সাথে পুরনো জীবনে ফিরে যাবার। প্রহারের আর্মি অফিসারের একটা মিষ্টি প্রেম হবার সম্ভাবনা থেকে যায়, একটা শিশুকে নিয়ে সে স্বপ্ন দেখে। এমনকি আব ত্‌ক ছাপ্পান এর পুলিস অফিসারও বাড়ি ফিরে এসে বৌ বাচ্চার সাথে একসাথে খায়, ছেলের মার্কশীট দেখতে চায়, রান্নার রেসিপি বলে দেয় অবলীলায়। সেখানে প্রবীরকে ক্লোজ শটে ধরার পরেও বহু ব্যাবহৃত হয় ওভার দ্য শোলডার শট, কাট আওয়ে, তার হাতের নাড়াচাড়া, সাইড শট, পিঠ (একটা কাঠের ঘোড়া আছে সিনেমায়, মোক্ষম সব দৃশ্যে দুলে ওঠে প্রবীরের হাতের নাড়া খেয়ে। শ্রীজিত মারাত্মক্‌ব্‌হাবে সতি্‌য়্‌জত থেকে অনুপ্রাণিত, বোঝা যায়)। ভাবার চেষ্টা করে দেখুন তো, সিনেমার প্রথম দৃশ্যের প্রবীর রায়চৌধুরী সাউথ সিটি-তে প্রেমিকার সাথে শপিং করছে, অথবা ভিলেনের চোয়ালে আপারকাট ঝাড়ছে? বিশ্বাস্য লাগে? লাগে না। এখানেই উল্টে যায় প্রতিমা। লং শট বা অন্ধকার মুখের ব্যাবহার ঐ কারণেই। শুনেছিলাম এই এলিয়েনেশনের ব্যাকরণেই নাকি ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা পর্দায় এনেছিলেন ব্রান্ডোকে। কপোলা একবার এক সাক্ষাতকারে বলেওছিলেন সেকথা। (সুধী আঁতেলগণ, আমি শ্রীজিতকে কপোলার সাথে তুলনা করি নি-ই-ই-ই-ই! যদিও চাইলে করতেই পারতাম। করিনি এই কারণে নয় যে শ্রীজিত কপোলার নখের যুগ্যি নন। নন কি না সেটা সময় বিচার করবে। করিনি এই কারণে যে দুজনে ছবি করেছেন দুখানা আলাদা কনটেক্সটে। কাজেই `গেল``গেল` রব তুলবেন না প্লিজ!)

    আর্কিটাইপ ভাংতেই থাকে সিনেমা জুড়ে। প্রবীরের স্ত্রী সন্তান নিহত হবার পর সে কোনো প্রতিশোধ নেয় না। সত্তরের সেলিম-জাভেদের তৈরী করা আর্কিটাইপ ধাক্কা খায়। প্রায়শ সিনেমায় দেখা যায় হাত বাঁধা নায়কের সামনে অত্যাচার করা হচ্ছে তার মা-কে। তার বাবাকে মেরে ফেলা হচ্ছে। নায়ক হয়ত তখন শিশু। কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে পুষে রেখে দেয় তার রাগ। সেই রাগ ফেটে পড়ে সিনেমার শেষে। রাষ্ট্র বা ক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রচলিত এই হিংসার নন্দনতত্ব আমাদের শিল্প-সাহিত্যকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে এই সময়ের এক অত্যন্ত ইম্পর্টান্ট কবি মৃদুল দাশ্‌গুপ্ত পর্যন্ত তাঁর অতি বিখ্যাত কবিতা `ভয় পাও বলে তুমি পুষেছ বন্দুক`-এ বলে উঠেছিলেন `কল্‌ঘরের ভেতরে আমার বোনের গায়ে বেঁধে নখ, সব দেখেছি দোচালার ফাঁক দিয়ে, দাঁতে দাঁত, সেবার বাঁচিনি।` কবিতার হারান নস্করের কথা কোথাও গিয়ে সত্তরের রাগী অমিতাভের সাথে মিলে যায়। বোনের ওপর অত্যাচার চালিয়েছিল যারা, তাদের হাতে নায়ক মারা পড়েছিল, কিন্তু মারা যায়নি তার ক্রোধ। তাই পরজন্মে সে ফিরে আসে প্রতিশোধ নিতে। এটা একটা উদাহরণ। এরকম গুচ্ছ উদাহরণ ছড়িয়ে আচে আমাদের গানে কবিতায় সিনেমায়। একে বলা যায় সত্বরের নন্দনতত্ব, কারণ ঐ সময় থেকেই যে প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবিশ্বাস এবং স্বপ্নভংগের বেদনা এক আলাদা নন্দনতত্বের সৃষ্টি করেছিল, সে সব আজ্‌কাল বহু আলোচিত। মুশি্‌কলটা হল, সত্তরের বৃষ্টিতে যে ছাতা আমরা খুলেছিলাম, আজ সেই বৃষ্টি থেমে গিয়ে রোদ উঠে গেলেও সে ছাতা এখনো খোলাই আছে। আমরা কখনো ভেবে দেখিনি যে হারান নস্করের ক্রোধ্‌টা আসলে আলোকপ্রাপ্ত মৃদুল দাস্‌গুপ্তের ক্রোধ। আধিপত্যের নন্দন সেটুকুই পারমিট করে। নিপীড়িতের চৈতন্যের সাথে তার যোগাযোগ সামান্যই। এই ফর্মুলা বহুকাল প্রয়োগ হয়েছে। আর সেখানে প্রবীর খুব ক্যাজুয়ালি জানায় `গাঁড় ফেটে গেছিল কষ্টে।` আর একবার, স্ত্রী-সন্তানের কথা উঠতে মদের গ্লাসটা খেতে গিয়েও নামিয়ে রাখে। আর কোথাও কোনো ক্রোধ নেই, নেই ফেটে পড়ার তাগিদ। এই নির্লিপ্তি, আসলে এক অন্তর্ঘাত, যা তার চরিত্রের নিহিত পাতালছায়া। সে আসলে রামায়ণের স্রষ্টার মতই, জানে গল্পের শেষে কি ঘটবে। কারণ এ গল্প তার নিজের হাতে তৈরী। সে জানে, জয়ের উত্তুংগ শীর্ষে আসলে অপেক্ষা করে থাকে বুলেট। আর তাই, বধু শুয়েছিল পাশে, হয়ত শিশুটিও ছিল, তবুও কোন গভীর অসুখ তাকে ঠেলে দিয়েছিল নির্জন অন্ধকারের মধ্যে। প্রবীরের নির্লিপ্তির ট্রাজেডি এখানে নয় যে সে শুরুর থেকেই দন্ডিত। ট্রাজেডি এখানে যে প্রবীর তার দন্ডের কারণ ও ফলাফল, দুইয়ের সম্পর্কেই অবহিত। এখানেই প্রবীর তার সময়ের উত্তরসাধক হয়ে ওঠে।

    প্রায় অবিশ্বাস্য মিতভাষণে এই ট্রাজেডি জীবন্ত হয়ে ওঠে পুলিসের বড়কর্তা অমিত যখন প্রবীরকে তার ইউনিফর্ম পড়তে সাহায্য করে। মিড শটে ধরা পড়ে প্রবীরের মুখ। তিনখানা শর্তের কথা পরপর বলে যায় সে। তিনবার তার চোখের পাতা পড়ে। চতুর্থ ও শেষ শর্ত বলার পর পলকহীন তাকিয়ে থাকে ক্যামেরার দিকে, উত্তরের প্রতীক্ষায়। অসহনীয় সেই পলকহীন মুহূর্ত। অমিত বলে `ওয়েলকাম ব্যাক।` প্রবীরের চোখের পাতা পড়ে। কাট। এই চারখানা রুল তো আসলে তার নিজের তৈরী করা ফাঁদ, সে জানে সবশেষে সেখানে সে নিজেই ধরা দেবে। আসলে কোনো এক মেফিস্টোর সাথে জীবন-মৃত্যুর চুক্তিতে বাঁধা পড়ল সে। ঐ পলকটুকু ফেলার অপেক্ষা যেন এক গভীর খাদের ধারে এসে একবার পেছন ফিরে তাকানো, ঝাঁপাব না ঝাঁপাব না? অমিতের কথার সাথে সাথে দুলে উঠল নিচের মাটি, আর শুন্য তাকে টেনে নিল প্রবল আকর্ষণে। পলক পড়ে গেল চোখের। নো কামব্যাক।

    আর এখানে এসেই শ্রীজিত ধ্যাড়ান। এতক্ষণ ধরে পরম যত্নে এরকম একটা ভাংগাগড়ার আর্কিটাইপাল খেলা খেলার পর, শ্রীজিতের হয়ত মনে হয়েছিল মা যে হয় মাটি তাঁর, তাই ভাল লাগে আরবার পৃথিবীর কোণটি। তাই সিনেমা ফিরে গেল প্রচলিত ছকে। প্রবীর হয়ে উঠল দুর্দান্ত বুদ্ধিমান ঝকঝকে পুলিস অফিসার, যার চরিত্রের প্রধান আকর্ষণ হল খিস্তি। প্রবীর হয়ে উঠল টিপিকাল নায়ক, আইনের রক্ষক, মজামিরি পাব্লিক। শুধু তাই নয়, শ্রীজিতের আবার আবার এটাও মনে হল যে নাগাড়ে এরকম যুক্তিকাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রান্তিক মানুষে্‌দর হয়ে ক্যামেরা চালানো তাঁর নিজের যুক্তিগ্রাহ্যতার স্ট্রাকচারের কাছে বেমানান, দর্শকের কাছে তো বটেই। তাই যৌক্তিকতার সমর্থনে প্রবীর এবং নিবারণ চক্রবর্ত্তীর মুখ দিয়ে বলানো হল বস্তাপচা রদ্দি মার্কা ডায়লগ। সকলেই দালাল বা গন্‌য়্‌মান্যরা দেশের গাঁড় মারছে বা গোটা সমাজ পচে গেছে এসব বল্লেই সিনেমা হেব্বি আঁতেল হয়ে যায় না। এসব ডায়লগ গত চল্লিশ বছরে ব্যাবহার হতে হতে শুওরের মাংস হয়ে গেছে। নিবারণের কবিতাটা তো আরৈ রদ্দি। এই যে `আমি যা বলতে চাইছি লোকে তা বুঝতে পারছে না` এই ভয়ে মোটা দাগে থিওরি কপ্‌চানো, এই কনফিডেন্সের অভাবেই সিনেমাটা মকবুল বা গুলালের মত ক্লাসিকের সাথে একাসনে বসতে পারল না। দর্শকেরা হিট ফ্লিম-এর খিস্তি শুনে হেব্বি মস্তি পেল, আর সিনেমাটার অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা মধ্যমেধার বালুকাবেলায় মুখ গুঁজে কাঁদে্‌ত থাকল।

    তবুও দিনের শেষে শ্রীজিতকে ডিস্টিংশন দিতেই হবে। তার একটা বড় কারণ তো সিনেমার প্রথমভাগ যা এতক্ষণ আলোচনা করলাম। আরেকটা জিনিস হল ক্লিশে ব্যাবহারে পরিচালকের কলার তোলা সাহস। ক্লিশে ব্যাবহার খুব শক্ত জিনিস। উইটের সাথে ব্যাবহার না করলে রদ্দি মাল নামাবার দায়ে খিস্তি খেতে হয় (ঠিক যেমন আগের প্যারাগ্রাফে আমিই মারলাম)। শ্রীজিত তো অসামান্য ব্যাবহার করেছেন কাট ইন-এর ক্লিশে। এ ছাড়া গোটা সিনেমাটাকেই ক্রাইম এন্ড পানিসমেন্টের একটা আধুনিক রূপ বলে ভাবা যায়। যেখানে অপরাধীর মানসিক দ্বন্দ হয় না, হয় পুলিসের (মানে অভিজিতের) আর পুলিস অপরাধীর কাছেই ছুটে আসে। রাসকলনিকভের একাকীত্ব চারিয়ে যায় অভিজিতের মধ্যে। রাসকলনিকভ বাধ্য হয় কনফেস করতে, আর অভিজিতকে বাধ্য করা হয়। পুরো ছকটা উল্টে দিয়ে অসাধারণ এক খেলা চলে গোটা সিনেমা জুড়ে। এক্‌দম শেষে, প্রবীর যখন অভিজিতকে জিজ্ঞাসা করল কোনো খট্‌কা লাগল কি না পুরো তদন্তে, যখন বলল কাঁচা হাতের লেখা বাংলা থ্রীলার, তখন আবার বেজে উঠল সেই আবহ, যা শুরুতে শোনা গিয়েছিল যখন প্রবীরের অতীত দেখানো হচ্ছিল। মাঝখানের গোটা অংশ জুড়ে কিন্তু এই আবহ বাজেনি। শেষে অতীত এসে হাত ধরল পরিণামের। কারণ দন্ডের বীজ নিহিত ছিল অতীতেই। এই মিতবাক মেধাবীয়ানাকে কুর্নিশ।

    অভিনয়ে পরমব্রত ছড়িয়েছেন। বাকিরাও আহামরি কিছু না। প্রবীরকে এসবের মধ্যে ধরছি না অবশ্য। গৌতম ঘোষের অভিনয় নিয়ে খুব আহা উহু হচ্ছে দেখেছিলাম। বেশ অতি-নাটকীয় অভিনয় করেছেন ভদ্রলোক। অসামান্য পাঁচ মিনিটের অভিনয় করেছেন পুলিস অফিসার দেবু-র চরিত্রে অনিন্দ্য। আর শ্রীজিত প্রেম-ফেম নিয়ে ভাটানোগুলো এবার বাদ দিলে পারেন তো! এটা ওনার সাবজেক্ট না।

    সবশেষে, একটাই কথা বলার। শোক ও পরিহাস যে নির্জনতায় হাত ধরাধরি করে চলে, তেমন অন্ধকার খুঁজে পাওয়াটা সহজ নয়। কিন্তু খুঁজে পেয়েও কক্ষস্থিত আলোর আকর্ষণে সেই অনুপম তিমিরবিলাস কে ত্যাগ করাটা অমার্জনীয় অপরাধ। শ্রীজিত কি শুনছেন?
  • ridhhi | 108.218.136.234 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:৩৮493352
  • প্রবীরের মুখ এক অনতিপ্রতিম জোকারের মুখ। বার্গম্যানের ক্যামেরা গোডার্ডের লেন্স, আইজেন্‌স্‌টাইনের বিশ্ব-বীক্ষা সব এনে যতই আলো-আধারির ট্র্যাপিজ খেলা হোক , ও মুখ টা বেসিকালি একটা তবলা। চান্স পেলেই সাদা শর্ট পরে জগিং করতে করতে 'সঙ্গীঈঈঈ' গাইবে। কিসের বিষাদ? একটাই ইমোশান- বদলা। মিথুন তো হতে পারবে না, তাই পোড়ো বাড়িতে বসে চুল ফুল এলোমেলো করে 'হা হা আমি সিরিয়াল কিলার, আমি কিন্তু খুব বাজে লোক, হুইস্কি খায়, আধো আধো খিস্তিও দি"

    আর সিদ্ধার্থ বাবু, আপনি বললেন গল্প সাইদে রেখে, আবার তো গল্প নিয়েই এলেন দুটো প্যরা জুড়ে। সেলিম-জাভেদের আর্কেটাইপ ঢাক্কা খেল? এই প্রথম ৭০ এর পর? তহলে একটা খবর দি, জাভেদের ছেলে হয়েছে, সে ছেলে বড় হয়েছে, সেও ডিরেক্তার, তার এখন ঢাক্কা খাবার সময় হয়ে গেল। এর মধ্যে জাভেদ ল্যাঙ্গ চাটি প্রচুর খেয়েছে । এটা ঢাক্কা না অলোকনাথের থাপ্পর? ডন টু দেখেছেন, তারপর এই বিষাদপ্রতিমা দেখলে বমি পাবে। এই ফালতু আতলামি এনে এক্তা রড্ডি কাজকে যাস্টিফায় করার হিপোক্রিসি আর কদ্দিন চলবে?

  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:৪৯493354
  • প্রথম ধাক্কা খেলো বলিনি তো! বলেছি ধাক্কা খেল। পোসেনের ওপর আপনার ঝাট জ্বলা থাকতেই পারে। তবে প্যারালাল টা মাইরি বাড়াবাড়ি হয়ে গেল।

    এই আপনারাই শ্রইজিতকে কাল্ট বানাবেন। তখন, যখন ও একটা বিশ্ববালে পরিণত হবে।
  • ridhhi | 108.218.136.234 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:৪৯493353
  • আপনি সিরিয়াস্লি মনে করেন 'প্রবীরের' প্রেম না দেখিয়ে ডিরেক্টর একটা স্টেটমেন্ট করলেন। আপনি নিশচই বঝেন, ঐটুকু এড করে দিলে , টোটাল খিল্লির সাথে যে অতি সুক্ষ্য তফাত এখনো অবশিষ্ট সেটাও ফেটে চৌচির হয়ে যাবে? তবলার জন্য যোগাড় করতে হবে তান্‌পুরা? কবর থেকে ওরদার দিয়ে দেবস্রী বা রিতুপরণা লেকে আও। আজকালকার পাওলি ফাওলি হলেই দেখেই রিজেকত। এ তো নড়তে চড়তে পারে না।
    আর এই খুব বাজে লোক, হেভি সাইকোপ্যাথ, মানে টোটাল ব্ল্যাকি, কোটি কোটি বার হিন্দি সিনেমাতেই হয়েছে। 'প্রবীর' সেটাও না। ওর এসব করার কারণ ওর গা* মারা গেছিলো। ছেদো সেন্টুতে ভরপুর একটা ক্যারেক্টার।
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:৫৫493355
  • আমার মুখে কথা বসাচ্ছেন কেন? টোটাল ব্ল্যাকি পোচ্চুর মারানো হয়েচে বলিউডে। ওসব দিক দেখলে বাইসে একটা নতুন কিছু করেনি।

    করেছে যেটা, সেটা কিছু অন্য ট্রিটমেন্ট। সেটা বাংলা সিনেমায় অন্‌য়্‌রকম। ক্লিশে প্রয়োগে বুদ্ধি ধরে। ক্যামেরা অন্যরকম। করিত্র দাঁড় করানো, বা গপ্প বলার স্টাইলটা খুব ভাল। দ্বিতীয় ছবি করা একজনের কাছে এগুলো পাওয়া কম নাকি?
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:৫৭493356
  • বিশেষত তার কাছে যে প্রথম ছবিতে অত ধেড়িয়েছিল
  • ridhhiman | 108.218.136.234 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০২:০৭493357
  • দেখুন, আমর বক্তব্য তাই ছিল রিপিটেবিলিটি নিয়ে। এখন আমি একটা সিনেমা বানিয়ে পরকিয়া, মাতলামি আর সেক্স ঢুকিয়ে কত কত ঢাক্কা মারতে পারি, আইডিয়া অছে? করণ যোহর বোধহ্য এই একি লজিকে নিজের সিনেমায় নভেল্টি খুজে বেড়ান। উনি প্রমথেশ বড়ুয়াকে রোজ রাম ঢাক্কা মারেন।
    তো আপনার বক্তব্য শুধু ক্যামেরা আর শট নিয়ে তো? তাহ্লে সত্তরেত দশক, রাগ, শরিরে বয়ে যাওয়া ক্ষতচিহ্ন নিয়ে কি বলছিলেন তখন?
    ক্যামেরার ব্যাপারটা বুঝলাম না। তবে তিন্‌খানা শর্তের কথা, তিনবার চোখের পাতা পড়া আমি 'বজিগরে'ই দেখেছি। আমার বক্তব্য, ট্রিটমেন্টেও ওটা নভেল কিছু না।
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০২:১৯493359
  • করনের সিনেমা আমার ব্যাপক ভাল্লাগে। KANK ইস্পেসালি।

    আর সত্তরের রাগ নিয়ে যে নন্দন তৈরী হয়েছিল সেটা তো বাস্তব। বাংলা সিনেমা তার থেকে বেরোতে পারল কৈ? বাইশে সেখান থেকে আলাদা, কারণ গপ্পে প্রচুর সুযোগ ছিল ঝাঁকে পড়ে যাবার। আল্টিমেটলি সিনেমা টা কোনো মেসেজ দিল না। এরকম মেসেজহীন সিনেমা দেখতে আমার যথেষ্ট আরাম লেগেছে। সত্তর থেকে একটা ব্রেক তো মিলল!

    বাংলা সিনেমায় নায়কের যে আর্কিটাইপগুলো তৈরী হয়েছিল এতকাল, তার প্রধান বাঁক্‌গুলোতে আপনি কাদের রাখবেন? আমি হলে রাখ্‌ব শাপমোচন আর সপ্তপদীর উত্তম আর তিন ভুবনের সৌমিত্র আর প্রতিদ্বন্দীর সিদ্ধারে্‌থ্‌ক। (অপু কে রাখ্‌ব না, কেন সেটা অন্‌য়্‌ত্‌র লিখ্‌ব।) সেই আর্কিটাইপ ভাংআয় প্রবীর একটা চেষ্টা হয়েছিল বলে মনে হয়েছিল আমার। যদিও শ্রীজিত পারেনি।

    সেই ভাংগাটাও সময়ের দাবী।
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০২:২৩493360
  • যথারীতি প্রচুর ছড়িয়েছি। সুধু টাইপো না। তিন ভুবনের সৌমিত্তিরিরের কথা বলতে চাইনি। বলতে চেয়েছিলাম আপনজনের রবি-র কথা। সামনে তিন ভুবন খোলা ছিল বলে ফ্রয়েডিআন সিলিপ খেয়ে গেছি.।:(
  • ridhhi | 108.218.136.234 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০২:৩৬493361
  • শুধু, বাংলার কথা ধরলে হয়তো ঠিক। বাঘবন্দি খেলায় উত্তমকুমার একটা উদাহরন। কিন্ত এস আ দর্শক আমার ওপর এফেক্টের দিক থেকে বললে, জিরো। আমি হিন্দী ইংরেজী সিনেমা দেখি, শুধু সাস্পেন্স খুনের সিনেমায় বেশী দেখি। সেখানে আমায় আলাদ করে কোন দাগ কাটে না।

    এখানেই আমাকে অবাক করে । কলকাতার এত লোকের এত ভাল লাগা কেনো? আমার স্যমপল সেট বায়াস্‌ড হতে পারে, এই বোন ফোন , পিশি মিশি ---এর একটাই কন্‌কুশান ওরা আর কিছুতে একস্পোস্‌দ নন, শুধু বাংলাই দেখে এসেছেন, আর অধীর আগ্রাহে এক একটা বাকের জন্য অপেক্ষা করে গেছেন। মজা করছি না, সিরিয়াসলি, ফেনোমেনোন টা বুঝতে চাইছি।
  • ridhhi | 108.218.136.234 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০২:৩৭493362
  • হ্নু, আপনজনের রবি ডেফিনিটলি।
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০২:৪৫493363
  • বাঘ্‌বন্দীতে উত্তমের একটা সলিড রিজন ছিল। সমস্ত ভিলেনির পেচনে একটা স্বার্থ ছিল। কিন্তু সুধু নিজের সাইকোগিরির জন্য নিজের ট্রাজেডি ডেকে আনা, সেটা ছিল না। এই কারণবিহীন ব্যাপারটাকে ভাবুন একটু। আমাদের সিনেমা কোনো যুক্তিকাঠামো কে অস্বীকার করার কথা ভাবতে গেলে তার গাঁড়ে ঠকঠকানি ধরে যায়। তাই তার নায়কের বা ভিলেনের সব কাজের পেছনে একটা লজিক কাজ করে। প্রবীরের রাগ, তার চারিত্রিক গঠন, বা তার খুনের পেছনে কোনো লজিক নেই, আর তাই কোনো ডেফিনিট মেসেজ নেই।

    আমি বাংলা সিনেমা তেই আপাতত আটকে থাকলাম। হলিউড বা অন্যান্য দেশের সিনেমায় এ জিনিস হয়ে পচে গেছে। আমরা তো বেসিকালি অশিক্ষিত, তাই হাজার বিদেশী সিনেমা দেখেও বুঝব না নতুন কি দেখলাম, যতক্ষণ না সেটা কেউ চোখে আংউল দিয়ে দেখায় বা করে দেখায়(বাইসাইকেল থিব্‌হ্‌স ভাবুন। আমরা পাত্তাই দি-ই নি যদ্দিন না পথের পাঁকালী কান গরম করা প্রাইজ পায়)।
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০২:৪৯493364
  • লজিক নেই কেন বলছি, বৌ বাচ্চা মরার পর আমাদের যুক্তিকাঠামো অনুসারে প্রবীর তার প্রিতিশোধ নিতে গিয়ে কেস খাবে এবং চাকরী যাবে। সেটা কিন্তু হল না। প্রবীরের চাকরি গেল তার নিজের কারণে। নিহিত পাতালছায়া :)
  • ridhhi | 108.218.136.234 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৩:৩১493365
  • আমরা খামোকা অশিক্ষিত কেন হতে যাব? এটা আপনি কি বললেন? প্লীজ এই আত্ম-গ্লানির প্রবন্‌চনায় ঢুকবেন না। বাক আপ। আপনি কি আমার কথায় মন খারাপ করে বসলেন?

    উত্তম কারণ এর জন্য করেছে, একটা সেয়ান ধান্দাবাজ শয়তান , তবুও পাবলিক সিম্পাথি উপড়ে নিচ্ছে , এটাই তো বিপ্লব। পাগল নিয়ে আমদের এটিচুড টই হল, মাথায় হাত বুলিয়ে, 'পাগলা ছেলে একটা', আত্মোভোলা, নিউরোটিক। প্রসেনি্‌জত আমার বোন আর পিসীর পাগলে্‌দর প্রতি এই টিপিকাল ম্যটার্নাল পেট্রোনেজ এক্‌স্‌প্‌লয়েট করে প্রথাগত বাঙ্গালি সেন্টিমেন্টের স্টয়াটাস -কো বজায় রেখেছেন।
    বাঘ-বন্দীর উত্তম বা ডন্টু-র শহ্রুখ হল কোল্‌দ র‌্যাশনাল ক্রিমিনাল। কোথাকর কে পরমব্রত তাকে প্রেমের এদভাইস দিচ্ছে, রাইমাকে ফাইভ স্টার খাওয়া , পদ্মফুল দে। মানে পাগল হয়েও পোড়ো বাড়িতে থেকেও , 'অমর সঙ্গীর' পুরনো ছেদোমি গুলো ইন্ট্যাক্ট। পরম ভাগ্যিস ঐ পো: বা:তে রইমাকে নিয়ে যাইনি, নাতো আবার আবার সেই কামান গর্জন। এখন এটাও না যে এই ডায়ালগ ইউস করে ওর কোন স্বার্থ-সিদ্ধি হচ্ছে। যাস্ট বেরিয়ে গেছে, মনের নিহিত ম্যাডক স্কোয়ার।
    ওদিকে উত্তম নিজের ছেলের সাথেও প্যাচ কষছে। নিরবচ্ছিন্ন হারামিত্ব। তাই আমার পিসির মা, শিবরাত্তিরে ফোটো নিয়ে যেতেন। পুরনো দিনের লোকেরা ভেজাল খেতেন না।
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৩:৪৬493366
  • যাহ, এতক্ষন ফ্রন্‌ট্‌ফুটে খেলে এখন আপনি-ই ডাক করছেন তো। বিশুদ্ধা হারামীদের দর্শক চিরকাল ভালবেসে এসেছে তো! সেটা উত্তম বলে নয়। শেষ অঙ্ক তে উত্তমের বদলে হরিদাস পাল থাকলেও ঐ আউট এন্ড আউট ভিলেনকে লোকে ভালবাসত। মগনলাল মেঘরাজ পাব্লিকের সিটি পায় না?

    ওর পেছনে উত্তম এক্সট্রা ফ্যাক্টর না। ফ্যাক্টর হল আমাদের অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো। আমরা প্রতিটা লোক ভেতরে ভেতরে ওরকম হারামী হতে চেয়েছি। আমরা চেয়েছি ভাইকে ঠকিয়ে বাড়ী আদায় করতে বাসের ভেতর যে লোকটার মুখ আমার পছন্দ নয় তার চোখদুটো গেলে দিতে বন্ধুর বৌকে চুলের মুঠি ধরে বিছানায় টেনে নিয়ে যেতে পিস্তল মুখে গুঁজে ভয় দেখাতে নিজের সব অসব্‌হ্‌য়্‌তম ফ্যান্টাসিগুলো বাস্তবে দেখতে। সেগুলো পারিনি যখন তখন চোঁয়া ঢেঁকুরকেই বিরিয়ানির মাংস ভেবে হল জুড়ে হাত্তালি দিয়েচি। আরে ভাই আমি পারছি না কিন্তু পঞ্চাশ টাকা টিকিট খরচ করে হলে যে ইমেজটার ওপর রোয়াব ফলাচ্ছি সে আমার কাজ্‌গুলো করে দিচ্ছে। আমার বাজে হওয়ায় সমাজের রকে্‌ত্‌চাখ আছে। এখানে ওসব কিসসু নেই।

    পানু পড়ার আনন্দের সাথে এর বিশেষ তফাত নেই। দুটোতেই সেম ফ্যান্টাসি ফ্যাক্টর কাজ করে। সেই ফ্যাক্টরকে ফ্যাক্টরি বানানো হয়েছে বহুকাল। এতে উত্তম মধ্যম কারোর কোনো আলাদা কϾট্রবিউশন নেই।

    সিনেমার সেকেন্ড হাফ তো ধ্যারানো, আগেই বলেছি। যেখানে পরমকে ম্যাডক্স মার্কা ডায়লগ দিচ্ছে, বসে দেখা যায় না! কিন্তু সম্ভাবনা ছিল প্রচুর।

    আর বাংআলী দিনে দিনে অশিক্ষিত হয়ে যাচ্ছে এটা বিশ্বাস করি তো। মন খারাপের তো কিছু নেই :)
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৩:৫৮493367
  • বরং আতে্‌ম্‌ব্‌হালা পাগলদের নিয়ে আমরা মুখে সহানুভুতি মারালেও ভেতরে ভেতরে খিল্লী করি, কারন আমরা কেউ ওরকম ন্যাকাচোদা হতে চাইব না। একবার ভাবুন না যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল নামের একটা অসহ্য সিনেমার কথা। যেখানে ন্যালাখ্যাপা নায়ককে পুরুষ্টু স্বাস্‌থ্‌য়্‌বতী ঠোঁট এগিয়ে দিলে নায়ক বলে `তোমার চোখটা ছোঁব`? হলে হয়ত হাত্তালি পড়েছিল, আঁতেল সিনেমা ভেবে প্রাইজ টাইজ-ও পেয়েছিল। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, আপনি নায়কের মতন করতেন? আমি মাইরী জীবনে করতাম না। ফাঁকা বাড়ীতে কম জামা পরা একটা মেয়ে আমায় সিডিউস করছে, আর আমি কি গান্ডু নাকি যে তার চোখ টাচ করব?

    ওসব চরিত্র নিয়ে আমরা সেমিনার করতে পারি, নিজেরা ফুল বেলপাতা চড়াব গব্বর সিং-এর পায়েই।

    বরং ঐ সিনে কোনো নায়ক মেয়েটাকে ধরে প্রচুর চুমাচাটি এবং আনুসংগিক জিনিস্পত্তর করলে আমরা ভেতরে ভেতরে তাকেই টুপি খুলব। আরে আমি পঞ্চাশ টাকা খরচ করে টিকিট কেটেছি, চোখ দেখব বলে? আমার না পারাগুলো তুই zঅদি না করতে পারিস, তুই কেমনধারা ক্যাবলা কার্তিক?

    যুগে যুগে এই জিনিস হয়ে এসেচে। শুধু তার ওপর ভদ্রতার নিকোটিন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে আমাদের ন্যাকা পাগলদের পছন্দ

  • pi | 72.83.80.169 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৪:৪০493368
  • কিন্তু সেন মহাশয়, তাহলে তো যুগ যুগ ধরে ভিলেনের সাথেই সবাই বেশি করে আইডেন্টিফাই করতো।
  • Ritam | 180.215.67.41 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৪:৪৮493370
  • ঋদ্ধিমানবাবুর কথা বলতে পারব না, ইদানিং কালের বাংলা ছায়াছবিতে এত smart চিত্রনাট্য বা পরিচালনা আমি তো ভাই দেখিনি। আর প্রসেনজিতের জীবনের সেরা রোল এটি। ও যে অভিনয় আদৌ পারে, এটা না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। ঋতুপর্ণর একবার শিখে নেওয়া উচিৎ, কি করে ওকে handle করতে হয়। রজতাভ ইত্যাদি মঞ্চ অভিনেতাদের না ধরলে এই রোলটায় বাংলা সিনেমার জগতের আর কাউকে কল্পনা করা কঠিন। রাইমা কে আমার বেশ ভালো লাগে, তবে ওকে অভিনেত্রী বলা চলে কিনা সে সন্দেহ আমার মনেও প্রবল। তাই বলে পাওলির থেকে better কাউকে যদি না পাওয়া যায় ওর জায়গায়, বাংলা সিনেমায় অভিনেত্রীমহলের হাল শোচনীও মানতেই হবে। আর একটি বিষয় লক্ষণীয়, যে পরিচালক বুদ্ধি করে প্রসেনজিতের প্রতিটি মোক্ষম উক্তির পরে একটু করে হাততালি সিটি প্রভৃতির খাতিরে pause দিয়েছে। হলে ছবিটি দেখার পর আমি এই সিদ্ধান্তের সুবিবেচকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে অপারগ। সিনেমার গানগুলি ভালো, এবং appropriate। মোটের ওপর, অসাধারণ কোনদিন থেকেই নয়, তবে অত্যন্ত উপভোগ্য একটি বাংলা thriller, যা শেষ কবে তৈরী হয়েছে বলা কঠিন।
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৫:২১493371
  • করে তো..ভিলেনের সাথেই তো ম্যাক্সিমাম আইডেন্টিফাই করে। হীরোর সাথে করে তখন যখন উল্টোদিকে কোনো জবরদস্ত ভিলেন থাকে না। যেমন আমাদের হিন্দী সিনেমা যেখানে ভিলেনগুলো হয় ম্যাক্সিমাম ছ্যাঁচড়া (রাতের অন্‌ধ্‌কারে লুকিয়ে গরীব(=ভাল) মেয়েকে রেপ করতে আসে, এদিকে হীরোর আংগুলের টুসকিতে মাটিতে গড়াগড়ি খায়) অথবা আসলে ভিলেন নয় (আমারো তো সাধ ছিল আসা ছিল মনে এটে্‌সট্রা, কিন্তু এই পাপী সমাজ আমায় কুত্তা বানিয়েছে, তবুও আমি চাই ভাল হতে, আর আমি জানি ছবির শেষে আমি ভাল হয়ে যাব নিজের বোনের সাথে গরীব (=ভাল) আদর্শবাদী কিন্তু আসলে ভেতরে ভেতরে সিংহহৃদয় (=ডবল ভাল, কারণ পুরুষতান্ত্রিক) চিকনাটার বিয়ে দেব পথের ভিখিরিকে ফিরিয়ে দেব তার লুঠ করা সম্পত্তি পুলিশের কাছে আত্‌ম্‌সমর্পণ করব)। কিন্তু যেখানে জবরদস্ত ভিলেন জ্বলজ্বল করচে, সেখানে নায়ককে বরাবর বলে এসেছি সাইডে বোসো, সে যতৈ আকর্ষণীয় হোক না কেন। উদাহরন ব্যাটম্যান।

    শুনুন পাইদি, নায়কের যে গুনগুলো আছে সেগুলো ছোটবেলা থেকে সমাজ আমাদের ভেতরে ভেতরে হাতুড়ি মেরে ঢোকাবার চেষ্টা করে। তাই নায়ককে পর্দায় দেখে আমাদের বাড়তি কোনো স্টিমুলেশন হয় না। হয় সেখানে যেখানে সে আলাদা। মানে ভিলেন ঠ্যাংগাচ্ছে বা মেয়ে পটাচ্ছে। এগুলো সমাজ আমাদের করতে বলে না। কিন্তু লক্ষ্য করবেন, নায়কের আর্কিটাইপে এগুলো কোনো স্টেটমেন্ট-ও নয়। স্টেটমেন্ট হল, তার ভদ্র চরিত্র, আদর্শ, সততা এগুলো। সে প্রেমে কমিটেড, দারুন স্বামী, ঠকায় না-এই গুণগুলো বার বার হ্যামার করা হয় আমাদের মুভি-দর্শনে। কিন্তু এগুলো ছোটবেলা থেকেই আমাদের মাথায় গেঁথে আছে। তাই নায়কের মধ্যে আলাদা করে এগুলোকে আমরা আইডেন্টিফাই করি না। যে জিনিসগুলো আমাদের মেটাবার, তা হল ইদ। সেই ইদ-কে খুঁজে নিতে থাকি ভিলেনের মধ্যে। কারণ এটা আমার পরম সততার জায়গা, যেখানে কোনো মুখোস নেই। এই জায়গাটায় আমার ফ্যান্টাসি আমারি হাতে। কোনো সমাজের রক্তচোখ এখানে দাঁত-নখ বার করবে না। তাই ভিলেন আসলে সততার পরাকাষ্ঠা। কারন সেখানে আমার ক্যাথারসিস। আর তাই, যুগে যুগে আমরা পুজো করেছি আসলে দুখানা জিনিসের-চরম ভাঁড়ামি এবং পরম হারামি। আমাদের আরাধ্য সর্বদাই শয়তান। যা আসলে পাপ, তা হল পুণ্য। আর যা আসলে পুণ্য, তা হল পাপ।

    ভিস্যুয়ালের বাইরে, বই নিয়ে যদি বলতে বলেন, দু:খের কথা, বাংলা সাহিত্যে কোনো ভিলেন নেই। এক ও একমাত্র টোটালি ব্ল্যাক ক্যারেকটার ছিল জগদীশ গুপ্ত-র অসাধু সিদ্ধার্থ। কিন্তু সে আর কজন পড়ে!
  • Ritam | 180.215.67.41 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৫:৩০493372
  • পুরোটা পড়লাম। প্রসেনজিতের মুখে বিশেষ কিছু আসেনা, এবিষয়ে আমি ঋদ্ধিমানবাবুর সাথে একমত। তবে শরীরি ভাষাটা তো কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, এবং সেখানে লোকটা যথেষ্ট দক্ষ অভিনয় করে গেছে। গৌতম ঘোষের অভিনয় আমার ভালৈ লেগেছে - নাটকীয়, কিন্তু চিত্রনাট্যের সাথে সামঞ্জস্য না হারিয়ে - এমনকি এও বলা চলে, চিত্রনাট্যের চাহিদায়। আর সিদ্ধার্থবাবুর সাথে আমি একমত, সেরা অভিনয় নি:সন্দেহে দেবুর চরিত্রে। ছেলেটা তখন চোখে পড়েছিল, দুটো সিনে এসেছিল, দুটো সিনেই। এখন আবার মনে পড়ে গেল। পরমব্রত কে দিয়ে আর হচ্ছে না। ওর মধ্যে এখনও উপাদান আছে হয়ত, তবে সেটা বার করে আনার মত কারোর হাতে পড়ছে না।

    আরেকটা জিনিস হঠাৎ মনে হল - শেষের মোচড়টার সঙ্গে WitnessfortheProsecution এর একটা হাল্কা মিল আছে না? বিশেষত এই পুরো ব্যাপারটা বড্ড বেশী ছকে পড়ে গেল এই খটকাটা।

    Hollywood এর নিরিখে দেখলে এই ছবি নেহাৎই সাধারণ, সন্দেহ নেই। তবে কি, Tarentino বা GuyRitchieর সিনেমা দেখতে দেখতে আমাদের তো ইচ্ছে করে, যে বাংলায় এরকম ঝক্‌জ্‌হকে কিছু ছবি আসুক। যে ছবি কালজয়ী না হোক ক্ষতি নেই একটুও, কেবল দেখার পরে কেউ আঙ্গুল ছোঁওয়াতে পারবে না। বাইশে শ্রাবণ তারই একটা ক্ষীণ ইঙ্গিৎ বহন করে। আর কোন মূলস্রোতের বাংলা ছবি তা করেছে গত বিশ বছরে?
  • Ritam | 180.215.67.41 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৫:৪২493373
  • সিদ্ধার্থ: TheGood, theBadandtheUgly তে কিন্তু এ হিসাব ঠিক খাটছে না। TheBad চরিত্রটি কোনদিক থেকেই ম্যাদামার ভিলেনের পর্যায় পড়ে না। তার ব্ল্যাকত্ব থেকে একবারের জন্যও তাকে সরতে দেখা যায় না। TheGood এর তীব্রতার কাছে হার মানে ঠিকই, তবে তাকে আঙ্গুলের টুসকিতে গড়াগড়ি খায় বলাটা নেহাৎই অন্যায় হবে। তবু লোকে TheGood এর সঙ্গে বেশি identify করে। (হয়ত তার থেকেও বেশি করে TheUglyর সাথে, এবং সেও হয়তো একটু lovable গোছের TotalBlack হিসেবেই গণ্য, তবে তাকে আপাতত বাইরে রাখলাম।) এখানে তো হিসেব মিললা না!
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৫:৫৬493374
  • ক্লিন্ট কে কেন ভাল্লাগে বলুন তো? উত্তরের মধ্যেই এতক্ষণ ধরে আমি যা বললাম তা পেয়ে যাবেন।

    ক্লিন্ট-এর মধ্যে ভালত্ব কতটুকু? সে তো ভিলেনের বাবা! শেষ হারামীপনাতেও ভিলেনকে টেক্কা মেরে যায়। ইন ফ্যাক্ট শেষে যা করে সেটা তো অমানুষিক। তবু সেই কারণেই আমরা মাথার টুপি খুলি। কারণ সে ভিলেনকে হারায় ভাল-ছেলে হয়ে নয়, বরং আরো বেশি শয়তানী বুদ্ধিতে
  • ridhhi | 108.218.136.234 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৬:২৯493375
  • ইতম বস, উইটনেস ফর দ্য প্রসিকিউশানের চমক একটু আলাদা ধরনের। ওটা ভাবতে দশটা সৃজিত লাগবে।

    সিদ্ধার্থ বাবু , এক কথায় বল্লে, আপনার বা: শ্রা: র শ্রেষ্ঠত্বের থিসিস দাঁড়িয়ে আছে আপামর বাঙ্গালীর বোকাচোদাত্বের ওপোর। মানে দেশী,আন্তর্জাতিক সিনেমার তুলনায় বাল, তবে বাংলার জন্য ঠিক আছে, তাই তো?
  • ridhhi | 108.218.136.234 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৬:৩৭493376
  • সরি , রিতম
  • lcm | 69.236.174.254 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৬:৪৬493377
  • বাইশে সাবোন - এ সিনেমা কি কেউ দুবার দেখেছে?
    বচ্চনকে দেখার জন্যে আটবার দীওআর দেখার কথা বলছি না, বা, বার্লিনে গোল্ডেন বেয়ার পেলে লোকে হামলে পরে দেখে, সে দেখার কথাও বলছি না।
    ঐ হয় না অনেক সময়, এক একটা সিনেমা দেখলে কেমন ঘোর লাগে, মনে হয়ে পরে সময় পেলে আর একবার দেখব - সেরকম কিছু কারও মনে হয়েছে? কিউরিয়াস্‌।
    গান নিয়ে একটা কথা, ২০২০ সালে কি এই গানগুলো কেউ পয়সা দিয়ে কিনে শুনবে, আচ্ছা ২০১৫ তেই কি শুনবে - কি মনে হয়?
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৬:৪৭493378
  • এক্‌দম। এ বিষয়ে কোনো ইল্যুসন রাখাটা কাজের কথা না।

    যারা গত ৪০ বছর ধরে কোমল গান্ধারের মতন একটা মাথা ধরিয়ে দেওয়া সিনেমা নিয়ে গদগদ থাকে (যার দৃশ্যগুলোর ২০% অমানুষিক ভাল আর বাকি ৮০% ডাস্‌ট্‌বীন আর যার সাবজেক্ট নিয়ে আগেই ওর থেকে হাজার গুণে ভাল বহু সিনেমা হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে) সেই জাতির ভাগ্যাকাশে একটা বাইশের শক থেরাপি-ই অনেক। সামলাতে পারলে হয়।

    পীপল গেট দ্য বাইশে দে ডিজার্ভ
  • lcm | 69.236.174.254 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৭:০৩493379
  • ধুস্‌, বাইশে শাবোনে কোনো শক্‌ নাই। খিস্তিওয়ালা ডায়ালগ কি শক্‌? রিতুপন্নোর সিনেমায় ছিল না? আরো কত শত সিনেমায় হয়ত আছে, কে আর খিস্তির খবর রাখে।
  • lcm | 69.236.174.254 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৭:৩৬493381
  • তবে সিদ্ধার্থর রিভিউটায় কি নেই!
    -- ব্রণ দিয়ে শুরু... লার্জার দ্যান লাইফ, এবং, আর্কেটাইপ... তারপরে এলো স্বপ্নহীনতা (তবে ফ্রয়েড এনে ফেলেনি), তারপরে অন্ধকার - অন্ধকার সময়, সাময়ের উত্তরসাধক। তারপরে আবার লার্জার দ্যান লাইফ। ফর্ম ভাঙাভাঙি অ্যানালিসিস.... মধ্যে মধ্যে রেফারেন্সে এসেছে পাটেকর, বচ্চন, কাপোলা (তুলনা চলবে না) ---

    গুরুর পাঠকদের আঁতেল বলে আওয়াজ দিয়েছে - কিন্তু নিজেই রন্ধ্রে রন্ধ্রে আঁতলমো ঠুসে দিয়েছে :)

    এই হয়েছে আজকাল এক ইস্টাইল, কোমল গান্ধার আঁতেল সিনেমা, কিন্তু, বাইশে শ্রাবণ নয়। কি কনফিউশন মাইরি!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন