এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৫৮৬১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sutapa Mukherjee | 113.240.96.103 | ১৪ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:১৮508770
  • সময়ের সাথে সাথে

    এক একটা দিন পার হয়ে গেলে
    নিজেকে লিপিবদ্ধ করি
    হারিয়ে যাওয়া তালিকায়
    দুচোখের অশ্রু ভিজিয়ে দেয়
    বুকের আচল
    সময় ডাকছে বলে
    সন্তানদের আদরে আদরে ভরিয়ে দিই
    সহন্শীলতার সাথে ভাব জমাই
    নিরুত্তাপ সব রং মোহ যায় সরে
    অব`গআর কাটাঁতার পেরিয়ে
    মনের ভালোবাসা সবটুকু
    সবার সাথে ভাগ করে নিতে চাই।

    অনুমিতা

    তীব্র দহন
    "অনু-মিতা" তুনি শীতল ছায়া হয়ে
    কেড়ে নিয়েছ মন
    তোমার শরীরে খেলা করছে
    উদাসী বাউল ভোর
    ললিত ঠোটে ঈশৎ কামনার অভিলাষ
    তোমার বেপুথ মন
    হঠাৎ ফিরে পেয়েছে পথ নিরন্তর
    চুপি চুপি চলো উঠে পড়ি
    প্রেমের পাহাড় চুড়োয়-
    জাপটে ধরি তোমার শাড়ীর অচঁল
    শুন্য থেকে গঢ়িয়ে পড়া অবসন্নের পাথার
    থেঁতলে দিক আমাদের বেহুদা জীবন।
  • Sutapaa Mukherjee | 113.240.96.103 | ১৪ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:৫১508771
  • ম্যাজিক

    ছ্ন্দহীন জীবনে
    বার বার ফিরে আসে আরতনাদ
    পুরানো বইয়ের ভাজে
    শুকনো গোলাপে
    শুনি কান্নার নহবত।
    একাকীত্বের ট্রাপিজের খেলায়
    আমি এখন ক্লাউনের ভুমিকায়
    লজ্জা, ঘেন্না লুকোনোর জন্য আজকাল
    মুখোশ পড়ি।
    মনে হয় - আমার থেকেও ভালো আছে
    রাস্তার মোড়ের ঐ অন্ধ ভিখিরি
    ক্রমশ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে চ্শমার কাচঁ
    ভাবি হঠাৎ যদি খুঁজে পাই
    আলাদীনের আষ্চয প্রদীপ
    'ম্যাজিক' রিয়েলিটির শোয়ের মতন
    বদলে যাবে সব।
  • ranjan roy | 24.96.20.222 | ১৪ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৩১508772
  • ডিডি উবাচঃ ভাম কিংবা উত্তর-ভামেদের কবিতায় বেশ একটা স্নিগ্ধ টেস্ট থাকে।

    ঃ)))))))। মন ভালো হয়ে গ্যালো।
  • sosen | 111.63.157.137 | ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ২২:০৫508773
  • ওর'ম করেই তো একদিন জেগে উঠলো যোজন
    চিবুক কাঁটাতারের বেড়া দিলো চতুর্দিকে
    গোল, শান্ত শিল্পী আঙ্গুলগুলি
    মুঠোর মধ্যে গুটিয়ে নিলো নিজেকে।
    সে তো কতকালের কথা। মাটির আবরণে ভরাডুবি।
    বড্ড বেশি পঞ্চায়েত
    বড্ড বিচার, বড় বেশি কথা
    ভীষণ ঘূর্ণি, ছিটকে দেয়না, শুধু টেনে আনে
    সেই এক কুয়োর দিকে।

    মুক্তি দাও, বলতে গিয়ে
    একটা লাল ফেস্টুন মুড়ি দিয়ে
    ফুটপাথের কোনায় বসে রইলো চুপচাপ।
    কি যে চেয়েছিলো ছাই। এখন ছাইয়ের মধ্যে মাথা গুঁজে দিলে
    আরাম। শ্বাস বন্ধ হলে।

    টিউব নয়। সবুজ পর্দা নয়। ফুলতে থাকা, ফাটতে থাকা রক্তবাহ নয়
    একটু সন্নিধি। জোড়া লাগা যেখানে স্বয়ংক্রিয়
    অমনি
    যেমন এক বৃষ্টির রাতে হেমন্তর গানের ছাতে
    সহসা ঠোঁটের ওপর বসে যাচ্ছিল ঠোঁট
    কথা না বললে
    সেই ঝড়ের রাত আরো ঝড় নিয়ে আসতো কি? কে জানে
    যেমন সাদা আলোর বিচ্ছুরণে আমার সমস্ত রোম নিজেকে গুটিয়ে নেয় ভিতরপানে
    যেমন রাস্তায় বাস না দাঁড়িয়ে, আমাকে না তুলে সবেগে ছুটে গেলে
    একটা হাত তুলে রেখেই আমার চোখে ভরে আসে জল,অভিমান
    ওরা তো আমায় চেনেনা। সেই ভেতরটা, সেই ক্লোরোফিললেস সাবিনা-সুমন

    আমি সেই আলমারিটা খুঁজে চলেছি
    যেখানে একদিন তুমি আমাকে তুলে রেখে দেবে বলেছিলে
    সযত্নে , লেসের ঘেরনটোপে
    দামী কাঁচের পুতুলের মত

    এখন আমি নিজেই নিজের লকার হতে চাই
    কিন্তু সেসব তো ভুল। কেউ যখন ওপাশ থেকে হেসে বলে
    "হাম হ্যায় না!" তখন মনে হয়
    মন্দ নয়, এই রুক্ষ ঘষাঘষি
    এই চাবুকের শব্দ, এই মাথার পিছনে ফুলে ওঠা দপদপে শিরা
    কয়েক ঘন্টা কিংবা একটা জীবন

    কয়েকঘন্টার বেশি
    হাত ধরাধরির বেশি
    ধাবায় প্রাতরাশ আর ফোনের হেসে লুটিয়ে পড়া
    অসংখ্য জমে থাকা আবদার
    একটা রাস্তা আর কত দিতে পারে? কিংবা কয়েকটা রাস্তা?

    তার চেয়ে গুটিয়ে যাই
    রাস্তা ছেড়ে নরম হিউমাসের জঙ্গলে খালিপায়ে
    গড়িয়ে যাই আস্তে আস্তে
    এক নিঁখুত পূর্ণ সঙ্গম হয়ে মিশে যাই
    ফার্ণের পাতার সেই কচি পাতাটার মত
    আগার কচি কোষটার মত
    রান্নার সময়
    হাঁড়ির তাপে
    ফেটে যাওয়ার আগে অব্দি
    যে নুনের স্বাদ জানেনি
  • ফরিদা | ২০ এপ্রিল ২০১৪ ০১:১৬508774
  • রাশিফল
    আপনার আজকের চাঁদ একলাই মাঝরাতে হাজিরা দিতেও পারে পাশ ফিরে, হেলে। আজকে আপনার ডালে নুন কিছু বেশি, বেড়াল ফিরবে ফের পাড়াটি বেড়িয়ে। রাত বেড়ে গেলে আলো সহনীয় হবে ক্রমে। যোগাযোগ বিহীন বন্ধুকে ফোনে না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
    শেষরাতে পিপাসাও হবে, ঘুমচোখে জলের বোতল যেতে পারে উল্টিয়ে।

    আবহাওয়া
    উপকূল বিপজ্জনক হয়ে থাকতে পারে। সারাদিনই মুখর থাকবে টিভি, ব্রেকিং নিউজ সংক্রান্ত নিম্নচাপ চলবে। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বিরক্তির হেরফের থাকবে না। আপনার আপেক্ষিক মৌনতার পরিবর্তনে শব্দরা আজকের দিনে এসে যেতে পারে, অনাহূত।
  • শ্ব | 24.99.48.156 | ২১ এপ্রিল ২০১৪ ০৬:৩৪508775
  • যুজ্
    -----------------

    সবজায়গায় ছুঁলে
    সমান
    শব্দ হয়না ,
    আর সব ছোঁয়াও
    সমান নয়
    এই সত্য জেনে
    এযাবত
    মাংসের
    ফ্রেট বোর্ড ছুঁয়ে যাই , প্রতি টা নদীর
    মাঝে আমিই
    বদ্বীপ ,শুধু এই ক্লান্তি বয়ে
    শুধু
    কাদা ,আপাতত
    বে
    ঞ্জ
    ফে

    ল আর
    একবার
    যখন ডেকেছি , যত
    বলি ফিরে
    যাও আর কটা
    দিন
    দেখি ,আমি
    জানি
    তুমি ফিরবে না ।।
  • শ্ব | 24.99.96.126 | ২১ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:৪৪508776
  • ল্ব

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    আমি শুধু কব্জি থেকে হাত কেটে নেওয়ার
    স্বপ্ন দেখি । ডুমো আঙ্গুল কাটার । সরু মোটা
    বেঁটে সসেজে
    গোলমরিচ ছড়িয়ে পরিবেশনের
    আর কেও ধরে খেয়ে নিচ্ছেনা বলে শান্তির
    পায়রা রা উড়ে যায়
    যত্রতত্র
    বিষ্ঠায় ভরে রাখে
    প্রহরের ব্যালকনি গুলি । ক্ষেপে যাই । শান্তি কে ছুটি দি
    অনির্দিষ্টকাল
    দুমাসের মাইনে বুঝে দিয়ে আর
    মাংস কাটা
    ছুরি কিনি ক্রমশ ধারালো ; ইচ্ছে খাতায়
    থাকে মাটুন মশালা
    মেখে
    খুব চেটে খাচ্ছি ফ্লেক্সর , লিপিড আচারে মাখা এইসব ছবি ।।
  • Tim | 188.91.253.21 | ২২ এপ্রিল ২০১৪ ১২:১৭508777
  • এই শেষেরটা ঃ-)
  • dd | 132.171.85.209 | ২৫ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৪৬508778
  • কাল্ট ফ্রাইডের দায়বদ্ধতার আনুসাংগিক অংগীকারবদ্ধ এক মোজাজ্বালানিয়া ন্যাকাটে হাপ বিষন্ন পদ্য বিমর্শ................

    এক এক করে,চেনা চোখের ফুল, ফুলের মালা,
    ডুবছে
    আর ভেসে যাচ্ছে দুরে। সারা দুপুর
    শহরের খুব জ্বর, জ্বলছে আর খাক হচ্ছে
    মেঘ। কুয়োয় তো আর জল নেই এক ফোঁটা।
    তেষ্টা পেলে ?

    গলায় খালি পেঁচিয়ে যাচ্ছে
    অশেষ গোখুরাটি।
  • শ্ব | 24.96.99.126 | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৫৬508780
  • পুষ্টিকর লাঞ্চের রেসিপিসমূহ # ৩

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    খ্যাল করে দেখুন , আমরা কিন্তু চড়াই দের
    পকোড়া বানিয়ে খাচ্ছিনা বা
    ওলে বাবালে কী
    কিউট বানিদের হোমাগ্নি তে যত্পর
    সেঁকে ? আমরা তো বেড়াল
    বাচ্চাদেরও খপ করে ধরে ছাল গুটিয়ে
    নিয়ে হালকা বেসনে ডুবে
    কুড়মুড়ে এদিক ওদিক ! বা কেও কেও খাচ্ছে এসব ।
    প্যাকেটে সুন্দর করে মুড়ে
    দিলে গায়ে থাকলে ইস্কুলের নাম
    ডুমো ডুমো ফালা ফালা সিনা রান মালিনী স্রগ্ধরা
    সকলি চালানো যায় ,
    শুধু বাথরুমে গ্রাফিত্তি আঁকা মানা ||
  • সম্রাজ্ঞী | 212.142.103.233 | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ২১:৪৪508781
  • য্যাইসে ফিল্মো মে হোতা হে হো রাহা হে হুবাহু
    *****************************************************

    তিন বছর আট মাস সতেরো দিন পর আমি অরণ্যানি চ্যাটার্জি সাদার্ন এভিনিউর রাস্তা দিয়ে বিকেল পাঁচটার সময় একা হেঁটে যাচ্ছি।আকাশের মেঘ গুলো নিজেদের মধ্যে ধরাধরি খেলছে,বৃষ্টি তাদের মধ্যে দিয়ে ছুটে বেরিয়ে আসতে চাইছে,কিন্তু আকাশ আজ “আরেকটু পরে,একটু বোস” ঘ্যান ঘ্যান করে বৃষ্টিকে আটকে দিচ্ছে বারবার।আর আমিও তাই আকাশের ওপর রাগ করে আরো আরো আরো জোরে হেঁটে যাচ্ছি।তার প্রধান কারণ জোরে হাঁটবার মধ্যে এমন একটা গতি আছে যা মানুষের বা অন্তত আমার চিন্তা প্রবাহর গতিকে ধীরে ধীরে ক্লান্ত করে দেয়।অতএব আমার থিওরি অনুযায়ী আর খানিক্ষণের মধ্যেই আমার রাগ কমে যাবে। আকাশের ওপর এই রাগের আরেকটি কারণ হল যে আকাশ ছাড়া এই মুহূর্তে আমার রেগে যাওয়ার মত আর কেউ নেই এবং রেগে যাওয়াটা খুবী জরুরি , সঙ্গে ক্লান্ত হয়ে যাওয়াটাও,কারন এই দুটো প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেই একমাত্র মাথার মধ্যে একটা নেশা নেশা ভাব জন্ম নেয়,এবং তার থেকে মানুষ বা অন্তত আমি এমন অনেক কিছু বুঝতে পেরে যাই,যা সাধারনত আমার মস্তিস্কে কোনভাবেই ঢোকবার কথা নয়।

    আমি অরণ্যানি চ্যাটার্জি,আজ থেকে আঠাশ বছর আগে কোনো এক পুরোনো পাড়ার বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত বাড়িতে হয়ত কোনো এক বৃষ্টির দিন জন্মেছিলাম।স্কুলে ঢোকবার আগে অব্দি আমি কথা বলতে পারিনি,এবং যেদিন থেকে পেরেছিলাম,সেদিন থেকে আজ অবদি খুব প্রয়োজন না পরলে,থামিনি।জীবনে দুটো কাজ খুব মন দিয়ে করেছি,এবং লোকে বলে,সফল হয়েছি।এক,কথা বলা।দুই,ভালবাসা।সকলেই আমাকে কম বেশী ভালবেসেছে,এমনকি খুব বেশীরকম ভালবেসেছে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়,কিন্তু ছোটবেলা থেকে আজ অবদি কেউ আমাকে কোনদিন ভরসা করেনি। জীবনের তিনশ কোটি তেরো লক্ষ,বাহাত্তর হাজার,নশো উন আশি রকমের ক্ষোভের মধ্যে এটা একটা এবং অন্যতম।এবং আরেকটি আপনারা সকলেই জানেন,আজ এই মুহূর্তে বৃষ্টি না পড়া।

    আকাশের রঙ আবছা হচ্ছে ক্রমাগত,আর আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি,আকাশের গায়ে একফালি সাদা মেঘের দু পাশে কমলা এবং সবুজ রং,যদিও নিজের চোখকে একেবারেই বিশ্বাস করছি না,কারণ আমার ধারনা, যেকোনো দেশের মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার রঙ তার দেশের পতাকার রঙ হয়েই দেখা দেয়,এবং আমিও এ ক্ষেত্রে হয়ত তার ব্যতিক্রম নই।তাই আর যা দেখছি তার সবটা সত্যি হলেও এই ব্যাপারটা স্রেফ আমার ইলিউশন বলেই ধরে নিচ্ছি,কিম্বা এটাও হতে পারে যে এতক্ষন হাঁটতে হাঁটতে আমি সেই নেশা নেশা স্তরটায় পৌছে গেছি যে স্তর টায় পৌছলে আমার থিওরি অনুযায়ী এখন আমার সমস্ত না বোঝা জিনিস বুঝতে পারার যথেষ্ট সম্ভবনা আছে।তবে একটা ব্যাপার আমি শুরু থেকেই বুঝতে পারছি,যে আজ এতদিন পর একটা তুমুল স্বাধীনতা বুকের ভিতর থেকে উপলব্ধি করছি,যে স্বাধীনতাটাকে আমার ভালবেসে,আদর করে, “আহ!” বলে ডাকতে ইচ্ছে করছে।

    প্রায় সারে তিন বছরের এই অর্থহীন একটা বাঁধন থেকে বেড়িয়ে আসতে পেরে মনে হচ্ছে যেন মাউন্ট এভারেস্ট জিতে ফেলেছি।আর ঐ আকাশের মাঝখানে আমার পতাকা।কিন্তু সত্যি বলতে,ভিতরে একটা খচখচানি রয়ে যাচ্ছে।এত সহজে “ব্রেক আপ”টা হোক আমি একেবারেই চাইনি,আমি একদম সাধারন নাটুকে বাঙ্গালী।প্রেম মানেই আমার কাছে ছিল হিন্দি ছবির মত গাছ ধরে নাচা,সারাদিন ফোনে কথা বলা,ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরা,বেড সুইচ জ্বালানো নেভানো করতে করতে একটা বেড সুইচ কে খারাপ করে ফেলা এবং অবশ্যই অন্তত সারে সাতশো কবিতা লেখা।কিন্তু প্রেমে পড়ার ঠিক পর পর আমি বুঝতে পারলাম,জল একদম অন্য নদীর।প্রেমিক নামক লোকটি গাছ ধরে নাচবার খুব একটা সময় পাননা,বেড সুইচ ব্যবহার করার মত সময় অব্দি জেগেই থাকেন না,এবং খুব আশ্চর্য ভাবেই তিনি দাবী করেন “গিভ মে সাম স্পেস,আমাকে বেঁধে রেখো না” আশ্চর্য!একেই বলে ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,ছোটবেলা থেকে এ হেন আমি অরণ্যানি চ্যাটার্জি মনে প্রাণে জানতাম যে স্ক্রিপ্টের এই ডায়লগ টা আমার,শুধু আমার,আর জীবনের এক অধ্যয়ে এসে আমাকেই আমার ডায়লগ দিয়ে একটা লোক আমার নাকের ডগা দিয়ে আনন্দে ঘুড়ে বেড়াতে লাগল।আর আমি,হঠাত হিন্দি ছবি ভুলে,শরতচন্দ্রের নায়িকার মত করে ঘ্যানর ঘ্যানর করতে লাগলাম।এবং সব ছেড়ে এক অদ্ভুত দাবী চেপে বসল মনের ভিতর,যে আর কিছু না হোক,কেউ একটা আমাকে একবারের জন্য ভরসা করুক।তাই যথাসাধ্য চেষ্টা করে যেতে লাগলাম,যার সমস্তটাই বিফলে গেল,এবং লেখাও ছেড়ে চলে গেল আমায়,আর তাই সারে সাতশো দূরে থাক,বিগত তিন বছরে সাতটা কবিতাও লেখা হল না।এবং তিন বছর আট মাস সতেরো দিন ধরে হিন্দি ছবির মত করে প্রেম নির্মান করার আপ্রাণ চেষ্টায় বিফল হয়ে,সাত দিনের না ঘুমোনো চোখ নিয়ে বুকের ভিতর চিন চিন ,টন টন,ঝনঝন , নানা প্রকার ব্যথা নিয়ে আমি সম্পর্কটা থেকে বেড়িয়ে এলাম।অথচ বেড়িয়ে আসাটা কি সহজ হল…কি বোরিং।

    “সম্পর্কটায় আমি থাকতে পারছি না অর্ণব,অনেক অনেক দিন ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত টা নিলাম,যদিও একা নেওয়ার কোনো অধিকার ই আমার নেই,তবুও আমার বার বার মনে হচ্ছে সম্পর্কটায় আমার অন্তত আর কিছু দেওয়ার নেই।তুমি আমায় অনেক দিয়েছ…কিন্তু…আসলে…”

    “দেখো রুনি ,আমাকে এত এক্সপ্লেন করার কোনো দরকার নেই,আমি তোমার সব ডিসিসনকে সবসময় রেস্পেক্ট করেছি,তাই আজ ও এর অন্যথা হবে না,যদি তোমার মনে হয়,এটাই আমাদের জন্য ভাল,তাহলে এটাই ভাল।আমার কোন এক্সপ্লেনেসন দরকার নেই রুনি।হুম?”

    “তোমার…”

    “আমার সম্পুর্ণ সমর্থন রইল,ভাল থেকো সোনা।রাখি।কেমন?অফিসে অনেক কাজ,লাভ ইউ”

    ----কল এন্ডেড---

    অসহ্য,নন সেন্স,মিথ্যুক।আমার কোনো ডিসিসনকে ও আজ অবদি রেস্পেক্ট করেনি,সব মিথ্যে কথা।তাছাড়া এরকম অদ্ভুত ব্রেক আপ কার কবে হয়েছে শুনি?একটা মিনিমাম কার্টসি বোধ তো থাকে মানুষের,ব্রেক আপের সময় কোন আহাম্মক “লাভ ইউ” বলে?এই জন্য আমি বিশ্বাশ করি,হিন্দি সিনেমা না দেখলে মানুষের বেসিক সেন্সগুলো ডেভেলপ ই করে না।প্রেমটা কে তো ফিল্মি হতে দিলই না,এমনকি ব্রেক আপ টাও কি বোরিং।কি শান্ত,কি অসহ্য! কিন্তু সত্যি বলতে এই বোরিং একটা ঘটনার জন্যও কি অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে বুকের ভিতর,মাথার ভিতর তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে সব,আর আকাশের বুকে একটা তেরঙ্গা পতাকা আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠছে,আমার অসহ্য লাগছে।ক্লান্ত লাগছে,নিঃশেষ লাগছে খুব।আর ভাবতেও ভয় লাগছে,বোরিং ব্রেক আপটার সঙ্গে সঙ্গে ওই বোরিং লোকটার জন্য ও আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না তো?নিশ্চই না,কিছুতেই না,হতেই পারে না…

    আমি অরণ্যাণী চ্যাটার্জি,জোর করে আকাশের দিকে মুখ করে তাকিয়ে হেঁটে চলেছি,চোখের এক ফোঁটা জল ও যেন না পড়ে রাস্তায়,কারণ আজ বৃষ্টি হবে।খুব বৃষ্টি হবে।আকাশ যতই আটকে দিক,ও ঠিক চলে আসবে আমার কাছে্র কারণবৃষ্টি ও কোনদিন আমার ওপর ভরসা করেনি,যদি ঠিক সময় কাঁদতে না পারি?যদি আমার আরো কোনো ফিল্মি মুহূর্ত নষ্ট হয়ে যায়?তাই আমি জানি,আজকেও বৃষ্টি আমার ওপর ভরসা করবে না,ও ঠিক নেমে আসবে আমার কাছে,তাছাড়া আকাশের সঙ্গে ওর ও তো সমপর্কটা ভাল যাচ্ছে না অনেকদিন,মেঘ ই ওকে আশ্রয় দিচ্ছে বেশী।এই নিয়ে খুব মন মরা হয়ে ছিল মাঝে,কিছুতেই বেরোচ্ছিল না।এখন অবশ্য ও আমার ই মত,স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টায় মোনোযোগী!

    কিন্তু আমার যে খুব কান্না পাচ্ছে,রাস্তার মাঝখানে বসে পড়ে হাপুস নয়নে কাঁদতে ইচ্ছে করছে,হাত পা ছুঁড়ে বলতে ইচ্ছে করছে… “কেন আমাকে কেউ ভরসা করে না,কেন আমার থেকে কারুর কোনো দাবী নেই,কেন আমাকে সবাই আমার মত ছেড়ে দেয়,আমি কাউকে বাঁধতে চাইলে,কেন সে চলে যেতে চায়,কেন আমায় তারা বেঁধে ফেলে,যাদের কাছে আমি এক মুহূর্ত ও থাকতে চাইনি কোনদিন,কেন আমাকে কেউ এই মুহূর্তে ভালবাসছে না,কেন সব্বাই আমার ভালবাসা চায়,কিন্তু আমাকে চায় না,কেন কারুর জীবনে আমার কোনো প্রয়োজন নেই…কেন কেউ আমার রূপকথাকে প্রশ্রয় দেয় না,কেন কেউ আমার ওপর ভরসা করে না,কেন?কেন?কেন?”

    কেউ কি শুনতে পাচ্ছে আমার কথা?এই চারিপাশের সারি সারি গাছ,চওরা রাস্তা,আকাশের মেঘ,দরজায় থমকে থাকা বৃষ্টি,কেউ?কিম্বা রাস্তায় ধারে ওই যে বাচ্চা গুলো চায়ের দোকানের সামনে ভীড় করে দাঁড়িয়ে আছে,ওদের কারুর কি আমাকে দেখে মা বলে মনে হচ্ছে?পৃথিবীতে কারুর কি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে ইচ্ছে করছে, “আমাকে সামলে নিও”…করছে না,কারুর করছে না…কারণ এই পৃথিবীতে কেউ আমাকে ভরসা করে না,কেউ না,কেউ না,কেউ না…

    আকাশের রঙ টা ক্রমশ কালো হয়ে যাচ্ছে,কোথাউ কোনো সবুজ বা কমলা রঙ দেখা যাচ্ছে না,সাদা মেঘেরাও কখন যে ফিরে গেছে ঘরে!আর বৃষ্টি হয়ত অনেক ঝগরার পর আকাশের বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে…তাহলে কি বৃষ্টি বুঝতে পেরেছে যে আজ আমি নিজেউ পারব,তাহলে কি বৃষ্টি ভরসা করেছে আমার ওপর?সে কি বুঝেছে আমি পারব?আমি নিজেই নিজের মুহূর্তকে চোখের জলে ফিল্মি করে তুলতে পারব…!!!

    সারা শরীর কেন জানি কেঁপে উঠছে,খুব জোরে।মাথা ভোঁ ভোঁ করে উঠছে!ভূমি কম্প?নাহ তো!ওহ!ব্যাগে রাখা মোবাইল ফোনটা বোধহয় কারুর স্পর্ষে কেঁপে কেঁপে উঠছে…

    ---অর্ণব কলিং---

    -হ্যালো-কোথায় তুমি?-সাদার্ন এভিনিউএর রাস্তায়।এবার গোলপার্ক এ পড়বে।-কে?-রাস্তাটা।-উফ!ডিসগাস্টিং,শোনো,মৌচাকের সামনে দাঁড়াও,আমি আসছি।-কেন?-তোমকে সায়েস্তা করতে।-মানে?-আজ সকালে ডেকে দিলে না ফোন করে,আমার অফিস যেতে দেরী হয়ে গেল।সারাদিন সব খিচুরি পাকিয়ে গেল,মিটিং,ক্লায়েন্ট ভিসিট।সারাদিন ধরে শুধু ভেবেছি কখন একটু সময় পাব,আর তোমাকে ঝারব,কিন্তু সময় পেলে তো!-কিন্তু …-কিন্তু কি?মিনিমাম একটা সরি তো বল।-অর্ণব,আমরা তো আর সম্পর্কটায় নেই।-সো?তাই জন্য তুমি আমায় ডেকে দেবে না?হাউ রুড।তোমার ওপর এতদিন ভরসা করেই আমি ভুল করেছি।-ওয়াট?কি বললে অর্নব? ডিড ইউ সে ভরসা?-মানে?-তুমি আমাকে ভরসা করতে অর্নব?-কি বলছ টা কি?মাথাটা কি নতুন করে খারাপ হল?-আর কিচ্ছু খারাপ নেই অর্নব,সব ভাল হয়ে গেছে।আমি মৌচাকের সামনে অপেক্ষা করছি,তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো।-হুম,আসছি।-অর্ণব…

    ----কল এন্ডেড---

    আকাশ ঘন অন্ধকার নয়,বরং কালোর কাছাকাছি কোনো এক নীল…রাস্তার হলুদ আলোগুলো জ্বলে উঠেছে, অফিস ফেরত মানুষজনের ভীর বেড়েই চলেছে রাস্তায়,অনেক দূরে একটা তেরঙ্গা পতাকা একটা শক্ত খুঁটি আটকে ঘুমিয়ে রয়েছে,আজ ১৪ই অগস্ট,আজ ঠিক রাত বারোটার সময় ঘুম ভাংবে পতাকাটার…ও-ও খুব ভরসা করে আছে,কেউ এসে ওকে ডেকে দেবে ঠিক…আমার খুব ভয় করছে,যার আসার কথা সে বুঝতে পারছে তো?সে জানতে পারছে তো যে পতাকাটা তার অপেক্ষাতেই এত গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন…আমি কি ওর কানে কানে গিয়ে বলব? “যাও,গিয়ে বলে দাও ওকে,কত ভরসা করে ঘুমিয়ে আছ তুমি,শুধু ও এসে ডেকে দেবে বলে,যাও সোনা,নইলে ও-ও মনের দুঃখে অইনেক দূর হাঁটতে হাঁটতে চলে যাবে,তখন আর তুমি ওকে বলতে পারবে না…দেরী কোর না,যাও…”

    নাহ থাক!যে ভরসা করে এটুকু ভরসাও করতে পারেনি যে কেউ তাকে অন্তত ভরসা করে,সে একটু কষ্ট পাক,তার কষ্ট পাওয়া দরকার…তার বুকের ভিতর নানা প্রকার টন টন,ঝন ঝন,চিন চিন…ব্যথা হওয়া দরকার…খুব দরকার…খুব…তার কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে বসে পড়া দরকার,বেড সুইচ জ্বালানো নেভানো করতে করতে বেড সুইচ খারাপ করে ফেলা দরকার…দরকার,খুব দরকার…

    আমি অরণ্যানি চ্যাটার্জি…

    -“কি আশ্চর্য!কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি।কি ভাব সারাদিন?”

    আমি কি এখন গাছ ধরে দুলছি?চারিপাসে কি খুব হাওয়া দিচ্ছে?সারা শহর কি আলতো নরম কোনো আলোতে সেজে উঠেছে?কোথাউ কি বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছে?কোনো বাড়ির জানলার পর্দা উড়ে গিয়ে কি কারুর মুখ স্পর্ষ করে যাচ্ছে?কোনো ছাদে ঝুলতে থাকা শাড়ি কি এক্ষুনি পড়ে গেল নীচে?বাসের প্রচন্ড ভীরে এক্ষুনি কি কোনো হাত ছুঁয়ে ফেলেচে অন্য কোনো হাত?সামনের বাড়ির বারান্দায় রাখা টবগুলোয় কি এক্ষুনি কুঁড়ি এল?আচ্ছা, দূরে ঐ পতাকাটা কি উড়ছে?সময়ের আগেই কি ওকে ডেকে ফেলেছে কেউ?নাকি …ওটা আমার ইলিউসন?

    আমি অরণ্যানি চ্যাটার্জি…
  • সম্রাজ্ঞী | 212.142.103.233 | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ২১:৪৯508782
  • এহে কবিতার থ্রেড এ ভুল করে গপ্পো পোস্ট করলাম। দুঃখিত। দুঃখ টা নিন। গপ্পোটা ইগনোর :-(
  • sosen | 125.242.251.121 | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ২১:৫২508783
  • আমি তো এটাকে কবিতাই ভাবলাম। কবিতাই রাখুন্না, তাহলে বেশ লাগে, গল্পের চেয়ে বেশ।
  • শ্ব | 24.99.68.250 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৬:৫৭508784
  • স্পোক

    ----------

    আজ আর সারারাত ঘুম হলনা , না কী কাল । কাল খুব বৃষ্টি হয়েছিল ।
    আমার উপরে নয় এমনকি আমাদের পাড়া তেও ভুলু ফোন করে জানালো
    আপিসের সামনে এক হাঁটু জল
    অবশ্য আগে একবার ভুলু করে জানিয়েছিল রেড রোডে
    ডাইনোসর , জ্যাম । যাইহোক শোনা যায় কাল খুব বৃষ্টি হয়েছিল । তবে আমার
    ওপরে নয় । আমার ঘরে এবং
    আমাদের পাড়ায় বিশাল গরম ছিল কাল তাই সারারাত
    ঘুম এলোনা । আজ । এখানেও বৃষ্টি হতে পারে । সেজাগ্গে যাক
    বৃষ্টি গরম এসবের চেও
    বড় কথা
    কস এঙ্গেল
    মানে ছাতা
    কিনব
    কি কিনব কী ছাতা ।

    ছাতারু রে ।।
  • শ্ব | 24.99.68.250 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৭:৩৩508785
  • পুষ্টিকর লাঞ্চের রেসিপিসমূহ # ৫

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    এইসব সবজান্তা ভোর
    এইসব এসিড সকাল , গলে যাওয়া স্বর যন্ত্রে
    তারা থেকে তারাদেরও দূরে
    উবু শুয়ে
    তেতলার ছাদ |
    এইভাবে যাবে না
    কোথাও , কেও বুঝে না
    বুঝে বা কেও চুমু
    কেও গালাগালি কেও দেয়ালে লিখন কফ
    প্রস্রাবের দাগ । শিশুটি সকলি জানে , টিফিন
    পিরিয়ডে তবু খেলা তার চাই ।।
  • শ্ব | 24.99.85.15 | ২৮ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:১৭508786
  • প্রচন্ড শৃগাল

    ______________

    কবিতা কেমন হবে
    এই নিয়ে এযাবৎ বহু তর্ক আছে ।

    পাঠক কেমন হবে ?
    পড়া না করে এলে দুচার ঘা দেবনা ? অবশ্যই দেব ।।
  • পাঠক | 131.242.160.180 | ২৮ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:৩৪508787
  • আবদার ! কবতে পড়তেও আবার পড়া করে আসতে হবে ! কে কী ছাইভস্ম শক্ত শক্ত জ্ঞানবাক্যি ফলাবে, বয়ে গেছে তার জন্যে পড়া করতে। প্রকৃত কবিতার পাঠকের অত পড়াশুনো লাগে না, সে আপনিই প্রাণ স্পর্শ করে, কবি-র সত্যিকার বক্তব্য না বুঝলেও।
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | ০২ মে ২০১৪ ২২:৪৬508788
  • ডি কে আর লোধ ।

    হাজার বছর আমি পথে পথে খুঁজে গেছি পিছল দেয়াল

    তোটক বা দুন্দুভ ছন্দে দুলে দুলে কত উরিনাল

    অনেক ঘুরেছি আমি , শহরের নিষিদ্ধ কোণ

    লোভাতুর বাতায়ন , আশ্চর্য নিশীথ যাপন ।

    যখনি হতাশ্বাস , সিপিয়ায় ডুবে রঙ্ বোধ

    বরাভয় দিকে দিকে দুর্নিবার ডি কে আর লোধ ।

    ভুলে তার কবেকার টাওয়ারের হেলে থাকা পিসা

    বহুরাত শীঘ্র পাত , বৃথা হয় সব অবরোধ

    ধ্বজ ভেঙ্গে যে খেলুড়ে হারিয়েছে আনন্দ ভিসা

    পরম আশীষবাণী শুনিয়েছে ডি কে আর লোধ

    অচঞ্চল সানিদেহ আজ চেখে দেখে ডিজিটাল ফ্রেম

    তেমনি দেখেছে তারে ,বুঝিয়েছে নন প্লেটনিক প্রেম ।

    সব দিনই শেষ হয়, ঝুঁকে পড়ে ল্যাম্পপোস্ট আলো

    ঠিকানারা ভুল কড়া নেড়ে , আজো পস্তালো

    নুয়ে আসে অন্ধকার, ব্যর্থতার বর্ণপরিচয় ,

    জাপানেও তেল শেষ ! এমনোতো হয় ।

    সেই এঁদো উরিনালে , সাঁটা অনুরোধ

    অলি গলি দেহ তলী , ডি কে আর লোধ ।
  • sosen | 24.139.199.11 | ০৫ মে ২০১৪ ১১:৪০508789
  • বহতা দিনের মধ্যে অলিগলি, মাথাপিছু
    গোনাগাঁথা মেঘ
    কখনো বিষাদবৃষ্টি , কখনো গোলাপী বেনারসী
    কখনো চশমার প্রান্তে লেগে থাকে একবিন্দু
    ঘোলা মত জল।
    সাদা চাদরের প্রান্ত ছুঁয়ে অসীম সাহসে
    বলে আসি, ওকে আমি ঢেকে রাখবো, ঘিরে রাখবো
    যেতে হয়, যাও। এইবার

    আগুনের পাশে শুয়ে সব মুখ
    মিলেমিশে গিয়ে ঠিক তোমার মতন মনে হয়
    কিছুই ছিলনা, তবু না থাকার করুণ আংটা
    ধীরে ধীরে জুড়ে যেতে যেতে
    মায়ার শিকল হয়। রবারের চটি দুটি
    ছেড়ে রাখা থাকে দোর জুড়ে, গম্যহীন
  • শ্ব | 24.99.73.226 | ০৬ মে ২০১৪ ০৪:২৬508791
  • সম

    ~~~~~

    ব্লেহুম শুধু ব্লেহুম হবো বলে
    সমস্ত দিন কামড়ে থাকি ঘ্রেলিস
    যদিও লুলুব ন্রেউপ্কান্তি যত
    হাবুল্ভুয়ার ঘাপা ।

    হাবুল্ভুয়া ভ্রেউম ঘ্রেউম গুলো
    উঠোনজুড়ে ব্লিআন্কাদের ছবি
    লাপুইলাপুই গ্লেলিশ রাতকুমার
    ফ্লিয়াল মন্জরীম ।

    বুর্রর্র বুর্রর্র বুর্র্র বুর্র্র ব্লুম
    বুলাক দিছে কানপাশা দের গ্লোই
    কাডলঘুমো শ্যাওলা চুমো লুল
    নিউরচ্লেতিস ক্রুনিশ ।।
  • শ্ব | 24.99.73.226 | ০৬ মে ২০১৪ ০৪:৩৪508792
  • এখন
    ---------------

    এখন বিকেল
    ঘন শ্যওলা সবুজ
    গোটা আকাশ জুড়ে
    ছেঁড়া কাগজ ওড়ে ।

    বাতাসে ধূলো
    কিছু শিমূল তুলো
    কেউ স্কন্ধকাটা
    শুধু কবিতা পড়ে ,

    তবু তাকেই নিও
    তার শিরস্ত্রাণে
    মৃত পালক রেখো
    আর বিতংস ঘুম ।

    আহা আমার শহর
    মৃদু গোরস্থানে
    কেউ উঠলো কেঁদে
    বাকি সব নিয্ঝুম ।।

    (২০১৩ , বেরিজাম লেক )
  • dd | 132.171.82.112 | ০৬ মে ২০১৪ ০৯:৫৬508793
  • না রে একক না।

    ব্লেহুম ব্লেহুম আর চল্বে না। ঐ ক্যারলবাবু যে লিখে গ্যালেন স্লিথি ট্রোভে ব্রিলিগ তার পরে আর একটাও ব্লেহুম চলে না। প্রথমটাই খজ্জাশ, পরের সবই গাফুষ। মেরে কেটে ভির্ভিংঘট্ট, তার বেশী না।
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ০৬ মে ২০১৪ ১০:০৩508794
  • ঃ)))
  • মোহর | ০৭ মে ২০১৪ ০৬:৫৩508795
  • লীলাবালি ৬#

    উমা

    স্বপ্নে অমঙ্গল ছিল ঘুমচোখে ছেড়ে গেল ঘর
    কত নদী মাঠঘাট প্রব্রজ্যা করিব হেন সাধ হয়
    সাধ সখি, নুন মিষ্টি টক টক কিছুই তেতো না -- এই
    জল পুরে দাও মুখে জল দাও মধুপাক রুপোর গেলাসে

    তবু দুয়ারে পড়িল ছায়া কোন ছায়া ডানার বাতাস
    মাগো, চারিপাশে সর্বক্ষণ খড়মের শব্দ বাজে
    ঘোর শব্দ কান গেল কান যায় এর চেয়ে বাসন্তীবস্তর
    অলকাতিলকা ভালো আর ভালো ঝরা নিমফুল

    এদিকেও সর্বনাশ। খুদ-কুঁড়ো, গোত্রহীন দুধ
    বহুদূর মাধুকরী, দিক্ভ্রম, দিনান্তে স্বপাক
    ক্রমশ অপর্ণা তবু স্বপ্নদোষে কোজাগরী যায়
    কার কার ডাক পড়ে, কে যে আসে, বৃথামাংস, হাড়

    এই বেরিয়েছো বুঝি ? না তো ! আমি জন্ম ঘুরিলাম
    রোদ-তাতে মুখ পুড়ছে ? আহা ! বুঝি বাঁশিটি জানি না !
    পাটলী-রাজার মেয়ে ? এতোদূর শ্মশানে এসেছো ?
    ষষ্ঠীর বাছাটি মরে পচা গলা ক্ষীরের সাগর
  • pi | 24.139.209.3 | ০৭ মে ২০১৪ ০৭:১১508796
  • ভালো লাগলো, মোহর।
  • সিকি | ০৭ মে ২০১৪ ০৭:১৫508797
  • এরা সব্বাই সারাদিং ধরে এমং সুন্দর সুন্দর কবিতা লেখে, তো রান্না করে কখন?
  • মোহর | ০৭ মে ২০১৪ ০৭:৩৫508798
  • ঘর

    মেয়েটি সুবর্ণা নদী মেয়েটিকে ঘর ভাঙ্গতে বলে
    নিদারুণ অনর্থ ঘটেছে

    স্বপ্নের সমস্ত বালি যথাবিধি জটপড়া চুল
    শিকড়বাকড়ে লগ্ন দৃষ্টি যায় দৃশ্যমান জলে
    অন্যস্পর্শ-দোষ তাও জলমুখীনতা সার হলো
    সার হলো সার সার ধড়াসার চূড়াসার অসাড় অসার
    এক থোকে বিক্রী হও বিশ টাকা বাট্টা দর-এ চলো
    সান্ধ্য মজলিশে বসো কফি-কাপে স্টাকাটো আলাপে
    মুমূর্ষু স্ফটিকের সপ্তমুখী আলো, আজ এসো
    কাল থেকে শুরু হবে আগমনী, অযাচিত মীড়
    ধানের বুকের দুধ, জলছড়া, বিপর্যস্ত গান
  • aranya | 78.38.243.218 | ০৭ মে ২০১৪ ০৮:২৩508799
  • বাঃ
  • Tim | 102.46.98.63 | ০৭ মে ২০১৪ ১০:০৪508800
  • মোহরের কবিতা ভালো লাগলো, যথারীতি।
  • শ্ব | 24.99.77.223 | ০৮ মে ২০১৪ ১২:৫৬508803
  • তৈত্তিরীয়

    ~~~~~~~~~

    এইভাবে অজ্ঞানের
    ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
    কণাগুলি জ্ঞান
    বলে পরিচিত হতে থাকে , চোখের
    ক্ষমতা যায় চশমায় , মানুষের
    প্রতি খিদে
    উদরপূর্তির লোভে
    পিপীলিকাবত
    কেকের টুকরো থেকে আহা দেখো
    মাধুকরে ,বহে চলে আলফা
    নিউমেরিক
    অন্নময় প্রেম ,
    লবনের অস্তি
    বিলাপে ক্ষযমান হতে হতে কেন্দ্রাতিগ ভয়ে ,
    প্রাচীন তিত্তিরি কুলে এইরূপ শোনা যেত ,যায় ।।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন