এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শেখ মুজিবের উপর খ্যাপা কেনো চিনাপন্থীরা?

    কুলদা রায়
    অন্যান্য | ২৩ নভেম্বর ২০১২ | ৬৭৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 213.110.246.230 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৫:০১576902
  • কল্লোলদা
    চাল নিয়ে আমেরিকান জাহাজ নাকি মাঝ সমুদ্রে দাঁড়িয়েছিল। দূর্ভিক্ষের খবর জানা থাকা সত্বেও সেই জাহাজকে খাদ্য খালাস করতে বারণ করা হয়। কেননা সেই সময়ে কিউবা ও পাট রপ্তনী নিয়ে মুজিবের ওপরে চাপ সৃষ্টির কাজটি চলছিল।

    তোমার যদি রাশিয়াকে গাল দেওয়ার ইচ্ছে হয় তো দাও। তবে গাল দেওয়ার আগে রাশিয়া খাদ্য না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এইটুকু নিজে জেনে নিয়ে আমাদেরও জানিও। কিন্তু কোন ভাবেই ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষে আমেরিকার সর্বনাশী ইন্ধন অস্বীকার করা যাবেনা।

    আরও একটা কথা। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থাকলেই যে খবর চেপে দেওয়ার কারণে দূর্ভিক্ষ হয় এই তত্বটিও এখানে অচল। কেননা তখনও বাংলাদেশ একদলীয় শাসনব্যবস্থার ধারে কাছেও ছিলনা।
  • আবুল খায়ের | 123.11.74.191 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৫:১০576903
  • কল্লোল লিখেছেন, "সে সময় তো রাশিয়ার অবস্থাও বেশ ভালো। তারা গমটম পাঠালো না। কে জানে ইচ্ছে না অনিচ্ছে করে।"
    ১৯৭৪-এর আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ছিল মুজিবের জন্য ঘোরতর দুর্দিন। একদিকে প্রলয়ঙ্করী বন্যা অপরদিকে চীনপন্থী নকশালীদের সশস্ত্র চোরাগোপ্তা হামলার ধারাবাহিকতায় থানা লুট, ফাঁড়ি লুট, পাটের গুদামে আগুন, ব্যঅংক ডাকাতি, খুন-খারাবী চরম পর্যায়ে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য-স্বাধীন একটি দেশ উঠে দাঁড়াবার আগেই দেশটিকে শেষ করে দেওয়ার চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র। এমতাবস্থায় বন্যায় খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় মুজিব সরকার যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন কানাডা ও মার্কিন মুল্রুক থেকে নগদ অর্থে কেনা ২ লাখ টন খাদ্য-শস্য যা নিজের দেশে যাচ্ছেল মুজিবের অনুরোধে সেসব খাদ্য-শস্য তৎক্ষণাৎ বাংলাদেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়। সুতরাং রাশিয়া "গমটম পাঠালো না" এবংবিধ মন্তব্য সত্যের অপলাপ মাত্র।
  • lcm | 34.4.162.218 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৫:২২576904
  • ...The Soviets supported the socialist programs of the Mujib government and its very exceptionally close ties with India.
    However, early Soviet aid was limited. During the first four months of its existence, Bangladesh received economic aid worth US$142 million from India, but only US$6 million from the Soviet Union....
  • কল্লোল | 125.184.66.199 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৫:২৭576905
  • আবুল খায়ের মশাই।
    বেশ। মানা গেলো রাশিয়া সাহায্য করেছিলো। তবে আর অমেরিকা দিলো না বলে কান্না কেনে?
    আমার Date:28 Nov 2012 -- 11:04 AM পোস্ট নিয়ে আপনার ও কুলদার মতামত জানতে আগ্রহী।
  • lcm | 34.4.162.218 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৫:৩৩576906
  • In June 1972, the United States officially upgraded its diplomatic mission in Dhaka to embassy status and pledged US$300 million in aid.
    In 1974, Prime Minister Sheikh Mujibur Rahman visited Washington D.C. and held talks with President Gerald Ford...

    ২০১২ তে ---
    U.S. offers Bangladesh $1 billion in aid over next five years...
    http://www.reuters.com/article/2012/01/14/us-bangladesh-usaid-idUSTRE80D0FY20120114
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২০:২২576907
  • ["বাকশাল বিষয়ে মুজিবের অবস্থান ছিল পরিষ্কার। তিনি সমাজতন্ত্রী না হয়েও সমগ্র বিশ্ব্যবাপী সমাজতন্ত্রের অগ্রযাত্রার পরিস্থিতিকে স্যালুট করে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, "বাকশাল হচ্ছে শোষিতের গণতন্ত্র।" সুতরাং, মুজিব ট্রু ন্যাশনালিস্ট, খাঁটি জাতীয়তাবাদী! যেমনটা সান-ইয়াৎ সেন; কামাল আতাতুর্ক; গান্ধীজী; নক্রুমা; আলেন্দে; লুমুম্বা।।।। মুজিবের সমালোচনা হতে পারে বিস্তর। কিন্তু তিনি কখনোই একনায়ক ছিলেন না; আপাদমস্তক গণতন্ত্রী; গণমানুষের একান্ত আপনজন।"]

    আবুল খায়েরের লেখায় প্রচুর বিনোদন আছে। সত্যের লেশ নাই। এইটুকু জানিয়ে গেলাম। :D
  • PT | 213.110.246.230 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২১:৪০576908
  • এইবার রাশিয়াকে গাল দেওয়াটা ঠিক জমানো গেলনা। কিন্তু আমেরিকার অপকাণ্ড ঢাকাচাপা দেওয়ার চেষ্টা সত্যি আমাকে অবাক করছে!!

    এই আলোচনার বোধহয় একটা পূর্বনির্ধারিত শর্ত আছেঃ বাকশালের প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত খারাপ কাজ এবং মুজিব খুব খারাপ লোক ছিলেন। এইবার যা তথ্য আছে সেগুলো বেঁকিয়ে-চুরিয়ে ঐ সিন্ধান্তকে প্রমাণ করতেই হবে!! এরকম ভাবে আলোচনা তো আগেও দেখেছি।
  • lcm | 138.48.127.32 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২২:২১576909
  • আহা, তা কেন, অন্যভাবে দেখুন। এই আলোচনার পূর্বশর্ত হলঃ বাকশাল অত্যন্ত ভাল কাজ, এবং, মুজিবের কোনো দোষ ছিল না। এইবার যা তথ্য আছে সেগুলো বেঁকিয়ে-চুরিয়ে ঐ সিন্ধান্তকে প্রমাণ করতেই হবে!! এরকম আলোচনাও কি আগে দেখেন নি।
    আর, আমেরিকা সম্বন্ধে দুটো ভালো কথাতে আপনিই বা এত বিচলিত হচ্ছেন কেন।
  • PT | 213.110.246.230 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২২:৪০576910
  • আমি কি বলতে চেয়েছি সেটা 01:13 PM-এর পোস্টিং-এ পোষ্কার করে লিখেছি। এখানকার লেখাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে যে জনা তিন-চারেক লোক ছাড়া তামাম বিশ্বের মানুষ জানে যে মুজিবের সঙ্গে কাস্ত্রোর সম্পর্ক ছিন্ন করানোর জন্য খাদ্য-বোঝাই জাহাজকে দূর্ভিক্ষ-পীড়িত বাংলাদেশে খাদ্য সরবরাহ করতে দেয়নি আমেরিকা। এই ঘটনাটাকে নিয়ে যে আদৌ তক্ক করতে হবে কখনও ভাবিনি। এটা মেনে নিলেও বাকশাল/মুজিব ভাল না মন্দ সেই বিষয়ে কোন অবস্থান নেওয়ার দরকার হয়না।
  • আবুল খায়ের | 123.11.74.150 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২২:৪২576912
  • "তবে আর অমেরিকা দিলো না বলে কান্না কেনে?" কল্লোল বাবু কান্নাকাটি কে করেছেন জানি না। প্রকৃত ঘটনা কিন্তু সাহায্য নয়; বরং '৭৪-এর শুরুতে অস্ট্রেলিয়া, ইইসি ভূক্ত কয়েকটি দেশ, কানাডা এবং মার্কিন কোম্পানীগুলোর সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি হয়েছিল খাদ্য-শস্য ক্রয়ের। মুজিবের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় বক্তৃতার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফোর্ডের সাথে সাক্ষাৎকালে মার্কিন সরকারও প্রতিশ্রুত ছিল বাংলাদেশের কাছে চলতি বাজার দরেই খাদ্য বিক্রি করবে। অর্থ যোগান দেওয়ার কথা ছিল সুদহারের ঋণ থেকে। কিন্তু '৭৪-এর গ্রীষ্মে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, মন্দা এবং দেশের অধিকাংশ এলাকা বন্যা কবলিত থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি ছিল। সেপ্টেম্বর মাসে যখন বাংলাদেশে দুটো বড় খাদ্য চালান আসার কথা ছিল, তখন মার্কিন প্রশাসনের নির্দেশে পূর্বে স্থিরীকৃত দুটো খাদ্য চালানের বিক্রয় আদেশ আচমকা বাতিল করা হয়। মুজিব সরকার বহু চেষ্টা করেও মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়। অপরদিকে '৭৪-এর মুজিব-ফোর্ড বৈঠকে মার্কিন সরকার অঙ্গীকার করেছিল আকস্মিক বন্যার কারণে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় পিএল-৪৮০ কর্মসূচীর আওতায় বাংলাদেশকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করবে। অথচ কিউবার কাছে ৪০ লাখ পাটের থলে বিক্রয় করার অজুহাত তুলে পিএল-৪৮০-এর প্রতিশ্রুতি বাতিল করা হয়। ফলে এখানে কান্নাকাটির কিছু নেই; আছে পররাজ্য গ্রাসে দক্ষ মার্কিনীদের পুরোনো নীতির সুচতুর বাস্তবায়ন; যা রেড ইন্ডিয়ান আদিবাসী নাভাহো গোত্র প্রধান রেড ক্লাউড ব্যক্ত করেছেন নিশ্চিহ্ন হওয়ার পূর্বক্ষণে, "ওরা আমাদের শত শত প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিল, কেবল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার জন্য।"
  • lcm | 138.48.127.32 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২২:৫৯576913
  • কি মুশকিল, এরকম আবার কে বলল। কেউ তো বলে নি। কিউবার সঙ্গে সম্পর্কের ফলে আমেরিকা বাংলাদেশের এইড কাট করে দেয়। তখন বাংলাদেশ ছিল আমেরিকার শত্রুপক্ষে - রাশিয়া/ইন্দিরা/মুজিব, ওদিকে মুজিব/কাস্ত্রো। এখন যেমন, ইরান - শত্রুপক্ষ। এ আর না বোঝার কি আছে, খুব কঠিন কিছু তো না।

    আর খায়েরবাবুর যুক্তি তো সলিড, পিএল৪৮০ বন্ধ করে আমেরিকা পররাজ্য গ্রাস করে নিয়েছে!
  • Sibu | 84.125.59.177 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২৩:৩৪576914
  • পিএল ৪৮০ নিয়ে উইকি বলছে যে ওটা খয়রাতি না হয়ে সস্তায় খাদ্য বিক্কিরিও হতে পারে। http://en.wikipedia.org/wiki/Food_for_Peace তে টাইটল ১ দেখুন। এটা খায়ের সাহেবের দাবী যে আম্রিকান গভর্ণমেন্ট চলতি বাজার দরে বাংলাদেশকে খাদ্য বিক্কিরি করতে রাজী হয়েছিল (প্রাইস গাউজিং না করে), তার সাথে কনসিস্টেন্ট।

    সেটা যদি ঘটনা হয়ে থাকে (আমি নিশ্চিত নই যে সেটাই ঘটনা কিনা), তাহলে আম্রিকান সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশের কেনা জিনিস সরবরাহে বাধা দিয়েছিল (যেটা খয়রাতি করতে রাজী না হবার তুলনায় অনেক বড় অপরাধ)।

    তো কেউ কি জানেন ১৯৭৪-এ বাংলাদেশকে মার্কিনী খাদ্য সাহায্য টাইটল ১ এর অধীনে কি না?
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ০৫:৪৯576915
  • আলোচনার অগ্রগতি দেখে ভালো লাগছে।
    দুর্ভিক্ষ নিয়ে কিছু কথা
    -------------------
    ১. দুর্ভিক্ষ তো বাংলাদেশে নতুন নয়। সেই ১৭৭৬ সালের দিকে বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তখন একটা কমিশন বলেছিল, নদীগুলো ভরাট হয়ে গেছে। নদী পূনঃ খননের ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। পাকিস্তানের ২৪ বছরের পূরোটাতেই বাংলাদেশ ভূখণ্ডে লাগসই ও টেকসই কোনো উন্নয়নই হয় নাই। পাকিস্তানী সরকার পশ্চিম পাকিস্তানেই সকল উন্নয়ন করেছে। পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার যে অন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানে দানা বেঁধে উঠেছিল তার প্রধান কারণই এটা ছিল। সুতরাং বন্যা নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থাই পাকিস্তান করেনি।

    ২. ফলে ১৯৭৪ সালে ফসলের ফলন ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বন্যার কারণে মাঠের ফসল বিনষ্ট হয়েছিল। দেশে মারাত্মক একটা খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়।

    ৩.একাত্তর সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী দেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল। ঘরবাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। লুটপাট করে মানুষের অর্থসামর্থ্য ভেঙ্গে দিয়েছিল। এমনকি বীজের ঘাটতিও ছিল। আর চাষের হাল-গরু কেনার মত সামর্থ্য মানুষের ছিল না। ফলে একাত্তরের পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সময় লেগেছে।

    আমার মনে আছে--
    আমাদের পরিবার শরণার্থী হয়ে ভারতে গিয়েছিল নিঃশ্ব হয়ে। ফিরেছিল নিঃশ্ব হয়েই। দেশে ফিরে দেখা গেলো আমাদের বাড়ির অর্ধেক ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে কয়লা ছাড়া আর কিছু নেই। আর বাড়িতে কোনো ধান-চাল কিছুই ছিল না। লুটে নিয়ে গেছে। তখন রিলিফই ভরসা ছিল। আমরা ভাইবোনেরা সবাই মিলে রিলিফ আনতে যেতাম। আর বাবা হাট থেকে সামান্য কিছু মাল্পত্র কিনে ছালা পেতে বেঁচা-বিক্রি করত। এই দুয়ে মিলে আমরা আধপেটা খেতাম। আমাদের একটা বোন মারা গেল। এটা তো বর্ণনা করে বোঝানো সম্ভব নয়। এটা জীবন দিয়ে বুঝতে হয়। সেটা ছিল আমাদের পোকামাকড়ের জীবন। এই সময়ের জীবন নিয়ে মাঝে মাঝে আমি লিখি।

    ৪. দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা একাত্তরে পুরোটাই ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিল। সে সময়ে ঢাকায় যেতে সময় লাগত আমাদে্র বাড়ি থেকে দুদিন। এখন লাগে মাত্র ঘণ্টা চারেক। পদ্মা সেতু হলে দু ঘণ্টা লাগবে।
    খুলনা যেতে হত আঠারো বাঁক পেরিয়ে-- ১৪-১৫ ঘণ্টা লাগত। এখন লাগে মাত্র ১ ঘণ্টা। আমাদের বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুর গ্রামের বাড়ি টুঙ্গীপাড়া যাওয়ার পথ ছিল নৌকা। মাত্র ২২ কিলোমিটারের পথ। ৬ ঘণ্টা লাগত। এখন লাগে মাত্র ২০ মিনিট।
    যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে এই ভয়ানক খারাপ যোগাযোগ ব্যাবস্থার কারণে মালামাল পরিবহন সহজ ছিল না।

    ৫. খাদ্য গুদামগুলোও ধ্বশ করে দিয়েছিল পাকিস্তানীরা। খাধ্য মজুদ রাখার প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত সংখ্যক গুদাম ছিল না।

    ৫. একাত্তরের পরাজিত শক্তি রাজাকার আল-বদর জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামী পার্টির লোকজন দেশের অভ্যন্তরেই ছিল। তারা প্রথম দিকে লুকিয়ে থাকলেও পরে ধীরে ধীরে তারা প্রকাশ্যে আসে। তাদের হাতে ছিল লুটপাটের টাকা, পাকিস্তান বাহিনীর দেওয়া অস্ত্র-পাতি। এগুলো দিয়ে তারা দেশের অভ্যন্তরে নানা ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা পরিচালনা করে। তারা চোর-ডাকাত-দূর্বৃত্তদের টাকা দিয়ে অস্ত্র দিয়ে সংগঠিত করে।
    পাক-বাহিনীর যখন পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে দেখতে পেয়েছে তখন তাদের অনেকেই ভোল পালটে মুক্তি বাহিনীর সঙ্গেও মিশে গেছে। এরাই দেশ স্বাধীনের পরে প্রকাশ্যে অবস্থান করে দূর্বৃত্ত বাহিনী তৈরী করেছে। অন্তর্ঘাতমূলক কাজ পরিচালোনা করেছে। দেশ স্বাধীনের পরে চোর-ডাকাতের উৎপাত এতো বেড়ে গিয়েছিল যে--রাতে মানুষ ঘুমাতে পারত না। এমনকি পান্তা ভাতের হাড়ি পর্যন্ত ডাকাতী করে নিয়ে যেত।
    আর তারা সরকারী ব্যাংক-থানা লুটপাট করত।
    এদের নেতারা তখন অনেকেই পাকিস্তান হয়ে আরব দেশগুলোতে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছিল। তারা বলছিল--সেখানে ইসলামকে উৎখাত করা হয়েছে। মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির করা হচ্ছে। ফলে আরব দেশগুলো থেকে অবৈধ পথে বিপুল পরিমাণ টাকা-পয়সা অন্তর্ঘাতমূলক কাজের জন্য আসছিল।

    ৬. স্বাধীনতার পরে পাকিস্তানী শাসকদের পক্ষে যে সব সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তা-পুলিশ-প্রশাসন অনুগত ছিল--তাদেরকে বঙ্গবন্ধু কাজে বহাল রেখেছিলেন। অনেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্বে ছিল। তারা কিন্তু দেশের মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধীদের অন্তর্ঘাত মূলক কাজে সহযোগিতা করেছে।
    (চলমান--)
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ০৭:৫৬576916
  • ৭.
    চিনাপন্থীরা সিংহভাগই ছিলেন পাকিস্তানপন্থী। চীনাপন্থী-জামায়াতপন্থী ফরহাদ মজহার এ বিষয়ে খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন--তারা একটা বিপ্লব চেয়েছিয়েন--তবে সেটা বৃহত্তর দুই পাকিস্তানের ঐক্য রেখেই। অর্থাৎ পাকিস্তান রাষ্ট্র যে সাম্প্রদায়িক আদর্শের ভিত্তিতেই সৃষ্টি হয়েছিল--তার কাঠামোকে অক্ষুণ্ণ রেখেই তারা বিপ্লব করার বাসনা রেখেছিলেন। ফলে পাকিস্তান রাষ্ট্র যে বাঙ্গালীকে উপনিবেশিক শোষণের যাতাকলে রেখেছিল, বাঙালীর ভাষা-সাহিত্য-ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে সমূলে ধ্বংশ করতে চেয়েছিল ২৪ বছর ধরে এবং তারা হিন্দুদের মেরে নির্যাতন করে সম্পত্তি দখল করে দেশ থেকে বের করে দিয়ে শুধু মাত্র শরিয়া ভিত্তিক প্রতিক্রিয়াশীল পাকিস্তান তৈরী করতে চেয়েছিল, বাঙালী মুসলমানদের অর্ধেক মুসলমান-অর্ধেক হিন্দু হিসেবে ঘৃণা করত--তাদের এসব অপকর্মকে মেনে নিয়েই --জায়েজ করেই এই চিনাপন্থীরা একাত্তরের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন, একাত্তর উত্তর কালে অর্জিত স্বাধিনতাকে পাকিস্তানপন্থার হাতে তুলে দেওয়ার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে থেকেছেন।

    ফলে এই পাকিস্তানপন্থার বিরুদ্ধে অবস্থানগ্রহণকারী মস্কোপন্থী কমিউনিষ্ট পার্টির বিরুদ্ধে চীনাপন্থীরা অপপ্রচার করেছে, তাদেরকে গুপ্ত হত্যার শিকারে পরিণত করেছে। এবং আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল দলগুলোকে আমৃত্যু শত্রু হিসেবে বিবেচনা করেছে। ফলে একাত্তরের আগে ও পরে চিনাপন্থীরা একই ভূমিকা থেকে সরে আসেনি।

    এই চিনাপন্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ছিল না। এদের নিজেদের চলার মত কোনো অবস্থার কারণে মওলানা ভাসানীর আশ্রয়ে থেকেছে। ফলে মোল্লাতন্ত্রের সঙ্গে মার্কসবাদ-মাওবাদের একটা আজগুবী মিশেল করার করেছে। তবে রাজনৈতিক হাওয়া বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, মোজাফফর ন্যাপ, মস্কোপন্থীদের পক্ষে থাকায় একাত্তরে এদের একটা অংশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অংশ নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এরা স্বাধীনতার পরে পরিস্থিতি বুঝে আবার পাকিস্তানী রাজাকারদের হয়ে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করতে শুরু করে। মজার কাণ্ড এদের দলের নেতা-কর্মীদের বড় অংশই সাম্প্রদায়িক-পাকিস্তানপন্থানপন্থীদের পরিবার থেকে এসেছে। আমার শহরে সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা বিড়ধী লাল মিয়ার ছেলে সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টির নেতা হয়েছিলেন ৭১ এর পরে। আবার ১৯৭৫ সালের পরে তিনি আবার যথারীতি সরাসরি পাকিস্তানপন্থীদের দলেই ভিড়ে গেছেন। সর্বহারা দলে নেই।

    ফরহাদ মজহারকে দেখুন (এই লোকটির নাম নিচ্ছি এই কারণে যে যার কারণে এই টইটি খুলেছি-- সেই আসাম প্রদেশের বিপ্লবী ভদ্রলোক ফরহাদ মজহারকে বিরাট বিপ্লবী মনে করেন), তিনি ছিলেন সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টির নেতা। সিরাজ সিকদার বরিশালের স্বরুপকাঠী ও ঝালকাঠীর কয়েকটি গ্রামে সেপ্টেম্বর মাসে পেয়ারা বাগানে অবস্থান করে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে কিছু যুদ্ধ করলেও ফরহাদ মজহার কিন্তু যুদ্ধ করেন নাই। তিনি ঢাকায় ছিলেন। হুমায়ুন কবীর নামে যে চিণাপন্থী সিরাজ সিকদারকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আনতে ভূমিকা রেখেছিলেন--তাকে ফরহাদ মজহার স্বাধীনতার পরপরই ঢাকার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। এ বিষয়ে আহমদ ছফা লিখে গেছেন তার প্রকাশিত ডায়েরীতে। ফরহাদ মজহার তারপর আমেরিকায় পালিয়ে যান।

    এই সিরাজ শিকদাররা স্বাধীনতার পরপরই দেশে চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে শুরু করে পাকিস্তানপন্থী রাজাকারদের সঙ্গে মিলেমিশে। তারা সঙ্গবদ্ধভাবে থানা লুট করার চেষ্টা করে, অফিস আদালতে হামলা চালায়। খাদ্য গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দেয়, খাদ্য পরিবহনে বাধা প্রদান করে। দূর্ভিক্ষে মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। তারা মূলত পাকিস্থানপন্থার হয়েই কাজ করে।

    আরেক চীনাপন্থী তোয়হার অন্যতম সঙ্গী কমরেড আব্দুল হক তখন পাকিস্তানের ভূট্টোকে চিঠিতে লিখেছিলেন--তারা পাকিস্তানকে পুনঃরুদ্ধার করতে চান। সে জন্য অর্থ ও অস্ত্র প্রার্থনা করেন ভূট্টোর কাছে। ভূট্টো এই চিঠি পেয়ে সাচ্চা মুসলমান ভদ্রলোক আব্দুল হককে সহযোগিতা করতে তার সচিবকে আদেশ দিয়েছিলেন। তারা বাংলাদেশের অস্তিত্ব ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত মেনে নেয় নাই।

    সে সময়ে চীনাপন্থীরা সময়ের সাথে সাথে মূল পার্টি ছেড়ে পাকিস্থানপন্থীদের দলে ভিড়ে গেছে। যারা এখনো আছে তারা অদূর ভবিষ্যতে যাবেন।
    এরা কেউই কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে কখনো ক্ষতিগ্রস্থ হয় নাই। তাদের সহায়-সম্পত্তি বেড়েই চলেছে। কিভাবে?

    (চলমান--)
  • Sibu | 118.23.96.4 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১০:১৬576917
  • নেটে খুঁজে খুব একটা কিছু পেলাম না। শুধু এই পিপিটি প্রেজেন্টেশনটি দাবী করছে যে ১৯৭৪ থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া খাদ্যের ৯০% টাইটেল ১ এর অধীনে। ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটা - মরিসের ওয়েব সাইটেও একই ধরনের দাবী দেখলাম। কিন্তু সেই প্রেজেন্টেশনের পিপিটি ইউআরএল-টা কেমন ঘাঁটা।

    http://www.slideworld.com/slideshows.aspx/The-US-Grain-Arsenal-Food-as-a-Weapon-ppt-1209344
  • দেব | 212.54.176.14 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৪:০৮576919
  • আলোচনাটা ভালই এগোচ্ছে। আরো কয়েকটা কথা যোগ করি -

    অটোক্রেসি খারাপ কিন্তু সব অটোক্রেসি সমান খারাপ নয়। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমতুল্য একটি গণতান্ত্রিক দেশের থেকেও বেশী ভাল পারফর্ম করতে পারে। ভারত আর চিনই তার উদাহরণ। প্রশ্ন হল বাকশালের পরিণতি কি হত? এই উত্তরটা দেওয়া আজ অসম্ভব। যদি মুজিব নিহত না হতেন, বাকশাল জারী থাকত ৫ কি ১০ কি ১৫ বছর তাহলে আজ দেখতে পাওয়া যেত। কি হত বলা নিশ্চিত ভাবে বলা অসম্ভব। আমার এডুকেটেড গেস এই - যেকোন অটোক্র্যাটিক পলিটিক্যাল সিষ্টেম টেকে হয় জোরালো অর্থনীতির বলে (সিংগাপুর, দুবাই), আর নয়তো বন্দুকের ডগায় (কিউবা, নর্থ কোরিয়া)। বাংলাদেশের মতন বিশাল দেশে বন্দুকের ভরসা নেই। বাকি রইল অর্থনীতি। সেটা মুজিবের স্বঘোষিত নীতি - সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির পথে চললে ডুবতই যেমন ভারত ডুবেছিল ৯০এর গোড়ায়। মুজিবকে হয় নিজের পলিসি বদলাতে হত আর নয়তো ক্ষমতা ছাড়তে হত। তার ইমেজটাও আজ অন্য রকম হত। কিন্তু ইতিহাস সেদিকে যায়নি এবং বাকশাল মুজিব হ্ত্যার মূল কারণও নয়। হ্যাঁ মুজিব নিজের বিরোধীদের মতপ্রকাশের চ্যানেলগুলো এভাবে বন্ধ করে না দিলে তাদের ব্যবহারে কিছুটা প্রভাব হয়তো পড়ত।

    বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষের জন্য আমেরিকাকে দোষারোপ করাটা ভুল। হিউম্যানিটারিয়ান গ্রাউন্ডে দেখলে অন্যায় করেছিল ঠিকই। সাহায্য পাঠাতে পারত। কিন্তু সেটার দুর্ভিক্ষের কারণ কিভাবে হয়? তবে মুজিবের হত্যার পিছনে আমেরিকা ও চিনের কোনো ইন্ট্রিগ ছিল না এটা বিশ্বাস করা মুশকিল। সুতরাং শয়তানীর অভিযোগটা কিছুটা থেকেই যায়।

    চিনপন্থীদের সম্পর্কে এখান থেকে যেটুকু দেখলাম তাতে মনে হয় এদের বিরোধিতাটা সেই রাষ্ট্রের কাঠামো কি হবে তার আদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থেকে। সেদিক দিয়ে দেখলে এদের ব্যবহার অস্বাভাবিক কিছু নয়। আপনি যদি বর্তমান সিষ্টেমটাকে সম্পূর্ণ ভেঙ্গেচুরে নিজের পছন্দ মত (সেটা মাও, মক্কা আর মার্ক্সের একটা মিশেল আই গেস) বানাতে চান তো সেই পরিস্থিতিতে এরকম একটা ফ্রিঞ্জ গ্রুপের যেভাবে ব্যবহার করার কথা এরা তাই করেছে। প্রোপাগ্যান্ডা, স্ল্যান্ডার আর অকেশনাল ভায়োলেন্স সব মিলিয়ে রাবিড একটা ব্যাপার। শিবসেনা, বজরং দল যেমন। বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে এরকম ফ্রিঞ্জ একটা দলকে খুব সিরিয়াসলি নেওয়ার দরকার নেই।

    বরঞ্চ বাংলাদেশের রাজনীতির অন্য স্রোতটি, মুসলিম জাতীয়তাবাদ, তাকে আরো সিরিয়াসলি নেওয়া দরকার। ৭১ পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসের ন্যারেটিভটাতে একটা অতিসরলীকরণ ঘটেছে। নেটে বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনা হলেই (এই টই সমেত) সেটা ঘুরেফিরে সেই ৭১ থেকেই শুরু হয়। ইয়ার জিরো। শেখ মুজিব একটা কাল্ট স্ট্যাটাস পেয়েছেন। যারা বিরোধিতা করেছিল তাদের ডেমনাইজ করা হয়েছে। এই অতিসরলীকরণটা একটা মারাত্মক ভুল। মুসলিম বাঙ্গালীর একটা নিজস্ব সত্ত্বা আছে। রিগার্ডলেস অফ পশ্চিম পাকিস্তান ও ৭১, সেই সত্ত্বার একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মোমেন্টাম আছে ও থাকবে। শেখ মুজিব নিজেও তাতে যুক্ত ছিলেন একসময়। ৭১ এ কিছু বাঙ্গালী যে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন বা পরবর্তীকালে বাংলাদেশে জামাতের উত্থান কোন আকস্মিক ব্যাপার নয়। একটা কন্টিনিউয়েশন আছে ৭১ এর আগের দশকগুলোর থেকে। এটা ইনহেরেন্ট। কারো চক্রান্ত নয়।

    উগ্র ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ কিছুটা সব দেশেই থাকে, বাংলাদেশেও আছে এবং সময় সময় তার সহিংস বহিঃপ্রকাশও ঘটবে। ঠিক ভারতে যেমন হয়। এবং চিনপন্থীদের মত এরা একটা ছোট দল নয়। এদের ঠান্ডা রাখা অনেক কঠিন।
  • আবুল খায়ের | 123.11.74.143 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ২৩:২৫576921
  • 'বাকশাল কর্মসূচী বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সক্ষমতা হারিয়েছিল' জেনেই মুজিব প্রথমে '৭৩-এ শেষের দিকে ত্রিদলীয় ঐক্যজোট (সিপিবি-ন্যাপ-আওয়ামী লীগ) গঠন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে '৭৫-এ গঠিত হয় বাকশাল।
    আওয়ামী লীগে বরাবরই দুটো ধারা বিদ্যমান ছিল। একটি পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে সমস্য সমাধানের পক্ষপাতী ছিল; অপরটি স্বাধীনতার পক্ষের ছিল। ১৯৫৪ সন থেকেই দুটো ধারার সরব উপস্থিতি। মুজিব কখনো দুটো ধারার সমন্বয়ক, কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে স্বাধীন ও সার্বভৌম ধারার নেতা।
    রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও তাদের দেশীয় ক্রীড়নকদের নিকট মুজিব সাময়িকভাবে পরাজিত হলেও স্বাধীনচেতা বাংলাদেশের এই অবিসম্বাদিত নেতা সপরিবারে জীবন দিয়েছেন কিন্তু কারো নিকট মাথা নত করেন নি। আর এখানেই মুজিবের সার্থকতা।
    মুজিবের সমগ্র জীবনের বিশ্লেষণে যে সারনির্যাস পাওয়া যায় তা হচ্ছে, মুজিব খাঁটি জাতীয়তাবাদী- বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে যার অনিবার্য পরিণতি সমাজতন্ত্রে তথা মেহনতী মানুষের রাষ্ট্রব্যবস্থায়!
  • আবুল খায়ের | 123.11.74.143 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ২৩:২৫576920
  • 'বাকশাল কর্মসূচী বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সক্ষমতা হারিয়েছিল' জেনেই মুজিব প্রথমে '৭৩-এ শেষের দিকে ত্রিদলীয় ঐক্যজোট (সিপিবি-ন্যাপ-আওয়ামী লীগ) গঠন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে '৭৫-এ গঠিত হয় বাকশাল।
    আওয়ামী লীগে বরাবরই দুটো ধারা বিদ্যমান ছিল। একটি পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে সমস্য সমাধানের পক্ষপাতী ছিল; অপরটি স্বাধীনতার পক্ষের ছিল। ১৯৫৪ সন থেকেই দুটো ধারার সরব উপস্থিতি। মুজিব কখনো দুটো ধারার সমন্বয়ক, কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে স্বাধীন ও সার্বভৌম ধারার নেতা।
    রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও তাদের দেশীয় ক্রীড়নকদের নিকট মুজিব সাময়িকভাবে পরাজিত হলেও স্বাধীনচেতা বাংলাদেশের এই অবিসম্বাদিত নেতা সপরিবারে জীবন দিয়েছেন কিন্তু কারো নিকট মাথা নত করেন নি। আর এখানেই মুজিবের সার্থকতা।
    মুজিবের সমগ্র জীবনের বিশ্লেষণে যে সারনির্যাস পাওয়া যায় তা হচ্ছে, মুজিব খাঁটি জাতীয়তাবাদী- বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে যার অনিবার্য পরিণতি সমাজতন্ত্রে তথা মেহনতী মানুষের রাষ্ট্রব্যবস্থায়!
  • সুশান্ত কর | 127.203.162.5 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ০১:১৮576925
  • "মুজিবের সমগ্র জীবনের বিশ্লেষণে যে সারনির্যাস পাওয়া যায় তা হচ্ছে, মুজিব খাঁটি জাতীয়তাবাদী- বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে যার অনিবার্য পরিণতি সমাজতন্ত্রে তথা মেহনতী মানুষের রাষ্ট্রব্যবস্থায়!" এই যাদের তাত্বিক অবস্থান তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক তর্ক করা আর সিপিএম ক্যাডারের সঙ্গে করা একই। মাথায় ডাণ্ডা খেয়ে তর্কের নিষ্পত্তি হতে পারে। তবু এক জায়গাতে বলা হয়েছে,"কিন্তু এই মহান দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা তার তিল তিল করে গড়ে তোলা পার্টির সফল কর্মসূচী দিয়ে এদেশের মানুষকে সাম্রাজ্যবাদ, সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ, স্রম্প্রসারণবাদের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে যেতে পারেননি। দলের অভ্যন্তরে ‘বিভিষণ’দের বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাষ্ট্রীয় রক্ষী বাহিনীর দমন-পীড়ণের এক পর্যায়ে ১৯৭৫ সালে ১লা জানুয়ারী চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন সিরাজ সিকদার। তার পরদিন রাষ্ট্রীয় হেফাজতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সরকারি ঘোষণায় বলা হয় ‘পালাতে গিয়ে সিরাজ সিকদার পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন’। রাষ্ট্র কর্তৃক ‘ক্রসফায়ারের’ প্রথম শিকার হন কমরেড সিরাজ সিকদার। নিভে যায় এদেশের মানুষকে শোষণ-বঞ্চনার জগদ্দ্ল পাহাড় থেকে মুক্ত করার দুঃসাহসী বাতিঘরটি।।" শিরা শিকদার নিয়ে একটি মাওপন্থী সাইটের এই বক্তব্যঃhttp://www.mongoldhoni.net/2012/01/02/in-the-course-of-confusion-and-infirmity-the-revolutionary-proletariat-thought-of-comrade-siraj-sikder/ অবশ্যি কথাটি মনে হচ্ছে হুমায়ুন কবির নিয়ে। তো জিজ্ঞেস করত ইচ্ছেই করে, এই নিয়ে কি কোন মামলা হয় নি? হলে সেটির পরিণাম কী? আর এই নিয়ে নেটে আর কোন লেখা পাওয়া যাবে? যদি নয়, তবে কেন? কেউ এই প্রশ্নগুলো প্রকাশ্যে তুলছেন না কেন? আমি কিন্তু সার্চ করে কিছু পাই নি।
  • সুশান্ত কর | 127.203.162.5 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ০১:১৮576924
  • "মুজিবের সমগ্র জীবনের বিশ্লেষণে যে সারনির্যাস পাওয়া যায় তা হচ্ছে, মুজিব খাঁটি জাতীয়তাবাদী- বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে যার অনিবার্য পরিণতি সমাজতন্ত্রে তথা মেহনতী মানুষের রাষ্ট্রব্যবস্থায়!" এই যাদের তাত্বিক অবস্থান তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক তর্ক করা আর সিপিএম ক্যাডারের সঙ্গে করা একই। মাথায় ডাণ্ডা খেয়ে তর্কের নিষ্পত্তি হতে পারে। তবু এক জায়গাতে বলা হয়েছে,"কিন্তু এই মহান দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা তার তিল তিল করে গড়ে তোলা পার্টির সফল কর্মসূচী দিয়ে এদেশের মানুষকে সাম্রাজ্যবাদ, সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ, স্রম্প্রসারণবাদের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে যেতে পারেননি। দলের অভ্যন্তরে ‘বিভিষণ’দের বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাষ্ট্রীয় রক্ষী বাহিনীর দমন-পীড়ণের এক পর্যায়ে ১৯৭৫ সালে ১লা জানুয়ারী চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন সিরাজ সিকদার। তার পরদিন রাষ্ট্রীয় হেফাজতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সরকারি ঘোষণায় বলা হয় ‘পালাতে গিয়ে সিরাজ সিকদার পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন’। রাষ্ট্র কর্তৃক ‘ক্রসফায়ারের’ প্রথম শিকার হন কমরেড সিরাজ সিকদার। নিভে যায় এদেশের মানুষকে শোষণ-বঞ্চনার জগদ্দ্ল পাহাড় থেকে মুক্ত করার দুঃসাহসী বাতিঘরটি।।" শিরা শিকদার নিয়ে একটি মাওপন্থী সাইটের এই বক্তব্যঃhttp://www.mongoldhoni.net/2012/01/02/in-the-course-of-confusion-and-infirmity-the-revolutionary-proletariat-thought-of-comrade-siraj-sikder/ অবশ্যি কথাটি মনে হচ্ছে হুমায়ুন কবির নিয়ে। তো জিজ্ঞেস করত ইচ্ছেই করে, এই নিয়ে কি কোন মামলা হয় নি? হলে সেটির পরিণাম কী? আর এই নিয়ে নেটে আর কোন লেখা পাওয়া যাবে? যদি নয়, তবে কেন? কেউ এই প্রশ্নগুলো প্রকাশ্যে তুলছেন না কেন? আমি কিন্তু সার্চ করে কিছু পাই নি।
  • সুশান্ত কর | 127.203.162.5 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ০১:১৮576923
  • "মুজিবের সমগ্র জীবনের বিশ্লেষণে যে সারনির্যাস পাওয়া যায় তা হচ্ছে, মুজিব খাঁটি জাতীয়তাবাদী- বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে যার অনিবার্য পরিণতি সমাজতন্ত্রে তথা মেহনতী মানুষের রাষ্ট্রব্যবস্থায়!" এই যাদের তাত্বিক অবস্থান তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক তর্ক করা আর সিপিএম ক্যাডারের সঙ্গে করা একই। মাথায় ডাণ্ডা খেয়ে তর্কের নিষ্পত্তি হতে পারে। তবু এক জায়গাতে বলা হয়েছে,"কিন্তু এই মহান দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা তার তিল তিল করে গড়ে তোলা পার্টির সফল কর্মসূচী দিয়ে এদেশের মানুষকে সাম্রাজ্যবাদ, সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ, স্রম্প্রসারণবাদের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে যেতে পারেননি। দলের অভ্যন্তরে ‘বিভিষণ’দের বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাষ্ট্রীয় রক্ষী বাহিনীর দমন-পীড়ণের এক পর্যায়ে ১৯৭৫ সালে ১লা জানুয়ারী চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন সিরাজ সিকদার। তার পরদিন রাষ্ট্রীয় হেফাজতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সরকারি ঘোষণায় বলা হয় ‘পালাতে গিয়ে সিরাজ সিকদার পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন’। রাষ্ট্র কর্তৃক ‘ক্রসফায়ারের’ প্রথম শিকার হন কমরেড সিরাজ সিকদার। নিভে যায় এদেশের মানুষকে শোষণ-বঞ্চনার জগদ্দ্ল পাহাড় থেকে মুক্ত করার দুঃসাহসী বাতিঘরটি।।" শিরা শিকদার নিয়ে একটি মাওপন্থী সাইটের এই বক্তব্যঃhttp://www.mongoldhoni.net/2012/01/02/in-the-course-of-confusion-and-infirmity-the-revolutionary-proletariat-thought-of-comrade-siraj-sikder/ অবশ্যি কথাটি মনে হচ্ছে হুমায়ুন কবির নিয়ে। তো জিজ্ঞেস করত ইচ্ছেই করে, এই নিয়ে কি কোন মামলা হয় নি? হলে সেটির পরিণাম কী? আর এই নিয়ে নেটে আর কোন লেখা পাওয়া যাবে? যদি নয়, তবে কেন? কেউ এই প্রশ্নগুলো প্রকাশ্যে তুলছেন না কেন? আমি কিন্তু সার্চ করে কিছু পাই নি।
  • সুশান্ত | 127.203.162.5 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ০১:২১576926
  • দুঃখিত উপরের পোষ্ট ভুলভাল গেছে। পোষ্ট করতে গিয়ে একটুকরো মুছে গেছিল। এটি হবে এরকমঃ
    "মুজিবের সমগ্র জীবনের বিশ্লেষণে যে সারনির্যাস পাওয়া যায় তা হচ্ছে, মুজিব খাঁটি জাতীয়তাবাদী- বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে যার অনিবার্য পরিণতি সমাজতন্ত্রে তথা মেহনতী মানুষের রাষ্ট্রব্যবস্থায়!" এই যাদের তাত্বিক অবস্থান তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক তর্ক করা আর সিপিএম ক্যাডারের সঙ্গে করা একই। মাথায় ডাণ্ডা খেয়ে তর্কের নিষ্পত্তি হতে পারে। তবু এক জায়গাতে অন্যজন বলেছেন,"সিরাজ সিকদার বরিশালের স্বরুপকাঠী ও ঝালকাঠীর কয়েকটি গ্রামে সেপ্টেম্বর মাসে পেয়ারা বাগানে অবস্থান করে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে কিছু যুদ্ধ করলেও ফরহাদ মজহার কিন্তু যুদ্ধ করেন নাই। তিনি ঢাকায় ছিলেন। হুমায়ুন কবীর নামে যে চিণাপন্থী সিরাজ সিকদারকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আনতে ভূমিকা রেখেছিলেন--তাকে ফরহাদ মজহার স্বাধীনতার পরপরই ঢাকার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। এ বিষয়ে আহমদ ছফা লিখে গেছেন তার প্রকাশিত ডায়েরীতে। ফরহাদ মজহার তারপর আমেরিকায় পালিয়ে যান। " অন্যদিকে শিরাজ শিকদার নিয়ে একটি মাওপন্থী সাইটের এই বক্তব্যঃ ,"কিন্তু এই মহান দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা তার তিল তিল করে গড়ে তোলা পার্টির সফল কর্মসূচী দিয়ে এদেশের মানুষকে সাম্রাজ্যবাদ, সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ, স্রম্প্রসারণবাদের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে যেতে পারেননি। দলের অভ্যন্তরে ‘বিভিষণ’দের বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাষ্ট্রীয় রক্ষী বাহিনীর দমন-পীড়ণের এক পর্যায়ে ১৯৭৫ সালে ১লা জানুয়ারী চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন সিরাজ সিকদার। তার পরদিন রাষ্ট্রীয় হেফাজতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সরকারি ঘোষণায় বলা হয় ‘পালাতে গিয়ে সিরাজ সিকদার পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন’। রাষ্ট্র কর্তৃক ‘ক্রসফায়ারের’ প্রথম শিকার হন কমরেড সিরাজ সিকদার। নিভে যায় এদেশের মানুষকে শোষণ-বঞ্চনার জগদ্দ্ল পাহাড় থেকে মুক্ত করার দুঃসাহসী বাতিঘরটি।।"(http://www.mongoldhoni.net/2012/01/02/in-the-course-of-confusion-and-infirmity-the-revolutionary-proletariat-thought-of-comrade-siraj-sikder/ )অবশ্যি কথাটি মনে হচ্ছে হুমায়ুন কবির নিয়ে। তো জিজ্ঞেস করত ইচ্ছেই করে, এই নিয়ে কি কোন মামলা হয় নি? হলে সেটির পরিণাম কী? আর এই নিয়ে নেটে আর কোন লেখা পাওয়া যাবে? যদি নয়, তবে কেন? কেউ এই প্রশ্নগুলো প্রকাশ্যে তুলছেন না কেন? আমি কিন্তু সার্চ করে কিছু পাই নি।
  • lcm | 138.48.127.32 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ০১:৫১576927
  • কট্টর খাঁটি জাতীয়তাবাদীর পরিণতি সমাজতন্ত্রে!! যেমন, হিটলার...
  • ranjan roy | 24.96.61.187 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ০২:০৬576928
  • এল সি এমকে টেবিল চাপড়ে সমর্থন!!
  • আবুল খায়ের | 123.11.74.143 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ১১:৩৩576930
  • সিরাজ সিকদারের রাজনীতির সূচনাই হচ্ছে খতমের মাধ্যমে বিপ্লব। ভড়ং করে "শ্রেণী শত্রু খতম"য়ের স্থলে নাম দিয়েছিল "জাতীয় শত্রু খতম।" ফলে খতমের রাজনীতি করতে করতে এসএস-এর পার্টি শুরুতে নিরীহ-নিরপরাধ মানুষ খুন দিয়ে শুরু করলেও পরে তা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের খুন করে সমাজৈ ভয়াবহ নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালায়। খতমের রাজনীতির ধারাবাহিকতায় পার্টির অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্ব খতম হয়ে আরো পরে তা খোদ কেন্দ্রীয় কমিটিকে খতম করে ১ সদস্য বিশিষ্ট করে ফেলে। এসএস শূলত সিআইএ প্রণীত "রেড ব্যানার ওপোজ রেড ব্যানার" কর্মসূচী বাস্তবায়নে তৎপর ছিলেন। ফলে যে পথে আর আগমন এবং উত্থান সে পথেই তার গমন! খুন, খতম, গলাকাটা ইত্যাকার কুকর্মের মধ্যদিয়েই তার উত্থান। কর্মীদের শ্রেণীচেতনার শাণিত করতে সিরাজ সিকদার সর্বহারা পার্ঠির অভ্যন্তরে চালু করেছিল এই নীতি যে, নবীন কমরেডদের বুলেটবিদ্ধ মৃতদেহে ছুরি চালিয়ে শ্রেণী চেতনা শাণিত করতে হবে।
    সুতরাং, সিরাজ সিকদার যাদের তাত্ত্বিক কাঠামোয় সতত বিরাজমান সেইসব কূপমণ্ডুকদের সাথে তর্কই বৃথা। কারণ চারু মজুমদারের পূর্ববঙ্গীয় সংস্করণ সিরাজ সিকদার কোনরূপ তত্ত্বের ধার-ধারতেন না। সিরাজ সিকদারের এরকম মৃত্যু কাঙ্ক্ষিত নয়; তবু এ নিয়ে যত হৈ চৈ হোক না কেন এ মৃত্যু ছিল সামাজিক বিপ্লবের পথে তুমুল এক অভিশপ্ত নৈরাজ্যের চির অবসান!
  • আবুল খায়ের | 123.11.74.143 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ১১:৩৩576929
  • সিরাজ সিকদারের রাজনীতির সূচনাই হচ্ছে খতমের মাধ্যমে বিপ্লব। ভড়ং করে "শ্রেণী শত্রু খতম"য়ের স্থলে নাম দিয়েছিল "জাতীয় শত্রু খতম।" ফলে খতমের রাজনীতি করতে করতে এসএস-এর পার্টি শুরুতে নিরীহ-নিরপরাধ মানুষ খুন দিয়ে শুরু করলেও পরে তা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের খুন করে সমাজৈ ভয়াবহ নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালায়। খতমের রাজনীতির ধারাবাহিকতায় পার্টির অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্ব খতম হয়ে আরো পরে তা খোদ কেন্দ্রীয় কমিটিকে খতম করে ১ সদস্য বিশিষ্ট করে ফেলে। এসএস শূলত সিআইএ প্রণীত "রেড ব্যানার ওপোজ রেড ব্যানার" কর্মসূচী বাস্তবায়নে তৎপর ছিলেন। ফলে যে পথে আর আগমন এবং উত্থান সে পথেই তার গমন! খুন, খতম, গলাকাটা ইত্যাকার কুকর্মের মধ্যদিয়েই তার উত্থান। কর্মীদের শ্রেণীচেতনার শাণিত করতে সিরাজ সিকদার সর্বহারা পার্ঠির অভ্যন্তরে চালু করেছিল এই নীতি যে, নবীন কমরেডদের বুলেটবিদ্ধ মৃতদেহে ছুরি চালিয়ে শ্রেণী চেতনা শাণিত করতে হবে।
    সুতরাং, সিরাজ সিকদার যাদের তাত্ত্বিক কাঠামোয় সতত বিরাজমান সেইসব কূপমণ্ডুকদের সাথে তর্কই বৃথা। কারণ চারু মজুমদারের পূর্ববঙ্গীয় সংস্করণ সিরাজ সিকদার কোনরূপ তত্ত্বের ধার-ধারতেন না। সিরাজ সিকদারের এরকম মৃত্যু কাঙ্ক্ষিত নয়; তবু এ নিয়ে যত হৈ চৈ হোক না কেন এ মৃত্যু ছিল সামাজিক বিপ্লবের পথে তুমুল এক অভিশপ্ত নৈরাজ্যের চির অবসান!
  • আবুল খায়ের | 123.11.74.143 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ১১:৩৭576931
  • "কট্টর খাঁটি জাতীয়তাবাদীর পরিণতি সমাজতন্ত্রে!! যেমন, হিটলার।।।" - খাঁটি জাতীয়তাবাদী তথা ট্রু ন্যাশনালিস্ট আর কট্টর জাতীয়তাবাদী এ দুয়ের মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। এই ব্যবধানটুকু অনুধাবনে অক্ষম হলে রাজনৈতিক কর্মে ও সিদ্ধান্তে পতন-অধঃপতন অনিবার্য।
  • lcm | 34.4.162.218 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৫৫576932
  • বেশ। খাঁটি আর কট্টরের মধ্যে তফাৎ আছে।
    কিন্তু, প্রশ্ন হল - খাঁটি জাতীয়তাবাদ কি সমাজতন্ত্র?
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৫৬576934
  • ["বাকশাল বিষয়ে মুজিবের অবস্থান ছিল পরিষ্কার। তিনি সমাজতন্ত্রী না হয়েও সমগ্র বিশ্ব্যবাপী সমাজতন্ত্রের অগ্রযাত্রার পরিস্থিতিকে স্যালুট করে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, "বাকশাল হচ্ছে শোষিতের গণতন্ত্র।" সুতরাং, মুজিব ট্রু ন্যাশনালিস্ট, খাঁটি জাতীয়তাবাদী! যেমনটা সান-ইয়াৎ সেন; কামাল আতাতুর্ক; গান্ধীজী; নক্রুমা; আলেন্দে; লুমুম্বা।।।। মুজিবের সমালোচনা হতে পারে বিস্তর। কিন্তু তিনি কখনোই একনায়ক ছিলেন না; আপাদমস্তক গণতন্ত্রী; গণমানুষের একান্ত আপনজন।"]-- আবুল খায়ের

    ____________

    ০১. "শেখ মুজিবের উপর খ্যাপা কেনো চিনাপন্থীরা? বামমানেই কী চীনপন্থী?

    টইটির শিরোনাম--"শেখ মুজিবের উপর খ্যাপা কেনো বামপন্থীরা" হলেই ভাল হতো।

    অবশ্য দৃশ্যত: এখনকার মস্কো-বাম/মিল্লাত/টাইগার/ঝান্টু বামেদের অনেকেই ক্ষমতার হালুয়া-রুটির স্বাদ পেতে আওয়ামী পতাকাতলে আশ্রয় নিয়েছেন। আর চীনাবামরা তো তাত্ত্বিক বিভ্রান্তি ও অস্ত্র নির্ভর কোন্দলে অনেক আগেই ধূসর ইতিহাস!

    ০২. ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছিল, এটি ইতিহাসেরই চরম সত্য, কিন্তু একমাত্র সত্য নয়। তাই "বঙ্গবন্ধু" প্রশ্নে কতিপয়ের ভাব-বুদ্বুদে অমন গদগদ হওয়ার কারণ দেখি না। নির্মহভাবেই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বটির মূল্যায়ন হওয়া জরুরি।

    বরং মুক্তিযুদ্ধটি ছিলো জনযুদ্ধ এবং এতে ছাত্র-জনতা, বামপন্থী দল, এমন কি চরমপন্থী সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টির অবদান যথেষ্টই ছিলো, যদিও মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বরাবরই তা অস্বীকার করে এসেছে, তারা খুব সচেতনভাবে বঙ্গবন্ধু বা শহীদ জিয়ার একচ্ছত্র অবদানকে ইতিহাসে ও পাঠ্যপুস্তকে প্রতিষ্ঠায় খুবই তৎপর ।

    ০৩. বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ড. আহমদ শরীফ তার দিনপঞ্জীতে যেমন বলেন:

    "শেখ মুজিবর রহমানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়ানোর ফলেই ক্ষুব্ধ ক্রুদ্ধ অআওয়ামী লীগ বাঙালী মাত্রই মুজিবের প্রতি সহানুভুতিশীল ও তার সমর্থক হয়ে উঠে। যদিও তখন সব আওয়ামী লীগারই দলছুট হয়ে যায়। বাকি থাকেন শিব রাত্রির সলতের মতো আমিনা বেগম আর আব্দুস সালাম খান। পরে সালাম খানও সরে পড়েন। আমিনা বেগমই ধরে রাখেন আওয়ামী লীগ নামটা। কেন না আওয়ামী লীগ তখন নামসার। এভাবে ক্ষুব্ধ-ক্রুদ্ধ সাতন্ত্র্যকামী বাঙালীর স্বতোস্ফুর্ত নেতৃত্বে বৃত হয় শেখ মুজিবর রহমান। তখন তিনিই বাঙালীর বল-ভরসার আকর ও ভিত্তি, প্রেরণার, প্রণওদনার, সংগ্রামের প্রবর্তনার উৎস। তাই নির্বাচন কালে দেশশুদ্ধ প্রায় সবাই আওয়ামী লীগপন্থী হয়ে উঠলো। মুজিব হলেন বাঙালীর একছত্র অবিসংবাদিত নেতা ও নায়ক।

    নেতাসূলভ গুণের ও ব্যক্তিত্বের অভাব থাকা স্বত্ত্বেও শেখ মুজিবর রহমান অপ্রতিদন্ডী ও অবিসংবাদিত নেতৃপদে বাঙালীমাত্রেরই অন্তরে ও বাইরে স্বীকৃত ছিলেন, এবং অস্থিরচিত্ততা, চেলাপ্রীতি ও সিদ্ধান্তহীনতার জন্য নিন্দিতও।

    মুজিববাদী আঁতেলরা এমন বেহায়া চাটুকার যে কোন মিথ্যাভাষণে তাদের কোন লজ্জা-শরম নেই। তাঁরা জানেন মুজিবের পাকিস্তান ভাঙার কোনো স্বপ্ন বা সাধ ছিলো না, তিনি ছিলেন সোহরাওয়ার্দীর চেলা এবং মুসলিম লীগার ও হিন্দুবিদ্বেষী। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছিলো তাঁকে ১৯৭০ সালের নির্বাচন। কেননা আগরতলা মামলা তাঁকে অপমানিত , ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ বাঙালীর হিরো বানিয়ে দিয়েছি। শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ অবধি প্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য দককষাকষি করেছিলেন, যদিও যে লক্ষ্যে ছাত্রনেতাদের পরামর্শে তিনি ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ও মুক্তির সংগ্রামের কথা উচ্চারণ করেছিলেন তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বপ্রাপ্তি ত্বরাণ্বিত করার লক্ষ্যেই। প্রমাণ তিনি ঐ সভার পরেই দ্রোহী হন নি, ছাত্ররাও ধরে নি অস্ত্র।

    তিনি স্বাধীনতা চান নি। তরুণেরা তারুণ্যের আবেগ বশবর্তী হয়ে স্বাধীনতার দাবি ও সঙ্কল্প তাঁকে দিয়ে জোর করে তাঁর মুখে উচ্চারণ করিয়েছিলো তাঁর আপত্তি ও পরিব্যক্ত অনীআ সত্ত্বেও। তাঁর বাড়ীতেও ওরাই স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়েছিলো তাঁর হাতেই। মানুষের বিশে করে বাঙালীর স্বভাব হচ্ছে হুজুগে তাই তারা কাক-শিয়ালের মতো বুঝে না বুঝে শেখ মুজিবকে স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে মেনে নিলো। সেভাবেই তাঁর প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা ও আনুগত্য নিবেদন করলো।

    ২৫শে মার্চে পাকিস্তান সরকারই বাঙালীকে প্রতারিত করে হত্যাকান্ড চালাতে থাকে। বিপন্ন ও অস্ত্রচ্যুত বাঙালী সেনানীরা, পুলিশেরা এবং ক্ষুব্ধ-ক্রুদ্ধ তরুণেরা অনন্যপায় হয়ে অস্ত্রধারণ করে, তাদের সাথে জুটে যায় আওয়ামী লীগারেরা, এবং ক্ষুব্ধ-ক্রুদ্ধ স্বাধীনতাকামী জনগণ গাঁ গঞ্জ থেকে শিক্ষিত- অশিক্ষিত নির্বিশেষে। শেখ মুজিব যে মুক্তি বা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেরণা-প্রণোদনা প্রবর্তনা দাতা তা কেউ অস্বীকার করে না। যদিও সবটা তাৎক্ষণিক এবং অবস্থায় ও অবস্থানের পরিণাম, পরিকল্পিত নয়, উদ্বিষ্ট ছিলো না বলেই।

    শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা এবং জাতির পিতার পরিচিতি নিয়ে ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ সনে ঢাকায় আসেন ।

    শেখ মুজিব কিন্তু তাঁর দলের লোকদের নিয়ন্ত্রণে ও শাসনে অনুগত রাখতে পারলেন না। তাঁর রক্ষীবাহিনীর, তাঁর অনুচর, সহচর, সহযোগীর লুণ্ঠনে, পীড়ন নির্যাতনে, অত্যাচারে, শাসনে- শোষণে দেশে দেখা দিলো দুর্ভিক্ষ, মরল লক্ষাধিক মানুষ।

    ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সনের আগস্ট মাস অবধি মুজিব শাসন হচ্ছে ত্রাসের হত্যার কাড়ার-মারার, জোর-জুলুমের, স্বৈরাচারের, দুর্ভিক্ষের, পীড়ণের, শোষণের, জবরদখল ও জবরদস্তির হৃৎকাঁপানো বীভৎস রূপের।

    সম্ভবত শেখ মনিই ভাবিশত্রু তাজউদ্দীনকে মুজিবের প্রতিদন্ডী বলে মুজিবের কান-মন ভারী করে তাঁকে পদচ্যুত করিয়েছিলো। রাজত্বটাও প্রায় পারিবারিক হয়ে উঠেছিলো- সৈয়দ হোসেন, সারনিয়াবাদ, শেখ মনি, কামাল- জামাল তখন সর্বশক্তির আধার কার্যত

    এ সুযোগে উচ্চাশী মুশতাক ও অন্যরা হলো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অস্থিরচিত্ত ও অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক নীতি আদর্শেও হলেও অস্থির। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিতে তাঁর মুক্তিযোদ্ধ আওয়ামী লীগের একটি উচ্চাশী ক্ষুদ্র দল তাঁকে সপরিবার পরিজনে হত্যা করলো।

    মুজিবকে যারা হত্যা করলো, তারা গোড়ায় সবাই মুজিবের অনুগতই ছিল।

    শেখ মুজিবের সাড়ে তিন বছরের দুঃশাসন কিন্তু হত্যা-লুণ্ঠনের বিভীষিকা মুজিবকে গণশত্রুতে পরিণত করেছিলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার আন্তর্জাতিক রাজনীতির স্বার্থে সে সুযোগে তাকে হত্যা করায় সপরিবার। "

    http://www.amarblog.com/raselpervez/posts/76302

    যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী রাজনীতির প্রতিষ্ঠা, ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষ, দেশ চালানোর অযোগ্যতা ও অরাজকতার কারণে মুজিব সরকারের পতন প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠেছিলো। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস রচনায় শুধু শেখ মুজিব, চার জাতীয় নেতা বা জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচারই শুধু যথেষ্ট নয়, শহীদ দেশ প্রেমিক বিপ্লবী সিরাজ সিকদার, কর্নেল তাহের, আলফ্রেড সরেন, পিরেন স্নাল, চলেশ রিছিলসহ সব রাজনৈতিক হত্যার বিচার হওয়া জরুরি।

    প্রখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্থনী মাসকেরেনহাস তার ‘বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ’ বইয়ের শেষ বাক্যে যেমন বলেন:

    "দুরাভিসন্ধী আর হত্যা, বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই চলে আসছে। এক হত্যা আরেক হত্যাকে তরান্বিত করেছে, দেশকে আবদ্ধ করেছে এক রক্তের ঋণে।…"

    http://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh:_A_Legacy_of_Blood

    তবে সবার আগে চাই ‘৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, এর আবশ্যিকতা সব প্রশ্নের উর্দ্ধে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন