এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লড়াইটা হোক সামগ্রিক পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, শুধুমাত্র একটি ধর্ষণের বিরুদ্ধে নয়

    ananyo
    অন্যান্য | ২৫ ডিসেম্বর ২০১২ | ৬২১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিদ্ধার্থ | 129.226.184.246 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ ২৩:১০579364
  • ২৫ ডিসেম্বর আবাপ-তে শাশ্বতী ঘোষের লেখাটা নাড়িয়ে দিল।

    নগরায়ন, উন্নয়ন এসবের সংগে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার এরকম একটা আনালিসিস আগে পড়িনি।

    খুব কম লেখাই ভাবায়। ধর্ষণ কত বাজে পুরুষতন্ত্র নিপাত যাক জাতীয় লেখা গত ১০ দিনে পড়ে পড়ে হেজে গেছিলাম। এই লেখাটা ভাবাচ্ছে। ...
  • Shola the Great | 24.96.124.250 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ ২৩:৩৩579365
  • বোধি - মুজতবার ওই কর্নেলের গল্পটাই বার চারেক পড়ে এসো।
  • Shola the Great | 24.96.124.250 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ ২৩:৩৪579366
  • পড়াশোনা করতে বল্লে তুমি নিশ্চয় খচবে না;-)
  • জগাই | 127.194.206.211 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ০০:৫৮579367
  • উপনিষদের ভাটটা নিয়েও দু পয়সা দিয়েই যাই, এসেছি যখন।
    হরফ, বৃহদারণ্যক উপন্যাস, পাতা ৮৮০-৮৮১
    ""
    মন্তব্যঃ অশ্লীল অংশাদিঃ (ক) ৬।২।১৩, ৬।৪।২-১২ ও ৬।৪।২১-২৩প্রভৃতি।
    ----{{ এর মধ্যে ৬।৪।৭ হল এই টই শুরুর উদ্ধৃত শ্লোক}} ---
    এস্থলে প্রশ্ন এই, উপনিষদে অশ্লীল বিষয়ের স্থান হইল কেন? এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য এই - সাধারণ লোকের নিকটে বিবাহধর্ম ইন্দ্রিয়ভোগের ব্যাপার এবং হাস্য পরিহাসের বিষয়। ঋষি এস্থলে অন্য আদর্শ দেখাইয়াছেন। আমরা বলি বিধাতার সৃষ্টিব্যাপার অতি গম্ভীর; ঋষির নিকটে মানুষের উপ-সৃষ্টি ব্যাপারও তেমনি গম্ভীর। তিনি উপ-সৃষ্টিকে একটি যজ্ঞরূপে বর্ণণা করিয়াছেন । (৬।৪।৩); ইহা যজ্ঞ, সুতরাং ইহার শুভক্ষণও আছে। মন্ত্রও আছে। উপনিষদের এই প্রকরণে এই উপসৃষ্টি যজ্ঞই ব্যাখ্যাত হইয়াছে। ইহার মন্ত্রাদি বর্তমান আদর্শের বিরোধী এবং এই যজ্ঞ বর্ণণাও সকলের পাঠ্য নহে। চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরবিজ্ঞানের সমুদয় তত্ত্ব সকলের নিকটে ব্যক্ত করা যায় না। উপসৃষ্টি-যজ্ঞও গুহ্য বিষয় অর্থাৎ উপনিষদ ঋষিগণ সাধারণের নিকট ইহা ব্যক্ত করিতেন না, উপদেশ দিতেন উপযুক্ত শিষ্যকে।

    (খ) ৬।৪।৬-৮ অংশে যে উপদেশ দেওয়া হইয়াছে সেই উপদেশটিকে আমরা ঘোর দুর্নীতি বলে মনে করি। ইহা সর্ব সমাজেই নিন্দনীয় এবং এজন্য রাজদ্বারেও দন্ডিত হইতে হয়। উপনিষদে কেন ইহা স্থান পাইল সে বিষয়ে আমাদের বক্তব্য এই --যে যুগে বিবাহপ্রথা প্রবর্তিত হয় নাই বা সুপ্রতিষ্ঠিত হয় নাই, যে যুগে নরনারীর দৈহিক সম্বন্ধকে আহার -নিদ্রার ন্যায় একটি স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করা হইত, যে যুগে স্ত্রীজাতিকে গো, অশ্ব ও ধনধান্যের ন্যায় সম্পত্তি ও শস্যক্ষেত্রের ন্যায় ক্ষেত্র বলিয়া বিবেচনা করা হইত এবং যে যুগে মানুষের পক্ষে কর্মার্থ ও আত্মরক্ষার্থ পুত্রলাভ ও পুত্রের সহায়তা নিতান্ত আবশ্যক হইয়া পড়িয়াছিল - উপনিষদের পূর্বোক্ত উপদেশ সেই যুগের নীতি।

    ইহা অতি বর্বর যুগের নীতি। উপনিষদের যুগও যে এই প্রকার বর্বর ছিল তাহা নহে। সে যুগে যাজ্ঞবল্কের ন্যায় ঋষির অভ্যুত্থান হইয়াছিল এবং গার্গী ও মৈত্রেয়ী জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। কিতু জনসাধারণের আদর্শ উন্নত ছিল না। এই সময়ে সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন শিথিল ছিল। তাহার প্রমাণ এই - ১। বামদেব্য-ব্রতে ব্যভিচার সমর্থন করা হইয়াছে। (ছান্দোগ্য উঃ ২।১৩); ২। সত্যকাম জাবালের জন্ম (ছান্দোগ্য উঃ ৪।৪); ৩। মহাভারতের আদিপর্বে (১২২ অধ্যায়ে) ইহার সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে। লিখিত আছে যে এক সময়ে এক ব্রাহ্মণ উদালক ও তার পুত্র শ্বেতকেতুর সমক্ষেই উদ্দালক-পত্নীকে যেন বল প্রয়োগ করিয়াই (বলাৎ ইব) অন্যত্র লইয়া গেল। ইহাতে শ্বেতকেতু অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইলেন। কিন্তু উদ্দালক বলিলেন -- তাত! কোপ করিও না; এষঃ ধর্মঃ সনাতনঃ অর্থাৎ ইহা সনাতন ধর্ম (১।১২২।১৪)। ইহার পরে তিনি আরও বলিলেন - পৃথিবীতে সর্ববর্ণের অঙ্গণাগণ অনাবৃতা। মনুষ্যগণ স্ব-স্ব বর্ণের নারীর সহিত গোবৎ আচরণ করে (১।১২৩।১৪-১৫)

    উদ্দালক বৃহদারণ্যক উপনিষদের একজন ঋষি এবং যাজ্ঞবল্কের সমসাময়িক। কিন্তু এ যুগেও যে ব্যভিচার সমর্থিত হইয়াছে তাহা আশ্চর্যের বিষয় নয়; আশ্চর্যের বিষয় এই যে এই প্রকার নিম্নস্তরের সমাজেও যাজ্ঞবল্ক্যাদির ন্যায় ঋষি জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। উপনিষদের এই মন্ত্রে ঋষি যে প্রচলিত নীতি অপেক্ষা হীন নীতি প্রচার করিয়াছেন তাহা নহে। তিনি প্রচলিত নীতিরই প্রতিধ্বনি করিয়াছেন।
    ""
    হ্যাঁ, এটা অনুবাদকদেরই বক্তব্য, বোধহয় সীতানাথ তত্ত্বভূষণের, প্রবেশক ভূমিকা তিনিই লিখেছেন।
  • sinfaut | 127.194.243.68 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ০১:৩৯579368
  • আলি সম্পক্কে আমিও হানুদার লাইনেই ভেবেছিলাম। আলির অন্য একটা লেখাতেও পড়েছিলাম, বেশ করেছে লন্ডনে বোম ঝেড়েছে টাইপের কথা।
  • ranjan roy | 24.96.67.135 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ০৬:৫২579370
  • আজ রাত তিনটেয় নেট খুলে মন খারাপ হয়ে গেল। সিঙ্গাপুরে মেয়েটি চলে গেছে। সবার প্রার্থনা ব্যর্থ করে দিয়ে ভয়ানক আশংকাটিই সত্যি হল। অক্ষম রাগ, ইমপোটেন্ট রাগ।

    এ নিয়ে অনেক কথা হয়ে গেছে। তবু যাঁরা বৃহদারণ্যকে 'ধর্ষণ' কথাটি নেই বলে তৃণ আঁকড়ে ধরেছেন তাঁরা কি খেয়াল করেছেন যে বৃহদারণ্যক ওটাকে কাম্য নারীর সঙ্গে পুরুষের আদর্শ ব্যবহার হিসেবে প্রেসক্রাইব করেছেন! কোন অপরাধ হিসেবে নয়। সীতানাথ তত্ত্বভূষণের টীকা দেখুন। মনে হয় তখন ওটাই সামাজিক মান্য ব্যবহার ছিল। ধর্ষণ কথাটা পরের আমদানী।
    মেয়েটিকে যে পশুরা বাসে জোর করে চেপে ধরেছিল তারা কি বলেছিল যে আয় , ধর্ষণ করি? বা আইনের অমুক ধারা অনুযায়ী অপরাধ করি?
    কোন নারীকে লোভ বা ভয় দেখিয়ে তাকে সহবাসে বাধ্য করাকে ধর্ষন ছাড়া আর কি বলে জানিনা।
    ডঃ অনীতা যেমন পুলিশের সেমিনারে বলেছেন যে এত গুলো পুরুষের সামনে মেয়েটি সারেন্ডার করলে ইনটেস্টাইন বেঁচে যেত।
    কিন্তু তাহলে সেটা কি ধর্ষণ হত না? বৃহদারণ্যকের ষষ্ঠ অধ্যায় কি দিশানির্দেশ দিচ্ছেন?
  • ranjan roy | 24.96.67.135 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ০৭:৫৬579371
  • হনু,
    পড়াশুনো, মুজতবা ও নাজিবাদঃ
    -----------------------------------
    পড়াশুনোর ব্যাপারে কী হওয়া উচিৎ আর আমরা সচরাচর কী করে থাকি এ ব্যাপারে তোমার পারসেপশন ১০০ প্রতিশত সঠিক। কিন্তু আমাদের 'জীবন চলিয়া গেছে কুড়ি কুড়ি বছরের পার'।
    কাজেই- ' আর হবে না মানবজনম ভাঙলে মাথা পাষাণে,
    বল শুনি সেই হরির নাম বদনে।।

    মুজতবার ভারতের স্বাধীনতাকল্পে ইংরেজ-বিরোধিতা খুব প্রবল ছিল। 'দেশে-বিদেশে' আড্ডায় পোলিশ মহিলাটির জবাবে যে বলা হয়েছিল-- কাদের কথা বলছেন? ওই যারা ইংলিশ চ্যানেলের ওপারে এতটুকু পুঁচকে দ্বীপে থাকে?' মনে কর।
    সেই পরিপ্রেক্ষিতে জার্মানী ইংরেজদের ঠেঙিয়ে ভুত ভাগিয়ে দিক গোছের আশা অনেক বাঙালীর ছিল। অনেকে জাপানকে ভারতের মুক্তিদাতা ভাবতে শুরু করেছিলেন। মুজতবাও ব্যতিক্রম ন'ন।
    এই রকম একটি মনোভাবনা থেকেই উনি চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষের সময়-- তাহলে আমরা আমেরিকাকে ভারতে সামরিক বিমান-ঘাঁটি বানাতে দেব গোছের কিছু লিখেছিলেন।
    কিন্তু নাজিবাদের সমর্থন? নৈব নৈব চ।
    গোটা 'চাচাকাহিনী' আসলে ছোট ছোট হাল্কা চালের গল্পের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছে এক হিমশীতল অনুভূতি--- গ্যেটে-শিলার-কান্ট-হেগেল-মার্ক্সের দেশে নাজিবাদের শেকড় জমির গভীরে ছড়িয়ে পড়ছে।
    বলতেই পার যে ঘুষোঘুষির গল্পটিতে বা তোমার উল্লেখ করা সেই ইহুদী বিয়ে করার অপরাধে কন্যার সঙ্গে সম্পর্কছেদ করে না খেয়ে মরে যাওয়া জর্মন সম্ভ্রান্ত ভদ্রপুরুষের গল্পে(সংকলনের শ্রেষ্ঠ গল্প) চরিত্রগুলোর প্রতি পাঠকের সহমর্মিতা জন্মায় কি না? আর সেটা কাম্য কি না?
    -- অবশ্যই জন্মায়, কিন্তু নাজিবাদের প্রতি জন্মায় না। বরং এই বোধ হয় যে চরিত্রে মানবীয় গুণের অমন ঈর্ষণীয় সমাহার সত্ত্বেও ইডিওলজির গোঁড়ামি ওনাকে অমানবিক করে ট্র্যাজিক পরিণতির দিকে নিয়ে গেল। এই জন্যেই গল্পটি শ্রেষ্ঠ। আমরা হঠাৎ বুঝতে পারি যে যারা আউস্ভিৎস ঘটায় তারা কোন দূর পাহাড়ের ওপারে থাকা ।রাক্ষস-খোক্কস নয়। তারা আছে আমাদের ভেতরে,--- সমাজে, পরিবারে, আমাদের নিজেদের ভেতরে।
    ডঃ জেকিল আর মিঃ হাইড একটাই লোক।
    তারা উচ্চ সাহিত্য-দর্শন ও সংগীতের রসিক হতেই পারে আবার শিখ-মুসলমান বিরোধী দাঙ্গার প্রবক্তা হতেই পারে।
    তাই বৃহদারণ্যকে উচ্চ আধ্যাত্মিক দার্শনিক কথাবার্তার বলপূর্বক নারী সম্ভোগের প্রেস্ক্রিপ্শন সহাব্স্থান করতে পারে। তাই সত্যের রং সাদা-কালো নয়, ধূসর।
    আমাদের ভাবাদর্শ বিহীন হতে হবে না। কিন্তু সবসময় ইডিওলজিকে ক্রিটিক্যালি চ্যালেঞ্জ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে,--- সে উপনিষদই হোক বা দাস ক্যাপিটালই হোক।
    নইলে উগ্র দেশপ্রেম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় পৌঁছে যায়।
  • h | 127.194.224.198 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ০৯:০৫579372
  • আমি আর কথা বাড়ালাম না, কারণ ব্ল্যাংকি মোটামুটি সংক্ষেপে বলে দিয়েছে। এই প্রসংগ উঠছে কারণ এই রেটোরিক পার্লামেন্টারিয়ান রাও ব্যবহার করে। জিস দেশ মে গংগা দুর্গা পূজতি হ্যায়, সেই দেশে এমন রেপ দেখে অনেকেই অবাক হন, অ্যাজ ইফ এর আগে কোন উদা নেই। এমনটা যেন ভীষণ একটা একসেপশন। ব্ল্যাংকি সেই জায়গাটাই বলেছে। আমার বক্তব্য ছিল জেনেরিক, আমরা (পড়ুন বামপন্থীরা বা আধুনিকতাবাদীরা) নানা স্ক্রিপচার না পড়ায়, বালের ট্র্যাডিশনালিস্ট দের সুবিধে হয়েছে। পড়লে রেপ আটকানো যেত না, অ্যাটলিস্ট জিস দেশ মে টাইপের বক্তৃতা হলে খ্যা খ্যা করে প্যাঁক দেওয়া যেত।
  • :-( | 79.210.241.48 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১০:২৯579374
  • এই রকম একটা খবরের পর মোজাওয়ালা আলোচনা করার মত ইচ্ছে কারোরই নেই। তবু বলেছিলাম আর একবার লিখব, তাই শুধু কথা রাখতেই কীবোর্ডে খুটখাট। খুব জরুরী না মনে হলে, এই বছর আর লিখতে আসব বলে মনে হয় না।
    আসলে, আমাদের বামপন্থী মানসিকতার একটা সমস্যা আছে। হিন্দুধর্ম = যে কোনও প্রাচীন শাস্ত্র = বিজেপি/আরএসেস এই জাতীয় একটা সমীকরণ আমাদের মধ্যে কাজ করে। আমরা ভুলে যাই একটা ধর্ম কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পত্তি নয়। একটা শাস্ত্রকে তার আধ্যাত্মিক দিক বাদ দিলেও ঐতিহাসিক বা সাহিত্যিক মূল্যেও পড়া যায়। এই জাতীয় লিনিয়ার একুয়েশন নতুন নয়। দু-একদিন আগেই ডিডি বলছিলেন নেহেরু ইত্যাদি নিয়ে আরেক সরল সমীকরনের কথা। যেটা সেই সময়ের বিশ্বাসের সঙ্গে মেলেনি বলে দুঃখ পেয়েছিলেন। সত্যিতে আমরা বেশীরভাগই সেইরকম সরল সমীকরন দেখার মানসিকতা থেকে বেরোতে পারিনি। এই ম্যাচিওরিটি নিয়ে আর কি-ই বা ভাবব আর বলব?
    তবু, কয়েকটি কথা বলে যাই। আমি উপনিষদকে ডিফেন্ড করার কেউ না। আমার প্রথ্ম বক্তব্য, কোট-আনকোটের মাঝে নিজের ইন্টারপ্রিটেশন ঢুকিয়ে কোনও কিছুকেই বিকৃত করার ঔচিত্য প্রসঙ্গে। এটা করা যায় না। তৃণবৎ কোনও শব্দকেই কেউ ধরে নেই। আপনার কথায় এই রকম একটা তৃণবৎ শব্দ ব্যবহার করলে আপনি মানবেন?
    দ্বিতীয়ত, আলোচনা চলাকালে বারবার একক বলেছেন এবং আমিও তাতে সমর্থন করে বলেছি এই নেগেটিভ খোঁজের আলোচনায় কোনও লাভ নেই। সেই সময় কোন ঋষিমুনি কি প্রসঙ্গে কি বলেছেন তা আজকের দিনে বোঝা সম্ভব নয়। সেই জন্য পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনার কথা বলেছিলাম। প্রত্যেক গ্রন্থের একটা প্রতিপাদ্য থাকে। তার মধ্যে অনেক চরিত্রের অনেক কথোপকথন থাকে। কিন্তু সেই দিয়েই সেই বইয়ের প্রতিপাদ্য বা লেখকের বিচার হয় না। উদাহরণ হিসেবে শেষের কবিতার থেকে কোট করলাম। সিকি ভাবলেন উপনিষদকে কাউন্টার করতে এমন করলাম। একটু ভাবলেই উদাহরণের উদ্দেশ্য বুঝতে পারতেন।
    যাই হোক, কথা হচ্ছিল নেগেটিভ মেসেজ নিয়ে আলোচনায় লাভ আছে কি না? আমার মতে নেই। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের সাইড এফেক্টের একটা অদ্ভুত উপমা দেওয়া হল। যে উপমা এখানে খাটে না। কারণ, ওষুধ সেবনকালে আমার চয়েস থাকে না এই এই ইনগ্রেডিএন্টগুলি নেব আর এগুলি নেব না। কিন্তু শাস্ত্রে চিনিতে বালিতে মিশিয়ে আছে। আমার বুদ্ধি দিয়ে আমি বেছে নিতে পারি। তবে কেন একটা অপছন্দের অংশের জন্য গোটা বইটাকে অশ্রদ্ধা করব?
    এককও বললেন মল-মূত্র ঘেঁটে লাভ কি? তাতে কেউ প্যাথলজিকাল অ্যানালিসিসের গুরুত্ব দেখলেন। আমার সত্যি এ-হেন মল-মূত্র প্রীতি ঘাঁটার উদ্দেশ্যে কিচ্ছু বলার নেই। সেই সব বস্তুই দুইহাতে মুখে মেখে সেইসবের সুগন্ধের ব্লিস অনুভব করতে বলা ছাড়া! আত্মানুসন্ধানের আনন্দের থেকে এই আনন্দই যখন তাঁর কাছে মুখ্য, হাজার পাতার ঐ উচ্চ ভাবের আলোচনাও যদি তাঁর দৃষ্টি এই স্তরে রাখে, আমি কোথাকার কে?
    সামগ্রিক আর খন্ড দর্শন প্রসঙ্গে যে গপ্পটা দিয়েছি সেটা অবশ্যই একদেশদর্শী। উপমা মাত্রই তাই। সেটা একটা পার্টিকুলার কেসে, পার্টিকুলার পার্পাস সার্ভ করে। ভাববার কথা ছিল, অন্ধদের সাপেক্ষে দেখা এবং তার সীমাবদ্ধতা। চক্ষুমানের সাপেক্ষে সেই একই দেখা অন্য ফ্রেমে আসবে। কাজেই, আমরা যারা, ইতিহাস বা সমাজ দিয়ে দেখছি না সেই প্রেক্ষিতে ওটা খন্ড দর্শনই। যখন অনুবাদক ভূমিকা লিখেছেন, তখন তিনি সবটাই বলেছেন। আর একজন সেটা টুকেও দিয়েছেন। তার আগে অবধি, একজনের মন থেকে লেখা একটা শ্লোক নিয়ে আলোচনা করি কি করে?
    এই বার, বলি কেন হঠাৎ অন্য টইতে উপনিষদের কথা তুলতে গেলাম; যেটা তোলার জন্য হয়ত (আবার বলি, হয়ত) বা এই টই খুলিয়ের মনে হয়েছে, "সেরেচে, এই সময়ে উপনিষদের কথা বলচে, নিয্যস বিজেপি/আরএসেস জাতীয় পাবলিক। এখনি হিন্দু ধর্মের পক্ষে কথা বলে পলিটিক্যাল মাইলেজ পেয়ে যাবে। তো, শিগিরিই উপনিষদ থেকেই কিছুমিছু বলে দিই। তবে, এই অব্স্থায় ধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণাটা বেশী কাজে লাগানো যাবে।" এবং তিনি সফল।
    তবে আমার প্রিয় ভগিনী ও ভ্রাতাগন, আমার ঐ সব কিছু উদ্দেশ্য ছিলনা। আমার মনে হয়েছে আমরা তো প্রতি নিয়তই প্রার্থনা করি অসত থেকে সত্যে নিয়ে যাও, অন্ধকার থেকে আলোকে নিয়ে যাও, মৃত্যু থেকে অমৃতে নিয়ে যাও। এই অন্ধকার সময়ে এই প্রার্থনা আরও বেশীই করি। এই প্রার্থনা করতে শিখিয়েছে উপনিষদ। এই গ্রন্থ বলেছে, তোমরা অমৃতের পুত্র তোমাদের ভয় কি? তাই মনে হয়েছিল প্রতিনিয়ত কম্প্রোমাইজ করে করে নানা ভাবে ধর্ষিত হতে থাকা ভীত মেয়েরা, দেহাত্মবোধে জড়িয়ে থাকা ভীত ধর্ষক পুরুষেরা যদি সেই আলোর পানে মুখ তুলে চায়, তবে পিতৃ বা মাতৃতন্ত্র নয় আমরা মনুষ্যতন্ত্র নিয়ে ভাবতে পারব। সেই জন্যই সনাতন আদর্শের কথা বলেছিলাম যে আদর্শ বিশ্বেশ্বরের পাশে সমস্ত ঝড় ঝঞ্ঝা সামলে জ্ঞানবাপীর মসজিদকেও ধরে রাখে।
    কিন্তু হায়, আমরা এখনও এইভাবে ভাবার জন্য প্রস্তুত নই।
    তবু যদি অন্তত চেষ্টা করি পুরুষ হিসেবে নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য সব নারীকে মাতৃবুদ্ধিতে দেখব; না পারি, অন্তত ভোগ্য বস্তুরূপে দেখব না আর নিজের সন্তান আর বন্ধুদের এই কথাই বলব আর একটা চরিত্রবান জীবনযাপন করব সেই টুকুই যথেষ্ট। শ্রুতি-স্মৃতি-পুরাণ তাদের ভাগ বিভাগ আর পার্পাস নিয়ে আলোচনা পরে করলেও হবে।
    আজ আসি, এই মেয়েটির আত্মদান যেন ব্যর্থ না হয়। এর থেকে নতুন ফিনিক্স উড়ুক, এর চেয়ে বেশী আর কিছুই চাওয়ার নেই আগামীদিনের কাছে।
  • dd | 132.167.24.242 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১১:৩৯579375
  • আমিও,আমিও ফুট কাটবো,

    প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে এখনকার হিসেবে একেবারে বদহজমী আখ্যান উপদেশ প্রেস্ক্রিপশন ইঃ প্রচুর আছে। সে সব নিয়ে আমারো কোনো মাথাব্যাথা নেই। আহা, প্রাচীন যুগ তায় বুরো মানুষ, ঘাস বলতে ফ্যাঁস বলেছে।

    তবে আমি নিতান্তো রেগে যাই যখন দেখি আধুনিক মনষ্কতা দিয়ে অসম্ভব অসম্ভব সব কষ্ট কল্পিত ব্যাখ্যা চলছে।

    বেদ এমনিতেই বাইবেল/কোরাণের মতন নিত্যপাঠ্য নয়। তায় আদৌ দৈবী রচনা নয়। তাই খামোখা গায়ের জোরে জাস্টিফাই করার দরকার নেই। কিন্তু তাও ও হয়।

    আমার ফুট কাটা সমাপ্ত।
  • h | 127.194.251.146 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:২৫579376
  • অরিজিত, ওকে ঃ-))
    অক্ষ - ও দেখছি।
  • h | 127.194.251.146 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:৩৮579377
  • অরিজিত, ফাইনালি, একটু ভেবে দেখো, যে এখন মুজতবার টেক্সট গুলো কে এখনকার জার্মানী বা ব্রিটিশ লেফট উইং কোন পাবলিশার ও অম্লান বদনে নেবে কিনা। অনুবাদের জন্য।
    আর আমি বলে রাখি কেন আমি মুজতবা বা অন্যান্য প্রিয়ো লেখক দের আপত্তিকর অংশের রচনার নিন্দে করা প্রবন্ধ টা অ্যাকচুয়ালি, লিখেও কেন ছাপাই নি, আমার মনে হয়েছিল, যত সামান্য রিডিকিউলাস প্রচেষ্টাই হোক না কেন, মুজতবা আলি মুসলমান , অতএব অ্যান্টি সেমিটিক তো হবেন ই , এই জাতীয় একটা ব্যাখ্যা আসতে পারে বলে। আসবেনা কারণ কেউ পড়বে না, বড় জায়গায় ছাপা হবে না ইত্যাদি, কিন্তু তাও মনে হয়েছিল, আমার লেখায়, প্যালেস্তাইন এর স্বাধীনতা আন্দোলন এর ক্ষতি হবে। বাল হবে, আদৌ কিসুই হবে না, কারণ লেখাটা আন-ইম্পর্টান্ট হবে, আমি মানুষ টাও আন-ইম্পর্টান্ট, কিন্তু তবু, যে মুজতবাকে শান্তিনিকেতনে পাকিস্তানের চর আখ্যা শুনতে হয়েছিল তাকে নিন্দে করে আর নিজের পাপ বাড়াতে চাই নি। তবু এই পজিশন থেকে সরে আসার কোন কারণ দেখি না, যে, যে লেখক যত প্রিয় লেখক ই হোন না কেন, কোনো মামু ই সমালোচনার ঊর্ধে নন। সমালোচক যতই অকিঞ্চিতকর ফালতো হোন না কেন।
  • dd | 132.167.5.28 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:৫৫579378
  • পি জি উডহাউস।
    ওনাকে নাইটহুড দিলে খোদ ব্রিটেইনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কয়েক্জনে পদক ও খেতাব ফিরিয়ে দেন।

    উডহাউস ফ্রান্সে থাকা কালীন ৎসীদের হাতে বন্দী হন। বছর চারেক পরে মুক্তি পান। খুব মজা করে লিখেছিলেন সেই বন্দী জীবনের কথা। পড়লে মনে হয় নি (তখ্ন) প্রায় সত্তরের কাছাকাছি উনি, খুব কষ্ট পাচ্ছেন। ওটা উডহাউসের স্টাইল। নিজস্ব আইডিলিক দুনিয়াকে ত্যাগ করেন নি যদিও যথেষ্ট কষ্ট পেয়েছেন। এমনকি প্রায় অনাহারও।

    কিন্তু ব্রিটীশ কিছু মানুষের কাছে এই হাল্কাচালে বন্দী জীবনের কথা, নাৎসীদের প্রতি কোনো রাগ না থাকা - ক্যামন একটা হ্যা হ্যা মার্কা লেখা। এইসব পছন্দ হয় নি অনেকের।

    উডহাউস তারপরে আমেরিকা চলে যান।

    এইটা লিখলাম কেনো না মুজতবা আলীরও ওরকম একটি আইডিলিক দুনিয়া ছিলো। কড়া ধাঁচের পলিটিকালি করেক্ট লেখা ওনার ধাতে ছিলো না।

    উডহাউসের লেখার একনিষ্ঠ ভক্ত আমি। এই তথ্যও জানিয়ে দিলাম।
  • h | 129.226.184.246 (*) | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:০৪579379
  • IP Address : 129.226.184.246 (*) Date:28 Dec 2012 -- 11:10 PM
    এটা কি সিধু?

    হ্যাঁ শাশ্বতি ঘোষের প্রবন্ধটা খুব ই ভালো।
    তবে ঐ নিরাপত্তার অভাবের স্থানিক বৈশিষ্ট নিয়ে যুক্তিটা পার্টিকুলারলি কয়েকটা আর্বান সেন্টার কে মাথায় রেখে করা হয়েছে মনে হয়েছে। ফলে ধরে নিতেই হচ্ছে, সমাজের প্রত্যাশা যাঁদের কাছে সবচেয়ে বেশি, দরদী ইনটেলেকচুয়াল , তারাও আবাপর আদর্শ পাঠকের মত কেবলি আর্বান সেন্টার এর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। সরি এত ভালো লেখার ও এইটুকু নিন্দে মন্দ না কারে আমি পারছি না। যদিও সাজেশন গুলো,ম্যাপ ট্যাপ ইত্যাদি, ঠিক ই আছে।

    তবে সমস্যাটা তো শুধু আর্বান না, পরিচিতির ঘেরাটোপে মেয়েদের উপরে অত্যাচার তো গ্রাম বা ছোটো শহরে কম নেই। বা অন্যভাবে দেখলে, গ্রামের আধো অন্ধকার ফাঁকা ফাঁকা জংগল, ঘন বড় গাছ, ধান মাঠ ইত্যাদিকে সম্পূর্ণ আর্বানাইজ করে সিমেন্ট দিয়ে মুড়িয়ে ফেললে বলা যায় না হয়তো আলো বেশি হবার কারণে, পোলিস প্রেজেন্স বাড়ার কারণে অ্যাকচুয়ালি কমেও যেতে পারে স্ট্রীট ক্রাইম অন্তত জায়্গা বিশেষে, প্রতি ছোটো শহর আর প্রতি গ্রামের প্রতি পাড়াতে কবে আর পুলিশ কে কবে পাবে। ইত্যাদি।

    আমি বললাম বলে আজগুবি মনে কোরো না, এই সব লজিক অনেক সময়ে ব্যবহৃত হয় টাউন প্ল্যানিং এ। লন্ডনে ইসলিংটন বা উডগ্রীন বা ল্যাম্বেথ এলাকায় রাহাজানি, ছুরি মারা , রেপ ইত্যাদির ঘটনা প্রচন্ড বাড়লেই, এক পিস করে শপিং মল ও কিছু দামে ব্লক অফ ফ্ল্যাটস করে দেওয়া হত, এলাকায় কনজিউমার ও আইন অন্তত রাস্তার ক্রাইমের আইন মানার সম্ভাবনা যাদের বেশি, সেই মিডলক্লাসের পপুলেশন বাড়লেই এলাকার উন্নয়ন হয়ে যাবে। অবস্থান নেওআ কঠিন, তবে এটুকু বলে রাখা ভালো, স্ট্রীট ক্রাইম তার নতুন স্ট্রীট খুঁজে নিয়েই থাকে।

    শাশ্বতী ঘোশের মেন পয়েন্ট টা অবশ্য আসল হল, ঐ বাক্যটায়, ' (সমাজের) নজরদারেরাই যদি ...' ইত্যাদি। সেই জায়্গাটায় নতুনত্ত্ব বিশেষ নেই। আর নতুনত্ত্বের জায়্গাটাতেই দুর্বলতা।

    তাই তোমার পাঠ মুগধতা টা ঠিক হজম হল না ঃ-)
  • h | 127.194.244.14 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:০৭579380
  • ডিডি দা, ইয়েস। মানি। তবে মুজতবা বলেই প্রত্যাশা বেশি হয়তো। ভদ্রলোক তো পড়াশুনোয় কিসু বাকি রাখেন নি। লাইব্রেরী বললে লাইব্রেরীর খুশি হওয়া উচিতঃ-)
  • pi | 127.194.0.253 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:১৫579381
  • She died last night,once again raising all the questions and demanding to shout,to protest,to be aware,to find the causes behind tapasi malik,behind soni suri,behind manorama,behind each and every rape cases,and behind patriarchy.Shout against each and every cause behind rape,or else nothing will change.
    RALLY FROM COLLEGE SQUARE
    2p.m.
    JOIN AND FORWARD
  • সিধু | 129.226.184.246 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৪৭579382
  • না না ওটা না, লেখাটা ভাল লেগেছে দুখানা পয়েন্টের জন্য।
    ১। পরিচিত রুটিওয়ালা / ইস্তিরিওয়ালা, এই কনভেনশনাল পরিবেশটাকে উড়িয়ে দিয়ে আর্বানাইজেশনের নাম করে কোথাও একটা ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তাবোধটাকে হ্যাম্পার করা হচ্ছে। ফর এক্সাম্পল, আমি মাল খেয়ে আত এগারোটায় আমার পুরনো পাড়া দিয়ে ওয়াল টু ওয়াল হতে হতে যদি বাড়ি ফিরি, আমার মধ্যে তবু একটা নিরাপত্তাবোধ থাকে। পাড়ার পটকাদার চায়ের দোকান খোলা থাকবে। আলো থাকবে। পটকাদা তেমন হলে আমার সাথে দুই পা এগিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেবে। কাল এই দোকানটা উড়িয়ে একটা সিসিডি হলে যা রাত দশটায় বন্ধ হয়ে যায়, একটা শপিং মল হলে বা নিদেনপক্ষে ফ্ল্যাট যার বাসিন্দারা নটার মধ্যে হয়ত ঘরে ঢুকে যায়। কেউ কাউকে চেনে না। যে দক্ষিণ কলকাতার পাড়ায় আমার বাড়ি, সেটা তুলনামূলকভাবে মধ্যবিত্তদের একটা ট্রাডিশনাল ছক মেনটেন করে। তার বদলে সল্টলেকে বাড়ি হলে আমি ভয়েই কখনো হাঁটতে হাঁততে অত রাতে বাড়ি ফিরব না। অথচ সল্ট-লেক অনেক বেশি আর্বানাইজড। যেটা দিল্লীতেও ঘট্ছে। ঝুপড়ি উচ্ছেদ করে ট্রযাডিশনাল দোকানগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে মাল্টিপ্লেক্স হাইরাইজ করে দেওয়া হচ্ছে। এখন দুটোর মধ্যে ডিরেক্ট কোরিলেশন টানা কঠিন। কিন্তু কোথাও এই সেন্স অফ ডেভেলপমেন্টের/ আর্বানাইজেশনের মধ্যে একটা লুপহোল আছে। যে কারণে দিল্লী আর বাংগালোরে ধর্ষন রিসেন্টলি খুব বেড়ে গেছে। আজকেই বাংগালোরের আরেকটা কেস পড়লাম। একটা রাইজিং মধ্যশ্রেণীর গল্প উঠে আসছে এই ছবিটায়।

    লেখাটা শহরের ছেলেমেয়েদের নিয়েই। গ্রামের পরিস্থিতি আলাদা। এ লেখার বিষয় তা নয়।

    ২। ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসী এই ধারনাটা একটা প্যাট্রিয়ার্কাল মনোভাব থেকে উঠে আসছে। এই কেসেও ধর্ষণের থেকে অনেক বড় ব্যাপার হল মেয়েটাকে ওরকমভাবে মারা। সেটা কিন্তু পেছনে চলে যাচ্ছে। আল্টিমেটলি, খুন আর ধর্ষণ এক নয়। প্রথমটা আরো বড় অপরাধ। তোমার সবথেকে বেসিক নীড, বেঁচে থাকার অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ। দ্বিতীয়টা খুব বড় অপরাধ হলেও তোমার স্বাধীন চলাফেরা, যৌন-অধিকার এসবের ওপর হস্তক্ষেপ। এখন যারা বলছে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যু হওয়া উচিত, তারা দুখানাকে সমান করে দেখছে , যেন একটা মেয়ের সতীত্ব চলে যাওয়া মানে তার বেঁচে থাকার মানে হয়না কোনো। যে কারণে সুষমা স্বরাজরা ফাঁসীর দাবী তুলছে।

    এই কেসে রেপ হবার থেকেও সাংঘাতিক যেটা ঘটেছে তা হল অমন ভাবে অত্যাচার চালানো। শুধু এই কেসে ফাঁসীর আবেদন উঠলেও এত কিছু ভাবতাম না। কিন্তু ইন জেনেরাল রেপের শাস্তি ফাঁসী হোক এই আওয়াজটাকে প্রশ্ন করা দরকার। রেপ যত বড় অপরাধ-ই হোক না কেন, খুনের মতন বড় অপরাধ নয়। হতে পারে না।

    আপাতত এটুকুই .
  • Arijit | 127.194.239.215 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৫৯579383
  • বোধি - আজ তর্ক করতে ভালো লাগছে না। অন্য কোনোদিন। রঞ্জনদার সঙ্গে মোটামুটি একমত। কেন মুজতবার লেখা বুঝে পড়লে বিলেতেও কেউ অ্যান্টি-সেমিটিজম বলবে না সেটা নিয়ে পরে একদিন।

    আজ নাম নিয়ে খেলাও করতে ইচ্ছে করলো না।
  • sosen | 126.203.204.20 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৪:৫৭579385
  • সিদ্ধার্থের লেখার পরিপ্রেক্ষিতে একটা কথা বলি। তর্ক বিতর্ক নয়। স্রেফ আমার মত অনেকগুলো মেয়ের দৃষ্টিভঙ্গি। রেপ শুধুমাত্র মডেসটিকে ভায়োলেট করে এটা মেয়ে হিসেবে আমার মনে হয়না। এটাও সমাজের চাপিয়ে দেওয়া। আনউইলিং নারীর উপর এমনকি ইন্টারকোর্স জনিত রেপ যে পরিমাণ ফিজিক্যাল পেইন ও ট্রমা আনে তার পরিমাণ কম নয়, মেয়ে মাত্রই জানেন। তার পর ইনস্ট্রুমেন্ট এর ব্যবহার, বাধা অতিক্রম করতে পেটানো, গৌণ যৌনাঙ্গের ক্ষতি এসব তো রয়েছেই। মডেসটি ভায়োলেট করার কনসেপ্ট থাকায় এই পেইন চাপা পড়ে যায়। রেপ একরকম ফিজিক্যাল ভায়োলেন্সই। এই কেসে সেই ফিজিক্যাল ভায়োলেন্স চরম সীমায় গেছে, যেমন ওই তিন বছরের শিশুটির ক্ষেত্রেও গেছে। এটা একেবারেই আমার মেয়ে হওয়ার অভিমত, সতীত্ব ফতিত্ব আমি মানিনা, জাস্ট দ্য ফিজিক্যাল ভায়োলেন্স হিয়ার ইজ আন বিয়ারেবল , কিন্তু অনিচ্ছুক নারীর সঙ্গে সঙ্গম করায়, (যাকে ধর্ষণ বলছি,) ফিজিক্যাল পেইন,ইনজুরি , শারীরিক ক্ষতি, অবাঞ্ছিত মাতৃত্ব, জনন্ক্ষমতার লোপ , প্রতিটিরই আশংকা থেকে যায়। যে কোন গ্রেডের রেপে। এই ফিজিক্যাল পেইন ও ইনজুরির সাথে শুধুমাত্র নারীরাই হয়ত identify করবেন। মানসিক ট্রমা ধর্ষণের একমাত্র এসপেক্ট নয়। আমার সতীত্ব থাকবেনা, এটার ভয় আমরা মেয়েরা যতটা না পাই, শারীরিক ক্ষতি, স্বাভাবিক ভাবে সেনসিটিভ শরীরের উপর আক্রমণের ভয় তার থেকে বেশি ই পেয়ে থাকি।
  • ranjan roy | 24.99.224.3 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৬:০৭579386
  • সোসেন,
    খুব সেন্সিটিভ প্রশ্ন তুলেছেন আপনি আর সিধু। দুজনের বক্তব্যকেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।
    খালি সংকোচের সঙ্গে একটা কথা বলি। আপনার মানসিকতা পুরোপুরি আর্বান; সেটা স্বাভাবিক এবম আমার চোখে কাম্য।
    কিন্তু গাঁয়ের মেয়েদের কথা ভাবুন। ওদের কাছে সতীত্ব যাওয়ার মানে পাড়া-পড়শির ছি-ছিকার। ঘরে বাইরে গঞ্জনা। অবিবাহিত মেয়ে হলে বিয়ে না হওয়ার সম্ভাবনা, সব মিলে টোটাল অসুরক্ষার ভয়। এই সব অনুভূতির নীট যোগফলকে আমরা পুরুষেরা সতীত্ব বলে দাগিয়ে দিই।
    কারণ মেয়েদের তথাকথিত 'সতীত্ব'টা পুরুষএর মানসিক সমস্যা। তাই হাইমেনের বাংলা হয় 'সতীচ্ছদ'। ছেলেদের অমন কিছুই নেই। অর্থাৎ ছেলেদের 'সৎ'( সতীর বিপরীত লিঙ্গ?) হওয়ার কোন দায় নেই।
    লড়াইটা এই পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে।

    ডিঃ স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের মায়ের মত দেখব, ভোগের চোখে দেখব না-- অর্থাৎ মাতৃবৎ পরদারেষূ শুধু নয়, সমস্ত নারী নির্বিচারে মাতৃবৎ-- এও সেই পুরুষের তৈরি রক্ষাকবচ।
    ভোগের চোখে দেখা আর 'ভোগ্যবস্তু' হিসেবে দেখা এক নয় বলেই মনে করি। নারীকে 'ভোগ্যবস্তু' হিসেবে দেখার অর্থ নারীর শরীরের ব্যাপারে নারীর নিজের ইচ্ছার অস্তিত্বকে স্বীকার না করা।
    এই দৃষ্টিকোণ কারো ব্যক্তিগত পছন্দ বা কারো চোখে উচ্চ আধ্যাত্মিক আদর্শ হলেও হতে পারে। কিন্তু মনের অগোচর পাপ নেই। আমি নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের মাতৃবৎ দেখব এমন কথা দিতে পারছি না। আমার কাছে এটা অপ্রয়োজনীয়। পসন্দ আপনী আপনী।
    বামপন্থীমাত্রেই অবচেতনে প্রাচীন দর্শন-পুরাণের মধ্যে হিন্দুইজম= আর এস এস গোছের সরল সমীকরণে ভোগেন এটা একটু বেশি এক্স্ট্রাপোলেশন।
    তাহলে রাহুল সাংকৃত্যায়ন, দেবীপ্রসাদ চট্টো, ভদন্ত আনন্দ কোশল্যায়ন, ডিডি কোশাম্বী বা নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য -এঁরা এত কষ্ট করে বেদ-বেদান্ত-উপনিষদ-সংহিতা ষড়দর্শন পড়তেন না।
    যতদূর জানি মৃণালকান্তি গঙ্গো নবদ্বীপের টুলো পন্ডিতদের বংশধর। তিনি দেবীপ্রসাদের সঙ্গে মিলে ন্যায়দর্শনের ওপর যে অসামান্য বইটি লিখেছেন সেটা পড়লে আমি কী বলছি বোঝা যাবে।

    যিনি অংশ আর সমগ্র নিয়ে বিতর্ক করছেন উনি অভিযোগ না করে সমগ্র পড়ে দেখান দেখি বিতর্কিত শ্লোকের কোন পুণ্য মানে হয়।! পন্ডিত সীতানাথ তত্ত্বভূষণ নিজে বৈদান্তিক হয়েও ওই শ্লোকটির নিন্দা করেছেন। অথচ আমরা ---।
    উনি ওনার এডিশনে ওই চ্যাপটার বা শ্লোকটি খুঁজে পান নি।কারণ ওই অপ্রিয় শ্লোকটি চেপে দেয়া হয়েছে। অথচ মিশনের স্বামী গম্ভীরানন্দের অনুবাদে বা হরফ প্রকাশনীর অনুবাদে শ্লোকটি আছে। ভাষান্তরে একটি অনুবাদে 'ধর্ষন' কথাটি নিয়ে গোঁজামিল বলার আগে দেখুন তাতে মূল অন্বয়ে বা অন্য কোন টীকাকারের অনুবাদের সঙ্গে মূল ভাবনায় তফাৎ হচ্ছে কি না। তাহলে জোর করে মানে কারা করছে?
    বামপন্থীরা এতে আর এস এস দেখছে না। বরং এই প্রাচীন সাহিত্যগুলোকে তৎকালীন সমাজের জীবন ও চিন্তার অমূল্য দলিল হিসেবেই দেখছে, কিন্তু সেই মূল্যবোধ কে ভক্তের তৃতীয় নয়নে দেখে নির্বিচারে গ্রহণ করার বিরোধিতা করছে। আর প্রাচীন দার্শনিক ঐতিহ্যের বেদ অনুসারী ষড়দর্শনের একটি হল বেদান্ত দর্শন বা উত্তরমীমাংসা।
    একেই পরমসত্য বলে বামপন্থীরা মানতে নারাজ। বরং পূর্বমীমাংসার সৃষ্টিতত্ত্ব, ন্যায়-বৈশেষিকের পরমাণুবাদ ও লজিক বামপন্থীদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
    শেষে একটা কথা বলিঃ
    রাগের কি আছে, ভাই?
    ভক্তকবি জয়দেব গোস্বামী তাঁর ম্যাগনাম ওপাস'গীতগোবিন্দম্‌' এর উৎসর্গপত্রে বলেছেন যে দুইধরণের লোকের জন্যে এই গ্রন্থরচনা। এক, যাঁরা হরিনাম আস্বাদের সুখ পেতে চান, দুই যাঁরা বিলাসকলায় পারঙ্গম হতে চান। উনিও মানছেন -- পসন্দ আপনী আপনী!
    তাই রাধাকে যখন সখীরা বলেন-"
    রতিসুখসারে গতমভিসারে মদনমনোহরবেশম্‌,
    ন কুরু বিলম্বন গমনতুরন্তম যথা তিষ্ঠতি হৃদয়েশম্‌।
    ধীরসমীরে যমুনাতীরে বসতিবনে বনমালী,
    পীনপয়োধর পরিসরমর্দন চঞ্চল করযুগশালী।।"
    তখন কেউ ভক্তিগদগদ হয়ে আনন্দাশ্রু বর্ষণ করতে পারেন কিন্তু আমি যদি ছন্দ আর অনুপ্রাসে মুগ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে এরটিক পাঠের আনন্দ পাই তাহলে আমাকে গু-মুত ঘাঁটা লোক বলে গাল দিতে পারবেন না কিন্তু। গোস্বামীজী নিজে অনুমতি দিয়ে গেছেন যে!
  • | 75.255.37.177 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৬:৪৩579387
  • রঞ্জনদা ক|
    আর বিবাহিতরা স্ত্রী ব্যতীত নারীদের মাতাজ্ঞান করবেন কিন্তু অবিবাহিতরা সকল নারীরে মাতাজ্ঞান করলেতো বিবাহই করিতে পারিবে না| নচেত মহাপাপ হইবে যে!
  • শ্রী সদা | 132.176.98.243 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৭:২৭579388
  • সিধুদা, ১ নং পয়েন্টটা অত্যন্ত ভ্যালিড মনে হল। মূল প্রবন্ধ (আবাপ) এর লিং পাওয়া যাবে ?
  • sosen | 126.203.204.20 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৭:৪৪579389
  • রঞ্জনদা, গ্রাম ও শহর, সব জায়গায়ই ধর্ষণের ফলে একজন ইন্ডিভিজুয়ালের শারীরিক ক্ষতি ও তজ্জনিত ট্রমা অনেক সময়েই হত্যার চেষ্টার মতই ভয়ংকর। বহু সময়ে তা ইর্রিপেয়ারেবল। সামাজিক ভাবে ব্রাত্য হয়ে যাওয়ার বোধ তো আছেই, সমাজ করেও থাকে। কিন্তু সেটাও তৈরী করা, পুরুষের সমস্যা, আদতে মেয়েদের নয়, যেমন আপনি বলেছেন, একমত। আমি শুধু এটাই পয়েন্ট আউট করতে চাইলাম, যে ধর্ষণ কে যখন আমরা অপমান, লজ্জা, ইত্যাদি বলে ট্রিভিয়া তৈরী করি, তখন খুব subtly পিতৃতান্ত্রিকতা আমাদের বলে দেয় কোন জিনিসটা বেশি বড় হয়ে দাঁড়াবে। তাই ধর্ষিতা শারীরিক ক্ষতির কথা বলতে লজ্জা পায়। তাই আদালতে ডিফেন্স প্রসিকিউশন ধর্ষিতা, মলেস্টেড মেয়েদের যৌন ইঙ্গিত পূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে দমিয়ে ফেলে, বহু মেয়েরা বলেই উঠতে পারেননা ঠিক কতটা ক্ষতি তাঁদের হয়েছে। আমাদের ডাক্তারি সিস্টেম ঠিকঠাক হিসেব দিতে অপারগ, বিশেষত গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষেত্রে, হুকারদের ক্ষেত্রে, যৌন পেশার মহিলাদের ক্ষেত্রে। এই অপমান ও লজ্জার কথাই বারবার উঠে আসে- আর সেই কনসেপ্ট এই ট্রিভিয়ার জন্ম দেয়, যে যৌনকর্মীকে ধর্ষণের জন্য ঠিক ততটা শাস্তি হতে পারেনা(সে তো সেই অপমান /লজ্জার ভিতরেই রয়েছে), যতটা আমাদের ঘরের কন্যাসন্তানটিকে ধর্ষণের জন্য হতে পারে। অবশ্যই এটা পুরুষতান্ত্রিকতার দ্বারা তৈরী, বহুদিনের শিকল, একদিনে ছেঁড়া যাবে না। কিন্তু, ধর্ষণের ফলে হওয়া নারীর শারীরিক ক্ষতিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এড্রেস করা হয়না। যদিচ সেই ক্ষতি ও যন্ত্রণা একই রকম। ধর্ষণের ফলে মৃত্যু প্রায়শই হয়ে থাকে, যেমন পেটানোর ফলে মৃত্যু হয়ে থাকে। অনিচ্ছুক বা অপ্রস্তুত নারীদেহে পেনিট্রেটিভ/নন পেনিট্রেটিভ সেক্স শুধু যৌনতার অধিকার, সম্মান বা ব্যক্তিগত স্পেসকে নয়, শরীরকে যথেষ্ট আঘাত করে, এবং সেই পয়েন্ট কে এড্রেস করা দরকার বলে মনে হয়, আইনের থেকে modesty ইত্যাদি গল্প সরিয়ে। এবং আমাদের ও সেইভাবেই দেখা প্রয়োজন। ফিজিক্যাল ভায়োলেন্স যেখানে মৃত্যুর দোরগোড়ায় নিয়ে যায় সেখানে সতীত্ব শব্দটি উচ্চারণ করাও একধরনের লঘুত্বকরণ। সেই কনসেপ্ট গ্রাম/শহর নির্বিশেষে ছড়ানোর প্রয়োজন বলেই মনে হয়।
  • প্যাংলা | 127.194.26.134 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৭:৪৮579390
  • টইটার নামটা যেমন প্রমিসিং লেখাগুলো নয়। মশাই খালি পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেই থামবেন কেন দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার হলেই কেন নয়।

    বড়লোকে যে গরীবের ওপরে কতভাবে অত্যাচার করেনা কী বলব। তার বিরুদ্ধেও একটু গলা ছাড়ুন।
  • ddt | 135.20.82.166 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ ০০:০৮579392
  • আইনের শাসনের কী গো মাসিমা? আইনের শাসনে সোয়ামি ইস্তিরিকে ধর্ষণ করেন না। সডোমি ধর্ষণ না। ওরালও নয়কো। রড ফডও ঢোকানো যায়। আইনত রেপ হইবে না। খালি ভ্যাজাইনাতে পুরুষাঙ্গ জোর করে ঢোকালেই নাকি রেপ! বোজ়েন!!

    http://www.outlookindia.com/article.aspx?283463
  • ranjan roy | 24.99.69.207 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ ০০:৪৪579393
  • সোসেন,
    একশ' প্রতিশত সহমত।
    প্যাংলা।
    পরিবারে পিতার চেয়ে সবল কে? আর টইয়ের নামটা খেয়াল করুন। এতে দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচারের একটা কংক্রিট রূপ। নারীশরীরের ওপর পুরুষের ক্ষমতা প্রদর্শনের পেছনে লুকোনো বা সুক্ষ্ম রূপে মানসিক জমি তৈরির দর্শন (পিতৃতান্ত্রিকতা) নিয়ে ফোকাস করা হয়েছে।
    ddt,
    আইনের সংজ্ঞা নয়। আসলে নারীশরীরে তার 'ইচ্ছার বিরুদ্ধে' জোর করে অধিকার ফলালেই ধর্ষণ, সে স্বামী হোক , কি অন্য কেউ হোক।
    এই টইয়ে তাই বলা হয়েছে।
  • MR | 183.74.228.249 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ ০৩:২৪579394
  • তবে এটাও খেয়াল করার মতো, সেই মেয়েটির সঙ্গী ,ওর সাথে শেষ পর্যন্ত্য সঙ্গে থেকে মার খেয়েছে। ফেলে পালায় নি। ঐ ছেলেটি কে পরমবীর চক্র দেওয়া উচিত।
  • siki | 132.177.162.200 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ ০৯:০৭579396
  • ওফ, পরমবীর চক্র যুদ্ধের সেনানীকে দেওয়া হয়, ওটা সিভিলিয়ানদের দেওয়া হয় না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন