এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কালপুরুষ | 125.184.186.171 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ২১:১৯615359
  • গণ সংগঠক জয়িতা দাস কে মাওবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে।গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠায় কিছু বিরুদ্ধমতও উঁকি দিয়েছে।তাদের মতে জয়িতার বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে যে সে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত।আর মাওবাদী’রা তো সন্ত্রাসবাদী।সুতরাং শাস্তি হওয়া উচিত।আবার কেউ বলছেন যে রাষ্ট্রের সাথে তাল মিলিয়ে চললেই তো হত।বিরোধিতা করে অহেতুক অশান্তি তৈরী করলে ফল তো ভুগতেই হবে।প্রশাসন সঠিক কাজ করেছে।
    রাষ্ট্র ততক্ষণ আপনার কাছে বিপদজনক নয়,যতক্ষণ না আপনি তার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করছেন।মুকেশ আম্বানী’র জন্য কেন প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমে যায়,সেটা অনেক দূরের প্রশ্ন।আপনার চলার রাস্তাটা বছরের পর বছর খারাপ হয় ক্যানো?কিভাবে গলি’র ভিতরে নিয়ম নীতি’র তোয়াক্কা না করে বহুতল গড়ে ওঠে?জলাজমি কিভাবে রাতারাতি ভরাট হয়ে বাস্তুজমিতে পরিণত হয়?নির্মীয়মান মেগাসিটির ধারের বস্তিগুলোতে ক্যানো আগুন লাগে? ক্যানো আপনাকে সাধ্যের বাইরে গিয়ে প্রতিবছর অমুক নেতার পূজো’র নামে গাদাগুচ্ছের চাঁদা দিতে হয়?একবার এই প্রশ্নগুলো করে দেখতে পারেন অথরিটি’কে।প্রথমত উত্তর পাবেন না।পেলেও ভাসাভাসা।এরপর সঠিক উত্তর জানার জন্য আরেকবার প্রশ্ন করুন।শাসানি খাবেন।লোকাল পার্টি অফিস অথবা পাড়ার ক্লাবে।তাতেও যদি না দমেন,রাস্তাঘাটে আজকাল কখন কি হয়,তা কি কেউ বলতে পারে?
    আমার এক পরিচিত মাস্টারমশাই মিড ডে মিলের চালের হিসাব মেলাতে পারছিলেন না।বস্তা পিছু ২-৫ কেজি চাল কম।প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি চাল থাকে।তিনি বিডিও অফিসে জানালেন।কোনো ফল হল না।মাস দুয়েক পর মরিয়া হয়ে একটা চিঠি দিলেন বিডিও কে।মিড ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাকে ডেকে পাঠালেন।খুব শান্ত গলায় তাকে বোঝানো হয় যে এসব বিষয়ে মাথা না গলালেই তার মঙ্গল।বেশী কৌতূহল দেখালে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো হবেনা।সেই মাস্টারমশাই নেহাত ছাপোষা লোক।তিনি আর দুঃসাহস দেখান নি।
    অনেকে প্রমাণ-এর কথা বলছেন।বর্তমানে এক জনপ্রিয় নেতা আছেন,যার নামে অন্তত শখানেক খুনের অভিযোগ আছে।তার জেলার লোক জানে যে খুন গুলো তার লোকেরাই করেছে।কিন্তু একটাও প্রমাণিত হয়নি।তার খুনে বাহিনী’র এক প্রাক্তন সদস্য মিডিয়ার কাছে কবুল করেছিল যে তারা খুন করে লাশগুলোকে টুকরো টুকরো করে বিলের জলে ফেলে দিত।এ সাক্ষাৎকার দেওয়ার কিছুদিন পরে সেই সদস্য নিজেও খুন হয় বিকেলবেলায় সবার সামনে।সেই নেতা রীতিমত পুলিশি নিরাপত্তা পান।হিন্দি বলয়ের এক বাহুবলী নেতার বাগান বাড়িতে পুকুরে কুমীর পোষা ছিল।তার বিরোধীরা মাঝে মধ্যেই উধাও হয়ে যেত।পরে খবর বেরোয় যে তারা কুমীরের খাদ্য হত।কটা দুর্বল মামলা হয়েছিল।যদি প্রশাসন এতই সচল হবে তাহলে এদের কিছু হয় না ক্যানো? হয়না,তার কারণ পয়সা আর পেশী’র জোরে রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত রেখে এরা আইনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।এত বড় উদাহরণের দরকার নেই,আপনার আশেপাশে দেখুন,এরকম প্রচুর ঘটনা চোখের সামনে উঠে আসবে।এক নিরীহ অবাঙ্গালি ট্রাকচালক মুখ্যমন্ত্রী’র রাস্তায় ভুল করে ঢুকে পড়ে দিন কয়েক জেল খেটেছিল।সেটা যদি আইনি কারণে হয়,তাহলে প্রশ্ন করার অপরাধে শিলাদিত্য কে যে মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদী তকমা দিয়ে জেল খাটালেন,সেই মুখ্যমন্ত্রী’র ক্যানো শাস্তি হবেনা?একই অপরাধ রাম,শ্যাম করলে ছাড়া পেত তো?
    এরপরেও কি রাষ্ট্রের উপর ভরসা রাখা যায়?বিহারে আমার চোখের সামনে তেইশ বছরের তরতাজা যুবক অবিনাশ’কে আমি পুলিশের মারে মরতে দেখেছি।আগের দিন তাকে পুলিস তুলে নিয়ে গিয়েছিল।পরের দিন রাস্তার ধারে তার আধমরা দেহটা পড়েছিল।কোলে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা গেল।ডানচোখটা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল।বারদুয়েক জল খাওয়াতে পেরেছিলাম।কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না।পুলিসের রেকর্ডে কোনো প্রমাণ নেই।রণবীর সেনা’র বিরুদ্ধে লড়াই-এর মাশুল দিতে হয়েছিল অবিনাশ’কে।
    আরেকটা ঘটনা।সবেমাত্র কলেজে ঢুকেছি।ক্ষমতাসীন শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন অকাজের বিরোধিতা করতাম।একটি স্থানীয় পত্রিকা’তে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সমালোচনা করেছিলাম।আর কিছু রাজনৈতিক কাজকর্মের জন্য গায়ে ‘অতি-বাম’ ছাপ্পা পড়ে গিয়েছিল।কলেজে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন দলীয় চাঁদা তুলছিল।আমি দিতে রাজি হইনি।ইউনিয়ন রুমে ঢুকিয়ে হকিস্টিক আর উইকেট দিয়ে আমাকে বেধড়ক পেটানো হয়।ডান হাতের দুটো আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়।মাথা’র একদিক ফেটে গিয়েছিল।কলেজের এক কর্মী আমাকে বাঁচান সে যাত্রায়।সে দিন সন্ধেতে স্থানীয় পার্টি অফিসে আমার বাবা’কে ডেকে পাঠানো হয়।তার ছেলে যে নকশাল এবং না শোধরালে আরও কড়া দাওয়াই অপেক্ষা করছে সে কথা জানানো হয়।আমার বাবা খুব ভয় পেয়ে যান।পরের দিন দুই বন্ধুর সাথে আমি থানায় যাই যারা মেরেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য।সেখানে গিয়ে দেখি গতকালই আমার নামে মারপিট এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়ে আছে।আমাকে বসিয়ে রাখা হয়।কিছুক্ষণ পর স্থানীয় নেতা সেখানে আসেন।থানার অফিসারের সামনে চেয়ারে বসে তিনি আমাকে শাসানি দেন এবং কোন বাপ আমাকে বাঁচাবেনা তা আমাকে জানিয়ে দেন।আমার বাবা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি’র ছাত্র ছিলেন।তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু যিনি তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী ছিলেন,তার উদ্যোগে আমার পরিবার রাজরোষের হাত থেকে রক্ষা পায় আর আমাকে বাইরে পড়তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
    দয়া করে এই ধরণের সরলীকরণে পৌঁছাবেন না যে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা’র জন্য এই রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি।আমি নিতান্তই মেঠো মানুষ।আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে রাষ্ট্র ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের অন্যায়ের ক্ষেত্রে অন্ধ সেজে থাকে।মহেশ আর সরিতা’র নাম বোধহয় আজ আর খুব বেশি লোকের মনে নেই।বিহারে এরা দুজন গ্রামে আল-বিহীন সমবায় চাষ চালু করার চেষ্টা করছিলেন।এক পড়ন্ত বিকেলে গ্রামে ফেরার পথে দুজনকে ঝাঁঝরা করে দেয় জোতদারদের ভাড়াটে খুনীরা।আসল অপরাধী আজও ধরা পড়েনি।
    স্নোডেন থেকে আমিরুল,শাসকের চেহারাটার সব জায়গায় এক।তারা কিছুতেই বিরোধিতা সহ্য করতে পারেনা।তাদের অন্যায়-এর প্রতিবাদ করলে সুদক্ষ অপারেশনে ডিলিট হয়ে যেতে হয় দুনিয়ার বুক থেকে।খুব সম্প্রতি বিবিসি একটা নিউজ করেছে যেখানে দেখানো হয়েছে কিভাবে মায়ানমারের সামরিক শাসকেরা প্ল্যান করে মুসলিম আর বৌদ্ধদের মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়েছে।বিহারে দলিতদের গ্রাম ঘিরে থাকতো পুলিস বাহিনী।আর পুলিস প্রহরায় গণহত্যা করত রণবীর সেনা।
    হাতে গুণে কেউ বলুন তো,আজ অব্দি ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটি’র জন্য ঠিক কজন রাজনৈতিক নেতা সাজা পেয়েছেন?এদের অপরাধের বিচারের সময় সব ম্যানেজ হয়ে যায়।পুলিস-প্রশাসন-সাক্ষী সব।গোটা সিস্টেমটা একটা প্রহসনে পরিণত হয়।
    বছরকয়েক আগের কথা।একটি কাজের মেয়ে,বয়স খুব বেশি হলে পনেরো তার মালিকের ছেলের কাছে ধর্ষিত হয়।প্রেগনান্সির লক্ষণ প্রকাশিত হওয়ার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়।ছেলেটির জেল হয়।ছেলেটির বাবা প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা।মেয়েটি’র মা-বাবা নেই।আদিবাসী বাড়ি’র।মামাদের কাছে মানুষ।অবাকভাবে,বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা ছেলেটির বাবা’র সাথে যুক্ত হয়ে ব্যাপারটা মিটমাট করে দেন।মেয়েটি’র বাড়ি থেকে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়।ছেলেটি জেল থেকে ছাড়া পায়।তার কিছুদিন পর মেয়েটি মারা যায়।কোনো পোস্টমর্টেম হয়নি।এলাকার লোকে আমাকে বলছিল কয়েকমাসের গর্ভবতী মেয়েটিকে কোনো শেকড় খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
    ক্ষমতাশালী,অর্থবান মানুষের গণতন্ত্র আর গরীবের গণতন্ত্র,দুটো এক জিনিস নয়।রাষ্ট্র এদের প্রতি সমদৃষ্টি দেয় না।যে পুলিস রাস্তায় গাড়ি আটকে পয়সা আদায় করে,সেই পুলিসই স্থানীয় দাপুটে নেতার গাড়ি ট্রাফিক নিয়ম ভাঙ্গলে দাঁত কেলিয়ে স্যালুট মারে।
    আপনি যদি পুতুল হয়ে বেঁচে থাকতে পারেন,চোখ-কান বুজে সব কিছু মেনে নিতে পারেন,তাহলে এই গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় আপনি রাষ্ট্রের সূযোগ্য নাগরিক।
    আর মানুষের মত বাঁচতে চাইলে মাথা তুলে প্রশ্ন করাটা জরুরী,নিজের অধিকারটা বুঝে নেওয়া জরুরী,তাতে তথাকথিত রাষ্ট্রযন্ত্র কাকে কি তকমা দিল,তার পরোয়া জয়িতা’রা করে না।
    পুতুল হয়ে তো অনেকদিন বাঁচা হল,একবার জয়িতা হওয়া যায় না...?
  • খেলোয়াড় | 103.115.84.195 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ২১:৫১615430
  • ইয়ে, নানা জায়্গায় পড়ি বা শুনি যে মাওবাদীরা নাকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে। সেইজন্যই ল্যান্ডমাইন দিয়ে পুলিশের জীপ উড়িয়ে দেওয়া হয়, এম্বুশ করে কুড়ি-তিরিশটা পুলিশ মেরে দেওয়া হয়, রেললাইন ওড়ানো হয় ইত্যাদি। এতে করে রাষ্ট্রের প্রতিভূ পুলিশ তো মরেই, দুএকটা চাষাভুষাও এদিক ওদিক কাটা পড়ে। সে ঠিক আছে, যেকোন যুদ্ধে কোল্যাটারাল ড্যামেজ তো থাকবেই, নাহলে আর যুদ্ধু কিসের!

    কিন্তু পুলিশ মাওবাদী ধরলেই এতো কান্নাকাটি কেন পড়ে বুঝিনা। মানে পুলিস মরলে কিছুনা, ওতো রাষ্ট্রশক্তি, আর পুলিস তাদের ধরলেই, কেন ধরল, এরকম ব্যাপার কি? খেলাটার নিয়মটা একটু একপেশে, তাই না?
  • কল্লোল | 111.63.130.72 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ২১:৫৮615441
  • কালপুরুষ। জানিনা কেন আপনি এসব লিখলেন - "হাতে গুণে কেউ বলুন তো,আজ অব্দি ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটি’র জন্য ঠিক কজন রাজনৈতিক নেতা সাজা পেয়েছেন?এদের অপরাধের বিচারের সময় সব ম্যানেজ হয়ে যায়।পুলিস-প্রশাসন-সাক্ষী সব।গোটা সিস্টেমটা একটা প্রহসনে পরিণত হয়।"
    তার মানে আপনি মেনে নিচ্ছেন জয়িতা " ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটি" করতো।
    বা
    "ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটি"র জন্য যদি কোন রাজনৈতিক নেতার সাজা হয়, তাহলে জয়িতাকে গ্রেপ্তার করাটা মান্যতা পাবে।
    মায়া কোদনানির তো সাজা হয়েছে, তাহলে জয়িতাকে গ্রেপ্তার করাটা মেনে নেবেন?

    দেখুন, দেবু বা জয়িতার এমসিসি যোগাযোগ বহুজনেরই জানা। আমি বরং এই জায়গা থেকে জয়িতা বা দেবুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করি - কোন মতে বিশ্বাস রাখাটা বেআইনী নয়। সেটা আমার সাংবিধানিক অধিকার। হ্যাঁ, যদি কোন বেআইনী কাজের প্রমাণ থাকে তো গ্রেপ্তার করতেই পারে পুলিশ। মামলা হোক, প্রমাণ হোক সে সব। তার আগে পর্যন্ত তথাকথিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইন, যা নিজেই একটা সন্ত্রাস, তাতে গ্রেপ্তার করার জন্যও প্রতিবাদ থাকবে।

    দয়া করে ঐ যুক্তিগুলো দেবেন না - কত নেতা তো অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে, তাহলে আর জয়িতাদের ধরছে কেন রাষ্ট্র।
  • a x | 138.249.1.206 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ২২:৩৫615452
  • কল্লোলদা, MCC যোগাযোগ মানে ২০০৪-এর আগে? এরা তো বাচ্চা মেয়ে!

    আর যে লেভেলের যোগাযোগের কথা বলছে তা সত্যি হলে দেবলীনাকে চার্জশীট দিতে পারলনা কেন? জয়িতাকেই বা কিডন্যাপ করে তুলতে হল কেন ওয়ারেন্ট ছাড়া? এমনকি বাড়ি তল্লাসির সময়ও তো সার্চ ওয়ারেন্ট ছিলনা।
  • cm | 127.193.54.55 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ২২:৩৯615463
  • কল্লোলদার সাথে একমত।
  • কল্লোল | 125.242.215.40 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ২৩:১৭615474
  • এমসিসি মানে পিডব্লিউ আর এমসিসি মিলে গিয়ে তো এমসিসিই হলো। তাইতেই তো মাওবাদী নাম হলো। আমি কি ভুল বলছি? যাই হোক।
    পুলিশের হাতে যদি প্রমাণ থাকে তো গ্রেপ্তার করতেই পারে। সেই প্রমাণ আদালতের যথেষ্ট নাই মনে হতে পারে, বা পরে পুলিশেরও মনে হতে পারে যে ঐ "প্রমাণ" দিয়ে কিছু প্রমাণ করা যাবে না। তাতে গ্রেপ্তার করাটা আটকায় না। কিন্তু পরে পুলিশের বিরুদ্ধে অকারণ হয়রানির মামলা করা যেতেই পারে। সেটা কেউ করেছে বলে আমি দেখিনি। আমি নিজেও করিনি। অবশ্য আমাদের জরুরী অবস্থা উঠে যাওয়ায় ছেড়ে দেওয়াটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আদালতের নয়। প্রথমবারের (১৯৭১এর) মামলাটি খারিজ হয়ে গেছিলো। তখনও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার কথা কেউই ভাবিনি।
    এখন তো অনেক আইনী সচেতনতা বেড়েছে। এখন পুলিশের বেআইনী কাজ নিয়ে মাম্লা হতেই পারে।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ২৩:২১615485
  • মিলে গিয়ে হল সিপিআই(এম)। এম ফর মাওইস্ট। :-)
  • কালপুরুষ | 125.184.186.171 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ২৩:২৪615496
  • কোথাও বুঝতে ভুল হচ্ছে।রাজনৈতিক নেতারা ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটি করে পার পেয়ে যাচ্ছে,তাহলে জয়িতা'রা কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে,এই গোছের দাবিসনদ আমি কোথাও পেশ করিনি।এবং জয়িতা'রা ক্রিমিনাল এরকম কোনো সরল সিদ্ধান্তেও আমি পৌঁছাইনি।রাষ্ট্রের শত্রু চেনার যে পদ্ধতি তা নিয়ে আমার তীব্র আপত্তি আছে।এবং রাজনৈতিক নেতাদের কথা এনেছি রাষ্ট্রের পরিচালন ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা বোঝাতে।ডেমোক্র্যাটিক স্টেট যদি একটি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন হয়,তাহলে তার দ্বিমুখী অবস্থান থাকতে পারেনা।ডেমোক্র্যাটিক স্টেট যে সিস্টেমে চলে,তাতে যদি কোরাপশনের মাত্রা বেশি হয়,তাহলে তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।মাওবাদীদের সহিংস রাজনীতি সমর্থনযোগ্য নয়।কিন্তু,একথাও সত্যি,দেশের একটা অংশের প্রান্তিক মানুষের কথা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভাবতে বাধ্য হয়েছে মাওবাদের বিস্তারের কারণে।২০১২ সাল অব্দি বিহারে রণবীর সেনা'র প্রতিষ্ঠাতা'র কোনো শাস্তি হয়নি।পুলিস কোনো কেস কোর্টে প্রমাণই করতে পারেনি।এই রণবীর সেনা'র হাতে কত প্রান্তিক মানুষ খুন হয়েছেন,তার ইয়ত্তা নেই।কটা ট্রায়াল হয়েছে,তা নিয়ে সন্দেহ আছে।প্রান্তিক মানুষের অধিকার কেড়ে যতদিন তথাকথিত গণতন্ত্রের রথ চলতে থাকবে,ততদিন জয়িতা'রা সংখ্যায় বাড়বে।

    জয়িতা'র বিরুদ্ধে ঠিক কি প্রমাণ পাওয়া গেছে,তা এখনও সুনিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।আর এই মাওবাদীদের সাথে সংস্রবের যে ক্লিশে অভিযোগ টা প্রশাসন এনে থাকে,তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রমাণিত হয় না।বছরখানেক আগে,দুই গবেষক কে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিস।বিনা ওয়ারেন্টে তাদের জেরা করে কিছু না পেয়ে ছেড়ে দেয়।প্রশাসন স্বীকার করেনি এই ঘটনা।বাকি রইল জয়িতার কথা।সোনি সোরি'র উপর অত্যাচারের অনেক প্রমাণ থাকা সত্বেও অত্যাচারী পুলিসের কোনো শাস্তি হয়নি।এখানেও কিছু হবে বলে মনে হয়না।
  • কল্লোল | 125.242.215.40 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৩৮615507
  • কালপুরুষ।
    মাওবাদীদের সাথে সংস্রব থাকলেই তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে? কেন?
    প্রমাণ করতে হবে যে যাকে গ্রেপ্তার করা হলো সে বেআইনী কাজ করেছে, বা তাতে সক্রিয় মদত দিয়েছে। শুধু মাত্র সশস্ত্র বিপ্লবে বিশ্বাস করে বলে কাউকে গ্রেপ্তার করাটাই বেআইনী। আমার প্রতিবাদটা এই জায়গা থেকে।
    অঙ্কিত গর্গের যদি শাস্তিও হয় তাতেও জয়িতা বা দেবুর গ্রেপ্তার মান্যতা পায় না। রুনুর তো শাস্তি হয়েছিলো, যত কমই হোক শাস্তি হয়েছিলো, তো কি?
  • কালপুরুষ | 125.184.186.171 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৪৮615360
  • আপনার বক্তব্যে সহমত।আমার কাজে আমাকে শহরের থেকে প্রান্তিক এলাকাতেই বেশি ঘুরতে হয়।আমার তুচ্ছ অভিজ্ঞতা'তে দেখেছি স্বাধীনতা'র এতদশক পরেও আমরা মানুষের প্রাপ্য অধিকারগুলো তাদের বোঝাতে পারিনি।এটা আমাদের ব্যর্থতা ।সেই কোনকালে বঙ্কিমচন্দ্র লিখে গিয়েছিলেন যে আইন একপ্রকার তামাশা,আর বড়লোকেরাই পয়সা খরচা করে এ তামাশা দেখতে পারে।আজও তা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।আপনি যখন জরুরী অবস্থার সাক্ষী,তখন আমার থেকে অনেক বড় এবং অভিজ্ঞ।যদি আমার কথায় অসহিষ্ণুতা ফুটে ওঠে,তাহলে মাফ করবেন।
  • কল্লোল | 125.242.215.40 | ০৬ আগস্ট ২০১৩ ০০:০৬615371
  • আহা কি মুস্কিল, এর মধ্যে অসহিষ্ণুতা এলো কোদ্দিয়ে। মাফ চাবারই বা কি আছে। আমার মনে হলো রাষ্ট্রকে ধরতেই যদি হয় তো চিন্তার স্বাধীনতার জায়গা থেকে ধরা উচিৎ। রাষ্ট্র আদারওয়াইজ খুব ভালো দেখতে হতে পারে - সব মানুষ খেতে পায়, সবার মাথার উপর ছাদ আছে। তাতে চিন্তার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়াটা মান্যতা পায় না।
  • ranjan roy | 24.99.232.154 | ০৬ আগস্ট ২০১৩ ০১:৪৬615382
  • বিনায়ক সেনের ক্ষেত্রেও সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের এমনি ধরণের কিছু বক্তব্য ছিল--- কারও বাড়িতে গান্ধী রচনাবলী থাকলেই সে যেমন গান্ধীবাদী হয়ে যায় না, তেমনি কারও বাড়িতে মাওয়ের বই থাকলেই সে মাওবাদী হয়ে যায় না। দেখতে হবে যে সত্যিই রাষ্ট্রবিরোধী বা হিংসাত্মক কাজে লিপ্ত কি না!
    আসলে ক্রিমিনাল জুরিসপ্রুডেন্সের ভিত্তি হল mens rhea বা কোন নির্দিষ্ট অপরাধ করার ইচ্ছে (intention) থেকে সেই অপরাধ করা।
    কোন অপরাধ না করে শুধু ভাবছে বলে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না।
    ( কোন পুরুষ মনে মনে কোন নারীকে কামনা করলে তা ধর্ষণ হয়ে যায় না।)
    তাই নির্দিষ্ট কোন অপরাধ ঘটিত হয়েছে এমন কোন প্রমাণ ছাড়া কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া , আটকে রাখা তার মানবাধিকারের লংঘন এবং পুলিশের দিক থেকে দেখলে সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের উল্লংঘন।

    একজন ভাল প্রশ্ন তুলেছেনঃ
    মাওবাদী অ্যারেস্ট হলেই চেঁচামেচি কেন?
    প্রশ্ন মাওবাদী অ্যারেস্ট হওয়ার না, মাওবাদী বলে ক্ষমতার বিরোধী আওয়াজকে অ্যারেস্ট করার।
    খেয়াল করুন, মাওবাদী তকমা লাগিয়ে কাউকে ধরলে যদি প্রাইমা ফেসি সে মাওবাদী বলে চুপ করে থাকতে হয় তাহলে শিলাদিত্য চৌধুরিকে যখন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী নিজে আঙুল দেখিয়ে-' আমি বলছি ও মাওবাদী, ধরুন ওকে' বলে গ্রেফতার করালেন তখনও আমাদের তাহলে মেনে নেওয়া উচিত? ওর বিরুদ্ধে কেস কিন্তু আজও চলছে, সো-কলড প্রাইমা ফেসি চার্জ আছে যে!
    তেমনি কামদুনির টুম্পা কয়ালদেরও লেবেল লাগানো হয়েছে। তারপর আর আমাদের ওদের পক্ষে কিছু না বলাই ভাল?

    একজন বলেছেন জয়িতার বিরুদ্ধেও চার্জ আছে।
    তার নমুনাটা দেখুন।
    পুলিশ বলছে যে মাওবাদীদের বড় নেতা চন্ডী সরকারের লেখা কিছু চিঠিপত্র পাওয়া গেছে। চন্ডীবাবু নাকি জামিনে চাড়া পেয়ে আত্মগোপন করে বঙ্গে মাওবাদী সংগঠনের সবচেয়ে বড় সংগঠকের দায়িত্ব পালন করছেন--এটাই মুখ্য চার্জ।
    কিন্তু গতকালই চন্ডী সরকার আনন্দবাজার অফিসকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন যে পুরো গল্পটাই বোগাস। উনি আদৌ আত্মগোপন করেন নি। জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়িতেই আছেন। ওঁর এখন মাওবাদীদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই।
    খালি ওঁর বিরুদ্ধে যে গোটাকয়েক কেস চলছে তার জন্যে মাঝে মাঝে আদালতে হাজিরা দিতে হয়।
  • a x | 86.31.217.192 | ০৬ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৪২615393
  • আবাপ পড়া হয়না বলে এটা জানতাম না। যাঁরা অন্য খবরটা দিয়েছিলেন, তাঁরা আর কষ্ট করে এটা দেন নি।
  • s | 182.0.249.87 | ০৬ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৫৯615404
  • কিন্তু কালপুরুষ যে প্রশ্নটা তুলেছেন সেটা সঙ্গত এবং জরুরী। রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্বেও শাস্তি হয়না কেন। কোর্ট সব ব্যপারে মতামত জানায়, রজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো ত্বরান্বিত করা কিংবা দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা এসব ব্যপারে নীরব কেন? নেতারা ক্ষমতা ব্যবহার করে সাক্ষ্য প্রমান লোপাট করবে, পুলিশ চার্জ কম করে দেবে এসব কোর্ট জানে না। তারা এই বালের বিচারব্যবস্থা পরিবর্তন করতে কি ব্যবস্থা নিয়েছে।
  • khilli | 131.241.218.132 | ০৬ আগস্ট ২০১৩ ১০:২৬615415
  • কিন্তু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ফাউল , আব্বুলিশ বললে লোকে হাসে। শুধু মাও রা মারবে আর রাষ্ট্র ললিপপ চুষবে তা কি হয় ? nothing unfair in love and war প্রবাদ আছে। আর যুদ্ধ তা মাও রা ঘোষণা করেছে। মাও দের তুলনায় রাষ্ট্র কে কম খারাপ মনে হয় তাই আমি এবং আমার মত অনেকে রাষ্ট্র -র সঙ্গে আছি। গণতান্ত্রিক দেশ - আমার চয়েস এর স্বাধীনতা আছে - এটা তো আর চীন নয় ।
  • h | 213.132.214.156 | ০৬ আগস্ট ২০১৩ ১১:১৪615426
  • যাক চীনের সরকারের সংগে আমাদের দেশের মাও বিরোধীরা আছে জেনে ভালো লাগলো।
  • ranjan roy | 24.96.59.126 | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ০১:৪৫615427
  • খিল্লি,
    ওই নাথিং আনফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার কথাটা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে খাটে না।
    রাষ্ট্র সার্বিক স্বার্থে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি বা দলের প্রাণ নিতে পারে, কিন্তু নিতে হবে আইনানুগ পদ্ধতিতে।এটাই আইনের শাসন যা প্রতিষ্ঠা করাই আপাতদৃষ্টিতে রাষ্ট্রের কাজ। মাওবাদী বা অন্য সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে রাষ্ট্র দমন করবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্যে, তাই সেই দমনও হতে হবে আইনি প্রক্রিয়ায়।রাষ্ট্রের অপারেশনের মোডালিটি এমনিই হবে।
    তাই সুপ্রীম কোর্টও রাজকুমারকে ফলস্‌ এনকাউন্টারে মারার বা মেয়েদের মৃতদেহকে বাঁশে বেঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিন্দে করেন। সুপ্রীম কোর্টের তো কোন মাওপ্রীতি নেই।
    আর রাষ্ট্র কোন বায়ুভূত অ্যাবস্ট্রাক্ট জিনিস নয়। রাষ্টের নামে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠি বা ব্যক্তিরা নিজেদের এজেন্ডাও চালায়।
    তাই ঈশরাত জাহান হত্যাকান্ড হয়।
    তাই শিলাদিত্য চৌধুরিকে মাওবাদী আখ্যা নিয়ে জেলে ঢুকতে হয়।
    মাওবাদীরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে রাত্তিরে পরবের সময়ে ১৭ জন আদিবাসী মহিলা ও শিশুকে মেরে ফেলাকে সমর্থন করতে হবে?
    খেয়াল করুন, বস্তারে প্রতি সপ্তাহে মাওবাদী ও পুলিশ মরছে। কোলকাতার পত্রিকায় বেরোয় না। রায়পুরের হিন্দি-ইংরেজি পত্রিকায় বেরোয়।

    সেই যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু নিয়ে কোন মানবাধিকার সংগঠন কোন কথা বলছে না। বলার প্রশ্নই নেই।
    কথা উঠছে যখন মাওবাদী দের বিরুদ্ধে অপারেশনের নামে নিরীহ মেয়ে-শিশুকে মারা, সন্দেহের বশে মিথ্যে এনকাউন্টার করা, সোনি সোরির জননাঙ্গে পাথরকুচি ভরে দেয়া ও থানায় গ্যাং-রেপ করা নিয়ে।
    যুদ্ধে নাথিং আনফেয়ার বলে এসবে চোখ বুঁজতে হবে? তাহলে শিলাদিত্য-কামদুনিতেও। বিনায়ক সেনের ক্ষেত্রেও?
  • কল্লোল | 125.241.114.73 | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ০৫:৪৫615428
  • রঞ্জন। এখানে ওসব তক্কো করে লাভ নেই। মনে মনে এখানকার মমতা বিরোধীগুলির অনেকেই মমতা বিশেষ। এক্ষুনি কেউ বলে বসবে - ইসরাত জাহান যে সন্ত্রাসবাদী ছিলো না তার সমর্থনে কোন লিং, ইউটিউব?
    কিংবা
    মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অপারেশনের নামে নিরীহ মেয়ে-শিশুকে মারা, সন্দেহের বশে মিথ্যে এনকাউন্টার করা, সোনি সোরির জননাঙ্গে পাথরকুচি ভরে দেয়া ও থানায় গ্যাং-রেপ করা নিয়ে কোন লিং কোন ইউটিউব?
    এবার লিং বা ইউটিউব দিলে বলা হবে ওতো "ওমুক" সংগঠনের, বা "তমুক" হাউসের যারা জম্মো থেকেই "তুসুক" পন্ন্থার বিরোধী, তারা তো এসব বলবেই।
    বা
    যেখানে ৩০০ শিশু রোজ অপুষ্টি অনহারে মরছে, সেখানে কটা আদিবাসী মারা গেলো আর কে কার জননাঙ্গে পাথরকুচি ভরলো, তাই নিয়ে এতো কথার কি?
    এরা নিজেরা যাদের সমর্থন করে, তাদের পাট্টি কম্মোসূচীতে রাষ্ট্রকে বলপূর্বক উচ্ছেদের কথা এখনো আছে।
    আমি আর তাই তক্কো করি না - কমেন করি মাত্র।
  • যুক্তি তক্কো আর গপ্পো | 103.115.84.195 | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ০৭:০৫615429
  • ঠিক ঠিক। আমিও তাই আর তক্কো করি না, কমেন করি মাত্র। অবশ্য তাতেও ইশেনবাবু রাগ করে।
  • a | 132.179.84.232 | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ০৭:৪৮615431
  • রন্জনদা কে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো ও কি আর বায়ুভূত অ্যাবস্ট্রাক্ট জিনিস দাদা? ওতেও যে লোকে নিজের এজেন্ডা চালায়, সে কি আপনি অস্বীকার করবেন?

    আমি খিল্লির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আপনার বক্তব্য বুঝিনি। মাওবিরোধীতা আর মানবাধিকার সমর্থন কেন একসাথে থাকতে পারে না, তাও বুঝিনি।
  • bb | 127.221.196.175 | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৩৯615432
  • অদ্ভুত দাবি- মাওবাদীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, সুযোগ পেলেই সেনা উড়িয়ে দেবে, আর রাষ্ট্র বসে বসে আঙুল চুষবে। তাদের লোক তলে তলে সংগঠনের শক্তি বাড়াবে আঘাত করার জন্য আর রাষ্ট্র বসে বসে তাদের কে সেই সুযোগ দেবে কখন আঘাত করে। তার আগে পর্যন্ত তাদেরকে খাইয়ে দাইয়ে বলতে হবে ভাল আছেন তো? আপনার হাতে যে ঐ বোমাটা, ঐ অস্ত্রটা , ওগুলি আপনি নিজের বাচ্ছার সঙ্গে খেলা করার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন নিশ্চই। মানুষ মারা মহা পাপ জানেন তো?
    কল্লোলদা আপনি নিজেও জানেন আপনি যা বলছেন সেটা ভুল, কিন্তু আপনার বিরোধী বক্তব্য দিলেই আপনি লিংক ইত্যাদির কথা বলে তাদের বক্তব্যকে দুর্বল দেখানোর চেষ্টা কেন করেন এটা বোধগম্য হল না।
    এইখানে একটা অদ্ভুত শ্লাঘা দেখি - দেশের বেশীর ভাগ লোকই বোকা, তারা কিছু বোঝে না - আমি ৫% দলে আর আমার বোঝাই সব ঠিক সংখ্যাগরিষ্ঠের মতকেও সম্মান দিন।
  • PT | 213.110.246.230 | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৪১615433
  • ৩০০ নয় ৩০০০ শিশু।

    এর সঙ্গে "জননাঙ্গে পাথরকুচি" ভরার প্রতিবাদ করার কোন সম্পর্ক বা বিরোধ কোনটাই নেই। আর আদিবাসী মেয়েদের পুলিশের গ্যাং-রেপ করাকে সমর্থন করার মত কেউই এখানে পোস্টিং করেনা।

    শুধু ৩০০০ শিশুর মৃত্যু সম্পর্কে নীরবতা আর সেটা মনে করিয়ে দিলে তাই নিয়ে কটাক্ষ -সেটাই বিস্ময়ের ব্যাপার।
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ২০:৫০615434
  • মাওবাদীদের সাথে এফেক্টিভলি লড়াই-এর জন্য রাষ্ট্র তাহলে কি করবে - ফেক এনকাউন্টার কিলিং ? জেলের ভেতর অত্যাচার?

    রাষ্ট্র এগুলো করছে। বিবি কি এই কাজগুলো সাপোর্ট করেন?
  • bb | 127.216.213.41 | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ২৩:২৩615435
  • অরণ্য - এইগুলির কোনটাকে সমর্থন কি আমি করেছি? কিন্তু আপনি যদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তাহলে অব্শ্যই আপনাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং তারজন্য নাকে কাঁদা বিস্ময়্কর।
  • কল্লোল | 125.242.141.67 | ০৮ আগস্ট ২০১৩ ১২:৫০615436
  • কাউকে গ্রেপ্তার করার জন্য কেউ কাঁদে নি।
    কেউ মাওবাদী কি মাওবাদী নয়, সে তো আদালতে ঠিক হবে। তারপরেও প্রমাণ করতে হবে যে সে বেআইনী কাজের সাথে যুক্ত। শুধু মাওবাদে বিশ্বাস করাটা আইনতঃ অপরাধ নয়।
    কিন্তু কাউকে, যে কাউকে, মাওবাদী হোক বা পাতি চোর, গ্রেপ্তার করতে গেলে বৈধ ওয়ারেন্ট লাগে, বৈধ সার্চ অর্ডার লাগে, আর সুপ্রিম কোর্টের ১০ দফা নির্দেশিকা পালন করতে হয় পুলিশকে। সে সব না করলে কুত্তারা চিল্লাবে। পুলিশী হেফাজতে শারিরীক-মানসিক অত্যাচার হলে কুত্তারা চিল্লাবে।
    জয়িতার বেলায় ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সার্চ ওয়ারেন্ট ছিলো না।
  • PT | 213.110.246.230 | ০৮ আগস্ট ২০১৩ ১৩:২৯615437
  • কিন্তু এটাও তো লিখতে হবে একই সঙ্গে যে জয়িতারা গনতন্ত্রের পুনঃস্থাপনের জন্য যাদের কাঁধে করে লালাবাড়িতে বসিয়েছিল তারাই এইসব বেআইনী ও অগণতান্ত্রিক কাজকর্ম চালাচ্ছে। এটা দেবলীনা-জয়িতা এবং তাদের শুভানুধ্যায়ীরা চিৎকার করে না বললে, পাড়ার অন্য কুত্তারাও তো চিল্লাবে।
  • কল্লোল | 125.241.97.4 | ০৮ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৫২615438
  • জয়িতা-দেবলীনাকে গ্রেপ্তার করেছে তৃণমূল সরকার। কুত্তারা চিল্লাচ্ছে।
    বাম আমলে দুজন বিজ্ঞানীকে গ্রেপ্তার করেছিলো বাম সরকার। কুত্তারা চিল্লেছে।
    পাড়ার অন্য কুত্তারা তখনো ল্যাজ নাড়ছিলো, এখনো নাড়ছে।
  • dd | 69.92.158.234 | ০৮ আগস্ট ২০১৩ ১৬:০৮615439
  • কল্লোলকে একটা চোপ দিলাম।

    বলছি সেই কবের থেকে এ সরকারের গদীতে বসার সব দায় দায়িত্ব স্বীকার করে একটা মুচলেকা দিয়ে শাস্তির জন্য চোখ ছলছল করে অপেক্ষা করতে, তা না, সুদু তর্কো করে যায়।

    এবারে গর্দান চলে গ্যালে আমি কিন্তু কিছু করতে পারবো না। আর বিনা মুন্ডুতে তখোন চেঁচাতে পারবে?
  • PM | 233.223.155.12 | ০৮ আগস্ট ২০১৩ ১৬:১২615440
  • জ্ঞনেশ্বরী ঘটনায় ৩০০ মানুষের অপমৃত্যুতে সেই কুত্তাদের টিকির দেখা পাওয়া যায় নি, চেল্লনো তো দুরের কথা।

    ২-৩ বছর আগে যখন রোজ ৩-৪ টে লাশ পড়তো জঙ্গল মহলে তখন-ও কিছু কুত্তা ল্যজ নাড়াতো।

    এই আর কি
  • cb | 209.67.203.141 | ০৮ আগস্ট ২০১৩ ১৬:১৫615443
  • আহা, এত উষ্ণ হয়ে পড়ছেন কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন