এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৬৫৪৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kaju | 131.242.160.180 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:৪৮508038
  • সোসেন্দি সব আলো কেড়ে নিল, যাঃ !
    যাক গে, ঢিল পাটকেল খাইনি এই ঢের।
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:৫০508039
  • বেশ ভালো লাগলো।
  • Tim | 188.91.253.11 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৪:২২508040
  • কাজুর কবতে উদ্দাম ভালো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমার পড়া কাজুর সেরা কবিতা।

    আর হোসেনের লেখা নিয়ে কিসু কওয়ার নাই। হোসেন অমনিই লেখে বরাবর। টইটম্বুর।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৫:০৮508041
  • khepchurians-এর তিনটের থেকেও? যেটা লিং দিয়েছিলাম ডিসেম্বরে।
  • Tim | 12.133.44.48 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৮:১৬508042
  • ডিসেম্বরের কবিতা পড়ি নাই। ঐজন্যই বললাম আমার পড়া ইঃ।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৮:২২508043
  • দিয়েই দিই, এমনিতেও তো চক্ষুলজ্জার বালাই নেই আজকাল। যাঁরা দেখেছেন আগে, পিলিজ ইগনোর।

    http://khepchurian.blogspot.com/2012/12/blog-post_347.html
  • | 212.67.4.113 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৯:০৭508044
  • উঃ সুষেণ, অসহ্য ভাল`
  • শ্রাবণী | 69.94.105.232 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:২২508045
  • সোসেনের আগেরটাও আমার খুব খুব ভালো লাগল!
  • siki | 132.177.254.217 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:৩১508046
  • সোসেনকে একশোতেত্তিরিশটা এফসি। কাজুকে একশোএকুশটা।
  • sosen | 111.62.31.235 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:৩৮508049
  • সবাইকে একগাল হাসি দিলুম। :)
  • sosen | 111.62.31.235 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:৩৮508048
  • কাজুর আগের কবিতাটাই যদিও আমার বেশি ভাললেগেছে- তা-ও ওটা পড়লেই কেন যেন মনে পড়ছে " ও যখন প্রতিরাত্রে মুখে নিয়ে এক লক্ষ ক্ষত "---
    নতুনটা নিজস্ব। বেশ লাগলো, -একটা সাজেশন দেব? অঙ্ক, খন্ড, সংজ্ঞা এই ঝাঁকুনিগুলো দিয়ে লাইন শেষ কোর না। ছন্দের ফ্লো একটু আটকে যায়। নিজস্ব অঘ্রাণে তুমি- এখান থেকে কবিতাটা খুব ভালো লাগছে।
  • sosen | 111.62.31.235 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:৫৯508050
  • যদিও এটা কবিতার টই, তা-ও একটা গল্পকথা কয়ে যাই। আমার এই কবিতায় "মিলি" র কথা রয়েছে না? সে ছিল আমার বন্ধু, আমরা এক স্কুলে পড়তাম, এক পাড়ায় থাকতাম। কত গরমের ছুটি, কত নাটক, মিলি খুব ভালো নাচত, পড়াশুনায় ভালই ছিল। । কিন্তু খুব নার্ভাস ছিল সে। পরীক্ষা এলেই অসুস্থ হয়ে পড়ত। ক্লাস নাইনে টেনসনে এনুয়াল পরীক্ষা দিতে পারলনা। তখন আমরা অন্য পাড়ায় চলে গেছি। সময়ের স্রোতে ভেসে গেছি, খোঁজ নেওয়া হয়ে ওঠেনি। দু-তিন বছর আগে , আমার আর এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনতে পেলাম, মাধ্যমিকের পর আর এগোতে পারেনি সে, টেনসনে, ডিপ্রেসনে বদ্ধ উন্মাদ হয়ে গেছে। বেশ কয়েকবার এসাইলাম ঘুরিয়ে আনা হয়েছে। ওদেশ থেকে ছুটিতে এসে পুরনো পাড়ায় গিয়ে দাঁড়ালাম ওদের বাড়ির সামনে, রাস্তার উপরেই বারান্দা, সেই বারান্দায় ছোটবেলায় রোদে ঘুচিমুচি করে বসে লুডো খেলতাম আমি , মিলি আর পিউ, পাশে বসে হাই তুলত ওদের সাদা স্প্যানিয়েল সানি আর স্পিতজ গুড্ডু লুডোর উপরে উঠে আসতে চাইত। মনে পড়ল ওদের ডোভারম্যানের একটি প্রিম্যাচিওর ছানা হয়েছিল, মিলি তার নাম রেখেছিল কালী, তুলোয় করে শুইয়ে রাখত, তুলো ভিজিয়ে দুধ খাওয়াত, মাস খানেক পর কালী মরে গেলে আর কেউ কাঁদেনি, কালীর মা-ও না, শুধু মিলির জ্বর হয়েছিল, ধুম, আর কাকিমা কপালে জলপটি দিচ্ছিলেন ঠায় বসে।
    সেই বারান্দাটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, জাল লাগানো, আর তার মধ্য দিয়ে কুঞ্চিত ফর্সা একটা মুখ, অগোছালো একটা ম্যাক্সি পরে মেঝেতে থেবড়ে বসে। চিনতে পেরেছিলাম, আর ভীষণ ভয় হচ্ছিল যেতে , তাও গেলাম । কিন্তু আমাকে ওঁরা ওর সাথে দেখা করতে দিলেন না। নাকি খুব ভায়োলেন্ট হয়ে ওঠে, মা ছাড়া আর কাউকে চিনতে চায়না।
    আমি আজও শুধুই ওকে স্বপ্ন দেখি। ঋণক্ষয় করার চেষ্টা করে গেলাম।
  • a x | 118.193.100.125 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ২১:০৩508051
  • উফ!
  • ranjan roy | 24.99.37.119 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৩ ০০:২৩508052
  • সোসেন, একি গল্প! এমন এমন --। খুব বড় শকের মত লাগল।
  • sosen | 24.139.199.1 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:০৭508053
  • শক তো, রঞ্জনদা। তাই তো বারবার ফিরে ফিরে আসে।
  • | 24.97.27.186 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:৫২508054
  • ওফ! সুষেণের এই লেখাটা পড়ে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এল। আমি ওটার খুব কাছ ঘেঁষে ফিরে এসেছি .....
  • Tim | 12.133.33.198 | ২০ জানুয়ারি ২০১৩ ০৩:০৪508055
  • এখন সন্ধ্যে, এখন আলোর রেশ
    কমতে কমতে চালচুলো নেই আবছা বুড়োর মত
    বেড়ার ফাঁকে হাতড়াচ্ছে ঝিঁঝিঁর শব্দ, ম্লান-
    ধোঁয়ার গন্ধে থমকে আছে স্টেশনফেরত যুবক
    মাইনে হলো, হাতের ঠোঙায় তেলচিটে দরবেশ।

    এখ্ন সন্ধ্যে, এখন জলের ধার
    আবছা অন্ধকারে শুধু মশার শব্দ, জলের শব্দ-
    হাতের নড়াচড়ায় এখন ঝকমকাচ্ছে বাসনকোসন
    হিম জমেছে, আনাচকানাচ গুমোট হয়েছে, কেবল
    পায়ের কাছে ছাপ পড়েছে অন্য আরো পা'র।
  • Tim | 12.133.45.159 | ২০ জানুয়ারি ২০১৩ ০৩:৩৬508056
  • বাড়ি বলতে যা বোঝাতো, সেসব কবেই ..
    যৎকিঞ্চিৎ টালির নিচে
    জোড়াতালির নির্ভরতা, বোনাস যেদিন-
    আসবে সেদিন একটু আলো, অন্যদিনে
    আফশোসে ভাত মাখছে দুজন।

    রান্নাঘরে বালতি পেতে বৃষ্টিফোঁটা,
    পদ্যগুলো মাথার মধ্যে, ঝাঁটার মধ্যে
    জমতে থাকা তেঁতুলবিছে। তখন
    উঠোন ভাসিয়ে নিয়ে মাটির গন্ধ
    থাবড়া খেয়ে আকাশবাণী
    লক-আউটের খবর দিচ্ছে।

    জল জমেছে, ট্রামগুলো সব জলের নিচে
    রোজগেরে এক মানুষ ফিরছে একলা হেঁটে
    ঘামের দিনে চা খেতে নেই, হেমন্তে
    তার ঘুসঘুসে জ্বর। আলসারে তো
    ... ধুর যত সব গপ্পকথা। কি ডিপ্রেসিং!
    ঊনিশ লাখের প্যাকেজ ছিলো, আসছে বছর...।

    তখন আকাশ লাল হয়েছে, নতুন কেনা
    ফোর সিটারের বনেট জুড়ে শিশিরবিন্দু।
  • pharida | 192.68.161.243 | ২০ জানুয়ারি ২০১৩ ০৮:৫৯508057
  • দারুণ লাগল । সকাল সকাল গুরু খুলে মন খুশ !!
  • sosen | 125.241.12.63 | ২০ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:১৬508059
  • বা: !
  • | 131.245.146.119 | ২০ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:১৭508060
  • আহা কদ্দিন বদে ....
    সাধু সাধু
  • rabaahuta | 208.175.63.19 | ২০ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:৪২508061
  • আহা...
  • sosen | 125.184.14.245 | ২২ জানুয়ারি ২০১৩ ২২:৩৭508062
  • সমর্পণ, সর্বদাই সমর্পণ নয়।
    যখন প্রত্যাশিত, রন্ধ্রহীন গলার আওয়াজ
    ছিটকে আসে চৌকোনো বাক্স থেকে
    শ্বাসরুদ্ধ হতে থাকে, স্তনবৃন্ত নীল হয়ে ওঠে
    আর নরম চামড়ায়
    দাগ কেটে বসে যেতে থাকে
    না বলা কথার চাবুক, নৈ:শব্দ

    ভালবাসার
    সকাল-বিকেল গোনাগুনতি চোদ্দ মিনিট থেকে
    কেটে নেওয়া কবেকার সুদ
    যখন
    হাত পেতে চাই, আর
    ভুলক্রমে লাল হয়ে ওঠে
    চৌদিক আকাশ, বধূসন্ধ্যা নামে
    দাঁতের তলায় জিভ চেপে

    নিতান্ত সহজে আসে বিস্মরণ
    তোর কাছে,
    যেন পোষা বিড়ালীর
    ছোট ছোট পায়ের আনুগত্য
    ওদিকে
    বুকের মধ্যে জল চেপে রেখে আমি
    প্লেটে করে ধরে দিই হাসি, যেন এমনই হবার

    এক একটি কাঁটা
    বেছে ফেলা
    তোর রুক্ষ গোড়ালির থেকে
    সমর্পণ নয়, জানলি? চেনা সে সুতোটি
    ধরে রাখা মাত্র।জলকাদামহাদেশ
    ভেঙ্গে এই ফিরে আসা, চেষ্টা চরিত্তির
    সীমন্তে আদরবিন্দু না ছুঁইয়ে দিলে
    মানায় কি? কবে আর দুহাত বাড়াবি ?
  • san | 127.194.205.131 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৩ ১৮:২৮508063
  • টিম আর সোসেনদিকে বাঃ
  • ইন্দিরা দাশ | 192.68.101.14 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ ২২:৪৪508064
  • ক্যানভাসে ক্ষুধার রং
    ইন্দিরা দাশ

    রং তুলি আঙ্গুলে তুলেছ কি কবি?
    আজকের দিনটাত়ে আঁকো হে আমায়...মনপ্রাণ সঁপে
    গভীর খয়েরি দিয়ে আফ্রিকান শিশু এক
    ইতিহাসের অসুস্থ সময়ে
    যাকে বেচে ফেলা হতো বারবার...ক্রীতদাস রূপে ।

    বর্তমান প্রেক্ষাপটেও সোমালিয়া , কঙ্গো, অথবা উগান্ডার
    গ্রাম কিছু কিছু এঁকে ফেলতে তো পারো
    যেখানে অসুস্থ অথবা মৃত বাবা-মা র
    সন্তানেরা পেয়ে থাকে উত্তরাধিকার
    কঠিন যৌন রোগ, জন্মগত ক্লান্তি
    অথবা আমৃত্যু ক্ষুধা ,দারিদ্র......অসহায় শ্রান্তি ।

    না হয় এঁকে ফেল জিম্বাবওয়ে ইথিওপিয়ার কিশোর ‘আমি’-কে
    খিদেয় অস্থির
    কখনো বা লন্ডনের ফুটপাথে, মাথায় চর্কিপাক আমার যে স্ট্রীট ডান্স টেনে আনে ভিড়
    ভাইটা আমার
    মাঝেমাঝে শিলিং কুড়াতে ব্যস্ত থামিয়ে গিটার ।

    এঁকে দাও দেয়ালে দেয়ালে লেখা আমার গ্রাফিতি
    খাদ্য-বস্ত্র -ঘর হীন মানুষের নগ্নপায়ে রাজপথে হাঁটা
    ওরা সত্যি আমাদের সে গান গাইতে দেয়না
    রাজপথে নেই সেই রীতি !

    যদিবা কখনো দোকানের চওড়া বাক্সের সাজানো খাবার
    পাকস্থলীর শত সূর্য্য জ্বালাপোড়া খাক করে দেয়
    লুকিয়ে চুরির সাজা সজোর প্রহারে যে রক্ত কেড়ে নেয়
    সেও কি আমার গায়ের রঙের মতই কালো?
    তুমি দয়া করে দিও তাকে রং
    না হয় ছবিতে সে লাল রং ই হোলো..

    রং তুলি আঙ্গুলে তুলেছ হে কবি?
    আজ আর প্রচন্ড দাহন দিনে গেযনাকো জ্যোৎস্নার গান ।
    আজ তুমি এঁকে নাও তোমার ক্যানভাসে
    কালাহান্ডি, সীতামারি ...পাঁজরসর্বস্ব সব মানুষ ...আপ্রাণ ।
    এঁকে নিও পিলেভরা ডিগডিগে পেটওলা শিশুদের দল
    যারা মাটি চেটে চেটে খেয়ে চলে
    কিছু পিঁপড়ের ডিম পেয়ে যেতে পারে তাই বলে ।
    দেশময় মন্ত্রীদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তোমাদের
    প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ভুলেছে যাদের
    এঁকে দাও এইবার তাদের সে গল্প দুর্ভিক্ষ তাড়নায়
    সেইসব সদ্য ঋতুমতী কিশোরীর পাচারের কাহিনী মধ্য আরবে
    মরে গিয়ে বাঁচার আশায় ।
    আর কৃষকের ঝুলন্ত লাশেদের কথা
    অতিস্নেহে গাছেরা ঝুলিয়ে যে রাখে সারসার
    ফুটিফাটা মাঠের ওপর
    অসফল..ফসলহীন..তার সে বার্তা ।

    রংতুলি আঙ্গুলে তুলেছ রে কবি!
    আর কত ফিকে গোলাপিতে এঁকে যাবে প্রেমিকার নরম ও গাল !
    আর কত বিনীত করুনায় গাইবে ঈশ্বরের গান!
    আর কতদিন 'দয়ার রং সবুজ' উল্লাস ছড়াবে বর্ষা-বসন্তের বর্ণনে উত্তাল !
    আঁকো ছবি, ..প্রাণ দিক আজ তাতে তোমার ও হাত
    এঁকে চলো আমায়....দেখছনা? এইযে লিখছি আমি অগ্নিঝরা অক্ষরে
    ধুলোপথে শুয়ে দিনরাত?
    এই যে বর্বর আমি উলঙ্গ মেহের আলী
    প্রতিবার সরকার বদলের সাথে সাথে গলাটা ফাটাই
    'সব ঝুট হায় '..রেল লাইন ধরে বলে চলি
    আর বকে চলি গালি ‍
    এইযে বুকভাঙ্গা আমি মানুষ নতজানু
    পূর্বপুরুষদের বাঁকানো কোমর আর চারহাতে চলাফেরা আচরণ ছেড়ে
    আজন্ম কুর্নিশের ভঙ্গিমায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে
    অবশেষে থুথু ফেলে বলে উঠি দুর্বার
    আর কত....কত আর ....ওরে দেখরে অভাব ....টানটান বুক পেতে দিয়েছি এবার

    আঁকবেনা? এইবারে ?এখানে এদের ?
    তোমার তুলির রং আজ ভুলে যাক কোনও ফ্যাকাশে নীল
    কিম্বা প্রিয় মিথ্যা কথা কোনও পেলব হলুদের
    কালো রং ইতর হলেও...ভন্ডামি নেই তাতে কোনও
    তুমি আজএইকথা ভুলোনাকো যেন ।
    দাঁতে মাটি কাটা আমাকে যে আজ ..দম্ভ ভরে মাথা তুলে
    শক্ত হাতে করে দাও স্থির
    পাঁচ-দশ উচ্চতারও বেশি হয়ে চিৎকারে
    আকাশ-বাতাস ফাটিয়ে বলব সুদৃঢ়

    সারসার কঙ্কালের দেখে নে রে তোরা রণসাজ
    খাদ্য দিবি কিনা হারামজাদারা ...
    তা না হলে পৃথিবীর মানচিত্র
    গোগ্রাসে খেয়ে নেব আজ ।
  • ushashi | 122.79.36.125 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৩ ২৩:৩৪508065
  • গোলার্ধ

    নাভিমূলে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে কেউ বলেছিল,
    সব ঝুট হ্যায়।।।
    সব ঝুট হ্যায় ।।।
    তারপর থেকেই পৃথিবীতে চড়া রোদের
    কড়া হুমকি ।।।
    এলোপাথাড়ি তুমুল আন্দোলনে
    মেঘের ঘরে রোজই
    চোদ্দোদফা অনশন ।
    মিটিং মিছিলের তাবৎ ভাষণে
    সিলিং ফ্যনের মত ঘুরতে থাকে পৃথিবী,
    এদিকে জীবনের রসাতল দপ্তরে দপ্তরে।
    কার্নিশে বসা ঘু ঘু টার হন্যে হয়ে ঘোরা
    সময়ের চাকা থেমে যায় নিয়তির আবর্তে
    তার পরেই সেই মহাশূন্য !
    যার সূচনা ও সমাপ্তিতে বৃত্তের পর বৃত্ত
    শুধু সমান্তরাল রেখাই বানায়,
    যোগসূত্র ঘটায় না ।।
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৮ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:১২508066
  • অনেক মনে রাখার মত কবিতা
  • Tim | 12.133.36.127 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ ০২:০৪508067
  • বজবজ থেকে আসা সেন্টু সাঁপুই
    তার আকর্ণ হাসি আর হাড়গিলে ভাব
    হাঁটুর ওপরে তোলা ধুতি, ছাঁটা গোফ
    অনেকেরি মনে নেই,
    বিশেষতঃ যাদের বাড়ির-
    কাজ সেরে দিতে আসত সে বজবজ থেকে।

    রেলগাড়ি চড়ে আসা সেন্টু সাঁপুই
    একবার চুরি করে ধরা পড়েছিলো, তার
    কাছেই কোথাও ছিলো চোরাই টাকা--
    খুঁজেই পায়নি কেউ,
    চালাকিটা ধরার আগেই সে
    কাজ সেরে ফিরে এসেছিলো রেলগাড়ি চড়ে।

    অনেক কিছুই পেত সেন্টু সাঁপুই-
    রোজগার দুই হাতে, বালি সুরকির তাল
    সমানে মিশিয়ে যেত- এঁটোকাঁটা, ছিঁড়ে গেলে
    সে জামাও একা সেন্টুই খেত
    স্বভাব মন্দ ছিলো তবু
    একা পেয়েছিলো সে, অনেক কিছুই।

    দমকা হাওয়ার মাঝে সেন্টু সাঁপুই
    জ্যোৎস্নায় কার্নিসে একা শুয়েছিলো
    মনিবের মেয়ে ছিলো ফুলশয্যায়, রাতে
    ঘুমের মধ্যে কাঁচা কার্নিশ ভেঙে
    -সকলে দৌড়ে এসে দেখেছিলো-
    সেন্টুটা মরে গেছে, দমকা হাওয়ার মত।
  • Tim | 12.133.36.127 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ ০২:৩৯508068
  • বিস্মরণ, তোমার নৌকো নদীর ডালপালায়
    শিকড় জুড়ে জাল পেতেছে ছাতিম গাছের ছায়া
    নৌকোতে বান, চাঁদ ছুটেছে অন্ধকারের কাছে
    ঐদিকে সেই দূর্গ ছিলো, এখন ধানের খেত।

    বিস্মরণ, তোমার নৌকো শিরা উপশিরায়
    টান দিয়েছে ভুরুর মাঝে, হাত রেখেছে হাতে
    নৌকোতে জল, অন্ধকারে ঢেউ নাচে বিভ্রমে
    ঐদিকে এক স্টিমারঘাটে হাট বসত, এখন।

    বিস্মরণ, তোমার নৌকো ঘুমের চৌখুপিতে
    রাশ টেনেছে রোদের তাতে পথ চলেছে মায়ায়
    নৌকো অসাড়, জাল পেতেছে, ডাকছে পুকুর মাঠ
    ঐদিকে এক জেলের বাড়ি, এখন দুপুরবেলা।
  • Tim | 188.89.98.192 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২৩:২৮508070
  • মাসপয়লা, মাইনে পাওয়ার দিন
    জল এসেছে, রোদের জলে স্নান
    পাশের বাড়ি, হঠাৎ অবসরে
    সেই মেয়েটা ফোন তুলেছে এখন

    মাসপয়লা, আলগা বটের ঝুরি
    দোল খাচ্ছে উলঙ্গ দলছুট
    শিকড় টানে, শিকড় কি অদ্ভুৎ-
    হাওয়া দিচ্ছে, ছাদের দরজা হাট

    মাসপয়লা, জঙ্গলে একদল
    মানুষ এখন ঝলমলে জ্যোৎস্নায়
    ঝিম লেগেছে জমাট অন্ধকারে
    ফিনফিনে সেই স্বপ্ন নাচে, একা

    মাসপয়লা, এই অবসর ভালো
    পত্রিকাতে তেমন কিছুই নেই
    রগের কাছে হিসেব পরীক্ষক
    আঁচড় কেটে আঁকছে বৃষ্টিফোঁটা

    মাসপয়লা, এখন পাশের বাড়ি
    জল তুলেছে, বাসন মাজাও শেষ
    সেই মেয়েটাও পড়ন্ত রোদ্দুরে
    চুল খুলেছে বন্ধ ফোনের পাশে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন