এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হেমাঙ্গ বিশ্বাস: গণসঙ্গীতের কবি। বর্তমান প্রজন্ম কতটা চেনে?

    Debashis
    অন্যান্য | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ | ১২৩১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nyara | 122.172.31.148 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:২৯508961
  • 'মেঘে ঢাকা তারা' আর 'কোমল গান্ধার' - দুটোরই সুরকার জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, হেমাঙ্গ বিশ্বাস নন।

    কল্লোলদা, দেবাশিস দাসগুপ্তর ইন্টারভিউতে - বা ঐ সংখ্যাতেই - আর একটা ইন্টারেস্টিং চিঠির উল্লেখ ছিল। হেমাঙ্গ বিশ্বাস আর দেবব্রত বিশ্বাস নির্মলেন্দুর গানকে একটু খাটো চোখে দেখতেন। নাম দিয়েছিলেন 'ফোকোমডার্ন', কারণ সিলেট অঞ্চলের লোকসঙ্গীতের চরিত্রস্খালন করেছিলেন নির্মলেন্দু। জীবনসায়াহ্নে এসে নিজেরা চিঠিতে আলোচনা করেছিলেন, 'ওকে তো করে খেতে হবে, কাজেই যদি ফোককে ফোকোমডার্ন করে থাকেন ঠিকই করেছে।'
  • maximin | 59.93.220.27 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৪৪508962
  • মাঠের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে সেইসব জনসমাবেশ, উত্তরবঙ্গে। হেমাঙ্গ বিশ্বাস একের পর এক গেয়ে যাচ্ছেন, থামাথামি নেই। সে কী ভোলা যায়?
  • Debashis | 2.89.224.254 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:১০508963
  • কিকি, কারেক্টো :)!
  • Debashis | 2.89.224.254 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:১৭508964
  • @ nyara

    দু:খিত। ওটা নেপথ্য শিল্পী হবে। ভুল করে সুরকার লিখেছি দু জায়গাতেই। সংশোধনীর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
  • siki | 122.177.158.47 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:০৪508965
  • জন হেনরীর লিরিক পেলাম নেটে:

    John Henry he could hammer,
    He could whistle, he could sing
    He went to the mountain early in the mornin'
    Just to hear his hammer ring, Lord, Lord
    Just to hear his hammer ring.
    Just to hear his hammer ring, Lord, Lord
    Just to hear his hammer ring.

    When John Henry was a little baby,
    Sittin' on his daddy's knee
    He picked up a hammer, a little piece of steel,
    Said hammer be the death of me, Lord, Lord
    Said hammer be the death of me
    Said hammer be the death of me, Lord, Lord
    Said hammer be the death of me

    When John Henry's fam'ly needed money,
    Said he didn't have but a dime
    If you wait 'til the red sun goes down
    I'll get it from the man in the mine, Lord, Lord
    I'll get it from the man in the mine
    I'll get it from the man in the mine, Lord, Lord
    I'll get it from the man in the mine

    Well John Henry went to the Captain
    Said the captain, what can you do
    I can hoist a jack, I can lay a track
    I can pick and shovel too, Lord, Lord
    I can pick and shovel too
    I can pick and shovel too, Lord, Lord
    I can pick and shovel too

    Well the captain said to John Henry,
    Gonna bring me a steam drill 'round
    Gonna bring me a steam drill out on the job
    Gonna whup that steel on down, Lord, Lord
    Whup that steel on down

    Well John Henry said to the captain,
    Oh a man ain't nothin' but a man
    'Fore I'd let your steam drill beat me down,
    I'd die with my hammer in my hand, Lord, Lord
    Die with my hammer in my hand

    Well John Henry said to the captain,
    Looka yonder what I see,
    Hole done choke, drill done broke,
    And you can't drive steel like me, Lord, Lord
    Can't drive steel like me
    Oh no, you can't drive steel like me, no no
    Can't drive steel like me

    Well John Henry drove into the mountain,
    His hammer was strikin' fire
    He drove so hard he broke his poor heart
    And he laid down his hammer and he died, Lord, Lord
    Laid down his hammer and he died
    He laid down his hammer and he died, Great God
    Laid down his hammer and he died

    Oh they took John Henry to the White House
    And they buried him in the sand
    Every locomotive come roarin' by
    Says there lies a steel drivin' man, Lord, Lord
    There lies a steel drivin' man
    Says there lies a steel drivin' man, Lord, Lord
    There lies a steel drivin' man

    Shaker why don't you sing,
    I'm throwin' twelve pounds from my hips on down,
    Just listen to the cold steel ring,
    Just listen to the cold steel ring

    Well the Captain says to John Henry
    I believe this mountains cavin' in
    John Henry said to the Captain,
    'Tain't nothin' but my hammer suckin' wind,
    'Tain't nothin' but my hammer suckin' wind

    The man that invented the steamdrill,
    Thought he was mighty fine,
    John Henry made his fifteen feet,
    The steamdrill only made nine,
    The steamdrill only made nine

    Well John Henry had a little woman,
    And her name was Polly Ann
  • siki | 122.177.158.47 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:০৫508966
  • এখান থেকে যা পচ্ছি, পলি অ্যান জন হেনরীর মেয়ের নাম। বাংলা গানে মেয়ের নাম নেই।

    জন হেনরীর কচি ফুল মেয়েটি
    পাথরের বুকে যেন ঝর্ণা
    মা-র কোলে আছে বসে পথ চেয়ে আছে কার
    বাবা তার আসবে না, আর না।

    আবার জন হেনরীর চিরপ্রিয় সঙ্গিনী, নাম তার মেরি ম্যাগডালিন এটা ইংরেজি ভার্সনে নেই।
  • Debashis | 2.89.224.254 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:৪৮508967
  • ঘনাদা

    অপেক্ষায় আছি আপনার লেখাটির। আমি গুরু তে অত্যন্ত অনিয়মিত লেখক। কিন্তু পড়ি প্রতিদিনই। আপনার লেখার পাখা (ফ্যান) বনে গেছি এই কদিনেই। তাই অপেক্ষায় থাকি আপনার নতুন লেখার।
  • kallol | 115.242.234.19 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৪০508968
  • হ্যাঁ, নির্মলেন্দু নিয়ে হেমাঙ্গদার খুব ক্ষোভ ছিলো। উনি বারবার বলতেন - নির্মল ফোকেরে ডিসট্রট করে। ঠিক এই কথাটা বলতেন। আসলে নির্মলেন্দুকে উনিই নিয়ে আসেন কলকাতায়। কিন্তু নির্মলেন্দু বেশীদিন পার্টির ছায়ায় থাকেন নি। যদিও আজীবন, সিপিএমএর ব্রিগেডের মিটিংএ গান গেয়ে এলেন।
    এই নিয়ে জর্জদার সাথে বেশ তর্ক হয় হেমাঙ্গদার। সেদিন আমি ছিলাম না। বন্ধুদের কাছে শোনা।
    কি কথায় নির্মলেন্দুর কথা উঠতে জর্জদা বলেন বাংলা ফোক বিশেষ করে পূর্ব বঙ্গের ফোক এতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পিছনে নির্মল। তাতে হেমাঙ্গদা ক্ষেপে গিয়ে একের পর এক গান শুনিয়ে দেখাতে থাকেন কোথায় কোথায় নির্মলেন্দু সে সব গানকে পাল্টে দিয়েছেন। মূলত: অভিযোগ ছিলো চটুল কথা ঢুকিয়ে দেওয়া, আর গানের লয় পাল্টে দ্রুত লয়ে গাওয়ার, যাতে শ্রোতাকে তাৎক্ষণিক বিনোদন দেওয়া যায়।
    তার উত্তরে জর্জদা বলেন, শ্যামবাজারে ভাটিয়ালি বা মারফতি গাইলে তা কিঞ্চিত শ্যামবাজারী হবেই। লোক সঙ্গীত একেবারেই অঞ্চলের পরিবেশ থেকে গড়ে ওঠা গান। ঝুমুর গানের মজা কলকাতায় বসে পাওয়া বেশ কঠিন, তেমনই ভাটিয়ালি বা সারী-জারী। এখন, যাকে গান গেয়েই রোজগার করতে হয়, তাকে বিনোদনের দিকটা খেয়াল রাখতেই হয়, যাতে পরের বারও ডাক পাওয়া যায়। ফলে গান পাল্টাবেই। সে তো শচীন দেব বর্মণ, আব্বাসুদ্দীন, জসিমুদ্দীন সকলেই করেছেন। নিশিথে যাইও ফুল বনে গানটি তো আসলে ফকিরি গান, যাতে ""দেল কোরানের"" কথা আছে। শচিন দেব বর্মণের গাওয়া গানটি জসিমুদ্দিনকে দিয়ে লেখানো হয় প্রেমের গান হিসাবে। সিলেটে দুটি গানই আলাদা করে জনপ্রিয়। এরকম তো অজস্র।
    আর বব ডিলান জখন ফোক-রক গায়, তখন তো আপত্তি কর না। আমি-তুমি গান গেয়ে পেট চালাই না। আমাদের ওসব শুদ্ধতার বুলি সাজে।
    নির্মলরে গান গাইয়া প্যাট চালাইতে হয়, হেইডা মাথায় রাইখ্যো।
  • kallol | 115.242.234.19 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৫৭508969
  • সিকি। এইখানে দ্যাখ জন হেনরীর কতো ভার্সন আছে।
    http://www.ibiblio.org/john_henry/lyrics1.html

    আবার এখানে জন হেনরীর ছেলের কথা আছে। http://www.elyrics.net/read/p/pete-seeger-lyrics/john-henry-lyrics.html

    John Henry had a little baby.
    You could hold him in the palm of your
    hand.
    The last words I heard that poor boy say,
    "My daddy was steel-driving man. Lord,
    Lord.
    My daddy was a steel-driving man."


    আবার এটা উডি গাথরীর গাওয়া অন্য একটা ভার্সন।
    http://www.metrolyrics.com/john-henry-lyrics-woody-guthrie.html

    আমি শুনেছি জন হেনরীর প্রায় ৫০টা ভার্সন আছে। সুরও অনেক রকমের। আমার কাছেই বেলাফন্তের গাওয়া দুরকমের সুর ও কথা ছিলো।
  • Manish | 59.90.135.107 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:০২508971
  • এটাই গুরুর চরিত্র। ভীষন ভাবে জ্ঞান সমৃদধ্য হলো। ধন্যবাদ সবাইকে।আরো লেখা চাই।
  • Sushanta | 117.198.57.63 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৩১508972
  • দেবাশিষ বাবু, আপনি অসমে ছিলেন, এটা মনে রেখেই আমি আমার মন্তব্য করেছি। আগের একটা লেখা থেকে আমি কথাটা জেনেছি। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার আপনি যে ব্যাখ্যা দিলেন সেটি এতো সহজ নয়। আপনার ডিগবয়ের অভিজ্ঞতাও মিথ্যে নয়। আমার নিজেরও এমন অভিজ্ঞতা প্রচুর হচ্ছে প্রতিরোজই। আমার ফেচবুক একাউণ্টে আসুন, দেখবেন কত অসমিয়া বন্ধুদের সঙ্গে আমার কেবল নেট-বন্ধুত্ব নয়, বাস্তবের কাজকর্ম রয়েছে। আমার পক্ষে অসমিয়া বিয়ে করে ফেলাও এমন কঠিন কাজ কিছু ছিল না, যদিও সেটি হয় নি। আর ডিগবয় হচ্ছে অসমের অভিজাত মধ্যবিত্তদের দের ঘাঁটি। ( শ্রমিক আন্দোলনেরো ঘাঁটি বটে) আমি থাকি এর একঘন্টা দূরত্বের শহরে। অভিজাতরা নিজেদের মধ্যে ঐক্য রেখেও, এখানেই অনৈক্যের চাষ করে ফসল ছড়ায় অন্যত্র। এমন অভিজ্ঞতা সমগ্র ভারতেই মেলে। গুজরাটেও পাওয়া যাবে। আমার করিমগঞ্জের মামার বাড়ি বিজেপিকে ভোট দেয়, মুসলমানকে আশ্রয় দেয়। পীর ফকিরকে সসম্মানে ভিক্ষে দেয়। ( সত্যি, বিচিত্র এই দেশ) কিন্তু এই যে আপনি বললেন "বাংলাভাষীদের অসমের সঙ্গে একাত্ম না হতে পারা।" এটি সত্য যারা বৃটিশ ভারতে বা তার পরে এসছিলেন তাদের বেলা । ( কারণ তার আগের হাজার বাঙালি অসমিয়া হয়ে গেছেন, বা একাত্ম আছেন। কামাখ্যাতে গেলে সেটি বোঝা যায়। এ হাজারো বছরের পরম্পরা। সেদিন তাই হেমন্ত বিশ্ব মজা করে বিধান সভাতে বলেছিলেন, পরীক্ষা করলে দেখা যাবে আসুর সভাপতি সমুঙ্কÄল ভট্টাচার্য বিশুদ্ধ বাংলাদেশী ) কিন্তু এই যে বর্তমান অনাত্মীয়তা এর কারণ কি সাম্প্রদায়িকতা নয়? ভাজপার উত্থান কিন্তু অসমে বাঙালিদের থেকেই হয়েছে। এবারে আপনি তার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন, দেশ ভাগ ইত্যাদি ইত্যাদি বলে...তাতে হিন্দুদের মুসলমান বিদ্বেষ মিথ্যে হয়ে যায় না, বরং প্রমাণই হয়। যার জন্যে অসমের হিন্দু মুসলমান মিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিকে মাথা নুয়ে সংখ্যালঘু হয়ে থাকতে হয়। এক বিশাল সংখ্যার মিঞা মুসলমান যে নিজেদের অসমিয়া লিখিয়ে রাখেন তাঁর কারণ অসমিয়া বা বাঙালি হিন্দুর এই দুপক্ষকেই তারা ভয় করেন, বিশ্বাস করেন না। আর এই মিঞাদের একসময় অসমিয়া শাসক শ্রেণি স্বাগত জানালেও আলাদা লাইন প্রথা করে আলাদা নিবাস দিয়ে রেখেছিল। সেই লাইনপ্রথার দাগ আজ আরো প্রবল হয়েছে বই কমেনি। নেলী-গোহপুর-মোকালমোয়া আপনার কাছে কি কোনো তথ্যই নয়। নেলীতে যে সংখ্যায় লোক মারা গেছিলেন, ১৮০০+ তা গুজরাট দাঙ্গার থেকেও বেশি। হ্যাঁ অসমিয়ারা গরিয়া-মরিয়া মুসলমানদের সঙ্গে তাদের ভেদ নেই বলে প্রচার করে বেড়ান বটে। কিন্তু এ হচ্ছে নিতান্ত রণকৌশল মাত্র। কার্যত এই গরিয়া-মরিয়াদের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। পশ্চিম বাংলার মুসলমানদের মতৈ। আর সাম্প্রদায়িকতা, আমার কাছে কেবল ঐ বিজেপি-আর এস এস বা দাঙ্গা নয়। কেবল রাষ্ট্রীয় ব্যাপারও নয়, রাষ্ট্রেতো শাসকশ্রেণির অবস্থানেরই প্রায়োগিক রূপ। সম্ভবত হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কাছেও সেরকম ছিল না। তাকে অন্তত বিজেপির কাছে হার মেনে অসম ছাড়তে হয় নি। হেমাঙ্গ অসমকে ভুলতে পারেন নি সেতো সত্য কথাই। কিন্তু কেন থাকেন নি, কে তাড়িয়েছিল --এগুলূ কি জরুরী প্রশ্ন নয়? কোথাও কি জনতাকে ছেড়ে 'বাঙালি বাম' প্রতিষ্ঠানের মোহ তাঁকে টানেনি ? কেন ভূপেন হাজারিকা আত্মসমর্পণ করলেন আসু-বিজেপির কাছে?
    আর বাকি আপনি পশ্চিম বাংলার বাঙালিদের অসাম্প্রদায়িকতার নমুনা দিলেন তার সত্যতা অনেকটা মেনে নিয়েও লিখছি এটাই সব নয়। বাম বাঙালি হিন্দুর হাড়ে হাড়ে মুসলমান বিদ্বেষ, দলিত নিম্নবর্ণ বিদ্বেষ ৩৪ বছরের বাম সরকারের লোকেদের মধ্যেও দেখা গেছে, ( সুভাষ চক্রবর্তীর কালি পুজোকে সাম্প্রদায়িকতা বলছি না, কিন্তু তথ্য হিসেবে মজার) আর ব্যক্তিদের মনেও রয়েছে এতো গুরুতে চোখ রাখলেই দেখা যায়। বামেরা সরাসরি ভাজপার মতো আক্রামক হন না, কিন্তু আক্রমণের বিরুদ্ধে যখন স্বাধিকারের কথা উঠে আসে তখন 'মৌলবাদ,বর্ণবাদ' বলে বর্ণহিন্দুদের স্বার্থের পক্ষে পথ আলগে দাঁড়ান। কেন মাত্র ঐ গেল বিধান সভার নির্বাচনের আগে নির্বাচনী চমক হিসেবেই মুসলমানদের জন্যে ১০% আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব এলো, কেন ৩৪ বছরের শাসনে এর আগে এই প্রস্তাব এলো না, অথবা কেনই বা তার দরকার পড়ল ---তার কথাও মাথাতে রাখতে হবে বৈকি। কেন, মণ্ডলের প্রয়োগ হলো না পশ্চিম বাংলাতে, এই সব প্রশ্নও করতে হবে। কেন জঙ্গল মহাল, কেন গোর্খালেণ্ড? কেন কামতা পুর? কেন, এতো বিচ্ছিন্নতার দাবি, এতো অনগ্রসরতা ? এই প্রশ্নের জবাব কি কেবল ঐ সব জনগোষ্ঠীর উগ্রজাতীয়তাবাদ আর সাম্রাজ্যবাদ? বাঙালির জগতখ্যাত 'ঔদার্য?' 'বাম' আমলে 'বাঙালি' বামেরা আন্তর্জাতিকতার তত্বও যতটা ভুলে 'বাঙালি' হয়ে উঠেছেন ততটা বোধহয় পৃথিবীতে আর কোথাও হয় নি। আরচ এই বাঙালিয়ানা আমাদের অসমেরো সর্বনাশ করছে ( আমার এই লেখাতে পাবেন কিছুটা: http://sushantakar40.blogspot.com/2011/08/01.html) এটা বোধহয় ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না,যে নরেন্দ্রমোদীর গুজরাট এই সেদিনের কথা। কিন্তু হিন্দুত্বের আঁতুড় ঘর কলকাতা আর পুনে শহর। সে যাক, কথা হচ্ছিল হেমাঙ্গ বিশ্বাসকে নিয়ে, তিনি বেরুতে চাইলেও এই 'বাম' দুর্বিপাক থেকে বেরুতে পারেন নি, এটাই আমার বলবার কথা। সম্ভবত তাঁর চীন ভক্তিও এর একটা কারণ। যে দেশে ৮০% লোক হান, সে দেশ থেকে ভারতের মুক্তির সব রহস্য বোঝা সত্যি কঠিন। তিনি অসমের বিচিত্র জনগোষ্ঠীর ঐক্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, যখন তাঁর উচিত ছিল সবার সমান অধিকার আর মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ানো, আর তা করতে গিয়ে সংখ্যালঘু ভাষিক -ধর্মীয় জনগোষ্ঠীগুলোর লড়াইর পাশে দাঁড়াতে হতো। ( সেটিও আবার মহাশ্বেতা দেবীর মতো নয়, যিনি আবার অসমে এসে উপেন ব্রহ্ম পুরস্কার নিয়ে চলে গেলেন। সেই উপেন ব্রহ্ম যার হাতে হাজারো হিন্দু-মুসলমান অসমিয়া বাঙালি, সাঁওতাল আদিবাসির রক্ত ঝরেছে, আগামী দিনেও ঝরবে যার অনুসারিদের হাতে। ) যেটি তার তখনকার 'বামপন্থা' অনুসারে সামন্তীয় ব্যাপার ছিল। ভারতের মার্ক্সবাদীরা ( আপনি যাদের মার্ক্সবাদী জানেন তারা নন) আশির দশক থেকেই এই পথে ভাবতে শুরু করেছেন গুরুত্ব দিয়ে। সুতরাং তাঁকে দোষ দেয়া যায় না।
  • Sushanta | 117.198.57.63 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৫৪508973
  • রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের এই উধৃতিটি প্রাসঙ্গিক:" .... আমাদের প্রধান কাজ হলো সামন্ততান্ত্রিক সংস্কৃতি থেকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে উত্তরণ। আমাদের সমাজে সামন্ততান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রভাব যে কত বেশী, তার উদাহরণ পাওয়া যায়- এখনও জাতপাতের লড়াই, ধর্মীয় সংঘাত, হরিজনকে পুড়িয়ে মারার মত প্রভৃতি ঘটনা। এই সমস্ত সামন্তবাদী চিন্তা এবং ধ্যানধারণা আমাদের ভেতর লুকিয়ে থাকে। আমরা PoliticalEconomics এর চেয়ে ClassStruggle ভালো বুঝি। কিন্তু সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই দ্বন্দ্বটা খুব কমই বুঝি। এই দ্বন্দ্ব সম্পর্কে তখনও আমাদের কোনো পরিস্কার ধারণা ছিল না, এখনও নেই।" বিশেষ করে এই কথা, "এই দ্বন্দ্ব সম্পর্কে তখনও আমাদের কোনো পরিস্কার ধারণা ছিল না, এখনও নেই" সত্য বলতে কি আমরা classstruggleটাও ভালো বুঝি না, বুঝবার অহঙ্কারটা বয়ে বেড়াই।
    "এখনও জাতপাতের লড়াই, ধর্মীয় সংঘাত, হরিজনকে পুড়িয়ে মারার মত প্রভৃতি ঘটনা।"গুলো যে বিরক্ত হবার বিষয় নয়, শ্রেণি সংগ্রামেরই রূপ -----এই সত্যকে মেনে নিয়ে কোন এক পক্ষে দাঁড়িয়ে যেতে প্রস্তুত এই দেশে এখনো ক'জন আছেন মার্ক্সবাদী বামপন্থী? এটা না বুঝলে হেমাঙ্গ বিশ্বাসদের অসম ছেড়ে কলকাতা পালাতে হবে বৈকি! বাকি রইলেন শিল্পী হেমাঙ্গ, তিনি সলিল , ভূপেনদের পথের অনুসরণ করতেই পারতেন, তাতে বাংলা গানের কোনো ক্ষতি হতো না। সমৃদ্ধই হতো। এটা ভুলব কী করে তিনি ভূপেন হাজারিকার গুরুদেব!
  • Du | 117.194.206.129 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:০৫508974
  • অসমে কোন পক্ষে দাঁড়িয়ে পড়া উচিত মার্কসবাদীদের ?
  • kiki | 59.93.201.218 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:২৯508975
  • সবাই ক্যামন গম্ভীর, তবু সত্যের খাতিরে না বলেও পাল্লাম্না। কল্লোলদা তো আমাকে পাত্তাই দিলেন্না, এমঙ্কি আর কেউ ও উত্তর দিলো না। আমার যে খুব এমন দরকার তা নয়,তবু জিগেস করেছিলাম।

    এ জন্যই ভাল্লাগেনা।
  • Sushanta | 117.198.59.64 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৯508976
  • DU, আপনার প্রশ্নটা রসিকতা মাত্র না গম্ভীর বুঝতে পারছিনা। হেমাঙ্গরা যে পক্ষ নিয়েছিলেন সেটি যে ঠিক ছিলনা। সেটি মানেন কিনা, আগে বলুন। ১৯৭৭এর নির্বাচনে বামেরা কেবল পশ্চিম বাংলার ক্ষমতাই দখল করেন নি, অসমেও প্রায় এক পঞ্চমাংশ আসন পেয়েছিলেন। তার পরেই অসম আন্দোলন শুরু হয়। এটি ঠিক যে এরা সেই আন্দোলনের বিরুদ্ধে অসমসাহসিক সথিক লড়াইও করেছেন। কিন্তু তার পর অসমের রাজনীতি থেকে মুছে গেছেন। হেমাঙ্গ বিশ্বাসও এসছিলেন যদি ষাটের মতো কিছু করতে পারেন ভূপেন হাজারিকাকে নিয়ে। হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। এবারে পক্ষ যে দুটো বা তিনটে মাত্র নয় এই সত্য কেবল অসম নয় গোটা ভারত সম্পর্কেই, না বুঝলে বাম পন্থা, গণ সংস্কৃতি ইত্যাদির কথা বলাই বৃথা। একে ভদ্র-বাঙালি পন্থা এবং বাঙালি সংস্কৃতি বলাই ভালো। অসমে ভারতীয় গণনাট্য সংস্থার বাৎসরিক হেমাঙ্গ বিশ্বাস পুরসস্কারের কথা দেবাশিস বাবু উল্লেখ করেছেন। সত্য বটে এরাঁ তাঁকে স্মরণ করেন এবং সম্মান জানান।, কিন্তু গণ শিল্পী বলে যত না, তাঁর চে বেশি তিনি বিশুদ্ধ 'অসমিয়া' বলে। কতটা অসমিয়া তিনি তা প্রমাণ করবার জন্যে এদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। তাঁর প্রচুর অসমীয়া গান এবং কবিতা রয়েছে, রয়েছে গদ্য গ্রন্থও। তাঁরা কেবল সেগুলো নিয়েই চর্চা করেন। আমি বিপ্লব বাবুর এই মূল্যায়নের সঙ্গে অনেকটাই ( সবটা নয়, কারণ বহু ত্যাগ তীতিক্ষার নজিরও রয়েছে ভুরি ভুরি) সমমত পোষণ করি যে "ভারতের বামআন্দোলনের ইতিহাসে কিছু নেই-ফাঁকা- এদের কথা, কে কেন মনে রাখবে? যে জাতির টনটনে শ্রেণী অবস্থান, সাম্প্রদায়িক মন, কুসংস্কারে অগাধ বিশ্বাস-সেই জাতির ইতিহাসে কোন গণআন্দোলন বা বাম আন্দোলন এসেছে, এ মানতে আমি রাজী না। সেই বিপ্লবীদের দিন থেকে আজ পর্যন্ত যা হয়েছে তা কিছু মধ্যবিত্তের হজুগবাতি।" কল্লোলের এই কথাতেও আমার মন্তব্যের সমর্থণ মিলবে, বা উল্টোটা আমি তাঁকে সমর্থণ করি,"উনি স্বীকার করেছেন, যে ওনারা যে লোকসঙ্গীতকে ব্যবহার করে গণসঙ্গীত বানিয়েছেন, সেগুলো গ্রামের মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হয় নি তার কথার কারনে। কাস্তেটারে দিও জোরে শান / কিষান ভাই হে বা আমরা তো ভুলি নাই শহীদ - এই গানগুলো লোকসঙ্গীতের আধারে শহরের বামপন্থী মধ্যবিত্তের গান হয়ে গেছে।" কোর্পোরেট বিশ্ব যেমন, নিজেদের গানকে ভারতীয় সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দেয়, বামেরা তেমনি মধ্যবিত্ত হুজুগের তৈরি গানকে 'গণসঙ্গিত' বলে চালিয়ে দেবার স্পর্ধা দেখিয়ে এসছেন। আর গণের সঙ্গীতকে ( লোকগানের পরম্পরাকে) বলিউডের মতৈ ব্যবহার করে গেছেন। সংস্কৃতিকে দেখবার পশ্চিমী চোখ বাজারের মতৈ ছিল এবং আছে তাদের, তফাৎ শুধু ডানে আর বামে। এতে দোষের কিছু নেই। শুধু গণসঙ্গীত বা জীবনমুখী গানের নাম না দিলেই দ্বিচারিতার থেকে রক্ষা পায়। এই দেশে কেবল লোকগানেরই যোগ রয়েছে গণের সঙ্গে। একে না বুঝলে দেশকেই বোঝা হয় না। বাম সংস্কৃতি চর্চা করতে গিয়ে এর গভীরে যাওয়া কেন চলবে না--এটা আমার মাথাতে ঢোকেনি আজো। কিন্তু একতা তথ্য বোধহয় আলোচনাতে আসতে পারে। 'বামেদের' আসল ব্যর্থতা গেল নির্বাচনে হয় নি, হয়েছে ৭৭এ যখন ক্ষমতালিপ্সুরা গদি দখল করল আর বিপ্লবীরা জেলে আটকা পড়ল। জেল থেকে বেরিয়ে এসে অনেকেই আজিজুল হক অসীম চ্যাটার্জীর মতো সরকারী বামেদের বিপ্লবী রাবার স্টাম্প হয়ে গেলেও অনেকেইতো সত্যের সন্ধানে নেমেছেন। ফলে আজকাল অনেকেই শ্রেণি-বিচারে মার্ক্সের থেকে বহুদূর পথ যেমন এগিয়ে গেছেন, মাওকেও ছেড়ে এগিয়ে গেছেন ( স্মরণ করুন, মাওএর কৃষকের শ্রেণি বিভাজন) । যে জাতি-বর্ণব্যবস্থাকে 'বামে'রা আপদ বলে গণ্য করতেন এবং অস্পৃশ্য করে রেখেছিলেন, তাঁরা তাই নিয়ে ভাবছেন এবং কাজ করছেন। সেই সব খবর বোধহয় রনজিৎ গুহ বা গায়ত্রী চক্রবর্তীর মতো বিদ্যায়তনিক মানুষেরা রাখেন না। বা রাখেন না তাঁদের অনুসারি সাহিত্য-শিল্পের লোকেরা। এমন কি সেদিন আমি আড্ডা দিয়ে এলাম 'উত্তরাধুনিকতা'র জনক ( Postmodern নয় কিন্তু, একে এঁরা বলেন আধুনিকোত্তরবাদ) অমিতাভ গুপ্তের সঙ্গে। দেখলাম তাঁরও তথ্যগুলো তেমন জানা নেই। কিন্তু সম্ভবত দুই ভিন্ন পথে হেঁটে শিল্প আর রাজনীতির লোকেরা পৌঁছুচ্ছেন প্রায় একই জায়গাতে। দেখবেন , এদের লেখালেখিতে বাংলা তথা দেশের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা কেমন ফিরে আসছে, আসছে এক প্রত্যয়ী দৃষ্টি ভঙ্গী। যদিও আপাত দৃষ্টিতে এগুলো রাজনীতির সম্পর্ক শূন্য, কিন্তু এসব সম্ভব হয়েছে সত্তরের নকশাল ধারার শিল্প চিন্তার ব্যর্থতার ফলে। বাংলাদেশে নকশাল রাজনীতির ফসল ফারহাদ মাজহার এতোটাই শেকড় সন্ধানী হয়েছেন যে অনেকেই পুরোনো চিন্তার থেকে তাঁকে মৌলবাদী বলছেন। আমার ফেসবুক বন্ধু রয়েছেন অনির্বান ধরিত্রীপুত্র, এবং সপ্তর্ষি বিশ্বাস। অনির্বানের নকশাল যোগাযোগ সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু সপ্তর্ষি খানিক কাছে ঘেঁষেছিল। এখন এরা ঐতিহ্যের টানে সত্যি সত্যি ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠছেন। আমি বলবনা যে ওদের দর্শনকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু ভারতীয় তথা বাংলার সুর এবং স্বরের সন্ধানে এদের শ্রমকে আমি সম্মান করি। হেমাঙ্গ বিশ্বাস হেঁটেছিলেন সঠিক পথেই। কিন্তু কোথাও মার্ক্সবাদকে এবং অবশ্যি গণ সংস্কৃতিকে বোঝার বিদেশী চোখ তাঁকে দোটানাতে ফেলেছিল। সেদিন আমার এক বিদ্বান বন্ধু জানালো, তাঁর গভীর বিশ্বাস হয়েছে যে 'শিল্পের জন্যে শিল্প' হতে পারে না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এই নিয়ে সংশয় ছিলই বা কেন? বাংলাতে কি কেউ বলেছে কথাটা? ও জানালো, না সে জ্যা-পল সা®œÑ পড়ছে। সেই ১৯৬৮রে ওয়ালতার পিটার বলে একটা লোক বিলেতে বলেছিল কথাটা। তার পর থেকে এখনো ভারতের বামেরা পিটারের ভূতের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে। অথচ প্রাচীন ভারতের অলঙ্কার শাস্ত্র থেকে শুরু করে কোত্থাও কিন্তু কথাটার সমর্থণ নেই। এগুলো আমাদের সংস্কার শূণ্য বামেদের জানা নেই। তাঁরা বিদেশিদের চোখে জেনেছেন আমাদের যা কিছু 'মধ্যযুগী'য় সবই পরিত্যাজ্য। তারপর, ওর সঙ্গে আমার একগুচ্ছ এসএম এস যুদ্ধ হয়ে গেল। সে বোধহয় একটু ক্ষুন্নই হলো। পরে সে জানালো এবারে সে গ্রামে গ্রামে ঘুরবে গণসংস্কৃতিকে জানবার জন্যে। আমি বললাম , এইতো কথার মতো কথা। আমি নিশ্চিত সে একটু বিভ্রান্ত হয়ে গেছে আমার অবস্থানে। কারণ আমি যে ভাবে, 'জনগণের শিল্প' 'গণসঙ্গীত সংস্কৃতি'র বিরোধীতা করছিলাম--এই সব পশ্চিমী তত্ব বলে সে তাতে আমার থেকে এরকম সমর্থণ আশা করবার নয়। আমি শুধু তাঁকে বলছিলাম সা®œÑ যতই মহান হোন তাঁর কথা পরে যদি মধ্যবিত্ত বিপ্লবী সংস্কৃতিকে গণসংস্কৃতি বলে চালিয়ে দেবার প্রস করো, তবে তার প্রতিরোধ হয়েছে আর হবে। হতেই থাকবে...। হ্যাঁ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলে চালানো যেতে পারে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে কোনো রকম 'ধরিমাছ না ছুঁই পানি' চলবে না। হেমাঙ্গ বিশ্বাস নিয়ে আমার এতো কথার মূলে এই।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৬:৩৮508977
  • সুশান্ত কর দাদার মন্তব্যে একটা লাইন চোখে পড়ল। তিনি লিখেছেন--

    বাংলাদেশে নকশাল রাজনীতির ফসল ফারহাদ মাজহার এতোটাই শেকড় সন্ধানী হয়েছেন যে অনেকেই পুরোনো চিন্তার থেকে তাঁকে মৌলবাদী বলছেন।

    এই লাইনটি পড়ে আমার কটি প্রশ্ন মনে এলো।

    . এখানে ফরহাদ মজহারকে নকশাল আন্দোলনের ফসল বলার কারণটি কি? এ বিষয়ে কী তথ্য ব্যবহার করে তাকে ফসল বলছেন? ফসল কি তিনি ইতিবাচক অর্থে ব্যবহার করেছেন? যেমন ধান ফসল--আমরা চাল করে খেয়ে বাঁচি। আবার ধুতরার ফলটি একটি ফসল। কিন্তু সেটা খেয়ে মরি। এখানে কি অর্থে ফরহাদ মজহার ফসল?

    . ফরহাদ মজহার কিসের শেকড় সন্ধানী হয়েছেন? কোন শেকড়? আর কোন ধরনের সন্ধান?

    . অনেকের পুরনো চিন্তাটি বলতে তিনি কোন চিন্তাটাকে বলছেন? এই অনেকেইবা কারা?

    আশা করছি সুশান্ত দাদা প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। কারণ আপাত নীরিহ হলেও এই একটিমাত্র লাইন কিন্তু অনেক ইঙ্গিত বহন করছে। নিশ্চয়ই দাদার কাছে উত্তর আছে।
  • kallol | 115.242.174.235 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:১৯508978
  • আরে কিকিয়া। এই নাক মুলছি, কান ডলছি। আসলে পোস্টটা দেখেছিলাম। তারপর জন হেনরী নিয়ে গুগলাতে গিয়ে ভুলে গেছি। কিন্তু এখন পড়তে গিয়ে বুঝতে পারছি না। বয়স হলে এরকমই হয়। তাতে দিদিমনিরা অ্যাত্তো ইয়ে হলে চলে?
    হ্যাঁ, মশাল জ্বালো গানটার কথা কি প্রেক্ষিতে এলো? আমার আর মনে পড়ছে না। কিকিয়া, একটু হেল্পাবি ভাই।
  • aranya | 144.160.226.53 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৪১508979
  • আরেকটা গান আমরা কলেজে পড়ার সময় গাইতাম, জো লুই কে নিয়ে , প্রথম দিকটা এরকম ছিল -
    'কাল রাতে, জো লুই-কে স্বপ্নে দেখেছি
    আমি বলি জো, তুমি মৃত
    জো বলে আমি মরিনি তো।
    তামার খনির মালিকেরা, তোমায় মেরে ফেলেছে
    ....

  • kallol | 115.242.174.235 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:২৭508980
  • সুশান্তর সাথে অনেকটাই একমত।
    ফারহাদ মজাহার নিয়ে কুলদা ও বিপ্লবের অন্য মত রয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে কথা হোক, কেন মানিকবাবু বা আমার দেখা আরও অনেক কম নামী বাম শেষ জীবনে কালীভক্ত হয়ে গেলেন। বা, আল মাহমুদ, ফারহাদ এরা কেন ইসলামের চৌহদ্দিতে আটকে গেলেন।
    ভারতীয় উপমহাদেশের বামেরা ধর্মকে চিরকাল উপেক্ষা করে, নিজেরাই উপেক্ষিত হয়ে গেলেন। এখানে জাত-পাত আর ধর্ম না বুঝলে কিছু করা বেশ চাপের। ধর্ম বলতে আগে আমি সনাতন ধর্মের কথাই ভাবতাম। এখন মনে হয় সেটা মস্তো ভুল। এই উপমহাদেশে ধর্ম মানে সনাতন ধর্ম, ভারতীয় মুসলমান ও খ্রিষ্টান ধর্মও বটে। এখানে ইসলামের ও খৃষ্ট ধর্মের প্রচারকেরাও বোঝেন নি যে তাদের ধর্মেরও ভারতীয়করণ হয়ে গেছে। তাই বারবার ফারজী / ওয়াহাবী আন্দোলন ব্যার্থ হয়। খৃষ্টান পাদ্রীরা অনেক বেশী চতুর ছিলেন (সাম্রাজ্যবাদের বাহন হিসাবে কাজ করতে হয়েছে তো!) তাই এই ভারতীয়করণকে মান্যতা দিয়েছেন। এখানে ভারতীয়করণ মানে প্রতিটি অঞ্চলের সংষ্কৃতিকে সেই অঞ্চলের চার্চের কর্মসূচীতে একাত্ম করে ফেলা। মিজোরামে, মেঘালয়ে চার্চে বড়দিনে মুর্গী বলি হয়। ব্যাঙ্গালোরে মা মেরীর মুর্তির পায়ে মাথা ঠেকিয়ে যান, সামনে দাঁড়িয়ে হাত জোড় করে চোখ বুজে বিড়বিড় করে মুস্কিল আসান চান যে খৃষ্টান মানুষ, তার সাথে সাঁইবাবা মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে হিন্দু ভক্তের ভাব ভঙ্গীর কোন তফাৎ নেই।
    মুস্কিল হলো একদল বাম ধর্ম বুঝতে গিয়ে ধার্মিক হয়ে যান, অন্যদল ব্রাহ্মণ্য ধর্মকেই ধর্ম চর্চার একমাত্র বিষয় বলে মনে করেন। ব্যাতিক্রম কিছুটা রাহুল সংকীর্তায়ণ। তবে, তিনিও বৌদ্ধ ধর্মে আটকে পড়েন।
    এই উপমহাদেশের আদিবাসী ও নীচুজাতের কথা ভাবলেন আম্বেদকর। উনিও আটকে গেলেন বৌদ্ধধর্মে। আর ভাবেন কাঁসিরাম-মায়াবতী অ্যান্ড কোং। এরা মনুবাদের বিরোধীতা করে নিজেদের মধ্যে নয়ামনুবাদ গড়ে তুলেছেন।
    উত্তরাধুনিকেরাও ব্রাহ্মণ্য ধর্মের ঘেরাটোপ থেকে বের হতে পারেন নি। ব্যাতিক্রম কিছুটা রণজিত গুহ ও কাঞ্চা ইলাইয়াহ। তার মধ্যে রণজিতবাবুও চর্চার বিষয় হিসাবে আদিবাসী ও নীচুজাতের থেকে অন্যত্র সরে গেছেন।
    শিকড় খোঁজা জরুরী। কিন্তু তার আগে বুঝতে হবে শিকড় কোনটা। যে বেদ-পুরাণের সংষ্কৃতি এখানকার ভুমিসন্তানেদের জ্ঞান ভান্ডারকে আত্মস্যাৎ করে তাদেরকেই মুর্খ শুদ্র, দানব ও রাক্ষস আখ্যা দিয়ে প্রান্তে ঠেলে দিয়েছে, তার শিকড় , নাকি প্রান্তিক হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর সংষ্কৃতিক শিকড়। কোনটা খুজবো। একটা বাদ দিয়ে অন্যটা নয়, বরং একটা থেকে অন্যটায় যাওয়াটা জরুরী। এমনটা আমার মনে হয়। অন্য ভাবনা থাকতেই পারে।
  • kallol | 115.242.174.235 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৩০508982
  • অরন্য। জো লুই বক্সার ছিলেন। গানটা জো হিলকে নিয়ে। পল রোবসনের গাওয়াটাই এখনো সবচেয়ে ভালো লাগে। জো হিল একজন খনি শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ানের কর্মী ছিলেন। উনি তামা ব্যারণদের হারে খুন হন।
  • aranya | 144.160.226.53 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৪০508983
  • ঠিক ঠিক, জো হিল। মাই ব্যাড। সব ভুলে যাই আজকাল।
  • nava | 14.96.28.114 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৪১508984
  • #২৫৩৫;#২৫৩৮;-#২৪৩৯; #২৪৬৫;#২৪৯৫;#২৪৮৮;#২৫০৩;#২৪৭৮;#২৫০৯;#২৪৭৬;#২৪৮০; ,#২৫৩৬;#২৫৩৪;#২৫৩৫;#২৫৩৫; #২৪৬৯;#২৫০৩;#২৪৫৩;#২৫০৩; #২৪৮৯;#২৫০৩;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৫৭;#২৫০৯;#২৪৫৫; #২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৮৬;#২৫০৯;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮৮;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৬০;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭৮;#২৪৮৬;#২৪৬৮;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৮৭;#২৪৯৫;#২৪৫৩;#২৪৯৬; #২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৪৭২; #২৪৮৬;#২৪৯৭;#২৪৮০;#২৪৯৭; #২৪৮৯;#২৫২৭;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৫০৩; #২৪০৪; #২৪৫৮;#২৪৮২;#২৪৭৬;#২৫০৩; #২৪৪৭;#২৪৫৩; #২৪৭৬;#২৪৫৯;#২৪৮০;

    #২৪৮৯;#২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৫৫;#২৪৬২;#২৫০৯;#২৪৬০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৬০;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৪৯৫; #২৪৫৩;#২৪৩৯;#২৪৬৮;#২৪৮০; #২৪৮৮;#২৪৯৭;#২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৭৮;#২৪৫৫;#২৪৬২;#২৫০৯;#২৪৬০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৪৯৭;#২৫২৪;#২৪৯৪;
    #২৪৮৮;#২৪৯৭;#২৪৮০;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৪৭০;#২৪৯৬;#২৪৮০; #২৪৫৫;#২৪৯৪;#২৪৫৭;#২৪৫৮;#২৪৯৫;#২৪৮২; #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৫; #২৪৮৬;#২৪৯৮;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৫০৩; #২৪৭০;#২৪৯৫;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৭৮; #২৪৪১;#২৫২৪;#২৪৯৪;
    #২৪৮৬;#২৪৯৮;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৫০৩; #২৪৭০;#২৪৯৫;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৭৮; #২৪৪১;#২৫২৪;#২৪৯৪; #২৪৮০;#২৫০৩; #২৪৭৭;#২৪৯৪;#২৪৩৯; #২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৩৯;#২৪৬৮;#২৫০৩; #২৪৫৮;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৫৮;#২৪৮০;
    #২৪৬৫;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৭৭;#২৪৯৪;#২৪৩৯;#২৪৫৭;#২৫০৯;#২৪৫৫;#২৪৯৪; #২৪৭৪;#২৫২৪;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৭৮; #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৫; #২৪৫৩;#২৪৩৯;#২৪৮২;#২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৪১;#২৪৭৪;#২৪৮০;#২৪০৪;
    #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৫২৭; #২৪৫৮;#২৪৯৫;#২৪৭২; #২৪৭২;#২৪৯৫; #২৪৬৮;#২৪৯৭;#২৪৭৮;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৫২৭; #২৪৫৮;#২৪৯৫;#২৪৭২; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪০৪;
    হ্‌ত্‌ত্‌প://য়ৌতু।বে/ণ১ঈআ৯গ৭স
  • nava | 14.96.28.114 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৪৫508985
  • - ,

    হ্‌ত্‌ত্‌প://য়ৌতু।বে/ণ১ঈআ৯গ৭স
  • Sushanta | 117.198.53.201 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৫৬508986
  • Kolloler এই শেষ মন্তব্যের সঙ্গে আমি পুরোটাই একমত। এই যে আপনি আটকে যাবার কথা লিখলেন, এটা বোধহয় মানব চেতনার ধর্মই। ব্যক্তিচেতনাকে কোথাও গিয়ে আটকে যেতে হয়। আমার যা মনে হয় কেবল রাজনৈতিক চেতনাই শেষ একটা বৃহত্তর চেতনার পরিশরকে ছুঁতে পারে। কেননা তাতে সমষ্টির উদ্যোগ এবং সক্রিয়তা কাজ করে। কিন্তু সেও একজায়গাতে গিয়ে আটকে যায় এবং একটা প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা পায়, তখন আবার দরকার পড়ে আরেকটা প্রবল ধাক্কার। মানুষের চেতনা নিজেই একটা বিশৃঙ্খলা আর শৃঙ্খলতার দ্বান্দ্বিকতাতে এগিয়ে চলে কিনা। এই চক্রব্যুহ থেকে মুক্তি নেই। ফারহাদ মাজহার নিয়ে আমার মন্তব্যে কুলদা রায় দাদা, বেশ চটেছেন দেখছি। শুরুতেতো ধন্যবাদ এর জন্যে যে ফারহাদ মাজহার নিয়ে আমার অধ্‌য়্‌য়নের যাত্রা আপনাকে দিয়েই শুরু। আপনি অগ্রবীজটা পড়তে না দিলে তিনি আমার জানাই থেকে যেতেন হয়তো। আমি যেটুকু জেনেছি এবং লিখেছি তা ঐ সেখানে তাঁর সাক্ষাৎকার পড়েই। আর প্রথম পাঠেই যদি খানিক ভক্ত হয়ে গেছি তবে তা এর জন্যে যে আমি দীর্ঘদিন ধরে ঐ পথেই ভাবছি। গুরুতে প্রকাশিত আমার লেখাগুলোতে এই সুর ও স্বর পাবেন। এমন কি এই সুতোতে আগে সে অসমের বাঙালি রাজনীতি নিয়ে একটা লেখার লিঙ্ক দিলাম তাতেও পাবেন। ফারহাদ মাজহার নিয়ে যেটুকু বলা, তা ঐ সাক্ষাৎকার পড়েই। নকশাল প্রসঙ্গ তাঁর সাক্ষাৎকারেই বেশ সম্মানের সঙ্গেই রয়েছে। তিনি যে কৃষকদের মধ্যে কাজ করেন, ( বাস্তবে কী কতটা করেন, তাতে দুনম্বরী আছে কি না জানি না) এটাও যে একটা দেশকে জানার এবং বোঝার পথ যেটি বামেরা দীর্ঘদিন এড়িয়ে গেছিলেন এমন কথা রয়েছে আমার দু'বছর আগের একটা লেখাতে ( এর শেষাংশতা দেখুন:http://sushantakar40.blogspot.com/2009/11/silaidoho-theke-sriniketon-je-pothe_24.html) । ইনি দেখলাম এখনো নাস্তিক রয়েছেন, প্রাতিষ্ঠানিক ইসলামের বিরোধীতা করেন, হিন্দু এবং অবাঙালিদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ান। তো, তাঁকে বিরোধীতা করবার কারণ এখন অব্দিতো পাই নি। তারপরেও যদি আপনি ভাবেন আমি তাঁর অন্ধ ভক্ত হয়ে গেছি, সেরকম কিন্তু নয়, আমি জানার প্রক্রিয়াতে প্রবেশ করেছি মাত্র। আমার নিচের পুরো কথাটা আবার পড়ুন, বিশেষ করে শেষ লাইন।"বাংলাদেশে নকশাল রাজনীতির ফসল ফারহাদ মাজহার এতোটাই শেকড় সন্ধানী হয়েছেন যে অনেকেই পুরোনো চিন্তার থেকে তাঁকে মৌলবাদী বলছেন। আমার ফেসবুক বন্ধু রয়েছেন অনির্বান ধরিত্রীপুত্র, এবং সপ্তর্ষি বিশ্বাস। অনির্বানের নকশাল যোগাযোগ সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু সপ্তর্ষি খানিক কাছে ঘেঁষেছিল। এখন এরা ঐতিহ্যের টানে সত্যি সত্যি ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠছেন। আমি বলবনা যে ওদের দর্শনকে মেনে নিতে হবে।" আর তাঁর বিরোধী যে পুরোনো পন্থীদের কথা বললাম তা ঐ একই কাগজে অঙ্কুর সাহার লেখাটি পড়ে। শ্রী সাহাও বেশ প্রশংসা প্রসস্তিই করেছেন তাঁর। এবং তাঁর কথা যে ভাবনার দাবি রাখে সেও লিখেছেন। কিন্তু আশঙ্কা করেছেন সে মৌলবাদের দিকে যেতে পারে। এটি আমার মনে হয়েছে 'পুরোনো যুক্তিবাদী বা প্রাতিষ্ঠানিক বাম' অবস্থান থেকে করা মন্তব্য, যে অবস্থান ধর্মকে বিপজ্জনক বলে ভাবে, আর বিশেষ করে ইসলামকে। শ্রী সাহাতো নিজেই খুব বিপজ্জনক মন্তব্য করেছেন,"কেবলমাত্র পৃথিবীর মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনসমাজে ধর্মের প্রভাব বাড়ছে" (পৃ:৪৩১) দেবাশিষ বাবু বাম বাঙালিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা খুঁজে পাননা তো? এই তাঁর চম্‌ৎকার নিদর্শন দিলাম। কেন ভারতে 'জয় শ্রীরাম' শোনেননি শ্রী সাহা? শ্রীলঙ্কাতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সহিংস কেমন বুদ্ধের মুখ ঢেকে দেয় দেখেন নি? তাঁর পরেও তাঁর শঙ্কা,"...আমার মতে, ভাবান্দোলনের পথে সবচেয়ে বড় বিপদ হ'লো ইসলামী মৌলবাদ। ধর্ম ও রাষ্ট্রনীতির মাঝখানে নিশ্ছিদ্র দেয়ালটিতে একবার ফাটল ধরলে মৌলবাদের হাত থেকে আর রেহাই নেই।" এবারে যার যেমন চোখ! আমার চোখে শ্রী সাহা এক প্রবল হিন্দু মৌলবাদী অবস্থান থেকে কথাগুলো লিখছেন। যে অবস্থান সম্পর্কে তিনি নিজেও হয়তো সচেতন নন। সুতরাং, আজ একুশ শতকে বসে , এই বিশ্বাসের মানে কি যে কেউ ধর্মকে ধরাছোঁয়ার মধ্যে না রাখলেই অমৌলবাদী হবেন, আর কেউ লালন নিমাইয়ের কথা বললেই মৌলবাদের বিপদ ডেকে আনবেন! যাকে ইসলামী মৌলবাদ বলা হয়, তাকে যদি আরব বসন্ত ঝেড়ে ফেলে তবে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সেখানেও তো দু'ভাগ আছে। এক ভাগ যেমন সাদ্দামকে বা গদ্দাফীকে হটিয়ে আমেরিকার হাত ধরে ইরাক বা লিবিয়ার ক্ষমতা দখল করে, আর এক ভাগ আমেরিকার হাত ছেড়ে তাকে আরব বিশ্ব থেকে হটাবার জন্যে মরণ পন করে। এই সূক্ষ্মতাকে যারা বুঝতে অপারগ বা অনিচ্ছুক তাদের হাতে এই বিশ্ব নবজাতকের বাসযোগ্য হয়ে উঠবে এই বিশ্বাস আমার করতে ভীষণ কষ্ট হয়। যদি দেখতাম ভারতে আর এস এস সত্যি সাম্রায্যবাদের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নিচ্ছে , যেখানে সেজ বিরোধী লড়াই হচ্ছে সেখানেই তারা পৌঁছে যাচ্ছে, আমার কোনো অসুবিধে হতো না তাদের পাশে দাঁড়িয়ে যেতে। মৌলবাদ বিরোধীতা, কিম্বা ধর্মদ্রোহীতাকে ফ্যাশন ষ্টেটমেন্ট করে রাখবার দিনকাল ফুরোলো বলে! ধর্মএখনো বহুদিন মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে। মার্ক্সের এই কথাগুলো সবাই জানেন, "Religioussufferingis, atoneandthesametime, theexpressionofrealsufferingandaprotestagainstrealsuffering.Religionisthesighoftheoppressedcreature, theheartofaheartlessworld, andthesoulofsoullessconditions.Itistheopiumofthepeople.

    Theabolitionofreligionastheillusoryhappinessofthepeopleisthedemandfortheirrealhappiness.Tocallonthemtogiveuptheirillusionsabouttheirconditionistocallonthemtogiveupaconditionthatrequiresillusions. " কিন্তু এটি কি খুব ব্যঞ্জনার্থক নয়? নিশ্চয় তিনি ধর্মের বিরোধীতা করতে লিখেছেন, কিন্তু সেটি কি নাস্তিক যুক্তিবাদীদের মতো?" Atheism, whichisadenialofthisunreality, nolongerhasanymeaning, foratheismisanegationofGod, throughwhichnegationitassertstheexistenceofman.Butsocialismassuchnolongerneedssuchmediation.Itsstartingpointisthetheoreticallyandpracticallysensuousconsciousnessofmanandofnatureasessentialbeings.Itisthepositiveself-consciousnessofman, nolongermediatedthroughtheabolitionofreligion, justasreallifeispositiverealitynolongermediatedthroughtheabolitionofprivateproperty, throughcommunism.Communismistheactofpositingasthenegationofthenegation, andisthereforearealphase, necessaryforthenextperiodofhistoricaldevelopment, intheemancipationandrecoveryofmankind.Communismisthenecessaryformandthedynamicprincipleoftheimmediatefuture, butcommunismisnotassuchthegoalofhumandevelopmen" এই যে লিখলেন, "Religionisthesighoftheoppressedcreature, theheartofaheartlessworld" এখানে মধ্যবিত্ত নাস্তিকদের মতো আঘাত রে কিছু হবার নয়। হৃদয়ের দূরত্ব বাড়বে মাত্র। আর তাই মার্ক্সবাদীরা ভারতেও হিন্দি বলয়ে বা পূর্বোত্তরে ঘাটি গাড়তে পারেন নি, এটা মনে রাখা ভালো। আমি মোটেও দাবি করব না যে আমি মার্কাসের এই ব্যঞ্জনার্থক সাহিত্যিক গদ্যের অর্থোদ্ধার করে ফেলতে পেরেছি। না পারলেও ক্ষতি নেই। "Religioussufferingis, atoneandthesametime, theexpressionofrealsufferingandaprotestagainstrealsuffering" তাই যদি হয়, তবে কবির, দাদু, লালন হাছন রাজার গান কিম্বা তাঁদের অনুসারির আকুতি থেকে এই realsufferingandaprotestagainstrealsufferingএর স্বরূপ সন্ধান করতে পারব না কেন? বস্তুত ফারহাদের সাক্ষাৎকার পড়েই আমার মাথায় ঢুকল সত্যিইতো সমগ্র প্রাক-বৃটিশযুগে গোটা ভারত জুড়ে যে ভক্তি আন্দোলনের ঢেউ উঠল সেতো 'প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে'র বিরোধীতা করতে গিয়ে। একে কেউ দেখেছেন ইসলামের থেকে হিন্দুদের রক্ষার উপায় হিসেবে কেউ বা ব্রাহ্মণ্যবাদের থেকে। কিন্তু সত্য হলো, এটি হয়েছিল দুই তরফেরই বিরুদ্ধে। এবং এই আন্দোলনের সঙ্গে অবশ্যই যোগ রয়েছে বৌদ্ধ এবং বেদান্ত বিরোধী যোগ ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে এবং এখনো ভারতীয় উপমহাদেশে দলিত সংখ্যালঘুরা সেই ধর্মেরই অনুগত। কল্লোলের মন্তব্যে যার ইঙ্গিত রয়েছে। এই পরম্পরাকে না জানলে যে ভারতীয় পীড়িত শ্রেণিগুলোর মনস্তত্বই জানা হবে না। ফারহাদ যাকে 'ভাব' বলছেন এই কথাটার মানেও আমি বুঝতে চাইছি। একেও আমি একবাক্যে উড়িয়ে দিতে চাই না। আমার দীর্ঘদিন ধরে মনে হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ইসলাম এবং খৃষ্ট ধর্মের একটা একবজ্ঞা চেহারা আছে। এটা ঠিক বলে বোঝাতে পারব না। একে ধর্ম আর রিলিজিয়নের তফাৎ বলে যা বোঝানো হয় , সেভাবে বুঝলেও আপাতত কাজ চলবে। দুটোর জন্মমাটি এবং উৎসের মিল আছে। আমার দীর্ঘদিন ধরে মনে হয়েছে পশ্চিমী জ্ঞানবিশ্বের আকারও অনেকটা খৃষ্টীয় আকারের সঙ্গে মেলে। অর্থাৎ সব কিছুকে একটা সরলরৈখিক যুগপরম্পরাতে উপর থেকে নিচে বেঁধে দেয়া। এবং উপর থেকে যে বাণী আসবে সেটিই নির্ধারক। আমার অনেক আগে একটা লেখাতে ছিল, মার্ক্সীয় ধর্মের এক নবী আছেন তিনি কার্লমার্ক্স তার একখানা 'কোরাণ' আছে 'ইস্তাহার' আর হাদিছ আছে 'কেপিটাল' । তার মক্কা/ভ্যাটিকান হলো, মস্কো/ বেজিং। ওখানে পোপ/ মৌলবীরা বাণী বিলোন।" এবং সমস্ত নিজস্ব চিন্তাকে ভোঁতা করে দেন। মার্ক্স নিজে হয়তো এই ধরণকে ভেঙ্গে দিতেই চেয়েছিলেন। মাওতো চেয়েই ছিলেন, "সদর দফতরে কামান দাগো" । ( মাওএর রচনার আকার এবং শৈলীও দেখবেন মার্ক্স লেনিন থেকে আলাদা, যেন এশিয়/চিনীয় শৈলী) কিন্তু, আমাদেরতো গড়ে উঠেছে এক ঔপনিবেশিক মন। সে মার্ক্সীয় বিপ্লবী চেতনাকেও সেই মন দিয়েই গ্রহণ করে। তাই এখনো কিম্ভূত কিমাকার 'বোর্জোয়া- পেটিবোর্জুয়া-প্রলেতারিয়েতে' ভারতীয় শ্রেণিবিভাজনের চিন্তা নিয়ে শ্লাঘাবোধ করে। 'ভাব'শব্দদিয়ে ফারহাদ আমাদের এই ঔপনিবেশিক মনের বিরুদ্ধে এক প্রত্যহ্বান জানাচ্ছেন কিনা সেটি ভাবার বিষয়। তাই যদি হয়, তবে আমার তো মনে হয়, আমাদের যাত্রা হলো শুরু..."Communismisthenecessaryformandthedynamicprincipleoftheimmediatefuture, butcommunismisnotassuchthegoalofhumandevelopment" আমরা কি, কম্যুনিজমকেও "thegoalofhumandevelopment" হিসেবেই ভাবতে অভ্যস্ত নই? কারণ ঔপনিবেশিক মন আমাদের সেভাবেই ভাবতে শিখিয়েছে। এটা এমন এক নীতিমালার দ্বান্দ্বিক আকার যেখান থেকে মানুষ অপ্রয়োজনের জীবন যাপন শুরু করবে এবং বাকি জীবের থেকে আলাদা হয়ে যাবে। এইবারে, এই ' জীবনের মানে কেবল সংগ্রাম নয়, অপ্রয়োজনের লীলা' এটা কি ভারতে খুব নতুন ধারণা কোনো? রবীন্দ্রনাথকি আর সাধে বিলেত থেকে সমস্ত সারবস্তু নিয়েও জীবনের ব্যাখ্যাতেই অনৌপনিবেশক থেকে গেলেন? সেরেছ! ...... কেউ যেন এই ধারণা না করে বসেন যে আমি ভারতে সাম্যবাদী আন্দোলনের সমস্ত প্রয়োজনীয়তারই বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলাম...:) কেন জানি, আমার কথাগুলো কিছুতেই এক সরল রেখা ধরে এগোয় না...!: )
  • Sushanta | 117.198.53.201 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৩২508987
  • আমার যে লেখাটার লিঙ্ক দিয়েছিলাম, সেটি ভলো রকম গেলনা বলে আবার দিলাম :http://sushantakar40.blogspot.com/2009/11/silaidoho-theke-sriniketon-je-pothe_24.html
    এই এলেখাটাও দেখতে পারেন, এটা গুরুতেও পড়েছেন নিশ্চয়:http://sushantakar40.blogspot.com/2011/08/01.html
    এই শেষটিতে আমি কেমন হিন্দুবাদী, মুসলমানবাদী রাজনৈতিক দলের সমর্থণে পঞ্চমুখ। অনেকেই 'মৌলবাদী' বলবেন নিশ্চয়।
  • Abul Khayer | 113.11.74.158 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:৪৭508988
  • হেমাঙ্গ বিশ্বাস নিয়ে আলোচনার সূত্র ধরে উপরের সুতোয় সুশান্ত বাবুর এই মন্তব্যটি দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। "তাই যদি হয়, তবে কবির, দাদু, লালন হাছন রাজার গান কিম্বা তাঁদের অনুসারির আকুতি থেকে এই realsufferingandaprotestagainstrealsuffering এর স্বরূপ সন্ধান করতে পারব না কেন?" স্বরূপ সন্ধানের জন্য ত্‌ৎকালে বিরাজিত ঐতিহাসিক বাস্তবতার দিকে দৃষ্টি ফেরাতে হবে। কেবলমাত্র আকুতি থেকে আকুতিতে পরিভ্রমণ করলে কাকুতিমিনতি ছাড়া অন্য কিছুই দৃশ্যমান হবে না। কবির, দাদু, লালন, হাছনের সামাজিক বাস্তবতার মধ্যেই নিহিত আছে তাদের ভাবনার বা সাফারিংসের উৎস। সুতরাং সাফারিংসের আদ্যোপান্ত বুঝতে হলে পৌঁছতে হবে ঐতিহাসিক সেই বাস্তব পটভূমিতে যেথায় অধিষ্ঠিত ছিলেন কবীর, দাদু, লালন, রাধারমণ, হাছন। সুশান্ত'দার এরপরের মন্তব্যটি "বস্তুত ফারহাদের সাক্ষাৎকার পড়েই আমার মাথায় ঢুকল সত্যিইতো সমগ্র প্রাক-বৃটিশযুগে গোটা ভারত জুড়ে যে ভক্তি আন্দোলনের ঢেউ উঠল সেতো 'প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে'র বিরোধীতা করতে গিয়ে। একে কেউ দেখেছেন ইসলামের থেকে হিন্দুদের রক্ষার উপায় হিসেবে কেউ বা ব্রাহ্মণ্যবাদের থেকে। কিন্তু সত্য হলো, এটি হয়েছিল দুই তরফেরই বিরুদ্ধে।" প্রাক-বৃটিশ যুগ বলতে সুনির্দিষ্ট করে বুঝতে হবে কোন যুগটিকে বলছেন। মুসলমান যুগ, সেন যুগ, পাল যুগ বা গুপ্ত মৌর্য কোনটি। প্রতিটি যুগের রয়েছে সুনির্দিষ্ট রাষ্ট্রীয় শাসন-পদ্ধতি ও সামাজিক বৈশিষ্ট্য। রাষ্ট্র ও সমাজ কর্তৃক যুগ যুগ ধরে সেসব নীতিসমূহ অনুসৃত হলে সামজে প্রজাসাধারণের উপর তার প্রভাব পড়ে, পড়তে বাধ্য। ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সেসব নীতিসমূহের প্রভাবে বা নিয়ন্ত্রণে সাফারিংস আছে। ফলে জীবনের সাফারিংসগুলোর সত্যাসত্য অন্বেষণে বা নিরূপণে অতি-অবশ্যই ঐতিহাসিক উৎসে যেতে হবে। এবার দেখা যাক "ভক্তি আন্দোলনের ঢেউ"য়ের স্রোতে আমরা কতটুকু ভাসতে পারবো আর ভক্তি আন্দোলনের "কাল" কতটুকু ভেসেছিল? ঐতিহাসিকগণ বলছেন সুলতান জালালুদ্দীন হোসেন শাহী প্রখ্যাত বৈষ্ণব সাধক ও কবি পদকর্তা বড়ু চণ্ডীদাসকে হস্তীর পদতলে পিষ্ট করে অত্যন্ত নির্মমবাবে হত্যা করেছিল। বাংলায় সুলতানী আমল শুধু নয় সমগ্র মুসলমান শাসনামল জুড়ে এসব ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। বাংলার হিন্দুরা এবংবিধ হিংস্রতা থেকে বাঁচতে ভক্তি আন্দোলনে নবতর মাত্রা যুক্ত করে "উদ্বাহু" হয়েছিলেন। সুশান্ত বাবু, আপনি যেনো এসব তথ্যকে সাম্প্রদায়িকতার বিষয় বলে ভাববেন না। এসব তথ্যাদি ইতিহাসে আছে। সুতরাং ত্রয়োদশ, চতুর্দশ, পঞ্চদশ শতকগুলোতে হিন্দুদের উপর মুসলিম নির্যাতনের মাত্রা এতোটাই তীব্র রূপ ধারণ করেছিল যে, বাঁচার জন্য, ধর্ম রাক্ষার জন্য তাদেরকে "উদ্বাহু" তথা নি:শর্ত আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। এই বাস্তবতাকে বিকৃত করে সুফী + বৈষ্ণব = মুষলমান + হিন্দু = লালন, হাছন এমনতরো একটা জগাখিচুড়ী চালিয়ে ইতিহাসে মুসলমানগণ কর্তৃক হিন্দু নির্যাতনের সত্যটিকে সমাধিস্থ করে দেবার বাসনায় মাঠে নেমেছেন বরবাদ মযহার। মযহার গং নব-ভাব আন্দোলনের এমন একটি রূপরেখা তৈরীতে সচেষ্ট যাতে করে মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার ছদ্মাবরণে আংশিক মার্ক্সবাদের বোরখার আড়ালে পাকিস্তান প্রীতি, আংশিক বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, আংশিক বাঙালীয়ানা, আংশিক সাম্প্রদায়িকতা এবং খানিকটা পশ্চিমা উদারতার পাঁচ মিশেলী খিচুড়ী তৈরী করা। এবংবিধ কুকর্মে তারা বড়ৈ পারঙ্গম। ইতোপূর্বে করেছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করে মুক্তিযোদ্ধা+রাজাকার দিয়ে জোড়কলম বিষবৃক্ষ রোপণ করেছে। এখন তা মহীরূহে পরিণত হয়েছে। সুতরাং, আপনার এমতরো মতটি সঠিক নয় যে, "ভারত জুড়ে যে ভক্তি আন্দোলনের ঢেউ উঠল সেতো 'প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে'র বিরোধীতা করতে গিয়ে।" ভক্তি আন্দোলনের ঢেউ উঠেছিল এ কারণে যে, নির্যাতনের এমন মাত্রায় বাংলার জনসাধারণ নিক্ষিপ্ত হয়েছিল যে তারা উদ্বাহু হয়ে বলতে বাধ্য হয়েছিল আমায় মেরো না, এমন নৃশংসতা করো না। ঘরভাঙার গানেই আছে সেসব কথা। এখন বিশেষ ভাড়াটে বরবাদ মযহার সুনির্দিষ্ট নীলনকষা বাস্তবায়নে সেসব ইতিহাসে প্রেসক্রাইবড মাধুরী মিশিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মতৈ আর এক দফা বাঙালীর ইতিহাস বিকৃতি করে নবপ্রজন্মের জ্যণ ধোঁকাবজির ইতিহাস তৈরী করে যাবে।
  • kallol | 115.184.60.67 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:৫১508989
  • ভক্তি আন্দোলন নিয়ে আবুলবাবুর সাথে একমত হতে পারলুম না। বরং মনে হলো সুশান্তই ঠিক বলেছেন। বাংলায় ভক্তি আন্দোলন যেমন কাজী কর্তৃক নাম কীর্তন নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে, নাম কীর্তন গাইতে গাইতেই রাতে মশাল মিছিল করে নবদ্বীপে, তেমনি জগাই-মাধাইয়ের মতো রাষ্ট্রের দালালকে প্রেম দিয়ে রাষ্ট্রের কবল থেকে ছিনিয়ে আনে, তেমনই শুদ্র ও মুসলমানকেও সাথী করে নিয়েছিলেন, জাত-পাত আর অহেতুক আচারে ঢেকে থাকা ব্রাহ্মণ্য সনাতন ধর্মের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে।
    ভক্তি আন্দোলন, শাসক ও প্রতিষ্ঠানের কাছে আত্মসমর্পনের বার্তা দেয় নি, বরং তার প্রবল প্রতিবাদ করেছিলো।
    আর আল মাহমুদ বা ফরহাদ মজাহারের সম্পর্কে, তাদের কাজ ও লেখা নিয়ে আলোচনা করলে কেমন হয়? শুধুই বিশেষন না বসিয়ে যদি একটু আলোচনা করেন কেউ, তো ভালো হয়।

    সুশান্ত। আপনার থেকে প্রাগার্য অহম বা প্রাগজ্যোতিষপুর নিয়ে লেখা চাই।
    কামাখ্যা নিয়ে যতটুকু শুনেছি (আমার ততো পড়াশুনা নাই। তবে অধিকারীদের থেকে শুনেছি, যাঁরা পূর্ব ভারতের দেবী কাল্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাঁদের কাছে) এটি আসলে ঐ অঞ্চলের তন্ত্র সাধনার কেন্দ্র ছিলো, যেখানে ভৈরবীরা সাধনা করতেন। পরে কালিকা পুরাণে ব্রাহ্মণ্য সংষ্কৃতি একে দেবীপীঠ বানিয়ে দেয়। নরকের গল্পে দেবী নরককে ঠকিয়ে তার হাত থেকে রেহাই পান। এখানেই ধন্দ লাগে ঐ গল্পের দেবী কি ব্রাহ্মণ্য সংষ্কৃতির প্রতিভু, যিনি আঞ্চলিক শাসককে বোকা বানাচ্ছেন, নাকি উল্টোটা।
  • nemo | 14.96.175.159 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৪৭508990
  • আসাম '৭৮ আন্দলন কেবল মাত্র অসমীয়াদের নিজভূমে পরবাসী হওয়ার থেকে তৈরি হইনি।অপশ্চিম্বাংলায় বাংলায় বামশাসন আসায় এবং আসামাএও এর প্রভাব ছড়ায় তাতে ই operationbrahmaputranamejatiyotabadi আন্দোলন launchkorano.hoy.naholeseisomoybamponthideropretoottyacarhobekeno?bamponthakejoruprefalarjonyoiaeiandolon.setasompurnovabesofol.ashashudhuokhilgogoi.
    tabeekhonasamerosomiyadermodhyesangatikrokomermuslimvitikajkorche.taramonepranebiswaskortesurukorecheasamkebangladeshersongejorarchakrantocholche.
  • Sushanta | 117.198.54.243 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৩৭508991
  • আবুল খায়ের দাদা, আপনার তত্ব আত তথ্য বহুদিন ধরে আমার হজম হচ্ছে না। গেল কাল আপনি ফেসবুকে যতগুলো ছবি তুললেন সবগুলৈ ফেক। নাজি জমানার ছবি দিয়ে বলেগেলেন এগুলো ৭১এ পাকিস্তানের গণহত্যার ছবি। এবং এতে প্রমাণ হয় যে আপনি বাংলাদেশ এবং ইসলামের নিন্দেতে যতদূর যেতে হয় যাবেন। চাই কি মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েও। এবারে মুস্কিল হলো, আপনার তথ্য এবং তথ্যের ভাণ্ডার এতো বিশাল যে এগুলোকে কাটতে হলেও একরকম সবজান্তা হতে হয়। আমি অবশ্যি সেই গোলে পড়িনা। তথ্য বা জ্ঞান ভাণ্ডারটা তত জরুরী নয়। আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রী একজন জ্ঞানী লোক। তাঁর মিথ্যাচারকে ঠেকাতে নিশ্চয়ই জ্ঞানার্জনের দরকার পড়ে না। এটা জেনে এবং বুঝে নিলেই হয় যে তিনি চাইছেন টা কী? তেমনি আমার কাছেও স্পষ্ট যে আপনি চাইছেন টা কী? আর সেখানে আমি আপনার বিপরীত মেরুর লোক। আজই ফারহাদ মাজহারের একটা লেখা পড়লাম। দেখুনতো বন্ধুরা এখানে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা করবার কী আছে?http://www.facebook.com/notes/farhad-mazhar/%E0%A6%AB%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE/10150363127970742
    কল্লোল আপনার কামাখ্যা অধ্যয়ন অনেকটাই সত্যের কাছা কাছি। আমি এক বিষদ গবেষনা কর্মে আছি। সেটি পূর্ণ হলে অধিকার নিয়ে বলবার মতো জায়গাতে থাকব। কামাখ্যা মূলে অস্ট্রিক মূলের আমাদের পূর্বপুরুষ জনজাতিদের তীর্থ ছিল। জলদেবী বা দেবতার। এই নিয়ে সুজিত চৌধুরী তাঁর শ্রীহট্ট কাছাড়ের প্রাচীন ইতিহাসে বিস্তৃত অধ্যয়ন করেছেন। আপনি বলতে পারেন এটি খাসিয়াদের আদি তীর্থ ছিল। হ্যা, তাতে পরে তান্ত্রিক ধর্ম বিকশিত হয়। ভৈরবীরা সাধনা করতেন , ডাকিনিদেরও (নিন্দার্থে নয়) সাধনা কেন্দ্র ছিল। দেবী কামাখ্যার কল্পনাও সেই ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার হতেই পারে। মাঝে বৌদ্ধ ঐতিহ্যের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিল এই মন্দির, তার তান্ত্রিকতা সহ। এই গল্পে নরকাসুরের গল্প একটি টুইস্ট বলেই আমার মনে হয়। অর্থাৎ দেবীর ছলনা কৃষ্ণকে দিয়ে নরকাসুরের বধ এগুলো দেখায় বটে জনজাতীয় ধর্মের উপর ব্রাহ্মণ্য ধর্মের অধিকার স্থাপন। দেবীর ৫১ পীঠের একটি বলে একে কল্পনা করাটাও তাই। কিন্তু তিনি যে কোনো দেবতা নন, দেবী--এটি এও দেখায় প্রাচীন মাতৃপূজার ঐতিহ্যের সঙ্গে আপস করে অধিকার বিস্তার করেছে ব্রাহ্মণ্যবাদ। কামাখ্যাতে এখনো সেই প্রাচীন এবং ব্যাহ্মণ্যু অতিহ্যের সমান্তরাল প্রবাহ দেখা যাবে। আউল-বাউল-পীর ফকির নারী-পুরুষ যারা ভীড় করেন তাঁরা যে পাণ্ডাদের খুব পুজা আচ্চা করেন তাতো মনে হয় না। "অপশ্চিম্বাংলায় বাংলায় বামশাসন আসায় এবং আসামাএও এর প্রভাব ছড়ায় তাতে ই operationbrahmaputranamejatiyotabadi আন্দোলন launchkorano " এই তত্বটি একেবারেই constructed. নির্মাণ। ধরুন এটি সত্য। তবে ঘটনাগুলো পূর্বোত্তরের বাকি রাজ্যেও হওয়া উচিত ছিল, উচিত ছিল বিহার উত্তরপ্রদেশেও। তা অন্ধ্রে, মহারাষ্ট্রেও। আর "operationbrahmaputra"এর মতো 'operation' চালিয়ে যে আন্দোলনকে সফলতার সঙ্গে নির্মূল করে দেয়া যায়, তার তাত্বিক ভিত্তিটাই বড় দুর্বল। তার ব্যর্থ হওয়াই উচিত। আজকাল সরকারি 'বামে'রা এই operationbrahmaputraer থেকে খুব যে দূরে আছেন তাতো মনে হয় না। সিপি আই আর সিপি আই এম এল(লিবারেশন) শুরু থেকেই আসু আন্দোলনের সঙ্গে ছিল। আর সিপিএম কিছু লড়লেও এখন এরাও অসমীয়া জাতীয়তাবাদের 'বাম' প্রবক্তা। বাঙালি বা অসমিয়া জাতীয়তাবাদ বিরোধী যেকোনো পরিচিতি আন্দোলনকেই এরা এখনো operationbrahmaputra হিসেবেই দেখেন। এটা বুঝি মার্কিনিদের কাজ। ফোর্ড ফাউন্ডেশনের টাকা আসে বলে একটা তত্বও ওরা চালান। যেন বা মার্কিনিদের রাষ্ট্রের এবং রাষ্ট্রীয় দলগুলোর উপর কোনো দখল নেই। তাই ঐ টুকরো গুলো নিয়ে টানাটানি করছে! হ্যা, আন্দোলনকারীরা বাম আর বাঙালিদের এককালে একাকার করেছিল। কারণ আর কিছু নয়, তারা সঠিক ভাবেই দেখেছিল 'বামে'রা আসলে বাঙালি জাতীয়তাবাদী দল ছাড়া আর কিছু নয়। এক ধাক্কাতে যখন বামেরা অসমে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ছেড়ে দিয়ে চেহারা পল্টায় তখনা আর তাদের সঙ্গে আপস করেত তাদের অসুবিধে হয় নি। সরকারে যেতেও না। বরং বাঙালিরা এর পর 'বাম' ছেড়ে ভাজপার দিকে ঝুঁকে পড়ে। কংগ্রেসের সঙ্গে যারা ছিল, তারা এখনো আছেন। ভূপেন হাজারিকার আসু হয়ে বিজেপিতে চলে যাওয়াকেও এভাবেই ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। ভূপেন একসময় সিপিয়াই এমেল (লিবারেশনের) আই পি এফের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন। এবং অসম আন্দোলনের সমর্থণে দাঁড়িয়েছিলেন। তার পর থেকেই জাতীয়তাবাদীরা তাঁকে গান গাইতে ডাকতে থাকে। অবশ্যি মুসলমান ভীতি জাতীয়তাবাদের একটা দিক। ভূপেন তাই এক সময় ভাজপাতেও চলে গেলেন। সেই তিনি যিনি লিখেছিলেন মানুষ মানুষের জন্যে। কিন্তু বডো বাঙালি ভীতি কি কম কিছু? ম্যানেজ করবার কৌশল পাল্টায় শুধু।
  • Sushanta | 117.198.54.243 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৪৬508993
  • http://www.facebook.com/notes/farhad - mazhar/%E0%A6%AB%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B0 - %E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8 - %E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A7%87 - %E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8 - %E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87 - %E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE/10150363127970742
    ফারহাদ মাজহারের লেখার লিঙ্কটা পুরোটা কপি পেষ্ট করে সার্চ করুন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন