এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শেখ মুজিবের উপর খ্যাপা কেনো চিনাপন্থীরা?

    কুলদা রায়
    অন্যান্য | ২৩ নভেম্বর ২০১২ | ৬৭৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 190.234.211.66 | ০২ ডিসেম্বর ২০১২ ১৮:৫৭576756
  • কুলদা রায়ের চারটি পয়েন্ট অথবা কয়েকটি শীবের গীত
    _____________________________________
    ["শামীম সিকদার প্রসঙ্গে একটা তথ্য--
    তিনি পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তি নির্মাণ করেছেন। সে সময়ে তার ভাই সিরাজ সিকদারের হত্যাকারীর মূর্তি নির্মাণ কেনো করেছেন--সে বিষয়ে বিপ্লব রহমানের বক্তব্য কি?"]

    এসএস সম্পর্কিত নোটে শামীম সিকদার প্রসঙ্গ এসেছে এন্থনী মাসকারেন্সহাসের বই থেকে উদ্ধৃত করে এবং উদ্ধৃত চিহ্নের [" "] ভেতর। কাজেই ব্যক্তি শামীম পরবর্তীতে শেখ মুজিব/জিয়া/এরশাদ বা অন্য কারো মূর্তি/ভস্কর্য নির্মাণ করেছেন বা করেননি অথবা তিনি আদৌ উচ্চমান বা নিম্নমানের ভাস্কর কি না; সে প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর। [শীবের গীত-০১]

    শামীম সিকদার এসএস'এর শুধু বোনই ছিলেন, রাজনৈতিক কোন ব্যক্তি ছিলেন না; কাজেই রাজনৈতিক কোন আদর্শে অটল থাকার দায় তার নেই বলেই মনে হয়-- বাইলাইনে এইটুকু মাত্র।

    ["২. একটা তথ্য বলা দরকার--বিপ্লব রহমান আজিজ মেহেরের উদ্ধৃতি দিলেন, তিনি বিপ্লব রহমানের পিতা।"]

    তো? সাবেক নকশাল নেতা আজিজ মেহের আমার বাবা। এটি তো কোনো গুঢ় গুপ্ত কথা নয়। এ কথা ব্লগ বারান্দায় নানা প্রসঙ্গে এসেছে। গুরুতেও এ নিয়ে একবার লিখেছি। তাতে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হলো?? [শীবের গীত-০২]

    http://www.guruchandali.com/default/2012/08/07/1344286804169.html#.ULs8c1u9hJE

    ["৩. বিপ্লব রহমানের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে--সিরাজ সিকদারকে আটক করার পরে বঙ্গবন্ধুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে কনভিঞ্চ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সিরাজ সিকদার তার জীবিতকালে যাদেরকে হত্যা করেছেন--তাদেরকে হত্যার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, তাকে বা তাদেরকে কোনো ধরনের সুযোগ দেননি। তিনি মনে করেছেন তার অমুক সহকর্মী তার কথার বাইরে ভাবছে। সুতরাং তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই। সে সাম্রাজ্যবাদের দালাল। তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই। সিরাজ সিকদার তার নিজের ভগ্নীপতিকে হত্যা করেছেন এই ভাবে। এই যা বিনা বিচারে হত্যা যিনি করছেন--তার এই হত্যা কাণ্ড কি ক্রসফায়ারের তুল্য অমানবিক অপরাধ নয়? কবি হুমায়ুন কবিরের হত্যাকাণ্ডকে কি বলবেন?"]

    সিরাজ সিকদারের সশস্ত্র গোপন রাজনীতিতে শুধু অধ্যাপক হুমায়ুন কবিরকেই নয়, আরো অনেককেই দলীয় কোন্দল/বিরোধীতির কারণে খুন হতে হয়েছে। সশস্ত্র গোপন রাজনীতির ধরণটিই ছিলো ওই রকম-- ব্যক্তি সিরাজ কেন্দ্রীক, খুনি, স্বৈরতান্ত্রিক এবং ভ্রান্ত--- এসএস সম্পর্কিত পুরো নোটেই এ ম্যাসেজটি পরিস্কার। সে সময় সশস্ত্র রাজনৈতিক গ্রুপগুলো একই রকম অন্তর্কলহ ও খুনোখুনির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলো। নোটে এ ‌ম্যাসেজটিও দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

    কিন্তু তাই বলে এসএস-এর দেশপ্রেম, বিপ্লব আকাঙ্খা বা মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করতে হবে কেন? তার এনকাউন্টার/বন্দুকযুদ্ধ/ক্রস ফায়ার/বিনা বিচারে হত্যাকে বৈধতা দিতে হবে কেন?? অথবা সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের সেই দম্ভোক্তি: "কোথায় আজ সিরাজ সিকদার" কেই বা অন্ধ আওয়ামী আনুগত্যে যৌক্তিক করে তোলার সুযোগ কোথায়??? [শীবের গীত-০৩]

    ["৪. সাধারণ মানুষের রুটি-রুজীর সমস্যা নিয়ে এই সিরাজ সিকদার বা চীনাপন্থীরা কোনোদিন কি আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন? সাধারণ মানুষের কাছে সিরাজ সিকদারদের ভাবমূর্তীটা কি? কেউ কি তাকে মনে রেখেছে?"]

    কুলদা রায় হয় এসএস সম্পর্কিত নোটটি পড়েননি, না হয় নোটটি তিনি বোঝেননি অথবা লেখক তার ভাব-বুদ্বুদে নোটটির সামগ্রিক ম্যাসেজ বোঝাতে অক্ষম।

    পুরো নোটেই তো এসএস-এর ভ্রান্ত রাজনীতির পাশাপাশি তার অস্ত্র নির্ভর গোষ্ঠি বিপ্লবী মানসিকতা এবং শেষ পর্যন্ত জনবিচ্ছিন্নতায় পর্যবেসিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কাজেই সাধারণ মানুষ এসএসকে চিনবেন না, এটিই তো স্বাভাবিক। কাজেই সাধারণের মধ্যে তার ভাবমূর্তির প্রশ্নটি পুনর্বার ওই গীতসঙ্গীত। [শীবের গীত-০৪]

    কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ+বাম রাজনীতি+শেখ মুজিবের সঠিক মূল্যায়নের প্রশ্নে এসএস বরাবরই প্রাসঙ্গিক। যেমন প্রসাঙ্গিকভাবেই চলতি টইপত্রে বার বার তার নাম উচ্চারিত হচ্ছে এবং এসব কারণে গত ছয় দশক ধরেই এসএস প্রাসঙ্গিক; এসএস এখন নিজেই ইতিহাস।

    এ পর্যায়ে মুজিব ভক্ত/মুরীদ/আশেকানদের কাছে এসএস নামটি যতোই অস্বিস্তকর হোক না কেন, ইতিহাস তার নিজস্ব পথেই চলবে; বিনোদন রচিয়তার কথায় নয়। :D
  • বিপ্লব রহমান | 190.234.211.66 | ০২ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:০১576757
  • *পুনশ্চ:

    ["বিপ্লব রহমানের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে--সিরাজ সিকদারকে আটক করার পরে বঙ্গবন্ধুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে কনভিঞ্চ করার চেষ্টা করেছিলেন। "]

    না। এটি কুলদা রায়ের মিথ। বিপ্লব রহমানের এসএস সম্পর্কিত নোটে এমন কোন তথ্য নেই বা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি।
  • বিপ্লব রহমান | 190.234.211.66 | ০২ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:১০576758
  • **পুনশ্চ'র শেষাংশটি কেটে গেছে! কি বিপত্তি!

    যা হোক। বিপ্লব রহমানের নোটে এসএস হত‌্যা মামলার অভিযোগ যেটুকু বয়ান করা হয়েছে, সেখানে শেখ মুজিবের কনভিন্সের কোনো প্রসঙ্গ নেই।

    নোটেরই ওই অংশটি আরেকবার:

    ["২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুলিশ ও রক্ষীবাহিনীর বিশেষ স্কোয়াডের অনুগত সদস্যরা গণভবনে মরহুম শেখ মুজিবের কাছে সিরাজ সিকদারকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যায়। সেখানে শেখ মুজিবের সঙ্গে তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলীসহ আসামিরা, শেখ মুজিবের পুত্র মরহুম শেখ কামাল এবং ভাগ্নে মরহুম শেখ মনি উপস্থিত ছিলেন। আর্জিতে আরো বলা হয়, প্রথম দর্শনেই শেখ মুজিব সিরাজ সিকদারকে গালিগালাজ শুরু করেন। সিরাজ এর প্রতিবাদ করলে শেখ মুজিবসহ উপস্থিত সবাই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। সিরাজ সে অবস্থায়ও শেখ মুজিবের পুত্র কর্তৃক সাধিত ব্যাংক ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম, ভারতীয় সেবাদাসত্ব না করার, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শেখ মুজিবের কাছে দাবি জানালে শেখ মুজিব আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। সে সময় ১ নং আসামি মাহবুব উদ্দিন তাঁর রিভলবারের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সিরাজ সিকদার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শেখ কামাল রাগের মাথায় গুলি করলে সিরাজ সিকদারের হাতে লাগে। ওই সময় সব আসামি শেখ মুজিবের উপস্থিতিতেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে মারতে তাঁকে অজ্ঞান করে ফেলেন। এর পর শেখ মুজিব, মনসুর আলী এবং ২ থেকে ৭ নং আসামি সিরাজ সিকদারকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ১ নং আসামিকে নির্দেশ দেন। ১ নং আসামি মাহবুব উদ্দিন আহমদ আসামিদের সঙ্গে বন্দি সিরাজ সিকদারকে শেরে বাংলানগর রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তরে নিয়ে যান। এর পর তাঁর ওপর আরো নির্যাতন চালানো হয়। অবশেষে ২ জানুয়ারি আসামিদের উপস্থিতিতে রাত ১১টার দিকে রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তরেই সিরাজ সিকদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে ১ নং আসামির সঙ্গে বিশেষ স্কোয়াডের সদস্যরা পূর্বপরিকল্পনা মতো বন্দি অবস্থায় নিহত সিরাজ সিকদারের লাশ সাভারের তালবাগ এলাকা হয়ে সাভার থানায় নিয়ে যায় এবং সাভার থানা পুলিশ পরের দিন ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করে।"]ৃ

    http://www.unmochon.net/node/639
  • ranjan roy | 24.99.72.133 | ০২ ডিসেম্বর ২০১২ ২৩:৪০576759
  • খয়ের ভাই! , হল কী? রাজনৈতিক বিতর্কে তথ্য ও যুক্তিই যথেষ্ট। ব্যক্তিগত গালমন্দ, অশ্লীল ইঙ্গিত বক্তব্যকে হালকা করে, ধার ও ভার দুইই কমিয়ে দেয় ।
    দেখুন তো, কুলদা রায় ও বিপ্লব রহমান দুই বিপরীত অবস্থানে দাঁড়িয়েও তথ্য-যুক্তির রাস্তা ছেড়ে ব্যক্তিগত আক্রমণের গালিগালাজের রাস্তায় যান নি। এটাই কাম্য নয় কি?
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ১৫:২০576760
  • "১৯৭২ এ সংবিধান রচনার কালে ঐতিহাসিক মুজিবীয় ["তোরা সব বাঙালি হইয়া যা"] উক্তিটি স্মরণ করা যাক। এটি উগ্র জাতীয়তাবাদী দর্শনকে ধারণ করে, যার শেকড় ফ্যাসিবাদ তথা মৌলবাদে গাঁথা [মুক্তি যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে মুজিবের দুঃশাসন এবং পরবর্তী শাসকগোষ্ঠিগুলো এখনো এই দর্শনটিকেই ধারণ করে]।

    মুজিবীয় ওই উক্তিটি আবার একই সঙ্গে অস্বীকার করে ১৯৭১ এর অসাম্প্রদায়ীক- বৈষম্যহীন দেশগড়ার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা; যে চেতনায় ভাষাগত/ধর্মীয় সংখ্যালঘু – সংখ্যাগুরু, আদিবাসী ও বাঙালি স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, বাংলা নামক ভূখন্ডের সবচেয়ে গৌরব গাঁথা মুক্তিযুদ্ধটিকেই। এ কারণে সে সময়ই কিংবদন্তী পাহাড়ি নেতা এমএ নলারমা বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান রচনার কালে সেখান থেকে আদিবাসী/উপজাতিদের বাদ দিয়ে শুধু "বাঙালি" জাতীয়তাবাদী ঝান্ডা ওড়ানোর প্রতিবাদ করেন।

    ৬০ দশকে কাপ্তাই জলবিদ্যুত নির্মাণে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পানিতে তলিয়ে দিয়ে ও প্রায় এক লাখ মানুষকে উদ্বাস্তু বানানো,১৯৭১-৭২ সালে কতিপয় বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধা ও বিডিআর-এর পাহাড়ে চালানো হত্যাযজ্ঞ [এখন বিজিবি] এবং মুজিবের ["তোরা সব বাঙালি হইয়া যা"] নাকচের পর এমএন লারমা বাকশালে যোগদানের ঐতিহাসিক ভুলটুকু শুধরে নিয়ে বাকশাল সরকারের চরম স্বৈর শাসনের বিরুদ্ধেই সংগঠিত করেন গেরিলা গ্রুপ শান্তি বাহিনী; এই গ্রুপের গেরিলা যুদ্ধ চলে প্রায় আড়াই দশক। [সংবিধানে "বাঙালি" জনিত প্রেক্ষাপটটি এখনো অব্যহত থাকায় ভিন্ন মাত্রায় প্রতিবাদটি চলছেই]।

    ["তোরা সব বাঙালি হইয়া যা"] দর্শন বলেই জে. জিয়া পাহাড়ে সেটেলার বন্যার খোয়াব দেখেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে বানান -- আ ল্যান্ড অব দা প্যারেড গ্রাউন্ড ["মানি ইজ নো প্রবলেম"], এরশাদ এবং খালেদা-হাসিনা-খালেদা-মইন/ফখরুদ্দীন-হাসিনা একই ধারাবাহিকতায় খোয়াবের সফল বাস্তবায়ন করে চলেন। এর নীট ফলাফল অতি অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধটিকে বাঙালি-আদিবাসীর যৌথ মুক্তি সংগ্রামকে অস্বীকার, ১৯৭২ এর সংবিধানে আদিবাসী/উপজাতিকে উপেক্ষা [দ্র. গেরিলা নেতা এমএন লারমা ], জেনারেল জিয়া-এরশাদ-খালেদা-হাসিনা-খালেদা-মইন+ফখরুদ্দীন-হাসিনার সরকার আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে সেটেলার বাঙালি-সামরিক জান্তার পাকিপনার ভূখন্ডে পরিনত করা; তারই জের টেনে শান্তিচুক্তি পূর্ব পাহাড়ি জনপদে অন্তত ১৩ টি বড় ধরণের গণহত্যা, বাস্তভিটা থেকে উচ্ছেদ করে প্রায় ৬০ হাজার পাহাড়ি শরণার্থীকে এবং শান্তিচুক্তি পরবর্তীতে গত দেড় দশকে সংগঠিত হয় অন্তত ১৪ টি সহিংস হামলা [আলোচ্য রাঙামাটি সহিংসতার ঘটনাও কী তার সাক্ষ্য দেয় না?] এই প্রেক্ষাপটেই পাহাড় ও সমতলে ভাষাগত/ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে গত চার দশক ধরে রক্ত ঝরছেই, আগুন জ্বলছেই। অন্যদিকে, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়ীক চেতনা [এমনকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পাইকারী বিক্রেতা আ'লীগের] সংশোধিত সংবিধান এখন পরিনত হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা+বিসমিল্লাহসহ গজকচ্ছপ সুন্নাহর দলিলে। …"
    _________
    ভূতেরাই এখন সর্ষের চাষ করছে!

    http://t.co/bpeqUylx
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:৩২576761
  • ["মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আবদুল হুক্কা হুয়া ঢাকায় ক্যান্টনমেন্টে জামাই আদরে থাকতেন। বদ। উমর গ্রাম্য মৌলভীর বেশে ঢাকা শহরেই বহাল তবিয়তে চলাফেরা করতেন এবং পাক বাহিনীর বিশেষ বিশেষ তত্ত্বীয় কুকর্মে অংশগ্রহণ করেছেন এমন অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধারা বদ। উমরকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল চাঁদনী ঘাট এলাকায় শাস্তি দিতে। পিতা কানা হাশিমের অনুরোধে বঙ্গবন্ধুর কৃপায় সে যাত্রায় বদ। উমরের জীবন রক্ষা পেয়েছিল। হুক্কা হুয়া, তোয়াহা, আলাউদ্দীন আর ভাষা মতিন এরা সকলেই হয় মুজিব নতুবা তাজউদ্দীনকে ধরে জীবন রক্ষা করেছেন। জীবন থেকে রক্ষা পেয়েই "উপকারীরে বাঘে খায়", "বাঙালী যে পাতে খায় সে পাতে হাগে" এসব প্রবচন প্রমাণে এরা মেতে উঠিছিল মুজিব নিধনে। কামিয়াব হয়েছে বটে! তবে তা সাময়িক। মুজিবকে মেরেছে ঠিকই, কিন্তু মুজিবের দলটিকে মারতে পারেনি। জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক শক্তিশালী এটা প্রমাণ করে মুজিবের প্রতিষ্ঠিত দল ঠিকই টিকে আছে; পক্ষান্তরে বাম রাজাকাররা চক্রান্ত করে, ষড়যন্ত্র করে, জেনারেলদের শয্যাসঙ্গী হয়ে, তাদের পদলেহন করে, মলদ্বার ভাড়া দিয়ে পার্টিকে শতধা বিভক্ত করে, পোন্দের চাড়া খাপছাড়া করে ঝুলে আছে উল্টো হয়ে শূন্যে। এখন না আছে পার্টি, না আছে তত্ত্ব! আছে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার, খিস্তি-খেউড় আউড়াবার অক্ষম পিঁচুটি।"]

    আবুল খায়েরের এই অশালীন, কুৎসিত খিস্তি-খেউড় সর্বোস্ব নোটটি এরআগে কমিউনিটি ব্লগ সাইট উন্মোচন ডটনেট-এ প্রকাশিত।

    http://unmochon.net/node/640

    দেখা যাচ্ছে, ওই পোস্টের পর তিনি সহব্লগারদের কাছ থেকে তীব্র নিন্দা-ধীক্কারের সম্মুখিন হন। সেখানে সহব্লগার ভাস্করের একটি মন্তব্য লক্ষ্যনীয়:

    "খায়ের ভাইয়ের সাথে আমার ক্যাম্পাসে পরিচয়। তিনি চরম বাম ছিলেন কীনা জানি না তবে যশোরের দাউদ হাসানের কমিউনিস্ট কর্মী সংঘ বা এই টাইপ নামের একটা পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন। এই তাত্ত্বিক নেতা মনে করেন দেশে বুর্জোয়া বিপ্লব প্রয়োজন আছে প্রগতিশীল বুর্জোয়াগো নেতৃত্বে। সেই প্রগতিশীল বুর্জোয়াগো দল হইলো আওয়ামি লীগ। আমার মনে হয় খায়ের ভাই এখনো সেই তত্ত্বেই আছেন।

    তয় আন্ধা বিশ্বাস আর চোখ খুইলা বিশ্বাসে খুব বেশি পার্থক্য নাই। বিশ্বাস মানেই একটা স্ট্যাটিক কন্ডিশন। কোনো তত্ত্বে আস্থা রাখা আর বিশ্বাসে পার্থক্য থাকে। আপনে পীর তারেকে চোখ খুইলা বিশ্বাস করলে আন্ধা বিশ্বাসের লগে তার পার্থক্য হয় খালি একটা আচরনে, চোখ খোলা থাকায় আপনের গঠনমূলক সমালোচনা করতে হইবো। এই সিউডো স্বভাবটাও খুব জুইতের না। পীর তারেকরা অমনেই শুদ্ধ বালক হইয়া থাকে বেশিরভাগ বিশ্বাসী মানুষের কাছে। দোষ পড়ে মামুন-অপুগো ঘাড়ে। এ্যাপোলোরা সেইখানে আসলে কিছুদিন পর তাদেরও কান্ধে একই দায় নিতে হইবো।"
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ২০:৫০576762
  • বাক বিস্তার যতই হোক না কেনো কয়েকটা সত্যি কথা হল-
    ১. পূর্ব পাকিস্তান ভূখণ্ডে চিনাপন্থী রাজনীতিকদের সংখ্যা খুবই কম ছিল। এরা বগলে মাও সেতুংএর লাল বই নিয়ে ঘুরতেন। তার অনুবাদও ছিল খুব দূর্বল। এরা এই বইগুলোর পূরোটা পড়তেন না। কিছু কোটেশন মুখস্ত করতেন বলে এদের বলা হয় কোটেশন বিপ্লবী। আর মানুষ কাটেন বলে এদের নাম ছিল কাটেশন বিপ্লবী।
    ২. এই চীনা পন্থীরা তথ্য নিয়ে কাজ করতেন না। তত্ত্ব দিয়ে খেতেন, ঘুমোতেন, তত্ত্ব দিয়ে হাওয়াই বাজী করতেন। এই তত্ত্ব ছিল সব সময়ই উত্তপ্ত। এই তত্ব দিয়ে ভুতের ভবিষ্যত দেখা যায়--মানুষকে নয়। ফলে চীনাপন্থীরা চিরকালই মানুষের বাইরে এক রূপকথার জগতে থেকেছেন। আরো ভালো করে বললে বলা যায়--ওদের জগত ছিল মুম্বাইকা সিনেমা- জগত।
    ৩. এই চীনাপন্থীরা নিজের পায়ে হাটতে পারতেন না। তারা মাওলানা ভাসানীর পায়ে ভর দিয়ে হাটার চেষ্টা করেছেন। ফলে তারা ভাসানী নামের মানুষটিকে নিতে পারেননি--তারা নিয়েছেন এক উগ্র মাওলানাকে। ক্রমে ক্রমে তারা সেই মাওলানার উগ্র পথেই চলেছেন। এই-ই তাদের ভবিতব্য।
    ৪. বাংলাদেশে চীনাপন্থীদের মধ্যে সিরাজ সিকদারের দলটি ছোটো একটি উপদল মাত্র। চীনা পন্থীদের আলোচনায় তাকে প্রধান করার মানেই হয় না।
    হক-তোয়হা-মতিন-আলাউদ্দিন-মশিউর রহমান--বিএনপির ভুইয়া--এরশাদের ঝাড়ু আনোয়ার--কাজী জাফর প্রমুখদের কথাও বলেন। তাদের পরিণতিটা নিয়ে আলাপ করুন। এরাই বড় চীনাপন্থী ছিলেন সিরাজ সিকদারের চেয়ে।
  • আবুল খায়ের | 123.11.74.236 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ২১:০৩576763
  • "১৯৭২ এ সংবিধান রচনার কালে ঐতিহাসিক মুজিবীয় ["তোরা সব বাঙালি হইয়া যা"] উক্তিটি স্মরণ করা যাক।"
    এটি একটি ডাহা মিথ্যা। ১৯৭২-এর ১০ই এপ্রিল থেকে একই বছরের ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ গণপরিষদের কোন অধিবেশনেই কথিত এই উক্তিটি মুজিব করেন নি। বরং গণপরিষদ কর্তৃক সংবিধান প্রদানে বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধু মুজিবের বক্তৃতার প্রশংসা করে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার একাধিক বক্তৃতা করেন। সেসব বক্তৃতাবলী গণপরিষদের প্রসিডিংসে আছে। এখানে যা বলা হচ্ছে তা স্রেফ মিথ্যাচার।
  • আবুল খায়ের | 123.11.74.236 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ২১:২৩576764
  • বিপ্লব রহমানকে বলছি, চীনাপন্থী নকশালীরা গলাকাটা রাজনীতির নামে নরহত্যা করে বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে ধিকৃত। বিগত ৪৬ বছরে শতধাবিভক্ত এইসব নরঘাতকদের দঙ্গলগুলো সমাজে অশালীন-ঘৃণ্য-নারকীয় কুকর্ম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে আছে কায়েমীস্বার্থবাদী গোষ্ঠীর দালাল হিসেবে। বাস্তব আরো ভয়াবহ। চোর-সন্ত্রাসী-ডাকাত-ভাড়াটেখুনে হিসেবে এদের কাউকে জনসম্মুখে পেলে গণআয়তনে তারা সাজা হয়ে যায়। হয় চোখ তুলে নেওয়া হয়; নতুবা পিটিয়ে মেরে ফেলে। মানুষ এতোটাই ঘৃণা করে এদের। ফলে নরঘাতকদের যাবতীয় রাজনৈতিক পাপাচারকে প্রকাশ করতে যেসব উপযুক্ত শব্দাবলী অনিবার্যভাবে চলে আসে সেগুলো নরঘাতকদের কুকর্মের প্রতিফলন বৈ ভিন্ন কিছু নয়।
    যেমন, প্রাক্তন নকশালদের মধ্যে মোহাম্মদ তোয়াহা, আবদুল মতিন, কাজী জাফর, জানোয়ার জাহিদ, সিরাজুল হোসেন খান, মাহবুবউল্লাহ, মান্নান ভূঁইয়া এমন অনেকেই মুজিব হত্যার পর সামরিক সরকার জেনারেল জিয়া-এরশাদের শয্যাসঙ্গী হয়েছেন, সহবাস করেছেন এবং দুঃশ্চরিত্র জেনারেলদের মল-মূত্র পরিচ্ছন্ন করার অভিযানে সদলবলে নেমে জনতার কাছে গিয়ে বলার চেষ্টা পেয়েছেন "অমুক জেনারেলের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র!" কেউ কেউ তো জেনারেল শাসকদের মুখমণ্ডল জুড়ে বাংলাদেশের মানচিত্রও খুঁজে পেয়েছেন।
  • কল্লোল | 111.63.226.17 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ২১:৩২576766
  • আবুল খায়ের মশাই।
    যুক্তি ক্রমশঃই কমে আসছে। খিস্তি ক্রমশঃই বাড়ছে।
    "বাস্তব আরো ভয়াবহ। চোর-সন্ত্রাসী-ডাকাত-ভাড়াটেখুনে হিসেবে এদের কাউকে জনসম্মুখে পেলে গণআয়তনে তারা সাজা হয়ে যায়। হয় চোখ তুলে নেওয়া হয়; নতুবা পিটিয়ে মেরে ফেলে। মানুষ এতোটাই ঘৃণা করে এদের।"
    বোঝা গেলো। যেমন রামুতে হয়েছে। তারাও সব "সাবেক নকশাল" নাকি??????
  • আবুল খায়ের | 123.11.74.236 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১২ ১১:৫৫576767
  • কল্লোল মহাশয়, এখানে আলোচনার সমস্য হচ্ছে, মনগড়া কথা দিয়ে তক্কো চালানো। বাস্তবের সাথে মিল-অমিল পরিমাপ না করেই যা হোক একটা কিছু বলা। রামুর ঘটনার সাথে মেলাচ্ছেন কোন যুক্তিতে? রামুতে বৌদ্ধরা তো কারো ঘর ভেঙে খুন-রাহাজানী করতে যায় নি। অথচ গত সপ্তাহে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজী আর খুন-খারাবীতে অতিষ্ঠ হয়ে পাবনায় চারজন চরমপন্থী নকশালকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনাকে কি রামুর সহিংসতার সাথে মেলানো যায়!
  • PT | 213.110.246.230 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১২ ১১:৫৬576768
  • কিন্তু ঘৃণাটা বোঝা যাচ্ছে। আমরা প্রায় সকলেই এতদিন প্রাণভরে মুজিব আর তার পরিবারের লোকেদের খিস্তি খেউড় করেছি। এপারের মমতাপন্থী মাওবাদীদের কাউন্টারপার্ট ওপারের সামরিকসরকারপন্থীরা একটু গালমন্দ শুনুক!!
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১২ ০০:২৮576769
  • বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তার ও পরিবার সম্পর্কে বিস্তর অপপ্রচার করা হয়। তারই একটা তার ছেলে ব্যাংক ডাকাতি করতেন। সে বিষয়ে তথ্য--

    মিথ্যাচার / অপপ্রচার-১ ‘শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত’

    ''আপনারা সবাই জানেন শেখ কামাল ছিলেন একজন সংস্কৃতমান মানুষ। গান, নাটক, খেলা-ধুলা সবই ছিল তার নেশা। তার প্রতিষ্ঠিত ‘আবাহনি ক্রীড়াচক্র’ বাংলাদেশের খেলার জগতে এক অনন্য উজ্বল নাম।
    যাহোক মূল বিষয়ে আসি যে রাতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, সে রাতে কতিপয় দুষ্কৃতকারীর ব্যাংক লুটের ষড়যন্ত্রের খবরটি কামাল আগেই জানতে পেরেছিলেন তাঁর সদ্য গঠিত আবাহনী ক্রীড়াচক্রের ফকিরেরপুলে অবস্থানকারী দুজন খেলোয়াড়ের মাধ্যমে। দুষ্কৃতকারীদের ধরার জন্য তিনি মতিঝিল এলাকায় জিপে করে ছুটে যান তরুণ সাহসীদের (তার কয়েকজন বন্ধুদের) নিয়ে আবাহনী মাঠের রাতের আলোচনা বৈঠক থেকে। তাঁর মাধ্যমে খবর পেয়েই ঢাকার পুলিশ সুপার বীরবিক্রম মাহবুবের পুলিশ বাহিনী সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে, দুজনকে পায়ে গুলিবিদ্ধ করে। আর শেখ কামাল দুষ্কৃতকারীদের ধরার জন্য জিপ থেকে লাফ দিলে, রাস্তায় পড়ে যান। এই ঘটনার মূল সত্য কাহিনি পরের দিন ‘দৈনিক মর্নিং নিউজ’ এ প্রকাশিত হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু, আ:লীগ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের কুৎসার নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল সত্য ঘটনা।

    এ বিষয়ে চারজন ব্যক্তির প্রত্যক্ষভাবে জানেন--
    ১) তৎকালীন পুলিশ সুপার মাহাবুব আলম (বীরবিক্রম)। যাকে এক নামে সবাই এসপি মাহবুব নামে চিনে। যার নেতৃত্বে সেদিন পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধরতে এসেছিল।
    ২) সেই সময়কার ‘দৈনিক মর্নিং নিউজ’ এর সম্পাদক প্রবীন সাংবাদিক এ.বি.এম মুসা। যিনি ঘটনার পরদিন পত্রিকায় সত্য ঘটনাটি তুলে ধরেছিলন।
    ৩) বর্তমানে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকু। যে জিপটিতে কামালরা দুষ্কৃতকারীদের ধরতে গিয়েছিলেন সেটা ছিল টুকুর এবং সেদিন জিপটি টুকুই ড্রাইভ করেছিলেন।
    ৪) জাপা'র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। যিনি কামালদের সিনিয়র হলেও, কামালদের সাথে প্রায় বন্ধুর মতো চলাফেরা করতেন এবং সেদিন তিনিও ঐ জিপে ছিলেন।''
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১২ ১৪:২১576770
  • ["১৯৭২ এ সংবিধান রচনার কালে ঐতিহাসিক মুজিবীয় ["তোরা সব বাঙালি হইয়া যা"] উক্তিটি স্মরণ করা যাক।"
    এটি একটি ডাহা মিথ্যা। ১৯৭২-এর ১০ই এপ্রিল থেকে একই বছরের ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ গণপরিষদের কোন অধিবেশনেই কথিত এই উক্তিটি মুজিব করেন নি। বরং গণপরিষদ কর্তৃক সংবিধান প্রদানে বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধু মুজিবের বক্তৃতার প্রশংসা করে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার একাধিক বক্তৃতা করেন। সেসব বক্তৃতাবলী গণপরিষদের প্রসিডিংসে আছে। এখানে যা বলা হচ্ছে তা স্রেফ মিথ্যাচার।"] -- আবুল খায়ের।
    _______

    "১৯৭০ সালে তিনি [এমএন লারমা] পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর, স্বাধীনতার বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের কাছে 'পাহাড়ে আঞ্চলিক স্বায়ত্ত্বশাসনের' চার দফা দাবি তুলে ধরেন। সে সময় শেখ মুজিব ঘৃণাভরে এই দাবি উপেক্ষা করেন। একই বছর ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের সংবিধানে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভাষাগত সংখ্যালঘু পাহাড়িদের 'বাঙালি' বাঙালি হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে তিনি গণপরিষদ অধিবেশন বর্জন করেন। এ সময় এমএন লারমা তার ভাষণে বলেছিলেন:

    'বাংলাদেশের কোটি কোটি জনগণের সঙ্গে আমরা জড়িত। সবদিক দিয়েই আমরা একসঙ্গে বাস করছি। কিন্তু আমি একজন চাকমা। আমার বাপ, দাদা, চৌদ্দ পুরুষ, কেউ বলেন নাই, আমি বাঙালি!…'

    বাংলাদেশ নামক বাংলা ভাষাভাষীর রাষ্ট্রর জন্মলগ্নেই এমএন লারমা বুঝেছিলেন, আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন ছাড়া ভাষাগত সংখ্যালঘু পাহাড়ি আদিবাসীর মুক্তি নেই। তাই তিনি সেই ’৭৩ সালেই স্বতন্ত্র সাংসদ ও জনসংহতি সমিতির আহ্বায়ক হিসেবে সংসদ অধিবেশনে তুলে ধরেছিলেন পাঁচ দফা দাবি নামা। এগুলো হচ্ছে:

    '… ক. আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সমেত পৃথক অঞ্চল হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পেতে চাই। খ. আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার থাকবে, এ রকম শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন চাই। গ. আমাদের জাতীয় অস্তিত্ব সংরক্ষিত হবে, এমন শাসন ব্যবস্থা আমরা পেতে চাই। ঘ. আমাদের জমি স্বত্ব জুম চাষের জমি ও কর্ষণ যোগ্য সমতল জমির স্বত্ব সংরক্ষিত হয়, এমন শাস ব্যবস্থা আমরা পেতে চাই। ঙ. বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল হতে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে যেনো কেহ বসতি স্থাপন করতে না পারে, তজ্জন্য শাসনতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থার প্রবর্তন চাই।…'

    এ সব দাবিনামার স্বপক্ষে এমএন লারমা সংসদের তার ভাষণে বলেছিলেন:

    '…আমাদের দাবি ন্যায় সঙ্গত দাবি। বছরকে বছরকে ধরে ইহা একটি অবহেলিত শাসিত অঞ্চল ছিলো। এখন আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৃথক শাসিত অঞ্চল, অর্থাৎ আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসিত অঞ্চলে বাস্তবে পেতে চাই।…'

    কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, এমএন লারমার দাবি সে সময় চরম অবজ্ঞা করে শেখ মুজিব সরকার।"

    দ্রষ্টব্য: গেরিলা নেতা এমএন লারমা http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=7209
  • সুশান্ত | 127.203.162.88 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১২ ২১:২০576771
  • আলোচনাটা বেশ উপভোগ করছি। গালিগালাজ ছাড়া পারলে চালানো যাক। তবে নকশাল বলে কাউকে 'গণপিটুনি'র উল্লাসের পক্ষে দাঁড়াতে পারহি না। বোঝা যাচ্ছে শাসক শ্রেণির আইন বহির্ভূত দমনে আগ্রহ প্রচুর আছে। এতে তারা অন্যায়ের কিছুই দেখেন না। জনতা, শাসকদেরকেও এভাবেই পীটুনি দিতে পারতেন, যদি আইনের এবং অস্ত্রের সুরক্ষা তাদের না থাকত। এখানেই দু'পক্ষের তফাৎ বোঝা যায়। তা প্রথম পক্ষকে যতই গালি গালাজ করুন না কেন!
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১২ ০১:৫১576772
  • নকশালরা কোন আইনের বলে নিজের দলের কমরেডদের হ্ত্যা করেছে? প্রতিপক্ষ দলের লোকদের মেরেছে? কোন আইন বলে মানুষ হত্যা করেছে?
  • PT | 213.110.246.230 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১২ ২০:৪০576773
  • পঃ বঙ্গের জঙ্গলমহলে সরকারী দলের লোকেদের হত্যা করার সময়েও মাওব্যথীরা একই যুক্তি খাড়া করেছিল! মিত্রপক্ষের হাতে কিষেণজীর নিধনের পরে সবাই অবিশ্যি চুপ মেরে গিয়েছে। সেটা বোধহয় এখনও বাংলাদেশে হয়ে ওঠেনি।
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১২ ২১:০৮576774
  • বাংলাদেশে সেটা হবে না। কারণ বাংলাদেশ চিনাপন্থীরা কোনোকালেই গোণাগুন্তির মধ্যে পড়ত না। খুব অল্প সংখ্যাই এরা ছিলেন। এরা মূলত মুস্লিম লীগের শিক্ষিত অংশএর প্রজন্ম। এদের মধ্যে পাকিস্তানপন্থা সবসময়েই ক্রিয়াশীল।
    এখনতো এদের অতি অল্প সংখ্যায় আছে। এদের কিছু অনুসারীরা কিছু কিছু এলাকায় চাঁদাবাজী কেরে। ডাকাতি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বিএনপি-জামায়াতের হয়ে ভাড়া খাটেন। এবং বিএনপি-জামাতের দলে মার্চ করে চলে গেছে। আর কিছু লোকজন--সংবাদপত্র নানা ধরনের আর্টিকেল লেখেন--যেখানে সবাই শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে নানা বিষোদ্গার করেন।
    এদের কেউ পোছে না।
  • Sibu | 118.23.96.4 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১২ ২১:২৩576775
  • এই ভাড়া খাটার ব্যাপারটা বাংলাদেশেও আছে, না! এপারে তো মমতার হয়ে ভাড়াটে খুনী ও অ্যাপলিজিস্টের ভূমিকায় এদের দেখেইছি।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:২৬576777
  • অন্ধত্ব ব্যক্তি আক্রোশ ও তুমুল হিংসা সৃষ্টি করে। হোক নকশাল, অথবা বাকশাল। এমন কি এই টই'তেও বিষয়টি প্রকট। (খুব খেয়াল করে)

    ভক্তিজ্ঞানে আর যাই হোক, ইতিহাসের নির্মোহ পাঠ চলে না। :P
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৫৩576778
  • হুমায়ুন আজাদের “আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম” চেয়েছিলাম গ্রন্থ থেকে:

    ["আমাদের মধ্যযুগীয় সামন্ততান্ত্রিক সমাজে সহজেই মাতবরবংশ বা রাজবংশ গড়ে ওঠে। মুজিবরাজবংশও গড়ে উঠতে সময় লাগে নি।

    দলে দলে দেখা দেয় সুযোগসন্ধানী পুজোরীরা, স্তাবকেরা, তারা নানা স্তোত্র রচনা ও আবৃত্তি করতে থাকে, মুজিবকে ভূষিত করতে থাকে প্রাচীন বিধাতার বিভিন্ন গুণাবলীতে, তিনি হয়ে উঠতে থাকেন বাঙ্গলাদেশের মহাবিধাতা। বিধাতার পুজো করে পুজোরীরাও নিজেদের মধ্যে বোধ করে বিধাতার মহিমা, বিধাতাকে সুদূর করে দেয়; মুজিবও ধীরেধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে থাকেন জনগণ থেকে।

    মুজিব বিশাল জননেতা ছিলেন, ডেমাগগ ছিলেন, জনতাকে ঢেউয়ের মতো দোলাতে পারতেন, আগুনের মতো দাউদাউ করাতে পারতেন, কিন্তু কেউ তাঁকে জ্ঞানী বা প্রাজ্ঞ বা বুদ্ধিজীবী মনে করতো না। তিনি শুদ্ধ বাঙলা বা ইংরেজিও বলতে পারতেন না, বলতেন আঞ্চলিক, তাতে কিছু যায় আসে নি – তাঁর ভায়রা/ভায়েরা আমার বিখ্যাত সম্বোধন হয়ে আছে; তাঁর কাছে কেউ রাজনৈতিক দর্শন বা তত্ত্ব চায় নি। মুজিববাদের মত লঘু মতবাদ বা প্রপাগান্ডা প্রচারিত হতে দেখে অজস্র দুঃখকষ্টের মধ্যেও জনগণ কৌতুক বোধ করতো। স্তালিন, মুসোলিনি, কিম ইল সুংয়ের খণ্ড খণ্ড রচনাবলি বেরিয়ে জনগণকে ভীত ও স্তম্ভিত করেছে, তবে ওগুলো লিখেছে ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীরা।

    মুজিবের বিরুদ্ধে তখন ক্ষোভ কতোটা প্রবল হয়ে উঠেছিল, তার প্রমাণ মেলে পল্টনের এক জনসভায়; এক ছাত্রনেতা ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ থেকে মুজিবের নাম বাতিলের ঘোষণা দেয়।

    মহানেতার মকায় ক্রমশ খর্ব হয়ে যেতে থাকে।

    ওটি কোনো নির্বাচন হয় নি, হয়েছিল প্রহসন, ও জাতীয় ট্রাজেডি।

    আওয়ামি লিগরা পাশ করেন, এবং শেখ মুজিব অন্য যে কজন অ-মেরুদণ্ডিকে পাশ করাতে চান তাঁদের পাশ করান।

    কলঙ্কে সূর্যের মুখ ঢাকা পড়ে যায়।

    কী দরকার ছিল নির্বাচনের? ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে পাশ করিয়ে আনলেই হতো। মুজিবের ভোট বাড়ানো হলো, মুজিবকে কমিয়ে দেয়া হলো। যিনি ছিলেন মহাকায়, তিনি জনগণের চোখে হয়ে উঠতে লাগলেন বামন। তিনি যাত্রা করেন অন্ধকারের দিকে।

    জনগণের মনে হাহাকার জেগে উঠতে থাকে – আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম? এজন্যে বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম?

    মুজিবের কথা মনে হলে আমার জুলিয়াস সিজারের কথাই মনে পড়ে।

    মুজিব ক্রমশ হয়ে উঠতে থাকেন একনায়ক, গণতান্ত্রিক জুলিয়াস সিজার হয়ে উঠতে থাকেন একনায়ক সম্রাট জুলিয়াস সিজার, কিন্তু মুজিবের দুর্ভাগ্য তাঁর কোনো আন্তোনিও ছিলো না।

    মুজিব পরিবৃত ছিলেন দুষ্ট রাজনীতিক, বিশ্বাসঘাতক, ও স্তাবকদের দ্বারা, স্বার্থপরতা আর কৃতঘ্নতা ছাড়া যাদের আর কোনো প্রতিভা ছিলো না। তাঁরা অনেকে আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে থাকে, তিনি তা বুঝতে পারেন নি। চক্রান্ত করার থেকেও যা ভয়াবহ, তা হচ্ছে তারা তাঁকে দূষিত করতে থাকে; জনুগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে থাকে।

    মুজিবও ভুলে যাচ্ছিলেন নিজেকে ও জনগণকে।

    মুজিবকেও চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে অর্পণ করা হয় মহারাজমুকুট, ক্ষমতা দেয়া হয় সিজারের থেকেও বেশি। একনায়ক হওয়ার দিকে কেনো তিনি ঝুঁকেছিলেন? গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করলে তো তিনি সেদিকে ঝুঁকতে পারেন না। তাঁর কি মনে হয়েছিলো, তাঁর পুজোরীরা কি তাঁকে বুঝিয়েছিলো, যে তাঁকে বিধাতা হতে হবে?

    তিনি কি চেয়েছিলেন আমরণ বাঙলাদেশের অধীশ্বর থাকতে? তিনি কি একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে রেখে যেতে চেয়েছিলেন যুবরাজদের, যারা তাঁর পরে হবে বাঙলাদেশের নিরংকুশ অধীশ্বর?

    চতুর্থ সংশোধনীটি পড়ার সময় রক্ত ঠাণ্ডা হয়ে যায়; করুণা জাগে, এবং দেশ ও তার মহানেতার ভবিষ্যৎ ভেবে হাহাকার করতে ইচ্ছা করে।

    মুজিবই ছিলেন বাঙলাদেশের প্রকৃত একনায়ক – মহাএকনায়ক; তাঁর পরে যে সামরিক স্বৈরাচারীরা এসেছে, তারা তাঁর পাশে তুচ্ছ, আমের আঁটির ভেঁপুবাজানো বালকমাত্র।

    একটি রাষ্ট্র সৃষ্টিতে তিনি মহাকায়, একনায়ক হওয়ার সময়ও ছিলেন মহাকায় – শুধু তখন তাঁর আকৃতিটা বদলে গিয়েছিলো।"]
    http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=31877#comment-101394
  • PT | 213.110.243.23 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ ২০:১৪576779
  • "ভেঁপুবাজানো বালকমাত্র"!! যে লোকটা একনায়ক হওয়ার সুযোগই পেলনা তার তুলনায় লুটে-পুটে খাওয়া এরশাদ নাকি বালকমাত্র!! কি বিস্ময়কর নিরপেক্ষ শব্দ নির্বাচন!!
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:৫০576780
  • কাল নয়, কর্মটি বিচার্য। হুমায়ুন আজাদ বরাবরই ওই রকম নির্মোহ ও স্পষ্টবাদী। -:)
  • PT | 213.110.243.21 | ২০ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:০১576782
  • বাংলাদেশ সম্পর্কে হুমায়্ন আজাদই শেষ কথা বলবেন এই নিদান কে দিয়েছে?
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.229.21 | ২০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৪:০৫576783
  • কেউ না। ...শেখ মুজিব সম্পর্কে হুমায়ুন আজাদ উদ্ধৃত করলেই বাংলাদেশের ওজু নষ্ট হয়ে যায় না। ...তবে অনেক গুরুতর সত্য উন্মোচিত হয়। ইতিহাসের লীলা। :P
  • PT | 213.110.243.23 | ২১ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:২২576784
  • হুমায়ুন আজাদ যা যা লিখেছেন তার সবটাই তো আর ঐতিহাসিক সত্য নয়। তাঁর লেখার অনেকটা জুড়েই "কি হইলে কি হইতে পারত" গোছের কথাও আছে। সেক্ষেত্রে এরশাদ জাতীয় লোকের কাজকর্ম যেখানে ঐতিহাসিক ভাবে প্রমাণিত সেগুলোকে "ভেঁপুবাজানো বালকের" কাজমাত্র বলে চিহ্ণিত করলে আজাদের নিরপেক্ষতা কিংবা ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতা মোটেই প্রমাণিত হয়্না।
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১২ ০৭:৩৩576785
  • বিপ্লব রহমান শেখ মুজিব বিষয়ে হুমায়ন আজাদের লেখা থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
    কিন্তু তিনি অন্যদের উদ্ধৃতিগুলো দেন নাই। সেগুলোও দিতে পারতেন। তাহলে আলোচনাটা নির্মোহ হত। শেখ মুজিব বিষয়ে অন্নদাশঙ্কর রায়ের মূল্যায়ন কি ছিল?
    প্রফেসর আনিসুজ্জামানের মন্তব্য কি? সরদার ফজলুল করিমের মতামত কি?
    এবং হুমায়ুন আজাদ কি মুজিবকে জিয়াউর রহমান, এরশাদের চেয়েও খারাপ মনে করতেন? সামরিক শাসক জিয়া এবং এরশাদের সামরিক শাসন কি মুজিবের ১৯৭১-১৯৭৫ সালের সাড়ে তিন বছরের শাসন কালের চেয়ে অনেক ভালো ছিল? এই মূল্যায়নগুলিও দরকার। না হলে শেখ মুজিব বিষয়ে কথাবার্তা উদ্দেশ্যপূর্ণ হবে।
  • ranjan roy | 24.99.124.113 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১২ ০৮:২২576786
  • কুলদা রায়ের এই বক্তব্যটি সঠিক। সাদা-কালোর বাইরে ইতিহাসের নির্মোহ ধুসর বিশ্লেষণের (সেটাও আপেক্ষিক) জন্যে দু'দিকের বক্তব্য/মূল্যায়ন কেই পাতে দিতে হবে।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১২ ১৪:৫৪576788
  • " সাদা-কালোর বাইরে ইতিহাসের নির্মোহ ধুসর বিশ্লেষণের (সেটাও আপেক্ষিক) জন্যে দু'দিকের বক্তব্য/মূল্যায়ন কেই পাতে দিতে হবে।"

    _____________
    এ ক ম ত। যে কেউ মূল্যবান ওই মূল্যায়ন তুলে ধরতে পারেন। বাধা তো নাই। তবে কথা হচ্ছে, মুজিব বন্দনার বিপরীত পাঠটিও নির্মোহ বিবেচনার জন্য জরুরি। নইলে ভক্তিবাদের সুপ্তফনা/ কুলদা রায় কথিত "উদ্দেশ্যপূর্ণ কথাবার্তা" বোঝা দুস্কর হবে। [খুব খেয়াল করে]
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন