এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৬৯৩৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 135.20.82.164 | ০১ মে ২০১২ ১০:৩২508813
  • 'হেথায় তুরে মানইছেনা রে' অরুণ চট্ট্যোপধ্যায়ের লেখা না?
  • Anupam Das Sharma | 125.250.183.155 | ০১ মে ২০১২ ২২:৫৭508824
  • মে দিবসের শ্রদ্ধার্ঘ্য

    রোদের গনগনে তেজ চাবকায় পিঠ ওদের
    হাপড়ের রক্তচক্ষু শুষে নেয় দেহরস
    রোদে নিংড়ানো প্রাণ পায় লড়াই দীক্ষা।

    যেখানেই শোষণের বেগ দেখবেই পিঁপড়ের মিছিল
    ধিক্কার গলা ফাটায়, কুর্সির চোখ টাটায়,
    হাজার নাচার কন্ঠের তাপে আকাশ হার মানে
    মেঘগর্জন সেলাম জানায় শিরা ফোলা জয়গানে।

    বুড়ো বস্তির চাঁদ শনাক্ত সমব্যথী
    ত্যাবড়ানো থালা যুগ যুগান্ত সব শ্রমিকের সাথী,
    বাঁচবার স্বাধিকার আত্মাহুতেই পার,
    বিদ্রোহস্রোতে পতাকা দাপায়
    মজুরীর কিংশুকে,
    শহীদ বেদীর জেগে থাকা চোখ
    মে দিবসে হাসে, রক্ত পতাকা পাশে।

    -অনুপম দাশশর্মা।
    ১লা মে ২০১২
  • ranjan roy | 24.97.33.102 | ০২ মে ২০১২ ০১:২৫508835
  • মে দিবসের ডায়েরি
    ---------------
    সাতসকালে টেলিফোন,
    -- বাবা, আজ ছুটি।
    উনবিংশ শতাব্দীতে কিছু একটা ঘটেছিল,
    কিছু লোক চেয়েছিল রুটি।
    ঠিক তাও নয়,
    দিনের তেভাগা নিয়ে কাজ হবে,
    এইটুকু জয়,
    ছিনিয়ে নেবার জন্যে গোটা চার বলি দিতে হয়।
    --শুধু এই জেনেছিস?
    -- ছাড় বাবা, ছেড়ে দাও;
    আমার কোম্পানি ঠিক জানে।
    শিকাগো শহরটা তো ওরই দেশে,
    তাই কানে কানে
    বলে গেল-- যাবিনা মিটিংএ।
    তোদের দিয়েছি ছুটি
    হেসে খেলে নেচে ওঠ মেয়ে,
    আইনক্সে ফিলিম দেখ,
    অথবা পাস্তা খাবি কোন মলে গিয়ে।
    কথা যদি না শুনিস তবে,
    শিকাগোর হে-মার্কেট এখানেও হবে।।

    -
  • Anupam Das Sharma | 125.250.123.41 | ০২ মে ২০১২ ২২:০৬508846
  • পরকিয়ায়....

    পরস্ত্রী জানি তবু কপালে ভাসে একান্ত পরকীয়া
    মনের বৃত্তে জুঁই বকুলের মাতাল ধূপবাস
    নিমেষে সাঁঝের আকাশ উজ্জ্বল মধূমাস,
    মেঘলা দমকা বাতাস ফাল্গুনী সুর ভাজে।

    সুচারু নজরে আঁধারমাণিক ফিসফিস ইশারায়
    কালপুরুষের কোমরে ঝুলছে পরকীয়া স্বীকৃতি,
    অসীম শূন্যে বাহবা জানায় রামধনু আকৃতি
    কত সাধনার ফলশ্রুতি ফিরেছে 'রুবি রায়'।

    কপালের মাঝে ছোট্ট ভাঁজে লেখা অপেক্ষা ধ্বনি
    অপদার্থ ব্যস্ত সময় কেড়েছিল খুশীখনি
    ধূমকেতু লেজ ছড়ায় পুষ্প ভালবাসা পরিখায়
    অতএব বীণা ঝংকারে হাসে নিখাদ মিশ্রতায় ।

    -অনুপম দাশশর্মা।
    ০২.০৫.১২
  • Anupam Das Sharma | 125.250.99.7 | ০৩ মে ২০১২ ২২:১৫508857
  • এখন বনলতা....

    বন্ধুত্বের আবেদন কড়া নাড়ে সম্মতির দরজায়
    অসম্মতির মেঘলা আকাশ কফিন ঢাকা ইচ্ছালাশ,
    গোধূলীর পাউডারে উদাসী হাওয়ার ওমে
    চেতনার সন্ধানী মেধা পরিচিতি করায় বনলতা।

    সময়ের আর্সেনিক ক্ষয়েছে শ্রাবস্তীর কারুকার্য
    তবুও ডুংরীর কৌলিন্যে মসৃন তাঁর মুখসায়র,
    গঙ্গাফড়িং-এর স্বচ্ছ পাখায় চমকাল রঙ বুদবুদ
    দুটি কালো ভোমরা জানায় বদলায়নি বিদিশা চুল।

    সন্ধ্যার অন্যভুবনে কলম্বাসের যাতায়াত
    প্যাঁচার নিশি তীক্ষ্ণতায় পেলাম নাটোরের মুখ,
    বৃষ্ঠিভেজা ভীষণ একা নদীর ধূ ধূ পার
    বনলতা রূপান্তরে গন্ধরাজ আধার।

    মেঘপর্দার ঝিল্লী তুঁসে স্ফটিকচেরা হাসি
    পান্নাসবুজ ত্বককেল্লায় বন্য অধিবাসী,
    বনলতা শেকড় ছড়ায় জোৎস্নামাখা বাঁধে
    মনান্তরিন কাব্যসখী সার্বিক অধিবাসে ।
  • পাই | 138.231.237.4 | ০৩ মে ২০১২ ২২:২১508868
  • আর্সেনিক আবার কীক'রে ক্ষয় করে ?
  • Anupam Das Sharma | 125.250.213.42 | ০৪ মে ২০১২ ২১:৪১508879
  • মহান কবি / অনুপম দাশশর্মা
    ================

    খোলা জানলার নকশি ফোঁকর
    বনেদীয়ানার কত কিস্যা গায়,
    কত গূঢ় দর্শনস্নাত অক্ষর ছিদ্র আঁচে
    মসৃন মেধাসিদ্ধ মন্ত্রে ঈশ্বর হয়ে যায়।
    নিবিড় কালো ধোঁয়াশায় মধ্যরাতের চাঁদ
    জেগে থাকা দু-চোখে ভরায় কুহুতান,
    কোন উদ্বেল মিষ্টতা অন্যবোধে দৃষ্টিকে
    বয়ে নিয়ে যায় বাতায়ন ফাঁকে।

    ঊষার কোলে মাথা তোলে ভাষ্কর,
    নরম আলতো আদরে জড়ায় জানলাকে
    সোনালী কাঁচা হলুদে আলোছায়া ছবি
    সাহিত্যবাসরে অমরত্ব দেয় রচককে।

    খোলা জানলার সাথে বোঝাপড়া বাতাসের,
    দখিনের উদারতা মোহনিয়া বাঁশীতে-
    সরগম স্বরসাজে মন ভরে খুশীতে,
    খোলা জানলা চির মহান কবি।

    ০৪.০৫.১২
    কলকাতা।
  • অনুপম দাশশর্মা | 125.250.62.238 | ১০ মে ২০১২ ২১:৩৮508890
  • আদতে বিফলতাই / অনুপম দাশশর্মা

    মেঠো ঘাসের গায়ে ধূসর আলোর কান্না
    দুপুরের জিভে জ্বালানো বিষ নিস্তেজ গোধূলীতে
    অসহায় ডানা'রা হন্তদন্ত খড়কুটোয়
    একাকী ব্রাত্যজন নির্মম উপহাসের গয়নায়।

    নিঝুম কলতলায় পৃথিবীর চেনা মুখের ছাপ
    সুজন ভাললাগা শীতল শব্দে ছিল মুখর,
    এখন আবেগের নির্বোধ ঝাল পলান্নে
    ঝুরঝুর ভাঙ্গছে বেলোয়ারী কাচের মল্লিকা।

    তুলসীপাতায় ছোঁয়াচে ভক্তির গোনা সাঁকো
    টানটান সংলাপে ছিলনা লুকানো তরোয়াল,
    তবু কিছু শক্তি আহরনের অদম্য ইচ্ছা
    কেড়ে নিল আজই মেঘমেদুর সকাল।
  • ফরিদা | 192.68.141.61 | ১০ মে ২০১২ ২২:৪৪508901
  • আমি তোমায় সন্ধে থেকেই চিনি

    যখন আলো কম হল এই ইটের ভাটায়
    হঠাৎ ছায়ায় এযাবৎকাল চলতি হাওয়া
    হাঁফ ছেড়েছে – সেই ফাঁকে সব হলদে ঘাসের
    চাপানউতর মৃদু কথার গন্ধ আসে বিরক্তিকর
    কি নিঃসীম দিগন্তটি রঙ লাগাচ্ছে এলোপাথাড়
    ধরছে না রঙ গড়িয়ে গেল তেষ্টা চেপে
    ক্যানভাসটি বিপর্যস্ত ধুসর হলে –
    অনেক দূরের থেকে কেমন ট্রেনের শব্দ আসল তোমার।

    এই শব্দ আমার তো নয় –
    এই শব্দের অন্য বাড়ি অন্য অন্য রাস্তা জমি
    এই শব্দের মনখারাপটি মাত্রাছাড়া
    বাড়াবাড়ি – একবেলা সে না খাইয়ে ছাড়বেই না।

    সেই তখনি দেখা আমার থামল বলে
    শব্দ চিনি – আরেক শব্দ আসবে আমার
    নিজস্বতায় ভরাট করবে জাফরি দেওয়াল।
    একে একে লতায় পাতায় ভরবে উঠোন
    রাত করে রাত ফিরবে বাড়ি
    হুলুস্থুলু বৃষ্টি আসবে জীবনযাপন দেওয়াল ঘড়ি
    মেঝে কিম্বা ঘরের কোণও
    থাকবে ছুঁয়ে ওমখানি তার।
    জলের ছাট আসবে কেমন অনন্যোপায়
    জানলা দেবে শাড়ির প্রান্ত বিপজ্জনক।

    এই কটি দিন অন্ধ জীবন তোরঙ্গময়
    হাটকে ফেরা শব্দাবলী জোছনাপাতায়
    মুছিয়ে দিলে সুর থেকে যায় খানিক গাঢ়
    তোমায় আবার চিনতে হবে নতুন করে
    দৃশ্যাবলীর শব্দচয়ন ভিন্নতর।
  • সায়ন | 125.242.155.123 | ১০ মে ২০১২ ২৩:০৪507240
  • ওয়াহ্‌! আটকে রইলাম ভিজে জানালার শার্শিতে...
  • টিম | 108.249.6.161 | ১১ মে ২০১২ ১১:৪৪507251
  • তার দিকে চেয়ে বললাম, সন্ধ্যের মুখে
    এইখানে থাকবেন? কাল ?
    উত্তরে অপ্রতিভ হাসি, হাতের কাগজচাপা ঘুরছে। যেন পৃথিবীতে দিন শেষে রাতের পর্ব শুরু হলো। ভোর হয়েছিলো কিনা জানা নেই, সন্ধ্যের অনেক আগেই- এসেছিলো ট্রেন।

    তার দিকে তাকিয়েই দিন কাটে। ট্রেনের কানের পাশে জেগে থাকি, তিনখানা দাঁড় বেয়ে অবিরত
    রংবদলের পালা দেখি। নদী-পানাপুকুরের ধারগুলো ঝাপসা লাগে। তাকে বলি, দেখেছেন সবুজের মত-
    ছুটে ছুটে যাচ্ছে দুদিকে? মাটি?
    উত্তরে কানের পাশেই হাত ঘোরাফেরা করে, চুলগুলো অবাধ্য, সেয়ানার মত সব ভন্ডুল করে দিতে চায়।

    তার কথা, তার সমসাময়িক আঁতিপাতি খুঁজে
    আনা শাকান্নগাথা। ভোরে এঁকেবেঁকে দৌড়োনো সুরের মত। গলিঘুঁজি, ভাঙা রান্নাঘরের
    ফুটোফাটা দিয়ে বেরিয়ে আসা ধোঁয়ার মত সেই শব্দ ফেরে। শব্দের তর্জনী ছুঁয়ে বলি, শুনছেন? আগুনের মত করে গলিয়ে দিচ্ছে সব? মন?
    উত্তরে বড়ো তাড়া তার, ট্রেনেও ঝাঁকুনি লাগে-
    সুর থেমে যায়।
  • নিশান | 82.89.200.226 | ২৬ মে ২০১২ ০৫:৫০507262
  • New York Journal 10
    _____________________

    অমার অপর প্রান্তে যে মেয়েটি ছিলো
    হাতেতে চতুর্থ ব্যাগ ভারী চার কিলো

    অধরে অনঙ্গ শোভা, কপোলে মাধুরী
    কপালে অলক দাম, আনত আদুরী।

    আমিতো ধাঁধালো প্রাণী, অকাজে আকাজে,
    কেবলই তাকাচ্ছি ফিরে বুকেদের খাঁজে।

    ঈষৎ বাদামী শোভা, স্বেদবিন্দু দুটি,
    চরাচর ভেসে গেলো, মেঘেদের ছুটি।

    এদিকে ছুটেছে গাড়ি পাতাল প্রবেশে,
    কি ছিলো? কি মোহমায়া? নদীটির কেশে?

    ছেলেটি যাচ্ছে বসছে নদীটির পাশে
    ছোঁয়া কি যাবেনা তাকে পরশে বা শ্বাসে?

    মেয়েটি ঘেমেছে, ব্যাগ ওজনে, গরমে,
    পৃথিবী ভিজেছে দ্যাখো, আবেগে শরমে।

    নজর বেহায়া অতি, বক্ষ দুরুদুরু,
    সকলই সমাপ্ত হোলো শেষেতেই শুরু!

    ----------------

    সময় বহতা ভারী নদীটিরই মত
    পেরোল গভীর পথ, দাঁড়ি ছিলো যত।

    আমার দাঁড়িতে, আমি নেমে আসি ধীরে,
    মেয়েটি ভিতরে থাকলো, মিশে গেলো ভিড়ে।

    -------------------

    সন্ধ্যা গড়ালো শেষে রাত্রি নেমে আসে,
    সমস্ত জগৎ জুড়ে বক্ষদুটি ভাসে।

    মেয়েটি হারিয়ে যাচ্ছে মিশে গেলে ভিড়ে
    বক্ষদুটি থেকে গেলো সময়ের তীরে।

    এসেছো বরষা, বর্ষা ধুয়ে দিয়ে গেলে,
    ভেসেছো শহর আর শহরেরই ছেলে!
  • ফরিদা | 192.68.110.216 | ১৬ জুন ২০১২ ১২:১৬507273
  • তোমার চিঠি পাওয়া যাতে উলু শঙ্খ বরণডালা নিয়ে আমি হইহল্লা দিই লাগিয়ে। ভেতরবাড়ির মধ্যে তখন সোরগোলে সব কান পাতা দায়। তারই মাঝে হঠাৎ করে যাই পিছিয়ে। অনেক দূরের থেকে তোমায় দেখি যখন। অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েও স্নিগ্ধতাকে নিবিড় করে রাখো তুমি কেমন করে? কেমন করে ফিরে আসে স্বচ্ছতা এক ঝর্ণা জলের?
    আমি দেখি। একটা মানুষ খেলে বেড়ায় –পাহাড় ছায়ায়। আমি দেখি পাহাড়বেলার কথা তোমায় বিরাট করে। সে মুগ্ধতার ঘাড় বেচারা যাচ্ছে বেজায় টনটনিয়ে। আমি ফিরি সেই সেখানে তুমি তখন মুর্তি গড়ো। হাত ভর্তি মাটি তোমার, কপাল থেকে চুল সরিয়ে দিতে তোমার কনুই লাগে। তাতেও তুমি না পারলে তা তোমার কপাল মাঝবরাবর তিন নম্বর চোখটি ফোটে – মাটির রঙেই। হাততালি দেয় মাটির পুতুল যেসব তুমি দাও বানিয়ে, কাঁচা মাটি, সেই বেচারা হাতদুটি তার আটকিয়ে ফের বোকা হাসে।
    আমি ফিরি। কোথায় তোমায় দেখাবো যা এমনকিছু অবাক করা। খুঁজে ফিরি, আমার জানো বাক্স ভর্তি শূন্য ভরা। তার কিছুটা এমনধারা সাদামাটা। বাকিগুলো সবকিছুতেই পোকা ধরা পোকা ধরা। তার চে বরং মিথ্যে বলি – সাদা সবুজ রং মিশিয়ে। যেমন মিথ্যে বাঁচি আমি। মিথ্যে নিয়ে এপার ওপার সাঁকো বেয়ে। দিন এসে যায় রাতকে নিয়ে ফিরে গেলেও মিথ্যে আমার মিথ্যে মিথ্যে ছেলেবেলার ভয় এসে যায়। থাক সে কথা। তার চে বরং গল্প শুনি তোমার আরো। আরো আরো কথারা সব জ্বালুক আলো। তার থেকে রঙ নিয়ে কিছু যেমন তেমন হোক সাজানো আমার একটা ছোট্টোবেলা। যেসব খেলা খেলতে গিয়ে বারণ শুনে আটকে যেতাম। তোমার কথায় আমার সেসব সাহস যেন ফিরেই আসে। যায় ছুটে সে অন্ধকারেও হরিণ পায়ে। ক্লাসের কোনো বন্ধুকে সে নিজের খেয়ালখুশির কিছু কথা বলে পর্যুদস্ত আর হবে না। আর কিছুতেই ভীষণ চেনা অঙ্কটা তার আটকাবে না। এমনকি সে পাড়ার পূজোপ্যান্ডেলে সে উগড়ে দেবে সে পদ্যটাও গরগড়িয়ে গরগড়িয়ে।
  • kumu | 132.160.159.184 | ১৬ জুন ২০১২ ১৫:৪১507284
  • ফরিদা,এটা পড়ো,পড়ে শোনাও
  • Nina | 78.34.167.250 | ১৭ জুন ২০১২ ০৫:৩৫507295
  • ফরিদা
    বাহ!
  • ফালগুনী রায় | 130.60.38.150 | ১৭ জুন ২০১২ ১৮:৪৪507306
  • বেক্তিগত বিছানা
    ----------------
    ১.শুধু বালিকাই নয় --- গণিকাও ঋতুমতী হয়
    তিন সন্তানের পিতা --- পরিবার পরিকল্পনার আদর্শপুরুষ
    কৈশোরে করে থাকে আত্মমৈথুন --- করে না কি

    ২.আমি রবীন্দ্রনাথ হতে চাই না --- হতে চাই না রঘু ডাকাত
    আমি ফালগুনী রায় হতে চাই --- শুধুই ফালগুনী রায়

    ৩.আমি যে রাস্তায় থাকি তার এক প্রান্তে প্রসূতিসদন
    অন্যপ্রান্তে শ্মশানঘাট

    ৪.ম্যাগাজিন শব্দটা আমি লক্ষ্য করেছি
    রাইফেল আর কবিতার সাথে যুক্ত
  • ranjan roy | 24.99.38.153 | ১৭ জুন ২০১২ ১৯:১৩507317
  • আচ্ছা লাগতা হ্যায়,
    অউর লিখিয়ে ফাল্গুনী রায়।
  • Sam | 127.192.233.84 | ১৭ জুন ২০১২ ১৯:৩২507328
  • আচ্ছা, ফাল্গুনী রায় এর এই কবিতাগুলো সব সুতোয় দিয়ে কি লাভ হচ্ছে? এগুলো তো আমরা পড়েছি আগেও। এর চেয়ে নতুন কিছু লিখে দিলে হয় না, ফাল্গুনী রায় জুনিয়র নাম নিয়ে?
  • অরুণেশ ঘোষ | 130.60.4.86 | ১৮ জুন ২০১২ ১৩:০৩507339
  • বেড়ে ওঠা
    .............
    উলুখড় ফুলে ছাওয়া প্রান্তরের ঢেউ
    কাঁটাতারে কলমির লতা থেকে ফুল
    এপার-ওপার জুড়ে, তুচ্ছ কেউ-কেউ
    সীমান্ত মানে না বলে -- প্রেতিনীর চুল
    পেয়ে যাই শৈশবেই -- প্রেতিনীকে খুঁজে
    অভিমানী স্তনদুগ্ধ ঝরে ফোঁটা-ফোঁটা
    আঁচড়ায় কেশদাম দুই চক্ষু বুজে
    সে-দৃশ্য দেখার ফলে হা-ঈশ্বর, অ্যাতো বেড়ে ওঠা

    এ-কথা বোঝাই কাকে -- বোঝাতে গিয়েছি
    হি-হি হো-হো নারকীয় -- করেছে বর্জন
    তার চেয়ে ঢের ভালো এই চানুমাসি
    বাড়ন্ত শরীর তার -- বৃদ্ধার মতন
    কিন্তু সে তো বুড়ি নয়, এ শুধু খোলোস
    মৃত্যুকে বিদ্রুপ করে অনন্ত অবধি নগ্ন--
    জীবনের রস
  • ফরিদা | 192.68.108.250 | ১৩ জুলাই ২০১২ ২২:৩০507351
  • জাহাজের কথা যত জানি

    চল পথে নামা যাক মুখোমুখি কিছুটা সময়
    থিতু হোক, অবসাদ যদি থেকে থাকে কিছু
    ঝরে যাক কথায় কথায়। এতে যদি পাথেয় না জোটে
    হঠাৎ ঝাপটা লাগে চোখে মুখে কথার লাগাম যদি ছোটে।
    ভাসানের পরে কাঠামোয় পাখি এসে বসে বাসী ফুলমালা
    পাক খায়। চলো, মৃত্যুর পরে যতদুর যেতে পারা যায়।

    চল যাই, জলে ফের নামি, উপকূলে ছেড়ে বহুদূর
    যেখানে যায়নি কেউ কোনোদিন এতকাল ধরে
    পুরোন জলের ওই গোপন শরীরে ডুবে যাই। এস, ফের
    মাছ হয়ে সেই কোনো প্রাচীন এক ডুবো জাহাজের খোলে
    বাসা বাধি। ভাঙা নোঙরের জমা শ্যাওলাতে মাছেরা
    ঠুকরে যাবে, পুরোন ব্যাধির কথা, যত পাপ (যদি কিছু থাকে)
    গভীর বিলাপগুলি, এইমত স্রোত পেলে খেলে যাবে অনায়াসে।
    বলে দেব আমি জাহাজের যত কথা যতটুকু জানি।
  • ফরিদা | 192.68.175.56 | ১৪ জুলাই ২০১২ ০৫:৫১507362
  • সন্তান পালনের রীতি

    এতকাল নাড়ীছেঁড়া হলে একে একে ভাসিয়েছি জলে
    ফিরেও দেখিনি ফের বহুদিন পরে কখনো বা মনে পড়ে
    আঙুল বা ঠোঁটের গড়ন, কেউ বা শব্দ করে কেঁদে উঠেছিল
    বলে ঘুম ভেঙে গেছে কতকাল। এখন বয়স হল, মায়া বাড়ে
    ফিরে আসি মাঝে মাঝে। নিজেই শিখেছে কথা কেউ কেউ
    হামা টানে, নিজে নিজে বসে, দেওয়াল ধরতে গিয়ে পড়ে যায়।

    দূর থেকে দেখি, অচেনা মানুষ হয়ে কাছে আসি, আঙুলে আঙুল
    জড়িয়েছে দেখি, পালকের ধুলো ঝাড়ি, কাউকে শিখিয়ে দিই
    খুঁটতে খাদ্যকণা গাছের গুঁড়িতে। কাউকে পাঠাই টোলে, বই
    বগলেতে নিয়ে সকাল সকাল যায়, বিকেলে খেলেছে ওরা দেখি
    সন্ধেতে প্রায়শই ঢোলে। এতে খুশি লাগে, বুঝি, বড় হতে দেখা
    নিজের মতোই সব হাঁটাচলা, কথা বলা, সব ছোটো ছোটো
    ওদের বন্ধু হয় কেউ, কেউ বুঝি শুধুই জ্বালায়, গালি দেয় চুল টানে
    ওরাও জন্ম দেবে কিছু সন্তানপালনের রীতি শিখে রাখি মনে মনে।
  • Nina | 78.34.167.250 | ১৪ জুলাই ২০১২ ০৮:৩০507373
  • ভারি সুন্দর!
  • nabagata | 127.194.233.154 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১২:১৫507384
  • নীল নগরীর বুক ফুড়ে সহসা কৃষ্ণচুড়া!
    ক্ষণস্থায়ী ফাল্গুনী স্বপ্ন থেকে জেগে, এ শহর
    সাদা নীল; নীল মানে নরকের গন্ধক শিখার মত
    জ্বলন্ত আকাশ, সাদা মানে রক্তাল্পতা, নিরম্বু মেঘের,
    দোর্দণ্ড সূর্যের শাসনে চরাচর বে-আব্রু, বোবা,
    দগ্ধ প্রান্তরের মত সময় অসাড় পড়ে থাকে
    আলো মানে খরদৃষ্টি, গনগনে লোলজিহ্বা চেটে নেয়
    চকিত-হরিণী ছায়াদের, খাণ্ডব-উল্লাসে ঘিরে ধরে
    সাহসের অন্কুর ; শ্বাপদ-শ্বাসের মত ভ্যাপসা বাতাস
    আর্দ্রতার মৃদু বসন ছিড়ে খায়, পাতার ভাজে তিরতিরে
    মায়াবী আধার বিদ্ধ হয় রোদের নির্ভুল নিশানায়
    সূর্যের রক্তচোখ বুজতে না বুজতে হায়নার খিদে নিয়ে
    শত আলোর ত্রিনয়ন চাদের অঙ্গ ফালাফালা করে
    জরতী মৃত্তিকা তবু প্রতীক্ষায় জাগর, এখনো
    অন্ধকার মানে প্রাণের আশ্রয়, সৃষ্টির
    ধাত্রীবিন্দু, নিষেধের নীল নজর এড়িয়ে
    শিশির-শরীর হয়ে মাটির ফাটলে
    দু হাতে আগলে তাকে আড়াল করেছে
    ঝরা পাতা, সাহসের ধুলোমুঠি ছুড়ে
    সূর্যকে অন্ধ করেছে মেঘ; সেই থেকে
    পল-গোনা, শেকড়ে শেকড়ে স্বপ্নসন্ধান
    চাদের পাণ্ডুর গালে আশার রক্তিম আভা
    শিথিল শয়ান ছেড়ে গা ঝাড়া দেয় সময়
    উন্মুখ সৃষ্টির বেদনায় কাপে মাটির রোমকূপ
    ভয়ের চাদোয়া ছিড়ে ভুইফোড় বর্শার মতন
    মাথা তোলে কৃষ্ণচুড়া, লালে লাল আবীর গুলাল
    কাফির তীব্র তানে অকাল বসন্ত আসে, মুক্তির বোধন।
  • ফরিদা | 192.68.221.24 | ১৫ জুলাই ২০১২ ০৭:৪০507395
  • নবাগত, দারুণ। আরো পরিচিতি হোক।
  • হ্ম | 24.96.36.104 | ১৬ জুলাই ২০১২ ১৯:৫৪507406
  • Do the tastes smell?

    Through the bicycle spokes of
    Morning, Negro lights fall
    On narrow firmament
    By the shore of our infrared
    Balcony.

    We, who could run the
    Asymptotes of a frog's heaven
    With a thousand silver ridden
    Moon on backdrop, crying
    For amethyst silence and
    Nibbling sands made of
    Coloured broken sharp edged
    Beads flowing in our arteries
    And posing –

    Do the smells taste as well?
  • ফরিদা | 192.68.73.201 | ১৪ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫৭507417
  • জলের শরীরময় রোদ্দুর
    বিনবিনে ঘাম বৃষ্টির কিছু পরে
    মুখ দেখে, ঝুঁকে
    যেন মেঘ আগের পটেই ছিল ভাল
    যেন কাল চেনা কেউ এসেছিল
    বহুদিন পরে বলেছিল সেইসব
    এলোমেলো ঝড়ের ঝাপট কিছু
    এখন গিয়েছে চুকেবুকে

    বৃষ্টির কিছু পরে
    খেলা চলে জলের শরীরে ঘূণ ঢুকে।
  • ফরিদা | 192.68.73.201 | ১৪ আগস্ট ২০১২ ১০:৩০507428
  • যেন কেউ কথা রেখে চলে গেছে
    বহুদিন হল
    তুলে নিলে
    ঘাসের বাদামী অনুকৃতি থাকবে না বেশিদিন
    সাজান দিনকাল জুড়ে অগোছালো কয়েক পশলা জমি
    রাখা থাক, ঢাকা থাক – জং ধরা কথার কঙ্কাল।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ১৪ আগস্ট ২০১২ ১২:২২507439
  • আর যেটা শারদীয়ায় বেরোবে, ওটাও চাই এখানে। দেবে তো? :)
  • KUMU | 132.160.159.184 | ১৪ আগস্ট ২০১২ ১৯:৩৪507450
  • চুপ করে থাকি।
  • nina | 22.149.39.84 | ১৪ আগস্ট ২০১২ ২১:০৪507462
  • আমারো শুধু চুপকথাই সম্বল!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন