এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৬৫১৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sosen | 125.241.32.147 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১২ ২১:৫৩508004
  • আম্মো পড়তে চাই-কেউ দিননা!
  • Tim | 12.133.46.236 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১২ ০১:৩৩508005
  • তুষার নেমেছে ঝিলে, পথে আর সবজেটে বনে
    আলগা বালির মত, অগোছালো সময়ের স্রোতে
    তুষার জমেছে ঘাটে, কাকচোখো ঝিলের কায়ায়
    রাধিকা বসেছে সেথা ছায়াছবি অবলম্বনে।

    অদূরেই বুরাবাই, হাওয়াকল বেপরোয়া সেনা
    একলা সেপাই ঠায় ছাদের কোঠায় চুপিসাড়ে
    তার বর্শার ফলা ঘুরে মরে ঝোড়ো ইশারায়
    তার বর্মের ছায়া নেচে ফেরে বরফের ঢালে

    কুটীরের আলো এই অবকাশে নিভেছে কোথাও
    পাইনের বনে এই অবসরে মৃদু সঙ্গীত
    কুয়াশায় সেজে একা অপলক কোকশেতাউ
    রাধিকার ছায়া সেই রূক্ষ তুষার ক্যানভাসে।
  • Girin | 161.141.84.239 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১২ ০২:১৩508006
  • ছায়া কেন? রাধা কায়াময়ী কুটিরদুয়ারে,
    টুনি টুনি আলো দিয়ে সাজায় ধরণী-
    গলায় জড়ানো লাল উড়ুনির প্রান্ত ছুঁয়ে
    উড়ে বেড়ায় শীতালি হাওয়ার ফড়িং।

    ঝরাপাতা ঢেকে পড়ে আছে তুষারের বালি
    পত্রমোচী-অরণ্য শুনশান, পাখিরা প্রবাসে,
    রাধিকার চোখ ছুঁয়ে জেগে ওঠে যমুনাপুলিন
    সেখানে বাজিছে বাঁশি অনন্ত আকুল।
  • pharida | 127.194.32.246 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ ০৮:২৪508007
  • জলে

    কখনো হিসেব রাখিনি - জলে কতখানি সূর্যাস্তের স্তব এলে সে পরাঙ্মুখ হয়ে যাবে। জোয়ারে ডুবে যাবে আধখানা, হয়ত পাতাও নেই আর একটিও বলে নিরাপদে পাখি এসে জিরোবে খানিক। ডুবি ডুবি জল জমে নিজের ভিতর বুঝি নৌকার খোলে আশাতীত হল এইক্ষণে। কে আবার এইসব এতদিন পরে জলের ধারেতে নিয়ে এল সূর্যাস্তের নিখাদ সোনায় সালাঙ্কারা হয়ে দেখ কবেকার ঘুমহীন রাত নিয়ে এল, আঙুল থেকে শিরায় শিরায় গাড়ি ছুটে বেড়ালো প্রকৃত অনাবশ্যক হয়ে।
    তবে নাকি মুন্ডহীন ফের? তবে শুনি ভেসে যায় কলার মান্দাসখানি কুয়াশায় নেতিধোপানির ঘাটে। দোল খেতে খেতে ভাসে। ভাসে খুব দোল খেয়ে। হাসে। হয়ত বা জলের ভিতরে সে জল হয়ে গেছে তাই একা একা ভাসে।
    আমারও জলের কাছেতে জল মনে হয়। পাহাড়ের কাছে পাহাড়, জঙ্গলের কাছে জঙ্গল। গাছের কাছেতে গাছ হয়ে বসে থাকি কতদিন। পাতা ঝরে যায়। ঝরে যেতে যেতে একেবারে শূন্য হয়ে গেলে তবে পাখি এসে বসে। হয়ত কিছুই নয়। হয়ত আমিও সেই পুরনো জলের এক কুলাঙ্গার শরীরী রূপ বুঝি। জলে থাকি যতদিন, ধীরে ধীরে পাপস্খালন হয়।
    বুঝি খসে পরে চুল দাঁত নখ একে একে। গায়ের চামড়া, রক্ত, মাংস, মেদ, হাড় মজ্জাসমেত খসে যাবে। জলে মিশে গেলে সব – তর্পন পূর্ণতা পাবে।
    তাই দেখি। জলযানে। যতদূর চোখ যায়। কুয়াশায় দিগন্ত মিশে গেলে আর সেই চোখ ফিরে আসে না। রেলিঙে কান ঠেকিয়ে শুনি জলের গভীর থেকে শব্দ ভেসে ওঠে। তরতর করে সিঁড়ি বেয়ে শ্রুতি নেমে গেল দেখি আমাকে একলা ফেলে। জলের গন্ধ বুক ভরে রাখে। ক্রমে ক্রমে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে আমাকে দেখতে পায় না কেউ। বহুদিনে, এই একবার।
  • শিবাংশু | 127.201.164.157 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:০১508008
  • গাছের সঙ্গে ঘাসের যে গল্পসল্প তার সচিত্র আখ্যান তুলে রাখলো ভিডিও ক্যামেরা। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের ফাঁকে ফাঁকে তার ক্লিপ বাজিয়ে শোনানো হবে। যেমন ঘাস বলছে, হে বোধিদ্রুম, আপনি পান করে নেন সব জল। আমরা হীনযান, আমরাও তেষ্টায় জলের স্বপ্ন দেখি। পায় । এভাবে জলের প্রতি দৃষ্টি যায়। এভাবে মাছের জন্য ভেড়িমালিকের সঙ্ঘবদ্ধ বিপ্লব দানা বেঁধে ওঠে। ঘাস, জল, মাছ সব শব্দ নিয়ে মন্ত্রী ট্র্যাপিজ ছেড়ে রামলীলা ময়দানে উড়ে যান।

    গাছেদের ছোটো চুল আর ওষ্ঠময় লিবিস্টিক দেখে মন্ত্রীরা বলেন , হে ভারত, ভুলিও না। মোমবাতি হাতে নিয়ে দিল্লিলাহোর আর লালন সাঁইয়ের গান। কতো আর বাইট জোগাবে ডেন্টিংপেন্টিং মারা নারীদেহগুলি। স্মৃতিশ্রুতি সব তাহাদের হেঁসেলের দিকে ডাকে।

    প্রসব করার পাপ আর ঢাকতে পারেনা দীন ভেন্টিলেটার। প্রসবশালার ঘৃণা, হিমবিবৃতির ছন্ন পাপ বারুদের মতো ঘিরে ফেলছে। ফেলছে আর ফেলছে। মাঝরাতে গাছেরা যখন একপা একপা করে কোতোয়ালি কুচ করে যাবে, কোন বন্দুক নিয়ে দাঁড়াবে মন্ত্রীবর?

    ভেবে রেখো, হে বন্ধু, হে প্রিয়..
  • pradip naskar | 24.96.8.203 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ ০০:০৬508009
  • ভিতরের পশু

    ভিতরের পশু জেগে ওঠে
    রাতের অন্ধকারে,
    মেজিকের মত উড়ে যায়
    সংকচ আর দিধা।
    ফিরে যাই আদিম সভ্যতায়
    খুঁজে বেড়ায় দুটো হাত
    গোলাকার বৃত্তে।
    নাকে আসে আদিম গন্ধ
    রন্ধে রন্ধে বয়ে যায়
    আগ্নেয়গিরির স্রোত,
    ফিরে যাই আদিম সভতায়।
    ভিতরের পশু আবার ঘুমায়
    রাতের অন্ধকরে।
  • ranjan roy | 24.99.69.207 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ ০১:৪৫508010
  • মিথ্যে
    ------
    মিথ্যে তোমার শপথবাণী, মিথ্যে তোমার অভয় দেয়া,
    নিকষকালো জলস্রোতে একলা মেয়ে বাইছে খেয়া।

    ঘুমের মধ্যে ককিয়ে উঠি- আয় ফিরে আয়, আয়রে ওরে!
    মুচকি হেসে হাত নাড়ে সে- "ভুলছি না আর কথার তোড়ে।
    আর কতকাল বিচার চেয়ে ঘুরব আমি মাঠে ঘাটে,
    সত্যিটা তো কেউ বলে না, শুধু অনেক কথা রটে।

    বাবা, তুমি বড্ড বোকা, এদের কথাও তুলছ কানে?
    তোমার মেয়ের মন্দ-ভাল, তোমার বেশি আর কে জানে!
    সত্যি বলি? আজ ভোরে নয়, অনেক আগেই গেছি মরে,
    যখ্ন ওরা বলল-- কেন রাত-বিরেতে বেড়াস্‌ ঘুরে?

    জানি, তোমার সাধ্যেতে নেই ওদের সঙ্গে লড়াই করা,
    তাই তোমাদের গেলাম ছেড়ে চুকিয়ে ঋণের ক্রান্তিকড়া।
    অনেক হেঁটে ক্লান্ত আমি, যাচ্ছি এবার ঘুমের দেশে,
    ভুলতে যে চাই সেদিনগুলো, স্মৃতি বড়ই সর্বনেশে।"

    ঘরটা খালি,- চুলের ফিতে খেলার পুতুল আগলে আছি,
    তবু বলি - অথর্ব বাপ, আর কটা দিন যদি বাঁচি,
    দেখব আমি -,কালো জলের ঢেউয়ের মাথায় প্রদীপ দোলে,
    দেখব আমি,- মিথ্যেবাদী! যম যেন না তোদের ভোলে!
    ---------*****-----------
  • pradip naskar | 24.99.182.120 | ০২ জানুয়ারি ২০১৩ ২৩:৫৮508011
  • শহর লন্ডন

    বাঙালি আজ আত্মহারা
    গাইছে সিটি অফ জয়ের গান,
    কলকাতা আর, কলকাতা নয়,
    হবে এবার লন্ডন।

    ভগিরতি সাজবে এবার
    টেমস নদীর সাজে,
    ফুলের গন্ধে ভরে যাবে
    সহুরে বাতাসে।

    ফুটপাথ হবে ঝাঁ চকচকে
    ফোয়ারা হবে খেলার মাঠ,
    বস্তি হবে অট্টালিকা
    জঞ্জাল মুক্ত রাজপথ।

    দৃষ্টি দূষণ হবে না আর
    বিজ্ঞাপনের hoding হবে খোলা,
    ভিখিরি যাবে অভ্যাস ভুলে
    থাকবেনা হাতে থালা।

    বাসস্টপ হবে আলোর মেলা
    অন্ধকারের দুঃখু দূর,
    মনীষীরা থাকবেন জেগে
    কানে বাজবে রবির সুর।

    আম আদমির জন্যে বরাত
    সহর ঘিরে মেট্রোরেল,
    পয়সা বাঁচবে সময় বাঁচবে
    হবে আর লাইফ হেল।

    এসো আমরা গাই তবে
    সিটি অফ জয়ের গান,
    বাঙালি হব লন্ডন বাসী
    সিগেরেটে দিয়ে সুখেরটান।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৩ ০০:২৪508012
  • অনধিকার প্রবেশ।
    রঞ্জন দা - আবেগটা ভালো,কবিতা হিসেবে একটু দুর্বল লাগলো। কিছু জায়গায় জোর করে ছন্দ মেলানো, যেমন 'সাধ্যেতে নেই', জানি আমার অর্বাচীন মন্তব্য মার্জনাযোগ্য।
    প্রদীপ দা - আরেকটু চেষ্টা করতে হবে।
  • ranjan roy | 24.97.237.222 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১১:০৩508014
  • কৃশানু,
    একেবারে অধিকারপূর্বক প্রবেশ। সঠিক বলেছ, কবিতাটা দুর্বল, শুধু তাৎক্ষণিক রাগের প্রকাশ। এক্ষুণি আর কিছুই করতে পারছি না। আমার মেয়েটাও যে রাত্তিরে দিল্লিতে ঘোরে, রাতকে কব্জা করার কথা ভাবে!
  • de | 190.149.51.66 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১১:১০508015
  • রঞ্জনদার কবিতাটা পড়ে দুচোখ ঝাপসা হয়ে গেলো --

    সোসেন, টিম, ফরিদা, শিবাংশুদা -- ফাটাফাটি এগেইন!!
  • sosen | 24.139.199.1 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:১৭508016
  • মিলতে চায় না কিছু। যেমন দিনের শেষে বিশ্রান্তি খুঁজে ফেরে আহত স্ট্যাটাস; সহস্র উদ্যত ঢিল ছুটে এসে ভেঙ্গে দেয় চেনা আয়নার কথকতা। বালিশের মধ্যে মুখ গুঁজে গুঁজে ছোট হই, আরো ছোট, অকিঞ্চিত্কর; যেকোনো চিত্কার-স্বরে কেঁপে ওঠে বুকের দেওয়াল। তবে কি এবারই শেষ? কোথায় ডিঙিয়ে গেছি লক্ষ্মণের টেনে দেওয়া রেখা: সে যে কতযুগ, কতকাল হলো; মনেই পড়ে না আর কোন দিক দিয়ে, আঁচল জড়িয়ে নিলে ঢাকা পড়ে ফুটিফাটা পাঁজরের ছিন্ন গল্পকথা; ধুলোয় হারিয়ে গেছে দুর্গের প্রাচীন ফটক। অথচ আঙ্গুলে তোর এখনো মায়াবী সেই আলো, দু ভুরুর মাঝখানে টিপে ধরলে জ্বলে ওঠে কমলা আলোর টুনিলাইট ; মোড়ের জটলা কাঁদে বৃন্দাবনী সারং এর গতে, ট্রাফিক কন্ট্রোল করা পাগলিটা বধূ-বেনারসী পরে লাজুক পিঁড়ি তে বসে। এই তো আদর ছিল: সারা দেহ, স্কুল ব্যাগ, ফেসবুক জুড়ে; ধুলোয় ফেললি কবে? তোর হাতে পাথর মানায়?
  • ranjan roy | 24.97.221.74 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৩ ২৩:৪০508017
  • ১)
    অমল দেখছে মেয়েটির
    বুক,মুখ, কোমরের মাপ।
    বিমল দেখেছে শুধু নিতম্ব ও বুক,
    কমল দেখছে তার ত্বক, মুখ, বুক,
    কেউ তার দেখেনি তো চোখ।

    তুমি কী দেখবে ইন্দ্রজিৎ?

    ২)
    কী বলবে মেয়েদের কথা?
    যত্তসব রাতকানা পাখি!
    সূর্য ডুবলেই সব ইতিউতি ঢুকে যায় গাছের কোটরে।
    কিন্তু দেখ ঠিকরে বাজ,কাক-চিল, ঈগল ও শকুন
    অমল রোদ্দূরে আহা পাখসাট মারে।
  • siki | 132.177.172.197 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০০:২৪508018
  • উরিশ্‌শালা! সোসেন তো পুউরো ফুলটস!!
  • ইন্দ্রজিৎ | 118.35.9.186 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:১৮508019
  • রঞ্জনদা, আমি চোখও দেখবো, ঐ সবও দেখবো। ঃ-))
  • ranjan roy | 24.97.101.249 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৩ ০৬:৩২508020
  • শিবাংশুর কবিতাটা কী করে যেন চোখ এড়িয়ে গেছল। সক্কালে দু'বার পড়লাম। আমারই রাগের সংহত কাব্যিক প্রকাশ, একটু শান্ত হলাম।
  • sosen | 125.184.9.134 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:১৪508021
  • নীল বললে নীল, নতুবা নির্বর্ণ মেঘগাথা,
    আকাশ যেমনতর ভিজে ওঠে চালচিত্রে, টুপটাপ
    ঝরে পড়ে শিশিরের কল্পকথা খেজুরবাতায়
    পুকুরের মিঠে গন্ধ, শাপলার কাঁটা, সিদ্ধ ধান
    শরৎ বললে তাই, নতুবা সকলি মিশে, অদ্ভুতসকাল।
    বহুবার এগিয়েও ফিরে আসা, ধারাশব্দে
    অকালপতন বললে ছন্দোভুলে মুখ টিপে হাসা,
    হাসি বলে ভুল করলে চোখ টলটল, জ্বলজ্বল
    কবে যে রেণুর রঙে ভরে গেছে স্বর্ণলতা সিঁথি
    কাম আছে, কাম নেই, শৈশব দুয়ারে প্রহরী
    ভালবাসা বললে তাই, নতুবা জড়িয়ে ধরে বাঁচা।
  • শুদ্ধ | 127.194.252.162 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৩ ২২:২১508022
  • জাদুকর দাঁড়-বাহাদুর
    ------------------------
    [এটা একটা সিরিজ। চলছে।]

    উৎসর্গ
    ——-

    ক্রান্তিকালে যে জাদুকর বসেছিল দাঁড়ে

    বেচেছিল মাদুলির বিশ্বাস, কবচের হাড়ে

    ধর্মক্ষেত্র থেকে একটি জ্যামিতি গড়ে উঠতে গিয়ে হেঁটে গেলো সেই সন্ধ্যার দিকে, অস্যার্থে সুর্যাস্ত হল, পৌত্তলিক-অপৌত্তলিক সকলে গড়েছে মূর্তি মাটিতে-কল্পনায়! যে জাহাজকে বন্দর দিয়েছি আমরা সে বাণিজ্যে দিয়েছে কাঁটাতার-দেশ, ফুলপ্যান্ট, ওয়েস্ট কোট। যাত্রাপথে কোটি কোটি হাড় দেশ-দেশান্তরে নাচছে ভুতের নৃত্য। এক অসম্ভব সন্ধ্যা হয়েছে কুরুক্ষেত্রে।



    বীণাবাদিনী

    ওই কুচযুগ দুই হাতে মেপেছি, নিতম্বে বেজেছে বীণা, অহিফেন উড়ে গেছে কলকাতা থেকে সাংহাই! বীণাবাদিনী, লিঙ্গাঘাতে কামোন্মত্তা, পয়োধরে এত বিষ-ও ধর!

    কি জন্ম দেবে শালুকফুল, কি জন্ম নেবে শালুকফুল- দুপুরের পরে বালিহাঁস উড়ে গেলে অক্ষরের মূর্চ্ছনা থেকে পদ্মাবতী? মাস্তুলে মাস্তুলে মেঘ ছেঁড়াখোঁড়া, পোড়ো বাড়িটি চার্ণকের জীবাশ্ম নিয়ে অতিঢেউ স্মৃতি থেকে অবিনশ্বর তুলে আনে দাসত্ব, জাহাজ বয়ে নিয়ে গেছে তারে ইষ্ট ইন্ডিজের ঘাটে; দুলেছে হারটি প্রিয় কন্ঠে তোমার, আমার আলম্ব বিষ নীলাভ বিদ্যুৎ থুতু ছিটকোয় সভ্যতার দিকে- বার্বাডোজ, খিদিরপুরের ডক মুখোমুখি ট্রায়াঙ্গেল এঁকেছে বারমুডার, ইতিহাস ডুবিয়াছে সরস্বতী নদীটির জলে



    এনকোর এনকোর

    রব ওঠে নিয়তির সাথে নাচাকোঁদায়, দিল্লীর মধ্যরাত্রে পার্লামেন্টে। লাখনৌভি মুজরার পরে তিরিশ ফুটের জমিদার হতচ্ছিন্ন দারিদ্র, আয়না সম্বল করে মার্বেল সিঁড়িগণ গড়াগড়ি খায়, জলপিপিদের দেশে ঘেঁটুফুল ছাতারের পাশে শুয়ে থাকে মধ্যরাত্রে। স্বাধীনতা আসে। বড়বাজারের গদি থেকে কুমুদিনির সাহিত্য-সিন্দুরে শারদীয় বেচা ও কেনা মাথা তুলে শহীদমিনারের চেয়ে বড় হয়, শূণ্য এক দেশের ল্যাটিচুড-ল্যাঙ্গিচ্যুড কর্কটক্রান্তি বিদ্ধ করে ছায়া হয়ে ভেসে থাকে মহাজাগতিক; রাষ্ট্রপুঞ্জ নক্ষত্রগণনে মন দেয় তাঁতিদের আঙুল কাটার তীব্র নিন্দা করে, রেশমের দিন চলে গেলে সম্মেলনে রেশমের স্মরণসভাটি জমকালো হয়, ভাল হয়।



    ব্যাক্তিগত

    কে? কড়াটি দরজা সমেত বেড়াতে গিয়েছে বলে আমাদের দাম্পত্য দেওয়ালবিহীন, এই বেলা কে এল? পুঁটিমাছ, খলবলে সাদা আতপ্ত ভাত- ধবল গাভিটির সুখ ছেড়ে বহুকাল তামাদি দলিল দস্তাবেজে নিযুক্ত থেকেছি সারা রাত। মশারির আশেপাশে টিকটিকি, মশা, পোকাদের দৈনিকে আমাদের অভ্যস্ততা গদ্য লিখেছে। আরশোলা মানুষের চেয়েও বড় বয়সে, কি সাঙ্ঘাতিক বেঁচে থাকা জানে। উহাকে নোবেল দিলে সাহিত্য মুন্সী অপরাধ নেবেন না। রতি শেষে পরাজয় থাকে ধৃতিমান, উচ্চাকাঙ্খা তবু মাঝে ও মধ্যে দেখা দিয়ে যায়। দাম্পত্য বই-এর মলাটঅক্ষয়ে বেড়ে ওঠে নেতির দিকে, অস্তিতে চারুবাসনাসমূহ গ্রীবা তুলে থাকে যেন বাঁকুড়ার ঘোড়া।



    কষ্ট

    একটা গন্ধের মতন মাথায় ঢুকে পড়িস! কি মাখিস তুই মুখপুড়ি? বুকের মধ্যে মুখ দিলেই দম বন্ধ হয়ে আসে। আমার কষ্ট হয়। মরে যেতে সাধ হয়। হৃদয়ের কথা পেতলের বোতামের মত গলাবন্ধ কোটে বসিয়ে সুসভ্য হয়ে যেতে ভয় হয়। বেদনা অশেষ সভ্যতা জেনেছে পুঁথি-পত্রের ভিড়ে , বিকেলের পর থেকে প্রকৃত আলো নেই বই পড়বার। নারী বর্ণময় উপলের দেশ ছেড়ে চলে গেলে পরে, চা-দোকানের বিমর্ষ নিত্যতায় অভিব্যাক্তি পরে থাকে যথাযথ প্রেমের- বিস্কুটের বয়ামে বয়ামে। মিশকিন, গ্লাসনস্ত-পেরেস্ত্রৈকার পরেও কি সদুত্তর এলো? এখন মাফিয়া-কন্টকিত গণতন্ত্র, এখন বেশ্যাপানা দিনদাহাড়ে, মার্লবোরো আর হার্লে-ডাভিডসন সংসদে সিনেমাটিক ক্যাবারে করে, ভিরিদিয়ানার মত মিশকিন তুমি কবে পলিগ্যামাস হবে? নৈতিকতার কোঁচকানো ঘেমো জামাটি যে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে মিশকিন তোর বুক থেকে আমি কোনোদিন মুখ সরাবো না; ভিখারীবর্গের আসন্ন ’দ্য লাস্ট সাপারে’ আপনাকে উষ্ণ আমন্ত্রণ।



    বেনে বৌ

    হলুদে কালোর ছোপ, ঠোঁটে পান, পাখিটি আকাশে উড্ডিয়মান। আকাশ বলতে জাদুকর তুমি যে উচ্চাশা বুনেছিলে তার সন্দর্ভ কিছু, অথবা কুয়াশা খুব অর্থ। আকাশের অন্যান্য মানে হয়তো কিছু বা আছে প্রবন্ধ সংকলনে, কিছু আছে শিবালিক পার্বত্য বিস্তারে, কিছু মানে বহুদিন ময়দানে ঘুমাতেছে। সেখানে বিজয় কামান কিছু আরো, ছাব্বিশে প্রবল জনতন্ত্র হয়। ঘোড়াগুলি অবিরল জ্যোৎস্নায় মরন্ত রাতের প্রচ্ছদে লেজ নেড়ে নেড়ে, সন্তপ্ত সোনাটা ঘাসে শিশিরের প্রত্যাশিত পতনে বেজে উঠলে পরে, পুলিশের কালো গাড়ি আর প্রজাতান্ত্রিক এনকাউন্টার দেখে শিখে তোমারই ইশারায় রাত সম্পর্কে নীরব। তার চোখে ঠুলি, চিরকাল দেখে যাচ্ছে প্রতিফলিত আকাশ তৃষ্ণার জলে। পাত্র শূণ্য হলে আকাশ-ও উধাও। অথচ ঘোড়াগুলি ফিকশনে অল্টার-ইগো আঁকে। আর আমি যতবার বেনে বৌ, কৃষ্ণ কোথা পাখি নিয়ে লিখি, সে সব বারতা ক্রমে ঘোড়া-বিষয়ক দুই চার কথা হয়ে ওঠে…



    ছায়াযুদ্ধ

    বালিশে বালিশে যুদ্ধ হয়, যুযুধান তুলো উড়ে যায় পরম ভোরের দিকে; আমাদের ঘুম স্বল্পস্থায়ী হয় সন্দিগ্ধ রমণের পরে। ঘুম থেকে উঠে রাতরমণীর চলে যাওয়াটুকু চোখে লেগে থাকে, তাহাকে কতবার দেখিয়াছি কৃষ্ণভামিনী, অনুচ্চকিত ওই চলে যাওয়ায়। বড় পিঙ্গল হয় এরপরে দিন। মোরগের অনীর্ষণীয় ঝুঁটি দুলে দুলে নামতার চালে দিন খুঁটে খায়। সম্ভাব্য সমস্ত সম্পাদ্য গ্রথিত পূনঃপৌনিকতায়, তাই আমাদের দুঃখ নেই, হতাশার মাইম মঞ্চে মঞ্চে, দূর থেকে কমেডির মত লাগে- যারা সব হেঁটে গেল স্বার্থকতা পথে, তাদের খোলস লেপ্টে বালিশে, তুলোতে দীর্ঘনিঃশ্বাস লেগে ভিজে ওঠে ওড়া। হৃদয়, হৃদয়, আমাদের দুঃখ নেই, প্রতিক্রিয়া ছায়াযুদ্ধে নিহীত সুমেরু, কৃষিকাজ ভুলেছে প্রণয়।



    জাদুকর

    ঠিক সাদা দিয়ে তোমাকে আঁকা চলে না সাদায়, অথচ কি শ্বেত তুমি, শুভ্র দেবীটির তুমি যেন দেব। আহিরীটোলার থেকে যেই ঘাট বজরার ভারে ভারে বিপর্যস্ত, যেই পথ কিং জর্জের দরবারে, যেই পথ সিন্ধুসারস চেনে, সেই পথে তোমার প্রত্যহ। কয়েক কোটি মানুষের দাঙ্গা ও মড়কের মৃত্যু যে কোল্যাটারাল ড্যামেজ তাই দিয়ে ব্যাখ্যা চলে না তোমার ট্রিকারির। তুমি এক শিকারীর হাতের আঙুল যার ট্রিগারের চাপ মুহুর্তের ভগ্নাংশের মধ্যে পশ্য ও অস্পষ্ট, তুমি অর্চিস্মান আমাদের স্বাধীনতা-সাধ।

    কিশোর বাথরুম-রতি যে তন্ময়তা তার কাছাকাছি তোমার টুপির পালক ওড়ে, হে মগ্ন, চৈতন্যের অতলে তুমি আমাদের আজব নাটুয়া। পরম হংসের মত তুমি জল থেকে নিয়ে গেছ দুধ, আমাদের জল থৈ থৈ গেরস্থালি, এইদিকে বেনাচিতি ওই দিকে ওয়াঘা বর্ডার।
  • শুদ্ধ | 127.194.249.125 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৩ ১৪:৪০508023
  • জাদুকর দাঁড়বাহাদুর/২
    -----------------



    রূপকথা

    বিবাহসমূহ চন্দ্রোদয় হলে পক্ষাঘাতে পঙ্গুও। বাসরে অথচ রসালো নৃত্যগীত প্রাচীন প্রতীতি। নৃত্য নৃত্য, আমাদের সব নাচ ও আমোদ অনিত্য। মধ্যযাম জেনেছে সরলতা অভিসন্ধিমূলক, সব্জী বাগানে ঢের হয়ে আছে অন্ধকার। প্যাঁচার অন্ধকার দর্শন প্রকৃত। ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী গল্প সাজায়। ইঁদুরের খুদ ও রাজকন্যার বিবাহের মধ্যে দিয়ে বয়ে যায় রূপকথা নদী। পক্ষীরাজ চিরকাল আশাতীত উদ্ধার। রাজপুত্র অপেক্ষা করে গল্প শেষ হলে সুখ শুরু হবে বলে। বিসমিল্লায় গলদ ছিল, নহবত ব্যার্থ হয়ে যায়।



    ফেরা

    যেখান থেকে সরে যাচ্ছি সেখানে সকাল এসে বসবে। এবারে ঘাসের বিছানা, ফিরে যাওয়া কোনোদিন সুপেয় হয়নি। আমি এক অনুর্বর কথামালা যে শূণ্যতায় এঁকেছি ধ্রুপদী বাগান। ধাঁধাময়ী, বাঙ্ময় চক্ষুটি ঢাকিলো কি মহাকাল? বিন্দু বিন্দু বালি জমে একদিন মহাজাগতিক স্তুপ, এন্ডগেমে ধ্বংস আর

    পাখিটির ঋণগ্রস্ত ডানা সুদে জরজর।



    কাঁটাগাছ

    বাগানের কোনো উদ্ধার নেই, অথচ গোলাপের খোসগল্পে ভরে আছে ব্যাবিলন। শূণ্যতা, শূণ্যতা, তুমি উদ্যানে স্ট্রাভিনস্কি বাজো। বাঁশীওয়ালা লিগাডো, স্টাকাটো সব বাজাতে পারে বলে মৃত্যুর ওপারে গেল। ছায়ানারী ভালোবেসে গভীর অসুখে সে দার্শনিক। দার্শনিক, এক আহত প্রজ্ঞা।

    সমস্ত জেনেছে যে উট সে শুধু কাঁটাগাছ ভালবাসে...

    ১০

    ডিলিরিয়াম

    অথবা কগনেটিভ ফাংশন সম্পর্কে কিছু কথা

    কিম্বা নিউরোসাইকিয়াট্রিক সিনড্রোম কিছু ঘন্টার, বা দিনের

    তামার দস্তানা, হাড়ের মাধুর্য্য, হৃদয়ের প্রস্রাবপ্রবণতা

    এসব আষাঢ়দিনে ফেরত এসেছে যে বোতলে সেখানে দুধ ও মদ্য দুই সম্ভাবনাময় ছিল, মধু ও বিষ যা হোক রাখতে পারতো নির্দেশিকার সৌজন্যে, তাকে হৃদয় নামে ডেকেছি। তোমাকেও ভরেছি সেখানে সঙ্গোপন সুখে। পুনরুত্থানের পরে যে শয়তানের টেস্টামেন্ট সেখানে উডকাট, স্টেনসিলের দাগ ধরে গেলে অবশেষে সরোবর আছে। খেলা আছে মীন ও বালুচরি। লেখা আছে কোম্পানির নাম, মেকদারির কাম। এবং সেখানেও মদের পরেও বোতল পরে থাকে, এমনকি নেশার পরেও। অক্ষয় বোতল তুমি হে হৃদি...

    [সিরিজ চলমান]
  • ushashi bhattacharya | 122.79.36.119 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ০০:৪৮508026
  • অক্ষমতা ।।।
    ঊষসী ভট্টাচার্য

    খুবলে খাওয়া মাংসপেশি থেকে
    রক্ত জমাট বাঁধে কোমোরে !
    রুদ্র ! পৌষের শীত পোহানো বড় বোরিং আজ ,
    উপসি বুকে গরম টাটকা রক্ত দিতে পার ?
    দামিনীর মত তেরো দিনের লড়াই করার ক্ষমতা আমার নেই
    তেরো ঘণ্টায় ভ্রূণ মারা পেটে
    এত লড়াই কি মানায়?
    একের পর এক শরীরে কাটা দাগের ক্ষত ঝলসে উঠবে ,
    বিছানার শীতে তাও তো স্লোগানের পর নরম আদরেই
    প্রমত্ত হবে পিপাসার্ত শরীর ।।।
    ফাটা ঠোঁটের গন্ধে খুঁজতে যাবে বিষাক্ত মাতলামো
    রুদ্র !শরীর বিলাস আর ধর্ষণের উত্তেজনা এক নয়
    এ বিক্ষোভ তবু বুঝবে না
    আজন্ম রক্তে ডুবে থাকা নবনিতারা
    নেতা থেকে সমাজের ভাষণে পুড়তে থাকবে
    আমাদের মত নবনিতাদের শরীরের ভাজ
    ঘেমো গন্ধে চটচটে হবে মনের দেয়াল,
    তবু।।। ফাঁকা আওয়াজে জ্বলবে না
    ধর্ষকের চিতা !
    রুদ্র! যদি কোনদিন তাকিয়ে থাকা উৎসুক চোখ গেলে
    ভোগ সাজাতে পারি আরাধ্য দেবীর
    তবেই বিছানার আদলে নারী নামের মর্যাদা চাইব ।।।

    আগে, মেয়ে মানুষ ছেড়ে
    মানুষ হবার লড়াই তো জিতে নি !
  • ranjan roy | 24.96.136.242 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:১১508027
  • স্বাগত উষসী! আরো হোক।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:১৪508028
  • ডিঃ
    ডিডিদা বলেছেন দিতে, অমান্যি কত্তে পারিনে, তাই দিলাম। এরপর ঢিল ছুঁড়তে চাইলে কম্পানি দায়ী নহে।

    চার বর্গফুট মাটি
    --------------------------

    সিল্যুয়েট গৌণ করে সরে যাও তুমি আর প্রত্যন্ত গুহায়
    ব্ল্যাকম্যাজিকের খেলা শুরু হয়, লক্ষ লক্ষ বছর পিছিয়ে
    আবার আদিম একা, ঋতুরস শুষে খায় কালচে দেয়াল
    দিনের ছিবড়ে পড়ে রাতের থালায়, এই আপাদমস্তক
    ডুবে থাকা ঘন জলে, কোনো তীর নেই শেষে, হারিয়েছ সংজ্ঞা
    মহাসাগরের সব তলদেশ সময়ের সিঁড়িভাঙা অঙ্কে
    লোফালুফি খেলে খেলে তোমাকে হাতবদল করবে গভীরে
    থেকে থেকে পায়ে বেঁধে নিমজ্জিত জাহাজের অগণিত খন্ড

    অথচ এখানে প্রতি সপ্তম সেকেন্ডে কেউ লাইটার জ্বালে
    ক্ষণস্থায়ী সরু শিখা, আধফালি মোমবাতি কাছে গেলে তার
    আলাপের সহবৎ ভোলে না কখনো, আরো বহু নেশাগ্রস্ত
    পড়ে এই গুহাতেই, আলোর অক্ষর হাতে রিলে রেসে ডাকো
    সকলে সামিল হবে আজ, দীপাবলী দেখে ভীত চামচিকে
    ঝটপট শব্দ তুলে ছেড়ে যাবে পড়ে পাওয়া দালানের কোণ
    নিজস্ব অঘ্রাণে তুমি দুপুরক্ষরিত হেম, পটভূমি জুড়ে
    বয়ে যাও একাকার ধারা নিয়ে চোখ থেকে চোখে
    শ্বেতধৌত দেয়ালের ঘরে হাওয়া দোল দেয় সাদা পাঞ্জাবিতে
    পৃথিবীর ধার করা প্রত্যেক ফোটন সূর্যে শোধ দিয়ে আসে
    দাঁড়াবার ঠাঁই সেই চার বর্গফুট মাটি কোরাসের স্বরে ।
  • I | 24.99.237.8 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:১৮508029
  • নাজুক নাজুক ! আরো হোক !
  • sosen | 24.139.199.1 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:৩০508030
  • কপিক্যাট, কপিক্যাট, আমিও কাজুর দেখাদেখি।
    এইটে মিতুলদি কবিয়ালে বের করেছে।

    ________________________________________________
    আয় এবার তোকে লিখি, ডায়রি বন্ধ করবার আগে। রক্তের ভিতর থেকে উঠে আসা সেই অন্তঃস্রোতের গল্প। সেই যে তুই আমায় জড়িয়ে নিলি এক অন্য দ্রাঘিমারেখার উপর, আর আমার ল্যাবের বেঞ্চে পা ঝুলিয়ে বসে পড়ল সেই শ্যামলা মেয়েটা। মাগো, স্রোতের জলে কি চোরাটান, মা! ভেসে যাচ্ছে আমাদের ছোট ছোট ঝুলনের সংসার, লিলিপুট রিক্সাগাড়ি, চিলতে কচুরি পানা। বারান্দার গ্রিলে মুখ রেখে মিলি তাকিয়ে রয়েছে আমার দিকে, ওর উন্মাদ দৃষ্টির নিচেই কোলকাতার সব ভুল উচ্চারণ থমকে দাড়াল। মিলি, এবার তুই আমার স্বপ্ন থেকে চলে যা; আর তো পারি না এই বিষাক্ত আকাশের নিচে অবিরাম ধারাস্নানে গলে পড়তে। পরীক্ষার সব খাতা লাল দাগে ভরে উঠছে, সাদা ঘোড়াটার নধর পিঠে চাবুকের মার হয়ে। কঠিন সে স্ক্রুটিনির পর ওরা চিৎকার করে বল্ল- আমার সমস্ত অঙ্ক ভুল। তাই? ভুল এই ভিজে ওঠা বুক, ফিরোজা অঞ্চল যা রেখে এসেছি এক টুকরো বরফের নিচে? তাই হবে তবে। না আমি আর লিখব না ভালবাসা, ছন্দময় পূর্নিমার রাত আর চুম্বনের কল্পকথা। হাহাকার টানে যখন আমার শরীর ছিড়ে বেরিয়ে আসছে সেই অপরিচিত হিমবাহ, আতঙ্ক ও বাকরুদ্ধতার সেই প্রসব কালীন রাত্রে ভালবাসা শাপ ছাড়া কেউ নয়, কিছু নয়। ওপার থেকে আসা রেলের গাড়ি বেয়ে এখনো গড়িয়ে পড়ছে রক্ত অবিরাম।ছুটে ছুটে পালাচ্ছি আরো দূর, চন্দ্রের ওপিঠে গেলে পৃথিবীর মুখ ঘুরে যাবে অন্য দিকে, পুড়ে গেলে শুদ্ধ হবে এই বেঁচে থাকা, ছুট ছুট ছুট,রাতের অন্ধকারে পালানো যায় যতদূর, ঠিকানাবিহীন, স্বপ্নহীন। কি করলে গল্প শেষ হয় ঠিকঠাক ; জীবন হয়ে ওঠে অনিন্দ্য পারসিয়ান গালিচা; ঢেকে যায় প্রশ্নচিহ্ন, বিষাদযোজন; সে আর কখনো শেখা হল না আমার। কখন আসবি তুই, লেটারবক্স খুল্লেই হেসে উঠবি ফুল্ল নয়নতারা হয়ে ; সেই অপেক্ষায় কেটে গেল শত অবরোহী। দুধে সিক্ত হয়ে উঠে আবার শুকিয়ে গেল স্তন, নোংরা জলে ভরে উঠল গঙ্গা, সকলের ঘরে ঘরে তুই এলি, আমার এই আয়োজন বার বার ব্যর্থ করে। আর ডাকব না তোকে, চলে যাচ্ছি, চলে যাচ্ছি, থাক তুই অন্য ঘরে, আনন্দপ্রবাহিণী হয়ে। আমার দুঃখের ঘরে পিওন আসার আর দরকার নেই, ঘর বন্ধ, ছুড়ে দিচ্ছি নেমপ্লেট, নিলামে পাঠিয়ে দিচ্ছি তোর সিংহাসন। সব ভুল, সব ভুল,ফোন মৃত, উপগ্রহ-চিত্রে আমি নেই..হারিয়ে যাবার আগে শুধু এই বাকি ছিল-তোর গল্প লেখা।
  • dd | 132.167.26.146 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:৩৩508031
  • বাঃ বাঃ আর বাঃ।
    সোসেনের "ফোন মৃত'। তাই এতো বিলাপ?
  • প্পন | 126.203.146.195 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:৪৩508032
  • বাহ। বাহ। উঠে দাঁড়িয়ে হাত্তালি।
  • I | 24.99.237.8 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:০৫508033
  • তুমুল।
    দুর ! এইসব লেখা পড়ার পরে আর লিখতে ইচ্ছে করে না।
  • kumu | 132.160.159.184 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:১০508034
  • টুপি খুলে রেখে গেলাম।
  • de | 190.149.51.67 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:২৮508035
  • আরে ফেলে রেখে যাবেন না -- পরের বার আবার দক্কার হলে?

    দারুণ দারুণ সব কবিতা!
  • b | 220.212.8.62 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:৩৫508037
  • অসম্ভব ভালো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন