এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • arjo | 24.42.203.194 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ০৭:২৫561186
  • দিল্লিতে যখন ছিলাম তখন তো ছাত্তর, তাই পকেটে পয়সা ছিল না। জামা মসজিদের উল্টো দিকের করিমসের সামনে গেলেও রোজ কিন্তু সেখানে খেতাম না। কিন্তু তাবলে খাবার জায়গা বা জিনিষের অভাব হয় নি। ওখানেই পাওয়া যেত চিকেন ভাজা। আজকের যুগের এই কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন নয়, বিশুদ্ধ দেশী পদ্ধতিতে ভাজা চিকেন। কড়াইতে তেল ফুটছে - অনেকটা আমাদের চপের দোকানে যেমন হয়। পাশে রয়েছে মুর্গী, মনে হয় একটু বিস্কুটের গুঁড়ো মাখানো। আপনি পছন্দ মতন একটা বেছে নিলে, সেটাই ভাজা হয় ছাঁকা তেলে। মিনিট দশেক বাদে গরমা গরম ভাজা মুর্গী সাথে লেবু, কাঁচা লংকা আর পেঁয়াজ, আহা, দাম মাত্র ২০ টাকা। এর আগেই অর্ডার দেওয়া হয়ে গেছে বিফ কাবাব - ২ টাকা একটি কাবাব। প্রায় গোটা পঞ্চাশেক কাবাব নিয়ে ফিরে আসতাম - গোটা দশ জনের জন্য। হোস্টেলে সেদিন রাতের ডিনার ক্যান্সেল, খাওয়া হত রুটি আর কাবাব। আর নিতান্তই যদি করিমসে খেতাম তাহলে আমরা অপটিমাইজ করতাম। কতজন খেতে যাব, গতবার কি কি খেয়েছি, এইসবের একটা কঠিন অপটিমাইজেশন অংক সলভ করে আমরা যেতাম। তা আমরা দেখেছিলাম মোটামুটি ৬ জনে খেতে গেলে ব্যপারটা বেশ অপটিমাইজড হয়। তাইলে রাং, কোর্মা, বিরিয়ানি, গুর্দ্দা কলিজা, নান, রুটি সব একসাথে চাখা যায় অথচ পার হেড বিলটাও ঐ ৭০ - ৮০ তে রাখা যায়।

    আইআইটির উল্টোদিকের এসেক্স ফার্ম ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু আমাদের মতন লোকেদের জন্য ওদের একটা ছোট্ট দোকান ছিল, যেখানে পাওয়া যেত সালামী আর সসেজ। আমরা হোস্টেলে প্রায়ই কন্টিনেন্টাল নাইট করতাম, মেনু হত সালামী, সসেজ ভাজা, পাঁউরুটি আর চিকেন স্যুপ। এছাড়াও বড়রা এর সাথে পিনার বন্দোবস্তও করতেন। বসন্ত বা গরম হলে চীলড বিয়ার আর শীত হলে ওল্ড মংক। অনেকরকম বিয়ার খেয়েছি কিন্তু দুটি বিয়ারের কথা বলাই উচিত, এক, ড্যান্সবার্গ - ড্যানির বিয়ার কারখানায় তৈরী বিয়ার, দাম ছিল ২৪ টাকা বোতল, আর দুই গুরু - দিল্লির লোকাল, অ্যালকহলের পরিমাণ ছিল ১২%। অল্প পয়সার বিলাস।

    এছাড়া আর দু একটি জায়গায় কথা বলা উচিত। যেমন জেএনইউর ক্যাম্পাসের মধ্যের কিচাস, মূলত চাইনিজ। আমরা অটো করে যেতাম কিন্তু ফিরতাম হেঁটে, মাঝে মাঝে তো পার্থসারথী রকে খানিক আড্ডা মেরে ফিরতে ফিরতে প্রায় ভোর রাত। যাহোক কিচাসের সমস্ত মাংসই একরকম খেতে। কুলোকে বলে ওরা নাকি জেএনইউর ককুর কাটত। তো, আমরা খুব একটা পাত্তা দিই নি কোনোদিন। ত্রিশ টাকায় ড্রাই ল্যাম্ব চিলি আর চপসি পাওয়া গেলে ল্যাম্ব না কুকুর অত দেখলে চলে না। আমরাও দেখতাম না।

    দিল্লিতে আমাদের বেশির ভাগ খাওয়া দাওয়াই ছিল এসব অনামী জায়গায়। শুধুই যদি ভোজনবিলাসী হন এবং পকেটে পয়সার টানাটানি থাকে তাহলে চোখ বন্ধ করে খেয়ে নিন। অ্যাম্বিয়েন্স নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।
  • arjo | 24.42.203.194 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ০৭:২৭561187
  • এছাড়া আর একটা জায়গায় কখনো যাওয়া হয় নি তাহল আফগান ধাবা। অনেকবার প্ল্যান করেছি কিন্তু কোনো না কোনো কারণে হয়ে ওঠে নি।
  • shrabani | 124.30.233.101 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ১১:২৯561188
  • দিল্লীর খাওয়াদাওয়া নিয়ে এত বলা যায় আর এত লেখা যায় ......। বলতে গিয়ে নিজের নিজের পছন্দের জায়গা বা জিনিসগুলো আসবে বলে না বলাই ভাল। তবে দিল্লীর লাড্ডু ভাল না বলায় আপত্তি আছে। দিল্লী তথা সমগ্র উত্তর ভারতে অজস্র রকমের লাড্ডু হয়, বিভিন্ন ingredients বিভিন্ন occassion এ। এদের সবকে এক বাক্যে এভাবে নস্যাৎ করে দেওয়া যায়না।
    যে কোনো ভাল দোকানের দেশী ঘিয়ের মোতিচুর লাড্ডু (ঘি টা ভাল না হলে টেস্ট মাটি) আমার দেবভোগ্য মনে হয়। যতবার কলকাতায় যাই, লাড্ডুর প্যাকেটের জন্য একটা আলাদা লাগেজ করতে হয়, সবাই ভালবাসে, সবার বাড়িতে দিতে হয়!
  • san | 12.144.134.2 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ১২:০৫561189
  • সিকি দমদি আজ্জোদার লেখা এইসব পড়তে গিয়ে লাঞ্চটাইমের ঢের আগেই বেজায় খিদে পেয়ে গেল :-(
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ১২:৪৫561190
  • এত করে চিনিয়েও তো ঠিকানা গড়বড়। করিম্‌স চাঁদনি চকে নয়। চাঁদনি চক হল জামা মসজিদের সামনে মসজিদের দিকে মুখ করে দাঁড়ালে ডানদিকে। করিম্‌স হল বাঁদিকের গলির মধ্যে আরো ঘিঞ্জি একখান গলি আছে - নাম গলি কাবাবিঁঞা - সেখানে।

    চাঁদনি চকের পাশ দিয়ে ঢুকে আরো এগোলে আছে "ঘন্টিওয়ালা'-র আদি মিষ্টির দোকান - ওই হল ঘেভর, লাড্ডু আর সোহন হালুয়ার আদি দোকান। কাছাকাছিই অন্নপূর্ণা - বাঙালী মিষ্টির একটা পুরনো দোকান - মিষ্টি দইটা বেশ ভালোই।
  • Partho | 202.177.144.18 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ১৩:২৮561191
  • গ্যাড়া - কে বল্লো দিল্লিতে মোঘ্‌লাই পরোটা পাওয়া যায় না- চিত্তরন্‌জন পার্কের এক নম্বর মার্কেটে ঢেলে বিক্রি হয়- এছাড়া দিল্লি হাটে বিজলীগ্রীল কাউন্টারেও পাওয়া যায়।

    আচ্ছা, আপনারা কেউ শীতের দিল্লিতে রাঙা আলু পোড়া(লেবু আর চাট মাস্‌সালা দিয়ে- হকাররা বিক্রি করে) -খেয়ে দেখেছেন ? ফাটাফাটি খেতে ।
  • san | 12.144.134.2 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ১৪:৪৪561192
  • ইয়েস ইয়েস ইয়েস। আমি খেয়েছি, রাঙালুপোড়া। সি আর পার্ক আর লাজপত নগরে। হেব্বি খেতে। অবশ্য আমি মোটে তিনমাস দিল্লিতে ছিলাম, একটা শীত।কতকিছু খাই নি , বেচারি আমি। ভাবলে নিজের উপরে মায়া হয় বড় :-(
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ১৪:৫৩561193
  • লাজপত সে¾ট্রাল মার্কেটের ওখানে দুজন তিব্বতী মহিলা আসতেন - সন্ধ্যেবেলা - মোমো নিয়ে। পেল্লায় লাইন পড়তো, আর আধ ঘন্টার মধ্যে সব শেষ। কয়েকদিন খেয়েছি - সত্যিই ফাটাফাটি।

    কনট প্লেসে "স্ট্যান্ডার্ড' - চিকেন স্ট্রোগানফ - সেই প্রথম খেয়েছিলুম, কিন্তু ভালো খেতে।
  • M | 59.93.179.225 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ১৫:১০561194
  • আচ্চা আমি এই খাবার দাবার নিয়ে কেসটা পড়ি নাই, পড়বো, কিন্তু এ নিয়ে আমার বলার ছিলো, সেদিন আবার রসগোল্লা ট্রাই নিলুম, ছানাটা কি পাজি মাইরি কিছুতেই জল পুরো ঝরলো না, তা যাকগে গোল গোল রসগোল্লার বদলে একটি বড়ি টাইপ দেখতে কি যেন হলো, তা খেতে মন্দ হয়নি তাও সবাই কি আবাজ দিলো, এতদিন পরে এলুম তাও ক্ষমা ঘেন্না নেইরে এদের।
  • Samik | 122.160.41.29 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ২১:২১561196
  • সত্যি ক্ষিদে পেয়ে গেল।

    সবার কমেন্ট পড়ে বুঝতে পারছি, দিল্লিতে অনেক কিছুই খাবার সম্বন্ধে আমি জানতাম না, যেমন বিভিন্ন রকমের লাড্ডু বা চিত্তরঞ্জন পার্কে ঢেলে বিক্রি হওয়া মোগলাই পরোটা। আমি এই গত রোব্বারও সারাটা দিন সিআর পার্কে কাটিয়ে এলাম, কোথাও মোগলাই পরোটা বিক্রি হতে দেখি নি। এনিওয়ে, হতেই পারে, আমার চোখে পড়ে নি। জেএনইউয়ের ভেতরের কিচাসের খবরও জানতাম না। একবারই গেছি জেএনইউয়ের ভেতরে, তখন ভরা বসন্ত। লালগোলাপীসাদাহলুদ রঙে রঙে ভর্তি পুরো ক্যাম্পাস যেন হইহই করে হোলি খেলছে। এত্তো ফুল!

    আবার অনেক কিছু জানতাম, লিখতে ভুলে গেছি, তাও বুঝছি। যেমন ঘন্টিওয়ালীর কথা। অন্নপূর্ণার কথা। আর ইয়ে অরিজিৎ, এই লেখাটা তো মেইনলি তদের জন্য লেখা যারা দিল্লিকে তেমনভাবে জানে না, তাই মোটা দাগে চাঁদনী চক লিখেছিলাম করিম্‌সের কথায়। তবে ঠিক, জামা মসজিদটা উল্লেখ করা উচিৎ ছিল।

    আরো লিখতে ভুলেছি সে¾ট্রাল দিল্লি জুড়ে অবস্থান করা বিভিন্ন স্টেটের ভবনের ক্যান্টিনগুলোর কথা। অন্ধ্রভবন, বঙ্গভবন, কেরালা ভবন। যে কোনও উইকডে-তে গিয়ে খেয়ে আসবেন।

    ক্ষিদেটা আরো চাগাড় দিচ্ছে।
  • Samik | 122.160.41.29 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ২১:২২561197
  • সরি, ঘন্টিওয়ালা।
  • dipu | 121.243.161.234 | ৩০ মার্চ ২০০৯ ২১:৩৬561198
  • এই অ্যাত খাবারের লিস্ট একটা আলাদা টইয়ে থাকলে ভাল হত। এখানে থাকলে হারিয়ে যাবে।
  • S N Roy | 59.92.48.157 | ৩১ মার্চ ২০০৯ ০১:০৮561199
  • ওরিজিন্যাল লেখা-টা-তেই ঘন্টেওয়ালা-র কথা দেখতে ন পেয়ে মন-টা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। এখন বেশ প্রফুল্ল লাগছে। থ্যান্‌ক য়ু।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩১ মার্চ ২০০৯ ১০:২৫561200
  • হাত মেলান দাদা - ঘন্টেওয়ালার ঘেভর, সোহন হালুয়া আর লাড্ডু যে খায়নি সে দিল্লীবাসীই নয়;-)
  • r | 198.96.180.245 | ৩১ মার্চ ২০০৯ ১৪:০১561201
  • ছোটোখাটো কিছু ঠেকের কথা বলি, যদি না আগে বলা হয়ে গিয়ে থাকে। প্যাটেল চেস্টের ভেলপুরি (এই অদ্ভুত নামের জায়গাটি দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে)- ব্রিলিয়ান্ট। আই পি কলেজের উল্টোদিকে পেট গাদিয়ে গুজরাটি থালি, যত পারুন খান। সে যুগে ছিল দশ এগারো টাকা। আফঘান ধাবা চিনে বের করা একটু কঠিন। কাটিয়ে দিলেও হয়। দিল্লি ইউনিভার্সিটির কাছেই মডেল টাউনের পাশে তিব্বতি পাড়ার মোমো, থুকপা আর ছাং। মোমো-থুকপার আর একটি বড় ঠেক চাণক্য সিনেমার সামনে। ইউনিভার্সিটি চত্বরে হিন্দু কলেজ ক্যান্টিনের ছোলে বটুরে, স্টিফেন্সে স্ক্র্যাম্বল্‌ড এগ। জে এন ইউ মানে শুধু কিচাজ নয়। রাতে গঙ্গা ধাবা, দিনে সি ই এস পি-র ক্যান্টিনটা, নাম ভুলে গেছি। মুনিরকা অবধি পৌঁছে গেলে উডিপি- দিল্লিতে আমাদের ফেভারিট। অন্যদিকে প্রিয়া চত্বর। শুনেছি অনেক পাল্টে গেছে। কিন্তু তখন একটা ছোটো দোকানে খুব ভালো শোয়ার্মা পাওয়া যেত। আবার দোকানটার নাম ভুলে গেলাম।
  • r | 198.96.180.245 | ৩১ মার্চ ২০০৯ ১৫:০২561202
  • আজ্জোর পিনার মধ্যে যোগ হবে রামের মধ্যে ওল্ড মঙ্ক ছাড়া কন্টেসা আর ব্ল্যাক ফোর্ট। কন্টেসা ছিল সাংঘাতিক। আমার বেশির ভাগ বেহুঁশ হওয়ার স্মৃতি ঐ কন্টেসাজড়িত। রামভক্ত ছিলাম বলে ভোদকার মধ্যে রোমানফ আর হুইস্কির মধ্যে ডিপ্লোম্যাট ছাড়া কিছু মনে পড়ে না। সেযুগে সোডাদির যোগান না পেলে বাথরুমের ট্যাপের গরম জলই ছিল অ্যালকোহল লঘুকরনের একমাত্র উপায়। গুরু ছিল স্টেপল ডায়েট। খুব সম্ভবত: শক্তি বলেও আর একটা ব্র্যান্ড ছিল।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩১ মার্চ ২০০৯ ১৭:০৬561203
  • কনট প্লেসে আরেকটা রেস্তোরাঁ ছিলো - ক্যাফে ১০০ হতে পারে - ভালো আইসক্রীম পাওয়া যেত। পেল্লায় সাইজের তিনটে স্কুপওয়ালা ব্যানানা split ওখানেই খেয়েছিলুম।

    বাংলায় split লেখা যাচ্ছে না কেন?
  • arjo | 168.26.215.13 | ৩১ মার্চ ২০০৯ ২০:১৩561204
  • কন্টেসা উফ্‌ফ কন্টেসা। খাইলেই টলিবেন (যদি না জ্ঞান হারান) গ্র্যান্টি রইল। আরো দুএকটি পানীয়র কথা মনে পড়ল। আমাদের সময় পাড়ায় পাড়ায় বারিস্তা ছিল না। থাকলেও যাবার পয়সা ছিল না। তাই আমরা কফি খেতে যেতাম ঠাঙ্কুজীতে। ইনস্টিটিউশনাল এরিয়ায় সঞ্জয় বনের কাছে। শীতের রাতে আড্ডা মারতে মারতে বা গরমের সকালে কুতুব যাবার পথে ঠাঙ্কুজীতে কফি আমাদের অন্যতম প্রিয়।

    আর ছিল বান্টা। গরমের দুপুরে বাইরে বেরিয়ে জল খেতে ইচ্ছে হল খুঁজে নিন ঠেলা গাড়ির উপর অসংখ্য সোডার বোতল, বরফ আর লেবু। পাঁচ টাকা গ্লাস। খানিক সোডা, লেবু, চিনি, নুন আর বরফ। বরফ না চাইলে ভিজে গামছা জড়ানো ঘড়ার জলও বেশ ঠান্ডা। প্রাণ জুরিয়ে যায়। শস্তার ফ্রেস লাইম সোডা।
  • ranjan roy | 122.168.71.68 | ০১ এপ্রিল ২০০৯ ০০:২০561205
  • অর্জোকে ধন্যবাদ! সেই বান্টা, প্রানদায়িনী বান্টা! ১৯৮০র ডিসেম্বরে আমাদের দশজনকে বোর্ড অফ ডাইরেকটর্সকে ঘেরাও করার অপরাধে ডিসমিস করার জন্যে শো-কজ দিয়েছে। আমি আর একজন কোনরকমে কিছু পয়সা হাতিয়ে দিল্লি পোঁছুলাম। শ্রম ভবন, মিনিস্ট্রি অফ ফাইনান্স ঘুরি। সিটু অফিসে মি: পান্ধে, ভি পি হাউসে জে এন ইউ লিডার " যৌবনে যোগিনী' চেহারায় বৃন্দা চাটুজ্জে ( আজকের বৃন্দা কারাত)কে দেখে মুগ্‌ধ হই। পায়ে হেঁটে সমস্ত খবরের কাগজের অফিসে গিয়ে প্রেস নোট নিয়ে সিধে চিফ এডিটরের সঙ্গে দেখা করতে চাই। মুরগী হই, তারপর পকেট খালি থাকায় নিউদিল্লীর প্ল্যাটফর্মে চাদর বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তখন আমার প্রাণ বাঁচিয়ে ছিল এই মেশিনের জল। ১৯৮০তে একগ্লাস ২৫ পয়সা।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০১ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:২৯561207
  • বান্টার আসল ইয়েটা বল্লে না? বোতলের ওপরে বাড়ি মেরে ছিপিটাকে ফটাস করে খোলা?
  • gyaarhaa | 122.162.236.141 | ০১ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:৪১561208
  • ওটাকেই কি বাংলায় বলে ফটাস জল?

    আরে ঐ শ্রমশক্তি ভবনেই তো গেঁড়ি চাকরি করে!
  • b | 203.199.255.110 | ০১ এপ্রিল ২০০৯ ১৬:৪৪561209
  • আপনারা কেউ কি পরিমল সেনের ইতস্তত' বইটি পড়েছেন? দিল্লি ইউনিভর্সিটিতে (তখনও দিল্লি স্কুল হয় নি) ইকনমিক্স পড়াতেন, পরে আই এম এফ-এ।অতি অল্প বয়সেই মারা যান। বইটি থেকে উদ্ধৃতি শুনেছি, পড়িনি। দিল্লির রোজকার জীবনের ছোটো ছোটো স্কেচ। কারুর সংগ্রহে থাকলে জানাবেন।

    ***
    রোজ সকালে দেখি বাড়ির সামনের পার্কে একটি রোগা লোক মোটা হইবার জন্যে পনপন করিয়া ও একটি মোটা লোক রোগা হইবার জন্যে থপ্‌থপ করিয়া হাঁটিতেছে।
    ***
    বড় শালী দিল্লি আসিতেছেন। ভায়রাভাই, বাচ্চা, শালা, শালাজ-ও আসিতেছেন। আবার আমাকে কুতুবে চড়িতে হইবে। এই লইয়া তেতাল্লিশ বার!

  • Guruchandali | 117.195.41.50 | ০৫ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:২৩561210
  • -------------------------------------------------------------
    নতুন বুলবুলভাজা: গান্ধী, দু একটি সিনেমা ও কিং অফ গুড টাইমস
    -------------------------------------------------------------
  • h | 61.95.144.10 | ০৭ এপ্রিল ২০০৯ ০৭:৪৩561211
  • এইটা আমার খুব ভালো লেগেছে। আরো হোক।
  • rimi | 24.42.203.194 | ০৭ এপ্রিল ২০০৯ ০৭:৫৯561212
  • এই লেখাটা আমারো খুবই ভালো লাগল। এরকম আরো চাই।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ০৭ এপ্রিল ২০০৯ ০৮:৫৭561213
  • সত্যি বেশ ভালো লাগলো।
  • saikat | 59.93.203.111 | ০৭ এপ্রিল ২০০৯ ২১:৩৯561214
  • গান্ধীবাওয়া কিন্তু প্রকাশনার জগতেও এখন ইন থিং। penguin থেকে রামচন্দ্র গুহর সাথে এক কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। তাঁর একটা কাজ হবে গান্ধীর নতুন জীবনী রচনা।

    ওপরের বাক্যটাতে প্রথমে ভেবেছিলাম লিখব "গান্ধী"। সেটা থেকে মনে হল "গান্ধীবাবা"। সেটা থেকে "গান্ধীবাওয়া"। অতএব মনে এল "ঢোড়াই"। মনে এল ঐ উপন্যাসটাতে ছিল কুমড়োর ওপর গান্ধীর মুখ ফুটে ওঠা। তারপর মনে হল, আজকের ঢোড়াইর্দের কাছে (মানে ভালো বাংলায় যাদের বলে প্রান্তিক/নিম্নবর্গ) গান্ধী কিভাবে আসেন? আদৌ আসেন কি?
  • Guruchandali | 117.195.37.179 | ১২ এপ্রিল ২০০৯ ১২:১৬561215
  • -----------------------------------
    নতুন বুলবুলভাজা: লা জওয়াব দিল্লী - ১০
    -----------------------------------
  • dipu | 121.243.161.234 | ১২ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:৩৩561216
  • দারুণ হয়েছে।

    মিষ্টি ওজনে বিক্রি হওয়া খুব একটা ইউনিক নয়। ব্যাঙ্গালোরেও ঐ ভাবে বিক্রি হয়।
  • dipu | 121.243.161.234 | ১২ এপ্রিল ২০০৯ ১৬:৫৭561218
  • আর বাসের কথায় বলি, ব্যাঙ্গালোরের কিছু সরকারী বাসে ড্রাইভার ই কন্ডাক্টর। সাধারণত: সেই বাসগুলোতে একটাই দরজা, যা সামনে। আপনাকে উঠেই টিকিট কেটে নিতে হবে। যতক্ষণ না সব ইনকামিং লোকজন টিকিট কাটছে ততক্ষণ বাস স্টপেজ থেকে নড়বে না।

    দিল্লীতে আছে এমন কেলো?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন