এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • ঋতুপর্ণ ঘোষ

    gaja
    সিনেমা | ৩০ মে ২০১৩ | ৮০৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:২৭609624
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:২৭609625
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:২৮609626
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:২৯609627
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:২৯609628
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:৩৩609629
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:৩৪609630
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:৩৫609632
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:৩৫609631
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:৩৬609464
  • dd | 132.167.33.105 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:৩৯609465
  • ক্রমশই দেখছি টই গুলি একটি কুস্তির আখড়া হয়ে উঠছে। "পুরানো স্মৃতি থেকে" যার একটি নিকৃষ্ট উদাহরন।

    অথচো এখানে দুরদান্তো মিনিময় হতো, একটাই এগজাম্পোল দিচ্ছি, যেমন দৃ আর (আঃ)ঈশেনের পোস্ট সমুহ, কি না যে সিগ্রেট খাওয়া উচিৎ কিনা। ইত্যাদি।

    পুরোনো লোকেরা, যারা একই নামে লিখে যাচ্ছে ,তাদের কন্টেক্স্ট বিহীন পোস্ট পেস্ট করে কি মজা কে জানে। ক্রমাগত নাম চেঞ্জ করে যারা তাদের কে প্রত্যাত্তর দেবার কোনো উপায় নেই। সামনা সামনি (যদি পরিচিত হয়) তাদের চিমটি কাটার সাহোস নেই। তাই নাম বদলে বদলে পিছোনে লাগা।

    অবশ্য থাকলেও যে কেউ অ্যাতো সময় নিয়ে পুরোনো কাদা ঘাঁটবে তাও প্রত্যয় হয় না।
  • চান্দু মিঁঞা | 233.233.77.20 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৬:৪৯609466
  • জয়ন্ত এটা কি কইলেন স্কুলের ভাল ছেলেরা ফুটবল খেলতনা!
  • চান্দু মিঁঞা | 233.233.77.20 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৭:০০609467
  • অন্য তত্ত্বটিও দি আমার ধারণা ছাত্রাবস্থায় ঐ পৌরুষ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই ছেলেরা সিগ্রেট খাওয়াও ধরে।
  • aka | 80.193.134.141 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৭:৩৪609468
  • হোমোফোবিক কোদ্দিয়ে এল? ঋতুপর্ণ হোমোসেক্সুয়াল ছিলেন এ খবর জানা নেই।

    তক্কাতক্কি যেদিন থেকে অবজেক্টিভিটি হারিয়েছে সেদিন থেকেই গেছে।
  • r2h | 172.136.192.1 | ০৪ জুন ২০১৩ ২১:১৩609469
  • এই যে
  • aka | 85.137.153.97 | ০৪ জুন ২০১৩ ২১:১৪609470
  • ঠ্যাংকু।
  • aka | 85.137.153.97 | ০৪ জুন ২০১৩ ২১:৪৩609471
  • ছোটবেলায় আমি বয়সের তুলনায় বেশ ছোটখাটো ছিলাম। আমাকে আমার ছোড়দা বেঁটে বলত। রেগে যেতাম, ছোড়দা বয়সেও বড়, জোরও বেশি, ঘাঁটাতে সাহস হত না। কিন্তু রাগ তো হত, কেঁদে ফেলতাম রাগে। সকলের সামনে বেঁটে বললে বেশ খারাপ লাগত। কেন বলত বুঝতাম না, কিন্তু আমি রেগে গেলে, কাঁদলে সেটা ছোড়দা আর ওর বন্ধুরা বেশ এনজয় করত, আমি আরও রেগে যেতাম, খেলা ছেড়ে চলে আসতাম, পরের দিন মামার বাড়ি খেলতে যেতাম। এই করতে করতে ডিফেন্স মেকানিজম খুঁজে বের করলাম, ছোড়দা ছিল একটু গোলগাল, ওকে আমি বলতে শুরু করলাম পেট মোটা। কখনো ও শুরু করত, কখনো আমি।

    পরে আমাদের এক বন্ধুর অল্প বয়সে টাক পরল, তাকে সবাই টাকলা বলে ডাকতে শুরু করল, তোতোনের একটা পা পোলিওতে বেঁকে গিয়েছিল, ওর নাম হল ল্যাংড়া তোতোন। আমি সিওর এরকম নাম করা, খ্যাপানো, লোকের দুর্বল জায়গা নিয়ে খিল্লি শুধু আমি দেখি নি অনেকেই দেখেছে। এ আমাদের বেড়ে ওঠা, এই আমাদের সমাজ। এর কিছুটা শিক্ষার অভাব, সংবেদনশীলতার অভাব, আর বাকিটা হল সঠিক আইনি প্রোটেকশনের অভাব। টাকলা বললে জেল হবে না, কিন্তু স্কুল থেকে সাসপেন্ডেড হতে অসুবিধা কি? আমাদের এক বছর আগে আইআইটির র‌্যাগিংয়ে সেবারের উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম রেলিং থেকে পড়ে গিয়েছিল, আইআইটি ছেড়ে নরেন্দ্রপুরে ভর্তি হয়েছিল। কিস্যু হয় নি, কলেজ প্র্যাংক বলে লোকে কাটিয়ে দিয়েছিল। এখন অবশ্য শুনি এসব অনেক কমেছে মূলত কতৃপর্ক্ষের কড়া নজরদারি ও নিয়মে। ভালই হয়েছে।

    যা বলতে এই কথাগুলো বললাম তাহল এই মানুষের প্রতি জোট বেঁধে বা কখনো কখনো একাই তার দূর্বল জায়গায় আঘাত করা এ সমাজে বিরল নয়। যখনি কেউ আচরণে, শরীরে আলাদা তাকে নিয়ে 'খিল্লি' করো। এতে যে কারুর কষ্ট হতে পারে সেসব ভেবে কখনোই দেখা হয় না বরং এই আচরণকে অনেকেই 'কুল' বলে মনে করে। এসব বন্ধ করার উপায় বোধহয় নিয়মাবলি বিশেষত স্কুলে। আম্রিগার স্কুলে - যেহেতু ভারত বাদে আম্রিগার স্কুল দেখারই সুযোগ হয়েছে তাই লিখছি, ভারত vs আম্রিগা শুরু করার ইচ্ছে নেই - এসবই নেম কলিংয়ের আওতায় পড়ে এবং বেশির ভাগ স্কুলেই কড়া নিয়ম রয়েছে। এত করেও এখানে বুলিয়িং কমানো যায় না। কিন্তু আন্যদিকে রভি ধারুরের ঘটনাও ঘটে। তাই সমস্যাটা মূলত মনে হয় নিয়মের বা নিয়মের অভাবের। যারাইঅ স্ভবাবে, আচরণে, বায়োলজিকালি আলাদা তাদেরকে সমাজের 'খিল্লি'র, অবমাননা থেকে বাঁচানোর, রাইটস গুলো এস্টাবলিশ করার যথেষ্ট নিয়ম নেই।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ০৪ জুন ২০১৩ ২১:৫০609472
  • রুভি ধারুর এর ঘটনা টা কি? লিং দিলেই হবে।
  • | 24.97.205.21 | ০৪ জুন ২০১৩ ২১:৫২609473
  • ধারুণ রভি।
    আকা মনে হচ্ছে নামটা গুলিয়ে ফেলেছে।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ০৪ জুন ২০১৩ ২২:০১609476
  • হুম। উইকিতেও একটা লিং পেলাম।
    আকাদার কথা গুলো ফেলনা নয়।
  • aka | 85.137.153.97 | ০৪ জুন ২০১৩ ২২:০৮609477
  • ঋতুপর্ণর কেসটা একটু অন্যরকম। প্রথম যখন দেখলাম তখন ঋতুপর্ণকে দেখতে ইন্টেলেকচুয়াল বাঙালীর মতন। একটু টেনে টেনে কথা বলেন, সে অনেকেই বলেন কিন্তু আদৌ মনে হয় না এফিমিনেট। কানে লাগল হঠাৎ সুপ্রিয়ার সাথে সাক্ষাৎকারে 'বেণুদি তুই', ভালো করে ভেবে দেখুন এই যদি আমি খোলা পাতায় হঠাৎ করে বলি 'ডিডিদা তুই' আমার বয়স, ডিডিদার বয়স জানা থাকুক না থাকুক স্বাভাবিক বাঙালী সম্ভাষণের যে বাইরে সে বুঝবেনই। আর যদি দেখেন যে প্রায় মায়ের বয়সী মহিলাকে কেউ 'বেণুদি তুই' বলছে চোখে, কানে লাগবেই। এর সাথে ঋতুপর্ন এফিমিনেট ছিলেন কিনা তার কোনই সম্পর্ক নেই। এরপর যখন দেখলেন ব্যবহারটা বেশ কনসিস্টেন্ট, 'বেণুদি তুই', 'রিণাদি তুই'। আপনার প্রথমে কানে লাগল, পরে হাসতে শুরু করলেন, যখন সিওর হলেন ব্যাপারটা কনসিস্টেন্ট তখন মাঝে মাঝে বন্ধু বান্ধবদের সাথে ঠাট্টা তামাশাও শুরু করলেন। সে কি ঋতুপর্ণ এফিমিনেট বলে? আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলে ঐ 'ডেঁপোমির' জন্য। আমি ডিডিদা কে তুই বলে সম্ভাষণ করলে যেমন হবে সেরকমই অনেকটা।

    এরপরেই ঋতুপর্ণ বদলাতে শুরু করলেন যত ওনার খ্যাতি বাড়ল উনি ওনার এফিমিনেট সত্ত্বাও ততই ক্লোজেট থেকে বার করলেন। প্রতি দিন ঋতুপর্ণ ক্রমশ আরও বেশি নারী হয়ে উঠতে থাকলেন। সে ওনার ব্যক্তিগত ব্যপার। বাঙালীর কাছে ঋতুপর্ণর ইমেজ তখনো হাইলি ইন্টেলেকচুয়াল, ডেঁপো, কিছুটা মেয়েলি ম্যানারিজম আছে। আর এই ইমেজ ঋতুপর্ণর নিজেরই তৈরি, আর কারুর নয়। উনি নিজের সেক্সুয়াল আইডেন্টিটি নিয়ে প্রকাশ্যে এমন কিছু করেন নি যা থেকে সেই সত্ত্বা খুব অবভিয়াস হয়। মূলত আমিও খিল্লি করেছি ওনার ঐ 'বেণুদি তুই' তেই।

    বাজারে এল মীর। মীর মিমিক্রি করে। পিসি সরকারকে করে, মিঠুনকে করে, অমিতাভ বচ্চনকে করে। মীরের শোয়ের একটা ট্যাগ লাইনই হল যেখানে ডেকে এনে অপমান করা হয়। করতে করতে মীর কখনো সখনো মাত্রা রাখতে পারে না। মীর মাত্রা রাখতে পারে না কথাটা ভুল হল। মীর একজন পারফর্ম্যার মাত্র, কিন্তু ঐ শোয়েরও একটা টীম আছে। সবাই মিলেই মাত্রাটা ক্রশ করে যায়। শুরু হয় যুদ্ধের।
  • চান্দু মিঁঞা | 233.231.187.175 | ০৪ জুন ২০১৩ ২২:২৭609478
  • আকার লেখা পড়তে পড়তে মনে একটা প্রশ্ন জাগছে। দুর্বলকে খোঁচাবার একটি সম্ভাব্য কারণকি কাঃ বাঃ ।একি ন্যাচারাল সিলেকশনের অঙ্গ যাতে দুর্বল এলিমিনেটেড হয়ে যায়।
  • aka | 85.137.153.97 | ০৪ জুন ২০১৩ ২২:৩২609479
  • বাকিটা কলের পরে।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ০৪ জুন ২০১৩ ২৩:২৩609480
  • আক লিখুক। জাস্ট দুটো পয়েন্ট উল্লেখ করে দিই।

    ১। ঋতুপর্ণ সমকমী ছিলেন। স্পষ্ট করে বোধহয় শব্দটা কোথাও উচ্চারণ করেননি। কিন্তু ছিলেন, ওপেন সিক্রেট।
    ২। মিমিক্রি মীর প্রচুর করেছেন। কিন্তু "অপমান" যদি বলা হয়, সেটা ঋতুপর্ণ ছাড়া আর কাউকে করতে দেখিনি। সেও অবশ্য খানিক সাবজেক্টিভ জাজমেন্ট। কিন্তু এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, ঋতুপর্ণই মীরের "প্রিয়তম" সাবজেক্ট ছিলেন। দীর্ঘদিন।
  • | 60.82.180.165 | ০৪ জুন ২০১৩ ২৩:৩৩609481
  • আরেকটা সাক্ষাৎকার। একটু পুরোনো। দশবছর আগের ঋতুপর্ণ।
    এখনকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে অন্যরকম।

  • siki | 132.177.19.254 | ০৪ জুন ২০১৩ ২৩:৫৬609482
  • এই রে, আমি জানতাম ট্র্যান্সজেন্ডার ছিলেন। সমকামী মানে তো গে বা লেসবিয়ান। আমি কি ভুল জানতাম?
  • a x | 138.249.1.198 | ০৫ জুন ২০১৩ ০০:৩৭609483
  • মীরকে ডিফেন্ড করার কোনো কারণ দেখিনা। এক মিমিক্রি কিছু স্পেসিফিক ম্যানারিজম নিয়ে করা যায়, যা আগে লোকজন ঐ বুদ্ধ পিসি সরকার ইত্যাদির ক্ষেত্রে বলেছে। কিন্তু মীর শুধু ঋতুপর্ণর ম্যানারিজমকে মক করেনি, সমকামী পরিচয়কে করেছে। দীপাংশু সায়নের ঐ অনুষ্ঠানে নকল ঋতুপর্ণকে দুদিক থেকে চুমু খাওয়া ইত্যাদি।

    সিকি - এই লেবেল গুলো খুব ফ্লুইড। আমি ফিজিওলজিকালি ও যৌনাঙ্গের বিচারে একজন মেয়ে, যদি আরেকজন নারীর যৌনতা চাই, আমি লেসবিয়ান, কিন্তু আমি বায়োলজিকালি নারী (sex) হয়েও যদি পুরুষসত্ত্বা বই (gender), এবং একজন নারীকে যৌনভাবে চাই - আমি কি সমকামী? দীর্ঘদিন ধরে সেই পুরুষসত্ত্বা ভেতরে নিয়ে, আমি যদি পুরুষদের মত সাজপোষাক করি, এবং অবশেষে সেক্স-চেঞ্জের দিকে যাই, এবং তার পরে একজন নারীকে চাই, তখন কি তাহলে আমি আর সমকামী নই?
  • pi | 78.48.231.217 | ০৫ জুন ২০১৩ ০০:৫৬609484
  • ঋতুপর্ণর নিজের কথায়, এই টইতেই ম্যাক্সিমিনদির পোস্ট থেকেঃ

    Koustav Bakshi -- Sexual identity politics has gained extraordinary momentum in the past two decades or so. The categories such as “gay”,“lesbian”, “bisexual”, “transgender”, “transvestite”, “transsexual”,“intersex”, etc. have entered everyday parlance. However, each of these categories is rather permeable, yet a penchant to identify with a particular category is quite high. If I ask you to identify yourself according to the terms that have become current in the discourse of sexual identity politics how would you identify yourself?

    Rituparno -- Our understanding of sexuality is sadly limited by the binary heterosexuality/homosexuality. There are several sexual identities which none of these terms can possibly contain or define. Not even the different terms you mentioned. In any case, our identities are subject to the body which again is a boundary… I believe in transcending that boundary .. the body is in a state of transition .. perennially .. so, is my identity. Therefore, it is not desirable to identify with a single category. It is in fact impossible. Everything is in a state of making, eternally. Nothing is ever complete, The same is true of the body and therefore, identity. It’s a continuous process.'
  • aka | 85.137.153.97 | ০৫ জুন ২০১৩ ০১:১১609486
  • না মীরকে ডিফেন্ড করা উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু শুধু মীরকে অ্যাকিউজ করা নিয়ে চাট্টি কথা আছে যা মূল বক্তব্যের সাথে সাথে যায়। যা বলছিলাম অনুষ্ঠানটি শুধু মীর করেন না, আরও অনেকে আছে যেমন অনুষ্ঠানের প্রযোজক রাজ রায় না কি জানি নাম। শুধুই পারফর্ম করেছে বলে মীরকে আক্রমণটা কতটা ঠিক?

    আর দ্বিতীয় কথা হল, আজকের আগে আমি জানতাম না ঋতুপর্ণ সমকামী ছিলেন এবং সেটা ওপেন সিক্রেট। আমি ঐ মীরের বা সায়ন-দীপাংশুর মিমিক্রি দেখে আদৌ বুঝি নি তা ঋতুপর্ণর হোমোসেক্সুয়াল সত্ত্বাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। মোটা দাগের কমেডি, বাজে লেগেছিল এই অবধি। তেমনই বাজে লেগেছিল ঋতুপর্ণর নিজের শোতে মীরকে ডেকে আক্রমণ করা, এমনকি মীরের ধর্ম নিয়েও কথা বলা। এবারে বলতেই পারেন মীর শুরু করেছে, কিন্তু ঋতুপর্ণও দিনের শেষে কম যান নি।

    শেষ যে কথা বলার আছে তাহল ঋতুপর্ণ যত খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেছেন তত তিনি নিজের ব্যক্তিগত চয়েজ অনুযায়ী একধরণের সেক্সুয়াল আইডেন্টি খুঁজে নিয়েছেন, সচ্ছন্দে সকলের সামনে সেই আইডেন্টিটি নিয়ে হাজির হতে ওনার বাঁধে নি। আমার নিজের দেখা বলে যে সেটা সম্ভব হয়েছে চিত্র পরিচালনায় ওনার ভারত জোড়া খ্যাতি আত্মবিশ্বাস পেতে সাহস যুগিয়েছে। নইলে প্রথম দিকের ঋতুপর্ণ আর পরের দিকের ঋতুপর্ণ এক নন। সে হতেই পারে, খুব ভালো কথা উনি নিজের ডেস্টিনি খুঁজে পাচ্ছিলেন, ওনার সাফল্য তাতে ওনাকে সাহায্য করেছিল। মুশকিল হল যখন লোকে ওনাকে এফিমিনেটদের মুভমেন্টের মসীহা বলতে শুরু করে। আমি যদ্দুর জানি উনি নিজে নিজের পছন্দ মতন জীবন কাটিয়েছিলেন/কাটাচ্ছিলেন এবং দু একটি সিনেমা করেছিলেন। এগুলোকে যদি ধরা হয় আন্দোলোনের জন্য অনেক কিছু তাহলে 'উই আর দা চ্যাম্পিয়ন' কে বলতে হয় গে'দের অ্যান্থেম সং।

    তো কোনক্লুশনটা সিম্পল, মীর ও ঋতুপর্ণর ঝগড়া বা ডিবেট যাই বলুন না কেন অনেকটা আমার আর আমার ছোড়দার মতনই পার্সোনাল অ্যাজেন্ডা। অমন আকছা আকছি অনেক হয়। শুধুমাত্র দুজন মাইনরিটি যুক্ত বলে বিশেষ প্রাধান্য পায় না। কারণ দুজনেই তাদের মাইনরিটি সত্ত্বা সত্ত্বেও সুপার পাওয়ারফুল।

    ঋতুপর্ণ আমার কাছে একজন সফল চিত্রপরিচালক যিনি নিজের পছন্দ মতন সেক্সুয়াল আইডেন্টিটি খুঁজে নিতে পেরেছিলেন। যা কিনা নিতান্তই ব্যক্তিগত অ্যাচিভমেন্ট। বরং একটু অভিযোগ হল এই ধরণের আন্দোলনের সাথে উনি খুব বেশি যুক্ত হন নি, হলে ভালোই হত।

    ঋতুপর্ণর আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় মানবী সোমনাথের মতন রোল মডেল যাঁরা বহু প্রতিকূলতা নিয়ে অনেকদিন ধরে লড়াই চালাচ্য়্ছেন। যাদের লড়াই ঢাকা পড়ে যায় এই মহানায়কের গ্লোরিফিকেশনে। বাস্তব এতটা গ্লোরিফায়েড নয়। সেখানে রাইটস গুলো আইনি মান্যতা না পেলে কিছুই হবার নয়। সিনেমার শিল্প দিয়ে সুপার স্ট্রাকচার বদলাতে এক কোটি ঋতুপর্ণ লাগবে।

    শেষটা গল্প। আমার বউয়ের ক্লাসে ফল ব্রেকের পরে একটি ছেলে হঠাৎই মেয়ে হয়ে ফিরল। নো কোশ্চেন আস্কড। আইটি নাম চেঞ্জ করল, সেদিন থেকে সে মেয়ে হল। আড়ালে কেউ কিছু বলেছে কিনা জানি না। সামনে কারুর কিছু বলার সাহস নেই। শুধু মাত্র নিয়মের জন্য। ঋতুপর্ণর মতন ইন্টেলেক্ট এটা বুঝতেন না মানি না। তিনি গা করেন নি। তাই তাঁর সমস্ত অ্যাচিভ্মেন্ট আমার কাছে ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা ফুলফিলমেন্ট। উনি আমার কাছে একজন সফল চিত্রপরিচালকই থাকবেন যাঁর সমস্ত সিনেমা আমার ভালো লাগে নি। দ্যাটস ইট।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন