এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলা বই এবং পরবর্তী প্রজন্ম

    jhumjhumi
    অন্যান্য | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | ২৩১৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 122.252.251.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:১৫532118
  • বাংলা বলতে যেটা পড়ানো হয়, মানে ইংরিজির বঙ্গীয় উপভাষিক সংস্করণ, সেটা চালিয়ে যাওয়ার আর সত্যিই কোনও দরকার আছে কী?

    কেরাণিকুল এক্ষণে ইঙ্গরাজীয় বাচন ও লিখনে ব্যুৎপন্ন হইয়াছেন।। গড় উইলিয়াম কেবলমাত্র তদীয় ভাষার ব্যাকরণ ও স্মৃতি-আদি মুদ্রণ করিলেই পারেন।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:২০532119
  • ঐ অ-আ-ক-খ ইত্যাদিকে জাস্ট কুলোর বাতাস দিয়ে বিদেয় করা হোক ।
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:২৪532120
  • শুধু গল্পের বই পড়ার জন্য কোন ভাষা দিনের পর দিন বেঁচে থাকে না। বাংলা ভাষা বেঁচে থাকবে একটাই কারণে তাহল বাংলাদেশ আছে বলে।
  • byaang | 122.172.227.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:৫৬532121
  • ঝুমঝুমি কিছু মনে করবেন না। কথাটা আপনাকে বলা হয় নি। যেসব বড়রা মনে করে যে বাচ্চারা যা কিছুই করে, সেগুলো খারাপ আর বড়দের নিজেদের যেহেতু গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে বা বড়রা মনে করে গল্পের বই পড়ার অনেক সুফল আছে বলে বাচ্চাদের ""গল্পের বই পড়'' বলে জ্বালিয়ে মারে, তাদেরকে বলেছি। বোঝাই যাচ্ছে আপনি সেই সেটে পড়েন না, তাই আপনাকে বলা হয় নি।

    আর বাংলা বই কেন পড়ে না সেই নিয়ে তো অনেক আলোচনা হয়েছে আগের টইয়ে, এই টইয়ে। সেটা নিয়েই আলোচনা চলুক। আমার আলটপকা মন্তব্যে দু:খ পাবেন না প্লিজ।

    তবে আমার ঠেকে শেখা সত্যিটা হল - বাচ্চাদের যে কাজটা করতে যত বেশি বলা হবে, তারা সেটা থেকে তত বেশি পালাবে। এটা বড়দের ক্ষেত্রেও সত্যি। অনেক বুদ্ধি এবং কৌশলের আশ্রয় নিলে তবেই বাচ্চাদের কোনো কাজে উৎসাহিত করা যায়, তা নয়তো নয়।

    আমার যদি ইংরেজি কবিতা খারাপ লাগে, আর আমাকে কেউ আমার জন্মদিনে ইচ্ছে করে ইংরেজি কবিতার বই-ই দেয়, আমার তো বেশ রাগ হবে। এবং কখনো খুলেও দেখব না সেই বই।
  • byaang | 122.172.227.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:৫৮532122
  • আকাজী, আমি এই ইংরেজি বই আর বাংলা বইয়ের তুলনামূলক আলোচনায় আমার আরো কিছু অবসারভেশন নিবেদন করতে চাই। অনুমতি দিজিয়ে।
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:২৩532123
  • বিনয়ের কোঙার তো।
  • byaang | 122.172.227.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৩৫532124
  • খিক খিক। আকার ৯:২৩ এর উত্তরে এই খিক খিক। দয়া করে অন্য কেউ ভাববেন না এই খিক খিক তাদের উদ্দেশ্যে।

    আসল কথায় আসি। এই অবসার্ভেশনটা অবশ্য আমার নয়। আমার এক বন্ধুর ছেলের। সে প্রচুর বাংলা এবং ইংরেজি দুই রকমের বইই পড়ে ফেলেছে বারো বছর বয়সের মধ্যেই। তো এই ছেলের সঙ্গে একদিন কথা হচ্ছিল, ওর কী ধরণের বই ভালো লাগে তাই নিয়ে। তো ছেলেটি নিজের থেকেই বলল নীচের কথাগুলো।

    বাংলা বইয়ে যেসব ছোটরা দুষ্টু, তারা গল্পের শেষে লুজার হয় আর যারা খুব বাধ্য ভালো বাচ্চা, তাদের সবসময় ভালো হয়। খুব বোরিং লাগে সব বইই একরকম। শুধু লীলা মজুমদার আর সত্যজিৎ রায়ের কিছু গল্প যেমন (টিপু গোলাপিবাবু) ভালো লাগে। কিন্তু তোপসেকে খুব বোরিং আর ভীতু মনে হয়, কক্ষনো সে কোনো ভুল করে না, ফেলুদাকে কোনো কাজ করতে মানা করে না। ফেলুদা জেনেশুনে অন্ধকার রাতে কবরস্থানে গেলে যে বিপদে পড়তে পারে, সেটা জেনেও তোপসে ফেলুদাকে ফলো করে যায়। কিন্তু লীলা মজুমদারের গল্পে অনেক দুষ্টু, পাজি ছেলেমেয়ের গল্প পড়তে খুব মজা লাগে। আর ভোম্বলসর্দার। কত অন্যায় করে জেনেশুনে, কিন্তু দুইবার ভাবে না। জানে টাটার ফ্যাক্টরিতে গিয়ে অনেক কাজ করতে হবে, কিন্তু ভয় পায় না।

    আমি শুধোলাম, ইংরাজি বইয়ে বুঝি দুষ্টু ছেলেমেয়েদের সংখ্যা বেশি?

    ছেলেটি বলল, ইংরাজি বইয়ে এত জোর দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয় না কে ভালো আর কে খারাপ। ইংরাজি গল্পের বইয়ে ছোটরা এমন অনেক কিছু করে ফেলে, যা করার কথা কোলকাতায় বসে আমি, আমার বন্ধুরা ভাবতেই পারি না। তাই প্রথমে তো খুব অ্যাডভেন্‌চারাস লাগে ঐসব ছেলেমেয়েদের। তখন মনে আসেই না ওরা ভালো না খারাপ। তাই ইংরেজি বইগুলো অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং লাগে।

    এই ছেলেটির এই পয়েন্টটা আমার খুব মনে ধরেছিল। তাই ভাবলাম এই আলোচনায় ওর চোখ দিয়ে দেখা তুলনাটাও ডকুমেন্টেড থাকুক। ছেলেটি কোলকাতার একটা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে। ক্লাস সেভেনে।
  • Tim | 198.82.22.9 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৪১532126
  • এত বড়ো বড়ো পোস্টে ওমনাথের ওয়ান লাইনার টা হারিয়ে গ্যালো। সেইটায় বড়ো করে (বোল্ড আন্ডারলাইন) ক দিলুম।

    (প্রসঙ্গ: স্প্যানিশ, মার্কেজ, অনুবাদ সাহিত্যের রস গ্রহণ)
  • rimi | 168.26.205.19 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৪১532125
  • আম্রিগার স্কুলে আবার বাচ্চাদের বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানোর জন্যে তৈরী হয়েছে Accelerated reader প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রমের কথা প্রথম যখন জানলাম আমার মাথা ঘুরে গেছিল।
    যাবতীয় বাচ্চাদের বইকে (গল্পের বই, এমনি সায়েন্সের বই সব রকম) লেভেল হিসাবে ভাগ করা হয়েছে। তারপরে প্রত্যেকটা বইএর উপরে ছোটো ছোটো মাল্টিপল চয়েজের ক্যুইজ বানানো হয়েছে। তারপরে একখানা ওয়েব সার্ভারে সেইসব প্রত্যেক বইএর নাম, লেভেল, ক্যুইজ নাম্বার এবং ক্যুইজ সব পুরে দেওয়া হয়েছে। যে কোনো স্কুল এই প্রোগ্রামে পার্টিসিপেট করতে পারে। স্কুল সাবস্ক্রাইব করলে স্কুলের প্রত্যেক বাচ্চার জন্যে একটা করে অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। প্রত্যেক বাচ্চার AR ইউজার আইডি আর AR পাসওয়ার্ড থাকে। একেকটা ক্যুইজে সর্বোচ্চ পয়েন্ট হল 0.5। মানে দুটো বই পড়ে কুইজ নিয়ে দুটোতেই ১০০ পেলে মোট ১ পয়েন্ট হবে। আর স্কুল লাইব্রেরী এবং পাব্লিক লাইব্রেরী সব জায়গায় বইগুলোকে এই AR নাম্বার অনুযায়ী মার্ক করতে হবে।

    এবার ললিপপদের স্কুলে নিয়ম হল: কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চা সারা বছরে ২০ পয়েন্ট পেলে তার ছবি হল-এ টানানো হবে। এর নাম হল হল অফ ফেম :-)। ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাকে হল অফ ফেমে যেতে হলে অন্তত ৫০ পয়েন্ট পেতে হবে, মানে কম করেও ১০০ টা বই পড়তে হবে। ক্লাস টুতে ৬০ পয়েন্ট পেতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।

    বই পড়তেই হবে এমন কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। কিন্তু যদি পড়ো, পড়ে যদি ক্যুইজ নাও, আর ক্যুইজে যদি ১০০ পাও, তাহলে একটা স্টিকার দেওয়া হবে। সেই স্টিকার একটা বড় পাতায় আটকাতে হবে। পুরো পেজটা স্টিকারে ভর্তি হলে একটা ছোট্টো প্রাইজ, কিছুই না , হয়ত একটা পেন্সিল কিম্বা ইরেজার। কিন্তু বাচ্চাদের কাছে এটাই বিরাট ইন্সেন্টিভ। আর প্রতি ১০ পয়েন্টে একটা করে "সার্টিফিকেট" দেওয়া হয়। ৫০ পয়েন্ট পেলে তো হল অফ ফেম। এই করতে করতেই একসময় বাচ্চার বইএর প্রতি ইন্টারেস্ট তৈরী হয়ে যায়।

    মজার ব্যপার হল না পড়লে কোনো শাস্তি নেই। বকাঝকা নেই। কিছুই নেই। টিচার হয়ত বাবা মাকে বলবেন বাচ্চাকে পড়ায় উৎসাহ দিতে।

    এই আর কি। টেকনোলজি, টিভি, ভিডিও গেম, আই প্যাড, পড ইত্যাদির ছড়াছড়ি এই দেশে, সেখানে আবার বই পড়ার অভ্যাস তৈরী করার জন্য এত কান্ড!!!
  • S | 128.231.155.50 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৪২532128
  • বাচ্চাদের ওপর TV, কার্টুন ইত্যাদির এফেক্ট নিয়ে প্রচুর স্টাডি আছে। মোটামুটি consensus হচ্ছে TV, games যত কম করা যায় ততই ভাল আর বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। University of Maine এর এই আর্টিকল টা দেখতে পারেন। এতে অরিজিনাল সোর্স ও দেওয়া আছে।
    http://umaine.edu/publications/4100e/

  • rimi | 168.26.205.19 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৪৩532130
  • ব্যাংএর বন্ধুর ছেলের পয়েন্টটা খুবই ইন্টারেস্টিং। ফেলুদা সম্পর্কে আমারও বরাবর একই কথা মনে হয়। ফেলুদা আমার কোনোকালে ভালো লাগে না।

    আর সত্যজিৎ রায়ের যে গল্পগুলো ছোটোবেলায় ভালো লাগত, পরে দেখি তার মধ্যে বেশ অনেকগুলো বিদেশী গল্পের ছায়া।
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৪৩532129
  • বা: এই ছেলের হবে। অথোরিটি কে কোশ্চেন করা মানে 'মুখে মুখে কথা বলা' - দুষ্টু ছেলে - আমাদের কালচার। তা গল্পের বইতেও থাকবে স্বাভাবিক। গল্পের বই তো সমাজের বাইরে থাকা কেউ লেখেন না। আর ওয়েস্টার্ন কালচারে অথোরিটি কে কোশ্চেন করা গিফটেড চাইল্ডের অন্যতম লক্ষণ বলে ধরা হয়।
  • byaang | 122.172.227.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৪৪532131
  • রিমি ঐ যে বললি - না পড়লে কোনো শাস্তি নেই। বকাঝকা নেই। কিছুই নেই।
    ঐ তিনটে বাক্যতেই উত্তরটা লুকিয়ে আছে। কেন এখানে ছেলেমেয়েরা তাদের মাতৃভাষাটা পড়তে চায় না।
  • Tim | 198.82.22.9 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৪৭532132
  • বাংলাভাষা না পড়লে বাঙালী বাচ্চারা বকা খায়? শাস্তি পায়? তাই বুঝি?
    এসব কোথাকার এবং কবেকার কথা হচ্ছে?
  • byaang | 122.172.227.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৫৫532133
  • তিমি এখনকার কথাই হচ্ছে। এই এখন আমরা যারা মা-বাবা, যারা ছেলেমেয়েদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করে চাক্রি পেতে সুবিধে হবে বলে। তারাই আবার বাংলায় এত কম কেন পেলি বলে চেঁচাতে বসি।
    আর এটা শুধু বাংলা নয়। যেসব ছেলেমেয়ের মাতৃভাষা তামিল অথবা কন্নড় অথবা হিন্দি। তাদের মা-দের-কেও দেখি কেন ঐ সাবজেক্টটায় কম পেল বলে হাত্‌পা ছুঁড়ে টিউশনে পাঠিয়ে দিতে ছেলেমেয়েদের।
  • byaang | 122.172.227.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৫৯532134
  • আর আমাদের সময়েও যদি আমরা বাংলায় কম পেতাম, টিচাররা, বাড়ির লোকরা, বন্ধুরা ছেড়ে কথা বলত বুঝি!! বাংলা ব্যাকরণ নিয়ে কম নাকাল হয়েছি বুঝি? অথবা ভাবসম্প্রসারণ? যে ভাবে পড়তে বাধ্য করা হয় এদেশের ছোটদের তাতে যেকোনো বইয়ের প্রতি ঘেন্না ধরে যেতে বাধ্য। আর বইয়ের থেকে পালানোর তো আজকাল এত উপকরণ আমাদের হাতের কাছেই মজুত। আইপ্যাড, এক্সবক্স , ইত্যাদি, প্রভৃতি।
  • hu | 12.34.246.73 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০০532135
  • টিম এবং ওমনাথকে
    কালিদাসের দেশের লোকজন তার লেখা অনুবাদে পড়ছে এটাও তো দু:খের। তাবলে কি এর অন্যথা হতে দেখছি খুব বেশি?
  • rimi | 168.26.205.19 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০২532137
  • টিভি দেখা, গেম খেলা ভার্সেস বই পড়া - এই নিয়ে প্রচুর স্টাডি হয়েছে বড় বড় ইউনিতে। আমি যেকটা পড়েছি, সবকটাই বলেছে টিভি এবং ভিডিও গেম টাইম কমাতে। হার্ভার্ডের একজন প্রফ বলেছেন ১০ বছর বয়সের আগে কম্পিউটার অ্যাক্সেস দেওয়াই উচিত নয়। :-((

    এইসব স্টাডির ফলেই বই পড়াকে এখানে এখন প্রচন্ড প্রোমোট করা হচ্ছে। ললিপপের ক্লাসে কিছু বাচ্চা, বছর শেষ হয় নি, এখনই ৭০-৮০ পয়েন্ট পেয়ে গেছে, মানে প্রায় ২০০ র কাছাকাছি বই পড়ে ফেলেছে! ভাবা যায়! ছ বছর বয়সে আমরা সারা বছরে কটা গল্পের বই পড়তে পারতাম? এত বই ই ছিল না।
  • byaang | 122.172.227.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০২532136
  • সারাক্ষণ কানের কাছে ""ওরে পড় রে, ঐটায় আগের পরীক্ষায় সবচেয়ে কম পেয়েছিলি'' বলে কানের কাছে সবাই ঘ্যানঘ্যান করে যায় না?
  • byaang | 122.172.227.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০৭532140
  • আর তিমি, ওমনাথের কথার উত্তর তো আমি আগেই দিয়েছিলাম। পাতা উল্টে পড়ে নে।

    (আমি একটা ডিসক্লেমার দিয়ে রাখি এইবেলা, কারণ পাইয়ের আসার সময় হল বলে। ডিসক্লেমারটা এই যে, এই টইয়ে আমি বাচ্চাদের হয়েই ব্যাটিং করে যাব। এখানে আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী করি, ছেলেকে বাংলা বই পড়তে বাধ্য করি কিনা নাকি ভিডিও গেমস খেলতে দিই এই ধরণের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেব না। ) :-)
  • I | 14.99.154.128 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০৭532139
  • Wonderful adventure of Niles এর লেখিকা-র নাম সেলমা লাগেরলফ। নোবেল পেয়েছিলেন। অসাধারণ লেখা। এই একটিমাত্র বই যা আমি পুরোটা কম্পুতে , তা-ও আবার নোটপ্যাডে (প্রজেক্ট গুটেনবার্গ) পড়ে উঠেছিলাম। আপনারাও পড়ুন। পড়ে দেখুন সবাই।
    তবে কিনা, রিমি-র মত আমারো বুড়ো আংলা বেশী ভালো লাগে। বুড়ো আংলা-র প্রথম সংস্করণে ঋণস্বীকারের ব্যাপারটা ছিল। তারপরে আনন্দ-টানন্দ এসে সেসব তুলে দেয়। কয়েক বছর আগে এক ভদ্রমহিলা খুব হল্লা মাচিয়েছিলেন-অবন ঠাকুর চুরি করেছেন বলে। তখন বিশ্বভারতী রেগেমেগে স্টেটমেন্ট দেয়।
  • Tim | 198.82.22.9 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০৮532141
  • ব্যাঙদি,
    তাহলে বলতে হয় তোমার দেখার স্যাম্পল আমার থেকে আলাদা। আমি দেখি আমার চেনাশুনো লোকেদের (একেবারে ঘর থেকে শুরু করে) ইংরেজির ব্যাপারে যতটা যত্নবান ( সহজবোধ্য কারণে) বাংলার প্রতি ততটাই নির্মোহ।
    এই টইতেই তো অনেকেই লিখেছে দেখলাম যে বাচ্চারা বাংলা শেখেনা ( একটু বড়োরা অনেকেই জানেওনা এবং জানেনা বলে গর্ববোধ করে)।
    এতে আমার আপত্তিও নেই, কারণ সবাই চাইবে আগে পেটে খেয়ে তারপর ভাষা ও সংস্কৃতি বজায় রাখতে । যেটা বলার, এটা দূর্ভাগ্যজনক এইটুকু স্বীকার করার প্রয়োজন আছে।
  • hu | 12.34.246.73 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০৯532143
  • রিমিদি যেটা লিখলে সেটা একটা দারুন প্রচেষ্টা। আমাদের পাড়ার লাইব্রেরীতে শুধু শনি আর রবিবারে ছোটদের বই দিত। আমাদের চেষ্টা থাকত শনিবারে একটা বই নিয়ে এসে শেষ করে পরের দিন আরেকটা বই আনা। কে কত মোটা বই একদিনে শেষ করতে পারে তা নিয়ে আমার আর ভাইয়ের বেশ কম্পিটিশন চলত।
  • I | 14.99.154.128 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০৯532142
  • রিমি !!!! বলিস কী রে !!! দশ বছর !!!

    আমাদেরটা এক্কেরে গোল্লায় গেছে রে ! এখনো তো আটই হল না !!
  • byaang | 122.172.227.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:১০532145
  • এই যে বড়াইবাবু। গাংচিল থেকে উড়োজাহাজ সিরিজ কিনেছেন কি? না কিনে থাকলে কিনে ফেলুন। আর ছোট্ট মানুষটিকে দেওয়ার আগে নিজে পড়ে ফেলুন। রিমি তুইও যখন কোলকাতা আসবি, কিনে ফেলিস।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:১০532144
  • হাহহাঅহহা ব্যাংএর ডিসক্লেমার পড়ে হাসতে হাসতে গেলুম গো !!!!!!
  • I | 14.99.154.128 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:১১532147
  • হে : ! হাসালেন মহায় ! উড়োজাহাজ কব্বে কেনা !
  • rimi | 168.26.205.19 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:১১532146
  • ইন্দোদাদা আমি বলি নি, আমি কি হার্ভার্ডে পড়াই নাকি? :-(
  • hu | 12.34.246.73 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:১২532148
  • আর কাল রাতের পোস্টগুলো পড়তে পড়তে মনে পড়লো - আমার দিদার কাছে বাবা-মা দুজনেই খুব বকুনি খেত আমাদের গল্পের বই পড়তে বাধা না দেওয়ার জন্য :্‌)
  • hu | 12.34.246.73 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:১৩532151
  • এটা আবার কি দাঁত ছরকুট্টে হাসি! মাইরি বলছি, আমি এভাবে হাসি নি। গুরুর কলে ভূত ঢুকেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন